ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2 পর্ব ৩৭+৩৮

#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#৩৭_পর্ব
.
কি হয়েছে তোর এমন করছিস কেনো?? কি করেছি আমি?? হঠাৎ করে এতোটা চেঞ্জ হওয়ার মানে কি??

মেহরাব এর এহেন কান্ডে প্রথমে মাহি তো ভয়ই পেয়ে গিছিলো,, তারপর তোতলাতে তোতলাতে বলল।

ব,,বলছি আ,,আগে আপনি একটু দূরে যান।

কেনো এভাবে বললে সম্যসা কি??

আমার এভাবে বলতে সম্যসা হচ্ছে আমি ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারছি না সরুন প্লিজ।

মাহির কথা শুনে মেহরাব মাহির থেকে একটু দূরে গিয়ে বলল।

এবার বল কি হয়েছে??

মাহি যেনো হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো জোরে জোরে কয়েকটা শ্বাস নিয়ে৷ মাথা তুলো মেহরাব এর দিকে তাকালো,,, একদিনেই এই অবস্থা এলোমেলো চুল গলার টাইটা ঢিলে হয়ে আছে,, গায়ে থাকা শার্টটা ঘামে একদম ভিজে চুপচুপে হয়ে গেছে, মুখটাও অনেক শুকনা মনে হয় দুপুরে খাওয়া হয়নি, এই ছেলেটাও না। এমন কেনো এতো কেনো ভালোবাসে আমায় আমি যদি কখনো না থাকি তাহলে এই পাগলটার কি যে হবে।

কী হলো এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে না থেকে বল?

মেহরাব এর কথায় মাহির হুশ আসলো রেগে কটমট চোখে বলল।

কি বলবো হ্যাঁ কি বলবো?? আপনার সম্যসা টা কি একবার বলেন আমি এতো ছোট কেনো বড় হয়েও ছোটোর মতো কেনো করি, আবার যখন বড় হওয়ার চেষ্টা করি আপনার কথামত বাচ্চামো স্বভাব ছেড়ে ম্যাচিওর হওয়ার চেষ্টা করি আপনি তখন বলেন আমি কেনো এমন ব্যবহার করছি,,,আরে ভাই আপনার তো দেখছি আমি যেদিকে যায় সেদিকেই সম্যসা,,ছোট হলে বলেন বড় হতে বড় হলে বলেন ছোট হতে।

মাহির কথা শুনে মেহরাব হা করে মাহির দিকে তাকিয়ে ছিলো তার কিছুক্ষণ পর বলল।

তার মানে তুই আমার কথায় ম্যাচিওর হওয়ার চেষ্টা করছিলি?? আমি যে তোকে বলেছিলাম একটু বড় হতে সিরিয়াস হতে তাই তুই এমন করছিলি??

তাই নয় কি আবার জিগাস করছে।

মেহরাব থপ করে বিছানায় বসে বলল।আমি মাফ ও চাই দয়াও চাই বোনরে তুই যেমন আছিস তেমনি থাক তোর কোনো বড় টরো হওয়া লাগবে না,,, এখন কেনো তুই আজীবনই এমনি থাক,, একদিন বড় হয়েই আমার এই অবস্থা না জানি আর কদিন এমন থাকলে আমার কি হতো (শেষের কথাগুলি ফিসফিস করে বলল)

সত্যি তো?? আর কখনো আমায় আমার স্বভাব বদলাতে বলবেন না তো?? আর বলবেন নাতো যে বড় হ বড় হ।

পাগল না মাথা খারাপ,,আর কখনো বলবো না আমার ঘাট হয়েছে।

তাহলে ফুচকা খাওয়ান (মেহরাব এর পাশে বসে বলল)

তুই না ফুচকা খাসনা সকালেই তো বললি।

ধূর ওটা তো আপনাকে দেখানোর জন্য বলেছিলাম,, তখন ফুচকা দেখে তো আমার মুখ অটোমেটিক হা হয়ে গেছিলো মুখের মধ্যে পানি জমে গিছিলো, মনে হচ্ছিলো পুরো দোকান টাই খেয়ে ফেলি।

ওরে ব্যাস তাই নাকি??

