মেঘের আড়ালে চাঁদ ১৫

#মেঘের আড়ালে চাঁদ ❤
#Writer: মহসিনা মুক্তি
#পর্বঃ পনেরো

বাইরে বৃষ্টি পড়ছে অবিরাম। সাথে বাতাস বইছে। তুলতুল বারান্দায় বেতের চেয়ারে বসে বৃষ্টি দেখছে। বাতাসে বৃষ্টির পানির ছিটেফোঁটা হালকা গায়ে লাগছে। বারান্দার সামনে জায়গাটায় ছোট ছোট সবুজ ঘাস আর কিছু ফুলের গাছ রয়েছে। তাতে সুন্দর ফুল ফুটে আছে। কোনার একসাইডে বড় একটা আমগাছ ডালপালা মেলে রয়েছে। বারান্দায় গ্রিল দেওয়া। কোনোয় একটা কেঁচি গেট। যেখান দিয়ে বাইরে বের হওয়া যায়। তুলতুলের এখন সেখান দিয়ে বের হয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু সে পারবে না। কিছুক্ষন আগে যখন বের হয়ে ভিজতে গিয়েছিল তখন তার মা আফসা বেগম এসে টেনে ভিতরে নিয়ে এসে ছোট গেটটায় তালা লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছে। তুলতুলের বৃষ্টিতে ভিজলেই ঠান্ডা লাগে তাই। সে মন খারাপ করে বসে ছিল। পরে আর্ট পেপার নিয়ে এসে স্কেচ করা শুরু করে। কারো মুখের ছবি আকে। সবঠিক-ঠাক থাকলেও সে কিছুতেই চোখটা ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারছে না। অনেক বার চেষ্টা করার পরও পারে না। ছবিতে চোখের চাহনি ভালো করে ফুটিয়ে তুলতে পারলে ছবিকে জীবন্ত লাগে। মনে হয় ছবির মানুষটি সামনের মানুষকে দেখছে। কিন্তু তুলতুল অনেক চেষ্টার পরও যখন পারলো না তখন রাগ করে সামনের ছোট টেবিলে রেখে দিয়ে বৃষ্টি দেখায় মন দেয়। কিছুক্ষন পরে দরজা নক করার শব্দ পায়। তুলতুল ভেতরে আসতে বলে।

তুলতুল তাকিয়ে দেখে তিয়াস হাসি-হাসি মুখ করে এগিয়ে আসছে। এক হাতে মিষ্টির প্যাকেট। অপর হাতেও একটা পিরিচ। তিয়াস এসে তুলতুলের পাশের চেয়ারে বসে। হাতের পিরিচ টেবিলে রেখে মিষ্টির প্যাকেট থেকে একটা মিষ্টি নিয়ে তুলতুলে মুখের সামনে ধরে। তুলতুল খেয়ে নেয়। এরপর জিজ্ঞেস করে

-” কি ব্যাপার ভাইয়া? আজকে তোমাকে খুশি খুশি লাগছে। তারপর আবার মিষ্টি। কিছু হয়েছে কি?

-” হুম হয়েছে তো।” তিয়াস পিরিচটা তুলতুলের হাতে দিয়ে খেতে বললো। তাতে অনেকটা রসমালাই রয়েছে। যেটা তুলতুলের অনেক পছন্দ।

-” আমার চাকরি হয়েছে অনেক ভালো পদে।” তিয়াস বললো তুলতুলের চুলে হাত বুলিয়ে।

-” সত্যিইই? ” তুলতুল উচ্ছ্বাসের সাথে বললো। তার চোখ মুখে খুশির ঝিলিক।

-” হুম” তিয়াস মাথা নাড়লো।

তুলতুল হঠাৎ করে চেয়ারে বসা অবস্থায় তিয়াসকে জরিয়ে ধরে কেঁদে ফেললো। তুলতলের কান্নায় তিয়াস ভড়কে যায়। মাথায় হাত দিয়ে জিজ্ঞাস করে

