ভালবেসে রাখব কাছে পর্ব -২৯+৩০+৩১ শেষ

#ভালবেসে রাখব কাছে
#লেখিকাঃ সাদিয়া সিদ্দিক মিম
#পর্বঃ২৯

সাদাফ ভাই একটা রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।আমি বাইরে থেকে ধাক্কাচ্ছি কিন্তু খুলছে না।

“সাদাফ ভাই দরজাটা খুলুন,হাতটা দেখতে দিন আমাকে।”

উনার কোন সারা শব্দ নেই,আমি বারবার ডেকে চলেছি উনি কিছু বলছেও না দরজাও খুলছে না।

“দরজা খুলবেন না ত আপনি!ওকে ফাইন থাকুন আপনি এই বদ্ধ ঘরে।আমি চললাম আপনার বাড়ি ছেড়ে,থাকুন একা।আর বিরক্ত করতে আসব না।”

কথাটা বলেই আমি সেখান থেকে চলে এলাম।আমি শিয়োর উনি এবার দরজা খুলে বের হবে।তাই একটু নাটক করতে হল,নয়ত সারাদিনেও বের হত না।

অন্যদিকে সাদাফ এতক্ষণ সাবিহার কথা শুনেও দরজা খুলে নি।সে খুব রেগে আছে,কেন তার বউকে অন্য কেউ টাচ করবে?তার বউয়ের উপর শুধু তার অধিকার অন্য কেউ কোন অধিকারে তার বউকে টাচ করবে?আর যাই হোক এটা মেনে নেয়া যায় না।

কিছুক্ষণ পর যখন সাবিহার কোন সারা শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না তখন সাদাফের সাবিহার বলা শেষ কথাটা মনে পড়ে।আর সাথে সাথে সাদাফ দৌড়ে দরজা খুলে বাইরে আসে।আসেপাশে তাকিয়ে দেখে কোথাও সাবিহা নেই।সাদাফ ছুটে তাদের রুমে গেলো কিন্তু সেখানেও সাবিহা নেই।সাদাফের বুকের ভিতরটা এবার মোচড় দিয়ে উঠল।সাবিহা কী সত্যি তাকে ছেড়ে চলে গেছে?সাবিহা চলে গেলে সাদাফ থাকবে কীভাবে?
এসব ভেবে সাদাফ আবারও পাগলের মত দৌড়ে বাড়ির বাইরে আসে।এসে দেখে সাবিহা পিছনে হাত দিয়ে ধীরে ধীরে হেঁটে চলেছে।এমন ভাবে হাঁটছে যেন পিঁপড়াদেরকেও হার মানাবে।সাদাফ একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে সাবিহার কাছে গিয়ে সাবিহাকে কোলে তুলে নেয়।

সাদাফ ভাই কোলে নেয়ার পর মুচকি হাসলাম।আমি জানতাম উনি আসবে,তাই কিছু না বলে আমি উনার গলা জড়িয়ে ধরে উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম।কিন্তু উনি ভুলেও আমার দিকে তাকাচ্ছে না।জামাই আমার ক্ষ্যাপছে ভালো।
সাদাফ ভাই আমাকে ঘরে এনে খাটে বসিয়ে দিয়ে বের হতে নিলে আমি উনার হাত ধরে আঁটকে বসিয়ে দেই খাটে।আর আমি উঠে উনার সামনে কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁড়াই।শাসনের স্বরে বলে উঠি,,,

“এখান থেকে এক পা নড়লে না একদম ভালো হবে না।চুপ করে বসে থাকবেন এখানে নয়ত সত্যি সত্যি চলে যাব।”

আমার কথার পরিবর্তে উনি দাঁতে দাত চেপে বলে উঠে।

“চলে যাওয়ার জন্য এক পা বাড়াও একদম জানে মেরে দেব।”

“রাগ করবে ঠিকই কিন্তু ভালবাসা একটুও কমবে না।আর না ছাড়তে পারবে আমাকে,না পারবে আমাকে ছেড়ে থাকতে।”

উনি কিছু বললেন না,চুপ করে বসে রইলেন।আমিও আর কিছু না বলে উনার সামনে হাঁটু গেঁড়ে বসি,আর উনার হাতটা হাতে নিয়ে দেখি অনেকটা ফুলে আছে।বরফ লাগাতে হবে,তাই আমি উঠে দাঁড়াই ফ্রিজ থেকে বরফ আনার জন্য।উনি তখন আমার হাতটা চেপে ধরে আমি সেটা দেখে উনার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে বলে উঠি।

“কিচেনে যাচ্ছি,এখনই এসে পড়ব।”

তারপর উনার থেকে নিজের হাতটা ছাড়িয়ে চলে আসি বরফ নিতে।আর সাদাফ ভাই কাউকে ফোন করে।

“এক ঘন্টার মধ্যে কাব্যকে আমার চোখের সামনে দেখতে চাই।এক ঘন্টা মানে এক ঘন্টা,তার এক মিনিট বেশি হলে কী করব জানোই!”

