বিষবৃক্ষ পর্ব -০২

#বিষবৃক্ষ ❤️
#সাদিয়া


মেদেনী নিজেকে কমলা যুক্ত আভায় সাজিয়ে নিয়েছে লোভনীয় সজ্জায়। একটু পরেই নিকশ কালো আঁধার ঢেকে দিবে আকাশটাকে। এই অবেলা অবগাহন করে কক্ষে প্রবেশ করেন সম্রাট আব্রাহাম মুনেম রাজ। কিছু দাসী এসে তার খাবার পরিবেশন করে দিয়ে গেলো। তার ক্ষনিক বাদেই শুনা গেল, “ভাইজান আসব?” রাজ সেদিকে ফিরে তাকায়। বোন কে দেখে মুচকি হেসে অনুমতি প্রধান করে আসার। নাইলা তামা আর স্বর্ণের খচিত ভারি দরজা টা চাপিয়ে ভাইয়ের কাছে এসে নুয়ে সম্মান প্রদর্শন করল। সম্রাট রাজ মৃদু হেসে প্রশ্ন করলেন,
“আমার আদরের অতিপ্রিয় বোন কিছু কি বলবে?”

“আপনার খাবার দিয়ে যেতে বললাম দাসীদের। ঠিকভাবে দিয়ে গেল কিনা তাই পর্যবেক্ষণ করতে এলাম।”
নাইলার দিকে তাকিয়ে আর জবাব দেয় না রাজ। নিজের সুগন্ধি খুঁজতে শুরু করে দেয়। বেশ টের পাচ্ছে নাইলা এখনো যায় নি। রাজও কিছু বলছে না সময় দিচ্ছে আসল কথা বের হওয়ার জন্যে। নাইলা বেশ কিছুক্ষণ অস্বস্তি বোধ করে এবার মনের সব সাহস একত্র করে প্রশ্ন করেই বসল,
“ভাইজান একটা কথা জিজ্ঞেস..” আর বলতে সাহস হলো না তার। ভেতরের সব সাহস হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। ভয়ে ঢোক গিলে মাথা নিচু করে আছে সে। আর রাজ নিজের কাঙ্ক্ষিত সুগন্ধিটি পেয়ে উল্টোপিঠে দাঁড়িয়ে থেকেই স্লান হাসল। সে বেশ ভালো করেই বুঝেছে নাইলার ইঙ্গিতটা। ঠোঁটের বাকা হাসিটা প্রস্থ না করে সে ঘুরে দাঁড়াল। বোন কে মাথা নিচু করে থাকতে দেখে নিজ থেকেই বলল,
“তুমি নিশ্চয় মেয়েটার কথা জিজ্ঞেস করতেই এসেছো।”

“….

“নাইলা কৌতূহল জিনিসটা খুব ভালো জানোতো। কারণ এর মাধ্যমে অনেক কিছু রপ্ত করা যায়। কিন্তু, হ্যাঁ একটা কিন্তু আছে। সব বিষয়ে কৌতূহল ফলাতে নেই এতে নিজের মঙ্গল। আশা করি বুঝাতে পেরেছি।”

ভয়ে একদম গুটিয়ে গেছে নাইলা। কথা বলার শক্তিটুকও যেন অবশিষ্ট নেই। নুয়ে থাকা মাথাটা আরো নুয়ে গেল তার। একটু বেশিই সাহস দেখিয়ে ফেলেছে হয়তো। কাঁপাকাঁপা গলায় বলল,
“আমি ভীষণ দুঃখিত আর লজ্জিত ভাইজান। আমায় মাফ করুন।”
বোনের কথায় কোমল করে হাসল সে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বলল,
“একজন রাজা, সম্রাট বাদশা কখন কি করে কি মতি হয় তা কেউ বলতে পারে না। আর তাদের কাজে সবাই কে হস্তক্ষেপ করতে নেই বোন আমার। রাজকাজের তীক্ষ্ণ কিছু নিয়ম বিদ্যমান থাকে। তুমি শান্ত হোও। আর তোমার উপর একটা দায়িত্ব দিচ্ছি, বন্দিখানার মেয়েটার জ্ঞান আর অল্প সময়ের মাঝেই ফিরে আসবে তাকে নিজ দায়িত্বে কিছু খাবার খায়িয়ে দিবে। এর বেশি কিছুই না। শুনেছো?”

