ভালোবাসা রং বদলায় পর্ব -১৬

#ভালোবাসা রং বদলায়
লেখক — #মাহমুদ
পর্ব — ১৬
,
– মাধুরী, আরেকটু থাকলে হয় না?

– তোমাকে কতবার বলব আমাকে এই নামে ডাকবে না।

– যত দিন আমার এই দেহে প্রাণ আছে ততদিন ডেকে যাবো।

বিরক্ত হল রূপা। বলল,

– তুমি না…..

– আমি কী? বলো…. থামলে কেন?

– তুমি একটা পাগল।

– হ্যা তা ঠিক বলেছো। আমি তোমার প্রেমে সত্যিই পাগল হয়ে গেছি।

– উফফফ! আমি গেলাম।

রূপা যাওয়ার জন্য পা বাড়ালেই দ্বীপ খপ করে হাত ধরে ফেলল তার। ওকে একটান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিল সে। চুলগুলো উড়ে এসে বারবার রূপার মুখ ঢেকে দিচ্ছে দেখে চুলগুলো সরিয়ে কানে গুজে দিল ধ্রুব। ধীরে ধীরে ওর দিকে এগুতে লাগল সে। আচমকা দ্বীপকে ধাক্কা দিল রূপা। মুহূর্তে কয়েক কদম পিছিয়ে গেল দ্বীপ। বলল,

– এটা কী হলো?

– একদম ঠিক হয়েছে।

– তবে রে…..

বলেই রূপাকে ধরতে যাচ্ছিলো দ্বীপ। তার আগেই রূপা ছুটতে লাগল। দ্বীপও তার পিছন ধরল। চেচিয়ে বলতে লাগল,

– সেদিন তো কুকুরগুলোর হাত থেকে বাঁচিয়েছিলাম তোমাকে। আজ আমার হাত থেকে তোমাকে কে বাঁচাবে মাধুরী?

হঠাৎ এলার্মের শব্দে ঘুম ভেঙে গেল রূপার। চোখ কঁচালাতে কঁচলাতে আশেপাশে তাকাতেই নিজেকে ধ্রুবের বিছানায় আবিষ্কার করল সে। ধ্রুবের বিছানায় ও কিভাবে এল? সে তো রাতেরবেলায় ডায়েরীতে দ্বীপকে নিয়ে এটাসেটা ভেবে লিখতে বসেছিল। এরপর আর কিছুই মনে নেই। কিন্তু এখানে কিভাবে এল সে? তাছাড়া তার তো ঘুমের ঘোরে হাটাহাটি করারও কোনো রোগ নেই। তাহলে….
পরক্ষোণেই সোফার দিকে চোখ গেল রূপার। ধ্রুব সোফায় শুয়ে আছে। রাতেরবেলায় তো ধ্রুবকে বিছানায় ঘুমাতে দেখেছিল। তাহলে সে সোফায় গেল কিভাবে? আর সেও বা ধ্রুবের বিছানায় কিভাবে এল? মুহূর্তে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেল। তার মানে ধ্রুব-ই তাকে এখানে এনেছে। কিন্তু ধ্রুব কিভাবে বুঝল যে ও ছাদে ছিল? আর ডায়েরি? ডায়েরির কথা মনে পড়তেই হুড়মুড়িয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়াল রূপা। সর্বনাশ! ধ্রুবের হাতে ডায়েরি পড়লে কেলেংকারী হয়ে যাবে। ডায়েরি-টা ধ্রুবের হাতে পড়েনি তো? রূপা আর কোনো কিছু না ভেবেই ছাদের দিকে ছুটতে লাগল। আজ ছাদে যেতে এত দেরী হচ্ছে কেন? রূপা ছাদে পৌঁছাতেই এদিকওদিক ডায়েরি খুঁজতে লাগল। কিন্তু হাজার বার খুজেও ডায়েরি-টা পেল না সে। এখন কী হবে? কোনমতে যদি ডায়েরি-টা ধ্রুবের নাগালে যায় তাহলে তো সবশেষ!

