বর্ষা বিকেলের ঢেউ,পর্ব:১

“আম্মু শ্যমবর্ণের মেয়ে বৌ হিসাবে মেনে নিবে না।আমি অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু আম্মু কিছুতেই মেনে নিচ্ছে না।আম্মুকে কোনো ভাবেই রাজি করাতে পারিনি আমি।আম্মুর মনে কিভাবে কষ্ট দিয়ে তোমাকে নিয়ে পালাবো বলো।আমি পরিবারের বিরুদ্ধে যেতে পারবো না।আমি আম্মুর পছন্দের মেয়েকেই বিয়ে করবো।আমাকে ভুলে যাও প্লিজ।সব ভালবাসার হ্যাপি এন্ডিং হয় না।বাস্তবতা আর আবেগ এক নয় মৌ।ভুলে যেও আমাকে।হৃদয়ের এক কোণে তুমি নামক অস্তিত্ব থেকেই যাবে।যখন আমাকে মিস করবে আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকো আর ভেবে নিও পাশাপাশি না থাকলেও এক আকাশের নিচেই তো আছি।তোমার আমার ভালোবাসাটা আসলে রেললাইনের দুটো পাতের মত, দুজন পাশাপাশি চলে কিন্তু, কখনও মিলতে পারে না।ভালবাসা মানেই বিয়ে নয়।দূর থেকেও ভালবাসা যায়।তুমি তোমার পরিবারের পছন্দে বিয়ে করে নিও।ভালবাসা মানে দুটি মনের মিলনের পাশাপাশি দুটি পরিবারের মিলন ও বটে।ক্ষমা করে দিও আমাকে প্লিজ।।আর নতুন জীবনে ভাল থেকো

ইতি আহিন””

চিঠিটা পড়ে হাত পাঁ কাঁপাকাঁপি শুরু হলো মৌ এর।সন্ধ্যায় তাকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে।আজ তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাবার কথা।অথচ আজ তার চার বছরের ভালবাসার মানুষ টা মাঝ রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে চলে গেলো।বাসা থেকে ব্যাগপত্র সব গুছিয়ে নিয়েই এসেছে।এখন কি করবে সে।এতক্ষণে হয়তো বাসা থেকে খোজাখুজি ও শুরু হয়ে গিয়েছে।কিভাবে বা বাসায় ফিরে যাবে।

আহিনের দেওয়া চিঠিটা পড়ে মাটিতে বসে হাউ মাউ কাঁন্নায় ভেঙে পড়লো মৌ।আহিনের এমন টা করার কথা নয়।আহিন যে মৌ কে প্রাণের থেকেও বেশী ভালবাসে।আহিনের ফোনে বার বার ফোন দেওয়ার পরেও ফোন টা কন্টিনিউস অফ বলছে।

তাহলে কি এখন বাধ্য হয়ে বাড়ির পছন্দের ছেলেকেই বিয়ে করতে হবে তাকে।যাকে চিনে না জানে না অন্য একজনের ভালবাসা বুকে নিয়ে কিভাবে তার সাথে বাকি জীবন টা কাটাবে।আহিন ছাড়া মৌ এর জীবনে কাউকে মেনে নেওয়া পসিবল নয় কিন্তু আহিন চার চার টা বছর পরে এমন অদ্ভুত চিঠি দিয়ে কোথায় হারিয়ে গেলো।

এমন সময় ঘাড়ে কারো হাতের স্পর্শ লাগতেই শিউরে ওঠে মৌ।মৌ পেছনে তাকিয়ে দেখে সানজি দাঁড়িয়ে আছে।সানজি কে দেখেই চমকে ওঠে মৌ।

সানজি জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে বলে,

ব্যাগপত্র গুছিয়ে যার জন্য পালিয়ে যাবি বলে এসছিস কোথায় তোর সে তিনি।

সানজি কে জড়িয়ে ধরে খুব জোরে কাঁন্না করে দিলো মৌ।

‘আপু! সানজি আপু আহিন আসে নি।ও আমাকে ঠকিয়েছে।কিন্তু আহিন ও কেনো এমন করলো।’

