লেডি ডন পর্ব ৬

#লেডি_ডন
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_৬

–আমি বসে বসে স্যারের লেকচার শুনছি,তখনি মায়া ক্লাসে আসে।সে স্যারের অনুমতি না নিয়েই ক্লাসে ঢুকে পড়ে!সবাই তো অবাক!তবে আমি কোনো অবাক হইনি!কারন বড় লোকের দুলারিরা একটু পাওয়ার দেখাবে এটাই স্বাভাবিক!তবে সে তার পরবর্তী কাজে আমায় ও অবাক করিয়ে দেওয়া থেকে বাকি রাখলো না!সে ক্লাস রুমে ঢুকে যা করলো,তাতে আমি না শুধু,পুরো ক্লাসের সবার এই হুঁশ উড়ে গেলো!

সে এসে সোজা আমার পাশে রিমা নামের এক মেয়ে বসা ছিলো,তার ব্যাগ উঠিয়ে ফিক্কা মারে!

–এই রিমা সর তুই,আমি আকাশের পাশে বসবো।

–আরেহ মায়া আজিব তো!
কি সমস্যা তোর হ্যাঁ?তুই আমার ব্যাগ এই ভাবে ফিক্কা কেনো মারলি?

–মেরেছি বেশ করেছি,বেশি করলে তোকেও ফিক্কা মারবো,ভালো চাস তো জায়গা ছাড়।আমি ওর পাশে বসবো।

–মায়ার কান্ড দেখে তো পুরাই অবাক!
আল্লাহ কি করছে কি মেয়েটা!হটাৎ তার মাথায় কোন ধরনের ভুত চেপে বসলো!

–নাহ আমি উঠবো না।আকাশ আমাদের খুব ভালো বন্ধু,তার সাথে আমিই বসবো।আর তাছাড়া তুই তো বড়লোক বাপের দুলালি,তুই আজ ওর পাশে বসার জন্য লাফালাফি কেনো করছিস?

–রিমা বাড়াবাড়ি করিস না,আমি ওর পাশে বসবো তো বসবো।

–না আমি সরবো না,তোর যা করার কর।আর শোন একটা কথা মাথায় রাখিস,তোর পাওয়ার এখন আর আমরা গায়ে মাখি না।তোর বাবার কতটুকু ক্ষমতা,তা আমরা দেখে নিয়েছি।এতদিন মুখ বুঝে সহ্য করেছি তোকে,তোর অসৎ আচরণ কে,কিন্তু এখন তোর মুখের উপরে জওয়াব দেওয়ার মতন কাউকে পেয়ে গেছি আমরা।সো একদম গলাবাজি করবি না!

–স্যার আপনি রিমাকে আকাশের পাশ থেকে উঠতে বলেন।আমার কিন্তু চরম রাগ হচ্ছে!

–সেটা আমি জানি না মায়া,তোমার কিছু বলার হলে তুমি আকাশকে বলো।কারন সে এখন এই কলেজের মাথা!

মায়া স্যারের কথা অনুযায়ী আকাশকে বলে…

–আকাশ ওকে তোমার পাশ থেকে উঠতে বলো,আমি তোমার পাশে বসবো!

–সরি সেটা হচ্ছে না,রিমা আমার পাশেই বসবে।

আকাশের মুখে না শুনে মায়ার চোখ মুখ যেনো একদম কালো হয়ে গেছে!সে অসহায় দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে!

–মায়ার চোখ মুখ দেখে মনে হচ্ছে যেনো সে এখনি কান্না করে দিবে!তাই রিমাকে উঠে অন্য জায়গায় বসতে বললাম।রিমা আমার কথা মতন উঠে অন্য জায়গায় বসলো।আর মায়া এসে আমার পাশে বসে।
আমার পাশে বসতে পেরে যেনো তার চোখে মুখে আনন্দের ছাপ দেখতে পেলাম আমি!

–ধন্যবাদ আকাশ!

