মিশে_আছি_তোমাতে পর্ব ১২+১৩

#মিশে_আছি_তোমাতে ❤
#Writer_Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_12
.
.
.
.

তিশা ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে দেখে আবির রেডি হচ্ছে অফিসে যাওয়ার জন্য….

তিশা : একি আপনি ফ্রেস হবেন না…..

আবির : ফ্রেস হয়ে নিয়েছি অন্য ওয়াসরুম থেকে…..

তিশা : ওও আচ্ছা আমাকে কলেজে একটু দিয়ে আসবেন…. গতকাল তো কলেজে যেতেই পারি নি…..

আবির : এই কি আমি শুনলাম তুমি আমাকে বলছো তোমায় কলেজে দিয়ে আসার জন্য…. আমি সত্যি শুনেছি নাকি স্বপ্ন দেখছি( অভিনয় করে)

তিশা : শুনুন এত অভিনয় করবেন না কলেজে আমাকে দিয়ে আসতে পারবেন কি না আমাকে সেটা বলেন…..

আবির : আচ্ছা বাবা সরি তোমাকে আমি কলেজে দিয়ে আসবো…. তুমি রেডি হয়ে নিচে আসো…..

আবির হাতে করে কোর্ট নিয়ে ঘর থেকে চলে যায় ……. তিশা রেডি হয়ে নিচে যায় আর সবাই ব্রেকফাস্ট করে বের হয়…… আবির ড্রাইভিং সিটে গিয়ে বসে নিরব পিছনের সিটে বসে তিশা পিছে বসতে যাবে তা দেখে আবির রাগে বলে ওঠে……

আবির : আমি কি তদের ড্রাইভ নাকি যে সবাই পিছনে গিয়ে বসছিস…..

নিরব : ভাইয়া তুমি এটা কি বলছো তুমি ড্রাইভ হতে যাবে কেন??

আবির : তাহলে দুজনেই পিছনে গিয়ে বসেছিস কেন???

নিরব : ওওও আচ্ছা এই‌ ব্যাপার…… ভাবি তুমি ভাইয়ার পাশে গিয়ে বসো আমি এখানে বসছি….

তিশা : ঠিক আছে….

তিশা আবিরের পাশে এসে বসে…… আবির লক্ষ্য তিশা সিট বেল্ট লাগাই নি তার জন্য আবির তিশার কাছে যায় আবির তিশার কাছে যাওয়ার সাথে সাথে তিশা নিজের দু চোখ বন্ধ করে ফেলে….. তিশা চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে আবির সিট বেল্ট লাগিয়ে দিছে…..

আবির : সিট বেল্টটা লাগিয়ে দিলাম….

তিশা জোরে নিশ্বাস ছাড়ে……

তিশা : ( উফফ তিশা তুই যে সবসময় কি যে ভাবিস ধ্যাত তর মাথাটাই গেছে পুরা)

নিরব : ভাবি তুমি তো কলেজে যাবে তাই তো..

তিশা : হে নিরব…. তুমি কোথায় যাচ্ছ অফিসে??

নিরব : হে ভাবি মাএ দেশে ফিরেছি আর ভাইয়া এখনেই অফিসে বসিয়ে দিছে আমাকে…….

তিশা : আহারে কি বেচারা….

আবির তিশার কলেজে এসে গাড়ি থামায়‌…..

আবির : কলেজ এসে‌ গেছে নামো…..

তিশা : ধন্যবাদ….

আবির : কলেজে ছুটির পর আমি তোমাকে নিতে আসবো আমি যতক্ষন না আসবো ততক্ষন তুমি কলেজ থেকে বের হবে না….

তিশা : ঠিক আছে….. আমি আসি

তিশা যতক্ষন না কলেজের ভিতরে না ডুকেছে ততক্ষন আবির কলেজের সামনে থেকে যায় নি….. নিরব পিছনের সিট‌ থেকে এসে সামনের সিটে বসে…… আবির আর নিরব অফিসে চলে যায়

তিশা কলেজে ডুকার সাথে সাথে কেউ ওকে ডাক দেয় তিশা তাকিয়ে দেখে ওর ফ্রেন্ড রিয়া….

রিয়া : দোস্ত কেমন আছিস???

তিশা : ভালো…..

রিয়া : আচ্ছা চল ওই খানে গিয়ে বসি…

তিশা : ক্লাসে যাবি না….

রিয়া : আজকে ক্লাস হবে না…..

তিশা : কেন???

রিয়া : দুদিন পরে কলেজে সাংস্কৃতি অনুষ্টান তার জন্য….