কথাটা বলেই ফোনটা রেখে দেয়।একটু পর সাবিহা এসে বরফ নিয়ে।সাবিহা বরফ লাগাতে লাগাতে বলে উঠে,,,

“ব্রেকফাস্ট কী নিচে গিয়ে করবেন নাকি এখানে নিয়ে আসব?”

সাদাফ ভাই কিছু বলল না,আমিও আর কিছু জিজ্ঞেস না করে নিচে চলে এলাম।আর একটা প্লেটে খাবার নিয়ে উপরে চলে এলাম।এসে দেখি উনি ফোনে কিছু একটা করছে।আমি খাটে খাবারটা রেখে উনার হাত থেকে ফোনটা নেই।

“খাবার নিয়ে এসেছি খেয়ে নিন,খাওয়া শেষ হলে ফোন হাতে পাবেন।”

উনি এবারও কিছু বললেন না।আমার দিকে এক পলক তাকিয়ে মুখটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে,চুপ করে বসে রইলেন।এরকম চুপ করে থাকলে কী ভালো লাগে?রাগ লাগছে খুব,ইচ্ছে করছে বেটাকে পিটিয়ে তক্তা বানিয়ে ফেলতে।কিন্তু এখন রাগ দেখালে চলবে না,দুজন একসাথে রেগে গেলে সমস্যা।তাই একজনকে ত চুপ করে থেকে ত আরেকজনের রাগ ভাঙ্গাতেই হবে।এভাবে নিজের মনকে বুঝিয়ে খাবারের প্লেটটা হাতে নিয়ে খাবার উনার মুখের সামনে ধরলাম।উনি একবার আমার দিকে তাকিয়ে চুপচাপ খেয়ে নিলেন।খেয়েই ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন,বেটায় একবারও বলল না তুমিও খাও।

খাবারের প্লেট নিচে রেখে ঘরে এসে দেখি টেবিলে খাবার বেড়ে রাখা কারো জন্য।আর তার পাশেই একটা চিরকুট।আমি কৌতুহল বশত সেখানে গিয়ে চিরকুটটা খুলি।আর সেটা পড়ে আমার ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠে।চিরকুটটাতে লেখা,,,

“প্লেটে যেন একটা খাবারও অবশিষ্ট না থাকে।”

আমি মুচকি হেঁসে খাবারটা খেয়ে নেই।আমার খাওয়া শেষ হওয়ার একটু পরেই উনি ঘরে আসে।ঘরে এসেই আলমারি খুলে শার্ট আর প্যান্ট নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।আমার দিকে একবার তাকালও না।
গতকাল বলেছিল বাবার অফিসে জয়েন করবে।তাই হয়ত এখন রেডি হতে গেলো অফিসে যাওয়ার জন্য।উনি ওয়াশরুম থেকে বেরোলে আমি উনার সামনে টাই নিয়ে দাঁড়াই।

“বাবার অফিসে যাবেন তাই না!প্রথম অফিসে যাবেন আজ।চলুন আজ আমি আপনাকে রেডি করিয়ে দিব।”

উনার গলায় টাইটা বাঁধতে গেলে উনি আমার হাত ধরে আটকে দেয়।আমি ভ্রু কুঁচকে তাকালে উনি আমার হাত থেকে টাইটা নিয়ে সরে দাঁড়ায়।যার অর্থ সে পড়বে না,কিন্তু আমিও ছাড়ার পাত্রী নই।আমি আরেকটা টাই নিয়ে উনার সামনে দাঁড়াতেই উনি আবারও একই কাজ করে।আমি গাল ফুলিয়ে আবারও আরেকটা টাই নিতে গেলে উনি পিছন থেকে দুইটা টাই এক করে সেটা দিয়ে আমাকে আটকে টান দেয়।আমি উনার বুকের উপর গিয়ে পড়ি,আমার পিঠ উনার বুকের উপর।আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই উনি আমাকে টাই দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দিয়ে চলে যায়।কিছুক্ষণ পর সবটা বুঝতে পেরে ছোটার জন্য ছটফট শুরু করি।

“আরে ঐ ফুলাইন্না,আমারে বাঁধলেন কেন?খুলে দিয়ে যান আমাকে।”

চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে এসব বলছি আর ছোটার চেষ্টা করছি।কিন্তু ছুটতে পারছি না,বজ্জাতটা এমন ভাবে বেঁধেছে যে খুলতেই পারছি না।

