রৌদ্র কুয়াশা পর্ব ৬+৭

#রৌদ্র_কুয়াশা
Suvhan Årag(ছদ্মনাম)
পর্ব ৬

-আপনি তো তাহলে বুঝেই গেছেন শাশুড়ি মা।এবার বলুন আমাকে আর ইলাকে এভাবে আর কি দূরে রাখার মানে হয়?আর ইলা তো আলিশার খালা।আর যাই করুক বোনের মেয়ে কে তো আর ফেলবে না।আর ইলা আমার স্ত্রী হলে মিলাকে আর ফেলে রাখব না।না হয় আমার ঘরের এক কোনে রেখে দেব।

কামরুল চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বসার ঘর থেকে কথা বলছে।আর ওপাশে মিলা শুয়ে শুয়ে সব শুনছে আর কাঁদছে।

“বিধি আমি তোমার সুখের কাঙাল হতে চেয়েছিলাম,
তুমি তো আমাকে দুঃখের অভাগিনী বানিয়ে দিলে।”

মিলার বড্ড আসহায় মনে হচ্ছে নিজেকে।পাশে বসে ইলা এবার উঠে দাঁড়ালো।অনেকক্ষণ ধরে সে চুপ করে বোনের পাশে বসে ছিল।কিন্তু এখন যে আর সম্ভব না।

-আপু তুই কাঁদছিস কেন?তুই জানিস তো তোকে সব বলতাম আমি।তোর ঐ বর কখনো ভালো ছিল না।যতবার তুই এ বাড়িতে আসতি কতো ভয়ে ভয়ে থাকতে হতো আমাকে।
-তুই কি ফিডারে দুধ খাস ইলা!
-আপু!

মিলার বিস্ফারিত চোখ বজ্রের মতো বলা কথা গুলো ইলাকে চরম বিস্মিত করছে।

-হ্যাঁ তাই।এক হাতে তালি বাজে?এটা বোঝাতে চাইছিস তুই আমাকে!
-আপু আমি তোর বোন।তুই এরকম একটা কথা বলতে পারলি আমাকে!
-এখন পিরিত শুরু করেছিস না?না হলে এতোদিন পর ও কেন এখানে আসবে?বউ বাচ্চা কেমন আছে সে খেয়াল নেই।উনি শালী প্রেমের লীলা শোনাতে এসেছেন।ছিহ!হে আল্লাহ এই দিন দেখালে তুমি আমাকে!

মিলা ডুকরে কেঁদে উঠলো।ইলার চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়ছে।যার জন্য যাদের জন্য এতো কষ্ট করে সে আজ সামান্য একটা বিষয়ে একটু বিশ্বাস মিলা তাকে করতে পারল না!

-আপু আমি সত্যি বলছি।বরকে ভালোবাসিস ভালো কথা।এতোটাও অন্ধ হোস না যে চোখের সামনে খুন হতে দেখেও এটা বলিস তুই কানা।

ইলা চোখ মুছে বসার ঘরের দিকে গেল।

১৫

-আজ এক সপ্তাহ পূরণ হয়ে গেছে জান।তোমাকে আর এই নরকে থাকতে হবে না।

রিদন মাইশার কোমড় ধরে টেনে কাছে এনে মাহিরের সামনে দাঁড়িয়েই মাইশার ঠোঁটে গভীর চুম্বন করলো।মাইশা ও সাথে একটু তাল মেলালো।

মাহির চুপ চাপ দাড়িয়ে সব দেখছে।বুকের ভেতরের গর্ত টা যেন আরো গভীর হয়ে যাচ্ছে।কিন্তু আজ আর মাহিরের চোখের কোনে পানির ছিটেফোঁটাও নেই।সব যে শুকিয়ে গেছে।

