#রোদে_ভেজা_মেঘ
#লিখাঃ Liza Bhuiyan
#বৈবাহিক_চুক্তি (সিজন ২)
#পর্ব-১
চোখটা প্রায় লেগেই এসেছিলো তখনি নিজের উপর ভারি কিছু অনুভব করলো ইনায়া, ভয়ে চিৎকার দিতে যাবে তখনি কেউ একজন গলায় কিছু একটা চেপে ধরে,
“–শাউট অর আই উইল শুট ইউ, শাউট স্লোলি ”
নিজের গলায় গান আছে ভাবতেই হাত পা জমে আসলো ইনায়ার, চিৎকার করবে কি ওর মুখ দিয়ে তো একটা সাউন্ড ও বের হচ্ছে না, এমনিতেই আধঘুম চোখে তারউপর কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না
“হেই গার্ল ডু ইউ ওয়ানা ডাই? আই সেইড শাউট বাট স্লোলি ওর আই উইল শুট ইউ ”
বলেই ট্রিগারে চাপ দিবে তখনি ইনায়া ভয়ে বলে উঠলো “নো আই উইল শাউট ” বলেই হাল্কা আওয়াজে চিল্লাতে থাকলো
“শাউট লাউডার” বলেই গান আরো জোরে চেপে ধরতেই ভয়ে চিল্লাতে শুরু করলো,এভাবে কতক্ষণ হলো জানা নেই, হঠাৎ ধড়ফড়িয়ে উঠতে গিয়ে খাট থেকে পড়ে গেলো ও,পুরো রুমজুড়ে ঘুটঘুটে অন্ধকার, নিজেকেই ঠিকমত দেখা যাচ্ছে না। ভয়ে ভয়ে টেবিল ল্যাম্প জালালো ও তারপর চারপাশে তাকাতে থাকলো
মনে হচ্ছে কেউ এখনি শুট করে দিবে।
নাহ দরজা আটকানো, আশেপাশে কেউ নেই, ঘড়ির কাটায় ডংডং করে জানান দিচ্ছে এখন একটা বেজে পঁয়তাল্লিশ মিনিট। এতরাতে ভুত ছাড়া কেউ রুমে ঢুকবে বলে মনে হচ্ছে না কিন্তু ভুতেরা কি বন্দুক নিয়ে ঘুরে? তারাও কি মর্ডান হয়ে গেছে! নাহ ভুত বলতে তো কিছু নেই তাহলে…
“কেউ নেই ইনু, কেউ নেই। জাস্ট আ নাইটমেয়ার, গড ইদানীং থ্রিলার টাইপ মুভি দেখতে দেখতে এগুলো নিয়েই স্বপ্ন দেখছি, হাউ হরিবল!”
সেই রাতে আর ঘুম হয়নি ইনায়ার, বারবার মনে হচ্ছে চোখ বন্ধ করলেই কেউ এসে চেপে ধরবে আর বলবে
“শাউট অর আই উইল শুট ইউ ”
এই প্রচণ্ড ভয়ের সুবাদে সারা লাইট জালিয়ে রেখেছে ও আর বারবার দরজার দিকে তাকাচ্ছে আর বিড়বিড় করে বলছে
“ফেনার বাচ্চা ফেনা আজকেই তোর বয়ফ্রেন্ডের লগে থাকতে হইলো,তোর এই মাসুম বান্ধুবী যে আর একটু হইলে হার্ট এটাক করে মারা যেতো সে খবর কি রাখিস?” আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে সারা রাত কেটে গেলো, আর ভাবতে লাগলো মায়ের কথা শুনলে এত দুর্গতি হতো না, ফোন যে করবে কাউকে সেই সুযোগ ও নেই কারণ ফোনে নো ব্যালেন্স।
“মাম্মি কই তুমি, তোমার ডল হার্ট এটাক করলো বলে”
ইনায়া চৌধুরী, বাবা মায়ের একমাত্র আদরের ডল আর মামা মামির ” প্রিন্সেস “।সে সবসময় স্বপ্নে বসবাস করতে পছন্দ করে, এখনো চকলেট নিয়ে ছোটদের সাথে মারামারি করে। লন্ডন মেডিকেল হসপিটাল থেকে পড়াশোনা করছে। পুরো ফ্যামিলি ক্যালিফোর্নিয়াতে থাকলেও শখের বসে বান্ধুবীর সাথে লন্ডনের পড়াশোনা করতে এসেছে এক সপ্তাহ হলো।
–
–
–
~সকাল বেলা~
ইনায়া গাল ফুলিয়ে বসে আছে আর তার সামনেই তার বেস্ট ফ্রেন্ড এনাবেল ডিউক পাইচারি করছে।(সুবিধার জন্য বাংলায় লিখলাম)
“তো তুই বলছিস কালরাতে তোর রুমে একটা ছেলে ছিলো? ”
“নো, কালরাতে আমি স্বপ্ন দেখেছি একটা ছেলে আমার রুমে ছিলো বাট ইট ওয়াজ সো রিয়েল! আমি ফিল করেছি যে সে আমার গলায় গান ধরে বলেছে সাউট ওর আই উইল শুট ইউ ”
“–সারাদিন ওইরকম মুভি দেখলে এটাই হবে, তাছাড়া সারাক্ষণই তো গাইতে থাকো “মামা আম ইন লাভ উইথ আ ক্রিমিনাল ”