______________________________________

কাব্যর হাত,পা বাঁধা অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে।আর তার সামনেই সাদাফ রক্তচক্ষু নিক্ষেপ করে তাকিয়ে আছে।

“তকে কাল ছেড়ে দিয়ে খুব বড় ভুল করেছিরে।তকে ছেড়ে দেয়া একদমই উচিত হয় নি আমার।তকে না ছাড়লে হয়ত সকালের ঘটনা গুলো ঘটতই না।কিন্তু এখন এসব ভেবে কী লাভ?যা হওয়ার তা ত হয়েই গেছে।”

“তুই চাচ্ছিস টা কী?কেন আমার সাথে এমন করছিস?কেন সাবিহাকে আর আমাকে আটকে রেখেছিস?ছেড়ে দে আমাকে আমি সাবিহাকে নিয়ে অনেক দূরে চলে যাব।সাবিহার ভালবাসা আমি এতদিনে বুঝতে পেরেছি।এখন তুই আর আমাদের আলাদা করিস না প্লিজ।সাবিহাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দে।”

কাব্য কথা শেষ করতেই সাদাফ কাব্যর পেটে একটা লাথি মেরে দেয়।

“আমার সামনে বসে আমারই বউকে নিয়ে চলে যাওয়ার কথা বলছিস তুই?তোকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে না।তুই বেঁচে থাকলে যখন তখন ঝামেলা করতে পারিস আমাদের মাঝে।যেটা আমি একদমই চাই না,তাই আজ এই মুহুর্তে তকে আমি পৃথিবীর বুক থেকে বিদায় দিব।”

সাদাফের কথাশুনে কাব্য রীতিমতো ঘামতে শুরু করেছে।সাদাফ বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় আর হাতে একটা রড নেয়।যখনই সাদাফ রডটা দিয়ে কাব্যকে আঘাত করবে তখন কেউ পিছন থেকে আটকায়।সাদাফ রেগে পিছনে তাকায়,আর যা দেখে তা দেখার জন্য সাদাফ একটুও প্রস্তত ছিল না।সাদাফের চোখে এবার রাগের পরিবর্তে ভয় ফুটে উঠে।সাদাফের মুখ থেকে আপনা-আপনি বেরিয়ে আসে,,,

“সাবিহা!”

#চলবে,,,

(ঈদ মোবারক🥰)#ভালবেসে রাখব কাছে
#লেখিকাঃ সাদিয়া সিদ্দিক মিম
#পর্বঃ৩০(রহস্যভেদ পর্ব)
#পর্বঃ৩০+৩১

“উনাকে মেরে নিজের নাম খুনিদের খাতায় কেন লিখবেন?উনার জন্য উপযুক্ত শাস্তির ব্যাবস্থা করেছি আমি।যাতে সাপও মরবে আর লাঠিও ভাঙ্গবে না।”

“মানেহ?”

“মানে হল উনার সাথে আমি গরিলা মার্কা মহিলার বিয়ে দিব।যাতে অরা দুজন আমাদের মাঝে বাঁধা হয়ে না দাঁড়াতে পারে।”

“কাকে বিয়ে করব আমি?”

“গরিলা মার্কা থুক্কু লিজাকে,যার সাথে সকালে আমাদের বাড়িতে গিয়ে ঝামেলা করেছিলেন তার সাথে।”

“না আমি ওকে বিয়ে করব না।আমি তকে বিয়ে করতে চাই সাবিহা।প্লিজ এমনটা করিস না আমার সাথে।”

“তবে পুলিশের হাতে তুলে দিব।”

“না না আমি রাজি,আমি লিজাকে বিয়ে করতে রাজি।”

কাব্য ভাইয়ের কথাশুনে আমি বাঁকা হেঁসে সাদাফ ভাইয়ের দিকে তাকালাম।

“উনি নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছু বুঝে না।কুকুরের লেজ কখনও সোজা হয় না,আবারও সেটা প্রমানিত হল।উনি আমাকে ভালবাসে নি আর ভালবেসে বিয়েও করতে চায় নি।উনি এ কয়দিন নাটক করেছে যাতে উনাকে পুলিশের হাতে তুলে না দেই।আর উনার পরিবারের সবাই যাতে উনাকে আগের মত কাছে টেনে নেয়।”

“আমি ত ভেবেছিলাম অয় তোমাকে ভালবেসে ফেলেছে।”

“বাদ দিন ত এসব,চলুন এখান থেকে।কাল আপু আর মেঘ ভাইয়ার বিয়ের পর ওদের বিয়ে দিব আমি।আপাতত উনি এখানেই থাকুক,আর লিজাকে এখানে আনার ব্যাবস্থা করুন।”

“ওদের কী আর কোন শাস্তি দিবে না!”

