বর্ষণের সেই রাতে পর্ব ১৪

#বর্ষণের সেই রাতে ❤
লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
#পর্ব- ১৪
.
সারারাত বৃষ্টির পর সকালের নতুন সূর্যের সিদ্ধ,নরম,সোনালী আলোয় চারপাশ উজ্জ্বল হয়ে আছে। বৃষ্টিতে ভেজা সবুজ গাছপালা, ঘাস এর ওপর নতুন সেই রোদের আলো পরায় সবুজ প্রকৃতির সবুজভাব আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যালকনিতে বসে কফির মগে চুমুক দিয়ে বর্ষার এই মুগ্ধকর সকালটাকে উপভোগ করছে অনিমা তবে বেশিক্ষণ এই পকৃতি বিলাশ করার সময় নেই তার অফিস যেতে হবে। কফিটা শেষ করে রেডি হয়ে নেয় অনিমা। তারপর আয়নায় তাকাতেই আদ্রিয়ানের ওকে সাজিয়ে দেবার দৃশ্যটা চোখে ভেসে ওঠে, নিজের অজান্তেই ঠোটে হাসি ফুটে ওঠে ওর। কাজল হাতে নিয়ে চোখে হালকা করে লাগিয়ে নেয়। তারপর বেড়িয়ে পরে অফিসের উদ্দেশ্য।
____________

তীব্র অফিসে ঢুকে কম্পিউটার অন করতে না করতেই অরুমিতা এসে বসল। অফিস টাইম শুরু হতে এখোনো পনেরো মিনিট বাকি আছে। তীব্র অরুমিতার দিকে তাকিয়ে বলল
—- ” তুই অনিকে কিছুদিন যাবত লক্ষ করছিস?”
অরুমিতা কম্পিউটার থেকে চোখ সরিয়ে বলল
—- “হ্যা রে। ইদানিং কেমন বদলে যাচ্ছে। আগের মতো মনমরা হয়ে থাকেনা, মনের দিক থেকে খুশি লাগছে ওকে। আর এই খুশির কারণ কিন্তু এ.ডি।”
তীব্র মুচকি হেসে বলল
—- “হুম ওর লাইফে ম্যাজিশিয়ান মতো এসেছেন উনি, এসেই ম্যাজিক করে দিয়েছে। এখন শুধু এটাই চাওয়া উনি যাতে ওর এলোমেলো জীবনটাকে সুন্দরভাবে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারে।”
অরুমিতা মুখে চিন্তার ছাপ এনে বলল
—- ” কিন্তু উনি এতো বড় একজন সেলিব্রিটি হয়ে হঠাৎ অনির পেছনে কেনো পরলো বলতো? আমরা যেটা ভাবছি সেটা যদি না হয়, যদি অনি এডির সাময়িক একটা মোহ হয় তো? মেয়েটা তো আবার কষ্ট পাবে। এমনিতেই জীবণে কম কষ্ট সহ্য করেনি ওও। যে বয়সে প্রতিটা মেয়ে মুক্ত পাখির মতো উড়ে জীবণটাকে উপভোগ করে সেই জায়গায় ওকে চার দেয়ালে বন্দি হয়ে এক জানোয়ারের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে ওকে। আর ওর মামা মামী তো আছেই, তারওপর ওর মামাতো ভাই তো ওকে…”
কথাটা শেষ করতে পারলোনা অরুমিতা, এসব ভাবলেও ওর হাড় হিম হয়ে আসে, ঐ মেয়েটা এসব কীভাবে সহ্য করে কে জানে? তীব্রও একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল
—- “সেটা ঠিক কিন্তু আমার এডি কে দেখে মনে হয়নি উনি অনির মোহে পরেছে। ওনার চোখে অন্যরকম অনুভূতি দেখেছি আমি।”
—- ” সেটাই যেনো হয়। তবে…”
এরমধ্যেই অনিমা চলে এলো, অনিমাকে আসতে দেখে থেমে গেলো ওরা। অনিমা এসে বসতেই অরু অনির মুখের দিকে তাকিয়ে থমকে গেলো। আনিমা অরুর দিকে তাকিয়ে ওর দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ভ্রু কুচকে বলল
—- ” কী হলো? এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো?”