‘ধূর পাগলি আজকাল কার ছেলেরা এমন ই।এসব ভালবাসা টাসা বলে কিচ্ছু নেই।এসব নিয়ে মন খারাপ করতে নেই।চল বাড়ি চল।বাড়ির পছন্দে বিয়ে করবি দেখবি অনেক ভাল থাকবি।এসব লাফাঙ্গা ছেলেদের পাল্লায় পড়ে আবেগে ভাষার কারন নেই কোনো’

‘না আপু আহিন আর আমার ভালবাসা মিথ্যা হতে পারে না।’

‘কপালে গোটা কয়েক ভাজ ফেলে সানজি বলে তাহলে কি লাইলি মজনু।কোথায় তোর সে রোমিও।যার জন্য কাঁন্না করছিস।এগুলা বাদ দে।আমি অনেক কষ্টে বাসা ম্যানেজ করেছি আমি বলেছি তুই ইমারজেন্সি নোট নিতে এসছিস।খুব বেশী লেট হলে কেলেঙ্গকারী হয়ে যাবে।পাত্র পক্ষ রাস্তায় বার বার ফোন দিচ্ছে।দ্রুত চল।’

‘হোয়াট!পাত্রপক্ষ।আপু আমি কিছুতেই ওই অচেনা অজানা ছেলেকে বিয়ে করতে পারবো না।আমার পক্ষে কিছুতেই সম্ভব নয়।প্লিজ বিয়ে টা ভেঙে দাও।’

‘আরে দেখতে আসলেই কি বিয়ে হবে নাকি।আগে পাত্র আসুক দেখি কেমন।আগে দেখতে তো দে। ‘

‘দেখো আপু তুমি যেটাই বলো না কেনো?আমি আহিনের মুখোমুখি না হয়ে কিছুতেই অন্য একটা মানুষ কে বিয়ে করতে পারবো না।’

‘দেখ মৌ দেখা গেলো একদিন এটা বললি ভাজ্ঞিস আহিন সেদিন এসছিলো না।না হলে এত ভালো বর ই পেতাম না।এখন চল আগে বাসায় যেতে হবে কুইক’

সানজি আর মৌ চুপিচুপি বাসায় ঢুকলো।বাসার সবাই রান্না বান্না ঘর গোছানোতে বিজি।পুরা বাড়ির রান্নার ঘ্রানে ময়ময় করছে।চারদিকে সবাই ছোটাছুটি করছে।কয়েক রকমের নাস্তা রেডি করা হয়েছে।

বাজখাই গলায় বলে উঠলো মৌ এর আম্মু আজ ও তোর কিসের নোটস আনতে হচ্ছিলো মৌ।সারাবছর তো মাথার দিব্বি দিয়েও বই পড়াতে পারি না আর আজ এত গরজ কাহিনী কি।অন্য মতলব ছিলো নাকি।সারাবছর যদি তোমার এত গরজ দেখতাম তাহলে তো ধন্য হতাম।সব সময় ঝামেলা না করলে হয় না তাইনা।পাত্র পক্ষ এসে যদি দেখতো তুমি বাসায় নেই তাহলে কি ভাবতো তারা।

আম্মুর কথার কোনো উত্তর দিলো না মৌ।কারণ তার মনের অবস্থা উত্তর দেওয়ার মতো ছিলো না।এমন সময় সানজি বলে,

আহা কাকিমা তুমি আজ ও মৌ কে বকাঝকা করছো কেনো?ও সত্যি নোটস আনতে গেছিলো।আমি সাক্ষি আছি।

হ্যাঁ তুই তো ওর উকিল।যা দ্রুত ওকে রেডি করিয়ে দে।

মেজেন্টা কালারের শাড়ির সাথে ম্যাচিং গহনা সহ লিপিস্টিক, পরিয়ে দিলো সানজি মৌ কে।
৫ ফিট ২” হাইট এর মৌ, দেখতে বেশ পিচ্চি পিচ্চি লাগে।দেখে বোঝাই যায় না স্কুল,কলেজ পেরিয়ে ভার্সিটিতে পা রেখেছে সে।গোল গাল স্লিল ফিগারের মেয়ে।শাড়িতে বেশ ভালোই মানিয়েছে।বাইরে হই চই হচ্ছে মানে পাত্র পক্ষ এসে পড়েছে।মৌ সানজি কে বলে আমাকে বিশ্রি করে সাজিয়ে দাও প্লিজ যাতে ভূতের মতো লাগে ওদের যেনো পছন্দ না হয়।