“আগে বিয়েটা হতে দিন তারপর দেখুন কী হয়।”(বাঁকা হেঁসে)

তারপর আমি আর সাদাফ ভাই চলে এলাম সেখান থেকে।আর কাব্য মনে মনে বলছে,,,

“নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারলাম।কেন যে সাবিহা আর সাদাফের মাঝে আসতে চাইলাম!এসব না করলে হয়ত ঐ লিজা শয়তান মেয়েটাকে বিয়ে করতে হত না।”

_______________________________________

সাদাফ ভাই গাড়ি ড্রাইভ করছে আর আঁড়চোখে বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছে।আমি সেটা দেখে মুচকি হেঁসে সিটবেল্ট খুলে সাদাফ ভাইয়ের কোলে বসে উনার গলা জড়িয়ে ধরলাম।উনি আমার কাজে এতটাই অবাক হয়েছেন যে গাড়ি থামিয়ে চোখ বড়বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

“এভাবে গাড়ি থামালেন কেন?আর এভাবে তাকিয়েই বা আছেন কেন?”

“তুমি ঠিক আছো ত?মানেহ জ্বর ট্বর আসে নাই ত?”

কপালে আর গলায় হাত দিয়ে কথাটা বলে,আমি বিরক্ত হয়ে উনার হাত ধরে বললাম।

“আনরোমান্টিক বেডা মাইনষের লগে বিয়া করাডাই ভুল হইছে।”

উনি কিছু বুঝতে না পেরে ভ্রু কুঁচকে তাকায়।আমি কিছু না বলে উনার কোল থেকে নেমে আসতে চাইলে উনি আমার কোমড় জড়িয়ে ধরে বলে উঠে।

“এসেছো নিজের ইচ্ছেতে যাবে আমার ইচ্ছেতে।”

কথাটা বলেই গাড়ি স্টার্ট দেয়,আমিও আর কিছু না বলে এক হাতে উনার গলা জড়িয়ে ধরি।আরেক হাতে উনার চুলগুলো একবার এলোমেলো করছি আরেকবার ঠিক করে দিচ্ছি।

“একটা কথা বলব?”

“একটা কেন যতটা মন চায় ততটা বলো।”

“আপনি কিন্তু এখনও বললেন না সেদিন ওমন আচরন কেন করেছিলেন?”

“কোনদিন?”

“ডং করবেন না ত,বলুন না।”

“সময় হলে সব বলব।”

আমি এবার দুই হাতে উনার চুল টেনে ধরি।উনি ব্যাথায় আহহ করে উঠে।

“সময় হলে বলব,সময় হলে বলব।কথাটা শুনতে শুনতে কান পঁচে গেলো আমার।এখন চুপচাপ বলুন সেদিন এমন কেন করেছেন আর আমার লাইফ রিস্ক আছে মানে কী?”

“আগে চুল ছাড় বইন আমার তারপর কইতাছি।”

আমি উনার চুল ছেড়ে দিলাম,উনি এবার একটা ফাঁকা জায়গায় গাড়ি থামালেন।উনি গাড়ি থেকে নেমে আমাকেও নামালেন।তারপর আমাকে গাড়ির উপরে বসিয়ে দুই হাত দিয়ে আমাকে আটকে আমার দিকে ঝুঁকে গেলেন।আমি ভ্রু কুঁচকে একটু পিছন দিকে সরে গেলাম।উনি বাঁকা হেঁসে বললেন,,,

“জানতে চাইছিলে না সবকিছু ত এখন এমন করো কেন?”

“জানতে চেয়েছি আপনাকে আমার দিকে ঝুঁকতে বলি নি এভাবে।”

“আমার বউয়ের দিকে ঝুঁকেছি তাতে কার কী?আর আমার বউয়ের সাথে যা খুশি তাই করব তাতে কার কী হুম?”

“এটা পাবলিক প্লেস,ত পাবলিক প্লেসে এমন করলে না দাঁত ভেঙ্গে ফেলব।বন্ধ ঘরে যা খুশি করার কইরেন এখন সরুন।”

কথাটা বলেই জিহ্বা কামড়ে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেললাম।সাদাফ ভাই দুষ্টু হেসে বলে উঠে,,,

“সত্যি!”

আমি চুপ করে আছি,তখন মুখ ফসকে কী বলে ফেললাম সেটা ভেবেই লজ্জার মরে যেতে ইচ্ছে করছে।আমি কিছু বলছি না বলে উনি টুপ করে আমার হাতের উপর একটা চুমু খেলেন।উনার ঠোটের স্পর্শে কেঁপে উঠলাম আমি।উনি এবার মুচকি হেঁসে আমার মুখ থেকে হাত সরিয়ে আমার হাতটা উনার বুকে চেপে ধরলেন।আমি অবাক চোখে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করছি উনি কী করতে চাইছে?

