মায়ায় জড়ানো সেই তুমি পর্ব -২৭

#মায়ায়_জড়ানো_সেই_তুমি
#পার্ট_২৭
জাওয়াদ জামী

চৌধুরী বাড়িতে বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। জামিল চৌধুরীর ভাই-বোন সবাই এসেছে। তানিশা অসুস্থ থাকায় ছোট পরিসরে আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিয়াসা গ্রামে ফিরেছে সাইফের সাথে সাদিফের কথা বলার দিনই।
শায়লা চৌধুরী ও জামিল চৌধুরী বিয়ের ব্যাপারে ছোট ছেলের সাথে কথা বলেন। সাইফ তখনই জানতে পারে তিয়াসার সাথে ওর বিয়ে হচ্ছে। ও ভেবে পায়না ভাবি ও তার পরিবার এই বিয়েতে রাজি হল কেন!

তানিশা রিশার পরিবারকে ফোনে দাওয়াত করেছে। কিন্তু সম্প্রতি রিশার সন্তান হওয়ায় সে অসুস্থ। তাই আফসোসের সাথে জানায়, সে আসতে পারবেনা। কিন্তু ইশান আর ওর মা’কে পাঠিয়ে দিবে।

সাইরা তিনদিন আগেই বাবার বাড়িতে এসেছে। একমাত্র বোন হওয়ায় আর বাড়ির বড় বউ অসুস্থ থাকায় সব কাজের ভার ওকেই সামলাতে হচ্ছে। বিয়ের যাবতীয় কেনাকাটা ওকেই করতে হয়েছে। সবকিছু কিনে আনার পর তানিশাকে দেখিয়েছে। প্রত্যেকটা জিনিসই তানিশার ভিষণ পছন্দ হয়েছে।
সাদিফ তানিশাকে বলেছে কিছু ব্রাইডাল সেট অনলাইনে অর্ডার করতে। তানিশা সেই মোতাবেক পছন্দ অনুযায়ী অর্ডার করেছে। সাইফ, তিয়াসার জন্য একটা কাপল ড্রেস চুজ করেছে যেটা রিসিপশনে পরবে।
রুমে শুয়ে-বসে থেকেই তানিশা বিয়ের আনন্দ উপভোগ করছে।
শায়লা চৌধুরী ছোট ছেলের বিয়ে নিয়ে বেশ উৎফুল্ল হয়ে আছেন। তিনি ভাবতেও পারেননি তিয়াসার মত একজন শান্ত, নম্র মেয়ের সাথে তার ছেলের বিয়ে হবে। এমনকি তিয়াসার রাজি হওয়ার বিষয়টিও তাকে অবাক করেছে। যদিও সাদিফ এ বাড়ির কাউকেই জানায়নি তিয়াসাই সাইফকে পছন্দ করেছে।

রাতে খাবার টেবিলে সাদিফকে দেখে জামিল চৌধুরীও তার ছেলের পাশে বসলেন৷
” মম, সাইফকে ডাক, এখন থেকে সবাই একসাথে খাব। ” শায়লা চৌধুরীর চোখে অশ্রুরা ভীড় জমায়। সাইফ আসা অব্দি সাদিফ ওর সাথে বসে খায়নি। আজ সেই ছেলে বলছে, এখন থেকে সবাই একসাথে খাবে! তবে কি দুই ভাইয়ের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে!
মা’য়ের ডাকে সাইফ নিচে এসে দেখল টেবিলে বাবা,ভাই, চাচারা ওর জন্য অপেক্ষা করছে। আর বাবা, ভাইয়ের মাঝখানের চেয়ার ওর জন্য বরাদ্দ। কতদিন পর একসাথে খাবে ভাবতেই আবেগে দু-চোখ ভাসতে থাকে।
গত কয়েকমাস পর আজ পেট পুরে খায় সাইফ।
সাদিফ আড়চোখে লক্ষ্য করে সাইফের উৎফুল্লতা। ঠোঁটের কোনে খেলে যায় হাসির ঢেউ।