সকালবেলায় ধ্রুবের জন্য চা বানিয়ে তার ঘরে প্রবেশ করল রূপা। ধ্রুব অফিসে গেলেই ঘরটার তল্লাশি নিতে হবে। নিশ্চিত ডায়েরি-টা এই ঘরেই আছে। রূপা চায়ের কাপ ধ্রুবের দিকে এগিয়ে দিল। ধ্রুবও হাত বাড়িয়ে নিল। এরপর রূপা আর দেরী না করে বাইরে চলে এল। বেশকিছুক্ষণ ধরে পাইচারী দিতে লাগল বসার ঘরে। অদ্ভুত বিষয় হল, আজ রূপাকে কিছুই বলেনি ধ্রুব। অন্যসময় ধ্রুব রূপাকে এটাসেটা বলে কথা শোনাত। কিন্তু ইদানীং দেখা যাচ্ছে ওকে কিছুই বলছে না সে। কিন্তু কেন?(লেখক মাহমুদ)

ধ্রুব অফিসে চলে গেল। রূপা এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে ঘরে ঢুকল। পুরো ঘর তন্নতন্ন করে খুঁজতে লাগল। আলমারির কাপড়চোপড় সব একেএকে নিচে ফেলতে লাগল। কিন্তু কোথাও ডায়েরির দেখা মিলল না। এখন কী করবে সে? ডায়েরি-টা এখন খুঁজবে সে? কোনো জায়গা তো খোজা বাদ রাখেনি। তবে কী শেষমেশ ডায়েরি টা হারিয়ে ফেলল সে? সবথেকে আতংকের বিষয় হল ডায়েরিতে দ্বীপের বড়সড় একটা ছবি রয়েছে। আর এইটা যদি কারো চোখে বাঁধে? তাহলে তো সে একদম পুরোপুরিভাবে শেষ!

.
সবেমাত্র গোসল-টা সেড়ে বাথরুম থেকে বের হলো নিলু। চুল বেয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। আজ খুব আয়েশ করে চুলে শ্যাম্পু করেছে সে। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হল শ্যাম্পু দেয়ার সময় ইদানীং খুব চুল পড়তে আরম্ভ হয়েছে তার। চিরুনি দেয়ারও কোনো জো নেই। চুল আঁচড়াতে গেলেই চুলের কারণে চিরুনি খুঁজে পাওয়া যায় না। কী একটা মারাত্মক অবস্থায় পড়তে হচ্ছে তাকে। আর কিছুদিন এভাবে গেলে বোধয় ন্যাড়া হয়ে যাবে সে। মাথা থেকে টাওয়েল-টা খুলেই নিলু দেখতে পেল বেশখানিকটা চুল উঠে এসেছে। চোখ দুটো ছলছল করে উঠল তার। কতটা কষ্ট করে চুলগুলো বড় এবং ঘন করেছে সে। আর এখন…..

ফোন বেজে উঠল নিলুর। সাত-সকালে আবার কে ফোন দিল? বিরক্তি নিয়ে ফোনের কাছে যেতেই ঠোঁটে মৃদ্যু হাসি ফুঁটে উঠল তার। শরৎ ফোন করেছে। নিলু কলটা রিসিভ করতেই শরৎ বলে উঠল,

– এতসময় কোথায় ছিলে? কখন থেকে ফোন দিচ্ছি।

– সরি, আমি গোসল করছিলাম।

– আচ্ছা সমস্যা নাই। এবার থেকে যেখানে যাবে ফোনটাও সাথে করে নিয়ে যাবে।

– বাথরুমেও ফোন নিয়ে যেতে হবে?

– হ্যা, যাবে। সমস্যা কী?

– না মানে….

– আচ্ছা, এসব বাদ দাও। আজ বলো কখন দেখা করবে?

– রোজ রোজ দেখা করাটা কী আমাদের ঠিক হচ্ছে?

– ও, তার মানে তুমি আসবে না। রাইট?

