মোনালিসা পর্ব ৬

মোনালিসা
লেখা-ইসরাত জাহান তানজিলা
পর্ব-৬
ভদ্রলোক বাচ্চার কান্না থামাতে গিয়ে মোনার প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়ে। বাচ্চাটার কান্না যতই থামাতে চায়, বাচ্চা তত যেন আরো বেশি কাঁদে। মোনার বুক বুকের ভিতর এখনো দুরুদুরু করে কাঁপতে থাকে, হাত পায়ের কাঁপুনিও থামছে না। লোকটা বাচ্চাটা নিয়ে সম্পূর্ণ ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মোনা নিরুপয় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর লোকটাকে খুব বেশী খারাপ মনে হচ্ছে না। বাচ্চার কান্না একটু থেমে এলে তাড়াহুড়ো গলায় বলল,
-“কি করতে পারি আমি আপনার জন্য বলুন? আপনি নিশ্চিই অন্য কোন কান্ট্রি থেকে এসেছেন।”
-“হুম।”
-“এখানকার মেয়েরা এত ভীতু হয়না। যাইহোক, বাসার এড্রেস থাকলে আমি আপনায় পৌঁছে দিতে পারতাম।”
মোনা অসহায় গলায় বলে,
-“তাহলে আমি কোথায় যাবো?আমার খুব ভয় করছে।”
লোকটা লক্ষ্য করল কথা বলার সময় গলা কাঁপছে মোনার। লোকটা আশ্বস্ত গলায় বলল,
-“আপনি এত নার্ভাস হচ্ছেন কেন?এত ভয় কেন পাচ্ছেন?বি ইজি,প্লীজ বি ইজি।”
মোনা আবার কেঁদে ফেলল। এই মুহূর্তে জীবনের প্রতি চরম তিক্ততা সৃষ্টি হলো মোনার। বেঁচে থাকা যেন মোনার জন্য অনিশ্চিত গল্প হয়ে উঠেছে। মোনার মনে হচ্ছে ,বেঁচে থেকেও প্রতিনিয়ত কুঁড়ে কুঁড়ে মরছে ও। ভয়, ভীত, অনিশ্চিয়তা,অপমান,অস্বস্তির কবলে প্রতিদিন দাফন হচ্ছে ওর। লোকটা আবার বলল,
-“প্লীজ ডোন্ট ক্রাই। আচ্ছা শুনেন আপনি চাইলে আমার সাথে আমার বাসায় যেতে পারেন। সকালে আমি আপনার বাসা খুঁজে দিবো। আমার মেয়েটা অসুস্থ। দেখছেন তো কান্না করছে শুধু। আমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবো না।”
মোনা ভয়াবহ ভাবে আঁতকে উঠে, খুব বেশী আতংকিত হয়ে যায়। যদি খারাপ কিছু ঘটে?এই স্বল্প সময়ের পরিচয়ে কিভাবে বিশ্বাস করবে লোকটাকে? মোনা কে নিরুত্তর দেখে ভদ্রলোক বলে,
-“আপনি বোধ হয় যাবেন না।ওকে, স্টে সেইফ।”
মোনা সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। মোনা নিজেকে শক্ত করার চেষ্টা করে। লোকটা গাড়িতে উঠে যায়। হঠাৎ মোনা বলে উঠে,
-“যাবো আমি।”
-“গাড়িতে উঠুন তাহলে।”
মোনা গাড়িতে উঠে। মোনা হতাশ হয়ে যায়,আর কিছু ভাবতে ইচ্ছে হচ্ছে না। লোকটা খারাপ,ভালো যা হওয়ার হোক। বাচ্চাটা একটু পর পর কেঁদে উঠছে। ভদ্রলোক বাচ্চাটার প্রতি লোকটা বেশি যত্নশীল।মোনা মনে মনে ভাবছে বাচ্চাটা কে ও কোলে নিবে, কিন্তু দ্বিধা কাজ করছে। অনেকক্ষণ চেষ্টা করে সংকোচ কাটিয়ে বলে,
