#ভালোবাসি হয়নি বলা
#সাদিয়া নওরিন
পর্ব— ১২
কাপড় নিয়ে পুকুরের দিকে পা বাড়িয়ে আবার থমকে দাঁড়ালাম আমি.. ইফতী ভাইয়ার ক্লাস নিচ্ছেন হাসনাত ভাই.. আমি দরজার আড়ালে দাঁড়ালাম. আমার ও জানার ইচ্ছে কি বলেন ওনি… ইফতি ভাইয়ার চেহারা দেখা যাচ্ছে হালকা কিন্তু হাসনাত ভাইয়ার পিটটাই দেখা যাচ্ছে শুধু..
হাসনাত ভাই কোমড়ে হাত গুঁজে —- কিরে তোরে কি বলছিলাম আমি?
ইফতি ভাই হালকা ইতস্ততভাবে— ও আমাদেরকে রেখে সামনে সামনে হাটছিল. তো আমরা কি করবো…
হাসনাত — ও তো গাধা তাই তো তোকে দেখতে বলললাম।।
তার কন্ঠে আক্ষেপ..
আমার মেজাজ চরম ভাবে বিগড়ে গেল.. আমাকে কোন এন্গেলে গাধা লাগে তারকাছে.. না আমার পা চারটা না গাধার মতো লম্বা কান..
হঠাৎ আমার সেই কনফিউসন দূর করে দিয়ে সে বলল– দেখতে ঠিকি মানুষের মতো.. কিন্তু বুদ্ধি.. সেইটা গাধার জাতের ই..
এই স্টুপিডকে কি করতে মন চায় আমার.. নিজে নিজে বিরবিরিয়ে বললাম— তুমি যে বান্দর সেই খেয়াল কি আছে তোমার.. তোমার যে শুধু স্বভাব চরিত্রটা বান্দরের মতো তা কিন্তু নয় দেখতেও সেইম বান্দরের মতো..
হঠাৎ আলতো করে কে যেন কাধে হাত রাখলো আমার.. আমি চমকে পিছনে ফিরে দেখি মুনিরা.. সে খিলখিলিয়ে হেসে বলল– মানুষকে নিয়ে এইসব ওল্টাপাল্টা বলা বাদ দিবে কবে..
আমি ওকে ভেঙ্গচি কেটে পুকুরের দিকে পা বাড়াতে বাড়াতে বললাম— আমি না.. তোর প্রানপ্রিয় ভাইকে বল গা এই প্রবচন.. শালা ইতর..
এই বলতে বলতে পুকুরের পাড়ে দাড়ালাম আমি..
আপুরা পানিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে..মনে হচ্ছে একেকটা মৎসকন্যা.. কাকলিআপুকে দেখলাম এক পাশে দাড়িয়ে ধীরে সুস্হে একেকটা ডুব দিচ্ছে.. এমন ভাবে যেন মনে হচ্ছে সে পানিকে ডিস্টার্ব করতে নারাজ…
মেঘলা আর জেরিন আপু.. এদের অবস্হা শোচনীয়.. ডুব দিয়ে এপাড় ওপাড় যাচ্ছে তারা..
ইফ্ফাত মনে দুঃখ নিয়ে সিঁড়িতে বসে বসে ওদের মজা উপভোগ করছে।। আমি আর মুনিরা পানিতে নিমজ্জিত সিঁড়িতে বসে পড়লাম..আর আসতে আসতে সিড়িতেই ডুব লাগালাম…
জেরিন আপু হেসে বলল– দেখ কাকলি.. তোর মতো আর একটা ভিতু আসছে..
আমি মুখ ভেঙ্চিয়ে বললাম— ভিতুর কি আছে.. ডুবে গেলে সাহস সব বের হয়ে যাবে প্রাণবায়ু হয়ে..