মাইশাকে ছেড়ে রিদন মাইশার হাত থেকে লাগেজটা নিল।

-জান তুমি সব নিয়েছো তো?
-হ্যাঁ।আমার সব জিনিস তো কবেই নিয়ে গিয়েছি বাড়ি থেকে।একদিনের জন্য যা জামা কাপড় রেখেছিলাম।
-যাই বলো আজ লাল রঙের টপসে তোমাকে প্রচন্ড আবেদনাময়ী লাগছে।
-উহ!তুমি ও না রিদ।কার সামনে যে কি বলছো?মাহিরের তো জ্বলে যাচ্ছে বোঝো না।

মাইশা রিদনের হাত ধরে গিয়ে মাহিরের সামনে গেল।

-কিছুই দিতে পারলে না বিয়ে করে।না শারীরিক ভাবে না মানসিকভাবে।তুমি কি জানো তুমি কতোটা অপদার্থ?

মাহির মাথা নিচু করে উওর দিল,

-তোমার দেন মোহরের ২৬ লাখ টাকা তোমার একাউন্টে ট্রান্সফার করে দিয়েছি।
-ওহ!তাই নাকি।আপনি আমার জানকে এতোদিন অপবিত্র করেছেন এখন এই সামান্য টাকাতে বুঝি সব ফেরত আসবে?

রিদনের কথা শুনে মাহির তাচ্ছিল্যের হাসি দিল।

-আপনার জান কবে পবিত্র ছিল এক টু বলবেন প্লিজ?
-মাহির!
-আসতে মাইশা।এখন আর গলা বাড়িয়ে কথা বলার অধিকার কোথ থেকে পাও?তুমি এখন আর আমার স্ত্রী নও।আর মি.রিদ আমি না বরং আপনার জান আমাকে অপবিত্র করেছে সেটা বলুন।
-খুব তেজ হয়েছে না।এখন আর তেজ বাড়িয়ে কি হবে?তোমার টাকার লোভে দুদিন পর পর একটার পর একটা মেয়ে ঠিক আসবে।কিন্তু তুমি যখন তাদের স্যাটিসফাই করতে পারবে না তারা যাস্ট এভাবেই আমার মতো চলে যাবে।রিদ চলো।

মাইশা রিদ কে নিয়ে মাহির কে ধাক্কা দিয়ে বেরিয়ে গেল।

“আমি পুরুষ,
জোর করে স্ত্রীর অধিকার চাইলে আমি ধর্ষক ,
আমার দিন শেষের ক্লান্ত শরীর তোমার মন যোগাতে না পারলে আমি ব্যর্থ প্রেমিক,
তোমার সন্তানের বাবা না হতে পারলে আমি অক্ষম অপদার্থ!
সব কি দেহের সমীকরণেই মেলানো যায়?
আমার মন কি তুমি কখনো বুঝেছো?
শুধু কি একতরফা মন আমিই বুঝে যাব?”

মাইশার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে মাহির।

১৬

-আমি আপনাকে কবে ভালোবাসলাম দুলাভাই?বলতে পারেন?নিজেই তো সব সময় আমার ওপর খারাপ নজর দিতেন।আর সিরিয়াসলি আপনার মতো একটা বুড়ো চরিত্রহীন লোককে আমার মতো মেয়ে পছন্দ করবে!আপনি ভাবলেন কি করে?
-ইলা।
-একদম গলা নামিয়ে কথা বলবেন।এখনি এখান থেকে বের হন।নাহলে ঝাটা এনে পুরো রাস্তা দিয়ে আপনাকে পেটাতে পেটাতে যাব।বউ বাচ্চার খোঁজ নেই।লজ্জা করে না বোনের মতো শালিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে।তোর মতো লোকের মুখে জুতো মারি।

ইলা র কথা শুনে আর কোনো কথা না বলে কামরুল একপ্রকার উঠে দৌড়েই বেরিয়ে গেল।

-এটা দেখিয়ে কি প্রমান করতে চাইলি তুই খুব মহৎ?

