ভালোবাসা তুই পর্ব -১৫+১৬

#ভালোবাসা_তুই
#পর্বঃ১৫
#লেখিকা_নিদ্রানী_নিদ্রা

[ কপি করা নিষেধ ]

আমরা সবাই রাতের বাসে করেই বাসায় ফিরলাম । নিশাত ভাইয়া ও আমাদের সাথে এলো । বাসায় ফিরার পর আম্মু আমাকে দেখেই বললেন,

” একি তোর মাথায় কি হয়েছে ? মাথায় ব্যান্ডিজ করা কেন ?

আমি আপুর দিকে একবার তাকালাম তারপর মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলাম । কি বলবো আম্মুকে ? এখন যদি বলি পাহাড় থেকে পড়ে গিয়েছি তাহলে আমাকে আর কোথাও যেতে দিবে না । আমাকে চুপ থাকতে দেখে আম্মু বলল ,

” কি হলো কথা বলছিস না কেন ?

আমি কি বলবো ভাবছি । তখন শুভ্র ভাই আম্মুকে বললেন ,

” তেমন কিছু না ফুপ্পি । তোমার তো মেয়ে চোখ হাতে নিয়ে হাঁটে তাই একটা গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছে । কয়েক দিন গেলে ঠিক হয়ে যাবে। তুমি কোনো চিন্তা করো না ।

শুভ্র ভাই আমাকে মিথ্যা কথা বলে বাঁচিয়ে দিলো । তাও আম্মু বলল ,

” এতো বড় মেয়ে হয়েছিস এখন ও দেখে-শুনে চলাফেরা করতে পারিস না ? তুই কি এখন ও বাচ্চা নাকি ?

” আম্মু আমি তো দেখেই হাঁটছিলাম হঠাৎ করে তোমার আদরের ভাতিজা আমায় ডাক দিলো আমি উনার দিকে তাকাতে গিয়েই তো গাছের সাথে ধাক্কা খেলাম ।

” তুই নিজে দেখে-, শুনে হাঁটতে পারিস না এখন শুভ্রের নামে দোষ দিচ্ছিস ? কি ভেবেছিস আমি কিছু বুঝি না। তুই আমাকে যা বলবি তাই বিশ্বাস করবো ?

কই ভাবলাম মিথ্যা কথা বলে আম্মুকে দিয়ে শুভ্র ভাইকে দিয়ে একটু বকা খাওয়াবো তা না আমার মা জননী আমার কথা বিশ্বাসই করছে না । আমি কাঁদো কাঁদো মুখ করে আম্মুকে বললাম ,

” আমি কি তোমায় মিথ্যা কথা বলেছি আম্মু ?

” বলতেও পারিস । তুই তো আবার শুভ্রকে সহ্য করতে পারিস না ।

” তুমি কি সত্যি আমার আম্মু ?

” নাহ । আমি তো তোকে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম ।

” আমার ও তো তাই মনে হয় । তুমি আমার আম্মু হলে তো আমার হয়ে কথা বলতে তা না করে শুভ্র ভাইয়ের হয়ে কথা বলছো ।

তখন আপু বলে উঠলো ,

” আম্মু অনেক টায়ার্ড লাগছে । ওর সাথে কথা না বলে কিছু নিয়ে এসো না ।

” হুম যাচ্ছি ।

আম্মু চলে যাওয়ার পর শুভ্র ভাইয়া আপুকে বলে উঠলো,

” দেখেছিস তৃষা তোর বোনটা কেমন ফাজিল হয়েছে । আমি শুভ্রতাকে বকা খাওয়ার জন্য মিথ্যা কথা বললাম আর শুভ্রতা তা কি করলো ? আমার নামে মিথ্যা কথা বলে আমাকে ফাঁসিয়ে দিলো । ভাগ্যিস ফুপ্পি তার মেয়েকে হাড়ে হাড়ে চিনে তা না হলে আমার কি হতো ?

আমি শুভ্র ভাইকে বললাম ,

” তখন আপনাকে পুলিশে দেওয়া হতো । আপনার নামে মামলা করা হতো ” অবুঝ বালিকা শুভ্রতাকে ডাক দেওয়াতে শুভ্রতা গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে মাথায় আঘাত পেল । সেই অপরাধে মিস্টার শুভ্রকে গ্রেফতার করা হলো ”

” পুলিশের কি এতো সাহস আছে এই শুভ্রকে গ্রেফতার করার ? যে আমাকে গ্রেফতার করবে ।

” আপনি কে যে আপনাকে গ্রেফতার করতে পারবে না ?

