প্রেমময়নেশা 💙পর্ব ৫০+৫১(The story of a psycho lover)

#প্রেমময়নেশা(The Story of a psycho lover)
#পর্ব-৫০(বোনাস) (রহস্যের মায়াজাল)
#Jannatul_ferdosi_rimi
ইশান তাচ্ছিল্যের হাঁসি দিলো। অয়ন এইবার ইশানের কলার চেপে ধরে বলে উঠে–রিমিপরী কোথায় ইশান? ইশান বলে উঠে–যদি না বলি??
অয়ন রক্তচক্ষ নিয়ে তাঁকিয়ে বলে–তুই জানিস রিমিপরীর জন্য আমি সবকিছুই করতে পারি.।তোকে খুন ও করতে আমার হাত কাঁপবেনা।পায়েল
বলে উঠে–অয়ন কি করছো??
ইশান কে ছেড়ে দাও বলছি।

🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿

ইশানঃ সম্পর্কে তোর ভাই হই। সেটাও কি ভুলে গেলি? অয়ন। এখন কি ভাই কেও মেরে ফেলবি?

অয়নঃ তুই নিজের আপন ভাইকে মারতে মারিস।
আমি পারিনা???

ভালোই ভালোই বলে দে ইশান রিমিপরী কোথায়??

ইশানঃ নিজেই খুঁজে নে তোর রিমিপরীকে।
দেখ বেঁচে আছে কিনা।

এই কথা শুনেই অয়ন জোড়ে ঘুসে দেয় ইশানের পেটে।

তারপর পেটে লাত্থি দেয়।

এতে ইশানের মুখ থেকে রক্ত বেড়িয়ে পড়ে।

পায়েল দ্রুত ইশানের কাছে গিয়ে বলে উঠে–
ইশান তুমি ঠিক আছো তো??
অয়ন এইভাবে মারছো কেন???

অয়নঃ এইটা শুধু ট্রেইলার ছিলো।
আমার রিমিপরীকে নিয়ে আরেকটা বাজে কথা বললে জ্যান্ত পুতে দিবো।

এই বলে অয়ন উপরের দিকে চলে যায়।


সানা কখন ধরে রিশকার জন্য অপেক্ষা করছে
কিন্ত পাচ্ছেনা। বাড়ির গাড়ি সে ব্যবহার করতে পছন্দ করেনা।
এম্নিতেই আজকাল অই বাড়িতে তার থাকতেও ইচ্ছেকরেনা।

একমাত্র মিসেস কলির কথা ভেবে সে রয়ে গেছে।

।।।।এদিকে আমার প্রায় জান যায় যায় অবস্হা আর সহ্য হচ্ছেনা।
তখনি কেউ দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেজ্ঞে ফেলে।

তাকে দেখে আমি যেনো আবারও বাঁচার আশা পাই।

এতো আমার অয়ন।

অয়ন একেবারে হতভম্ভ হয়ে গেছে।

তার চোখ থেকে আপনা আপনি জল গড়িয়েই

পড়ছে।

তার রিমিপরীকে এই অবস্হায় সে আশা করেনি

কি অবস্হা হয়েছে।

আর কিছু না ভেবে অয়ন ছুটে গেলো

🍀🍀🍀🍀

রিমির বাঁধন খুলে দিলো।

অয়নঃ রিমিপরী!!

আমি বলে উঠলাম–
আমি জানতাম আপনি আসবেন।

অয়ন আমার কপাল থেকে রক্ত পড়তে দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়ে।

— রিমিপরী তোমার কপাল থেকে তো রক্ত পড়ছে।
বেশি ব্যাথা করছে জান??
কতটা লাগছে??
এই দেখো আমি এসে গিয়েছি।
তোমাকে আর কস্ট সহ্য করতে হবেনা।

( রিমির গালে হাত রেখে)

আমি বলে উঠলাম–
আমি ঠিক আছি।

অয়ন খেয়াল করে দেখে রিমির পা থেকেও রক্ত গড়িয়ে পড়ছে

অয়নঃ একি?? রক্ত কোথা থেকে আসলো??
তোমার তো পায়ে কাঁচ ঢুকে গেছে রিমিপরী!!
(উত্তেজিত হয়ে)

