মেঘভাঙা রৌদ্র শেষ পর্ব

#মেঘভাঙা_রৌদ্র
#পর্ব- ১১ ( শেষ পর্ব)
#লিখা: #Nilufar_Yasmin

আম্মু যখন সবটা জানবে, খুব কষ্ট পাবে। তাছাড়া এই বাড়ির মানুষগুলো মাত্র কয়েক ঘন্টায় এতটা আপন করে নিলেন, তারাও যখন দেখবেন আমি আর আসবো না নিশ্চয়ই কষ্ট পাবেন। আর আম্মুদের এলাকার কথা নাই বা বললাম- তাদের খারাপ লাগার চেয়ে হয়তো কানাকানি করতেই বেশি সুবিধা হবে। বলবে অপয়া মেয়ে বিয়ের এক রাতেই বাপের বাড়ি ফেরত এসেছে! কথাগুলো ভাবছি, দেখলাম গাড়ি ছাড়ছে। এমন সময় পাশে তাকাতেই দেখি আবির! ওকে দেখে নিজেকে থামাতে না পেরে বলে ফেলি-

– আপনি!

– হ্যাঁ আমি। কি ভাবছিলেন? আপনার সাথে যাচ্ছিনা?

ওর এমন কথায় কেন জানিনা চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসে। কি বলবো বুঝতে পারি না তাই চুপ করে থাকি। তবে অবাক হচ্ছি এই ভেবে- এখনো আবির আমার কেউ হয়ে উঠেনি অথচ ও যাচ্ছে বলে, আমি এতটা উচ্ছ্বসিত! কিন্তু ও তো সামাজিকতা রক্ষা করতেও যেতে পারে, হয়তো আমাকে গ্রহণ করে নয়। কথাটা মনে হতেই চুপসে গেলাম এবং নিজের ভেতরের উচ্ছ্বসিত ভাবটা নিমিষেই উধাও হলো! তবে এটাও ঠিক, মন বিশ্বাস করতে চাইছে- হয়তো সব টা মেনে নিয়েই ও যাচ্ছে, হয়তো আমি যা ভাবছি তা ভুল।

কথাগুলো মনে মনে ভাবলেও মুখে কিছু বলছিনা দেখে ও আবারো বলে-

– কি হলো কথা বলছেন না যে?
– কি বলবো?
– কি বলবেন মানে, এই যে আমি যাচ্ছি, আপনি খুশি হন নাই?
– জানিনা! আর আপনি গেলেই কি? আপনি তো আর মন থেকে মেনে নিয়ে যাচ্ছেন না। নিশ্চয়ই সামাজিকতা রক্ষা করতেই যাচ্ছেন। হয়তো এই যাওয়ায় শেষ যাওয়া।
– তাই মনে হয়? তা হলেতো আমি আজকেও যেতাম না। আসলে আমি যে অনেক্ক্ষণ আপনার আশেপাশে আসিনি সেটার কারণ আমি নিজের সাথে বোঝাপড়া করছিলাম।
– কি পেলেন বোঝাপড়া করে?
– বুঝলাম, ভাগ্যের অতিরিক্ত কিছুই হয়না। সবকিছু ভাগ্যই নির্ধারণ করে। নইলে আজ অয়নের জায়গায় আমি থাকতাম না, অয়ন ই থাকতো। আসলে আপনি আমি যাই বলিনা কেন, সবকিছু ঠিক করেন ঐ উপর ওয়ালা। তার ই ইচ্ছেতে সবটা ঘটে। তাছাড়া আমি একটা কথা সবসময় ভাবি সেটা হলো, ‘মানুষকে তার অতীত দিয়ে নয়; তার বর্তমান দিয়ে বিচার করা উচিত।’ তাই আপনাকেও আপনার অতীত দিয়ে বিচার করছিনা।
– এইগুলো আবেগে বলছেন নাতো। পরে যেন আবার অনুশোচনা না হয়।
– শুনুন -আবির কখনো তার কাজের বিনিময়ে অনুশোচনা করেনা কারণ সে প্রতিটি কাজ ভেবেই করে বুঝেছেন?