” আমি কে সেটা তোকে জানতে হবে না ।

আমি একটা ভেংচি কেটে আমার রুমে এসে ফ্রেস হয়ে নিলাম । তারপর নিচে এসে দেখি সবাই একসাথে বসে গল্প করছে । আমি যাওয়ার পর আম্মু এসে বলল ,

” খাবার রেডি করেছি । সবাই খেতে এসো ।

আমরা সবাই খেতে গেলাম । খাওয়া শেষে যে যার যার রুমে চলে গেলাম । আমি আর নিশি এক রুমে । আপুর সাথে মিম থাকবে । শুভ্র ভাইয়ের সাথে নিশাত ভাইয়া আর তুষার ভাইয়া ও রনি ভাইয়া এক রুমে ।

আমি আর নিশি রুমে আসার পর শুয়ে পড়লাম । বেশ কিছুক্ষণ পর নিশি আমাকে ডাক দিলো ,

” শুভ্রতা ঘুমিয়ে গেছিস ?

আমি অবশ্য ঘুমিয়ে যাই নি কিন্তু চোখে অনেক ঘুম । তাই নিশিকে বললাম ,

” নাহ ! কেন বল ?

” আমার না ঘুম আসছে না । ছাদে যাবি ? চল না ছাদে যাই ।

” আমার চোখে এখন অনেক ঘুম । তুই যা প্লিজ আমি যাব না ।

” আচ্ছা তাহলে আমিই যাই ।

তারপর শুভ্রতাকে রুমে রেখে আমি ছাদে চলে এলাম । শুভ্রতা অসুস্থ তাই আর জোর করলাম না । আমি একাই চলে আসলাম । আমি ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছি । নিস্তব্ধ রাত , কোনো কোলাহল নেই । পরিবেশটা অনেক সুন্দর । আমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর কারো ছাদে আসার শব্দ পেলাম । পেছনে তাকিয়ে একটা ছেলের অবয় দেখতে পেলাম । কিন্তু অন্ধকারে ছেলেটাকে ঠিক চিনতে পারলাম না । আমি ছেলেটিকে বললাম ,

” কে ?

” আমি নিশাত ।

” ওহ আপনি ?

” হুম । এতো রাতে একা ছাদে দাঁড়িয়ে কি করছো ?

” ঘুম আসছিলো না আর শুভ্রতাকে আমার সাথে আসতে বলেছিলাম কিন্তু ওর চোখে অনেক ঘুম তাই আমাকে একাই আসতে হলো । আপনি এখন এখানে কেন ?

” আমারও ঘুম আসছিলো না তাই আসলাম ।

” ওহ ।

” তুমি আছো ভালোই হলো । এখানে এসে একা একা দাঁড়িয়ে থাকতাম । এখন তোমার সাথে কথা বলা যাবে আর সাথে এক কাপ কফি হলে ব্যাপারটা মন্দ হতো না।

” আচ্ছা আপনি এখানে দাঁড়ান আমি কফি করে নিয়ে আসছি ।

” আরে থাক তোমার কফি করা লাগবে না ।

” দাঁড়ান তো আপনি ।

তারপর আমি কফি করতে চলে গেলাম । ২ কাপ কফি করে ছাদে এলাম । এসে দেখি নিশাত ভাইয়া আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে । আমি উনার কাছে এসে কফির কাপটা এগিয়ে দিয়ে বললাম ,

” এই নিন কফি ।

” thanks .

” Welcome .

উনি কফির কাপে একটা চুমুক দিয়ে বললেন ,

” বাহ ! বেশ ভালোই তো কফি বানাতে পারো ।

আমি মুচকি হেসে বললাম,

” এটাই একটু ভালো পারি ।

দুজনই চুপ থেকে কফি খেতে লাগলাম। তারপর আমি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম,

” কালকেই চলে যাবেন ?

” হুম ।

উনার চলে যাওয়ার কথা শুনে কেন জানি নিজের অজান্তেই মনটা খারাপ হয়ে গেল । উনি আমাকে জিজ্ঞেস করল ,

” কি হলো ?

” কিছু না ।

” তুমি কি এখানেই থাকো ?

” না । আমি রাজশাহী শহরে থাকি । কয়েকদিন পরেই চলে যাব ।

” রাজশাহী তো আমার মামার বাড়ি ।

” এতো বড় শহরে আপনি মামার বাড়িতে গেলেও হয়তো দেখতে পারবো না ।

” কে বলেছে ? দেখা হতে ও তো পারে ।

” হয়তো হবে ।

” হুম । অনেক রাত হয়েছে চলো রুমে যাই।

” আচ্ছা চলুন ।

#চলবে

[ গল্প ভালো লাগলে সবাই শেয়ার করবেন ]#ভালোবাসা_তুই
#পর্বঃ১৬
#লেখিকা_নিদ্রানী_নিদ্রা

[ কপি করা নিষেধ ]

সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করেই তুষার ভাইয়া, রনি ভাইয়া আর মিম ওদের বাসায় চলে গেল । নিশাত ভাইয়া রেডি হতে গেছে । নিশাত ভাইয়া ও এখন চলে যাবেন। আমি আর নিশি সোফায় বসে আছি। আপু তার নিজের রুমে । শুভ্র ভাই নিশাত ভাইয়ার সাথে আর আম্মু রান্নাঘরে । তখন উপরে তাকিয়ে দেখি নিশাত ভাইয়া আর শুভ্র ভাই নিচে নামছে । নিচে এসে নিশাত ভাইয়া নিশির কাছে গিয়ে মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলল ,

” আসছি কিউটি । আবার ও দেখা হবে ।

” হুম। ভালো থাকবেন।

” তুমিও ভালো থেকো ।

তারপর আমার কাছে এসে বলল ,

” অনেক মজা করেছি তোমাদের সাথে । আমাদের বাসায় যেও । তোমাদের সাথে থেকে অনেক ভালো লেগেছে । যাই এখন ।

” আমাদের ও অনেক ভালো লেগেছে । আবার আসবেন ভাইয়া ।

” আচ্ছা ।

শুভ্র ভাই আম্মুকে ডাক দিলেন ।

” ফুপ্পি কোথায় তুমি ?

আম্মু রান্নাঘর থেকে বলল ,

” আসছি বাবা ।

কিছুক্ষণ পর আম্মু এলো । আম্মু আসার পর নিশাত ভাইয়া আম্মুকে বলল ,

” আসছি আন্টি ।

” আবার এসো ।

শুভ্র ভাই আম্মুকে বলল ,

” আমিও যাই ফুপ্পি ।

” তুই আজকে থেকে যা না ।

” না । অন্য সময় আসবো আজকে যাই ?

” আচ্ছা সাবধানে যাস ।

তারপর শুভ্র ভাই আর নিশাত ভাইয়া চলে গেল । আমি আর শুভ্র ভাইদের বাসায় গেলাম না। শুভ্র ভাই মাঝে মাঝে আমাদের বাসায় এসেছে । মামনি ও একবার এসে দেখে গেছে আমাকে । নিশি কয়েক দিন আগে রাজশাহী চলে গেছে । নিশি যাওয়ার পর অনেক খারাপ লেগেছিল । সব সময় আমরা একসাথে ছিলাম। এখন চলে গেছে। আমি এখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছি। আজকে ঘুম থেকে উঠে সোফায় বসে আছি । হঠাৎ করে মনে হলো অনেক দিন ধরে ভার্সিটিতে যাওয়া হয় না । ভাবছি আজকে ভার্সিটিতে যাব । আপুর রুমে গেলাম। গিয়ে দেখি আপু তুষার ভাইয়ার সাথে ফোনে কথা বলছে । আমি গিয়ে আপুকে বললাম,

” আপু ভার্সিটিতে যাবে ?

” না। আজকে ভালো লাগছে না । তুই কি ভার্সিটিতে যাবি নাকি ?

” হ্যাঁ। অনেক দিন ধরে ভার্সিটিতে যাচ্ছি না ।

” কালকে যাস ?

” না। আমি আজকেই যাব । তোমার ভালো না লাগলে তুমি থাকো বাড়িতে। আমি একাই যেতে পারি ।

বলে নিচে চলে এলাম । নিচে এসে আম্মুর কাছে রান্নাঘরে গেলাম । রান্নাঘরে গিয়ে আম্মুকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললাম,

” আম্মু আজকে ভার্সিটিতে যাব ।

” গেলে যাবি কিন্তু আমাকে এভাবে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেছিস কেন ? ছাড় আমাকে ! তৃষা কি রেডি হচ্ছে ?

আম্মু বলার পর আমি আম্মুকে জড়িয়ে ধরা থেকে ছেড়ে দিয়ে বললাম,

” আপু যাবে না। আমি একাই যাব ।

” তৃষা না গেলে তুই কেন যাবি ? কালকে তৃষার সাথে একসাথে ভার্সিটিতে যাস ।

” আমি কি এখনো বাচ্চা নাকি? আমি তো একা একা ভার্সিটিতে যেতে পারি । আজকে না গেলে আমি আর যাবই না ।

” আরে রেগে যাচ্ছিস কেনো ? তুই একাই ভার্সিটিতে যাস । এবার খুশি ?