“–কজ আই লাভ দেট সং,ভেবে দেখ একটা সুদর্শন ছেলে যার হাতে গান সে তোমাকে বলছে “মেরি মি ওর ডাই ” উফফ হোয়াট আ সিন, গালে হাত দিয়ে এমন ভাবে বলছে যেন সিনটি চোখের সামনে হচ্ছে।
“তুই তো জানিস আমার স্বপ্ন কি! আই ওয়ান্ট টু মেরি আ ভিলেন, একদম “এক ভিলেন ‘ হিরো এর মতো ‘। হোয়াট আ কেরেক্টার বেব”
“ছবির ভিলেন ক্যারেকটার এর হিরোর মতো রিয়েল লাইফের ভিলেন রা হয়না, তারা ভিলেন ই হয়।”
“তুই দেখে নিস আমি একদিন ওই একভিলেনের হিরোর মতো ভিলেনকে পাবো, কজ “কিসি চিজকো আগার পুরি সিদ্দাদসে চাহো তো পুরি কায়নাত তোমহে উসসে মিলানেকি সাজিস লাগ জাতিহে” বলেই গান গাইতে গাইতে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো
He is a villain by the devil’s law
He is a killer just for fun, fun, fun, fun
he’s a bad boy with a tainted heart
And even I know this ain’t smart
But mama I’m in love with a criminal
And this type of love isn’t rational, it’s physical
Mama please don’t cry, I will be alright
All reason aside I just can’t deny, I love that guy
“–ওহ গড দিস গার্ল, সি ইজ ক্লিয়ারলি ইন ট্রাবল, ভিলেন কখনো হিরো হয়না”
–
–
–
~ক্যাফেটেরিয়া বার ~
একটা মানুষকে হাত পা বেধে বসিয়ে রেখেছে, বারবার চোখ দিয়ে বাচার আকুতি করছে কিন্তু মুখ বাধা থাকায় কিছু বলতে পারছে না সে।
সামনে সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে রোয়েন লিউস, চোখে মুখে হিংস্রতা কিন্তু ঠোটের কোনে বাকা হাসি, গান হাতে নিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছে
“রোয়েন লিউসের সাথে যে বিঃশ্বাসঘাতকতা করে তার উপরের টিকেট কাটা হয়ে যায়, ইউ ওয়ান্টেড কিল মি? নাউ ইউ ডাই ” বলেই শুট করলো কপাল বরাবর, আর দেহটি লুটিয়ে পড়লো মাটিতে
“ক্লিন আপ দ্যা মেস “বলেই উঠে দাঁড়াল আর বার থেকে বেরিয়ে গেলো, আশেপাশের মানুষ সব দেখেও কিছু বলেনি কারণ রোয়েন লিউসের বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহস তাদের নেই, আর যেই দেখিয়েছে সে পরেরদিন সকালের সুর্য আর দেখেনি।
রোয়েন লিউস দ্যা গ্রেট বিজনেস ম্যান অফ লন্ডন, বাট তার সবচেয়ে তার সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে হি ইজ আ প্রফেশনাল পেইন্টার, লন্ডনের অনেকেই তাকে চিনে। তবে তার হিংস্রতার পেছনে লুকিয়ে আছে সবচেয়ে বড় দুর্বলতা, ওর একমাত্র কাছের মানুষ,
গাড়ি থেকে নেমে একটি বারিয়াল ইয়ার্ডস এর দিকে এগিয়ে আসলো, যাতে খুব সুন্দর করে খোদাই করা
“লরেন লিউস”, একটা ফুলের বুকি পাশে রেখে বলে উঠলো
“কেমন আছো বড় আব্বু?জানো আমি খুব মিস করি তোমাকে,, তুমি ছাড়া যে আপন বলতে কেউ নেই আমার। জানো তোমার ছোট্ট রুহান এখন রোয়েন লিউস, দ্যা গ্রেট মাফিয়া অফ লন্ডন তাকে সবাই ভয় পায়। কিন্তু যাকে বাচানোর জন্য নিজেকে গড়ছিলাম, সেই তোমাকেই বাচাতে পাড়লাম না। তোমাকে যারা কষ্ট দিয়েছে তাদের তিলে তিলে শেষ করবো আমি, তোমার প্রতি বিন্দু রক্তের মুল্য তাদের দিতে হবে আই প্রমিস ” বলেই বেরিয়ে এলো সেখান থেকে।
চেনা শহরে অচেনা দুটি মানুষ আর তাদের অজানা সম্পর্ক!
to be continued…
(জানিনা কেমন হয়েছে বাট থিমটা মাথায় আসলো আর মনে হলো পার্ট টু এমনটাই হওয়া উচিৎ)