রাতেও সবাই একসাথে খায়। অভ্যাসবশত সাইফ ছাদে এসেছে। ওর মাথায় একটাই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে, এই ব্যর্থ, ক*ল*ঙ্ক*খচিত জীবনে তিয়াসাকে জড়িয়ে ভুল করছে নাতো? এখনও সেই দু*র্বি*ষ*হ দিনগুলি তাড়া করে বেড়ায় ওকে৷ কত রাত যে ঘুমের মধ্যে চি*ৎকা*র দিয়েছে তার হিসেব ওর কাছে নেই। একজনের প্র*তা*র*না*য় নিঃস্ব সে। সেখানে কিভাবে আরেকজনকে হৃদয়ে আসন দিবে! ও যে রিক্ত, শূন্য। কিন্তু ভাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে সাহস হচ্ছেনা কিছু বলার। সে আর কাউকেই হারাতে চায়না৷ ভাইয়াকে তো নয়ই।
কি ভুল ছিল তার! ভালোই তো বেসেছিল। যে ভালোবাসায় ঠাঁই ছিলনা কোন মিথ্যা কিংবা ছলনার। যার জন্য নিজের কাছের মানুষদের দূরে ঠেলে দিয়েছে সেই মানুষটাই প্রয়োজন শেষে ওকে ছুঁড়ে ফেলতে দ্বিধা করেনি। আপনজনদের দূরে সরানোর শাস্তি বুঝি এমনই হয়! একটা ভ*য়া*ন*ক ক্ষ*ত হয়েছে তার হৃদয়পুরে৷ যেখান থেকে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পরে ধোঁ*কা আর বি*শ্বা*স*ঘা*ত*ক*তা*র
দা*বা*ন*ল। যে দা*বা*ন*ল ছাই করে দিয়েছে সকল ভালোবাসা। যে ছাইয়ের মাঝে ভালোবাসার অস্তিত্বটুকু নেই সেখান থেকে তিয়াসাকে কি দেবে সে! মেয়েটা যে দিন শেষে ভালোবাসাহীনতায় ঢু*বে ম*র*বে! কিন্তু সেও যে নিরুপায়। পঁচে যাওয়া, পু*ড়ে যাওয়া কোন হৃদয়ে ভালোবাসার অস্তিত্ব আদৌ কি থাকে?

নির্দিষ্ট দিনে বেশ কয়েকজন বরযাত্রী নিয়ে কদম তলী রওনা দেয় জামিল চৌধুরীর পরিবার। তানিশা অসুস্থ থাকায় সে যেতে পারেনি। তবে তূর্ণাকে নিয়ে সাদিফ যাচ্ছে।
ওরা সকাল সকাল রওনা দেয়ায় দুপুরের মধ্যেই পৌঁছে যায় কদম তলী। তালিব শেখ বেশ আয়োজন করেছেন। তার সব আত্মীয়স্বজনরা মোটামুটি উপস্থিত।
জামিল চৌধুরী যত তারাতারি পারলেন বিয়ের কাজকর্ম সাড়লেন। কারন এখান থেকে আগেভাগে বেড় হতে না পারলে ঢাকায় পৌঁছাতে রাত হয়ে যাবে।
তালিব শেখের সাথে বসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা সেড়ে নিচ্ছেন জামিল চৌধুরী। তারা রিসিপশনের আয়োজন করেছে রবিবারে। যেহেতু আজ শুক্রবার আর জার্নির ধকল আছে তাই আগামীকাল রেস্ট নিয়ে রবিবারে রিসিপশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জামিল চৌধুরী সবাইকে নিয়ে শনিবারেই তালিব শেখকে ঢাকায় উপস্থিত হতে বললেন। কিন্তু তালিব শেখ ভদ্রভাবে তার প্রস্তাব না করলেন। কারন এখান থেকে বেশ কিছু আত্মীয় স্বজনরা যাবে। এতজনকে নিয়ে আগেই যাওয়া মানে তাদেরকে বাড়তি চাপে ফেলা। যা কিছুতেই করবেননা তিনি। তাই জামিল চৌধুরীকে বলে দেন রবিবার খুব ভোরে রওনা দিবেন তারা।

বিকেল চারটার দিকে ছেলের বউ নিয়ে হাসিমুখে কদম তলী ছাড়লেন জামিল চৌধুরীরা। কিন্তু তিনি হাসিমুখে থাকলেও তালিব শেখ মেয়েকে হাসিমুখে বিদায় দিতে পারলেননা। তিনি ও আয়েশা খাতুন সহ তার ছেলে-মেয়েরা কান্নার দমকে থেকে থেকে কেঁপে উঠছিলেন৷
সারাজীবনের জন্য নিজের মেয়েকে অন্যের কাছে দেয়ার কষ্ট একমাত্র বাবা-মা’ই উপলব্ধি করতে পারে। আর তিয়াসা সারা রাস্তা কাঁদতে কাঁদতে এসেছে। কিন্তু তার তো খুশি থাকার কথা! পছন্দের মানুষকে পেয়েছে সে। তবুও কেন বারবার বাবা-মা, ভাই-বোনের মুখগুলো চোখের সামনে ভাসছে! আর কখনোই মায়ের কোলে মাথা রেখে আহ্লাদী সুরে বায়না করতে পারবেনা! কখনোই ছোট ভাই-বোনের সাথে খুনসুটিতে মেতে উঠবেনা! কিংবা বৃদ্ধা দাদির বিছানায় শুয়ে দাদির অতীত রোমন্থন শুনবেনা আর কখনও! সংসারের মায়াজালে আটকে গেল সে! এই মায়াজালে একবার আটকালে আর বেড়িয়ে আসা যায়না বুঝি! এ কেমন মায়া! এ কেমন টান! যার জন্য নিজের আপনজনদের ছাড়তে হয়! পাশে বসে থাকা এই মানুষটা বুঝি সেই আপনজনদের চাইতেও আপন!
সাইফ আড়চোখে তিয়াসার কান্না দেখছে। ও ভেবে পাচ্ছেনা যে দুইদিন আগ পর্যন্ত তাদের বাড়িতে হেসেখেলে কাটিয়েছে সে আজ ঐ বাড়িতে যাওয়ার সময় এত কাঁদছে কেন? ঐ বাড়ির প্রতিটি দেয়াল এর পরিচিত। ঐ বাড়ির মানুষজন একে কত ভালোবাসে। সেখানে তার বড় বোন আছে। তবুও এত কান্না কিসের?
আজ পাশাপাশি বসা দুজন মানুষের চিন্তাধারা ভিন্ন। একজন কিছু হারিয়ে কিছু পাওয়ার আনন্দে কাঁদছে। আরেকজন সেই কান্নার কারন খুঁজতে ব্যর্থ।