তিশা : ওও আচ্ছা…

রিয়া : দোস্ত তুই কি এখনও আবির রহমানের সাথেই থাকিস??

তিশা : হুম….

রিয়া : আঙ্গেল আন্টি কি বিয়েটা মেনে নিয়েছে….

তিশা : না…..

রিয়া : তাহলে তুই চলে আসছিস না কেন ওখান থেকে???

তিশা : আমি বাধা পরে গেছি রে তাই ওখান থেকে আমি আর কোনো দিন বের হতে পারবো না….

রিয়া : বাধা পরে গেছিস মানে…..

তিশা রিয়াকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার ঘটনাটা খুল বলে…..

রিয়া : তুই এরকম শর্ত কেন রাখলি???

তিশা : তাহলে আমি কি করতাম বল আমি ভেবেছিলাম আমি ওই বাড়ি থেকে বের হতে পারবো কিন্তু বের হতে পারি নি…. তবে মানুষটা ভালো

রিয়া : ও মা তাই নাকি প্রেমে পড়ে গেলি নাকি অবশ্য প্রেমে পড়ারেই কথা তর জামাই যা সুন্দর হ্যান্ডসাম দেখতে যেকোনো মেয়ে দেখলেই‌ প্রেমে পড়ে যাবে….

তিশা : উফফ বাধ দে তো এসব কথা….

রিয়া : ঠিক‌ আছে….. দোস্ত হাতের আংটিটা কিন্তু জোস বুঝলি তর জামাইয়ের পছন্দ আছে বলতে হবে…..

তিশার চোখ যায় কলেজের গেইটের দিকে গেইটের পাশ দিয়ে ওর বাবা ইকবাল ইসলাম হেটে চলে গেছে তিশা ওর বাবাকে দেখে দৌড় দিয়ে কলেজ থেকে বের হয়ে পড়ে…. পিছন পিছন রিয়াও যায়…. তিশা দৌড়ে গিয়ে ওর বাবার সামনে দাড়ায়…..

তিশা : বাবা…..

ইকবাল ইসলাম তিশাকে দেখেও কোনো কথা না বলে হাটা শুরু করে….

তিশা : বাবা প্লিজ তুমি আমার কথাটা একটু শুনো….

ইকবাল ইসলাম : কে তর বাবা আমি তর বাবা না দুরে সরে যা আমার কাছ থেকে আর একবার যদি তুই আমাকে তর ওই‌ মুখ দিয়ে বাবা ডাকিস তাহলে তুই আমার মরা মুখ দেখবি…..

তিশা : না বাবা প্লিজ এমম কথা বলো না প্লিজ…..

ইকবাল ইসলাম : চুপ একদম চুপ তর মতো মেয়ের বাবা যেন আর কেউ না হয় আমি এই দোয়া করি আল্লাহর কাছে…..

ইকবাল ইসলাম এই কথাটা বলে রিকশাতে উঠে বসে….

রিয়া : তিশা কি হলো এভাবে দৌড়ে বের হয়ে গেলি কেন???

তিশা : বাবা আমাকে এভাবে বলতে পারলো এই কথা গুলো…. ( কান্না করতে করতে)

রিয়া : দোস্ত তুই শান্ত হ সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে…..

তিশা : কিছু ঠিক হবে আজকে ওই লোকটার জন্য আমার জীবনটা ধ্বংস হয়ে গেছে…… প্লিজ রিয়া তুই আমাকে ছাড় আমার ভালো লাগছে না…..

তিশা রিকশাতে উঠে বসে রিয়াকে ফেলে দিয়ে……

রিয়া : তিশা তুই কোথায় যাচ্ছিস??? তিশা আমার কথাটা শুন….

এদিকে আবির নিরবকে নিরবের কোম্পানিতে এমডি বানিয়ে দিয়ে তিশার কলেজের উদ্দেশ্য রওয়ানা হয় আবির তিশার কলেজের সামনে এসে তিশাকে ফোন করে কিন্তু তিশা ফোন তুলছেই না বেজেই যাচ্ছে তিশার ফোন…. আবির অনেক বার তিশাকে ফোন করে কিন্তু তিশা ফোন তুলছে না……

আবির খুব চিন্তায় পড়ে যায় তিশা ফোন না ধরাতে…. আবির কলেজে ডুকে সারা কলেজে ভালো করে খুজে কিন্তু তিশাকে কোথায় দেখতে পায় না…..আবিরের নিজেকে কেমন পাগল পাগল লাগছে…
আবির তাড়াতাড়ি করে নিরবকে ফোন করে….

নিরব : হে ভাইয়া বলো…..