-” এই পিচ্চি কান্না করছিস কেন? কি হয়েছে? কেউ কিছু বলেছে হ্যা? বল আমাকে।”

তুলতুল মাথা নাড়ায়। যে কেউ কিছু বলে নি।

-” তুমি আর মন খারাপ করে থাকবে নাতো? আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাবে তো? আমার ভালো লাগে না এমন গোমড়া মুখো ভাইকে। সবসময় রেগে থাকে। ” তুলতুল নাক টেনে বললো। তিয়াস কিছু বললো না দেখে তুলতুল আবারোও ঝাঁকিয়ে জিজ্ঞাস করে। এতে তিয়াস আস্তে করে বলে -” হুম”

তুলতুল মাথা তুলে তিয়াসের দিকে তাকিয়ে বললো -” আগের মতো হাসি- খুশি থাকবে হুম? সব ঠিক হয়ে যাবে।”

তিয়াস তুলতুলের কথায় স্ফীত হাসলো। আর বললো -” হুম সব ঠিক হয়ে যাবে।” তুলতুল আবার ফুপিয়ে কান্না করে। এবার তিয়াস তুলতুলকে উঠিয়ে চোখ মুছে দিয়ে বলে

-” আবার কি হলো হুম? এতো কান্না কেন?”

-” মা বাইরে যেতে দেয় নি। বকেছে আমায়। আমি বৃষ্টিতে ভিজবো।” তুলতুল বায়না করলো।

-” এইতো আসল কথায় এসেছেন। মা শুধু বকেছে। আর আমি পিটান দেবো। বৃষ্টিতে এতো ভিজতে হবে কেন? প্রতিদিন বৃষ্টি হলে প্রতিদিনই ভিজতে হবে? বাইরে গেলে ধরে এনে ঘরে বেঁধে রাখবো কিন্তু। এমনি ঠান্ডা ছাড়ে না আবার বৃষ্টি! ”

তুলতুল আরো বকা খেয়ে ঠোঁট উল্টে বললো -” কেউ ভালো না। আমাকে ভালোবাসে না। শুধু বকে।

-” তুলু, তোকে ভালোবাসে বলেই তো মানা করে। দেখ এখন ভিজলে তোর ঠান্ডা লাগবে আর জ্বর আসবে। এতে কষ্ট হবে কার? তোর। আর সবাই তোকে নিয়ে এতো চিন্তা করে কেন সেটা তুই জানিস। তাহলে কেনো বুঝিস না?
তুলতুল কিছু বললো না। মুখ ফুলিয়ে বসে রইলো। তিয়াস ওর রাগ ভাঙানোর জন্য বললো

-” জানিস কি হয়েছে আজকে?” এই কথায় তুলতুল তাকালো কিন্তু কিছু বললো না। তিয়াস আবার বললো

-” আমি যখন বাড়ি আসছিলাম তখন দেখি রনিদের বাড়ির সামনে অনেক ভিড়। আমি এগিয়ে গিয়ে দেখি রনিকে কেউ মেরে অনেক উচুতে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে।” এতোটুকু শুনে তুলতুল চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে জিজ্ঞাস করলো, মারা গিয়েছে?

-” আরে না। কিন্তু আধমরা অবস্থাই ছিল। শরীরে,হাত পায়ে প্রচুর মারের দাগ। কোনো জায়গায় আবার মারের চোটে ফেটে রক্ত বের হয়ে গিয়েছে। দাঁতও ভেঙেছে কয়েকটা। বাঁধা অবস্থায় বেহুঁশ হয়ে নুয়ে ছিল। পরে লোকজন ওখান থেকে অনেক কষ্টে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। ওর সাথে ছিল যারা তারাও বাজে ভাবে মার খেয়েছে। প্রত্যেকটার গায়ে মার্কার দিয়ে লেখা ” ভালো হয়ে যা। পরের বার আর বাঁচবি না”

-” কে করেছে এগুলো বলেনি?”