–আমি কোনো উত্তর দিলাম না।স্যার চেকচার দেওয়া শুরু করেছে,আমি স্যারের লেকচার শুনায় মন দিলাম।
হটাৎ এই মায়া আমার হাত চেপে ধরলো!

–আকাশ আমি সরি!আমি না জেনে তোমার সাথে অন্যায় করে ফেলেছি!প্লিজ আমায় মাফ করে দাও!

–এখানে মাফের কিছু নেই মায়া!তবে তুমি যেটা করেছো,সেটা ভুল!পারলে নিজ থেকে শুধরে যাও।

–সত্যি আমি শুধরে যাবো,প্লিজ একটা সুযোগ দাও আমায়!

–এখানে সুযোগের কি হলো মায়া?
নিজের খারাবি নিজেই শুধরাও,তাহলেই হবে।

–আকাশ,সেদিন না তুমি আমায় কিস করেছিলে?
বিশ্বাস করো আমি তারপর থেকে কেমন জানি হয়ে গিয়েছি!আমি তোমাকে সেই অধিকার টা সারাজীবনের জন্য দিতে চাই!

–মায়া কি সব বলছো উল্টা-পাল্টা?
আমার কোনো অধিকার দরকার নেই।একা আছি ভালোই আছি।

নাহ,আমার তোমাকে চাই বলে আকাশের হাত আরো শক্ত করে চেপে ধরলো।

–প্লিজ আমায় ফিরিয়ে দিও না।

–মায়া অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।এসব কিছু করবে জানলে কখনোই তোমাকে আমার পাশে বসতে দিতাম না।

–আকাশ প্লিজ একটা বার তুমি আমায় সুযোগ দাও।

–ধ্যাঁত,মেজাজ টাই খারাপ হয়ে যাচ্ছে আমার।
স্যার আমি চললাম,আমার আর ক্লাস করতে ইচ্ছে করছে না।

আকাশ স্যারকে বলে ক্লাস থেকে বের হয়ে আসলো।
আকাশের পিছনে পিছনে মায়াও বের হয়ে আসলো ক্লাস থেকে।তবে অনুমতি ছাড়া!
আকাশ এসে কলেজ কেন্টিনে বসে আছে।মায়াও তার পিছু পিছু কেন্টিনে আসে।

–এই তুমি আমার পিছনে পিছনে এখানেও চলে এসেছো?

–আকাশ প্লিজ একটু বুঝার চেষ্টা করো,আমি তোমায় ভালোবেসে ফেলেছি!

–হা,হা,হাসালে মায়া।
কি আমার সাথে পেরে উঠতে না পেরে নতুন চাল চালছো?

–আকাশ বিশ্বাস করো,সত্যিই তোমায় আমি ভালোবাসি।

–আমি তো তোমাকে ভালোবাসি না।আর তাছাড়া তোমাকে আমি কেনো,কেউ তোমাকে ভালোবাসবে না!
তোমার যে চাল চলন,তাতে ভালোবাসা তো দূরের কথা,সেসব নিয়েও কেউ ভাববে না!

–কিন্তু আকাশ,আমি তোমায় নিয়ে সেসব ভাবি!প্লিজ একটা সুযোগ দাও না?আমি সত্যিই তোমার জন্য বদলে যাবো!

–বদলে কি হবে?আমার মনে তো তোমাকে নিয়ে কোনো ভালাবাসা নেই!

–তার মানে কি তুমি আমায় ভুল শুধরাতে সুযোগ দিবে না?

–আমি তো সেসব কিছুই বলিনি মায়া!

–তাহলে একটা সুযোগ দাও না।আমি জানি না,আমি তোমায় কি ভাবে এতটা ভালোবেসে ফেলেছি!শুধু ভালো না,অনেক ভালোবেসে ফেলেছি।প্লিজ তোমার কাছে একটা সুযোগ ভিক্ষা চাই!