আমি একটা হাসি দিয়ে বললাম,

” হুম অনেক ।

” এখন যা রেডি হয়ে আয় নাস্তা করে তারপর ভার্সিটিতে যাস ।

” যাচ্ছি ।

আমি রুমে গিয়ে রেডি হয়ে নিচে এসে নাস্তা করে নিলাম । নাস্তা করে ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হলাম । বাসা থেকে বের হয়ে রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে রইলাম । একটা রিকশা ও পাচ্ছি না । অনেকক্ষণ পর একটা রিকশা পেলাম । আমাদের বাসা থেকে রিকশা করে ভার্সিটিতে যেতে সময় লাগে ১০ মিনিটের মতো । ভার্সিটির সামনে রিকশা থেকে নামলাম । রিকশা ভাড়া দিয়ে ভার্সিটিতে প্রবেশ করলাম। ভার্সিটির ভিতরে গিয়ে দেখি আমার ফ্রেন্ড গুলো একসাথে গোল হয়ে মাঠে বসে আছে । আমি যাওয়ার পর আমাকে দেখে আকাশ বলল ,

” কিরে তুই এখনো বেঁচে আছিস ? আমরা তো মনে করেছিলাম তুই এতো দিন মরে ভূত হয়ে গাছে গাছে ঘুরে বেড়াচ্ছিস ।

” তোর কি মনে হয় আমি ভূত হয়ে গেলে তুই এখনও বেঁচে থাকতি ? ভূত হওয়ার সাথে সাথেই তর ঘাড় মটকে তোকেও মেরে ফেলতাম ।

তখন বৃষ্টি বলে উঠলো,

” এতো দিন পর কোথা থেকে উদয় হয়ে এসেছিস ?

” আসমান থেকে এসেছি । রনিত এভাবে দেবদাসের মতো বসে আছে কেন ?

তখন রনিত বলে উঠলো,

” আমাকে নিয়ে এখন মজা করবি না । আমি মজা করার মুডে নেই ।

” আচ্ছা মন খারাপ করে বসে আছিস কেন ?

বৃষ্টি বলে উঠলো,

” আরে ওর প্রান প্রিয়া রিয়া দুই দিন ধরে ভার্সিটিতে আসছে না । সেই দুঃখে আমাদের রনিত দেবদাস হয়ে বসে আছে ।

কথাটা বলেই হেসে উঠলো বৃষ্টি । আমরা পাঁচজন ফ্রেন্ড । আমি, আকাশ, বৃষ্টি, রনিত আর রিয়া । রনিত রিয়াকে ভালোবাসে কিন্তু এখনো রিয়াকে বলেনি । রিয়াকে ভালোবাসার কথা বললে যদি রিয়া আর কথা না বলে তাই । আমরা এখানে বসে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। তারপর ঘন্টা দিয়ে দিলো । আমরা সবাই ক্লাস করতে গেলাম । ৩ টা ক্লাস করে বেড়িয়ে এলাম । রাস্তায় রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছি। এখন দুপুর তাই একটা রিকশাও পাচ্ছি না। আকাশ আর বৃষ্টির বাসা এক গলিতে । রনিতের বাসা অবশ্য আমাদের বাসার দিকেই কিন্তু রনিত এখন বাসায় যাবে না । তাই আমাকে একাই হেঁটে বাসায় যেতে হচ্ছে । আমি কয়েক মিনিট হাঁটার পর দেখি রাস্তার দাঁড়িয়ে কয়েকটা ছেলে সিগারেট খাচ্ছে । নির্জন রাস্তা এখন এই ছেলে গুলো ছাড়া আশেপাশে একটা মানুষ ও দেখতে পাচ্ছি না । ছেলেগুলো আমার দিকে বাজে নজরে তাকিয়ে আছে। আমি এখান থেকে যাওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি হাঁটছি। হঠাৎ পেছনে তাকিয়ে দেখি ছেলেগুলো আমার পিছন পিছন আসছে । ভয়ে আমার কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছে। আমি দৌড় দিলাম। আমাকে দৌড় দিতে দেখে ছেলে গুলো আমার পিছু পিছু দৌড় দিল । আমি বেশিক্ষণ দৌড়াতে পারলাম না তার আগেই ছেলেগুলো আমাকে ধরে ফেলল । আমাকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলল ছেলেগুলো । একটা ছেলে বিশ্রী হাসি দিয়ে বলল,

” দৌড়ে কোথায় পালাচ্ছো বেবি ?

এই ছেলেটার সাথে আরেকটা ছেলে বলে উঠলো,

” আমরা না চাইলে তুমি তো আমাদের কাছ থেকে যেতে পারবে না ।

তখন আরেকটি ছেলে বলল ,

” শুধু শুধু এভাবে দৌড়ালে সাথে আমাদের ও দৌড় করালে কি লাভ হলো এভাবে দৌড়ে । শেষে তো আমাদের হাতেই পড়তে হলো ।

” আমি আপনাদের কি করেছি ? দেখুন যেতে দিন আমাকে।

” যেতে না দিলে কি করবে শুনি?

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here