অনিমার এই কথা শুনে তীব্রও অরুর দিকে তাকালো অরুকে ওভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে, অরুর দৃষ্টি অনুসরণ করে অনিমার মুখের দিকে তাকিয়ে তীব্রও থমকে গেলো। অনিমা ওদের দুজনের এই চাহনিতে বিরক্ত হয়ে বলল
—- “হোয়াট?”
অরু হা করে তাকিয়ে থেকেই বলল
—- “তুই চোখে কাজল দিয়েছিস?”
অনিমা এবার বুঝলো কেনো ওরা এভাবে তাকিয়ে আছে। ওদের রিয়াকশন দেখে এবার খুব হাসি পাচ্ছে অনিমার তবুও হাসিটা চেপে রেখে মুখে বিরক্তি নিয়ে বলল
—- ” হ্যা তো?”
তীব্র নিজেকে সামলে নিয়ে বলল
—- ” না মানে তোকেতো কখনো সাজতে দেখিনি?”
অনিমা ঠোঁট চেপে নিজের হাসিটাকে আটকে বলল
—- ” দেখিসনি এখন দেখে নে? এই সামান্য কারণে এভাবে তাকিয়ে থাকতে হবে? আমি তো মনে করেছি আমার পেছনে ডানা গজিয়েছে আর তাই তোরা হা করে তাকিয়ে আছিস। হুহ”
অরুমিতা আর তীব্র হা করে তাকিয়ে আছে। এই তিন বছরের অনিমাকে এভাবে কথা বলতে দেখেনি ওরা। অনিমা এবারেও ওদের অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলল
—- ” আবার কী হলো?”
অরুমিতা আর তীব্র পুরো শকে আছে। কিছুক্ষণ পর অরুমিতা উঠে গিয়ে অনিকে জরিয়ে ধরল, তীব্র পেছন থেকে দুজনকেই হাগ করলো। ওদের দুজেরই চোখের কোণেই পানি আছে, ওরাতো এভাবেই দেখতে চেয়েছিলো অনিমাকে। অনিমার নিজেরও চোখের কোণেও পানি চলে এসছে, কে বলেছে ওর কেউ নেই? এমন দুজন বন্ধু থাকতেও কেউ একা হতে পারে?
___________

আদ্রিয়ান ভেতরে গানের রেকর্ডিং করছে। আদিব আর আশিস বাইরে বসে কাচের গ্লাস এর ভেতর দিয়ে আদ্রিয়ানকে দেখছে আর ওর গান শুনছে। গান কম্প্লিট করে আদ্রিয়ান ডিরেক্টরের দিকে তাকিয়ে থামবস আপ দেখালো, সকলেই তালি দিলো ডিরেক্টর হেসে হেডফোন নামিয়ে আদ্রিয়ানকে বেরিয়ে আসতে ইশারা করল, আদ্রিয়ান বাইরে বেড়িয়ে আসতেই ডিরেক্টর আলতো করে হাগ করে বলল
—- “ফ্যানটাস্টিক ইয়ার।”
আদ্রিয়ান মুচকি হেসে বলল
—- “থ্যাংক ইউ।”
এরপর আদ্রিয়ানকে ছেড়ে বলল
—- ” লাঞ্চের ব্যবস্থা করেছি, খেয়ে যাবে কিন্তু।”
—- ” আরেহ বাট এসবের কী দরকার ছিলো?”
—- ” ছিলো ছিলো সবাই মিলে একসাথে লাঞ্চ করব সমস্যা কী?”
