নয়নতারা পর্ব ২৯

#নয়নতারা [২৯]
#জেরিন_আক্তার_নিপা

নক্ষত্র ভয় পেয়ে যায়। নয়নকে কিছুই জানাতে পারে না সে। নয়ন বলেছে তার থেকে ধোঁকা সহ্য করতে পারবে না। নক্ষত্র ওকে ঠাকলে নয়ন মরে যাবে। নক্ষত্র ভয় পাচ্ছে নয়ন তার আর ইলার সম্পর্কের ব্যাপারে জেনে ওকে ভুল বুঝবে। এই কথা আগে না জানানোর জন্য তাকে ছেড়ে চলে যাবে। এসব ভেবেই নক্ষত্র নয়নকে সত্য জানায় না। ওর থেকে নজর লুকিয়ে রাখে।
রামিশা এদিকে আগুনে ঘি ঢালার কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। নয়নকে একা পেয়েই সে জিজ্ঞেস করে,

—-কি, নক্ষত্রকে জিজ্ঞেস করেছিলে? ও বলেছে? অবশ্য বললেও সত্যি বলেছে কিনা তা তুমি জানবে কীভাবে?”

নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করে নয়ন ক্লান্ত। তার উপর আবার রামিশা তার পিছু ছাড়ছে না। এই কথা সত্যি হয়ে যাবার ভয়ে নয়ন নক্ষত্রকে কিছুই জিজ্ঞেস করেনি। কিন্তু রামিশা তাকে এসব কথা ভুলে থাকতে দিচ্ছে না।

—-তুমি কি সত্য জানতে চাও না নয়নতারা? আমি বলেছিই তো, আমার কথা বিশ্বাস না হলে তুমি নক্ষত্রকে জিজ্ঞেস করো।”

—-আমার কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করতে হবে না। আল্লাহর ওয়াস্তে আমাদের পিছু ছাড়ুন আপনি। আমি কোন সত্য জানতে চাই না। মিথ্যা নিয়েই আমি ভালো আছি। আপনি আমাকে আর জ্বালাবেন না রামিশা আপু। আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি।”

রামিশা হাসে। তার তীর সঠিক জায়গায় গিয়ে লেগেছে।

—-তুমি বড্ড ভীতু নয়নতারা। বড় অবোলা তুমি। তোমার অসহায়ত্ব দেখে আমার তোমার জন্য মায়াই হচ্ছে। একজন মানুষ তোমাকে না তোমার বোনকে ভালোবাসে, এটা জেনেও তুমি সেই মানুষটার সাথে থাকতে চাইছো! ওর সাথে সংসার করবে তুমি! তুমি এতটাই অসহায় নয়নতারা?”

—-আমি অসহায় নই। আমি ভীতুও নই।”

—-অবশ্যই ভীতু তুমি। সত্য জানতে ভয় পাও তুমি। অবশ্যই তুমি অসহায়। ঘর ভাঙতে তুমি ভয় পাও। আর তাইতো সত্যকে অদেখা করে মিথ্যেটাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইছ। নক্ষত্র তোমাকে কখনও চায়নি। সে চেয়েছে তোমার বোনকে। তোমার বোন তাকে ঠকিয়েছে বলে সে স্রেফ জেদের বশে তোমাকে বউ করেছে। এর থেকে বেশি নক্ষত্রর জীবনে তোমার কোনো অবদান নেই। তুমি নক্ষত্র জীবনে কেমন জানো? যাকে বলে উড়ে এসে জুড়ে বসা। তুমি নক্ষত্রর জীবনে অদরকারী একটা মানুষ।”