“আজ তোমাকে সব বলব সাবিহা,আজ আর কিছু লুকাব না তোমার থেকে।”

আমি আগ্রহ নিয়ে উনার দিকে তাকাই জানার জন্য।

“তুমি জানতে চেয়েছিলে না কার থেকে তোমার লাইফ রিক্স আছে!কেন সেদিন ওমন পাগলামি করে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করলাম?আর কেনই বা সেই ছোট বেলার বিয়ে করেছি তোমাকে?”

আমি মাথা নেড়ে হ্যাঁ বুঝাই,উনি এবার আমাকে উনার বুকে টেনে নেয়।আর এক হাত দিয়ে আমার মাথাটা উনার বুকে চেপে ধরে।আরেক হাত দিয়ে আমার কোমড় জড়িয়ে ধরে।

“এসবের পিছনে শুধু একটা মানুষই দায়ী আর সে হল লিজা।”

গরিলা মার্কা মহিলার কথাশুনে আমি অবাকের চরম সীমানায় পৌঁছে যাই।গরিলা মার্কা মহিলার জন্য মানে কিছুই ত বুঝতে পারছি না।

“কিছু বুঝতে পারছো না ত,তবে শোন।আমাদের বিয়ে হয় যখন তুমি ক্লাস ফোরে তখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি এটা ত জানোই?”

আমি আবারও মাথা নাড়িয়ে বুঝাই জানি।উনি আবারও বলতে শুরু করে।

“শীলার সাথে বন্ধুত্ত আমার অনেক আগে থেকেই।শীলা যখন ক্লাস সেভেনে পড়ে তখন থেকে।আর তখন থেকেই তোমাদের বাড়িতে আমার আসা যাওয়া।
তখন থেকেই তোমার প্রতি মনে অন্য রকম একটা ফিলিংস কাজ করত।তুমি কোন ছেলের সাথে কথা বললে শয্য হত না।তুমি ব্যাথা পেলে আমার খুব কষ্ট হত।
এভাবে কেটে যায় এক বছর,তারপর পরিচয় হয় লিজার সাথে।লিজা,আমি,শীলা আর নিলয় খুব ভালো বন্ধু ছিলাম।কিন্তু লিজা আমাকে ভালবাসত সেটা আমি জানতাম না।বন্ধু হওয়ার খাতিরে লিজাও তোমাদের বাড়িতে আসত।আর তখন আমি লিজা,শীলা আর নিলয় ওদের কে ছেড়ে তোমাকে সময় দিতাম।সেটা লিজা মেনে নিতে পারত না তাই প্রায় সময়ই তোমাকে লিজা আঘাত করত।এটা যখন আমি জানতে পারি তখন আমি লিজার সাথে খুব খারাপ আচরন করে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দেই।তখন লিজার সব রাগ গিয়ে পড়ে তোমার উপর।আর লিজা একদিন সুযোগ বুঝে তোমাকে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে যায়।ছোট ছিলে তখন তাই ভালো মন্দ বুঝতে শিখো নি তখনও।লিজা তখন যা বুঝিয়েছে তুমি তাই বুঝে অর সাথে চলে গেছিলে।তোমাকে না পেয়ে তখন পাগল হয়ে গেছিলাম আমি।খুব ভালবাসি তোমাকে,অনেক চেষ্টার পর তোমাকে ফিরে পাই।আর তোমাকে হারানোর ভয়টা আমার তখন থেকেই।তাই জেদ ধরি তোমাকে বিয়ে করব,আর তাই করি।কাউকে না জানিয়ে খেলার ছলে তোমাকে বিয়ে করি।পরে সেটা আমার বাড়িতে জানালে তারা তোমার বাড়িতে জানায়।আর তারা মেনে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় তুমি বড় হলে আবারও নতুন করে বিয়ে দিবে আমাদের।
লিজা এখনও তোমাকে শয্য করতে পারে না তাই এখনও চেষ্টায় আছে তোমার ক্ষতি করার জন্য।সেদিন সকালে ওভাবে পাগলামি করার পিছনেও লিজা রয়েছে।ঐদিন ভোরে আমার ফোনে একটা আনানোন নাম্বার থেকে কল আসে।আর সেটা লিজার কল ছিল,লিজা আমাকে জানায় লিজাকে মেনে নিতে নয়ত তোমার ক্ষতি করে ফেলবে।আমি সেদিন খুব ভয় পেয়ে যাই আর যার ফল সেদিন সকালে ত দেখলেই।
তোমাকে রক্ষা করার জন্য তোমার পাশে থাকার জন্য এত তাড়াতাড়ি বিয়েটা করে ফেলি।আর বিয়ের দিন লিজা আর কাব্যকে কিডন্যাপ করি যাতে তারা কোন বাঁধা দিতে না পারে।”

