“ভালোবাসার_ভুল Part-07+08

#ভালোবাসার_ভুল
#writer_Sp_sanjana_ (সাগরিকা)
Part-07+08
🍁🍁🍁
কে গান গাইছে দেখার জন্য স্টেজের দিকে ছুটলাম।সামনে দেখলাম কেউ একজন পিছন ফিরে বসে আছে সে ই গান টা গাইছে। আমি গানটা মন দিয়ে শুনছিলাম কেন যেন মনে হচ্ছিল গানটা শুধু আমার জন্যই —
Hmmmm….
La La la la laaaa….
Gustakh nazroon ne,
Dakha hai tumko….
Khushboo fizaa ki kare,
bekarar hamko,
Dil ki sune to
Raha Jaye na❌……
Kehna Jo chahun,
Kaha Jaye na….
Jab tumko dekhun,
Lagta Hai ye……
Keh ke hi tumko,
milega Aaaram….
Gum Hai Kisi ke pyar me,
Dil Subah shaam….
Par tumhe likh Nahi paaun,
main uska naam…..
Haaye……… Ram
Haste……….Ram
গান শেষে যখন ছেলেটি সামনের দিকে ফিরল তখন আমি অবাক হয়ে দেখি এই তো রাত ব্যানার্জি আমার favourite singer। এইটাই প্রোগ্রামের শেষ গান হওযায় রাতের যাওয়ার পথে ভিড় পড়ে যায় অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য। আমি ও যাই এতো ভিড়ে ঠিক পেড়ে উঠছিলাম না। হঠাৎ রাত সবাইকে সাইড দিতে বলল।আমি ভাবলাম এই বুঝি চলে যাবে কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে আমাকে কাছে ডেকে নিল আর অটোগ্রাফ ও দিল।তারপর আবার মানুষের ভিড় জমে গেল শুধু আমরা একে অপরকে দেখছিলাম।মৌ এর ডাকে ধ্যান ভাঙলো।
মৌ:- তোর অটোগ্রাফ নেওয়া হলে আমরা বাড়ি যেতে পারি।আজ মেঘটাও অনেক বিজি আমার সাথে যেতে পারবে না তুই চল না রে।
নিঝুম:- হঠাৎ প্রহরের আজ আমার সাথে দেখা না করার কথা মনে পড়তেই রাগ করে মৌকে নিয়ে সেখান থেকে চলে এলাম।
বাড়িতে এসে রুমে ঢুকে জুয়েলারি খুলে বিছানায় শরীর এলিয়ে দিলাম। কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে ফ্রেশ হতেই প্রহরের ফোন এল।
প্রহর:- তুমি প্রোগ্রামের পর কোথায় ছিলে আমাদের তো কোথাও যাওয়ার কথা ছিল ভুলে গেলে।
নিঝুম:- আমি ভুলিনী তুমি ই ভুলেছো পুরো প্রোগ্রামে একবার আমার সাথে কথা বলো নি একবার দেখনি আমার দিকে তুমি তো ঐ শাকচুন্নি র সাথে নাচতে বিজি ছিলেন।😡
প্রহর:- তুমি রাগ করছ কেন আমি আসলে বিজি ছিলাম প্রোগ্রামের কাজ আবার পার্ফোমেন্সেও।সরি রাগ করো না।
নিঝুম:- আচ্ছা ঠিক আছে ঐ নিশিকে যাতে তোর পাশে আর না দেখি।ঠিক আছে আবার রাতে কথা হবে বাই।
কথা বলে বেলকনিতে গিয়ে দেখি সন্ধ্যা হয়ে এলো তাই এক কাপ কফি নিয়ে বাগানে হাঁটতে গেলাম আমি প্রায়ই এমন করি মন খারাপের রাতে।পরদিন কলেজ শেষ হলে নিঝুম আর প্রহর, নিঝুমের পছন্দের একটা জায়গায় নদীর পারে বসে আছে আর গল্প করছে যদিও প্রহরের এইসব জায়গা পছন্দ না।জলের কলকল শব্দে শান্ত পরিবেশে দুজন বসে আছে আর গল্প করছে।কিছুসময় এভাবেই কাটিয়ে দুজন বাসায় চলে যায়। একসপ্তাহ পর একদিন সকালে কলেজে গিয়ে ই নিঝুম মৌ,নিকি আর বিথীকে ডাকে কলেজ ক্যাম্পাসে সারপ্রাইজ প্ল্যান করার জন্য।
নিঝুম:- তোরা আমার একটু সাহায্য করবি একটা সারপ্রাইজ প্ল্যান করতে।
মৌ:- কিসের সারপ্রাইজ রে আর কার জন্য?