নয়নের চোখের সামনে যতদূর যায় সব ঝাপসা দেখে সে। সত্যিই কি সে নক্ষত্রর জীবনে অদরকারী মানুষ? দুপুরে কাঁদতে কাঁদতে নয়ন ঘুমিয়ে যায়। মাথাটা ব্যথায় ছিড়ে পড়ে। চোখ ফোলে ব্যাঙ হয়ে আছে। তার কী করা উচিত বুঝতে পারে না সে।
নক্ষত্র ভয় পেয়ে গিয়েছিল। তাই তারাকে কিছুই জানাতে পারে না সে। কিন্তু সে এটাও বুঝতে পারে তারাকে না জানিয়ে বড় ভুল করে ফেলেছে। তারা অন্য কারো মুখ থেকে শোনার আগে তাকেই সত্য বলে দিতে হবে।
নক্ষত্র ঘরে এসে দেখে নয়ন ঘুমিয়ে আছে। তার চোখের পাপড়ি এখনও ভেজা। কেঁদেছে নাকি মেয়েটা? নক্ষত্র এক ধ্যানে নয়নের মুখের দিকে তাকিয়ে বসে থাকে। কেন ইলার আগে নয়ন তার জীবনে আসেনি? কেন সে ইলাকে ভালোবাসতে গিয়েছিল। ইলা তার অস্বস্তির একটা অধ্যায়। একটা বাজে অতীত। নয়নতারা তার বর্তমান। সুখের ভবিষ্যত।
নক্ষত্র নয়নের হাত শক্ত করে ধরে রাখে। অনেক অপেক্ষার পর সব ঠিক হয়েছে। এখন আর নিজেদের মধ্যে কোন ভুল বোঝাবুঝির জায়গায় দিবে না। দরকার পড়লে নয়নের পা ধরে মাফ চাইবে। তবুও তাকে রাগ করে চলে যেতে দিবে না।তারাকে ছাড়া তার জীবন কল্পনা করা অসম্ভব।
নয়নের ঘুম ভাঙে। নক্ষত্রকে চোখের সামনে দেখে তার মনটা আবার কেঁদে উঠে। নক্ষত্র হাসার চেষ্টা করে। অনেকটা সময় দু’জন দু’জনার দিকে চেয়ে থাকে। সময় বয়ে যায়। চোখে চোখে অনেক কথা হয় ওদের।

—-তারা, আমি ইলাকে ভালোবাসতাম।”

নক্ষত্র নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করে কথাটা নয়নকে বলেই ফেলল। বলেই নয়নের মুখের দিকে তাকাল। নয়ন থামকে গেছে। পাথর হয়ে গেছে সে। রামিশা সত্যি বলছিল। নক্ষত্র কাতর গলায় বলে,

—-আমি ইলাকে ভালোবাসতাম তারা। কিন্তু এখন আমি তোমাকে ভালোবাসি। ভালোবাসতাম আর বাসির মধ্যে কিন্তু অনেক পার্থক্য। ইলা আমার অতীত ছিল। তুমি আমার বর্তমান। আমার ভবিষ্যত। আমরা দু’জন চাওয়ায় আমাদের বিয়ে হচ্ছিল। আমি তখন জানতাম না তারা তুমি আমার ভাগ্যে আছো। আর তাইতো ইলার সাথে বিয়েটা হলো না। তুমি আমার বউ হলে। পরিস্থিতি আমাদের এক করে দিল। এই কথাগুলো আগেই তোমাকে আমার জানানো উচিত ছিল। আমি ভয় পেতাম তারা। তুমি তখন কতটা অবুঝ ছিলে! আমাকে ছেড়ে যাবার কথাই চব্বিশ ঘণ্টা তোমার মাথায় ঘুরতো। এবাড়ি ছেড়ে, আমাকে ছেড়ে যাবার বাহানা খুঁজতে তুমি। তাই আমি বলতে পারিনি। আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও। প্লিজ তারা।”

নয়ন স্থির চোখে নক্ষত্রর দিকে তাকিয়ে অশ্রু বিসর্জন করে৷ কোন কথা বলতে পারে না সে। নক্ষত্র ব্যাকুল হয়ে নয়নের মনের ভাব জানতে চায়। নয়ন আগে থেকেই সবটা জানত। ফলে ধাক্কাটা সে খুব কম সময়েই সামলে নিয়েছে। নক্ষত্রর এই খোলামেলা স্বীকারোক্তি শোনার পর তার কেমন প্রতিক্রিয়া করা উচিত?

