“শুকনো_ঘাস_ফুল🍀 part::11

#শুকনো_ঘাস_ফুল🍀
#natasa_islam_muntaha
#part::11

🍁🍁🍁

🍁🍁

🍁

আহিবার চোখ থেকেও টপ টপ করে পানি পরছে …….আহিবা কি বলে আহাধকে শান্তনা দিবে সেটা তার জানা নেই ….আহাধ বাচ্চাদের মতো ফুপিয়ে কাদছে ..আহাধ এর জ্বর থাকায় সে সেন্সলেজ হয়ে ঢলে পরে আহিবার উপরেই

আহিবা:রাফি ভাইয়া ওনাকে ধরো
রাফি:আরে কি হলো
আহিবা:ওনার জ্বর কাল রাত থেকে
রাফি:ওহ …কি যে শুরু হয়েছে দেখি তুমি সরো আমি ওকে রুমে নিয়ে যাচ্ছি

রাফি আহাধকে অনেক কষ্টে রুমে নিয়ে যায় …

আহিবার বাসায় ও এই খবর চলে গেছে যে আহাধ এর আব্বু আম্মু আর আহাধ এর বোন আতিকা …America থেকে আসার পথে accident করেছে তার তিন জনই সেখানেই মারা যায় কিন্তু গাড়িতে কোনো ড্রাইভার ছিল না গাড়িটা মাঝ পথে এসে হঠাৎই ব্লাস্ট করে আর এতেই আহাধ এর পরিবার শেষ হয়ে যায় ..

রাফি ওদের বাসার ডাক্তারকে ফোন করে আসতে বলে সে এসে আহাধকে ২ ঘন্টা ঘুমানোর একটা ইন্জেকশন দিয়ে সাথে জ্নর থাকার জন্য সেটাও যাতে কমে যায় …

রাফি গিয়ে তাকে এগিয়ে দিয়ে আসে

…আহাধ এর দাদী স্টোক করেছে তাকে ICU তে ভর্তি করানো হয় …আহাদ এর কাকা সেই কখন থেকে তার ভাইয়ের লাশ এর কাছে বসে আছে সে যেন কাদতে ভুলে গেছে …

তখন একজন এসে একটা পার্সেল দিয়ে যায় সুমি হাতে আর বলে বাড়ির কাউকে এটা দিতে

আহিবা:এটা কি
সুমি:মুই কেম্মে কমু আফা
আহিবা:এদিকে দে তো
সুমি :নেন
আহিবা ওটা নিয়ে ওর কাকির কাছে যায়
আহিবা:কাকি
কাকি:কি রে কিছু বলবি হাতে কি এটা
আহিবা:জানি না কেউ একজন সুমির কাছে এটা দিয়ে গেল তুমি একটু দেখো না
কাকি :আচ্ছা দে

কাকি প্যাকেট টা খোলার পর ভিতরে একটা চিঠি দেখে

কাকি:এটা কি চিঠি কিন্তু কে দিলো
আহিবা:না খুল্লে দেখবে কি করে

কাকি চিঠি খুলে দেখে সেখানে বড় বড় করে লেখা

“পাঠিয়ে দিলাম সাজিদ …অন্তিকা আর আতিকার লাস এর পর আরো কিছুর জন্য অপেক্ষা করো সবাই …আরো অনেক কিছু বাকি আছে
MR.AKIB KHAN “””

কাকি হাত দুয়ে চিঠিটা ফেলে দেয়

আহিবা:কি হলো
কাকি:ততততোর কাকা কই
আহিবা:সামনে বসে আছে

কাকি আর কিছু না বলে চিঠিটা উঠিয়ে হাতে নিয়ে ছোটে কাকার কাছে

আহিবাও তার পিছন পিছন যায়

কাকি:শুনছো আককককিব
কাকা:কি আকিব
কাকি:চিঠি ও ফিরে এসেছে ….কাউকে ভালো থাকতে দিবে না
কাকা:কি যাতা বলছো ও তো জেলে
কাকি:নাহ ..আজ ও ছারা পেয়ে গেছে তারিখ দেখো আজ 29 জুন আর ওর ৯ বছরের জেল শেষ ও মুক্তি পেয়ে গেছে আার ওই ভাই ভাবী আর আতিকাকে মেরেছে
কাকা:মমমমানে
কাকি:এই দেখো

চিঠিটা এগিয়ে দিয়ে তিনিও চিঠিটা পরে স্তব্ধ হয়ে বসে আছে আহিবা কিছুই বুঝতে পারছে না

আহিবা:কাকি কে এই আকিব
কাকি:তোর ছোট কাকা শশুর
আহিবা :মানে
কাকি:হুম যে এতো বছর জেলে ছিল তার কু কর্মের জন্য আজ মুক্তি পেলো আর আজই
আহিবা :মানে ক্লিয়ার করে বলো না
কাকা:দারা সব বলবো ….

তার আগে শেষ কাজ টা করে নেই ..

আহাধ এর সেন্স আসতেই ..কাকা রাফি সবাই মিলে ওর বাবা মা আর বোন এর …….কবর দিয়ে …..কাজ শেষ করে সবাই সোফায় বসে আছে …..