তাই নয়ত কি এখন চলেন তো ফুচকা খাবো যলাদি ফ্রেশ হয়ে আসুন।

ঘড়ি দেখেছিস?? রাত ৮ টার বেশি বেজে গেছে এখন দোকান কই পাবো??

এই আপনি জানেন না??

কি জানবো??

আরে দোকানদার রাও জানে যে এই জোছনা রাতে প্রেমিক প্রেমিকা বর বউরা জোছনা বিলাস করতে বেরোই তখন তাদের ফুচকা খেতে মন চাই, এই জন্যই তো দোকানদাররা রাত ১০ টা ১১টা পযন্ত দোকান খুলে বসে থাকে।

তাই নাকি?? এতো কিছু জানিস তুই?? বাবা

হুম?? বুঝতে হয় মাথায় বুদ্ধি থাকা লাগে। (ভাব নিয়ে বলল মাহি)

আচ্ছা ঠিক আছে তুই বস আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি,, আজকে তো আর পড়া হলো না কিন্তু সকাল থেকে পুরো দমে পড়ায় লেগে পড়তে হবে কিন্তু।

সে দেখা যাবে আগে আপনি যান তো,, রাত বাড়ছে তো নাকি।

এরপর মেহরাব ফ্রেশ হতে চলে গেলো,, তারপর ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে বাড়ির সবাইকে বলে বেরিয়ে গেলো,,, রাস্তা ধরে দুজন হেঁটে চলেছে, এখনো রাস্তায় মানুষ আছে কেননা শহরে ৮,,,টা ৯ টা আবার রাত হলো নাকি, মাহি মেহরাব এর বা হাতটা জরায়ে ধরে হেঁটে চলেছে, হাঁটতে হাঁটতে প্রায় অনেকটা দূরে চলে এসেছে।

কীরে তোর ফুচকাওয়ালা কই?? কাওকেই তো দেখছি না,, আর বেশি দূর গেলে আসতে আসতে কিন্তু রাত হয়ে যাবে।

আরে আর একটু চলুন দেখি পাই কি না যদি না পাই তাহলে চলে আসবো।

ওরা সামনে আর একটু এগিয়ে গেলো, তারপর দেখলো রাস্তার পাশে একজন ফুচকাওয়ালা মাহি মেহরাব এর সাথে ওখানে গেলো,

মামা ঝাল ঝাল করে এক প্লেট ফুচকা দেন তো

মোটেও না, এখন ঝাল ঝাল করে ফুচকা খাবে আর পরে চেঁচিয়ে সারা পাড়া মাথায় তুলবে,, মামা একটুও ঝাল দিবেন না।

শুনেন খাবো আমি তো আমিই বুঝে নেবো,, মামা আপনি বেশি করে ঝাল দেন।

মাহির কথামত ফুচকাওয়ালা বেশি করে ঝাল দিয়ে একদম ঝাল ঝাল ফুচকা দিলো, মাহি তো গপাগপ খেয়েই চলেছে,, ঝালে চোখ দিয়ে পানি পরছে ঠোঁট আর নাক লাল হয়ে গেছে তবুও মেহরাব কে কিছু বলছে না।

ফুচকা খাওয়া শেষে বিল মিটিয়ে ওরা বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করলো।

আগেই বলেছিলাম বেশি ঝাল না খেতে এখন দ্যাখ কেমন লাগে,,

মাহি কোনো কথা বলছে না শুধু চুপচাপ হেঁটে চলেছে।

আচ্ছা আর চুপ থাকতে হবে না, আমি দেখছি, এই বলে মাহিকে নিয়ে একটা দোকানে গেলো তারপর ঠান্ডা ঠান্ডা একটা আইসক্রিম নিয়ে মাহিকে দিলো,, মাহি খুশি হয়ে মেহরাব এর হাত ধরে আইসক্রিম খেতে খেতে হাঁটতে লাগল।