এই প্রথম আমি আবিরের দিকে তাকালাম, আবির ও তাকালো, আর তাকিয়েই বললো-

“ভয় নেই, এখনই স্ত্রীর অধিকার চাইবোনা। বরং আপনি আমাকে আপনার একজন বিশ্বস্ত বন্ধু ভাবতে পারেন।”

আবিরের এই কথার পর নিজেকে থামাতে না পেরে কেঁদেই ফেলি। তা দেখে আবির একটা টিস্যু এগিয়ে বলে-

– মুছে নিন।
– ইচ্ছে করছেনা।
– কেন!
– সব কান্নায় দুঃখের হয় কে বলেছে?
তারচেয়ে বয়ে যাক না জীবনের সমস্ত গ্লানি গুলো!
– উঁহু, আজকের পর কোন কান্না নয়। আপনাকে যখন মেনেই নিয়েছি আপনার সমস্ত দুঃখ সুখ গুলো আমার সাথে ভাগাভাগি হবে, বুঝলেন?

ওর কথায় আমি শান্ত মেয়ের মত হ্যাঁ বলে মাথা নাড়লাম। কেন জানি আজ খুব ইচ্ছে করছে ওর সব কথা শুনতে, মেনে চলতে।

*

দেখতে দেখতে বিয়ের প্রায় ৪ মাস হতে চললো- এরমধ্যে আম্মুদের বাসায় যাওয়া হয়নি বললেই চলে। কারণ শাশুড়ীর কথা তাকে একলা রেখে একরাত ও কোথাও থাকা যাবেনা, উনার কথার উপরে আম্মুও জোর করেন না। বরং খুব দেখার ইচ্ছে হলে আম্মু এসে দেখে যাবে, নইতো আবিরকে ফোন দিয়ে বলবে আমাকে দেখিয়ে নিয়ে আসতে আর অমনি আবির ও নিয়ে গিয়ে হাজির।

এই বাড়ির মানুষগুলোর যত রকমের আবদার সব আমার কাছে। আমারো বেশ লাগে ওদের একজন হয়ে উঠতে পেরে। এদিকে আবিরকেও বুঝতে পারি যদিও ও মুখে কিছু বলেনা। কিন্তু ওর সামনে থেকে একটু আড়াল হলেই যে ও খুঁজে বেশ বুঝি। মাঝে মাঝে তো লজ্জ্যাই পড়ে যাই, যখন দেখি আমি শাশুড়ীর সাথে কোন কাজ করছি আর ও তার আশেপাশে ঘুর ঘুর করছে। ওকে দেখে শাশুড়ী বুঝে যান। আর বুঝেই বলেন- “তুমি যাও, আবিরের হয়তো কিছু লাগবে”,।
আমিতো জানি ওর কোনকিছুরই দরকার নেই শুধু দেখাটুকু ছাড়া। অথচ ওর কাছে গিয়ে যখনই জিজ্ঞাসা করবো- সোজায় বলবে-

“কই ডাকিনি তো!”

ওর অমন কথায় তখন না হেসে পারিনা। সত্যিই পাগল একটা!

এই সংসার আমাকে অনেক কিছুই দিয়েছে। বাবা হারিয়ে বাবা কে দিয়েছে। আর শাশুড়ীর কথা তো বলাই যায় না উনি আমার মায়ের পরে আর এক মা। ওহ হ্যাঁ, অয়ন জানে আমি আবিরের বউ এখন, আবির ই বলেছে ওকে। তবে ও জানার পর আর কখনো আমার সাথে কথা বলতে চায়নি। অবশ্য না চাওয়ার কারণ হলো- ও জানে আমি সেকেলে মাইন্ডের। সচারাচর কারর সাথে কথা বলিনা। আর বললেও খুব মেপে বলি। তাছাড়া হয়তো বুঝেছে আমি এখন অন্য একজনের বউ। যাইহোক বুঝেছে বলেই ভাল। অবশ্য আবিরের সাথে ওর প্রায় চ্যাটে কথা হয়। মাঝে মাঝে ভিডিও কনফারেন্সে ও বলে। আমি তখন সাইডে সরে যাই।