মেঘলাআপু মাথায় টুকা দিয়ে বলল– গাধা,, তোরা ডুবলে আমরা দেখবো না.. আর এই পুকুরে দাড়াতে পারবি তোরা.. নিচে সব বালি.. এইবলো টানদিয়ে কিছুটা নিয়ে গেল.. আমি ভয়ে চোখ অফ করে ফেললাম.. হঠাৎ খেয়াল করলাম সত্যি অনেক মজার.. মনে হচ্ছে শরীর অনেকটা হালকা হয়ে গেছে… পায়ের কাছ দিয়ে সাইসাই করে মাছগুলো চলে যাচ্ছে.. ঠান্ডা এক অনুভূতি!!! ওঠার যেন ইচ্ছেও হচ্ছে না.. কাকলি আপু পুকুর থেকে ওটতে ওটতে বলল– কিরে মাছ পায়ে লাগছে না…
আমি হু বলে মাথা ধোলালাম.. তখন জেরিন আপু হেসে বলল– আমাদের পুকুরের মাছ মানুষ খাই না.. তখন মেঘলা আপু বলে ওঠলো— ভিতুদের তো আরো খায় না…তারপর যথারীতি ক্লেপ করলো দুইটা.. হঠাৎ ইমা আপু রেডি হয়ে এসে বলল– তোরা এখানে করছিস.. তোর ভাইতো আমাকে আসতেই দিতে চাচ্ছিল না এখানে.. সে একটু বেশি ভয় পায় আমাকে নিয়ে তাই.. এই বলে লাজুক হাসি দিল..আর সবকয়টা অহহহহ করে ওঠলো.. আমরা হেসে দিলাম.. আপুরা পানির মধ্যেই ড্রেস খুলে ফেলল.. তারপর হালকা সিড়িতে ওঠে ড্রেসটা পড়লো.. কাকলি আপুর হালকা প্রবলেম হলো কারন সে এইসব অভ্যাস্ত না.. কিন্তু অনেক চালাক ও.. বুদ্ধি করে মেক্সি নিয়ে এসেছে সেইটা কোনভাবে ডুকিয়ে চলে গেল সে..
সিড়িতে ড্রেস চেন্জ করলেও তেমনটা দেখা যায় না.. তবে সামনে কোন দরজা বা দেয়াল নেয়.. যেই সামনে থেকে আসবে সে দেখবে…
হঠাৎ ভাইয়াদের কথা আর হাসির শব্দ শুনা গেল.. আমি হালকা মুখ বের করে পানিতে ডুব দিলাম.. আমার দ্বারা পানিতে ডুব দিয়ে ড্রেসখুলা সম্ভব না… আমি এইখানেই পেঁচিয়ে যাচ্ছি.. এখন কি হবে.. ওরা আসলে আমাকে এইভাবে দেখবে!!! নিজের ওপর নিজের রাগ লাগছে.. কেন হাসনাত ভাইয়ের কথা শুনলাম না..আসলেই নিজেকে গাধার প্রজাতিই মনে হচ্ছে.. হঠাৎ ঘাটের ওপরে দেখলাম দুইপাশের সুপারি গাছের সাথে কেউ বেডসিট বেধে দিচ্ছে..
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি সেদিকে..
হঠাৎ মুনিরা বলল– হাসনাত ভাইয়া বাধছে এইটা.. একবারও এদিকে তাকাই নাই…
আমি পুলকিত হয়ে সেদিকে তাকালাম…মুনিরা আমাকে তাড়া দিতে লাগলো.. ড্রেস পাল্টানোর.. কিন্তু আবার ড্রেসটা আটকে গেল পড়তে গিয়ে..মনে হলো কয়েকসেকেন্ড এ আমি ফুলে গেছি.. দুই বোন ধরে টানাটানি সেই ড্রেস…
ওপরে সিয়ামের আওয়াজ…
— কিরে ভাই,, আপনি এইখানে কি করেন??আর এই বেডসিট কে দিল..
হাসনাত — ওরা দিয়েছে হয়তো.. গোসল করছে হয়তো..
আমি আনমনে হেসে দিলাম..ওরা বাইরে চেঁচামিচি করেছে.. কিরে তাড়াতাড়ি কর.. আমি তাড়াতারি ড্রেস ডুকিয়ে বললাম— চল চল..