শায়লা বেগমের কথায় আরো অবাক হলো ইলা।

-মানে?
-রাত বিরেতে কোথ থেকে আসিস তুই?তোর লজ্জা করে না এসব কাজ করে তুই আবার তোর টাকাতে আমাদের খাওয়াস।এতোই যদি তোর শখ ছিল এসবের বলতি বিয়ে দিয়ে দিতাম।তা না নষ্টা মেয়ে।
-মা কি বলছো কি তুমি ?
-মজিদ কাকা সকালে এসে সব বলেছে আমাকে।
-মা আমি নাচ করে টাকা আয় করি।অন্য কিছু না।
-চুপ কর নষ্ট মেয়ে।তোর মুখ দেখতে চাই না আমি।বেরিয়ে যা।আমার মুখে চুনাকালি মাখালি।

শায়লা বেগম ইলার হাত ধরে টেনে দরজার বাইরে এনে ঘরে গিয়ে দরজা দিয়ে দিলেন।

ইলা পাথর হয়ে দাড়িয়ে আছে।কাঁদতে ও পারছে না।

“যার জন্য করলাম চুরি,সেই বলে চোর”
#রৌদ্র_কুয়াশা
Suvhan Årag(ছদ্মনাম)
Suvhan Arag’s Storys
পর্ব ৭

১৭

-আম্মাজান,আম্মাজান।

বিকেল থেকে ইসমাত বেগমের ঘরের দরজা ধাক্কাচ্ছে নিবিড়।এই নিয়ে চতুর্থ বার।

-দরজা কি খুলেছেন মা?

স্ত্রী অনুর কথাতে পেছনে ফিরলো নিবিড়।ক্রুব্ধ দৃষ্টিতে সে তাকালো অনুর দিকে।অনু তো ভয়ে আরো চুপসে গেল।

-আমি কি আবার কোনো ভুল করেছি?
-তুমি কি চোখে কানা অনু?দেখতে পারছো না।আম্মাজান যদি দরজা খুলতেনই আমি কি এখানে দাঁড়িয়ে দাড়িয়ে কাউয়ার মতো কা কা করতাম!
-ক্ষমা করবেন।আমার ভুল হয়ে গেছে।
-নাটক না করে দূর হও এখান থেকে।

অনু শাড়ির আচলে মুখ গুঁজে দৌড়ে চলে গেল ঘরের দিকে।ঘরে ঢুকেই দরজা লাগিয়ে দেয়ালে পিঠ লাগিয়ে ফ্লোরে বসে পড়লো ।

-আপনি ঠিক বলেছেন নিবিড়।আপনি সত্যি একটা কাউয়া।তার থেকেও অধম।আপনার মতো অধম স্বামী যেন কারোর জীবনে না আসে।আমার জীবনটাকে তছনছ করে দিয়েছেন আপনি।

ডুকরে কেঁদে উঠলো অনু।নিয়তি বড্ড খারাপ খেলা খেললো তার সাথে।

“মানুষ তো গিরগিটির মতো,
তার থেকে ও অধম,
সময় অসময় রঙ পাল্টায়।
কে বলতে পারবে
সুন্দর চামড়ার শান্ত চাহনির মানুষ টির আড়ালে রয়েছে
এক মুখোশধারী শয়তান।”

আপনমনে উদাস দৃষ্টিতে সিলিং এর ফ্যানের দিকে তাকিয়ে আছে অনু।তবে কি এবার সত্যি সে নিজের মুক্তির পথ বেছে নেবে!

১৮

-পানিজল,আমি আপনার একাকীত্বের সঙ্গী হতে চেয়েছিলাম।কিন্তু আপনি দেখছি বড্ড স্বার্থ পর।এইটুকু সুযোগ দিতে পারলেন না আমাকে?

কথা বলতে বলে নিজের কোর্ট টা নদীর পাড়ের ভেজা মাটিতে ছুঁড়ে ফেললো মাহির।কাদা মাখা মাটিতেই নির দ্বিধায় বসে পড়লো।

ইলা এতক্ষণে তার উদাস দৃষ্টি থেকে বেরিয়ে আসলো ।মূলত মাহিরের কথাতেই তার ধ্যান ভেঙেছে।

সকালে মায়ের কথা শোনার পর সারাটা দিন এখানে বসে আছে সে।এখন দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা হতে চললো।

মাহির কে নিজের পাশে দেখে বেশ অবাক হলো ইলা ।মাহির ইলার দিকে একবার তাকালো।ইলা মাটিতে হাত রেখেছে।মাহির নিজের এক হাত ইলার হাতের ওপর রাখলো।তারপর ইলার নকল করে পা দুটো ভিজিয়ে দিল নদীর পানিতে।

ইলা চুপ চাপ শুধু মাহিরের কাজ দেখছে।কিছু বলতে পারছে না।যেখানে নিজের পরিবার আজ ঠাঁই দিল না সেখানে মাহির আজ তার পাশে।কিন্তু কিভাবে?