আবির : তিশাকে পাওয়া যাচ্ছে না নিরব….

নিরব : কি বলছো কি তুমি ভাইয়া ভাবি কলেজে নেই….

আবির : না আর ও ফোনও ধরছে না…. আমি কি করবো কিছু বুঝতে পারছি‌ না…..

নিরব : ভাইয়া তুমি শান্ত হও আমি ও ভাবিকে খুজতে বের হচ্ছি….. ভাইয়া ওই রবিন কিছু করে নি তো….

আবির : রবিন তিশাকে যদি কিছু করে তাহলে আজকে ওকে আমি মাটিতে পুতেই ফেলবো….

নিরব : ভাইয়া তুমি আমার কথাটা শুনো….. আজকে তো কিছু একটা হবেই আমাকে এখনেই বের হতে হবে….

আবির ফোন কেটে গাড়িতে উঠে জোরে গাড়ি ড্রাইভ করা শুরু করে আবির রবিনের অফিসে এসে গাড়ি ব্রেক করে……আবির গাড়ি থেকে বের হবে এমন সময় নিরবের কল আসে…. আবির ফোনটা রিসিভ করে….

নিরব : ভাইয়া ভাবিকে পাওয়া গেছে…

আবির : কোথায়??

নিরব : বাড়িতে মাএ এসেছে ফোন করে বললো সোহেল….

আবির : ঠিক আছে আমি এখনেই আসছি….

আবির গাড়ির সিটে মাথাটা হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে জোরে শ্বাস ফেলে আবির গাড়ি ড্রাইভ করে বাড়িতে ডুকে সোজা ঘরে যায় ঘরে গিয়ে দেখে……..
#মিশে_আছি_তোমাতে ❤
#Writer_Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_13
.
.
.

আবির ঘরে ডুকে দেখে তিশা ফ্লোরে বসে কান্না করছে আবির দৌড়ে তিশার কাছে গিয়ে হাটু ঘেড়ে বসে….

আবির : কোথায় ছিলে‌ তুমি এতক্ষন?? তুমি জানো তোমাকে আমি কোথায় কোথায় খুজেছি পাগলের মতো …. তোমাকে দেখতে না পেয়ে বুঝতে পারছো আমার কি অবস্থা হয়ে ছিল…. কি হলো কথা বলছো কেন?? তোমাকে আমি কিছু বলছি তো কোথায় ছিলে তুমি এতক্ষন??

তিশা কান্না করতে করতে চোখ মুখ ফুলে গেছে….. তিশা রাগে চিৎকার করে বলে ওঠে…..

তিশা : আমি যেখানেই থাকি তাতে আপনার কি???

আবির : আমার কি মানে… তুমি আমার স্ত্রী তোমার জন্য আমার চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক…..

তিশা উঠে দাড়ায় সাথে আবিরও…..

তিশা : স্বামী আপনি….. হু আপনাকে স্বামী হিসেবে মানি না আর মানবোও না….

আবির : কোন কি দুষ যে তুমি আমাকে স্বামী হিসেবে মানতে পারবে না…. ও তোমাকে আমি জোর করে বিয়ে করেছি তার জন্য….

তিশা : হে এটাই আপনার দুষ…… আপনার জন্য শুধু মাএ আপনার জন্য আমার বাবা আমাকে আর নিজের মেয়ে হিসেবে মানে না বুঝতে পেরেছেন আপনি ….. ( তিশা আবিরের কলার চেপে ধরে) কোন জন্মের প্রতিশোধ নিচ্ছেন আপনি আমার উপর কোন জন্মের….

আবির : তিশা আমার কথাটা শুনো একটু প্লিজ….

তিশা : কি কথা শুনবো আপনার আপনি বুঝতে পারছেন যে আপনি আমার কত বড় একটা ক্ষতি করেছেন….. কেন এমনটা করলেন আপনি কেন???

তিশা আবিরের কলার ছেড়ে দেয়…..

আবির : তিশা….

তিশা : একদম আমাকে টাচ করবেন না আপনি একদম না….. আপনি চলে যান আমার চোখের সামনে থেকে চলে যান আপনাকে আমি আর এক‌ মুর্হূত সহ্য করতে পারছি না চলে যান এখান থেকে চলে যান আমাকে প্লিজ একা থাকতে দেন প্লিজ……

তিশা আর কিছু বলতে পারে না সাথে সাথে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে….. আবির তিশাকে তাড়াতাড়ি কোলে তুলে‌ বিছানাতে নিয়ে যায় ‌…..

