প্রেমজাল পর্ব ৭+৮

#প্রেমজাল
পর্ব ০৭+০৮ [রহস্য উন্মোচন]
জান্নাতুল মাওয়া মাহিমুন

ভাদ্র মাসে সারারাত বৃষ্টির পর সকালের এক চিলতে রৌদ্দুর সকাল হওয়ার জানান দিচ্ছে। চারপাশের ফুরফুরে হাওয়ার আবেশে আজ সকালটা বেশ স্নিগ্ধতায় মোহনীয়। ঘুমের ঘোরে পাতলা কাথা টেনে আড়মোড়া দিয়ে পাশ ফিরতেই অদূরে কনুই পর্যন্ত ফোল্ড করা আকাশী রঙের শার্ট আর কালো জিন্স পরিহিত যুবককে দেখে আমার চোখ হিমালয় ছুঁইছুঁই। সোফায় গা এলিয়ে মোবাইল স্ক্রলিং করতে সে ব্যস্ত। কিন্তু আমি তো “স্বপ্ন কুঞ্জ” মানে আমার গ্রামের বাড়িতে। মনে হচ্ছে যেনো স্বপ্ন দেখছি। স্বপ্ন কিনা বাস্তব পরখ করতে উঠে বসে কয়েকবার চোখ কচলালাম। প্রতিবারেই মনে হচ্ছে এগিয়ে আসছে সে। আমি বিস্ফোরিত নয়নে মানুষটার দিকে তাকালাম। বাকশক্তি যেনো ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। আনমনেই ঠোঁট কামড়ে ধরলাম।

আয়ান আসতে আসতে বেশ কাছে এসে পরেছে। উনার উথাল-পাথাল উষ্ণ শ্বাস আছড়ে পরছে আমার মুখ বরাবর। আকস্মিক ভাবে উনি আমার কাধ বরাবর অবিন্যস্ত চুল গুলো কানের পিছনে ঠাই দিলো। আমি উনার কাণ্ডে যেনো হিতাহিত জ্ঞান শূন্যতায় ভুগছি। সারা শরীরে হিম ধরে গেসে। আমি উনার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকানো ছাড়া আর কিছু করার মতো ভারসাম্য পেলাম না।

-“আমি চান্দের দেশের কোনো ভিন প্রানী না যে তোর এভাবে চিৎ-পটাং হয়ে থাকতে হবে”

আয়ানের মুখে গাম্ভীর্য ভাব প্রদর্শন করছে।

আমি কিছুটা বিব্রতবোধ করলাম। আমি উনার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকালাম। সকাল সোয়া ৬টা। মাত্র ৬ঃ১৫ বাজে। মানে নির্ঘাত উনি সারারাত ড্রাইভ করে এসেছেন। এতো সকালে কেও উনাকে আমার ঘরে দেখলে কেলেঙ্কারি বেধে যাবে। আর কাকিমণি দেখলে তো তিল থেকে তাল বানাতে পিছ পা হবে না।

আচমকা আয়ান আমার কাধ থেকে টি-শার্ট খানিক সরাতেই বেশ হতবাক হলাম। সাথে সাথে ডান হাত দিয়ে উনার বুকে চাপ দিয়ে সরাতেই, উনি আমার হাত উনার সাথে মুষ্ঠিবদ্ধ করে আকড়ে ধরলেন। উনি এক পলক আমার দিকে নিস্তব্ধ সহকারে তাকালেন। তার দৃষ্টি ভাষ্য বুঝতে সক্ষম হলাম না। তবে যাই হোক না কেনো তার চাহনিতে কোনো লালসা ছিলো না।

আমি ভাবনার দেয়াল চিড়ে “আহহ” করে উঠলাম। উনি সরে আসতেই দেখলাম আমার কাধে উনার চোয়ালের ছাপ। ক্ষণিকের মধ্যে রক্তিম আভা ফুটে উঠেছে। ইতিমধ্যে চক্ষুর কোটর টলমল করছে। চরম লেভেলের কিছু কড়া গালি দিবো নাকি কান্না করে বাণ ভাসানো উচিত আমার?