অয়ন চারপাশে চোখবোলালো।

এক্টা ড্রায়ারে এক্টা মেডিসিনের বক্স ছিলো।

অয়ন দ্রুত গিয়ে সেই বক্স টা এনে রিমির কপালে ড্রেসিং করে দিলো মাথায় ব্যান্ডিজ করে দিলো।

(অয়নের চোখ জল রিমির পায়ে গড়িয়ে পড়লো)
(রিমির ব্যাথা তার সহ্য হয়না)
পায়ে খুব সযত্নে কাঁচ তুলে নিলো।

আমি আহ করে উঠলাম।

অয়নঃ রিমিপরী খুব ব্যাথা করছে তাইনা?
(ছলছলে চোখে)

আমি অবাক হয়ে যাই। উনার চোখে জল। এতো শক্ত মানুষের চোখেও জল?? মনে হচ্ছে ব্যাথা টা আমার না উনার লেগেছে

কতটা ভালোবাসলে মানুষ এইরকম করতে পারে।

জানি না আমি।

পরক্ষনেই অয়নের কপালের রগ ফুলে উঠে।
তার নাক রাগে একেবারে লাল হয়ে গেছে।
হাত দুটো মুষ্টিবদ্ব করে নেয় সে।

অয়নঃ অই ইশান তোমার এই অবস্হা করেছে তাই না রিমিপরী।

উনাকে দেখে আমার ভয় করছে। উনাকে ভিষন ভয়ংকর লাগছে।

অয়নঃ ইশান তোকে আমি জেন্ত মাটিতে পুতে মেরে ফেলবো
(চিৎকার করে)

অয়নের চিৎকারে পুরো বাড়ি কেঁপে উঠে।

অয়ন নিজের পিস্তল বের করে নেয়।


আমি বলে উঠলাম–

অয়ন আপনার হাতে??এইসব কি??

(ভয় পেয়ে)

অয়ন আমার কপালে হাত রেখে বলে উঠে–

তোমার প্রত্যেকটা রক্তের দাম দিতে হবে
ওদের রিমিপরী!!
সব শেষ করে দিবো আমি দিবো সব

ছাড়খাড় করে।

।।।।🌿🌿🍂🍂🍂🍂

মিসেস কলি ও রুশান গাড়িতে বসে আছে।

উদ্দেশ্য ডক্টরের কাছে যাওয়া।

মিসেস কলি খেয়াল করে

এইটা হসপিটালের রাস্তা নাহ।

কলিঃ রুশান এইটা তো হসপিটালের রাস্তা নাহ।

রুশান শয়তানি হাঁসি দিয়ে বলে উঠে–

ঠিক ধরেছো এইটা হসপিটালের রাস্তা নাহ

কলিঃ মানে কি এইসব এর???

গাড়িটা একটা ছোট্র বাড়ির কাছে থামে

রুশানঃ নামো??(গম্ভির কন্ঠে)

কলিঃ এইসব কি রুশান??
তুমি আমাকে এখানে এনেছো কেন??

রুশান হিরহির করে টানতে টানতে

কলিকে ঘরটায় নিয়ে যায়।

কলিঃ আমাকে এখানে কেন এনেছো??

(অবাক হয়ে)

রুশানঃ খুব সিম্পাল একটা কাজ।

এই নাও (একটা কাগল এগিয়ে)

এইখানে সাইন করে দাও

কলিঃ কিসের পেপার।

রুশানঃ সম্পত্তির। চৌধুরীদের সবকিছু এখন আমার নামে করে দিবে

কলিঃ কখনো নাহ। আমি কেন দিবো।
আমার স্বামীর সমপত্তি।

রুশানঃ হা হা হা কলি এতো তাড়াতাড়ি ৷ সব ভুলে গেলে।
তুমি আর রাফসান(অয়নের বাবা)
ঠিক কি কি করেছো।

কলিঃ আমি সাইন করবো নাহ।
মরে গেলোও নাহ
রুশান এইবার কলিকে ঠাসস করে চর বসিয়ে দেয়।

রুশানঃ কি বললে?করবিনা এই সম্পত্তির জন্য
আমি এতোবছর চৌধুরী বাড়িতে থেকেছে।
শুধুমাত্র তোমার থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য।
অয়নকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলাম। আর তুমি বলছো সাইন করবেনা???