“জ্বি ভাইজান।”

“আর হ্যাঁ আর প্রাসাদে আসা না পর্যন্ত এই কক্ষ আর ওই কারাগারের তালা যেন কোনো ভাবেই না খুলা হয়।”

“ঠিক আছে ভাইজান আমি বলে দিব প্রহরীদের।”

“নাইলা এই কক্ষে যেন কোনো প্রহরী না ঢুকে।”

রাজের কথায় অবাক হলেও নাইলা সেটা দমিয়ে ফেলল। তারপর সম্মতি জানিয়ে কক্ষ ত্যাগ করল। একটু দূর যেতেই বেগম শতরুপা মেয়েকে টেনে নীরবে নিয়ে গেলেন। কাঠ গলায় জিজ্ঞেস করলেন,
“সোনা সম্রাটের ঘরের মেয়েটা কে? কেন এখানে আনল সে?”

মায়ের মুখের কথা শুনে জবাব দেয় না নাইলা। নিজের হাত ছাড়িয়ে বলল,
“জানি না। আর ভাইজানের বিষয়ে নাক গলানোটা বন্ধ করুন।” এই বলে নাইলা ধুপধাপ পায়ে চলে এলো। শতরুপা মনে মনে বললেন “আমি জানি তুমি কিছু বলবে না আমায় মা। কিন্তু আমি তো জানবই।”

—-
তৈজুল পাগল প্রায় হয়ে বন্দি করে রেখেছেন নিজেকে কক্ষে। ভেতরের যন্ত্রণা টা উনি কাউকে না পারছেন খুলে বলতে আর না কমাতে পারছেন। বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে আছেন তিনি। কবিরাজ একটু আগে ঔষধ দিয়ে গেছেন। কিন্তু এই ঔষধ যে উনার মনের জ্বালা টা মিটাতে পারছে না। চোখ দিয়ে আপনাআপনি পানি গড়িয়ে পড়ল উনার। তিনি কোনো ভাবেই বুঝতে পারেন নি এমন একটা ঘটনা ঘটে যাবে। আদরের মেয়েকে কত প্রহর হয়ে গেল দেখেন না। চোখ বন্ধ করে দিতেই উনার গাল বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে বালিশের উপর ঠাই নিল। সম্রাট রাজ যে চুপ করে বসে থাকবে না এটা তিনি আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন। তাই তো প্রাসাদে প্রহরী বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাজ যে উনার রাজকন্যা কে নিয়ে এমন করবে সেটা তিনি মাথায় ভাবতেও পারেন নি। সেই নিজের প্রাসাদে ঢুকে অপহরণ করে নিয়ে গেল মেয়েকে। গ্লানিতে উনার চিত্ত কৃষ্ণ বর্ণ ধারণ করেছে। ফুঁপিয়ে তিনি চোখের জল ছেড়ে দিয়ে বলে উঠলেন “আমার রাজকন্যা। আমার ছোট্ট পরী।”

ধীরগতিতে রাজপুত্র ইলিয়াস ঘরে প্রবেশ করল পিতার অবস্থা যাচাই করতে। কিন্তু উনাকে কাঁদতে দেখে সে দৌড়ে গেল। প্রশ্ন করল,
“আব্বাজান কি হয়েছে আপনার? কোনো অসুবিধা হচ্ছে? কষ্ট হচ্ছে বুকে?”