-” নাহ, ওরা জানে না। রাতের বেলায় গাড়িতে করে কতগুলো লোক মুখোশ পরে এসে ওদের মারে। ওরা নেশাদ্রব্য নিচ্ছিল। তাই কিছু বোঝার আগেই সপাসপ মার পড়ে। সবগুলোই এখন হাসপাতালে।”

-” ওওও, মার পড়েছে। কিন্তু শুধু শুধু কেন ওদের কেউ মারবে? নিশ্চয়ই কিছু করেছে।” তুলতুল মনে মনে খুশি হয়েছে এতে। যখন তখন ওদের ডিস্টার্ব করে উচিত শিক্ষা হয়েছে। এখন দেখ কেমন লাগে।

-” হয়তো। সবসময় অকাজ করাই ওদের উদ্দেশ্য। হয়তো কারো কিছু করেছে এজন্যই এমন মার খেয়েছে। যাইহোক বাদ দে। চল এখানে একা বসে থাকার দরকার নেই। ”

-“ভাইয়া দিয়াকে আসতে বলি। হুম” তুলতুল দাঁত কেলিয়ে বললো।

-“কেন? ওকে আসতে বলবি কেন? আর বাইরে বৃষ্টি পড়ছে ও এসময় এখানে এসে কি করবে?” তিয়াস ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো।

-” সেলিব্রেট করবে। তুমি চাকরি পেয়েছো ওকে বলা দরকার। অনেক খুশি হবে।”

-“আমি চাকরি পেয়েছি তাতে ও খুশি হবে কেন? এতে ওর কি?” আর তুই কোথায় যাচ্ছিস? ”

-“না মানে ওর বান্ধবীর ভাইয়ের চাকরি হয়েছে তাই আর ফিউচার..

-“ফিউচার কি?”

-“ফিউচার জামাইয়ের চাকরি হয়েছে ওর তো খুশিতে লাফানোর কথা। আমি আসতে বলছি যাই।” বলে তুলতুল দরজার দিকে দৌড় দিল। আর তিয়াস পেছন থেকে ধরতে গিয়ে বললো

-” তবেরে! বড় ভাই আমি তোর। তোদের দুজনের মাথায় আর কিছু নেই? হয়াচ্ছি তোদের ননদ- ভাবি দাড়া। ওটাকে পড়ে দেখে নেব। এই ইচ্ছা কখনো পূরণ হবে না। বুঝেছিস?

-“দেখা যাবে।” বলে তুলতুল ভেঙচি কেটে দৌড়ে চলে যায়। আর তিয়াসও ওর পেছনে যায়।

.

তুলতুল আর রুশা গল্প করতে করতে যাচ্ছে। বৃষ্টি থেমে গিয়েছে অনেক আগে। রোদ পড়েছে এখন। রাস্তা- ঘাট শুকিয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির পরে সোনালী রোদ্দুর চারপাশে স্নিগ্ধতা ছড়িয়েছে। গাছপালার ফাঁক দিয়ে রোদ তুলতুল আর রুশার গায়ে এসেও পড়েছে। হালকা এই মিষ্টি রোদ তুলতলের মুখে পড়ায় তাকে সুন্দর আর মায়াবী লাগছে। রোদের কারনে চেহারা চিকচিক করছে। তুলতুল দোকানে যাওয়ার জন্য বের হয়েছে। ঘরে থাকতে ভালো লাগছিল না তাই ভাবলো দোকানে গিয়ে বাবার সাথে বসে থাকবে। রাস্তায় রুশার সাথে দেখা হয়ে যায়। গল্প করতে করতে রাফসানের কথা উঠে আসে। রুশা বলে

-“জানিস আমি না রাফসানের সাথে কথা বলেছি। আমি প্রেমে পড়ে গেছি”

-” তো আমি কি করবো?”