-“বাচ্চা’টা কে আমার কাছে দেন।”
-“না,না।”
মোনা এতক্ষণ এর জন্যই সংকোচে ছিল। কোলে নিতে চাইলে যদি না বলে? মোনা কথা না বাড়িয়ে চুপ হয়ে রইল। মোনা প্রথম থেকেই বুঝতো প্রিয়ম বাজে স্বভাবের, তাই বলে এমন?মোনার চোখ মুখ শক্ত হয়ে আসে। মোনা নিজের ঠোঁট বার বার মুছছে, ঠোঁটে চুমু খেয়েছে প্রিয়ম! এত জঘন্য হয় মানুষ! লোকটা কিছুক্ষণ পর কি ভেবে যেন বলল,
-“আচ্ছা বাবুকে নিন।”
মোনা হাত বাড়িয়ে কোলে নেয়। মোনার মনে হয়েছে ও কোন মোমের পুতুল কোলে নিয়েছে। তুলার মত নরম তুলতুলে শরীর বাচ্চাটার। চোখ গুলো ডাগর,ডাগর। গায়ের রং খুব বেশি ফর্সা।ঠোঁট মনে হয় হাতে আঁকা, একদম গোলাপি রঙা। চুল গুলো কপাল অতিক্রম করে চোখ অবধি এসে পৌঁছেছে। মোনা এমন বাচ্চা ছবিতে দেখেছে, বাস্তবে এত সুন্দর বাচ্চা আর দেখেনি। মোনার মনে হচ্ছে বাচ্চাটা কে কোন শিল্পী তার সমস্ত শৈল্পিক গুণাবলী দিয়ে ক্যানভাসে এঁকেছে। বাচ্চাটা মোনার বুকে একদম চুপ হয়ে আছে। এখন আর কাঁদছে না। মোনার মনটা খানিকক্ষণের জন্য ভালো হয়ে গেলো কেন জানি! হয়ত এই বাচ্চাটার সৌন্দর্য দেখে।
কিছুক্ষণ পর একটা বাসার সমানে এসে গাড়ি থামে। লোকটা গাড়ি থেকে নেমে মোনার কোল থেকে বাচ্চাটা নেয়। বাচ্চার কপালে চুমু খেয়ে বলল,
-“মাই প্রিন্সেস।‌ আর ইউ ওকে নাউ?আর ইউ ফিল বেটার?”
মোনা গাড়ি থেকে নামে। বাসাটা যেন কোন রাজপ্রাসাদ। মোনা কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে থাকে। অজ্ঞাত এক শঙ্কা মোনার মনে।
-“থ্যাংক্স। আপনার কোলে থেকে প্রিন্সের কান্না বন্ধ হয়ে গেছে। আসুন ভিতরে আসুন।”
মোনার আবার যেন অস্বস্তি কাজ করছে। বাসার ভিতরে যেতে আতংকিত হচ্ছে। লোকটার পিছনে , পিছনে গেলো। ভিতরে ডুকে মনে হলো এটা বাসা না রাজপ্রাসাদ, এত সুন্দর বাসা মোনা আর দেখেনি। এর বড় বাসা অথচ কি শুনশান। বাসায় কি আর কেউ থাকে না? মোনা বিগড়ে যাচ্ছে। মোনার ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে বলল,
-“প্রন্সেস কে কোলে নিন তো।”
মোনা প্রিন্সেস’কে কোলে নেয়।প্রিন্সেস’কে মোনার কোলে দিয়ে লোকটা এক গ্লাস জুস নিয়ে এসে বলে,
-“আপনি খুব ক্লান্ত খেয়ে নিন।”
মোনা একটু হাসলো।খাবে কি খাবে না তাই নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে। মনে মনে প্রচন্ড ভয় পেতে থাকলো, যদিও লোকটাকে এতক্ষণের জন্য একবারও খারাপ মনে হয়নি। ভয় মিশ্রিত মুখে মোনা জড়োসড়ো হয়ে বসে রইল। ইতস্তত বোধ করে জিজ্ঞেস করল,
-“বাচ্চার মা কোথায়?”