তিনি সে কথার জবাব না দিয়ে অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
“আমার রাজকন্যা, আমার মেয়ের কোনো খুঁজ পেলে ইলিয়াস? চুপ করে আছো কেন বলো।”

প্রশ্ন যার দিকে ছুড়া হয়েছিল তার নিরুত্তর ভাব দেখে তিনি আবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। মেয়েকে কিভাবে উদ্ধার করবেন তিনি জানেন না। নিজেকে আজ খুবই অসহায় ভাবছেন তিনি।

“আব্বাজান শান্ত হোন আপনি কাঁদবেন না। নিশ্চয় আমরা বোনের খুঁজ পেয়ে যাবো। আপনি চিন্তা করবেন না দয়া করে। আপনি কি আমায় বলবেন সেদিন অভিযানের নাম করে আপনি কোথায় গিয়েছিলেন। অনুরুদ্ধ আপনি আমার কাছ থেকে কিছু লুকাবেন না। ইব্রাহিম অস্থির হয়ে আছে বোনের জন্যে, আপনার শরীর খারাপ, আমার চিন্তায় বেহাল দশা। আপনি আমার কাছে সত্যিটা খুলে বলুন আব্বাজান।”

ছেলের কথায় তৈজুল ঢোক গিললেন। তারপর দ্রুত ইলিয়াস কে রুম ত্যাগ করতে বললেন ব্যস্ত গতিতে। ইলিয়াস উপায়ন্তর না পেয়ে নীরবে কক্ষে ত্যাগ করল। সে নিশ্চত আব্বাজান কিছু লুকাচ্ছেন তার কাছ থেকে।

—-
মেদেনীতে মৃদু তমসাচ্ছন্ন পরিবেশ আছড়ে পড়ছে। প্রাসাদের বাগান থেকে ঝিঝি পোকার ডাক শুনা যাচ্ছে। প্রাসাদের কোণায় কোণায় জ্বলছে মশালের লালআভা। চারিদিকে রঙ্গিম করে তুলছে তা। শতশত প্রহরীর মাঝ দিয়ে সম্রাট এগিয়ে যাচ্ছে নিজের কক্ষের দিকে। ক্লান্ত লাগছে শরীর টা। বিছানায় হেলিয়ে দিলেই যেন ঘুমের রাজ্যে পাড়ি জমাবে। খটখট পায়ে নিজের কক্ষে ঢুকতেই প্রহরীরা বাহির থেকে বিশাল দরজা লাগিয়ে দেয়। মাথা থেকে সম্রাটের মুকুট টা আলগোছ জায়গা মতো রেখে গায়ের উপর থেকে রাজকীয় পোশাক টা খুলে ফেলে। তারপর এগিয়ে গিয়ে কক্ষের সাথে লাগানো কৃত্রিম জলাশয়ে হাত মুখ ধৌত করে আবার নিজের কক্ষে ফিরে আসে। ঢোক গিলে বিছানায় গা হেলিয়ে দিবে এমন সময় দরজার বাহির থেকে নাইলা গলা বাড়িয়ে বলল,
“ভাইজান আপনার রাতের আহার।” হাল্কা নিশ্বাস ফেলে দিয়ে রাজ এগিয়ে গেল। টুকা দিতেই দরজা ক্যাঁচক্যাঁচ করে খুলে গেল। হেসে জবাব দিল “নাইলা বোন আমার, আমার খুদা নেই। তুমি নিয়ে যাও এগুলো। আর চুপচাপ গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো। শুভরাত্রি।” কথা শেষ করেই সে নাইলার কপালে আদর দিয়ে ফের কক্ষে ঢুকলে দরজা বন্ধ হয়ে যায়। নাইলা যেতে গিয়ে আবার ফিরে আসে ভাইজান কে কিছু বলার উদ্দেশ্যে তবে সাহস হয়নি দ্বিতীয়বার ডাক দিতে। তাই চুপচাপ চলে যায় সে। আর ওদিকে ছোট্ট একটা প্রাণ ভয়ে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে একদম।