যদি থাকে নসিবে কেউ পারবে না আটকাতে বুঝলি গাধি।

পাত্রপক্ষ বসে আছে ড্রয়িং রুমে সোফায় বসেছে তারা।ছেলের মা বাবা মামা মামি আর ছেলে এসছে মৌ কে দেখতে।

মৌ এর আম্মু মেয়েকে আনয়ে গেলেন পাত্রপক্ষের সামনে নেওয়ার জন্য।মেয়েকে শেখাতে শেখাতে আনলেন শোনো ওদের সামনে গিয়ে সালাম দিবে আগে বুঝেছো।

মৌ মায়ের কাছে অনুরোধ করলো”আম্মু প্লিজ আমি এখন বিয়ে করতে চাই না।আমি মাত্র ইন্টার পাশ পরেছি।আমার কি বিয়ের বয়স হয়েছে।আমি লেখাপড়া করতে চাই। আমি জব করতে চাই প্লিজ আম্মু।”

“একদম চুপ!তোমাকে লেখাপড়া বাদ দিতে কে বলেছে।আমরা সব ধরনের কথাবার্তা বলে নিয়েছি।আর এমন ছেলের হাতে তুলে দিচ্ছি শুধু তুমি না তোমার ঘাড়ে লেখাপড়া করবে।”

সানজি উকি মেরে পাত্র কে দেখার চেষ্টা করলো।

কালো প্যান্ট কালো ব্লেজার মুখে খোচা খোচা দাঁড়ি হাতে ব্রান্ডের ঘড়ি ঠোঁট চারপাশ হালকা কালোর মাঝে গোলাপি আভা সোফায় বসে একনজরে ফোন স্ক্রল করে চলেছে সুদর্শণ এক যুবক।মনে হচ্ছে এটাই পাত্র।সানজি এক লাফ দিয়ে উঠে বলে মৌ রনবীর কাপুর এসছে তোকে দেখতে।যদি ছেলেটাকে দেখতি না ওই আহিন ফাইন কে ভুলে যেতি।ইস কি হ্যান্ডসাম দেখতে।আয় তোকে আরেক টু সাজিয়ে দেই যাতে দেখেই পছন্দ হয়ে যায়।

ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলে মৌ ওসব রণবীর কাপুর চাই না আমার।আমি এই বিয়ে ভাঙতে চাই ব্যাস।এমন সময় মা কাকিরা সবাই মৌ কে পাত্র পক্ষের সামনে নিয়ে গেলো।

মৌ গিয়ে সালাম দিলো।তারাও সালামের উত্তর দিলো।কিছুক্ষণ কথা বলার পর দুই ফ্যামিলির সবাই বাইরে গিয়ে বলে তোমরা নিজেদের মাঝে একটু কথা বলো।
সবাই বাইরে যেতেই মৌ খুব ব্যাস্ততার সাথে বলে,

”দেখুন সোজা সাপ্টা বলে দিচ্ছি আমার রিলেশন আছে।আর আমি তাকে ভালবাসি। আমি তাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবো না।আমাকে যদি বিয়ে করেন তাহলে আপনাকে অন্য কারো প্রেমিকাকে বিয়ে করতে হবে।আর বুঝেন তো রিলেশন থাকলে অনেক কিছুই হয় আজকাল আমার ও হয়েছে।আই থিংক আপনি ক্লিয়ার হতে পেরেছেন।”

মৌ এর সামনে সুঠাম দেহের অধিকারী এক যুবক বসে আছে।মুখে কোনো কথা নেই।মৌ বিরক্ত হয়ে বলে,

“একি আপনি ফোনের দিকে তাকিয়ে আছেন যে।হ্যালো কানে কি কম শুনতে পান।আমি কিছু বলছি আপনাকে”

“ফোন টা প্যান্টের পকেটে গুজে উঠে দাঁড়ালো ছেলেটি।এক পা থেকে আরেক পায়ের দূরত্ব কিছুটা ফাঁকা।এক হাত প্যান্টের পকেটে গুজে ভ্রু কুঁচকে দাঁড়িয়ে আরেক হাত দিয়ে চুল ঠিক করতে করতে বলে,,