আদ্রিয়ান হেসে বলল
—- ” আচ্ছা।”
এরপর সবাই মিলে আদ্রিয়ানকে কনগ্রাচুলেট করল। আদ্রিয়ান গিয়ে আদিব আর আশিসের সামনে গিয়ে বসল। আদিব হেসে বলল
—- ” বাহ ভাই কী গাইলি? সিরিয়াসলি তোর গান শুনলে অন্য কোথায় হারিয়ে যাই।”
আশিস ও সায় দিয়ে বলল
—- ” হ্যা জাদু আছে তোর গলায়।”
আদ্রিয়ান ওদের দিকে তাকিয়ে বলল
—- ” হয়েছে, থাম এবার। ”
অাশিস বিরক্ত হয়ে বলল
—- “তুই এমন কেনো বলতো? লোকে প্রশংসা শুনতে ভালোবাসে আর তুই প্রশংসা শুনতেই চাসনা।”
—- ” আমি এমনি।”
অাদিব ভাইয়া ঠেস মেরে বলল
—- ” হুমম কিন্তু অনিমা প্রশংসা করলেতো ঠিকি ভালো লাগতো।”
আদ্রিয়ান ভ্রু কুচকে তাকালো। অাশিসও পিঞ্চ করে বলল
—- “হ্যা হ্যা সেই তো, অনিমার সামনে তুই তো পুরো একশো আশি ডিগ্রি এঙ্গেলে চেঞ্জ হয়ে যাস। জঙ্গলের শের শান্ত হয়ে যায়।”
আদ্রিয়ান মুচকি হেসে বলল
—- “সিংহ হিংস্র হয় শুধু শিকার ধরার সময়, এসব ছাড় তুই তোর কথা বল অরুমিতাকে ফোন করে বিরক্ত কেনো করিস?”
এটা শুনে আদিব চমকে তাকালো আশিসের দিকে। আশিস হকচকিয়ে গিয়ে বলল
—- ” ত্ তুই এসব জানলি কিকরে?”
আদিবও অবাক হয়ে বলল
—- “হ্যা আমি বুঝতে পারলাম না তুই বুঝলি কীকরে বলতো?”
আদ্রিয়ান বাকা হেসে বলল
—- ” এইটুকু ইনফরমেশন জোগাড় করার জন্যে আদ্রিয়ান আবরার জুহায়ের বা হাতও লাগেনা চোখের ইশারাই যথেষ্ট।”
আদিব আর আশিস হতাশাজনক একটা চাহনী দিলো নিজেদের ভূলের জন্যে, কাকে কী জিজ্ঞেস করছে? ওরা ভূলেই গেছিলো দিস ইজ আদ্রিয়ান আবরার জুহায়ের। কী মনে করে আশিস বলল
—- “ভালো কথা মনে করেছিস। এখনি ফোন দিচ্ছি।”
বলেই একটা চোখ টিপ মারলো। আদিব ভাইয়া ওর পিঠে চাপড় দিয়ে বলল
—- ” শালা মানুষ হলিনা তুই।”
আদ্রিয়ান এবার একটু সিরিয়াসুখ করে বলল
—- ” দেখ অরুমিতা মেয়েটা কিন্তু ভালো তোর ওই গার্লফ্রেন্ডদের মতো একদমি না, তাই যা করবি ভেবে করিস।”
আশিস মুচকি হেসে বলল
—- ” আরেহ ভাই ডোন্ট ওয়ারি। আমার বাকিসব গার্লফ্রেন্ডস আর ওও আমার কাছে আলাদা।”
—- ” হুম শুধু আলাদা ভাবলেই হবেনা। আলাদা ভাবে মূল্যও দিতে জানতে হবে।”
—- ” হুমম।”
বলে ওদের সামনেই অরুকে ফোন লাগালো।
হঠাৎই অরুমিতার ফোন বেজে উঠলো, অরুমিতা ফোনটা হাতে তুলেই ভ্রু কুচকে ফেলল, বিরক্ত হয়ে বলল
—- “উফফফ কোন ফাসিসের চক্করে ফাসলাম।”
এটা শুনে অনিমা আর তীব্র অবাক হয়ে একসাথে বলল
—- ” হু ইজ ফাসিস?”