আমি অশ্রুসিক্ত নয়নে তীব্র ক্ষোভে বললাম,

-“কি করলেন এটা? আপনার কি কামড়াকামড়ি না করলে হয় না?”

উনার কোনো ভাবান্তর ঘটলো না। এমন ডোন্ট কেয়ার ভাব নিচ্ছে যেনো কিছুই হয় নি। আর হলেও সব কিছু স্বাভাবিক জিনিস।

-“ছোট বেলায় তো আর কম কামড়াস নি আমাকে! আগে তুই আয়ান ভাইয়া আয়ান ভাইয়া করে আমার পিছন ছুটে ছুটে পাগল করতি, এখন আমাকে তোর পিছন পিছন ছুটে পাগল হতে হচ্ছে। সব কিছুর শোধ তুলতে কি এটা তোর প্রাপ্য নয়?”

-“আপনি খুব পচা। আমি ফুপিমণিকে বলে দিবো। কেমন কালচে নীল হয়ে গেসে জায়গাটা”

আয়ান তাচ্ছিল্য গলায় বললো,

-“আমাকে কথায় কথায় তোর ফুপিমণির ভয় দেখাস না”

কেনো জানি আমার অনেক কান্না পাচ্ছে।রাগে-ক্ষোভে নাকি অভিমানে আমি বুঝতে পারছি না।

আয়ান আমার দিকে ঝুঁকি কানে ফিসফিস করে বললো,

-“পরের বার এমন জায়গায় দিবো কাওকে দেখানোর মুখ থাকবে না”

আয়ানের কথার মানে আমার কাছে অনেকটাই খোলা বই এর মতো। এই ব্যাটার ঠোঁট কাটা স্বভাবের জন্য শ্রেষ্ঠ অসভ্য প্রেমিক হিসেবে তাকে নোবেল ছুড়ে মারা উচিত।

আমি মৌনতা কাটিয়ে কিছু বলতে যাবো কেও দরজার কড়া নাড়লো। উনি আমার পাশ থেকে সরে যেতেই আমি টি-শার্ট ঠিক করে কাথা টা খানিক আওড়ে টেনে জরিয়ে নিলাম। এখন নির্ঘাত ৩য় বিশ্বযুদ্ধ হবে। সবার ভাষ্যমতে এক বদ্ধ ঘরে অবিবাহিত ছেলে-মেয়ে থাকা মানেই বিস্ময়কর কিছু। দরজা খুলতেই হুড়মুড়িয়ে দাদিমণি ঘরে ঢুকলো। আর আমার মুখ থেকে বেরিয়ে এলো এক দীর্ঘ নিশ্বাস।

-“নানাভাই তুই আইসোস! আমি জানতাম তুই তোর নানিমার থেকে মেলা দিন দূরে থাকতে পারবি না” খুশিতে গদগদ করতে বললো আমার দাদিমণি।

আয়ান বিরক্তি মাখা মুখ নিয়ে বুক হাত গুজে ঠাই দাঁড়িয়ে আছে।

দাদিমণি ঘরের বিছানার এক কোণে দেখতেই যেনো মুখটা ফাটা বেলুনের মতো চুপসে গেলো। রাতে আমি এসেছি খবর পেলেও হয়তোবা জানতেন না এই রুমে আমি আছি। দাদিমণি আমার দিক থেকে তুচ্ছ দৃষ্টি ফিরিয়ে আয়ানকে মলিন স্বরে বললো,

-“তোরে অনেক ক্লান্ত লাগতাসে ভাই। শুনলাম ভোর হইতেই নাকি আইসোস। যা এসব কাপড়-চোপড় ছার আমি তোর জন্য খাবার আনতাসি”

-“যাকে আমার কপালে গচিয়ে দিয়েছো, তাকে নিয়েই আবার ফিরে যাবো। আর সেটা আজকেই”