আপনি বুঝলে কীভাবে যে আমার এখনো ঝাল লাগছিলো।

যাকে ভালোবাসি, তার সবটাই জানতে হয়, আর আমি তোকে সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি আমি তোকে তোর থেকেও বেশি চিনি বুঝলি গাধী।

ওরা দুজন হেঁটে যাচ্ছিলো পাশেই একটা গাছের নিচে তিনটা ছেলে বসে মাতলামি করছিলো মাহি আর মেহরাব কে দেখে পাশ থেকে একটা ছেলে বলে উঠলো,,,

এই যে হিরো, এই জিনিস কে (মাহি কে উদ্দেশ্য করে বলল) একা একে সামলাতে পারবে না,, আমাদের কে দিয়ে যাও, বেশি না তিন জনের তিন ঘন্টা হলেই হয়ে যাবে (এটা বলে একটা বিচ্ছি হাসি দিলো)

মেহরাব চোখ লাল করে হাত মুঠ করে ছেলেগুলোর দিকে তাকালো।

মেহরাব ভাই এরা ভালো ছেলে নয় চলেন আমরা চলে যায় এখান থেকে (মেহরাব এর হাত শক্ত করে ধরে বলল মাহি)

তুই এক কাজ কর পিছন ঘুরে আইসক্রিম খা,, মনে রাখবি আইসক্রিম শেষ না হওয়া অবধি পিছনে তাকাবি না ওকে?

কিন্তু মেহরাব ভাই

চুপ কোনো কথা নয় যা বলছি তাই কর। মাহি মেহরাব এর কথা অনুযায়ী পিছন ঘুরে আইসক্রিম খেতে লাগল এদিকে মেহরাব সোজা গিয়ে যে ছেলেটা কথাগুলো বলেছিলো তার মুখ বরাবর একটা ঘুষি মারল। ছেলেটা ছিটকে দূরে গিয়ে পরলো আর মুখ দিয়ে রক্ত বার হতে লাগল।

এই তুই ওকে মারলি কেনো আজকে তো তোকে এখানে জিন্দা কবর দেবো আর তোর সাথে আাসা ওইটাকে নিয়ে পুরো রাত মজা করবো ,, এই বলে ছেলেটা একটা ছুড়ি বার করল।

দেখি কে কাকে কবর দেয়৷, আর একটা মেয়ের পেট থেকে জন্ম নিয়ে সেই মেয়ে জাতিকেই সম্মান করিস না,, আজ তোদের বোঝাবো কীভাবে কাকে সম্মান করতে হয়।

এই বলে দুমদাম সব কটাকে পেটাতে লাগল, মেহরাব যখন একটা ছেলেকে মারছিলো তখনি আরেকজন পিছন থেকে এসে মেহরাব এর হাতে ছুড়ি মেরে দিলো আর সঙ্গে সঙ্গে হাত দিয়ে রক্ত পরতে লাগল।

আহ,,, মেহরাব এর আর্তনাত শুনে মাহি পিছনে তাকিয়ে ফেলল।

একি রক্ত?? মেহরাব ভাই আপনার হাত।

নাহ মাহি একদম এখানে আসবি না,, যেভাবে ছিলি ওভাবেই থাক পিছনে ফিরে তাকা।

না মেহরাব ভাই আপনার হাত দিয়ে অনেক রক্ত পরছে আমি আসছি। এই বলে মাহি যেই মেহরাব এর দিকে আসতে যাবে তখনি পিছন থেকে একটা ছেলে লাঠি নিয়ে মেহরাব এর দিকে আসলো।