*

রাতের সমস্ত কাজ গুছিয়ে রুমে আসতেই দেখলাম, আবির ওর ল্যাপটপে খুব মনযোগ দিয়ে কিছু করছে। বুঝলাম কারর সাথে ম্যাসেজিং করছে – আমাকে ঢুকতে দেখে মুখ তুলে বললো-

– একটা কথা বলা হয়নি।
– কি?
– অয়ন আসছে রাতের ফ্লাইটে, সকালেই নামবে।
– ভালো।
– শুধুই ভালো!
– হুম্ম, নইতো কি? খারাপ তো বলিনি!
– রেগে যাচ্ছেন কেন? আমিতো এমনি বললাম। ও আসছে তাই জানালাম।
– যা জানার প্রয়োজন নেই, তা আলাদা করে বলার কি আছে! তাছাড়া সে আসলে তো জানায় যাবে!

কথাটা বলেই আমি বারান্দায় চলে যাই। কেন জানি আবিরের উপর রাগ হয়। অন্ধকারে দাঁড়িয়ে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করি, ও কি এমনি বললো নাকি আমাকে বুঝতেই বললো ! নিজেকে উদ্ভ্রান্ত লাগে, না অয়ন আসছে বলে নয়, বরং অয়নের উপস্থিতিতে আবির যদি কষ্ট পায়, সে কথা ভেবে। নিজেকে বুঝালাম আমকে শক্ত থাকতে হবে। কিছুতেই বুঝালে চলবেনা আমার জীবনে অয়নের প্রায়োরিটি এখনও আগের মতই আছে। আমি চাইনা আবির আমার দ্বারা বিন্দুমাত্র কষ্ট পাক, এই মানুষটা আমার জীবনে ধুমকেতুর মত এসেছে, যার প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখাতে গেলে কম ই হয়ে যায়!

পরেরদিন সকালে হুলস্থুল কান্ড! বাড়িতে ঈদের আমেজ চলে এসেছে যেন! শাশুড়ি রান্না ঘরে এলাহি কারবার করে ফেলেছেন! বহু পদের রান্না। মুখে একটাই কথা- অয়ন এটা খায়, অয়ন ওইটা খায়। আমি চুপচাপ শুনে উনাকে শুধু হেল্প করছি।

রাতের পরে আবিরের সাথে কথা হয়নি। ঘরে ঢুকে দেখলাম ও গম্ভীর হয়ে বসে ল্যাপটপে কাজ করছে। কিছু বলছে না দেখে আমিও এটা ওটা গুছানোর ভান করি। এমন সময় বাইরে অয়নের কন্ঠ শুনতে পেলাম। শুনে আবিরের দিকে তাকালাম ওর প্রতিক্রিয়া বুঝার জন্য। কিছুই বুঝলাম না! কিন্তু না বুঝালেও বুঝতে পারছি। অয়নের কন্ঠ শুনে আবির বাইরে গেলো। আমি কি করবো বুঝতে পারি না, নিজেকে একটু আড়াল করতেই ছাদে গেলাম।

ছাদে এসেছি, ফুলের গাছ গুলোকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছি। এরাই আমার অবসরের সঙ্গী। মন খারাপ থাকলে কিংবা কোনকিছুতে বিরক্ত হলে এই ছোট্ট বাগান টায় এলে মন ভালো হয়ে যায়। কিন্তু অন্যদিনের মত আজকে এইখানে ও মন বসছেনা!