কলিঃ ছিহ রুশান। এতোদিন আমার আশ্রয় থাকলে আর আমার থালাই ছিদ্র করছো??

তুমি আমার ছেলের মৃত্যুর পিছনে দায়ী।

(কাঁদতে কাঁদতে)

রুশানঃ আর তুমি কি করেছো??

তুমি আর রাফসান মিলে আমার বাবার সম্পত্তি নিজেদের নামে করেছিলে। আমার বোনের থেকে তার ভালোবাসা রাফসান কে কেড়ে নিয়েছিলে।
মনে আছে???? সেই অতীত।

কলিঃ তুমি সমুদ্র আংকেলের ছেলে???
(অবাক হয়ে)

রুশানঃ কেন আশা করোনি বুঝি???

অনেক কিছুর হিসাব বাকি আছে।

রাফসান আমি সেই কবেই মেরে দিয়েছি এইবার তোমার পালা তোমাকে মারবো।
এতে আমার বাবার আত্ত্বা শান্তি পাবে।

কলিঃ রাফসানকেও তুমি মেরেছো???
তার মানে রাফসান এক্সিডেন্ট করে মারা যায়নি
তুমি মেরেছো ওকে (স্তব্ধ হয়ে)

রুশানঃ এইবার তোমাকেও মারবো।

তার আগে তুমি ভালোমতো সাইন করে দাও।

সুমুর ইন্টারভিউ বেশ ভালোই হয়েছে। এইবার চাকরিটা মনে হয় পেয়েই যাবে।
তখনি তার গাড়ি থেমে যায়।

সুমুঃ কি হয়েছে কাকা?

—মনে হয় গাড়িটা নস্ট হয়ে গেছে একটু দেখতে হবে।

সুমুঃ এখুনি নস্ট হতে হলো??
আমার ছেলেটা মনে হয় কাঁদছে।

এই বলে সুমু গাড়ি থেকে নেমে যায়।

কাকা গাড়ি ঠিক করতে থাকে।

সুমু খেয়াল করে দূরে একটা বাড়ি থেকে কারো চিৎকার ভেসে আসছে।

এদিকে৷,,,,,

ফারহানঃ মাহ সুমু এখনো আসিনি??

শিলাঃ নাহ রে এখনো আসেনি

ফারহানঃ এতো দেরি তো হওয়ার কথা নাহ
দাঁড়াও আমি ফোন করে দেখি।

শিলাঃ কাব্যটাকে অনেক কস্টে ঘুম পাড়িয়েছি।

ফারহানঃ ফোনও তো ধরছেনা।

শিলাঃ ওমা কি হলো আবার।

রুশান ঃ তাড়াতাড়ি সাইন করে দাও

(কলির মাথায় বন্ধুক ঠেকিয়ে)

কলিঃ কখনো নাহ

তখনি কিছু পড়ার শব্দ পায়

রুশান।

তাঁকিয়ে দেখে সুমাইয়া (সুমু)।

রুশানঃ তুমি???(অবাক হয়ে)

সুৃমুঃ রুশান আংকেল এইসব এর পিছনে আছে।

আমাকে সবাইকে জানাতেই হবে।
সুমু আর কিছু না ভেবে দৌড়ানো শুরু করে দেয়।

রুশান তার লোকদের বলে –তাড়াতাড়ি ধর ওকে।

নাহলে সব প্লেন শেষ হয়ে যাবে।

রুশানের কথামতো তার লোকেরা সুমাইয়ার পিছনে যায়

কলিঃ আল্লাহ মেয়েটাকে বাঁচাও(মনে মনে)

সুমু দৌড়াচ্ছে তার পিছনে রুশান ও তার লোকেরা।

সুমু ঃ আমাকে আগে ফারহান কে জানাতে হবে

এই বলে সুমু দৌড়াতে দৌড়াতে ফারহান কে কল দেয়।

ফারহানঃ সুমু কোথায় তুমি??