রাজ নিজের শ্যাযায় গা হেলিয়ে দিবে এমন সময় মৃদু আওয়াজ শুনতে পায়। ‘ সুশ সুশ ‘ করে কিছু আওয়াজ পেতেই কান খাড়া করে নেয় সে। শুনার মতো আওয়াজ না থাকা সত্বেও তীক্ষ্ণ শ্রবণ ইন্দ্রিয় তার শরীর ঝেড়ে সজাগ হয়ে গিয়েছে। ওদিকে তাকাতেই তার স্মরণ হয় রাজকন্যার কথা। তার কক্ষে যে প্রতিদিনকার মতো সে ছাড়াও আজ অন্য কেউ আছে তা মনেই ছিল না। দাঁত কেটে সে এগিয়ে গেল রুমের ভেতরের ছোট বন্দিখানাটার দিকে।

ভেতরে গুটিয়ে থাকা ছোট্ট প্রাণটি এতক্ষণ সব শুনছিল এখানে জড়সড় হয়ে বসে থেকে। টু শব্দটিও করেনি ভয়ে। কোথায় আছে কেন আছে তার কিছুই সে জানে না। পায়ের আওয়াজটা আরো তীব্র হচ্ছে সাথে ছোট প্রাণটা দুরুদুরু করছে ভয়ে। এবার খুব কাছ থেকে যেন শব্দ পেল সে। নিশ্চত অজ্ঞাত কোনো লোক তার দিকেই এগিয়ে আসছে। কপালে রেখা তুলে সে পা গুলিকে ভাজ করে বুকের সাথে আরো মিলিয়ে নিল। লোহার দরজা শব্দ করে খুলতেই ভয়ে ঢোক গিলল সে। দরজার দিকে তাকাতেই দেখতে পেল বেশ উচ্চসচ্চ আর সুঠামদেহী বলবান মাথা নুয়ে ভেতরে প্রবেশ করল। মুখের শেষ লালাটুক দিয়ে গলা ভেজানোর চেষ্টা করল আবার ভেতরে যেন চৈত্য মাসের খড়া দেখা দিয়েছে। কোথাও এক বিন্দু পানি নেই! সামনে থাকা মানুষটার বিলাসবহুল পোশাক পরিধেয়, চওড়া বুক, সুদীর্ঘ গ্রীবা, পেশিবহুল হাত। সটান হয়ে প্রস্থ বুকটা টানটান করে দাঁড়িয়েছে। কক্ষ থেকে মৃদু আসা আলোয় দেখতে পাওয়া গেল ফর্সা মুখটা। মায়ামাখা চাপ দাড়িযুক্ত মুখটায় তাকিয়ে যেমন মায়ায় দুল খায়িয়ে দিচ্ছে অন্তঃকরণ সেই সাথে বুক মুচড় দেওয়া ভয়ও খেলে যাচ্ছে একই সাথে। রাজকন্যা কপালে আরো ভাঁজ তুলে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে উদাস মনে ঠোঁট ফেটে বের করে দিল “প্রহরী।” রিনিঝিনি আওয়াজ ছোট লোহার বন্দিখানাটায় দুল খেয়ে বারবার প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করেছে বাদ্যযন্ত্রের ন্যায়। রাজের কানের পাতলা পর্দা ভেদ করে সেই “প্রহরী” শব্দটা মস্তিষ্কে গিয়ে নাড়া দিতেই সে মুখ পাশ ফিরিয়ে হাসল। উপরের দাঁত পাটি দিয়ে নিচের ঠোঁটটা কামড়ে হাসিটা দমিয়ে দিল যেন। আবার তাকাল সামনের দিকে। বুকটা এবার আরেকটু টান করে দাঁড়িয়ে তাকাল রাজকন্যার দিকে। সাদা পোশাকটায় স্যাঁতস্যাঁতে মাটি নোংরা করে দিয়েছে। তার দিকে দুটি চোখ কৌতূহলোদ্দীপক আর প্রশ্নাত্মক উদ্বিগ্ন দৃষ্টিতে কপাল কুঁচকে আছে। হঠাৎ চোখ গেল পাশে থাকা খাবারের দিকে। তারমানে সে কিছুু মুখে তুলেনি। মনেমনে আবার হাসল কিন্তু গোলাপের মতো ফুটল না সে হাসি। পরে থাকা সেই খাবারের আশপাশে একটা চিকা ঘুরঘুর করছে। বুঝতে আর বাকি রইল না চিকা দূর করতেই মৃদু ‘ সুশ সুশ ‘ শব্দ করছিল রাজকন্যা। দাঁত চেঁপে সে শক্ত চোখে তাকাল রাজকন্যার দিকে। এই মুহূর্তে তার রাগ উঠার একমাত্র কারণ হলো খাবারটা না খেয়ে নষ্ট করে ফেলা রাখা। যা তার একটু বেশিই পছন্দ নয়। রাজকন্যা কিছু বলতে উদ্যত হলে শানিত গলায় সে বলল
“মেহের।”