কথাগুলো বলতে গিয়ে সাদাফ ভাইয়ের চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ল।উনি এখন আমাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে।আমি চুপ করে উনার কথা শুনে চলেছি।নিজেকে ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে এমন একজনকে নিজের জীবনে পেয়ে।অনেক বেশিই ভালবাসে উনি আমাকে।আমিও এবার উনাকে জড়িয়ে ধরি,উনি সেটা বুঝতে পেরে আমাকে আরো জোড়ে চেপে ধরে।যেন ছেড়ে দিলেই হারিয়ে যাব আমি।এভাবে বেশ কিছুক্ষণ থাকার পর সাদাফ ভাই আমাকে ছেড়ে চোখের পানি মুছে প্রশ্ন করে।

“সবই ত জানলে এবার বলো ত তুমি তখন ওখানে পৌঁছালে কীভাবে?”

আমি এবার বোকার মত হেঁসে বলে উঠি,,,

“আপনাকে ফলো করতে করতে এসেছি এখানে।”

উনি আমার কথাশুনে অবাক হয়ে যায়।

“তোমাকে না বেঁধে এসেছি আমি।”

“আমার শ্বাশুড়ি আম্মা আছে কী করতে হুম?”

কথাটা বলেই হেঁসে ফেললাম আমি।

“পাগলি একটা।”

কথাটা বলে আবারও উনার বাহুডোরে আগলে নেয় আমাকে।

#চলবে,,,

(আর বেশি বড় করব না গল্পটা,খুব তাড়াতাড়ি বিদায় হবে সাদাফ,সাবিহা জুটি🙃)

#ভালবেসে রাখব কাছে
#লেখিকাঃ সাদিয়া সিদ্দিক মিম
#পর্বঃ৩১(অন্তিম পর্ব)

কাব্য আর লিজাকে ইচ্ছেমত মেরে চলেছে সাদাফ আর সাবিহা।আর এমন দৃশ্য নিলয় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে।এভাবে অনেকক্ষণ মারার পর সাদাফ আর সাবিহা দুজনেই হাঁপিয়ে উঠে।অন্যদিকে লিজা আর কাব্য রক্তাক্ত অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে।সাবিহা এবার হাটু গেড়ে তাদের সামনে বসে আর কাব্যর গাল চেপে ধরে বলে উঠে।

“ভেবেছিলাম তদের বিয়ে দিয়ে ছেড়ে দিব কিন্তু তোরা আজ যা করেছিস তার জন্য তোদের মারতেও আমার হাত কাঁপবে না।বল আপুকে কই রেখেছিস?নয়ত এখানেই মেরে পুঁতে ফেলব।”

“আআআমি জা-জানি না।”

সাবিহা এবার নিলয়ের কোমড় থেকে গানটা নিয়ে কাব্যর মাথায় ধরে।কাব্য সেটা দেখে ভয়ে শুকনো ঢোক গিলে।সাবিহা এবার রেগে চিৎকার করে বলে উঠে,,,

“ভালোয় ভালোয় বলে দে আপু কোথায়?”

“ববলছি,শী-শীলা কোথায় আ-আছে সেটা ল-লিজা জানে।”

আমি এবার লিজার সামনে গিয়ে দাঁড়াই,আর লিজার গালে ঠাস করে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেই।

“আপুকে কোথায় রেখেছিস?”

লিজা আমার কথার কোন উওর না দিয়ে হেঁসে উঠে।

“বলব না,তোর যা করার করে নে।”

“শেষবারের মত জানতে চাইছি আপু কোথায়?” (চিৎকার করে)

“তোর কপাল ভালো তোর বোনকে এখনও খুন করি,,,
আহহহহ।”

লিজা আর কিছু বলার আগেই লিজার পায়ে সুট করি আমি।আর লিজা ব্যাথায় কুকিয়ে উঠে,নিলয় ভাইয়া আমার থেকে গানটা নিতে আসলে সাদাফ ভাইয়া আটকে দেয়।আমি এবার লিজার পায়ের ক্ষতস্থানে দাঁড়াই,লিজা যন্ত্রণায় ছটফট করছে।

“আমাকে মেরে ফেলার কথা বলে পাড় পেয়েছিস বলে আমার বোনকে নিয়ে এমন কথা বলবি সেটা কিছুতেই মেনে নিব না আমি।তাড়াতাড়ি বল আপু কোথায়?”