সুমু ঃ ফারহান জানো এইসব এর পিছনে

তখনি গুলির শব্দ আসে।

রুশান গুলি চালিয়েছে।

সারা রাস্তায় তাজা রক্ত ছড়িয়ে পড়লো।
রাস্তায় যেনো রক্তের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।

ফারহানঃ সুমু( চিৎকার করে)

ঘুমের মধ্যে কাব্য জোড়ে শব্দ করে কেঁদে দেয়।


।#প্রেমময়নেশা(The Story of a psycho lover)
#পর্ব-৫১ ( রহস্য সমাধান-১)
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
ইশান পকেটে হাত রেখে বলে উঠে-অয়ন অপেক্ষা করছিস কেন?? মার আমায়। অয়ন পিছনে তাঁকিয়ে দেখে ইশান পকেটে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে। আমি তাড়াতাড়ি অয়নের পিছনে গিয়ে উনার শার্ট খামচে ধরে দাঁড়াই। অয়ন বলে উঠে–
রিমিপরী! তুমি ভয় পেয়ো নাহ। তোমার সাইকো আছে তো এদের আমি দেখে নিবো।
অয়ন রক্তচক্কু নিয়ে তাঁকিয়ে বলে উঠে–
ইশান আজ তুই শেষ!! তোকে আজ মেরেই ফেলবো।

এই বলে অয়ন গিয়ে ইশানের নাক বরাবর ঘুসি দেয়।

ইশান ছিটকে ফ্লোরে পড়ে যায়।
ইশানের নাক থেকেও রক্ত পড়ে যাচ্ছে।

ইশানঃ মার আজ যত খুশি মার।

অয়ন ইশানের কলার ঝাকিয়ে বলে–
আজ আমার রিমিপরীর শরীর থেকে যত রক্তু ঝড়িয়েছিস তার ১০ গুন ফিরত দিবো তোকে।

এই বলে অয়ন ইশানের পেটে ঘুসি দিতে লাগলো।

ইশানকে মেরেই যাচ্ছে অয়ন।

উনাকে অনেক ভয়ংকর লাগছে। আমি এক কোনায় গুটিশুটি হয়ে বসে থাকি।
আমার প্রচন্ড ভয় হচ্ছে।

পায়েল দৌড়ে এসে দেখে অয়ন ইশান কে মারতে মারতে একেবারে রক্তাক্ত করে ফেলেছে।

পায়েল দৌড়ে এসে বলে উঠে–

অয়ন ছাড়ো ইশান কে।
মরে যাবে তো।

অয়নঃ চুপ! তোমার মুখে আমি একটা কথাও শুনত চাইনা( চিৎকার করে)

অয়ন ইশান কে মারতে মারতে বলে উঠে–

এই ইশান কম পাপ করেনি।
ওর জন্য আমার রিমিপরী কস্ট পেয়েছি।
আমি আমার রিমিপরীর থেকে ২ই ২টা বছর দূরে থেকে
কস্টে থেকেছি।

এমনকি নিজের ভাইকে মারতেও ওর হাত কাঁপলো নাহ।
ইশার থেকে তার ভালোবাসা আয়ুশকে কেড়ে নিয়েছে।

অয়ন ইশান কে মেরেই যাচ্ছে কিন্তু ইশান একটুও টু-শব্দ করছেনা।

পায়েল এইবার আমার কাছে এসে আমার হাতদুটো ধরে বলে উঠে—

রিমি অয়নকে একটু বুঝাও নাহ।এইভাবে ইশান মারা যাচ্ছে।

আমি ভয়ে দুইকদম পিছিয়ে যাই।

পায়েল আবারও অয়নের কাছে গিয়ে বলে
উঠে–
ইশান কিচ্ছু করেনি অয়ন। ইশান আয়ুশ কে মারেনি।
ও শুধু নিজের উপর সব দোষ নিচ্ছে।