–মেয়েটার কথা শুনে মায়া লেগে গেলো!
আচ্ছা,যাও একটা সুযোগ দিলাম।তবে দুইমাস সময় তোমার হাতে,এই কয়দিনে তুমি আমায় পাড়লে নিজের করে নাও।পাড়লে আমার মনে ভালোবাসা সৃষ্টি করো,তাহলেই তোমাকে নিয়ে আমি ভাববো।

–আচ্ছা,ঠিক আছে।দুইমাসে তোমাকে আমি ভালোবাসা দিয়ে নিজের করে নিব।

–তবে হ্যাঁ,কোনো রকমের অন্যায় আচরণ বা জুলুম তুমি আমার উপরে করতে পারবে না।

–আচ্ছা ঠিক আছে।কোনে অন্যায় বা জুলুম আমি করবো না।ভালোবাসা দিয়ে তোমায় আমি আদায় করে নিব।

–ওকেহ তাহলে এখন থাকো।ক্লাস ছুটি হবে একটু পর।
প্রান্ত বের হবে এখন,বাসায় যেতে হবে আমার!

একটু পর ক্লাস ছুটি হলো,আমি আর প্রান্ত বাসায় চলে এলাম।তবে মনে মনে মায়ার কথা ভাবছিলাম,তাকে কি সুযোগ দিয়ে আমি নিজের বিপদ ডেকে আনছি!নাহ,প্রান্তর সাথে এসব নিয়ে একটু আলোচনা করা দরকার।

প্রান্ত তোকে একটা কথা বলার ছিলো?

–হ্যাঁ বল?

–মায়া আমায় ভালোবাসার অফার করেছে।তাকে আমি দুইমাস সময় দিয়েছি আমায় নিজের করে নিতে।তবে তাকে আমি ভালোবাসি না।আমি কি কাজটা ঠিক করলাম?

–আকাশ,দেখ যেহেতু জীবনে কাউকে না কাউকে আপন করতে হবে,তাহলে তাকে তুই সুযোগ দিয়ে ঠিক করেছিস।তবে আমার কেমন যেনো খটকা লাগছে তাকে নিয়ে!হুট করে কেমন পরিবর্তন হয়ে গেলো মেয়েটা!

–আমিও ঠিক সেটাই ভাবছি!

–আরেহ টেনশন নিস না,সে যদি কোনো খারাপ চিন্তা নিয়ে তোর সাথে এসবে জড়াতে চায়,তাহলে তোর কোনো ক্ষতিই সে করতে পারবে না।কারন তুই কোন বনের বাঘ সেটা সে জেনে গেছে!

–সে আমার ক্ষতি অবশ্য করতে পারবে না।

–আরেহ ছাড় তো সেসব কথা এখন!
চল বাহির থেকে ঘুরে আসি।

–প্রান্তকে নিয়ে বিকালের দিকে বাহিরে ঘুরতে আসলাম।তখনি ফোনে অচেনা নাম্বার থেকে একটা ফোন আসে।ফোনটা রিসিভ করতেই..

–ভাই জাদুগর আপনার সাথে দেখা করার জন্য বাংলাদেশ আসতে চাচ্ছে।তার টিমের ছেলেকে নাকি কারা জানি মেয়ে রাস্তায় ফেলে রেখেছে।

–গলার আওয়াজ শুনে বুঝতে বাকি রইলো না,যে এটা কে।জাফর তুই আমার নাম্বার কোথায় পেয়েছিস?

–ভাই অনেক কষ্টে জোগাড় করেছি এক ছোট ভাই থেকে!

–জাদুগরকে বলে দে আমি তার সাথে দেখা করতে পারবো না।আর তোরা কি জানিস না,যে আমি সব ছেড়ে দিয়েছি?

–ভাই জাদুগরকে আমি সমস্তটা বলেছি।কিন্তু সে নাছোড়বান্দা!সে আপনার সাথে দেখা করবেই।
কারন সে নাকি দেশে আসতে ভয় পাচ্ছিলো আপনার জন্য।তাই আপনার অনুমতি নিয়ে দেশে আসতে চায়।

–আচ্ছা,যা তাকে বলে দে এক সাপ্তাহের মধ্যে দেশে আসতে।

–ওকে ভাই।

–জাফরের সাথে কথা বলে ফোন রেখে দিলাম।কিন্তু আমার মাথায় এটা নেই যে প্রান্ত আমার সাথে!