আয়ান এক প্রকার চোখ-মুখ শক্ত করে বলেই বেরিয়ে গেলো। দাদিমণি উনার যাওয়ার পানে তাকিয়ে উচ্চ শ্বাস নিলো। আমার দিকে তাকাতেই মুহুর্তের মধ্যে যেনো সব রঙ উড়ে গেলো।

-“ছোটকালে তুই নিজের বাব-মা রে খাইয়া শান্তি হোস নাই না? এখন আমার আদরের নাতিনের মাথা খাস। তোর মতো মুখপুরির জন্য আমার সোনার সংসার ভাঙ্গতে চললো। এতো বছর ধইরা এই সংসার আগলাইয়া রাখসি। দেখ তোরে কইয়া দিলাম। রিয়া দিদিভাই আইলে আমি আয়ানের লগে বিয়া দিমু। যত শিগগির পারোস আয়ান রে ডাইভোরস দে। সুহানারে আইজ দেখবার আইবো। বিয়া পাকা-পক্ত হওয়ার পর তোরেও বিয়া দিমু গ্রামের ফটিক মিয়ার লগে” বলে দাদিমণি চলে যেতে নিয়েও আবার ফিরে আসলো। ঠাস করে আলমারি থেকে একটা কালো তাতের শাড়ি বিছানায় ছুড়ে মারলো।

দাদিমণি দাতে দাত চেপে বললো,

-“এইটা তোর ঢাকা শহর না। এইখানে ব্যাটা লোকের কাপড় পইরা থাকোন যাইবো না” বলে তড়তড় করে চলে গেলো। সাথে সাথে গাল বেয়ে এক ফোটা অশ্রু বিসর্জন গেলো। এতোক্ষণ ধরে রাখতে পারলেও এখন আর পারলাম না। মনে পরে গেলো সেদিনের বিষাক্ত মূহুর্ত।
.
.
.
দুই-তিনেক গ্রাম পাড়ি দিলেই এক দূর-সম্পর্কের আত্নীয়দের বাড়ি। আজ ওনাদের বাড়িতে ছোট খাটো অনুষ্ঠান। পরিবারের মেয়ে সদস্যরা সবচেয়ে বেশি খুশি। পরিবারের নাটগুরু হলো দাদিমণি। তার ভাষ্যমতে বাড়ির বৌ-জী দের বাইরে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে পাড়া বেড়ানো সবাই ভালো চোখে দেখো না। তাই বাড়ির মেয়েদের এক প্রকার ঘুরা-ফেরা প্রায় বন্ধ। সবার পথ চলা বাড়ি থেকে স্কুল-কলেজ এবং স্কুল-কলেজ থেকে বাড়ী পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। তাই বাড়ী বাইরে যাওয়া মানে ইদের মতো আমেজ। আমি, সুপ্পু, রিমি, অরিন, আদ্র ভাই, দাদিমণি, কাকিমণিরা বলতে গেলে পুরো গোষ্ঠী যাবো অনুষ্ঠানে। সাথে সঙ্গী ছিলো আয়ান ভাইয়াও। দীর্ঘকাল বিদেশে পাড়ি জমিয়ে সে একঘেয়েমিতে এখানে ঘুরতে এসেছিলেন।

অনেক মজা করেছিলাম সেদিন। কিন্তু বিপত্তি ঘটিয়ে আমার জীবনে কালো অধ্যায়ের সূচনা হয়। অনুষ্ঠান শেষের দিকে বুঝতে পারলাম আমার জামার জিপার খুলে যাচ্ছে। আমি রিমিকে ফিসফিসিয়ে বললাম আমার অবস্থার কথা। কিন্তু বেচারীর কোলে তখন অরিন ঘুমাচ্ছিলো। আশে পাশে অনেকে থাকলেও সাহায্য করার মতো শূণ্যতা ছিলো। তাই বাধ্য হয়ে অজানা জায়গায় নাজেহাল হয়ে পরি। খুজতে খুজতে একটা ফাঁকা রুমে গিয়ে ঠিক করতে লাগলাম।