ওদের ঢাকা পৌঁছাতে রাত দশটার বেশি বেজে যায়। শায়লা চৌধুরী তার ছোট ছেলের বউকে সাদরে বরন করলেন। তার চোখেমুখে খুশি উপচে পরছে। তিয়াসা এবার লজ্জা পায়। এতদিন যেটা বোনের বাড়ি ছিল আজ থেকে সেটা নিজের বাড়ি হয়েছে। সাইফের কাজিনরা মিলে তিয়াসাকে সাইফের রুমে নিয়ে আসে। ওরা কিছুক্ষণ তিয়াসার সাথে আড্ডা দেয়। শায়লা চৌধুরী খাবার নিয়ে এসে তিয়াসাকে ফ্রেশ হতে বলে। তিয়াসা ফ্রেশ হয়ে আসলে শায়লা চৌধুরী নিজ হাতে ওকে খাইয়ে দেয়।
” আন্টি আপু কই? ওর শরীর কি আজ বেশি খারাপ? ” তিয়াসার কথা শুনে শায়লা চৌধুরীর মাথায় যেন বাজ পড়ল!
” এই মেয়ে আন্টি কে! আমি তোমার শ্বাশুড়ি হই বুঝলে। আজ থেকে মা বলে ডাকবে। ” তিয়াসা মাথা নেড়ে সায় জানায়।
” বড় বউমা ঘুমাচ্ছে। বিকেলে শরীরটা একটু খারাপ করায় ডক্টর এসে ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়েছে। তাই আজ রাতে আর বোনের দেখা পাবেনা বুঝলে। সকালে দেখা কর বউমার সাথে। ” তিয়াসা মাথা নাড়ায়।
শোন বউমা আমি সবাইকে রুম থেকে যেতে বলছি, তুমি রেষ্ট নাও। শায়লা চৌধুরী রুম ত্যাগ করেন৷
তিয়াসা মনযোগ সহকারে সাইফের রুম দেখছে। আজই প্রথম ও এই রুমে আসল৷ বেশ ছিমছাম রুমটা। সব কিছুই সাজানো-গোছানো রয়েছে। তিয়াসা মুচকি হাসে। আজ থেকে এই রুমের মালিক সে। এতদিন শুধু একটিবার এই রুমে আসতে মনে ভেতর আকুপাকু করেছে, কিন্তু আজ থেকে এই রুমেই ওর রাজত্ব। তিয়াসা গভীর ভালোবাসা নিয়ে ছুঁয়ে দেখে রুমের আসবাব এমনকি প্রতিটা কোনও।