“আ-আমার বাড়িতে।”

লিজার বাড়িতে আপু আছে শুনে আমি নিলয় ভাইয়ার দিকে তাকাই।তখন উনি আমাকে আস্বস্ত করে উনি লোক পাঠাচ্ছেন সেখানে আপুকে নিয়ে আসতে।আমি এবার কিছুটা নিশ্চিন্ত হই এটা ভেবে যে আপু ঠিক আছে।

“আমাকে হসপিটালে নিয়ে যাও তাড়াতাড়ি,আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।আমি এত তাড়াতাড়ি মরতে চাই না,প্লিজ বাঁচাও আমাকে।”

“মৃত্যুকে এতটা ভয় পাস তবে মৃত্যুর পরের জীবনটাকে কেন ভয় পাস না।মৃত্যুর পরের জীবনটা ভয় করলে ত তোর দ্বারা এতগুলো খারাপ কাজ হত না।”

“আমাকে মাফ করে দেও,আমি আর কখনও এমন করব না।দয়াকরে বাঁচাও আমাকে,আমাকে হসপিটালে নিয়ে চলো কেউ।”

লিজার কথাশুনে আমি লিজা আর কাব্যর দিকে তাকাই।দুজনের শরীরের অবস্থাই নাজেহাল, দুজনকে হসপিটালে পাঠাতে হবে।তাই কিছুক্ষণের মধ্যেই দুজনকে হসপিটালে পাঠিয়ে দেই।আর আমরা আমাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা হই।গাড়িতে সবাই চুপচাপ বসে আছি,নিরবতা ভেঙ্গে নিলয় ভাইয়া বলে উঠে,,,

“আমি ত কিছুই বুঝলাম না,শীলাকে কিডন্যাপ করল কেন অরা?আর তোরাই বা বুঝলি কীভাবে যে অরা কিডন্যাপ করেছে?”

তখন সাদাফ ভাইয়া বাঁকা হেঁসে বলে উঠে,,,

“এসবই সাবিহার কান্ড,আসলে কাব্য আর লিজাকে সাবিহার কথাতে আমি আটকে রেখেছিলাম তাদের বিয়ে দিব বলে।কিন্তু কাব্য আর লিজা পালিয়ে যায় কোনভাবে,আর শীলাকে কিডন্যাপ করে নেয়।।যাতে করে তারা সাবিহাকে ব্যাক মেইল করে যা খুশি তাই করাতে পারে আর তার থেকে প্রতিশোধ নিতে পারে।শীলাকে যখন খুঁজে পাওয়া যায় না তখন সাবিহা কাব্য আর লিজার খোঁজ লাগায়।আর সাবিহা যখন জানে যে কাব্য আর লিজা পালিয়েছে তখন তার প্রথমেই সন্দেহ হয় কাব্য আর লিজার উপর।তাই ত তোর সাহায্য নিয়ে ওদের খুঁজে বের করে ইচ্ছেমত কেলাইছি।আর যার ফল শীলাকে খুঁজে পেলাম আমরা।”

“মানতে হবে বস,সাবিহা কিন্তু মহিলা ভয়ংকরী।”

কথাটা বলেই দুজনে হেঁসে উঠল,আর আমি চুপ করে বসে আছি।

____________________________________

দেখতে দেখতে আপু আর মেঘ ভাইয়ার বিয়েটা সম্পূর্ণ হয়ে যায়।খুব ভালো করেই ওদের বিয়েটা সম্পূর্ণ হল।আপুকে বিদায় দিয়ে আমি আর সাদাফ ভাইয়া আমাদের বাড়িতে চলে এলাম।বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে আমি ব্যালকনিতে চুপচাপ বসে আছি।পিছন থেকে সাদাফ ভাইয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে।আমি সেটা বুঝতে পেরেও কিছু বললাম না।উনি এবার আমাকে উনার দিকে ঘুরিয়ে বলে উঠে,,,

“তখন থেকে দেখছি এমন মনমরা হয়ে আছো।কী হয়েছে তোমার?”

“মানুষ কতটা খারাপ হলে নিজের ফুপাত বোনদের সাথে এমন করতে পারে!”

“এটা নিয়ে যত ভাববে তত খারাপ লাগবে।ত এসব নিয়ে একদম ভেবো না,শুধু এটা ভাবো কীভাবে ওদের শাস্তি দিবে।”

“ওদেরকে আমি পুলিশের হাতে তুলে দিব।”

“অরা এতগুলো অন্যায় করল আর তুমি ওদের নিজে কোন শাস্তি দিবে না!”

“না দিব না,এ পর্যন্ত যতটুকু ওদের শাস্তি দিয়েছে ততটুকুই যথেষ্ট।বাকিটা চৌদ্দ শিকের ভিতরেই পেয়ে যাবে অরা।আর আমি যদি ওদের মত ছলনা করে অন্যায় করি তবে ওদের আর আমার মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না।”

“ওরে আমার বউটারে কত কিছু আছে যে এই ছোট্ট মাথায়।”

“হুম,ধন্যবাদ আপনাকে এভাবে আমার পাশে থাকার জন্য।”

“ধন্যবাদে আজ কাজ হচ্ছে না মেডাম,আমার ত অন্যকিছু চাই।”

“কী চাই বলুন!”