অয়ন ঃ হুম এইবার তো এইসব এক্সকিউজ বলবেই।
শুনে রাখো তোমাদের কাউকে আমি ছাড়ছিনা।

(রাগে ফুশতে ফুশতে)

ইশান ফ্লোরে পড়ে আছে।

অয়ন এইবার পিস্তল টা বের করে ইশানের মাথায় ঠেকিয়ে বলে উঠে–
ওর মতো রেপিস্ট আর খুনি যে নিজের আপন ভাইকেও মেরে ফেলতে পারে।
তার এই দুনিয়ায় বেঁচে থাকার অধিকার নেই।
ওর জন্য অনেক গুলো জীবন নস্ট হয়ে গেছে।

ইশান কোনোরকম দাঁড়িয়ে অয়নের বন্ধুক
নিজের মাথায় ঠেকিয়ে বলে উঠে–

ওকে অয়ন। মার আমায়। আমার মতো রেপিস্ট আর নিজের ভাইয়ের খুনির সত্যি বেঁচে থাকার অধিকার নেই।

পায়েল চিৎকার করে বলে উঠে–
নাহহহহহহহহ

অয়ন শুট করবে তার আগেই কেউ তার পিস্তল ধরে ফেলে।

অয়ন তাঁকিয়ে দেখে আমান।

অয়নঃ আমান তুই।

আমানঃ ইশানের কোনো দোষ নেই
অয়ন।

আমি বলে উঠলাম–

আমান স্যার আপনি??

আমানঃ অবাক হচ্ছো??
অয়ন আমাকে কালকেই তার আসল পরিচয় বলে দিয়েছিলে।

তোমাকে যখন পাওয়া যাচ্ছিলো নাহ আমিই অয়নকে খবর দেই।

তারপর অয়ন সব ইনফরমেশন কালেক্ট করে জানতে পারে তুমি এখানে ইশান আর পায়েল এর কবলে।
তখন আমাকেও এখানে আসতে বলে।

তখনি টকোপি আমার কাছে ছুটে আসে।

টকোপিকে দেখে বোধহয় আমার অনেকটাই শান্তি লাগছে।

আমি তাড়াতাড়ি টকোপিকে কোলে নিয়ে আদর করতে থাকি।

অয়ন বলে উঠে–
তুই এইসব কি বলছিস??আমান
ইশানের কোনো দোষ নেই মানে?

আমানঃ ইশান কোনো রেপিস্ট হয় আর সে আয়ুশকেও খুন করেনি।

শুধু ও আয়ুশের খুনের দোষ নিজের ঘাড়ে নিচ্ছে।

আমরা সবাই অবাক।

অয়নঃ
মানে??

আমানঃ মনে আছে সেদিন হসপিটালে
সায়ারীর কথা??

অয়ন ঃ মনে থাকবেনা আবার( দাঁতে দাঁত চেপে)

।।।।।।
অতীত,,,
আমান, ইশান ও অয়ন।
লন্ডনে একটি হসপিটালে পড়াশোনা করতো।

ইশান ছিলো অয়ন এর খালাতো ভাই।

মিসেস কলির বড় বোনের ছেলে।

ইশান রা দুই ভাই আয়ুশ ও ইশান।

কাকতালিয়ভাবে আয়ুশ ও অয়নের চেহারা প্রায় অনেক এক।

তাই দুজনকে অনেক সময় অনেকেই গুলিয়ে ফেলতো।

মিসেস কলির সাথে খান বাড়ির কোনো একটা কারনে সম্পর্ক বিছিন্ন হয়ে গিয়েছিলো।।

অয়ন লন্ডনে এসে খান বাড়িতে না গেলেও
আয়ুশ ও ইশানের সাথে ঠিকই যোগাযোগ রাখতো।

তার মধ্যে ইশান আবার অয়নের ক্লাসমেট।

ইশান আবার বেশি বেশি জিএফ বানাতো।
মেয়েদের সাথে ফ্লাট করা তার একটা স্বভাব।

তখন আয়ুশ স্কটলেন্ডের একটি
ভার্সিটিতে পড়তো। ইশার সাথে রিলেশনে ছিলো। ইশাও সেই ভার্সিটিতে পড়তো।