বেশ রাত হয়েছে কিন্তু সাইফ এখনো আসেনি। ওর অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত তিয়াসা। আবার একটু ভয়ও হচ্ছে। সাইফ তাকে মেনে নিবে তো!
খট করে খুলে যায় দরজা। সাইফ রুমে প্রবেশ করে। তিয়াসার বুক ধুকপুক করছে।
সাইফ রুমে এসেই কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়। ওয়াশরুম থেকে সাইফ যখন বের হয়, তখন তাকে একদম তরতাজা দেখাচ্ছিল। অ্যাশ কালার ট্রাউজার আর কালো টি শার্টে বেশ দেখাচ্ছে সাইফকে। সাইফ ধীর পায়ে বিছানার দিকে আসে।
” তিয়াসা, অনেক রাত হয়েছে। তুমি নিশ্চয়ই ক্লান্ত। এখন শুয়ে পর। আমিও ঘুমাব। ” খাটের একপাশে শুয়ে পরে সাইফ। তিয়াসা স্তব্ধ হয়ে বসে থাকে।
” দূর ব্যাটা, আনরোমান্টিক ভূত। নতুন বউ বিছানায় বসে আছে কোথায় একটু রোমাঞ্চ করবে। কিন্তু না ইনার তো ক্লান্তিতে শরীর চলছেনা। ” তিয়াসা মনে মনে ইচ্ছেমত বকতে থাকে সাইফকে।
তিয়াসাকে ঠাঁয় বসে থাকতে দেখে সাইফ ভুরু কোঁচকায়।
নিজের সাথে যথেষ্ট বোঝাপড়া করেছে সাইফ কিন্তু কিছুতেই নিজের মনকে মানাতে পারেনি। তিয়াসার সাথে কিছু কথা বলার উপযুক্ত সময় বোধহয় এখনই।
” ঘুমানোর আগে তোমার সাথে কিছু কথা আছে। তুমি কি শুনবে? “মাথা নাড়িয়ে সায় জানায় তিয়াসা।
” আমি ধরে নিচ্ছি তুমি আমার অতীত সম্পর্কে সবকিছুই জানো। এক জীবনে ভালোবাসা যায় শুধুমাত্র একজনকেই। আর সেই ভালোবাসা আমার জীবনে এসেছিল৷ কিন্তু দুর্ভাগ্য আমি যাকে ভালোবাসা ভেবেছিলাম সেটা অপরজনের কাছে শুধুই খেলা বৈ আর কিছুই ছিলনা৷ কিন্তু ভালোতো আমি সত্যিই বেসেছিলাম। যার জন্য সবাইকে ছেড়েছি, একসময় টাকার জন্য সেই আমাকে চরম শিক্ষা দিল। ” সাইফের চোখে পানি দেখে তিয়াসার বুকের ভিতর হুহু করে ওঠে। ওর খুব ইচ্ছে করছে সাইফের চোখের পানি মুছে দিয়ে তার বুকে মাথা রাখতে। কিন্তু এখন সে উপায় নেই।
সাইফ নিজেই চোখ মুছে নেয়।
” তিয়াসা, আমি এই মুহূর্তে বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলামনা। ইভেন জীবনে আর কখনো বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু ভাইয়া নিজে যখন আমাকে বিয়ের কথা বলল, তখন আর না করতে পারিনি৷ শুধুমাত্র ভাইয়ার সাথে আগেরমত সম্পর্ক হবে ভেবেই অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিয়েতে রাজি হয়েছি। ” তিয়াসার মনে হচ্ছে কেউ ওর শ্বাসনালী চেপে ধরেছে। নিংড়ে নিচ্ছে শরীরের সমস্ত শক্তি। হাঁসফাঁস করছে বুকের ভিতর। একটা সামান্য কথায় এত কষ্ট হচ্ছে কেন!
” তবে সবকিছু মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা আমি করব।তুমি আমাকে একটু সময় দাও, প্লিজ। আমি ভাইয়ার ভালোবাসা আর হারাতে চাইনা। এ ব্যাপারে তুমি আমাকে সাহায্য করবে তিয়াসা? ” সাইফের গলায় অনুনয়।
তিয়াসা কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে। নিজের মনের সাথে কথা বলছে। ও তো জানতই এমন হতে পারে। তবুও এত কষ্ট কেন! জেনেশুনেই তো আ*গু*নে ঝাঁ*প দিয়েছে। তবে এখন কেন পু*ড়া*র ভয় করছে!
” আপনি যতটা ইচ্ছা সময় নিন। আমি অপেক্ষা করব। তবে বেলা শেষে আমি নিজেকে এবং আপনাকে সুখী দেখতে চাই। ”
তিয়াসার কথায় কি ছিল সাইফ জানেনা কিন্তু হঠাৎই ওর মন প্রশান্তিতে ছেয়ে যায়।

আজকের রাতটা তিয়াসার কাছে খুব দীর্ঘ লাগছে। সাইফ অপর পাশ ফিরে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। শুধু ঘুম নেই তিয়াসার চোখে। ওর খুব ইচ্ছে করছে সাইফের মাথায়, শরীরে আলতো করে হাত বুলাতে। কিন্তু সাহয় হয়না, যদি সে জেগে যায়।
” আনরোমান্টিক ভূত, আপনার যত খুশি সময় নিন। আমি আপনার অপেক্ষায় কয়েক জনম কাটিয়ে দিব। তবুও আপনাকে আমারই হতে হবে। আপনাকে এত ভালোবাসা দিব যে আপনি ভুলে যাবেন অতীতে কারও অস্তিত্ব ছিল আপনার জীবনে। তখন আমিই হব আপনার একমাত্র ভালোবাসা। যাকে আপনি সত্য ভালোবাসা বলে আখ্যায়িত করবেন। আপনার একমাত্র সত্য ভালোবাসা। ”

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here