আকাশের দিকে তাকালাম, কেমন যেন মেঘলা। কয়দিন থেকে প্রায় বৃষ্টি হয়, গাছের গোড়ায় বেশ আগাছা জন্মেছে। সেগুলোকে পরিস্কার করে পিছনে ফিরবো দেখলাম অয়ন দাঁড়িয়ে আছে- ওকে দেখে চোখ ফিরিয়ে নিতেই ও আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো-

– কেমন আছো?
– জ্বি ভালো।
– আমি অয়ন, আমাকে জ্বি বলছো!
– হুম্মম তাই বলা উচিত।
– কিন্তু…
– কোন কিন্তু নয়.. যাইহোক এসব বিষয়ে কথা বলার কোন দরকার মনে করছি না।
– বুঝলাম ভুলে গিয়ে ভালোই আছো।
– হা হা হা.. কেন ভালো থাকার অধিকার বুঝি আপনাদের ই থাকে?
– সরি, সবকিছুর জন্য।
– কি সবকিছু?
– আমি যা কিছু করেছি তার কথা বলছি।
– উঁহু, সরি নয়- বরং আপনাকে একটা কথা বলি- আপনার কাছে আমি সবচেয়ে কৃতজ্ঞ কারণ সেদিন আপনি ছেড়ে না গেলে আমি আবিরের মত কাউকে পেতাম না। আবিরকে পাওয়া তো যেমন তেমন ব্যাপার না। রিতীমত কপাল নিয়ে জন্মালে পাওয়া যায়। আপনি ছেড়ে গিয়ে সুযোগটুকু করে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি কথা বলছি, অয়ন আমার দিকে তাকিয়ে আছে- হয়তো ভাবতেই পারেনি আমি এইভাবে বলতে পারি! ওকে তাকিয়ে থাকতে দেখে আবারো বললাম-

– ওহ ভালো কথা- আপনাকে আগাম শুভেচ্ছা। শুনলাম বিয়ের কথাবার্তা চলছে। মেয়েও ঠিকঠাক, ইনশাআল্লাহ সেই মেয়ে খ্যাত কিংবা সেকেলে হবেনা। নিশ্চয়ই সে আপনাকে সুখি করবে। ভালো থাকবেন, আর এই বাড়ি আপনার খালার সুতরাং আপনাকে বাধা দেওয়ার আমার অধিকার নেই। তবে যত কম আসবেন ততই ভালো, সত্যি বলতে আমি চাইনা, আপনার জীবনে যে আসবে সে কখনো কিছু নিয়ে সন্দেহ করুক। আশা করি বুঝছেন। ভাল থাকবেন।

কথাগুলো বলেই সিঁড়ির দিকে পা বাড়ালাম। অনেকদিনের জমানো অভিমান, অভিযোগের অবসান হলো। মাথা টা বেশ হালকা লাগছে। সিঁড়ি বেয়ে রুমে ঢুকে দেখলাম আবির বসে আছে। খুব বিষন্ন দেখাচ্ছে ওকে। আমার দিকে তাকিয়েই চঞ্চল হয়ে উঠলো চোখ দুটো – আমি কিছুটা রাগ করেই বললাম-

– আমি ছাদে এটা অয়নকে কে বললো?
– আমিই। অনেকদিন পর আপনাদের দেখা। আফটারল আপনারা পূর্ব পরিচিত। তাই ও জিজ্ঞাসা করতেই বলেছি। তাছাড়া কথা বলাটা দোষের না।
– কে বলেছে দোষের না? কেন এত ভালো আপনি? কেন আমাকে এইভাবে পোড়ান? আপনি বুঝেন না তাতে আমার কষ্ট হয়?

কথাগুলো বলেই কাঁদতে থাকি। আবির আমার কান্না দেখে অস্থির হয়ে উঠে- আমার চোখের পানি মুছাতে এলে- আমি ঝটকায় ওকে সরিয়ে দেই-

– খবরদার আমাকে ধরবেন না। যে এতদিনে ও আমাকে বুঝলো না, আমার মনের কথা বুঝলোনা তাকে আমি আমার চোখের পানি মুছানোর অধিকার দেইনি।

– আমি দুঃখিত।

– কেন?