‘আপনাকে আমি কখন বলেছি যে আমি আপনার কথা শুনতে পাই নি।’

‘তাহলে কোনো উত্তর দিচ্ছেন না যে।’

‘ভ্যালুলেস কথার কি উত্তর দিবো।’

‘ভ্যালুলেস মানে।আপনার সারাজীবনের ব্যাপার আর এটা কে আপনি ভ্যালুলেস বলছেন।’

‘হুম তো! এটা কি সিরিয়াস ইস্যু।’

‘অবশ্যই এর থেকে সিরিয়াস ইস্যু একটা মেয়ের জীবনে আর কোনো কিছু হতে পারে না’

‘তো আপনার কি আমাকে মেয়ে মনে হচ্ছে’

‘দেখুন আপনি কিছু বলুন প্লিজ! কথা ধরেন কেনো এত,আমি হাত জোড় করছি প্লিজ কিছু বলুন।’

‘কি শুনতে চাচ্ছেন।’

‘আপনি বলে দিন যে আমি বিয়েটা করবো না।’

‘হুম আমি বলতেই পারি বাট কি কারণ দেখিয়ে বলবো’

‘বলবেন মেয়ে দেখে পছন্দ হয় নি।’

‘মিথ্যা কথা বলা সম্ভব নয়।’

‘তার মানে আপনার আমাকে পছন্দ হয়েছে তাইতো।ছেলেদের কি স্বভাব ই এমন।মেয়ে দেখলেই পছন্দ হতে হবে।সিরিয়াসলি ছেলেরা পারেও বটে।মেয়ে দেখলেই তারা না বলতে পারে না।আমার বফ আছে জানা সত্ত্বেও যদি আপনি আমাকে বিয়ে করেন তাহলে আপনি কেমন মানুষ হুম।’

‘আপনার দিকে এখনো আমি তাকিয়ে দেখি নি।তাহলে কিভাবে বলছেন আপনাকে আমার পছন্দ হয়েছে।আমার ও আপনাকে বিয়ে করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই।আমার ও প্রেমিকা আছে।আর আমি তাকে ভীষণ ভালবাসি।তাছাড়া আপনার যখন এতই সমস্যা নিজের ফ্যামিলি কে বলুন আপনার বয়ফ্রেন্ড এর কথা।’

‘ফ্যামিলি মানবে না! আর আমার পক্ষে ফ্যামিলি তে এটা বলাও পসিবল নয়।’

‘ওহ! ইটস ইওর প্রব্লেম নট মাইন।’

‘তা নিজের প্রেমিকা কে বিয়ে করছেন না কেনো?’

‘সেইম আপনার মতো পরিবার যেখানে চাই সেখানেই বিয়ে করতে হচ্ছে।’

‘বাহ কি চমৎকার ফ্যামিলি বললেই বিয়ে করে নিবেন।যাকে ছেড়ে এসছেন তার কি হবে সেটা ভাবলেন না।’

“আশা করি আপনার আর কোনো প্রশ্ন নেই এ বিষয়ে। এবার সবাই কে ডাকতে পারি।’

মৌ রুম থেকে খুশি মনে বেরিয়ে এলো।

মনে মনে ভাবছে এত মারাত্মক কথা বলে দিয়েছি এই বেটা কিছুতেই আর বিয়ে করবে না।মনে মনে দিলবার দিলবার গানে ডান্স করতে করতে ওখান থেকে এসে সানজি আপুকে জড়িয়ে ধরে ডান্স শুরু করলো লে পাগলু ডান্স ডান্স।সানজি আপু মৌ এর মাঝে খুশির উথাল পাথাল ঢেউ দেখে বলে কিরে সমস্যা কি? পাত্র দেখে পছন্দ হয়েছে।মৌ সানজি কে বলে পাগল হো গায়া তুম আপু।বলে দিয়েছি আমার প্রেমিক আছে আর কিছুতেই বিয়ে করা পসিবল না।এই কথা শুনে কি কিছুতেই ওই বেটা আমায় বিয়ে করবে।আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।আপু আমি লেখাপড়া শেষ না করে আর আহিনের মুখোমুখি না হয়ে কিছুতেই বিয়ে টা করতে পারবো না।এই জীবনে আমাকে আহিনের মুখোমুখি হতেই হবে।আমার ভাল বাসা এতটা ঠুনকো নয়।