নিকি:- ওহো আমি জানি প্রহর ভাইয়ার বার্থডে প্ল্যান করছিস না তুই?
বিথী:- বাহ বাহ এতো দূর তা প্রোপজ কে করল প্রহর ভাইয়া।
নিঝুম:- তোরা থামবি কেউ কাওকে প্রোপজ করেনি তবে আমি তাকে তার বার্থডে তে সারপ্রাইজ পার্টি দিতে চাই।
আর বাকিটা সারপ্রাইজ থাক তোদের জন্য ও(মনে মনে)
মৌ:- সেই ব্যাপার ভাইয়ার বার্থডে কবে?
নিকি:- আমি জানি সামনের সপ্তাহে।
বিথী:- আচ্ছা রেস্টুরেন্ট বুকিং ফ্রেন্ডের ইনভাইট দেওয়া এসব আমরা করে দেব।
মৌ:- ডেকোরেশনটা আমি দেখে নেব বাকিটা তুই জানিস।
তারপর কেন্টিনে গিয়ে সবার সাথে গল্প করে কিছু খেয়ে আজ আর ক্লাস না করে চলে এলাম।এইভাবে কিছু দিন চলে গেল বার্থডে নিয়ে।নিঝুম ভাবছে প্রহরের বার্থডেতেই সে তার মনের কথা বলবে তখন তাদের সম্পর্কের ও একটা নাম হবে। অধিকার বোধ ও হবে আর প্রহর রাজী হলে খুব শীঘ্রই বাসায় ও জানাবে।এসব ভাবতে ভাবতেই মাম্মাম চলে এল।
মাম্মাম:- অনেক রাত হল এখন খেয়ে ঘুমিয়ে পড় সকালে কলেজ আছে না।
নিঝুম:- হম আছে মাম্মাম কাল বিকেলে আমি একটু বের হব আমার এক ফ্রেন্ডের বার্থডে সেলিব্রেশন হবে।
মাম্মাম:- আচ্ছা এখন খেতে তো আয়।
পরদিন সকালে ঘুম ভাঙতেই মনে এক অদ্ভুত আনন্দ অনুভব করলাম।আজ প্রহরকে আমি আমার মনের কথা বলব।কাল রাতে ও প্রহরকে বার্থডে উইশ করিনি সারপ্রাইজ দিবো বলে। আজ সারাদিন এর সামনে পড়া যাবে না, মেঘদের বলতে হবে প্রহরকে যেন ওরা নিয়ে আসে রেস্টুরেন্ট এ।তাই তাড়াতাড়ি কফি খেয়ে ফ্রেশ হয়ে রেড়ি হয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
চলবে………..

Part-08

🍁🍁🍁🍁
In কলেজ,
কলেজ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছি মৌ,নিকি , বিথী এখনো কারো দেখা নেই।
চিন্তায় আমি বারবার ঘড়ি দেখছি সময় তো নিজের গতিতে চলছে কিন্তু মেয়ে গুলোর দেখা নেই।সেই কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি মাথাটা ভনভন করছে😇😇।ব্যাগ থেকে বোতল নিয়ে জল খাচ্ছিলাম দেখি মৌ, বিথী আর নিকি আসছে।
নিঝুম:- এতক্ষনে টাইম হল তোদের আসার?এখন বল কাজ হয়েছে?🤔
মৌ:- আমার তো ডেকোরেশন এর জিনিস কেনা হয়ে গেছে বিকালে একবারে গিয়ে সাজাব।
নিকি:- আমার restaurant booking is done.👍
বিথী:- আমিও প্রহরের বন্ধুদের ইনভাইট করে নিয়েছি। শুধু পার্টির কথা বলেছি কিসের পার্টি বলিনি ঠিক যেমন তুই বলেছিলি।
নিঝুম:- বাহ Thnx u re Thank u so much.