আমরা ওপরে ওঠতেই.. ওরা হুমড়িখেয়ে ডুকে পড়লো.. হঠাৎ হাসনাত ভাই পিছন থেকে ডেকে বলল– দাড়া.. যেইটা এইখানে লাগিয়েছিস নিয়ে যা…
আমি পরম বিরক্ত নিয়ে তার সামনে দাড়ালাম.. এতো খারাপ কেন.. নিজে নিলে কি হয়তো এইসব ভেবে যেই খুলতে গেলাম.. হাসনাত ভাই আস্তে করে তোয়ালেটা চুল থেকে খুলে দিল.. আমি তেড়ে তার দিকে তাকাতেই সে অন্যদিকে তাকিয়ে বলল– পিঠের তিলটা সবাইকে দেখানোর কি খুব দরকার..
আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেল.. পরপর কয়েকটা ঢুক গিললাম আমি.. তারমানে আমি চেইনটা লাগাইনি যদিও বেশি বড় চেইননা.. তবুও.. আর হাসনাত ভাই আমাকে ওইভাবেই দেখলো.. রাগে দুঃখে কান্না আসছে এখন আমার.নিজেকে ধরে মাইর লাগাতে ইচ্ছে হচ্ছে…শেষে রাগ হাসনাত ভাইয়ের ওপর ওঠে গেল.. আমি রেগে বললাম— এতো দিকে চোখ কেন আপনার…
সে ব্রু কুঁচকে বলল– তোর নাইকা সাজার ইচ্ছে জাগছে.. আমার দেখার কোন শখ নাই..যা এখান থেকে.. আর তোরে যে এখানে আসতে মানা করা হয়েছিল.. তা মনে আছে আমার.. তুই যা আসতেছি আমি..এইবলে সে হনহনিয়ে চলে গেল.. আর আমি বেয়াক্কেলের মতো ঐখানেই দাড়িয়ে রইলাম…
ড্রেস পড়ে কিচেনে গেলাম..আন্টির কিচেনটা অনেক বড়.. আর এদের সব বোনগুলোর রান্না অতিরিক্ত মজা.. যাই রান্না করে. আর আন্টির গ্যাস থাকার পরেও তিনি মাটির চুলায় রান্না করছে.. কিচেনে একটা সোফা আছে.. কাঠের আর বেডের.. আমি সেইটাই ধুপ করে বসে পড়লাম.. আপুরাও সেইখানে।। আন্টি আম্মুদের বকছে.. এখনো আসতে পারে নাই তাই…
আন্টি পরম ঝাঝের সঙ্গে বলল– তোদের মা দের কাজ শেষ হয়ে গেলে আসতে বলিস।। সাথে সাথে আম্মু আর আন্টিদের প্রবেশ.. বড় আন্টি নাক ফুলিয়ে বলল– তোরা আসছস কেন.. তোদের ভাইয়ের বৌয়ের কাছে থাকি যায়তি..সাথে সাথে সেজ আন্টির উওর.. আপা আমি বলছিলাম এরা আসে নাই.। আমার এই আন্টির তিন ছেলে.. কিন্তু নিজে এখনো বাচ্ছা থেকে গেছে.. শুধু বিচার দিবে পিচ্ছিদের মতো.. আমরা খিটখিটিয়ে হেসে দিলাম.. সাথে সাথে আম্মুর হুংকার.. হাসবি না তোরা.. ফাজিলের দল.. কাজ একটু করে দিল কি হতো তোদের.. ওইখানেও কিছু করে নাই.. এখন ও কোন কাজ নাই।। হাহাহিহি করতে থাক তোরা.. তোদের মতো অলস পুরো জিবনে দেখি নাই আমি..
আমরা একজন অন্যজনের দিকে আড়চোখে তাকালাম.. আপুদের অবস্হা খারাপ। বেচারীদের বকা খেয়ে হাল খারাপ.. তবে আমার মাঝে কোন পরিবর্তন দেখা দিল না.. দূর,, সেইম বকা.. এক কান দিয়ে ডুকিয়ে অন্যদিকে বের করে দিলেই তো হয়.. আমি আম্মুর দিকে কল্পনা করতে লাগলাম.. আম্মুর কান দুটি বড় হয়ে গেলে,, আর নাকটা যদি লম্বা হয়ে য়ায়.. কতোটা ফানি লাগবে তাকে…এইসব ভেবে অচমকা হেসে দিলাম আমি. আপুরা ভূতদেখার মতো চমকে আমার দিকে তাকালো।। আর আমি নিজেকে শান্তই করতে পারছি না.. স্বশব্দে হাসতে লাগলাম.. আম্মু বিরক্তি নিয়ে বলল– তোরে পাবনায় পাঠায় দিব এইবার আমি…মেঝআন্টি পরম মমতা নিয়ে বলল– বকতেছস কেন.. ছোট না ওরা.. বাচ্চারা কি বিয়েতে কাজ করতে আসে… বাদ দে.. আমরা কাজ করে নি.. আম্মু আক্ষেপের সাথে বলল– ওরে বিয়ে কেমনে দিব বোঝাও.. কখন কেমন রিয়েক্ট দিবে সেইটাও শিখাতে লাগলে ওরে..