-“হুহু! তুই বুঝবি না। জানিস যখন কথা বলছিলাম তখন না খালি গাল টেনে দিতে মন চাচ্ছিল। ইশশ, কিউট। কিন্তু পারলাম না।” রুশা হতাশ ভাবে বললো।

-” ওওও ” তুলতুলের হঠাৎ তার কাজের কথা মনে পড়ল। সেতো রাফসানের গাল টেনে দিয়ে দৌড় দিয়েছিল। তার বান্ধবীর কথা বলে। তুলতুল মনে করে একটু লজ্জা পেল।

-“কিরে তুই এভাবে লাল হচ্ছিস কেন? প্রেমে পরেছিস নাকি?

তুলতুল চকিতে রুশার দিকে তাকালো। এই মেয়ে বলে কি? সে তো তার কাজের জন্য লজ্জা পেয়েছে। আর এ ভাবছে প্রেমে পড়েছে। আর রাফসানের প্রেমে পড়বে সে? অসম্ভব! গুন্ডা একটা। ওনার কাছে প্রেম মানেই মনে হয় গুলি করা। আর তুলতুলকে দেখলেই তো মাথা খারাপ হয়ে যায়। আমার সামনে আসবা তো গুলি খাবা, চেহারা দেখাবা তো গুলি খাবা, বিরক্ত করবে তাও গুলি করবো। আর প্রেমে পড়লে হা হা হা জীবনটাই তোমার গুলিময় করে দেব। এই লোকের প্রেমে পরে কে? ভয়ংকর লোক।

-” তোর মাথায় খালি প্রেমের চিন্তাই আসে ডাফার।” তুলতুল রুশার মাথায় একটা টোকা দিল।

রুশা মাথা ডলতে ডলতে বললো

-” শুধু প্রেম কেন আরো অনেক কিছুরই চিন্তা আসে। এইযে রাফসানের প্রেমে পড়েছি। ওকে বিয়ে করার চিন্তা করি, কবে বিয়ে করবো, বিয়েতে কি শাড়ি পরবো, কাকে কাকে ইনভাইট করবো, তোরা কি গিফট দিবি এগুলো সব চিন্তা করি। হিহিহি।

-” গাছে কাঁঠাল আর গোঁফে তেল। তোর ঐ অবস্থা। না না তোর গাছে কাঁঠালও নাই। কারন রাফসান তোর প্রেমেই পড়ে নি।

-” এভাবে বলিস কেন? আমার কতো স্বপ্ন। আমি রাফসানকেই বিয়ে করবো। বলতো রাফসানের সাথে বিয়ে হলে কি গিফট দিবি?”

-” আগে তো হোক। তারপরেও বলি, তোকে আমি কয়েকটা গ্যাস বেলুন দেব গিফট হিসেবে। তারপর ওগুলো নিয়ে তুই আর তোর গুন্ডা রাফসান উড়ে যাবি। আমি নিচ থেকে গুলি করে বেলুন গুলো ফাটিয়ে দেব। আর তোরা ধপাস করে নিচে পড়ে হাড্ডি গুড্ডি ভেঙে ফেলবি। আর আমি দাঁড়িয়ে হা হা হা করে হাসবো। শেষ তোর স্বপ্ন শেষ। কারন রাফসানের সাথে তোর বিয়ে স্বপ্নতে হবে। খুশি হয়েছিস গিফট কি দিব শুনে?

তুলতুলের কথা শুনে রুশা কিছু না বলে মুক্তি ফুলিয়ে পেছনে ঘুরে জোরে জোরে পা ফেলে চলে গেলো। তুলতুল ডাকলেও শুনে না। কি মেয়েরে হুটহাট আসে আবার চলেও যায়। তুলতুল দোকানের দিকে যেতে লাগে। হঠাৎ করে থেমে যায়। সামনে থেকে চিৎকার চেচামেচির শব্দ আসছে। তুলতুল দেখার জন্য এগিয়ে যায়। যেতে গিয়ে দেখে সারি সারি করে অনেকগুলো গাড়ি রাখা। কিছু দূর যাওয়ার পরে থমকে যায়। বাজারের অনেকগুলো দোকান গুলো ভেঙেচুরে পড়ে রয়েছে। বুল ডোজার দিয়ে সবগুলো গুড়িয়ে দিয়েছে। তুলতুল দিক বেদিক হয়ে এদিক ওদিক তাকায়। দেখে তাদের দোকানের পাশের দোকানটা ভাঙা হচ্ছে। এরপর নিশ্চয়ই তাদেরটাও ভেঙে ফেলবে। আর তুলতুল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবে।