– আরে রাগ করছ কেন? আমি কী বলেছি আসব না? বলো, কোথায় আসতে হবে?

– শিউলিপুরে একটা নতুন রেস্টুরেন্ট বানানো হয়েছে। ওইখানেই এসো।

– এতদূর?

– দূর কোথায়? কাছেই তো।

– কিন্তু আমি তো চিনি না। শুধু নাম শুনেছি।

– ও। আচ্ছা, আজ কী তোমার কলেজ আছে?

– হ্যা আছে।

– কয়টাই ছুটি দেয়?

– দুইটাই। কেন?

– ও গ্রেড। কলেজ শেষে আমাকে ফোন দিও। আমি এসেই তোমাকে পিক করে নিয়ে যাবো।

– ওকে।

– লাভ ইউ।

মুচকি হাসল নিলু। বলল,

– লাভ ইউ টু।

কলেজ শেষে ক্লাস থেকে বেরিয়ে শরৎ এর নাম্বারে কল দিল নিলু। প্রথম কলে রিসিভ করল না শরৎ। দ্বিতীয়বার কল দিতেই রিসিভ হল অপাশ থেকে।

– হ্যালো, তুমি কোথায়?

– এই তো… কলেজের কাছাকাছি চলে এসেছি।

– তাড়াতাড়ি আসো প্লিজ। অনেকক্ষণ ধরে ওয়েট করছি।

– আসছি… জাস্ট টু মিনিট বেবি।

শরৎ দুই মিনিটের ভিতরে চলে এল। নিলুকে বাইকে বসার জন্য ইশারা করতেই উঠে বসল সে। রেস্টুরেন্টের সামনে পৌঁছাতেই নিলু বলল,

– আংকেল এখন কেমন আছেন?

– আল্লাহ রহমতে এখন ভালোই আছে। মোটামোটি এখন কথা বলতে পারে। ডক্টর বলেছেন বাবার পুরোপুরিভাবে সুস্থ হতে হলে ৬ মাস সময় লাগবে। কয়টা মেডিসিনের নামও লিখে দিয়েছেন। কিন্তু…(লেখক মাহমুদ)

– কিন্তু কী?

– মেডিসিনগুলোর দাম খুব বেশি। আমার কাছে কেনার মত ওত টাকাও নেই যে কিনব। যেগুলো একটু কম দামের সেগুলোই শুধু কিনেছি। দামীগুলো কেনার মত সামর্থ্য আমার নেই। ডক্টর বলেছেন ঠিকমত বাবাকে মেডিসিন না খাওয়ালে বড় ধরনের বিপদ হতে পারে। আর বলেছেন বাবাকে বাঁচানোর সম্ভাবনাও খুব কম হতে পারে। এখন আমি কী করব বলো? আমি যে এখন নিরুপায় হয়ে পড়েছি। এখন হাতে আমার এক পয়সাকড়িও নেই। কী দিয়ে কী করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।

শরৎ থেমে গিয়ে আবারও বলল,

– তবে সমস্যা নেই। আমি কোনো একভাবে টাকা ম্যানেজ করে ফেলব।

– আমি থাকতে তোমার টাকার টেনশন কিসের? আজই গিয়ে আংকেলের জন্য মেডিসিন কিনে আনবে। আমি বিকাশ করে টাকা পাঠিয়ে দেব।

বলেই চুপ করে রইল নিলু। শরৎ বলল,

– হু… আচ্ছা এসব বাদ দাও তো। পরে দেখা যাবে। এখন বলো রেস্টুরেন্ট-টা কেমন লাগল?