সবাই বেশ ভালোই ছিলো।

কিন্তু একদিন সায়রী(ইশার জিএফ)

সায়রীকে নাকি পাওয়া যাচ্ছিলোনাহ।

যেদিন পাওয়া যায় সেদিন খবর পাওয়া যায়।
সায়রীকে নাকি কেউ রেপ করেছিলো।

সায়রী নাকি পুলিশের কাছে বলেছে —
ইশান নাকি একটি হোটেলে তাকে একা ডেকে রেপ করেছি।

সবাই একেবারে স্তব্ধ হয়ে যায়।

কিন্তু এইসব এর কিছুই ইশান জানেনা।

সেদিন সায়ারী কাঁদতে কাঁদতে হসপিটালের সবার কাছে বিচার চেয়েছিলো।

সেদিন অয়ন সায়ারীর পাশে দাঁড়ায়। সায়ারীকে ন্যায় দেওয়ার জন্যে সে সবকিছুই করে।

ইশানের লাইসেন্স ক্যান্সাল হয়ে যায়।

ইশান অনেকবার অয়নকে বুঝিয়েছিলো সে এইসব করেনি।

কিন্তু সেদিন অয়ন তার কথা বিশ্বাস করেনি।

আমানেরও সেদিন কিছু করার ছিলো নাহ।

পুলিশ ইশানকে নিয়ে যায়। নিদ্র খান নিজের পাওয়ার দিয়ে ইশানকে ছাড়িয়ে নেয়।

ইশানের বড্ড রাগ হয়েছিলো অয়ন কীভাবে তাকে অবিশ্বাস করতে পারলো।

তাই অয়নের থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য
পায়েলকে অয়নের জীবনে আনে।

এমনকি অয়ন নতুন করে রিমির সাথে শুরু করলো সেখানেও পায়েলকে আবার তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে দাঁড় করায়।

বর্তমান,,

আমানঃ সায়ারী মিথ্যে বলেছে অয়ন!

অয়নঃ ওয়াট??বাট অই মেডিকাল রিপোর্ট?

আমানঃ সব ফলস।

পায়েলঃ ইশান সেদিন আমার সাথে ছিলো। সায়ারীর
সাথে ইশানের সেদিন দেখাই হয়নি।
সায়ারী তো ওর টাইম্পাস এর জিএফ ছিলো।

অয়ন ঃ কিন্তু তাহলে সায়ারী সেদিন মিথ্যে কেন বলেছিলো??

আমানঃ ইশান কে ফাঁসানোর জন্য!

আমি বলে উঠলাম–

কিন্তু সে কে??

আমানঃ ইশান তুই বলবি নাকি আমি??

ইশান মুখ ঘুড়িয়ে বলে উঠে–

মিসেস মল্লিকাঃ

অয়নঃ কিহ!!

পায়েলঃ সেদিন বাংলাদেশে আয়ুশ ভাইয়ার মৃত্য তোমার এক্সিডেন্ট সব
মল্লিকা আন্টি আর রুশান আংকেল করিয়েছে।

আমরা তো শুধু তাদের দোষ নিজেদের ঘাড়ে নিয়েছি।

রিমিকেও মল্লিকা আন্টির কথায় আমরা কিডন্যাপ করিয়েছিলাম

আমি বলে উঠলাম–

কিন্তু কেন??

ইশানঃ বাধ্য হয়ে।

আমানঃ কিন্তু কেন???