–আকাশ আমি অনেকটা শুনেছি তোর কথা!
কোন জাফরের কথা বলছিলো,সে তো আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন!আর তাছাড়া তুই কি ছেড়ে দিয়েছিস?

–প্রান্ত,নিজের চোখে সমস্তটা না দেখলে কখনো বুঝতে পারবি না আমি কে!তাই মুখে বলবো না।সময় হলে নিজের চোখেই সবটা দেখে নিস।কারন অতীত কখনো লুকায়িত থাকে না।

–আচ্ছা,

–মেজাজটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে!
দুনিয়ার কোলাহল থেকে যতই দূরে আসতে চাই,দুনিয়া ততই আমায় আঁকড়ে ধরে!তবে আনি জাদুগরকে বারন করতে পারতাম।কিন্তু করিনি কারন,সে যত বড়ই ডন হোক না কেনো,দেশে ঢুকলেই তাকে কুপিয়ে মেরে ফেলবে ছেলেপেলে রা।তাই তাকে কথা দিতে হয়েছে।
আর তাছাড়া মানুষটা অনেক ভালো।গরীবের উপরে কখনে অন্যায় করেনি।অনেক ডোনেশন করেছে আমার হাত দিয়ে।যাক যাই হবে হোক।সেটা পরে দেখা যাবে।এখন হাটতে এসেছে,সেটার দিকে ফোকাস করি।

দুজনে মিলে অনেকটা সময় হাঁটাহাটি করলাম।পরে বাসায় চলে গেলাম।

পরেরদিন সকালবেলায়..
রেডি হয়ে কলেজে গেলাম।ক্লাস রুমে ঢুকতে যাবো,তখনি একটা মেয়ে এসে আমায় চিঠি দিয়ে গেলো।আমি চিঠিটা খুলে দেখি প্রেম পত্র।আবার তাতে লিখাও আছে,কলেজের শেষে কেন্টিনে অপেক্ষা করবো।প্রেম পত্র দেখে হাসবো না কানবো বুঝে উঠতে পারছি না!দুনিয়ার খেল এটাই,পাওয়ার বা রোকড়া থাকলে হবে পকেটে,মেয়েরা এসে লাইন ধরবে।

বসে বসে ক্লাস করছিলাম।তখনি মায়া তেড়েফুঁড়ে ক্লাস রুমে ঢুকে!সে এসে সোজা আমার পাশে বসে গেলো!
স্যার ক্লাস করাচ্ছে,কিন্তু মহারানী দেখি আজ একদম চুপচাপ!যাক ভালোই হয়েছে।ক্লাস শেষ করে কে সেই প্রেমিকা,তাকে দেখার জন্য কেন্টিদের দিকে হাটা ধরলাম।কেন্টিনে গিয়ে দেখি মায়া সেই মেয়েকে চেয়ার দিয়ে মেরে মাটিতে শুইয়ে রেখেছে!তার মানে আমি যাওয়ার আগেই মায়া তোলপাড় চালিয়ে দিয়েছে।কিন্তু মায়ার এমন কর্মকান্ড দেখে চরম রাগ উঠে গেলো!

এই মায়া তুমি ওকে এভাবে মারলে কেনো?

–তোমাকে প্রেম পত্র দেওয়ার সাহস কোথায় পেয়েছে সে?

–ভাইরে ভাই,এই মেয়ে তো আমার থেকেও চালু মাল।আমি এখনো জানি না,কে এই প্রেম পত্র দিয়েছে।সেখানে মায়া বের করে ফেলেছে সেই মেয়েকে।
সে প্রেম পত্র দিয়েছে সেটা তার ব্যাপার,কিন্তু তুমি তাকে মারার কে?

–আমি মারবো,কারন তুই আমার।তোর দিকে কেউ তাকালে তার চোখ আমি তুলে ফেলবো!