—-কখনও যদি ইলা আপু আপনার কাছে ফিরে আসতে চায় তাহলে কি আপনি আমাকে ছেড়ে দিবেন? ওকে আপন করে নিবেন?”

নয়নের গলা ধরে আসে। চোখের পানি লুকাতে পারে না সে। নক্ষত্র হতবুদ্ধির ন্যায় নয়নের মুখের দিকে দেখে।

—-তোমার কী মনে হয় তারা? আমি তোমাকে ছাড়তে পারব!”

নয়ন কান্না গিলে বলে,

—-আমি আপনার মুখ থেকে শুনতে চাই।”

—-আমি নিঃশ্বাস নেওয়া ছেড়ে দিতে পারব তবুও তোমাকে না।”

—-আপনি আমাকে সব সময় এরকম ভালোবাসবেন?”

নক্ষত্র হেসে ফেলল। নয়নের রাগ হলো।

—-হাসছেন কেন? বাসবেন না?”

—-তোমাকে ভালোবাসা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে তারা।”

—-কখনও আমার থেকে কিছু লুকাবেন না। যে সমস্যাই হোক আমরা একসাথে মিলে তার সমাধান করব।”

—-তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছ তারা?”

—-আপনার উপর আমার কখনও কোন অভিযোগ ছিল না। ক্ষমা কীভাবে করব বলুন তো!”

নক্ষত্র শুধু শুধুই ভয় পাচ্ছিল। নয়নকে সে যতটা অবুঝ ভেবেছিল নয়ন আসলে ততটা অবুঝ না। নয়ন যথেষ্ট ম্যাচিউর। নক্ষত্র এক টানে নয়নকে নিজের কাছে টেনে আনলো।

—-অভিযোগ ছিল না! তোমাকে আমি জোর করে বিয়ে করেছিলাম এটাই তো তোমার সবথেকে বড় অভিযোগ ছিল।”

নয়ন নক্ষত্রর বুকে মুখ গুঁজে মিনমিন করে বলে,

—-তখন বুঝিনি আল্লাহ আমাকে আপনার জন্যই বানিয়েছে। আমার ভাগ্যে আপনিই লেখা ছিলেন।”

—-তারা, ইলা ফিরে এলেও আমাদের সম্পর্কে তার কোন প্রভাব পড়বে না। ইলার উপর এখন আমার আর কোন রাগ নেই। ইলা পালিয়ে গিয়েছিল বলেই আমি তোমাকে পেয়েছি। ইলা না পালালে তোমাকে বউ রূপে পেতাম না আমি। ইলা আমাদের দু’জনকে মিলিয়ে দেওয়ার কাজ করেছে।”

—-এখন থেকে কিন্তু ইলা আপুকে আপনারও আপু ডাকতে হবে।”

নক্ষত্র শব্দ করে হাসল।

—-আপু! এটা করতে অন্তত বোলো না আমাকে। যে মেয়েটাকে এক সময় গার্লফ্রেন্ড ভেবে জড়িয়ে ধরেছি, চুমু খেয়েছি। তাকে এখন আপু ডাকব!”

নয়ন ঝট করে মাথা তুলে নক্ষত্রকে দেখে। দু’হাতে নক্ষত্রর মুখ চেপে ধরে।

—-আপনি অনেক খারাপ। এসব আবার আমার সামনে বলছেন! লজ্জা করে না আপনার! আমি থাকব না। এক্ষুনি চলে যাব। ছাড়ুন আমাকে। এমন ক্যারেক্টারলেস বর আমার চাই না।”

নয়ন সমানে নক্ষত্রর উপর কিল ঘুসি বর্ষণ করছে। নক্ষত্র হাসতে হাসতে ওর হাত আটকে ধরেছে।