আহাধ:কাকাই এই আকিব কে

কাকা :তবে শোন

আহাধ তখন অনেকটাই ছোট …আতিকা তখন হয়নি …আকিব আমাদের ছোট ভাই তবে সে ছিল ..ড্রিক …নেশা ..ড্রাগ…মদ….জুয়া যত খারাপ আর বাঝে অভ্যাশ সব কিছুই তার মধ্যে বিরাজমান ….একটিন তোর মা আর তোর কাকি সে সময় সবাই এক সাথেই থাকতাম …তার রান্না ঘরে কাজ করছিল আর আকিব মদ খেয়ে মাতলামি করতে করতে এসে তোর কাকিকে নিয়ে টানা টানি শুরু করে …তোর মা আকিবাকে আটকানোর চেষ্টা করে অনেক কওন্তু আকিব তোর মাকে ধাক্কা মারে …আর সে ছিকটে গিয়ে দেয়ালের উপর পরে মাথা ফেটে রক্ত পরে …সে ওখানেই ঙ্গান হাড়ায় ….বাসায় বাবা ছিল মা তার বাবার বাড়ি গিয়েছিল কোনো একটা কাজে ….বাবা শব্দ পেয়ে রান্না ঘরের দিকে যায় গিয়ে দেখে আকিব তোর কাকির আচল ধরে টানা টানি করছে ….বাবা গিয়ে ওকে আটকায় …আকিবা বাবাকেও ধাক্কা মারে কিন্তু বাবা এসে আকিবকে উঠিয়ে সজোরে একটা থাপ্পোর দেয় ….আকিবা নেশা গ্রোস্থ অবস্থায় ছিল তাই ও কি করছে তা ওর ধারনা ছিল না …..আকিব পাশে থেকে একটা ছুরি দিয়ে বাবাকে খুন করে ফেলে ..আমি আর তোর বাবা সবে মাএ বাসায় ডুকি আর তখনই বাবার চিৎকার শুনে সেখানে গিয়ে বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখে ভাইয়া দৌড়ে গিয়ে বাবাকে গিয়ে ধরে আর আমি গিয়ে পুলিশকে ফোন করি পুলিশ ও তারাতারি এসে পরে …ভাইয়া আকিব কে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয় …আর মামলা করে ….এদিকে মা এসে সব কিছু শুনে …কান্নায় ভেগে পরে ……একদিকে নিজের স্বামী অন্যদিকে নিজের ছেলে ….
বাবার মৃত্যুর পর আকিব এর সুনানি শুরু হয়ে যায় …ওর পক্ষে কেউ ছিল না ..আর আমাদের পক্ষে সবাই ছিল সেই দিন ওর জেল হয়ে যায় ৯ বছরের..কারন ওর কোনো ঙ্গান ছিলনা সে মাতাল ছিল …
সেদিন আকিব বার বার চিৎকার করে বলেছিল এর প্রতিশোধ সে নিবেই …আর আজ ওর বাহিরে.আসে সকালে আর এসেই
আহাধ:ছারবো না ঐ আকিব কে ছারবো না
রাফি:বাবা থাকে কই সে কিছু জানো
কাকি:নাহ …ও তো আজ মাএ বার হলো
আহিবা:কাকা ছোট কাকা কি বিয়ে করেছিলেন
কাকা:হুম ..একটা ছেলেও আছে কি জানি নাম ..আজিব ওদের উপর অনেক অত্যাচার করতো আর রুপশা মানে আকিব এর বউ এর পরিবার ছিল অনেক বড় আর সমরাজ্য পরিবার …..তাই তারা তাদের মেয়েকে মামে রুপশা আর তার ছেলেকে নিজেদের কাছে নিয়ে যায় …পরে রুপশা আকিব কে ডিভোর্শ দিয়ে দেয় ….ওদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক রাখে না ..এমন কি আকিব যেদিন জেলে গিয়েছিল রুপশা জানতো তবুও দেখতে যায় নি …সে বাবার ওখানেই ছিল ….
আহিবা:ওহ
রাফি:বাবা ওই আকিব কে যে করেই হোক খুজে বার করতে হবে

তখনই দরজা দিয়ে কত গুলো কালো পোশাক পরা ৬ ৭ জন লোক আসে
তার ভিতর থেকে একজন

খুজতে হবে না আমি চলেই এলাম

কাকা:আকিব তুই
আহাধ, রাফি:মানে
আকিব:হুম আমি …কিন্তু তোরা কারা আহাধ আর রাফি রাইট
রাফি:যাক ভালোই চিনছেন তাহলে
আকিব:যতোই হোক ভাগ্নে বলে কথা ..কিন্তু ঐ মেয়েটা কে আহিবাকে দেখিয়ে
কাকি:ও আহাদ এর বউ
আকিবা:এই তোমার নাম কি
আহিবা:আমমি আহিবা
আকিবা:ওয়াও …খুব সুন্দর নাম তো …
আহাধ:কেন এসেছেন
আকিবা:great question ..
কাকা:কি চাস
আকিবা:তোদের শেষ করবো ..সব গুলোকে
কাকা:মানে
আকিবা ওর লোক গুলোকে ইশারা করে সবাই ওদের মাথায় পিস্তল ধরে দারায় শুধু আহিবাকে বাদে
আকিব:মামনি তুমি ভয় পেয়োনা কেমন …ওরা তোমায় কিছু করবে না ….তোমায় আমি আমার সাথে নিয়ে যাবো
আহিবা :মমমমাননননে ছোট আব্বু
আকিবা:তুমি আমার কাছে আমার মেয়ের মতো থাকবে তুমি ওখানে বসে থাকো কেমন