–মায়া বাড়াবাড়ির একটা লিমিট থাকে কিন্তু,সেটা পাড় করিও না।সবার এই অধিকার আছে নিজের পছন্দের মানুষকে দুইটা কথা বলার।

–সবার অধিকার থাকলেও তোর উপরে কারোর অধিকার নাই আমি ছাড়া।

–মুখের ব্যবহার ঠিক করো মায়া।

–না,আমি ঠিক করবো না।সে তোকে প্রেম পত্র দিলো কেনো!

–এবার আর রাগ সামলাতে পারলাম না।একে তো মেয়েটাকে বেরেহেম ভাবে মেরেছে।দুই আবার আমার সাথে তুই তুকারিও করছে!ঠাসসস করে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলাম।

–শান্তি হয়েছে তোমার আমায় মেরে?
না হলে আরো মারো,কিন্তু কেউ তোমার উপরে নজর দিলে তার কেয়ামত ছুটিয়ে দিব আমি!

–মায়া তুমি কি পাগল হয়ে গেছো নাকি?

–হ্যাঁ,আমি পাগল হয়ে গেছি তোমার ভালোবাসায়!
প্লিজ আমায় নিজের করে নাও।

কথা বলতে বলতে কান্না করে দিয়েছে মায়া!

–কি বলবো বুঝে উঠতে পারছি না মেয়ে টাকে।ওর কান্না যেনো কলিজায় এসে লাগছিলো!
সে আমার কাছে তার কথার কোনো সারা না পেয়ে নিজেই এসে আমায় জড়িয়ে ধরলো!আমি তো পুরো বেকুব বনে গেলাম!সবাই আমাদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে!এই মেয়ে কান্না কাটি করে না।আমি তো বলেছি,যে তুমি আমায় ভালোবাসা দিয়ে নিজের করে নাও।

তাও মায়া কান্না করছে।আকাশের কথা শুনে কান্নার মাত্রা যেনো আরো বেড়ে গেলো!

–আরেহ বাবা এত কান্না করার কি আছে?

–আকাশ সত্যিই তোমায় আমি ভালোবাসি।

–আচ্ছা,ঠিক আছে যাও মানলাম।এবার তো কান্না থামাও!

অনেক কষ্টে বুঝিয়ে শুনিয়ে কান্না থামালাম মায়ার।আর আমাকে প্রেম পত্র দেওয়া মেয়েটাকে হসপিটালে পাঠানোর ব্যবস্থা করলাম।যদিও বেশি ক্ষতি হয়নি।তবে কপাল ফেটে গেছে।পরে মায়াকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম।আর আমি আর প্রান্ত নিজের বাসায় চলে এলাম।

এভাবে আরো দুই তিনদিন কাটলো।মায়ার সাথে মোটামুটি কথা বলি এখন আমি।একদিন রাতের বেলায় জাফর ফোন দিয়ে বলে…

–ভাই কালকে জাদুগর দেশে আসছে!

–ওকেহ আমি চলে আসবো সময় মতন।

পরেরদিন কলেজে না গিয়ে প্লেজে চলে গেলাম জাদুগরের সাথে দেখা করতে।সে আমাকে পেয়েই সাথে সাথে জড়িয়ে ধরলো।তার দেশের থাকাকালীন সময়ের সেফটি মোটামুটি নিশ্চিত করলাম।জাদুগর জাফর বললো,তোমার ছেলেদের নাকি কারা মেরে ফেলেছে?

–হা ভাই,তার জন্যই তো দেশে আশা।

–কারা এমনটা করেছে,তাদের কোনো হদিশ পেলে?

–হা পেয়েছি ভাই,তাদের ছবি আমার কাছে আছে!তারা নাকি ড্রাগনের ছেলেপেলে!

–দেখি ছবি গুলা..
জাদুগর ব্যাগ থেকে আমায় ছবি গুলো বের করে দিলো।ছবি গুলো হাতে নিয়ে দেখতেই কলিজা মোচড় দিয়ে উঠলো আমার…!

চলবে..?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here