সানজি একটু নরম কন্ঠে বলে, মৌ ছেলেটা কিন্তু অনেক সুন্দর ছিলো।রাজি না হওয়ার কোনো কারণ ছিলো না।কাজ টা ঠিক হলো না।

মৌ এর সব খুশিতে পানি ঢেলে দিলো মৌ এর কাকিমা।এসেই মৌ কে জড়িয়ে ধরে বলে ছেলের কিন্তু তোকে মারাত্মক পছন্দ হয়েছে মৌ।ওরা আজ ই এনগেনমেন্ট করতে তাই।

দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে মৌ বলে ছেলের ও কি আমাকে পছন্দ হয়েছে।

আরে হ্যাঁ।তবে ছেলে নিজে তোকে পছন্দ করেছে আর সে আজ ই এনগেজমেন্ট করতে চায়।

মৌ এর মনের মাঝে প্রচন্ড বেগে ভূমিকম্পন শুরু হয়ে গেলো।এটা কি হয়ে গেলো।আহিন কি সারাজীবন এর মতো হারিয়ে গেলো তার জীবন থেকে। চোখ দিয়ে অজান্তেই পানি ঝরে পড়লো তার।

তড়িঘড়ির সাথে এনগেজমেন্ট ও হয়ে গেলো তাদের।ছেলেটা মারাত্মক ঘাড় ত্যাড়া না হলে এত কিছু বলার পর ও কি বিয়ে করে।এনগেজমেন্ট আজ হলেও বিয়েটা ছয় মাস পরেই হবে।

সারারাত ছেলেটাকে নিয়ে ভেবে চললো মৌ।কি অদ্ভুত এই ছেলে।সব কিছু জেনে শুনেই বিয়ে টা করবে।

পরের দিন নিউ ভার্সিটির নবীন বরণ অনুষ্টান।এ দিনে সবাই ই সেজেগুজে শাড়ি পরে ভার্সিটিতে যায়।মৌ এর মন মানসিকতা একটুও ঠিক নেই।তার আজ শাড়ি পড়ার ও ইচ্ছা নেই।কারণ গতকাল তার জীবনের সব হাসি আনন্দ মুছে গিয়েছে।কিন্তু সানজির ধমকে মৌ একটা ব্লু কালারের শাড়ি পরলো।মাথায় কাঠগোলাপের গাজরা ও দিলো।মৌ কে দেখতে ঠিক যেনো পুতুলের মতো লাগছে।

ভার্সিটিতে ঢুকেই সবার মুখে ভার্সিটি টপার স্টুডেন্ট এর প্রশংসা।মৌ এর আজ প্রথম দিন এ ভার্সিটি তে।ছেলেটা কে যার এত প্রশংসা।দেখার খুব আগ্রহ জন্ম নিলো মৌ এর।
সানজি বলে যায় বলিস মৌ গত কালের ছেলেটা কিন্তু মারাত্মক সুন্দর ছিলো।আমাএ বেশ পছন্দ হয়েছে।নাম্বার আছে থাকলে দে ফোন দেই এখানে আসতে বলি।

মৌ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে ওই ঘাড় তেড়ার কথা বাদ দিবে প্লিজ।যেমন ই হোক আরস ভাইয়ার মতো সুন্দর আর গুন সম্পন্ন তো নয়।ওই ছেলে মারাত্মক খারাপ আর চরম লেভেলের ঘাড় ত্যাড়া।না হলে আমার জীবন টা নষ্ট করার চেষ্টা করতো না।

সানজি সন্দিহান দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে বলে হু ইজ আরস।

আরে যে ছেলেটার প্রশংসা শুনছো উনি আরস।এই ভার্সিটি টপার উনি।অনেক ভালো স্টুডেন্ট।

চলবে,,

#বর্ষা_বিকেলের_ঢেউ
১.
#WriterঃMousumi_Akter

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here