লোকটার মুখ যেন ফ্যাকাশে হয়ে গেলো। হাস্যউজ্জ্বল মুখের হাসি ভাবটা বিলীন হয়ে গেলো। মোনার মুখোমুখি বসল। একটা ক্ষীণ নিঃশ্বাস ফেলে বলল,
-“প্রিন্সের জন্মের সময় ওর আম্মু মারা যায়।ওর জন্য কেয়ারটেকারও রেখেছি। কিন্তু বাবা-মায়ের আদর কি অন্য কেউ দিতে পারে? আমার বিশাল বড় বিজনেস। সময় স্বল্পতা। মেয়েটার জন্য চিন্তায় থাকি সব সময়। এত বড় বাড়িতে আমি একা মেয়ে কে নিয়ে থাকি। কয়েকজন কাজের লোক আছে। মেয়েটা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যায়। ওকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরার পথেই তো আপনার সাথে দেখা।”
স্ত্রীর কথা মনে পড়াতে লোকটা যেন বিষণ্ণ হয়ে পড়লো। লোকটার কথার উত্তরে মোনা কি বলবে বুঝে উঠতে পারলো না। লোকটা আবার বলল,
-“আপনি আমেরিকা ঘুরতে এসেছেন?”
-“না লেখাপড়া করতে।”
-“আপনার নাম?”
-“মোনালিসা। আপনার?”
-“জ্যাক। আচ্ছা অনেক বেশি রাত হয়েছে ঘুমানো উচিত।”
জ্যাক মোনা কে একটা রুম দেখিয়ে দিলো। প্রিন্সেস ইতোমধ্যে জ্যাকের কোলেই ঘুমিয়ে গেছে। মোনা রুমে ঢুকে খাটে গুটিসুটি মেরে বসলো। মন থেকে এখনো ভয় যায় নি। মোনা দরজাটা ভালো করে আটকালো। ভয় লাগছে তাই লাইট’টাও অফ করে নি। মোনা শুয়ে পড়লো। আজ যে ঘুম হবেনা তা জানে, আর রাত তো প্রায় শেষ। মোনা মনে মনে ভাবছে একটু পর জ্যাক যদি এসে দরজা নক করে? মোনা ভয়কাতর হয়ে গেলো। কাল সকালে বাসায় গিয়ে কি বলবে? মোনার ওই বাসায় যাওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই। প্রিয়মের মুখ দেখতে চায় না আর। নিশান যদি রাতে মোনা কে খোঁজ করে? অন্ধকারে নিশান বড্ড ভয় পায়।শেষ রাতের দিকে ঘুমিয়ে যায় মোনা। মোনার ধারনা মিছে হলো কেউই মোনার দরজায় নক দেয়নি। সকালে ঘুম ভাঙতেই মোনা ধড়পরিয়ে উঠে বসে। রাতে ঘটে যাওয়া সবকিছু ভেবে কিছুক্ষণের জন্য আবার স্তব্ধ হয়ে গেলো। তাড়াতাড়ি বিছানা ছেড়ে নেমে দাঁড়ায়।