“ভালবেসে কাছে রাখতে চাই।”

আমি লজ্জায় উনার বুকে মুখ লুকাই।উনিও আমাকে উনার বুকে আগলে নেয়।

____________________________________

তিন বছর পর,,,

ওটির সামনে সাদাফ সমানে পাইচারি করে চলেছে।একটু পরপর নিলয়কে জিজ্ঞেস করছে।

“দোস্ত আমার সাবিহার কষ্ট হচ্ছে খুব।ওদের বল না আমাকে সাবিহার কাছে যেতে দিতে।”

আর নিলয় প্রতিনিয়ত সাদাফকে শান্ত করার চেষ্টা করে চলেছে।

আজ সাবিহার ডেলিভারির জন্যই সবাই হসপিটালের ওটির সামনে জড়ো হয়েছে।এখানে সবাই উপস্থিত আছে,সাবিহা আর সাদাফের পুরো পরিবার।নিলয় আর হিয়াও আছে এখানে,তাদের বিয়ে হয়েছে দুই বছর আগে।তাদের কোন সন্তান নেই।অন্যদিকে মেঘ আর শীলার একটা দুই বছরের ছেলে আছে।
কাব্য আর লিজা বর্তমানে জেলে আছে,জেল থেকে বের হবার মত কোন পথ খোলা রাখে নি সাদাফ।তাই তারা আপাতত জেলেই রয়েছে।

দীর্ঘ এক ঘন্টা পর ডাক্তার কেবিন থেকে বেরিয়ে আসে।এবং তার পিছনে একটা নার্স সাদা তোয়ালো জড়িয়ে ফুটফুটে একটা মেয়েকে নিয়ে এসে সাদাফের কোলে দেয়।খুশিতে সাদাফের চোখে পানি চিকচিক করছে।সাদাফ তার মেয়ের কপালে একটা চুমু দিয়ে উত্তেজিত হয়ে ডাক্তারকে বলে।

“আমার বউ মানে সাবিহা কেমন আছে?”

“উনি ভালো আছে,দেখা করতে পারবেন উনার সাথে।”

ডাক্তার কথাটা বলতে দেরি কিন্তু সাদাফের যেতে দেরি হয় নি।সাদাফ তার মেয়েকে কোলে নিয়ে সাবিহার কাছে আসে।এসে দেখে সাবিহা শুয়ে আছে,সাদাফ সাবিহার পাশে বাবুকে শুইয়ে দিয়ে সাবিহার সারামুখে ভালবাসার পরশ একে দেয়।সাবিহা সাদাফের এমন কাজে মুচকি হাসে।

“ধন্যবাদ আমার জীবনে এসে জীবনটা এত সুখের করার জন্য,ধন্যবাদ ভালবেসে আমার পাশে থাকার জন্য,ধন্যবাদ আমাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুখ দেয়ার জন্য।”

সাদাফের কথার পরিবর্তে সাবিহা শুধু একটা কথাই বলল,,,

“ভালবাসি আপনাকে।রাখবেন কী আমাকে ভালবেসে আপনার কাছে?”

সাবিহার মুখে ভালবাসি কথাটা শুনে সাদাফ খুব খুশি হয়ে যায়।কারন এই তিন বছরে আজ এই প্রথম সাবিহা তাকে ভালবাসি বলল।আজকের দিনটা সাদাফের জীবনে শ্রেষ্ঠ একটা দিন হয়ে থাকবে।সাদাফ খুশিতে সাবিহাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে বলে উঠে।

“আমিও তোমাকে খুব ভালবাসি।আর সারাজীবন তোমাকে ভালবেসে রাখব কাছে।”

★★★★★★★★সমাপ্ত★★★★★★★★

(লেখালেখির জগতে এসেছি খুব বেশি সময় হয় নি,একদমই নতুন হাতের লেখা।তাই হয়ত সবটা গুছিয়ে লিখতে পারি নি,অনেক ভুল করেছি হয়ত।তারপরও আপনাদের অঢেল ভালবাসা পেয়েছি।এভাবেই আমার পাশে থাকবেন,ইনশাআল্লাহ সামনে ভালো কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করব।খুব শীঘ্রই নতুন গল্প নিয়ে হাজির হব ততদিনে কেউ আমাকে ভুলে যাবেন না যেন।
আর জানাবেন সবাই গল্পটা কেমন লেগেছে আপনাদের?)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here