আমি ওঠে চলে এলাম..এখন শুধু আমারেই বকা দিবে..জানা কথা আমার..রুমে এসে কাপড় সববের করে নিজের শাড়িটা নেড়েচেড়ে দেখতে লাগলাম. এইটাই পড়ব আমি…হাসনাত ভাইয়ের কথা কেন শুনবো আমি..
হঠাৎ হাসনাত ভাই ধুপ করে বিছানায় বসে বলল– অগোচালো না করলে কি ভাত হজম হয় না তোর।…
আমি হালকা ব্রু উচিয়ে বললাম— তো তোমার সমস্যা কি?? আমি আমার সব ঠিক করে দিব…
সে হঠাৎ ব্রু কুচকে বসতে বসতে বলল– আমি মাঝে মাঝে কি ভাবি জানিস?? তোকে কিসের মাটি দিয়ে বানিয়েছে??তারপর বোঝতে পারি তোরে কেচো মাটি তুলে যে ঐগুলো দিয়ে বানিয়েছে সেইজন্য তুই এতো অগোচালো..
আমার মেজাজ সপ্তআাসমানে ওঠে গেল.. এই পোলার প্রবলেম টা কি
এই পোলা কাজ ই শুধু আমাকে অপমান করা. আমি দাত কটমটিয়ে তাকিয়ে আমার মুখে হাসি ঝুলিয়ে বললাম— আপনাকে কি দিয়ে বানিয়েছে জানেন আপনি?? আমি বলি… ওই যে মানুষের টয়লেটগুলো সব একজায়গায় গিয়ে জমা হতে হতে সেইগুলো যেই মাটিতে পরিনত হয়।।তা দিয়ে আপনারে বানিয়েছে..বোঝলেন…
সে রেগে আমার দিকে তাকালো.. আর আমার তার এই মুখ দেখে হাসি চলে এলো।।আমি হাসতে হাসতে বললাম— চিন্তা করেন আমাকে বানানো মাটিতে অনেক ভালো ছিল কিন্তু আপনার টা…
হঠাৎ সে মুচকি হেসে ফিসফিসিয়ে বলল– যাকে যা দিয়েই বানাক গা.. তোকে তো আমার জন্যই বানিয়েছে.. এইবলে সে বেরিয়ে গেল.. আর আমি ওইখানেই বরফের মতো জমে গেলাম.. অন্যরকম অনুভূতিতে আবিষ্ট হতে শুরু করলাম আমি.. এ কেমন অনুভূতি!! একটা কথায় কারেন্ট টের সক খেলাম যেন.. নিজেকে সামলে বাইরে বেরিয়ে দেখি. ইফতীভাই আর ইফ্ফাত দূরে দাড়িয়ে একজন অন্যজনকে দেখে মিটিমিটি হাসছে.. আমি ভাইয়ার পাশে দাঁড়িয়ে বললাম— কি ভাই? শুধু দেখেয় যাবা.. নাকি কিছু বলবে ও.. সে মৃদু হেসে বলল– ভাই তো সব বলেই দিল.. ইফ্ফাত তো আর কিছু বলল না.. আমি দুপাশে মাথা দুলিয়ে বললাম— প্রপোজ কি করছেন আপনি?? তাহলে ও কিভাবে বলবে আপনাকে?? ওনি হালকা ইতস্তত হয়ে বলল– প্রপোজ ও কি করতে হবে??