এতক্ষণে খেয়াল হল নিলুর। কথা বলতে বলতে কখন যে রেস্টুরেন্টে এসেছে টের পায়নি। আশেপাশের দিকে ঘুরেফিরে তাকাতেই দেখতে পেল সে আর শরৎ ছাড়া এই রেস্টুরেন্টে আর কেউ নেই। এছাড়া কেমন জানি অন্ধকার টাইপের রেস্টুরেন্ট। নিলু বলল,

– এটা আবার কোন ধরনের রেস্টুরেন্ট? পুরো রেস্টুরেন্ট-ই তো দেখছি একদম ফাকা। তার উপর দিয়ে অন্ধকার টাইপের তো আছেই। বাট, আমি বুঝতে পারছি না তুমি সামান্য দেখা করার জন্য আমাকে এই রেস্টুরেন্টে কেন এনেছ?

– আরে বাবা, এই রেস্টুরেন্ট-টা আমি তোমার আর আমার জন্য স্পেশালিভাবে বুকিং করেছি বুঝলে? আমরা এখানে নিরিবিলি কিছু সময় একসাথে থাকব বলে। আর যেহেতু বুকিং করেছি সেহেতু এখানে অন্যকারো না থাকারই কথা।

– সরি বাট, আমি আর একমুহূর্ত এখানে থাকতে পারব না।

– কেন? এখানে থাকলে তোমার সমস্যা কোথায়?

– শরৎ প্লিজ বোঝার চেষ্টা করো। এখানে আমার কেমন জানি লাগছে। প্লিজ আমাকে এখান থেকে নিয়ে চলো।

– দেখো নিলু এবার কিন্তু আমার রাগ হচ্ছে। সবসময় তুমি সবকিছুতেই বাড়াবাড়ি করো। তোমার সাথে পার্কে দেখা করলে দোষ, রাস্তায় দেখা করলে দোষ। এখানে দেখা করলে দোষ। ওখানে দেখা করলে দোষ। এ দেখে ফেলবে ও দেখে ফেলবে বলে বলে আমার মাথাটাই নষ্ট করে দিয়েছ তুমি। প্রতিনিয়তই তুমি দেখা করার সময় মুখে লম্বা ঘুমটা দিয়ে রাখো। আচ্ছা আমাকে কী ভাবো তুমি? আমি কী মানুষ নই? আমার কী ইচ্ছা করে না তোমার সাথে নিরিবিলি দুদন্ড কথা বলতে, ক্লোজ হতে। আমি তোমাকে ভালোবাসি। এটা কেন বুঝনা? আচ্ছা সমস্যা নেই। আর কখনওই তোমাকে আর দেখা করার কথা বলব না। সরি আমার ভুল হয়ে গেছে। চলো তোমাকে বাসায় দিয়ে আসি।

বলেই উঠে যাচ্ছিল শরৎ। নিলু ওর হাত-টা ধরে থামাল। বলল,

– সরি! রাগ করছ কেন? প্লিজ রাগ করো না। সরি বললাম তো।

– নিলু হাত ছাড়ো। আর বাসায় চলো, দেরী হয়ে যাচ্ছে।

– না। আগে বলো আমার উপর রাগ করোনি।

– (নিশ্চুপ)

– প্লিজ কিছু তো বলো।

– (নিশ্চুপ)

– আচ্ছা, আমি আর যাওয়ার কথা বলব না। তোমার সাথেই থাকব, গল্প করবো। এবার তো কিছু বলো।

– সিরিয়াসলি বলছ তো?

– হুম।

.
রাতের বেলায়….

বারান্দার রেলিং ধরে এক ধ্যানে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে নিলু। চোখ বেয়ে অনবরত পানি পড়ছে তার। আজকে বড্ড ভুল করেছে সে শরৎ এর সাথে রেস্টুরেন্টে যেয়ে। শরৎ বলেছিল সে শুধু নিলুর সাথে একান্তভাবে কথা বলবে বলে এই রেস্টুরেন্ট-টা বুকিং করেছে। কিন্তু কথা বলতে বলতে নিলুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দিয়েছিল শরৎ। বারণ দেয়ার শর্তেও শরৎ নিলুর অনেকটা কাছে চলে আসে। শরৎ এর ছোয়া পেয়ে নিলুও নিজেকে সামলাতে পারেনি। নিজেকে নিজের কাছে ছোট লাগছে নিলুর। আজ অনেকটা ক্লোজ হয়ে গিয়েছিল তারা, যা একদমই ঠিক হয়নি। আজকে থেকে শরৎ কে কেন জানি অচেনা লাগছে নিলুর। আগে তো সে এমনটা ছিলো না। তাহলে আজ কেন? তবে আর যাইহোক, আর কখনওই শরৎ এর সাথে কোথাও যাবেনা সে।

কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই ফোনটা টুং করে বেজে উঠল নিলুর। ফোন-টা অন করতেই দেখল শরৎ ম্যাসেজ দিয়েছে। লিখেছে,

– আজকের দিনটা কেমন লেগেছে বেবি?

নিলু বিরক্তি নিয়ে ফোনটা বিছানায় ফেলে দিল। রাগে পুরো শরীর গজগজ করছে তার। এদিকে শরৎ ফোন দিয়েই যাচ্ছে নিলুর নাম্বারে। কিন্তু ধরার কোনো নাম গন্ধ নেই। এভাবেই ১০-১২ বার কল দেয়ার পর শেষমেশ বিরক্তি নিয়ে রিসিভ করল নিলু। বলল,(লেখক #মাহমুদ)

– আমি এখন ঘুমাবো, প্লিজ ঘুমাতে দাও।

– এমা! এত তাড়াতাড়ি ঘুমাবা? এখন তো সবে ১ টা বাজে।

– একটা বাজুক কিংবা দুইটা। তাতে আমার কী? আমি ঘুমাবো ব্যস ঘুমাবো। রাখি।

– এই না না। রাখলে কিন্তু খারাপ হয়ে যাবে।

– কেন ফোন দিয়েছ? জরুরি কিছু হলে বলতে পারো। আমি অপ্রয়োজনীয় কথা শুনতে ইচ্ছুক নই।

– ওহ মাই গড!! আমার নিলু বেবি তো দেখছি খুব রেগে আছে আমার উপর। তো ম্যাডাম এত রাগার কারণ কী বলবেন?

– এমন ভাব করছ যেন কিছুই জানো না?

– ওহ গড!! তুমি এখনও ওই রেস্টুরেন্টের ব্যাপারে পড়ে আছ?

– তোমার মনে হয় না আমরা একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করেছি আজ?

– দেখ নিলু তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড। আর আজ আমাদের মধ্যে যা কিছু হয়েছে এটা খুব নরমাল বিষয়। আর তুমি এই নরমাল বিষয়-টিকেই মেনে নিতে পারছ না। তিল-কে তাল বানিয়ে ফেলছ। তোমার উপর আমার এইটুকু তো অধিকার আছে-ই তাই না? নাকি তাও নেই? দুইজন ভালোবাসার মানুষ এটা করতেই পারে, স্বাভাবিক বিষয়। এই স্বাভাবিক বিষয়টিই বা তুমি মানতে পারছ না কেন বলো তো? আই থিংক তোমার আমার উপর কোনো বিশ্বাস-ই নেই। বিশ্বাস থাকলে অন্তত আমাকে তুমি ভুল বুঝতে পারতে না। থাক…. আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। আমাকে তো তুমি বরাবরই অবিশ্বাস করো। কী দরকার আমার মত খারাপ মানুষের সাথে কথা বলে নিজের ইমেজ নষ্ট করার? যাও ঘুমাও…. বাই ফর এভার।

নিলুর রাগ ভেঙে গেল। করুণ সুরে বলল,

– সরি, সামান্য ইস্যু নিয়ে আমার এমন রিয়াক্ট করা ঠিক হয়নি। তুমি প্লিজ রাগ করোনা। সরিইইইইইই….

– ইটস ওকে বেবি। তোমার উপর আমি রাগ করতে পারি নাকি? ইউ আর মাই লাভ বার্ড।

– এন্ড ইউ আর মাই এভরিথিং।

চলবে,,,,,,,,,,,

লেখকের অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষিদ্ধ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here