পায়েলঃ অনেক কারন আছে।

অয়নঃ রুশান আংকেল এইসব এর পিছনে।
(অবাক হয়ে)

আমান ঃ হ্যা অয়ন।

সবকিছু এই দুই ভাই বোন এর কাজ।

পায়েলঃ রুশান আংকেল আর মল্লিকা আংটি।
জঘন্য দুইজন।

আমি বলে উঠলাম–

রুশান আংকেল এমন একটা কাজ করতে পারে
আমি ভাবতেও পারছিনা

অয়নঃ আমাদের সাথে থেকে আমাদেরই ক্ষতি করেছে রুশান আংকেল।
(রেগে)

এদিকে,,,,

সারা রাস্তায় যেনো রক্তের বন্যা বইছে।

সুমু রাস্তার এক কিনারে পড়ে গেছে।

সুমু নিজেকে সাম্লে তাড়াতাড়ি সানার কাছে গেলো।

সানা রক্তাক্ত অবস্হায় রাস্তায় পড়ে আছে।

গুলিটা সানা লেগেছে।

( আসলে সুমু যখন দৌড়াচ্ছিলো। সেই রাস্তা দিয়ে সানাও যাচ্ছিলো। সুমুকে এইভাবে দৌড়াতে দেখে সে অবাক হয়ে যায়। সব থেকেই বেশি অবাক হয়ে যাই যখন দেখে তার বাবা সুমুকে গুলি করতে যাচ্ছে।
সে তাড়াতাড়ি সুমুকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার সাইডে ফেলে দেয় আর নিজে মাঝখানে চলে আসে)

গুলিটা সানার বুক বরাবর লাগে।

সুমুঃ এইটা কি করলে সানা(কাঁদতে কাঁদতে)

রুশান গাড়ি থেকে থেমে একেবারে স্তব্ধ হয়ে যায়। এ সে কি করেছে নিজের হাত নিজের মেয়েকে গুলি করেছে সে।

হাত-পা কাঁপছে রুশানের।

সানার প্রচন্ড কস্ট হচ্ছে তাও কোনোরকম কাঁপাকাঁপা কন্ঠে বলে উঠে–

আমি যদি মাঝখানে না চলে আসতাম।
বাবা তো তোমাকে গুলি করে দিতো সুমাইয়া।

তোমার কিছু হলে ফারহান ভাইয়ার এর কি হবে??

ফারহান ভাইয়া তো তোমাকে প্রচন্ড ভালোবাসে।

ফারহান ভাইয়া তো একেবারে মরেই যেতো। তোমার কিছু হলে।
আমি তা কি করে দেখতে পারতাম।
??বলো।

তাছাড়া তোমাদের একটা ছোট্ট পুচকে আছে।
তোমার কিছু হলে যে পুচকো টাও মা হারা হতো।

সুমাইয়া শব্দ করে কেঁদে দেয়।

সুমাইয়া ঃ তোমার কিচ্ছু হবেনা

সানার রক্তে সুমাইয়া জামাও ভিজে যাচ্ছে।

সানাঃ নাহ গো এইবার যে আমার সময় এসে গেছে।

সানার প্রচন্ড পরিমানে ব্লাড যাচ্ছে।

রুশান নিজের মেয়ের অবস্হা দেখতে পারছেনা।
তার আদরের একমাত্র মেয়েকে সে নিজের হাতে গুলি করেছে।

সানাঃ তুমি আর ফারহান ভাইয়া সুখে থেকো।

সানার প্রচন্ড শ্বাসকস্টও হচ্ছে।











#দ্বিতীয়_অধ্যায়

চলবে কি?

(আজকের পর্বে অনেকটাই প্যাচ খুলেছি সামনে আরো খুলে দিবো ডোন্ট ওয়ারি)
(কেমন হয়েছে জানাবেন কিন্তু 💙)



।#দ্বিতীয়_অধ্যায়
চলবে কি??
(আজকেও অন্তত কেউ ছোট বলবেন না বড় করেই দিছি)
(আপনাদের অনুরোধে আজকে বোনাস পার্ট দিলাম। আমার হাত একেবারে শেষ 😭😭😭
এম্নিতেই এতো পড়া)
(আজকের পর্ব কেমন হয়েছে জানাবেন কিন্তু ❤️)
(আজকে আমাদের এই গল্প ৫০ এপ্রিসোড পুরন করে ফেলল 💙)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here