আমি মুখ ভেঙ্গচিয়ে বললাম— নাহ,,, আমি পাশের বাড়ির অন্য ছেলেকে বলবো প্রপোজ করতে..এইবলে হনহনিয়ে চলে এলাম..হঠাৎ সানিয়া আমার কাছে এসে বলল– আমার ঝুমকো চুড়িগুলো এনেছ??
আমি মাথা দুলিয়ে বললাম— নাহ,, কেন??
সে মাথায় হাত দিয়ে বলল– ওফ, হাসনাত ভাই ইস্পাকে বলছিল ওনার এই চুড়ি অনেক ভালো লাগে.. এমনকি ভাইয়ার পকেটেও আমি এই চুড়ি অনেকবার দেখেছি..
আমি অবাক হয়ে বললাম— ভালো লাগে??
সে মুখ ভেঙ্গিয়ে বলল– তুমি হিংসা করে আনো নাই জানি আমি.. ফাজিল মেয়ে..শুধু আমাকে হিংসা করিস..
এইসব বলতে বলতে আমাকে বকে চলে গেল.. আর আমি রাগে ঐখানে দাড়িয়ে জ্বলতে লাগলাম.. হঠাৎ ইস্পা বলল– হেই, রোদেলা,, তুমি নাকি শাড়ি পড়বে না।.আমি আর হাসনাত আজকে সেইম কালারের শাড়ি আর পান্জাবী পড়বো…
ওর কথা শুনে ইচ্ছে হলো দুজনকে আম গাছের সাথে ঝুলিয়ে দি.. আবার ভাবলাম নাহ..একসাথে ধোলালে তো রোমান্স করবে… আলাদা গাছে ঝুলিয়ে দিব..যাতে একা একা ঘোরতে পারে..
তারপর হঠাৎ মাথায় খুব সুন্দর এক বুদ্ধি খেলে গেল.. হাসনাত ভাইয়ার ব্যাগটা সবার থেকে লুকিয়ে তার পান্জাবীটা হাতে নিয়ে সকল রাগ সেইটার ওপরই ঢেলে দিলাম.. ছোটবেলায় কাগজ কেটে অনেক সুন্দর ফুল বানাতাম আমি.. সেইভাবেই কেটে ফুল বানিয়ে দিলাম.. তারপর পরম খুশি মনে চেপে গুনগুনিয়ে গান গায়তে গায়তে পুরো বাড়িটা ঘোরলাম.. পুরো দুনিয়াটা রঙ্গিন লাগছে আমার.. মনে হচ্ছে আজ আমার ঈদ হচ্ছে.. ঈদের গান গায়তে গায়তে নিজের রুমে চলে এলাম.. এসে দেখলাম ইফ্ফাত মাথায় হাত দিয়ে আছে. আমি মুচকি হেসে জিঙ্গেস করলাম— কিরে ইফ্ফাত তোর কি লুজমোশন হয়েছে?? তুই এমন মুখ ছোটকরে বসে আছিস কেন??
তখন মুনিরা আমার হাতে আমার শাড়িটা ধরিয়ে দিয়ে বলল– এইটা দেখ,, তোমার শুধু লুজমোশন না.. কোমায় ও চলে যেতে পারো..
আমি অবাক হয়ে আমার শাড়ি নিয়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম.. চারটুকরো হয়ে আছে শাড়িটা.. আর ভিতরে একটা চিরকুট তাতে লিখা—-
হেই,,, শয়তানের নানী,, আমি একা কেন নিউ ফ্যাশনের ড্রেস পড়বো.. তুমিও আমার বানানো ফ্যাশনের ড্রেস পড়.. আই হোপ তোমার পছন্দ হবে.. সি ইউ লেইটার.. মাই কিউট বেবি…””
আমি কাগজটাকে দুমড়ে মুচড়ে এরপর ছিড়ে টুকরোটুকরো করে ফেললাম..
বেবি মাই ফুট,, তোরে আজ যদি বেবিদের মতো কান্না না করিয়েছি তো আমার নাম রোদেলাটা পাল্টে রাখিস…এইসব বিরবির করতে করতে খাটে ধুপ করে বসে পড়লাম.. আর প্লান করতে লাগলাম আজ এরোগেট আরিয়ানের সাথে কি কি করা যায়..
চলবে