‌‌‌ বাসায় যেতে হবে যত দ্রুত সম্ভব , নিশানের জন্য যেতেই হবে। মোনা দরজা খুলে বের হয়। বাড়ি তে কারো কোন সাড়াশব্দ নেই। জ্যাক, প্রিন্সেস কেউই কি ঘুম থেকে উঠে নি? উনি ঘুম থেকে না উঠলে মোনা যাবে কিভাবে? মোনা ভেবেছিল এখানের মানুষের ভিতর মানবিকতা নেই, কিন্তু জ্যাক কে দেখার পর ধারণা বদলে যায়। কি ভালো একজন মানুষ! জ্যাকের প্রতি কৃতজ্ঞতায় মোনার চোখ ছলছল করে উঠছে। জ্যাক না উঠা পর্যন্ত মোনার যাওয়া সম্ভব নয় কিছুতেই, মোনা নিরাশ হয়ে বসে রইল। জ্যাক এর উপর আস্থা জন্মেছে মোনার। নিশানের জন্য দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়লো। লিলি কি মোনা কে খুঁজছে? প্রিয়ম বাসায় গিয়ে মোনার কথা কিছু বলেছে?নিশান রাতে একা ভয় পায় নি? অসংখ্য প্রশ্ন গিজগিজ করছে ওর মাথায়। মোনা সবটা বলবে এবার লিলির কাছে, প্রিয়মের কথা মনে পড়তেই তীব্র ঘৃন্য হয় মোনার। এত সব ভাবনার মাঝেও প্রিন্সেসের কথা মনে পড়ছে মোনার। কি সুন্দর মেয়েটা! প্রচন্ড রকমের মন খারাপে,মন ভালো করে দেওয়ার মন সুন্দর। মেয়েটা কে দেখলে শুধু আদর আসে!
মোনা অস্থির ভাবে অপেক্ষা করছে কখন ঘুম ভাঙবে জ্যাকের?
এগারোটার দিকে ঘুম থেকে উঠে জ্যাক।জ্যাকের মনে পড়ে রাতে একজন অপ্রত্যাশিত অতিথি এসেছিল,জ্যাক দ্রুত বিছানা ছাড়ে। রুম থেকে বের হয়ে দেখে সোফায় বসে আছে মোনা। জ্যাক হেসে বলল,
-“গুডমর্নিং।”
অপেক্ষার অবসনে মোনা উৎফুল্ল হয়ে উঠে। বলে,
-“গুডমর্নিং।”
মোনা রাতে ভালোভাবে খেয়াল করে দেখেনি জ্যাক’কে। ছোট, ছোট দুইটা চোখ, গায়ের রং শ্বেত, চুল গুলো ব্রাউন সব মিলিয়ে এক সুদর্শন পুরুষ। প্রিন্সেস তখনও ঘুমাচ্ছে, মোনা বাসার উদ্দেশ্যে বেরুনোর আগে বলে,
-“প্রিন্সেস কি এখনো ঘুমাচ্ছে?ওকে দেখা যাবে একটু?”
জ্যাক হাসল। বলে,
-“ঘুমাচ্ছে ও। দেখতে সমস্যা কি?”
মোনা জ্যাকের রুমে গেলো। মনে হয় খাটে একটা পুতুল ঘুমাচ্ছে। মোনা ওর কপালে চুমু খেয়ে, গাল গুলো আলতো করে টেনে দিলো। তারপর বাসার উদ্দেশ্যে বের হলো। জ্যাক জিজ্ঞেস করল,
-“আপনার খালার বাসা কি ব্যারিংটনে?”
-“হ্যাঁ, হ্যাঁ ব্যারিংটনে। কিন্তু ব্যারিংটনের কোথায় তা জানি না। আচ্ছা এটা কোন জায়গা?”