আবির : তিশা প্লিজ চোখ খুলো তিশা প্লিজ…..

আবির তাড়াতাড়ি ডাক্তারকে কল করে….. কিছুক্ষন পরেই ডাক্তার এসে তিশাকে চেকাপ করে……

ডাক্তার : চিন্তার কোনো কারন মানসিক চাপের কারনে ওনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন আমি ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছি কিছুক্ষন পরেই জ্ঞান ফিরবে ওনার……

আবির :ধন্যবাদ ডক্টর আপনাকে..,

ডাক্তার : আচ্ছা এবার তাহলে আমি আসি……

আবির সোফাতে বসে তিশার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে…… তিশা আস্তে আস্তে নিজের দু চোখ খুলে…… তিশার জ্ঞান ফিরতে দেখে আবির তিশার কাছে যায়……

আবির : তিশা তুমি ঠিক আছো তো…..

তিশা : আপনি…. আপনি এখানে কি করছেন??? আপনি আমার কথাটা বুঝতে পারেন নি আপনাকে আমি সহ্য করতে পারছি না প্লিজ আমাকে একটু একা থাকতে দেন প্লিজ…..

আবির আর কোনো কিছু না বলে চলে‌ যায়….. তিশার ইচ্ছে করছে নিজেকে শেষ করে ফেলতে কিন্তু এটা যে তিশা করতে পারবে না আত্নহত্যা করা যে মহাপাপ…

এদিকে আবির বাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়িতে বসে গার্ডরা আবিরের পিছনে যাওয়ার জন্য তৈরি হয় সাথে সাথে আবির রাগে বলে উঠে…..

আবির : কেউ আমার সাথে আসবে না কেউ‌ না….

সোহেল : কিন্তু স্যার…

আবির : আমি একবার বলেছি‌ যখন কেউ আসবে না মানে কেউ আসবে না…. (চিৎকার করে)

সোহেল ভয় পেয়ে যায় আবির এমন ভাবে কথা বলতে‌ দেখে আবিরের চোখ গুলো রাগে লাল‌ রক্তবর্ন ধারন করে ফেলছে কপালের কালো রগটা ফুলে গেছে রাগে…… নিরব আবিরের চিৎকার শুনে তাড়াতাড়ি বাড়ির বাইরে বের হয়ে আবিরকে আটকাতে যাবে সাথে সাথে আবির গাড়ি ড্রাইভ করে গেইটের বাইরে চলে যায়….. ….

নিরব : ভাইয়া আমার কথাটা তো শুনো একটু প্লিজ……

নিরব তাড়াতাড়ি অন্য একটা গাড়িতে উঠে আবিরের গাড়ির পিছন পিছন যাওয়া শুরু করে আবির এতটাই জোরে গাড়ি চালাচ্ছে যে নিরব আবিরের গাড়ি হারিয়ে ফেলে…..

নিরব গাড়ি ব্রেক করে….

নিরব : এখন কি করবো আমি?? ভাইয়ার গাড়ি তো হারিয়ে ফেলছি ভাই‌য়া এত হাই স্প্রিডে গাড়ি চালাচ্ছে কেন?? যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে কি হবে???

নিরব আবিরকে ফোন করে কিন্তু আবির ফোন রিসিভ করে না…..

প্রায় দু ঘন্টা হয়ে গেছে আবিরকে এখনও খুজে পায় নি… কেউ‌ যদি নিজে থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখে তাহলে খুজে পাওয়া টা সত্যিই মুশকিল হয়ে যায়…… সবাই আবিরকে খুজতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে আর এদিকে তিশার কাছে একটা ফোন আসে তিশা ফোনটা রিসিভ করে….

তিশা : হ্যালো! কে বলছেন??

__এত তাড়াতাড়ি আমাকে ভুলে গেলে তুমি আমি কিন্তু এটা একদম আশা করে নি তোমার কাছ থেকে….

তিশা : রবিন আহমেদ….

রবিন : এইতো আমাকে তুমি চিনতে পেরেছো…

তিশা : আমাকে কোন ফোন দিয়েছেন আপনি???

রবিন : ফোন যখন দিয়েছি তার মানে নিশ্চয়ই তার কোনো কারন আছে তাই না….

তিশা : কারন!!! কি কারন??

রবিন : আসলে ওই তোমার স্বামী মানে আবির রহমান আমার গায়ে হাতে তুলেছে তোমার জন্য তাই আমি ভাবলাম কি জানো….

তিশা : কি ভেবছেন আপনি??