আচমকা মনে হলো কেও ঘরে প্রবেশ করছে। পিছনে তাকাতেই বাতি অফ হয়ে যায়। নিমিষেই চারদিক অন্ধকারে ছেয়ে গেলো। আমি বারবার কে এসেছে জিজ্ঞেস করলেও ফলাফল ছিলো শূণ্য।
রুমের দরজা লক করার শব্দ কানে আসতেই প্রাণপাখি যেনো ডানা ঝাপটাতে লাগে। আমি প্রচন্ড ভয়ে কুকড়ে যাই। অনেক অসহায় মনে হচ্ছিলো। ভয়ের চোটে আমার গলা জড়িয়ে আসছিলো। চিৎকার করতে চেয়েও সব গলা পাকিয়ে যাচ্ছিলোম। লোকটা অন্ধকারের আদলে এগিয়ে আসছিলো। পায়ের স্পষ্ট আওয়াজে নিজেকে আগলে রাখার যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয় নি। কোনো বাজে স্পর্শ করতে না পারলেও হাতে খামচি লাগার কারণে চামড়া চিড়ে রক্ত বের হয়। ধস্তাধস্তির কারণে আমার জামার হাতার খানিকটা ছিড়েও যায়। এক পর্যায় লোকটার বাহুতে কামড় দেওয়ার ফলে চিৎকার করে ওঠে। আমার ভাগ্য ছিলো তখন আয়ান ঐ রুমের পাশ কাটিয়ে যাচ্ছিলো। কথা আছে, রাখে আল্লাহ মারে কে!

আয়ান লোকটার চিৎকার শুনে লোকটার বিপদ হয়েছে বলে ধারণা করে। ভেতর থেকে সাড়া-শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ফেলে। বাতি জ্বালাতেই লোক উরুম ধুরুম করে জানালা দিয়ে পালিয়ে গেলো। আমার আয়ান ভাইয়াকে দেখে যেনো আমার দম ফিরে আসে। আয়ান ভাইয়ার বুকে ঝাপিয়ে পড়ি। তখন সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হিসেবে অই জায়গা টাই লেগেছিলো। আমি আয়ান ভাইয়াকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে কান্না করে দেই। হাত পা প্রচন্ড পরিমানে কাপছিলো আমার।

বাতাসের বেগে চারদিকে ব্যতিক্রম ঘটনা রটিয়ে গেলো। যার কেন্দ্রবিন্দু হলো আমি আর আয়ান। অনেকে কানাকানি করতে লাগলো আয়ান ভাইয়া নাকি আমার সর্বনাশ করতে চেয়েছে। আমার ইজ্জত হরণ করার প্র‍য়াস করেছে। অনেকে কানাকানি করতে করতে লাগলো যে আমাদের বাড়ির ছেলে মেয়েদের নাকি সুশিক্ষা নেই। আমার এমন বিব্রতকর পরিস্থিতি ছিলো যে আমি কাওকে বুঝিয়ে উঠতে পারিনি। আয়ানের চোখ-মুখ রক্তিম লাল হয়ে গিয়েছিলো। তার প্রেস্টিজ ধুলোয় মিশে গড়াগড়ি খাচ্ছিলো। আয়ান হুংকার দিয়ে সব মিথ্যা বলে ছিল।

কিছু বিজ্ঞ মানুষ দাদিমণিকে অপদস্ত করার জন্য কটু কথা বলতে লাগলো। আমাদের নাকি গ্রাম ছাড়া করবে। নালিশি উঠিবে পঞ্চায়েত এ। আমাদের বাড়ির অনেক নাম ডাক। যা অনেকের চোখের বালি। তারাও সুযোগ নিতে পিছ পা হয়নি। শেষমেশ ঐ অনুষ্ঠানের কাজি সাহেব বিবাহ দেওয়ার প্রস্তাব রাখলেন। কারণ বিয়েই ছিলো এক মাত্র উপায়, যার মাধ্যমে অনেকটাই পরিবেশ অনুকূলে আনতে সক্ষম।

কেও আমার কিংবা আয়ানের কারোরই সিদ্ধান্ত জানতে চাই নি। দাদিমণি পরিস্থিতির শিকারে মেনে নেয়। কাজী সাহেবের বিয়ে পড়ানো সম্পন্ন হতেই আয়ান বেরিয়ে যায়।