-পানি জল, আমিও তো আপনার মতো পা ভিজিয়েছি।বড্ড শান্তি পাচ্ছি।কষ্ট নামক রোগ ছাড়ানোর এই থেরাপি কোথ থেকে শিখলেন আপনি?

মাহির চোখ বুজে মাথাটা উঁচু করে আকাশের দিকে মুখ করে আছে।নদীর কুলে বাতাস বইছে।ইলার চুলগুলো উড়ছে।কিন্তু নিজের অবাধ্য চুলগুলো ছেড়ে ইলার নজর এখন মাহিরের দিকে।একজন পুরুষ মানুষের চুল এতো সিল্কি হয় কি করে এটাই ভেবে পারছে না সে।

-কি হলো বললেন না তো?
-আপনি এখানে?
-সঙ্গ দিতে এসেছি।
-মানে?
-সব তো হারালেন।এখনো যদি আপনাকে বুকে টেনে না নেই বড্ড বেশি অপরাধ করা হয়ে যাবে আপনার প্রতি।এমনিতেই আগে অনেক বড় অপরাধ করে ফেলেছি আপনার ওপর।
-মানে?
-যাবেন আমার সাথে?বিশ্বাস করুন সত্যি বলছি এভাবে হাত ছাড়ব না।পৃথিবীর সবাই মুখ ফিরিয়ে নিলে ও আল্লাহ যেমন তার বান্দাকে থেকে মুখ ফেরাবেন না,দুনিয়াতে আমি একমাত্র ব্যক্তি হব আপনাকে ফেলব না।
-আপনি জানলেন কি করে এতো কিছু?
-আপনি কিভাবে বুঝলেন আমি জানি?
-আপনার কথা।
-যাবেন আমার সাথে?
-কোথায়?
-একটা শুকিয়ে যাওয়া নদীকে পানি দিয়ে পূর্ণ করতে।
-মানে?
-বলেছিলাম তো আমার তৃষ্ণা মেটাতে হবে।
-বুঝেছি।একা মেয়ে পেয়েছেন বলে সুযোগ নিচ্ছেন?
-হা হা।
-হাসলেন কেন?
-একা তো আগেও পেয়েছি।তখন কি নিয়েছি?

মাহিরের কথা শুনে ইলা চুপ হয়ে গেল।

-আমি তৃষ্ণা মেটাতে চাইছি,আমার এক বুক ভরা নিশ্বাস নিতে চাওয়ার জন্য আপনাকে চাইছি আমি।
-হাতটা সরান।
-ছাড়ার জন্য ধরিনি।
-আজব!
-চলুন।
-কোথায়?
-যেখানে আরো আগে যাওয়ার ছিল।চলুন।

মাহির উঠে দাঁড়ালো।আর ইলাকেও হাত ধরে টেনে উঠালো।

-কি করছেন কি আপনি?
-চলো।
-আরে এ!