-“এটাও ব্যারিংটন। খুঁজে পেয়ে যাবো। আপনি খেয়াল করে দেখেন।”
মোনা চারদিকে তাকাচ্ছে ।নাইট ক্লাবের কথা মনে পড়লেই মোনার মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে করে। মোনার ইচ্ছে করছে না লিলি বেগমের বাসায় যেতে। অত জগন্য মানুষের ভিতর থাকা যায় না। জ্যাকও তো আমেরিকান, একদম প্রকৃত আমেরিকান! জ্যাক তো ওদের মত নোংরা না। হঠাৎ মোনার কানে বিদ্ধ হলো,
-” ইউর নেইম নট অনলি মোনালিসা, ইউর স্মাইল অলসো লাইক মোনালিসা।”
জ্যাকের কথা শুনে হেসে ফেলল মোনা। লিওনার্দো ভিঞ্চির মোনালিসা! জ্যাক আবার বলল,
-“দিস ইজ পারফেক্ট নেইম ফর ইউ।”
মোনা সৌজন্যমূলক ধন্যবাদ জানালো। এক সময় বাসা খুঁজে পেয়ে গেলো মোনা। মোনার বুকের ভিতর ধ্বক করে উঠল। জ্যাক ওর ফোন নম্বর আর একটা কার্ড দিলো মোনা কে।‌ যেকোনো বিপদে জানাতে বলেছে। জ্যাকের এমন আন্তরিকতায় মোনা খুশি হলো!‌ জ্যাক বিদায় নিলো। মোনার বাসার ভিতর যেতে ইচ্ছে করছে না, কত সব প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে! মোনা বাসায় ঢুকতেই হাবিব সাহেবের গলা শুনা গেলো। মোনা কে দেখেই হাবিব সাহেব জ্বলে উঠলো। উচ্চস্বরে বলল,
-“লিলি, লিলি। তোমার আদরের বোনের মেয়ে এসেছে। খুব ভালো মেয়ে না?কোন ছেলের সাথে সারা রাত কাটিয়ে এসেছে। আমি আগেই বলেছিলাম তোমায়!”
হাবিব সাহেবের কথা শুনে মোনা মূর্তির মত দাঁড়িয়ে রইল। লিলি বেগম দৌড়ে আসলো। হাবিব সাহেব আবার চেঁচিয়ে বলল,
-“কোন ছেলের সাথে রাত কাটিয়ে আসছে জিজ্ঞেস করো?”
মোনা রাগে কাঁপছে। লিলি বেগমের দিকে তাকিয়ে ক্রোধ সংযত করে বলল,
-“খালা উনাকে বলো আমি কোন ছেলের সাথে রাত কাটাই নি।”
হাবিব সাহেব আরো জোরে চেঁচিয়ে উঠলো। মুখে যা ইচ্ছে তাই বলে যাচ্ছে। লিলি বলল,
-“মোনা তুই রুমে চল।”
মোনা রুমে এসে দেখে নিশান কাঁদছে। মোনা কে দেখেই দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো। মোনা নিশানের গালে চুমু খেয়ে বলল,
-“কাদিস না ভাই। এই যে আপু এসে গেছে।”
নিশান নিজের ভাষায় অনেক কিছু বলে চলেছে। লিলি বেগম এসে রাগান্বিত গলায় বলল,
-“কোথায় গিয়েছিলি তুই?”
-“আমি তোমাদের বাসায় থাকবো না আর খালা।”
-“হয়েছে কি তোর?আমি জিজ্ঞেস করছি কোথায় গিয়েছিলি?”
-“তোমার ছেলে রাতে আমায় জোর করে নাইট ক্লাবে নিয়ে গিয়েছে। আমি সেখান থেকে পালিয়ে যাই।”
লিলি হতভম্ব হয়ে গেলো। বিস্ময়ে চোখ মুখ কুঁচকে ফেলল। নির্বুদ্ধি হয়ে গেলো লিলি। লিলি বেগমের মুখ’টা মুহূর্তেই পাণ্ডুবর্ণ ধারন করে।
প্রিয়ম রাতে আর বাসায় ফিরে নি। ক্লাবেই থেকেছে। প্রিয়মের মনে নেই যে মোনা ওর সাথে এসেছে বা মোনা পালিয়ে গেছে।
(চলবে)
বিঃদ্রঃ- প্রয়োজন বোধে কমেন্ট করবেন না তবুও নাইস, নেক্সট লিখবেন না। নাইস, নেক্সট কমেন্টে আমার এলার্জি। যদি একান্তই কমেন্ট করতে ইচ্ছে হয় তাহলে দুই লাইনে ভালোলাগা, খারাপ লাগা বলে যাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here