অরুমিতা থতমত খেয়ে বললো
—– “অব্ ওই অাশিস আরকি।”
এটা শুনে অনিমা আর তিব্র একে ওপরের দিকে বোকার মতো কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকেই শব্দ করে হেসে দিলো। অরুমিতা বিরক্ত হয়ে বলল
—- “হাসিস না তো, জালিয়ে খেলো আমাকে।”
তীব্র হাসি থামিয়ে বলল
—- ” তোকে এখনো ফোন করে?”
অরুমিতা ভ্রু কুচকে মুখ ফুলিয়ে বসে আছে। অনিমা হাসতে হাসতেই বলল
—- ” ধর ফোনটা।”
অরুমিতা অসহায় চোখে একবার ওদের দুজনের দিকে তাকিয়ে মুখে একরাশ বিরক্তি নিয়ে ফোনটা রিসিভ করে অফিসের ব্যালকনিতে চলে গেলো। অনিমা মুচকি হেসে তীব্রর দিকে তাকিয়ে বলল
—- “কী বুঝলি? ”
তীব্র আঙ্গুল কপালে স্লাইড করে বলল
—- ” এটাই যে তোর আর এডির মধ্যে কিছু হবার আগে এদের মধ্যে কিছু একটা হয়ে যাবে।”
অনিমা চোখ ছোট ছোট করে তীব্রর দিকে তাকিয়ে বলল
—- ” আচ্ছা?”
তীব্র মিটমিটিয়ে হাসতে হাসতে বলল
—- ” হ্যা ঠিকি বললাম।”
অনিমা উঠে দাড়িয়ে স্লিভ হালকা গুটিয়ে বলল
—- ” বলাচ্ছি তোকে ঠিক।”
বলেই তীব্রকে মারতে শুরু করলো। আর তীব্র বেচাড়া নিজের ব্যাগ দিয়ে ডিফেন করার চেষ্টায় আছে।
______

রিক শাওয়ার নিয়ে চুল মুছতে মুছতে বেড়িয়ে এসে দেখে কবির শেখ বসে আছে। ও তাওয়াল টা রেখে খাটে বসে বলল
—- “হঠাৎ এইসময় কিছু বলবে?”
—- ” খোজ পেয়েছো মেয়েটার কোনো?”
রিক খাটে হেলান দিয়ে বলল
—- ” সবেতো লোক লাগিয়েছি, কয়েকটা দিন লাগবে তো”
—- ” হুমম। তো পেয়ে গেলে কী করবে ওর সাথে?”
—- ” আগেতো পাই।”
কবির শেখ হেসে বললেন
—- ” পাবেতো অবশ্যই পালিয়ে যাবে কোথায়?”
—- “এক্সাক্টলি। আমিও দেখতে চাই কতোদিন পালাতে পারে আমার হাত থেকে। আর এবার আমার হাতে পরলে ওর কপালে ভীষণ দুঃখ আছে।”
—- ” তো লাঞ্চ করবেনা?”
—- ” যাও আসছি।”
বলে রিক টিশার্ট পরতে পরতে ব্যালকনিতে চলে গেলো। সেদিকে তাকিয়ে বাকা হেসে কবির শেখ ভাবলেন, ছেলেটা ঠিক সেরোকমি তৈরী হয়েছে যেমন সে বানাতে চেয়েছিল। রিকই তো ওনার তুরুপের তাস। আর রিকের একমাত্র দুর্বলতা হচ্ছে ঐ মেয়ে আর সেইজন্যে ঐ মেয়েকে খুজে পাওয়াটা ওনারও খুব দরকার।
___________

অনিমার আজ কাজের প্রেশারটা একটু বেশিই ছিলো। ক্লান্ত হয়ে বেডে শুতে যাবে তখনি ফোন এলো। ভ্রু কুচকে নাম্বারটা দিকে তাকিয়ে ক্লান্ত ওর মুখেও হাসি ফুটে উঠলো। মুচকি হেসে ফোনটা রিসিভ করে বলল
—- “হ্যালো।”
অনিমার ক্লান্ত কন্ঠ যেনো আদ্রিয়ানকে আরেকবার ঘায়েল করল। কারো ক্লান্ত কন্ঠও এতোটা সুন্দর হতে পারে জানা ছিলোনা ওর। তবুও নিজেকে সামলে মুচকি হেসে বলল
—- ” কী ব্যাপার ম্যাডাম খুব টায়ার্ড মনে হচ্ছে?”