এখন চল ক্লাস করি তারপর বাসায় চলে যাব।বিকেল ৪ টার মধ্যে সবাই রেস্টুরেন্ট এ চলে আসিস।
কলেজ শেষ হলে সবাই বাসায় চলে যায়। সবাই ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে সবাই রেডি হয়ে নিল।
আজ নিঝুমের জন্য সবচেয়ে বিশেষ দিন আজ সে নিজেকে রাঙ্গিয়ে তুলল প্রহরের রং এ নীল রঙের শাড়ি বেলী ফুলের মালা দিয়ে খোঁপা কাজল কালো চোখে অপরূপা লাগছে তাকে😍😍।বিকেল ৩ টায় ই গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেল।প্রথমে মৌ কে তার বাড়ি থেকে পিক আপ করে একগুচ্ছ লাল গোলাপ আর অর্ডার করা ব্ল্যাক ফরেস্ট কেক নিয়ে সোজা চলে গেল রেস্টুরেন্ট এ। একটা কেবিন আগে থেকেই বুক করে রেখেছিল বিথী সেখানেই গেল।আজ নিঝুম চায় একদম তার মনের রং দিয়ে সাজাবে আজকের এইদিন তাইতো লোক দিয়ে না সাজিয়ে নিজের হাতে সাজায় সব।নীল আর সাদা বেলুন দিয়ে চারিদিকের দেয়াল ভরে উঠে।ফ্লোরে লাল Hart shape বেলুনের ছড়াছড়ি।সামনে একটা ছোট সেন্টার টেবিলে কেক চাকু, লাল গোলাপের পাপড়ি আর মোমবাতি জ্বালিয়ে সাড়িয়ে তোলা হয়।😍😍
In restaurant বিকেল ৫টা,
নিঝুম,মৌ,বিথী, নিকি সবাই মিলে সাজানো শেষ করল।সবাই চলে ও আসল নিশি,অর্নব,আর প্রহরের বাকি কলেজের বন্ধুরা ও চলে এল। মেঘ আর আকাশ নিয়ে আসবে প্রহরকে।মেঘদের ফোন করে নিল ওদের কতটা সময় লাগবে জানার জন্য।তারপর সব লাইট বন্ধ করে দিল প্রহর আসলে সারপ্রাইজ দেবে বলে।
প্রহরকে মেঘ আর আকাশ পার্টি দেওয়ার কথা বলে রেস্টুরেন্ট এ নিয়ে এল।
প্রহর:- চল ভেতরে যাই।
মেঘ:- হম যাব চল।
ভিতরে রিসেপশনে অনেক কষ্টে প্রহরকে ভুলভাল বুঝিয়ে ঐ কেবিনে নিয়ে এল।😂
প্রহর:- ভিতরে এতো অন্ধকার কেন চল তো রিসেপশনে বলি।🙄
আকাশ:- আরি যেতে হবে না তুই ভেতরে গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।😆
প্রহর ভিতরে ঢোকার সাথে সাথে লাইট জলে উঠল আর সবাই একসাথে বার্থডে উইস করল।প্রহর ভিতরে ঢুকার পর নিঝুম এসে প্রহরকে বার্থডে উইশ করল।নিশি কে এইখানে দেখে প্রহর কিছুটা অপ্রস্তুত হল কারন এখন প্রহর বুঝে গেছে এই পার্টি কারন কি নিঝুম আজ অবশ্যই প্রোপজ করবে ওকে।
নিশি:- সবার নজরের আড়ালে এসে প্রহরকে বলল “তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে বাইরে এসো”।😡
প্রহর:- তুমি যাও আমি আসছি।😒
নিশি বেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে প্রহর ও হোটেলের করিডোরের দিকে এগিয়ে গেল।সবাই তখন গানের সাথে হালকা নাচছিল তাই কেউ খেয়াল করেনি কিন্তু দুটি চোখ ওদের দেখছিল তা ওদের অজান্তে।
চলবে………..
(জানি আজকের পার্ট অনেকটা ছোট হয়েছে কালকে লেখার সময় পাইনি একদম আজ এইটুকু ই লেখা হল আপনারা ওয়েট করবেন বলে দিয়ে দিলাম।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here