মেহরাব ভাই,,, চিৎকার করে বলল মাহি। #ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#৩৮_পর্ব
.
মেহরাব ভাই,,, চিৎকার করে বলল মাহি।

আহ কি হচ্ছে কি মাহি একটু আস্তে চেঁচা এমন ভাবে চিল্লানি দিলি যেনো মনে হচ্ছে কি না কি (তেড়ে আসা ছেলেটার লাঠি একহাতে ধরে বলল মেহরাব)

যেখানে আছিস সেখানেই থাকবি ওখান থেকে এক পা নড়লে আমি এসে তোর পা ভেঙে রেখে দেবো,

মেহরাব এর হুমকি শুনে মাহি ওখানেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদতে লাগল,, আর মেহরাব এদিকে সবগুলো কে দুমদাম পিঠিয়ে অবস্থা খারাপ করে দিলো,, একেকটা একেক ভাবে মাটিতে পড়ে আসে,,, মেহরাব হাত ঝাড়তে ঝাড়তে মাহির কাছে গিয়ে মাহির কাঁধে হাত রাখতেই মাহি ভয়ে কেঁপে পিছনে তাকালো।

আরে আমি,, আর কারো সাহস আছে নাকি তোকে ছোঁয়ার।

মেহরাব কে দেখে মাহি শক্ত করে মেহরাব কে জড়িয়ে ধরল,, এতো শক্ত করে যেনো এখনি টুপ করে মেহরাব এর বুকের ভিতর ঢুকে যাবে।

আরে আস্তে ধর পরে যাবো তো আর এমন ভাবে ধরলি যেনো মনে হচ্ছে আমি বহু বছর পর যুদ্ধ শেষ করে ফিরলাম। (মেহরাব ও মাহিকে জড়িয়ে ধরে বলল)

আ,,আপনার হাত, একি এখনো রক্ত পড়ছে তো, কতখানি কেটে গেছে, এখন কি হবে,, কেঁদে বলল মাহি।

কি আর হবে সিনেমার নায়িকাদের মতো উড়না থেকে কাপড় চিড়ে আমার হাত বেঁধে দিবি।

মেহরাব ভাই এটা মোটেও মজা করার সময় নয়, চলুন তো দেখি কোনো ডাক্তারের দোকান খোলা আছে নাকি,, সব দোষ আমার কেনো যে ফুচকা খেতে আসলাম।

শোন বাড়িতে এ বেপারে কাউকে কিছু বলবি না কিন্তু,, আর কান্না থামা।

ক,,কেনো বলবো না, , আমার তো মন চাইছে আমি এখনি দৌড়ে গিয়ে মামি মণি কে বলে আসি।

যা বলছি তাই করবি এতো বেশি কথা বলিস কেনো?

মেহরাব মাহিকে নিয়ে চলে গেলো,, মেহরাব এর হাত ব্যান্ডেজ করে ওরা বাড়ি ফিরে গেলো,, মেহেরাব মাহিকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে নিজেও বাড়ি ফিরে গেলো, মাহি অবশ্য যেতে চাইনি মেহরাব ওকে জোর করে দিয়ে এসেছে।

সকালে,,,,,,

ডয়িং রুম ভর্তি মানুষ একটু পর মেঘলা রাও চলে আসবে,, মেহরাব মাথায় হাত দিয়ে সোফায় বসে আছে আর রুপালি একদিকে কাঁদছে আবার মেহরাব এর হাতটা উল্টে পাল্টে দেখছে।

আহ মা সকাল সকাল কি শুরু করলে বলোতো এমন কিছুই হয়নি একটু কেটে গেছে এই আর কি।

একটু কেটে গেছে?? আমি সব জানি তোর ডাক্তার আঙ্কেল নিজে দেখেছে তোকে ডাক্তারের দোকানে ঢুকতে পরে ওখানে গিয়ে জিগেস ও করেছে যে তোর কি হয়েছে,, ওনারা বলেছে অনেকটা কেটে গেছে তিনতিনটা শিলায় দেওয়া হয়েছে, আর তুই বলছিস কিছুই হয়নি (কেঁদে বলল রুপালি)

ভ্যাগিস আঙ্কেল মাহিকে দেখিনি তাহলে তো কেলেঙ্কারি হয়ে যেতো। (মনে মনে বলল মেহরাব)

এই তুই না মাহিকে নিয়ে বাইরে গেলি তাহলে হাত কাটলো কি করে??