—- ” হুমম আজ একটু প্রেশার ছিলো।”
—- ” আচ্ছা তাহলে রেস্ট করো।”
—- ” না না আপনার কিছু বলার থাকলে বলুন।”
—- ” নাহ তেমন কিছু না। ডিনার করেছো?”
—- ” হুম”
—- ” কী খেলে? ”
অনিমা পরলো মহা ফেসাদে। এখন কীকরে আদ্রিয়ানকে বলবে ওও কী খেয়েছে। অনিমার উত্তর না পেয়ে আদ্রিয়ান বলল
—- ” কী হলো বলো?”
—- ” অব্ কফি আর বিস্কিট।”
আদ্রিয়ান অবাক তো হলোই সাথে রেগেও গেলো। রাগী গলায় বলল
—- “সারারাত শুধু এগুলো খেয়ে থাকবে?”
অনিমা ইতোস্তত করে বলল
—- ” ইয়ে আসলে রাতে রান্না করার মুড থাকেনা।”
—- ” ইউ আর রিয়েলি ইমপসিবল। ”
অনিমা কিছু বললোনা আদ্রিয়ান একটু থেমে বলল
— “আচ্ছা দেখছি কী করা যায়।”
অনিমা অবাক হয়ে বলল
— ” কী করবেন?”
—- ” সেটা তুমি না জানলেও হবে। আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞেস করবো?
অনিমা একটু অবাক হয়ে বলল
—- ” হুম করুন?”
—- ” আঙ্কেল মানে তোমার বাবার নাম কী ছিলো?”
হঠাৎ এইরকম প্রশ্ন শুনে অনিমা বেশ অবাক হলো তবুও বলল
—- ” চিফ রিপোর্টার হাসান কোতয়াল।”
—- ” ওহ তোমার বাবাও রিপোর্টার ছিলেন, ওনাকে তো প্রায় অনেকেই চেনে, কিন্তু উনি মারা গেলো কীকরে?
অনিমা নিচু কন্ঠে বলল
—- ” খুন হয়েছে আমার আব্বু।”
—- ” হোয়াট? কিন্তু পাবলিক ইনফরমেশন তো বলছে উনি সুইসাইড করেছেন?”
অনিমা একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল
—- ” সব শোনা কথা সত্যি হয়না।”
—- ” হুমম। কিন্তু তুমি বলেছিলে তুমি তোমার মামার বাড়িতে থাকতে, তাহলে চলে এলে কেনো ওখান থেকে? কী এমন হয়েছিলো?”
কিন্তু অনিমার কোনো উত্তর না পেয়ে আদ্রিয়ান বলল
—- ” অনি? অনি? ”
কিন্তু ডেকেও অনিমার কোনো সারা না পেয়ে বুঝলো ও ঘুমিয়ে গেছে। অনিমার এই বাচ্চামোতে হেসে দিলো আদ্রিয়ান, তারপর মনে মনে বলল
—- ” জানিনা কী এমন হয়েছিলো তোমার সাথে যে নিজের মামার বাড়ির চেয়েও ফুটপাত তোমার কাছে বেশি নিরাপদ মনে হয়েছিলো। আমি যদি আগেই তোমাকে পেয়ে যেতাম হয়তো তোমার সাথে এসব হতো না, তবে যাই হয়ে থাক, এখন যখন তোমাকে খুজে পেয়েছি আমি আমার দেয়া কথা রাখবো। নিজের সবটুকু দিয়ে তোমায় আগলে রাখবো।
একটু বলে ছলছল চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল
—- ” আই প্রমিস।”
.
#চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here