এই বলে একটু থামল। বুঝতে পারল নিজের নাম তার মুখে শুনে মেয়েটা বেশ অবাক বিস্মৃত হলো। তারে পাত্তা না দিয়ে সে আবার বলতে লাগল,
“তহুরা জান্নাত মেহের তোমার নাম ঠিক বলছি?”

এমন ধারালো গলার তীক্ষ্ণ প্রশ্ন শুনে বিমূঢ় তার হাল। একটা সাধারণ প্রশ্নই তার কাছে আজ এত কঠিন লাগছে যে গলা দিয়ে উত্তর দেওয়ার সাহস টুক দেহে সংশয় নেই। হা না বা কোনো সম্মিত সূচকও জানাল না মেহের। অবাকের এমন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে সে চোখের ঘন কালো পাপড়িও ফেলতে পারছে না। সে স্পষ্ট এই লোকটাই তাকে গোদাম ঘরে টেনে নিয়ে গিয়েছিল মুখে হাত চেঁপে। চোখ গুলি তার ভুল প্রমাণ করতে পারল না। তার মানে প্রহরী ছদ্মবেশে..
সেদিকে নজর না দিয়ে রাজ বলল,
“তোমার সামনে আহার অবহেলায় অবেলায় পড়ে আছে অথচ ওই সামন্য চিকা বেহায়ার মতো ঘুরঘুর করছে একটু খাবারের আশায়। এই খাবারটুক তুমি শেষ করবে। আজ না হোক কাল হলেও শেষ করবে। খাবারটা যদি আজ একা শেষ করতে না পরো তবে রাতে চিকার সাহায্য নিয়ে হলেও শেষ করবে।”

মেহের তার কথার গভীরতা বুঝল কিনা বুঝা গেলা না। মানে লোকটা বলতে চাইছে, খাবার চিকায় নষ্ট করলেও তার সে খাবারটাই খেতে হবে। ভ্রুকুটি করে তাকিয়ে আছে সে। তাতে রাজের কিছু যায় আসল না। খাবার সে নষ্ট করতে নারাজ। চিকা নষ্ট করে ফেললেও এটা মেহেরের খেতে হবে। না খেয়ে ফেলে রাখার শাস্তি এটা।

রাজ মেহেরের দিকে তাকাল। মেয়েটা বোধহয় তার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। সে কি বলছে না বলছে তা কিছুই যেন কর্ণকুহরে ঢুকছে না মেয়ের। এতে খানিক বিরক্ত হলো সে।

“খাবারটা শেষ করে নিবেন রাজকন্যা।”

রাজ চলে যাবে এমন সময় মেহের এমন একটা কান্ড করল যে সে দাঁড়াতে বাধ্য হলো। রাজ ফিরে তাকাল মেহেরের দিকে। কপালে তিন চারটা ভাঁজ এঁকে দিয়ে বিস্ময় চোখে তাকাল। আকস্মিক কান্ডে সুতীক্ষ্ণ চতুর বুদ্ধিসম্পন্ন সম্রাট রাজ কিংকর্তব্যবিমূঢ়।

চলবে
(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here