তুলতুলের বাবা সবকিছু হারিয়ে এখন এই দোকান টা দিয়েছে। এটাও যদি এভাবে থুবড়ে পড়ে যায় তো তার বাবা ভেঙে পড়বে। কিভাবে সামলাবে তার বাবাকে। তাদের বড় বিজনেস ছিল। কিছু পারিবারিক কারনে কিছুদিন তার বাবা আর তিয়াস বিজনেস দেখাশোনার ভার ম্যানেজারকে দেয়। আর তখন বিজনেস পার্টনারদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বিজনেসে ক্ষতি হয়ে যায়। এমনকি তারা আগে যেই বাড়িতে থাকতো সেটাও লোন পরিশোধের জন্য ব্রিক্রি করে দেয়। তার বাবা কোনো কাজকেই ছোট করে দেখে না। তাই এই দোকানটা দিয়েছে। তুলতুল আশেপাশে তার বাবাকে খোজে কিন্তু পায় না। দোকান বন্ধ। কে এগুলো করছে তা দেখার জন্য তুলতুল আরো এগিয়ে যায়। গিয়ে অবাক হয়। রাফসান দাঁড়িয়ে আছে। সাথে তার দলবল রয়েছে। তুলতুল দৌড়ে রাফসানের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে

-” আপনি! আপনি করছেন এসব? কেন করছেন এগুলো? কি লাভ হচ্ছে এতে আপনার। এতো খারাপ কাজ কেন করছেন? জানেন এই দোকানগুলোর ওপরে কত মানুষের জীবিকা নির্ভর করে। তবুও কেন করছেন এগুলো। চরম খারাপ একটা লোক আপনি। থামান এগুলো।” তুলতুল বলতে বলতে রাফসাকে মারতে শুরু করেছে। রাফসান এক হাত দিয়ে তুলতুলের দুই হাত শক্ত করে চেপে ধরে। আশেপাশে সবাই অবাক হয়ে মেয়েটিকে আর রাফসানকে দেখছে। যেখানে রাফসানের সামনে দাঁড়িয়ে জোর গলায় কথা বলার সাহস কেউ পায় না সেখানে মেয়েটি চিৎকার করে কথা বলছে আর আঘাত করছে। রাফসান তুলতুলের দিকে ঝুঁকে দাঁতে দাঁত চেপে বলে

-“কেন আমি খারাপ সেটা তুমি জানোনা? আমিও তো নিজে তোমাকে বলেছি আমি খারাপ শোনোনি? খারাপ মানুষের কাজ খারাপই হয়। আর আমাকে কাজ শেখাতে আসবে না। ফল ভালো হবে না। সবসময়ই উল্টো পাল্টা করে বেঁচে যাও বলে এবারো যে তাই করলে পাড় পেয়ে যাবে তা ভেবনা। যেখান থেকে এসেছো চুপচাপ সেখানে চলে যাও।” তুলতুল হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। আর রাফসানকে চিৎকার করে এগুলো করতে মানা করছে। রাফসান তুলতুলের হাত শক্ত করে ধরেই আবির কে ডাক দিয়ে বলে

-” আবির একে নিয়ে যা। বেশি সাহস দেখাচ্ছে। আর বাড়াবাড়ি করলে বুলডোজারের নিচে ফেলে দিবি। কথা নড়চড় হলে তোকে দেখে নেব। আমার সামনে থেকে সরা এটাকে।”

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here