—-রাগ করছো কেন? তুমিই তো বলেছ আমরা একজন আরেকজনের সব জানব। অজানা কিছু থাকবে না আমাদের মাঝে। তাইতো আগে থেকে জানিয়ে দিচ্ছি। নইলে ইলা আপু ফিরে এসে তোমাকে এসব জানালে তখন আবার তুমি আমাকে ভুল বুঝবে।”

—-অনেক খারাপ আপনি। ভীষণ বাজে। গার্লফ্রেন্ড হলেই চুমু খেতে হয়! জড়িয়ে ধরতে হয়! আমাকে আর ছুবেন না আপনি। একদম জড়িয়ে ধরবেন না। বিয়ের আগেই সব করে ফেলেছেন। অসভ্য বাজে লোক। বউয়ের থেকে ওসব জড়িয়ে ধরা, চুমু খাওয়া কিচ্ছু পাবেন না। এটাই আপনার শাস্তি।”

নক্ষত্র স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। ওদের সম্পর্কে বিশ্বাসের ভিতটা এতটাই মজবুত হয়েছে, এখন আর কোন ভুল বোঝাবুঝি এখানে জায়গা পাবে না। নক্ষত্র নয়নের কানে কানে বলল,

—-যেদিন থেকে তুমি আমার জীবনে এসেছ তারা সেদিন থেকেই আমার জীবনে আর কোন মেয়ের জায়গা নেই। তুমিই আমার সব। তুমি বললে আজীবন চোখে কালো কাপড় বেঁধে রাখব আমি। তোমাকে ছাড়া আর কোন মেয়েকে দেখব না।”

নয়ন রামিশার কথা এই মুহূর্তে নক্ষত্রকে বলে না। সে বললে হয়তো নক্ষত্র তার কথা অবিশ্বাস করবে না। কিন্তু নয়ন চায় নক্ষত্র যেন রামিশার নোংরা চেহারা নিজের চোখে দেখে।
রামিশা এটা ভেবে খুশি হচ্ছে যে, নয়নতারা আর নক্ষত্রর সম্পর্কে ফাটল ধরিয়ে দিয়েছে সে। নয়নকে নক্ষত্রর বিরুদ্ধে খেপিয়ে ব্যাপারটা ওদের ডিভোর্স পর্যন্ত নিয়ে যাবে। বেচারি রামিশা এটা জানে না নয়ন এত সহজে তার ফাঁদে পা দিবে না। তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে নয়ন সচেতন।
রামিশা নয়নকে সমবেদনা দিতে আসে।

—-নয়নতারা, আমি জানি তোমার মনের উপর দিয়ে কী ঝড় বয়ে যাচ্ছে। তুমি হয়তো ভাবতে পারোনি নক্ষত্র তোমাকে এভাবে ঠকাবে, তাই না?”

—-রামিশা আপু, আমাদের স্বামী স্ত্রীর ব্যাপার আমরা বুঝে নেব। আপনাকে আমায় নিয়ে ভাবতে হবে না।”

রামিশা হতভম্ব। এত আগুন লাগানোর পরেও এই মেয়ে নিরুত্তাপ আছে কীভাবে?

—-ইলা আপু আর উনার সম্পর্কের কথা আমি জানি। উনি নিজে আমাকে বলেছেন। ইলা আপু উনার অতীত। আর অতীতকে আঁকড়ে ধরে থাকতে নেই। অতীত যত তাড়াতাড়ি ভুলে যাওয়া যায় ভবিষ্যত ততই সুন্দর হয়। আপনি এবাড়িতে মেহমান হয়ে এসেছেন। তাই মেহমানের মতো কয়দিন থাকুন। তারপর চলে যান। আমাদের হাজবেন্ড ওয়াইফের মাঝে কথা বলার আপনার কোন অধিকার নেই। এটা আপনাকে শোভাও পায় না।”

রামিশার মনে আগুন জ্বলছে। নয়নতারা মেয়েটা তার ভাবনার থেকেও বেশি চালাক।

—-তোমার মতো লোভী স্বার্থপর মেয়ে আমি খুব কম দেখেছি নয়নতারা। সবকিছু জেনেও তুমি নক্ষত্রকে ছাড়বে না!”