আমি আর দাদিমণিও ফিরে আসি। যেখানে মাথা উচু করে গিয়েছিলাম, সেখান থেকে নতজানু হয়ে বের হতে হয়। সে রাত টা আমি নির্ঘুমে কাটিয়ে ছিলাম ভবিষ্যত ভাবতে ভাবতে। সবাই কি মেনে নিবে আমাদের সম্পর্ক? সেসময় পর থেকে দাদিমণির সাথে আমার সম্পর্ক তিক্ত হতে থাকে।

আমার জীবনের কালো অধ্যায় শুধু মাত্র আমার, আয়ান আর দাদিমণির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। কারণ ঔসব ঘটনার আগেই নাকি আমাদের পরিবারের সবাই ফিরে গেছে। পরের দিন জানতে পারলাম আয়ান ভাইয়া নাকি ঢাকা ব্যাক করেছে। যদিও আমি আগের থেকেই ভার্সিটির সুবাদে চৌধুরী ম্যানশনে থাকতাম। কিন্তু উনি যখন প্রবাস থেকে ফিরে তখন গ্রীষ্মের ছুটিতে গ্রামে। অইদিন বিকাল বেলা দাদিমণি আমাকে ডেকে কিছু কাগজ ধরিয়ে দেয়। এককথায় বিয়ের পরদিন এই ডিভোর্স দেওয়ার এগ্রিমেন্ট পেপার তুলে দেয়। আইনানুসারে আমাদের বিয়ে না হলেও ধর্মীয় ভাবে হয়। কিন্তু বিয়ে তো বিয়েই। দেশের আইনানুসারে বিয়ের ৬ মাসের আগে ডিভোর্স দেওয়া যায় না। অই পেপারে স্পষ্ট উল্লেখ ছিলো যে, আমি ৬ মাস পর আয়ান কে ডিভোর্স দিতে বাধ্য থাকবো। বাস্তবতা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলাম। বিয়ের প্রায় ২ মাস হতে চললো। এর মাশুল আমাকে আজ পর্যন্ত দিতে হচ্ছে।
.
.
.
কারোর উপস্থিতি টের পেতেই স্মৃতিচারণ থেকে বেরিয়ে আসলাম। চোখ-মুখ মুছে স্বাভাবিক হয়ে সামনে তাকাতেই দেখলাম আয়ান দরজায় হেলান দিয়ে আমাকে দেখছে। আমাদের চোখাচোখি হতেই উনি তাচ্ছিল্য হাসি দিলেন।

আমি উনার দিকে চোখ ফিরিয়ে নিলাম। বিছানা থেকে শাড়িটা নিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেলাম।

_________________

তিন জন ছেলেকে বেধারাম পিটানো হচ্ছে। মারতে মারতে অনেকাংশ কেটে গেসে। অনেক ক্ষত জায়গা থেকে রক্তও চুয়ে চুয়ে পরছে। ছেলেগুলো আর্তনাদ এ পুরো ঘুটঘুটে অন্ধকার রুম সাক্ষী। ছেলেগুলা আধমরা হয়ে গেসে। আর কিছুক্ষণ মার-ধর করলে নিসন্দেহে মারা যাবে।

-“এই তোরা থাম। এবার ডাক্তার ডাক। এদের চিকিৎসা করা”

চেয়ারে বসে থাকা লোকটির কথা শুনে সেখানকার গার্ডস রা চমকালো। একজন কৌতূহল প্রকাশ করে বললো,

-“স্যার! আপনার নিদের্শনায় এই ছোকড়া দের এমন নির্দয় ভাবে মারলাম। এখন আবার আপনি বলছেন ডাক্তার ডেকে চিকিৎসা করাতে? তাহলে এতো কেলিয়ে লাভ কি?”

প্রতিত্তোরে চেয়ারে বসা লোকটি কিছু বললো না। শুধু রুম কাপিয়ে হো হো করে হেসে উঠলো।

#চলবে….

[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here