– আমি বুঝিনি, অয়ন গেলে আপনার রাগ হবে। বুঝলে বলতাম না।

– হ্যাঁ তা বুঝবেন কেন? খালি তো বুঝেন কি করে আমাকে কষ্ট দেওয়া যায়।

“চুপ একদম এসব বলবেন না। বুঝেন না- কেন এসব করি? যেন আপনি না ভাবেন আমি অধিকার চাইছি। আমি তো চাই আপনি ও আমাকে বুঝুন। যেন আমাকে বলতে না হয়। আমি চাই, আপনি নিজের ইচ্ছেয় আমার কাছে আসেন। তবে সেটা শুধু অধিকারের জন্য নয়, ভালোবাসার জন্য “।

কথাগুলো বলেই আবির আবারো আমাকে ধরে। আমি কি করবো বুঝতে পারিনা। অনবরত শুধু কেঁদেই চলেছি। কিছুতেই যেন কান্না থামছে না। আবির পরম যত্নে আমার কান্না মুছিয়ে দিয়ে বলে-

– ” একদম কাঁদবেনা। আমি কি বুঝেছি, যাকে আমি ভালোবাসি, সেও আমাকে ভালবাসে!”

– ” হুম্মম তা বুঝবে কেন? খালি তো জানো নিজের কলিজাকে ছিড়ে অন্যকে দান করতে? একবারও ভাবলে না এতে আমার কেমন লাগে?”

– “কি করতাম বলো? আমি কি ইচ্ছে করে করেছি?”

– “আমারো তো কষ্ট হচ্ছিলো, অয়ন যখন তোমার সাথে দেখা করতে চাইলো, না করতে পারলাম না। জানি তোমাদের মাঝে কিছুই নেই, তবুও মনে হলো যেন কেউ আমার সবটুকু ছিনিয়ে নিচ্ছে।”

– “নিতে আসলেই বুঝি আমি দিবো? এতদিনে এই চিনেছো আমাকে?”

– “সরি বউ, আর কখনো এমন ভুল হবে না।”

– “আজকের পর কথাটা যেন মনে থাকে। মনে রাখবা আমি তোমার বিয়ে করা বউ, এই জগত সংসারে আমার উপরে সবচেয়ে তোমার অধিকার বেশি। অয়ন আমার জীবনে অতিথি হয়ে এসেছিলো মাত্র। আর তুমি আমার জীবনে পুরোটা জুড়ে থাকার জন্য এসেছো, বুঝেছো? এই সংসার আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সত্যি। আর তারচেয়ে বড় সত্যি তুমি। যে আমাকে সত্যিকারের ভালোবাসা কি বুঝিয়েছে। মানুষকে ভালোবেসে কিভাবে সম্মান করতে হয় বুঝিয়েছে। একজীবনে এতটা কয়জন পায় বলো?”

– “হুম্মম, বুঝিনিতো আমি তোমার এতটা হয়ে উঠেছি, বুঝলেতো কবেই বলে দিতাম।”

– “কি বলে দিতে?

– “বলবো কেন! তুমিতো আমাকে বুঝো, এটুকু বুঝছো না? ”

– “বুঝিতো…”

– “কি!”

আবিরের কানের কাছে মুখ নিয়ে চুপিচুপি বললাম- “ভালোবাসি খুব”।

আবির শুনে বলে –

– “আমার বউটা এত রোমান্টিক জানা ছিলোনা ত!”

– “হুম্মম সব তোমার জন্য”।

আবির একইভাবে আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে, অথচ আমি ছাড়ার মোটেও চেষ্টা করছিনা। কেন জানি ইচ্ছেও করছে না! কারণ, এই থাকাটা শান্তির, এই থাকাটা নির্ভরতার যা আমি আমার জীবনে এতদিন পাইনি।

জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম, দেখলাম কিছুক্ষণ আগের মেঘলা আকাশটাতে বহুদিন পর আজ রৌদ্র উঠেছে। সেদিকে তাকিয়ে মনে মনে বললাম-

“আকাশ – তোমার মত অবশেষে- আমিও পেলাম তাকে!”

#সমাপ্ত

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here