—-কেন ছাড়ব? উনি আমার স্বামী। সামান্য একটা বিষয়ের জন্য উনাকে আমি কেন ছাড়ব। ভালোবাসার মানুষের বড় থেকে বড় অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়া যায়। উনি তো কোন অপরাধ করেননি। হ্যাঁ আমি লোভী। আমি স্বার্থপর। আর সবটাই আমার স্বামীর জন্য। আপনিও তো কম লোভী না। আপনার স্বার্থপরতা আমার থেকেও বেশি। আমি উনাকে ছেড়ে দিলে আপনি উনার বউ হবেন! এটা কীভাবে ভাবলেন আপনি রামিশা আপু। আমি চলে গেলেও উনি আপনার মতো দুমুখো সাপকে বিয়ে করবে না।”

—-নয়নতারা!”

রামিশা চিৎকার করে উঠে। রাগে ফুঁসতে থাকে।

—-আপনার উদেশ্য আমি জানি। আপনি আমার জন্য মায়া দেখাচ্ছেন না। বরং আমাকে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে খেপাতে চাইছেন। আমি এতটাও বোকা না। আমি আপনাকে ভালো মনে করেছিলাম। কিন্তু আপনি রাস্তার মেয়েদের থেকেও বাজে। অন্যের স্বামীর প্রতি আপনার নজর। আপনার মতো নোংরা মেয়ে আমি আমার জীবনে দেখিনি।”

রামিশা রাগে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। নিজের মুখে সব স্বীকার করে নেয় সে।

—-হ্যাঁ। হ্যাঁ আমি নক্ষত্রকে চাই। নিজের করে পেতে চাই ওকে। নক্ষত্র আমার। তুই ওকে আমার থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিস। তোকে আমি ছাড়ব না। নিজে থেকে নক্ষত্রর জীবন থেকে যাবি না তো তুই? তোকে আমি খুন করব। তারপর নক্ষত্রর বউ হবো।”

নয়ন কিছু বুঝে উঠার আগে রামিশা এসে নয়নের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। নয়নের গলা চেপে ধরে। আস্তে আস্তে নয়নের শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আসে। সেই সময়ই পেছন থেকে নক্ষত্র এসে রামিশাকে নয়নের থেকে দূরে সরিয়ে নেয়। সজোরে রামিশার গালে থাপ্পড় মারে। নয়ন হাঁপাচ্ছে। দম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তার। রামিশা গালে হাত দিয়ে হতবুদ্ধি হয়ে নক্ষত্রর দিকে তাকিয়ে থাকে।
নক্ষত্র কখন এসেছে? নয়নতারা রামিশার সাথে কথা বলার এক ফাঁকে রামিশার চোখের আড়ালে নক্ষত্রকে কল করে। নক্ষত্র ফোনে ওদের সব কথাই শুনে। বাড়ি ফিরছিল সে। নিচে গ্যারেজে ছিল। রামিশার থেকে নয়নের ক্ষতির সম্ভাবনা আছে মনে হতে ছুটে আসে সে। নক্ষত্রর চোখ দিয়ে আগুন ঝরছে।

—-বেরিয়ে যাও তুমি। এক্ষুনি আমার বাড়ি থেকে দূর হও। তোমার চরিত্রের এই নোংরা দিকটা আমি কল্পনাও করতে পারিনি রামিশা। এতটা নিচে কীভাবে নামতে পারলে তুমি? তারাকে খুন করতে যাচ্ছিলে তুমি? ওর কিছু হলে আমি তোমাকে ছেড়ে দিতাম! সারাজীবন বন্ধু ভেবে এসেছি তোমাকে। তাই আজ ছেড়ে দিচ্ছে। নইলে তোমার মতো ক্রিমিনালকে পুলিশে দেওয়া উচিত ছিল। ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তোমাকে বের করে দেওয়ার আগে তুমি নিজেই চলে যাও রামিশা।”

চলবে___

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here