মাহির ইলাকে টানতে টানতে গাড়ির দিকে নিয়ে গেল।শুরু তে ইলার অনিচ্ছা থাকলেও এখন সে মাহিরের সাথে তাল মিলিয়ে হেটে হেঁটে গাড়ির দিকে যাচ্ছে।না যেয়ে কি করবে।সন্ধ্যা থেকে তো কম ছেলের কু প্রস্তাব পায়নি।যেতে আসতে সব একটু করে এসে যেন টোকা দিয়ে যায়।সারা রাত এখানে থাকলে হয়তো সকালেই নিউজ পেপারে তার ছবি সহ অনেক কিছু ছাপা হতে পারত।তার চেয়ে বরং মাহিরের সাথেই সে যাক।মাহির কি জঘন্য কাজ তার সাথে করবে সেটা জানা নেই।কিন্তু তার যে আর যাওয়ার কোনো জায়গা ও নেই।ফোন ও বাড়িতে।নিপা কে ও ফোন করতে পারবে না।

নিজের ভাগ্যকে ওপর ওয়ালার কাছেই ছেড়ে দিল ইলা।এসব ভাবনা চিন্তা করতে করতে গাড়িতেও উঠে পড়লো।

১৯

না পেরে দরজায় ভেঙে ফেললো নিবিড়।ভেতরে ঢুকে অবাকের চরম পর্যায়ে সে।

ইসমাত বেগম নামাজের পাটিতে বসে কাঁদছেন।পাশে কোরআন শরীফ ও রাখা।

-আপনি জানেন আম্মাজান, কতো টা চিন্তায় ছিলাম আমি!

মোনাজাত শেষ করে নিবিড়ের দিকে তাকালো ইসমাত বেগম।

-আমি আমার ইবাদতের সময় কারোর আনাগনা পছন্দ করিনা।তোমাকে কি বার বার বলতে হয়?

ইসমাত বেগমের কথা শুনে মাথা নিচু করে নিবিড় উওর দিল,

-ক্ষমা করবেন।কিন্তু সেই দুপুর থেকে দরজা বন্ধ।খেতেও আসেননি।
-আমি সোমবার রোজা রাখি।তুমি কি ভুলে গেছো?
– আমার মনে ছিল না।ইফতার করেছেন?
-এক গ্লাস পানি খেয়েছি।এখন যাব খাবার খেতে।
-কেন এ তো কান্নাকাটি করেন আপনি নামাজে?
-নামাজ হলো মহান আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্যে যাওয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম।যতবার নামাজে সিজদাহ করা হয় ততবার আল্লাহর মহত্ব ঘোষনা করা হয়।সিজদাহর সময় আল্লাহ তার বান্দার দোয়া সবচেয়ে বেশি কবুল করেন।আল্লাহ সিজদাহ সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন।এতো টাই পছন্দ করেন যে আল্লাহর নবীরা যখন বিপদে পড়তো তখনি তারা সিজদাহে চলে যেত।আর আল্লাহ তাদের ঠিক সঠিক পথ দেখাতেন।আর নামাজ এর অন্যতম একটি অর্থ সিজদাহ।আমি নামাজ পড়ি প্রথমত আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য,পরকালের কঠোর শাস্তি থেকে নিজেকে বাঁচনোর জন্য,আর দুনিয়াতে আমার কষ্ট গুলো আমার চাওয়া গুলো তাকে বলার জন্য।
-সব সময় তো শুধু মাহিরের জন্য কান্না করেন।সে তো বড় হয়েছে এখন ।সে কি পারেনা তার মায়ের কাছে আসতে?
-তোমাকে আগেও বলেছি এখনো বলছি।মাহির কে টানবে না।ও জানে না আমি কোথায়।আমি জানি একদিন ঠিক আল্লাহ ওকে আমার কাছে নিয়ে আসবে।যাও এখন।আর শোনো।
-বলুন।
-অনু তোমার স্ত্রী।পুরুষ হয়েছো বলে স্বামী হয়েছো বলে এটা ভেবো না আল্লাহ তোমাকে ছেড়ে দেবেন।নিজের স্ত্রীর ব্যাপারে এখনো সচেতন হও।

নিবিড় আর কিছু না বলে দাত কিড়মিড় করতে করতে বাইরে গেল।

-মাহির!মাহির!কৈ আমার জন্য তো কখনো চোখের পানি ফেলেন না।পড়ে আছেন ঐ এক ছেলেকে নিয়ে।আমাকে তো নিজের ছেলেই ভাবেন না।আর অনু,,,,,মেরেই ফেলব আজ ওকে।

চলবে———–
চলবে————–

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here