রবিন : এই গায়ে হাত তুলার প্রতিশোধটা একটু অন্যরকম ভাবে নেওয়ার কথা…… তবে সেই‌ প্রতিশোধটা আবিরের উপরে নিবো না….. নিবো তোমার বাবার উপর

তিশা : কিহ?? কিহ যাথা বলছেন আপনি এসব??? আমার বাবা আপনার কি ক্ষতি করেছেন??

রবিন : তোমার বাবা কোনো ক্ষতি করেন নি করেছে তো তোমার স্বামী….. তাই এই ক্ষতিপুরন তোমার বাবাকে দিতে হবে এই মুর্হূতে…..

তিশা : একদম আমার বাবার কোনো ক্ষতি করবেন না তাহলে কিন্তু এর ফল ভালো হবে না…..

রবিন : নিজের বাবাকে যদি বাচাতে চাও তাহলে যেই ঠিকানাটা মেসেজ করে পাঠাছি ওই‌ ঠিকানাতে চলে আসো যদি নিজের বাবাকে বাচাতে পারো……

রবিন সাথে সাথে ফোনটা কেটে দেয়….

তিশা : হ্যালো‌!!! হ্যালো!!!! না আমি আমার বাবার কিছু হতে দিবো না কিছু না আজকে ওই‌ আবির রহমানের জন্য আমার বাবাকে এই‌ বিপদে পড়তে‌ হয়েছে ওকে আমি কোনো দিন ক্ষমা করবো না কোনো দিন না…..

তিশা তাড়াতাড়ি করে বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখে বাড়িতে কোনো গাড়ি নেই তিশা কিছু না ভেবেই নিরবকে ফোন করে……

নিরব : হে ভাবি বলো‌…

তিশা : নিরব কোথায় তুমি??

নিরব : কোনো ভাবি কি হয়েছে??

তিশা : নিরব আমি তোমাকে পরে সব কিছু বলবো আগে তুমি তাড়াতাড়ি তোমার গাড়িটা নিয়ে বাড়িতে আসো…

নিরব : ঠিক আছে আমি এখনেই আসছি….

তিশার ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে ইকবাল ইসলামকে তিশা বারবার কল করছে কিন্তু কল ধরছেই না….

তিশা : বাবা প্লিজ ফোনটা ধরো প্লিজ…..

একটু পরেই নিরব গাড়ি নিয়ে বাড়ির সামনে আসে….. তিশা তাড়াতাড়ি করে গাড়িতে উঠে বসে..

নিরব : ভাবি কি হয়েছে??

তিশা : নিরব তুমি প্লিজ এই‌ ঠিকানাতে তাড়াতাড়ি চল না হলে আমার বাবাকে বাচাতে পারবো….

নিরব : কি বলছো?? তুমি ভাবি আমি কিন্তু কিছু বুঝতে পারছি না….

তিশা : নিরব তুমি আগে গাড়ি স্ট্রাট করো তারপর তোমাকে সব খুলে বলছি….

নিরব আর তিশার পিছনে কিছু গার্ডরাও যায়….. রবিনের দেওয়া ঠিকানাতে নিরব আর তিশা পৌছায়….. তিশা গাড়ি থেকে নেমে দেখে একটা রেস্টুরেন্ট তিশা তাড়াতাড়ি করে রেস্টুরেন্ট ডুকে সাথে নিরবও….. তিশা ওর বাবাকে দেখে কিছু লোকের‌ সাথে বসে‌ আলাপ করছে ….. তিশা নিজের বাবাকে দেখে একটা জোরে চোখ বন্ধ করে নিশ্বাস ছাড়ে…. কিন্তু তিশা চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে ইকবাল ইসলামের পিটের উপর লাল‌ টার্গেট লাইটের আলো পড়ছে তিশার বুঝতে আর বাকি রইল না এটা কিসের আলো….. তিশা জোরে ওর বাবাকে ডাক দেওয়াতে ইকবাল ইসলাম দাড়িয়ে তিশার দিকে ফিরে তাকাতেই একটা গুলির শব্দ হয় তিশা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে…. রেস্টুরেটের সবাই দৌড়া দৌড়ি শুরু করে দিয়েছে…. তিশা ভয়ে ভয়ে চোখ খুলে তাকিয়ে যা দেখে তাতে তিশার সারা শরীর বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যায়…. তিশা ভাবতেই পারি নি এমন একটা ঘটনা ঘটবে……

#চলবে
#চলবে

গল্পটা কেমন হচ্ছে প্লিজ বলবেন????আর সবাইকে জানাই আমার তরফ থেকে Happy Valentines Day ❤❤❤ আর ফাল্গুনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা💕💕

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here