আরে আমি ওকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার পর বাড়ি ফিরার সময় কিছু বখাটে ছেলেদের সাথে ঝামেলা হয়ে গিছিলো (ডাহা মিথ্যা কথা)

আজ থেকে আর মাহিকে পৌঁছে দেওয়া লাগবে না ও রাতে এখানেই থাকবে,, আর তুই ছেলেগুলোর মুখ দেখেছিস তো ভালো করে মেঘ আসলে ওকে বলবি সব কটাকে জেলে ঢুকাবো আমার ছেলের গায়ে হাত।

কিহ তুমি এর মধ্যে মেঘ কেও বলে দিয়েছো?? মা আমার কিছু হয়নি তুমি শুধু শুধু মেঘকে বলতে গেলে।

কি হয়ছে ভাইয়া একি এতো দেখছি ইয়াবড় ব্যান্ডেজ করা (মেঘলা)

হ্যাঁ এখন তুইও মায়ের মতো শুরু কর।

মেঘ আপনি একটা কেও ছাড়বেন না সব কটাকে ধরে জেলে পুরে দেবেন।কত বড় সাহস আমার ভাইকে মেরেছে(মেঘলা)

ধরবোই বা কি আমি জানি যারা মেহরাব কে মেরেছে তারা এতোক্ষণে একটাও আস্তো নেই সব কটাকে মেরে মেহরাব ছাতু বানিয়ে দিয়েছে, তাহলে আমি আর ধরে কি করবো,, আহারে এই প্রথম আমার কোনো আসামীর জন্য মায়া হচ্ছে (মেঘ মেহরাব এর দিকে তাকিয়ে মনে মনে কথা গুলো বলল)

সারারাত মাহির একটুও ঘুম হয়নি মেহরাব এর চিন্তায় কতটা কেটে গেছে যদি ইনফেকশন হয়ে যায়,,তাই সকাল সকাল উঠেই মাহি মেহরাব দের বাড়ির উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়েছে,, বাড়ির কাছে আসতেই মাহির জান বার হওয়ার উপক্রম এতো মানুষ কেনো মেহরাব ভাই এর কিছু হয়নি তো,, এই ভেবে মাহি ভয়ে ভয়ে ভিতরে গেলো।

মাহিকে দেখেই রুপালি মাহিকে ডেকে বলল।

তুইও আসছিস দেখ মা দেখ আমার ছেলেটার কি অবস্থা,, যার জন্য এমন হয়েছে তাকে আমি মোটেও ছাড়বো না।

রুপালির কথা শুনে মাহি ঢোক গিলে মেহরাব এর দিকে তাকালো,এই জন্যই মেহরাব ভাই আমায় কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করেছিলো,, আসোলে সব দোষ আমার, কেননা এতোসব তো আমার জন্যই হয়েছে, আমি যদি ফুচকা না খেতে চাইতাম তাহলে তো এমন হতো না,,, মাহির তাকানো দেখে মেহরাব মুচকি হাসি দিয়ে বলল

কিরে ওখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো আয় এখানে বস।

মাহি চোরের মতো এককোণে দাঁড়িয়ে আছে।

মেঘ আস্তে করে মাহির কাছে গিয়ে ফিসফিস করে জিগাস করলো।

কেসটা কি বলোতো আমি জানি তুমি সব কিছু জানো বেপারটা আমায় খুলে বলো তো।

মাহি ঢোক গিলে মেঘকে সব বলল।সব শুনে মেঘ একটা শুকনো ঢোক গিলে বলল।

একথা যদি আমার শাশুড়ী জানতে পারে তাহলে কি হবে বুঝতে পারছো তো?? সোজা ফাঁসি তার এতো আদরের ছেলে তাও দশটা না পাঁচ টা না একটা মাএ ছেলে।

কেনো ভয় দেখাচ্ছেন ভাইয়া,, এভাবে বলবেন না তাহলে কিন্তু আমি ফাঁসির আগেই ধুম করে পড়ে মরে যাবো।

তা ওই ছেলেগুলোর কি অবস্থা?? শেষ??

একদম আবার জিগায়,, মনে হয় না ছয় মাসের আগে বেড থেকে উঠতে পারবে।

ও আমি আগেই জানতাম এমনটাই হবে,, ছেলেগুলো তো আর জানে না ওরা কার সাথে পাঙ্গা নিতে আসছিলো,,, তাহলে আর কি এখন তুমিও সাজা পাওয়ার জন্য রেডী হও আমি গেলাম,,, (এই বলে মেঘ সবাই কে বলে চলে গেলো)

মাহি চুপ করে এক কোণায় দাঁড়িয়ে ছিলো তখনি রুপালি বলল।

কিরে তুই ওখানে ওভাবে দাঁড়িয়ে না থেকে রান্না ঘর থেকে এক গ্লাস গরম দুধ নিয়ে আয়৷

জ,,জি মামনি যাচ্ছি।

না মাহি তোকে কোথাও যেতে হবে না, আর মা তুমিও পাগল হয়ে গেছো আমার কিছুই হয়নি,, আমি রুমে যাচ্ছি ফ্রেশ হবো আর মাহি তুই বই গুলো নিয়ে বাড়ি যা (এই বলে মেহরাব উপরে চলে গেলো)

মেহরাব যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই মাহিও মেহরাব এর রুমে গেলো বই আনতে, গিয়ে দেখলো মেহরাব নেই নিশ্চয়ই বাথরুমে মাহি মাথানিচু করে বিছানার উপর বসল।

কিছুক্ষণ পর মেহরাব এসে দেখলো মাহি মাথা নিচু করে বসে আছে আর কেমন যেনো কেঁপে কেঁপে উঠছে।

মেহরাব মাহির কাছে গিয়ে ওর পাশে বসে ওর কাঁধে হাত রেখে বলল।কিরে কি হয়েছে?? এভাবে বসে আছিস কেনো??

মেহরাব এর কথা শুনে মাহি মেহরাব কে জড়িয়ে ধরে ওর বুকে মাথা রেখে কেঁদে বলল,

আম সরি মেহরাব ভাই,, সব আমার জন্য হয়েছে আমি যদি তখন না বলতাম তাহলে এতো সব কিছু হতো না আম রিয়েলি সরি মেহরাব ভাই (কেঁদে বলল মাহি)

তুইও কি মায়ের মতো পাগল হয়ে গেছিস দেখি মুখটা দেখি কেঁদে কেটে একদম যাচ্ছে তাই করে ফেলছে পাগলি টা,,,, যেটা হওয়ার সেটা হবেই এতে কারো হাত থাকে না, আর তোর এতো চিন্তা করতে বলছে কে হম?? আর তোর না পরিক্ষা যা পরতে বস।

মেহরাব ভাই আপনি এখনো একথা বলছেন??

হুম বলছি,,

আপনি তো দেখছি বাসর ঘরেও বলবেন এই মাহি এখানে ঘোমটা দিয়ে কি করছিস যা পরতে বস,, আনরোমান্টিক এর বস্তা একটা (এই বলে মাহি বইগুলো নিয়ে রুমে থেকে বেরিয়ে গেলো)

কি বলে গেলো মেয়েটা?? বাসর ঘর?? পাগলি একটা।

চলবে,,,,,,,???

চলবে,,,,,??

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here