আহিবা আস্তে করে বসে পরে ..আর সোফার পাশে থাকা টেলিফোনটা দিয়ে পুলিশ কে ফোন দেয় …তারপর খুব জোরেই বলে ওঠে ওদের বাড়ির ঠিকানা

আহিবা:আমায় বাচায় আমায় তারা মেরে দিবে
আকিব আহিবার দিকে ভ্রু কুচকে তাকায় :কি হলো
আহিবা খুব সাবধানে ফোনটা কেটে দেয় ….
আহিবা:নাহ ছোট আব্বু সবাই এমন করবে তো তাই আমি একটু অভিনয় করে দেখাচ্ছিলাম …
আকিব :ওহ হো
আহিবা:ছোট কাকা আমি একটা পিস্তল নিবো …আমার না খুব ইচ্ছা আছে কিন্তু আমি না চালাতে পারি না
আকিব ও আহিবার এমন কথায় গলে যায়
আকিবা :এই কেউ একটা পিস্তল ওর কাছে দে

আহিবার কাছে পিস্তলটা দিতেই আহিবা খব করে নিয়ে উঠে

সোজা আকিব এর কাছে যায় …

আহিবা:আমায় শিখিয়ে দিবে

আহাধ আহিবার এমন করা দেখে কওছুটা ডাউট হচ্ছে …তাই শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে …আর আহাধ সবাইকে কথা বলতে বারন করে দিয়েছে

আকিব:হা কেন না এই দেখো

আকিব আহিবাকে পিস্তল চালানো শিখায় আর যেই আহিবার হাতে পিস্তল টা দেয় তখনই পুলিশের গাড়ি এসে ওদের বাসার গেট এ আসে আকিব উঠতে গেলেই আহিবা পিস্তলটা আকিবা এর মাথায় ধরে

আহিবা:সরি ছোট আব্বু সবাইকে ছেরে দিতে বলো না হলে তোমার মাথা উরিয়ে দিবো
আকিব:নাহ সবাই ওদের ছেরে দে

এর মধ্যেই পুলওশ এসে ওখানে হাজির হয় …আহাধ তাদের সব বলে পুলিশ আকিব আর তার চ্যালাদের দিয়ে যায় …আর সবাই আহিবাকে নিয়ে খুব খুশি হয়ে যায় …

তারপর

আস্তে আস্তে সবাই আবার সাভাবিক হতে থাকে এই ভাবেই কেটে যায় আরো ২ মাস …

আহাধ আর রাফি এখন এক সাথেই অফিস করা শুরু করেছে ..আহিবা ওর কাকি আর সুমি তিন জন বাসায় থাকে আর ওর কাকা সে বাহিরে গিয়ে ওদের ব্যবসা দেখা শুনা করে …আর আকিব কে মৃত্যু দন্ডে দন্ডিত করে ……

আহাধ আহিবাও বেশ ভালোই আছে …সব মেঘ কাটিয়ে ওরা সবাই আলোর নিশান পেয়েছে

রাফি,আর আহাধ অফিসে থেকে ফিরে …ফ্রের হয়ে রাতে সবাই এক সাথে খেতে বসে…আহিবা সবাইকে খাবার বেরে দিচ্ছে

কাকি:কি রে তুই বসিস না
আহিবা:ইচ্ছা করছে না
রাফি:সেকি বসো খেতে
আহিবা:না ভাইয়া

আহিবা আর কিছু বলতে পারলো না তার আগেই ডলে পরে যায় ….

আহাদ রাফি সুমি আর কাকি সবাই খাবার ফেলে দৌড়ে গিয়ে আহিবার কাছে যায় ..

আহাদ আহিবার চোখে মুখে পানি দেয় কিন্তু কোনো লাভ হয় না …তার পর আহিবাকে রুমে নিয়ে ছোটে ..রাফি ওদের পারিবারিক ডাক্তার কে ফোন দিয়ে তারাতারি বাসায় আসতে বলে …

ডাক্তার তারাতারি চলে আসে

রাফি তাকে নিয়ে আহিবার কাছে যায় গিয়ে চেস্ট করতে দেয়

আহাধ:আন্টি কি হয়েছে
ডা.মুন্নি :আহাধ আমি টেস্ট এর আগে কিছু বলতে পারছি না….তুমি এক কাজ করো ওর ঙ্গান ফিরলে এই টেস্ট গুলো করিয়ে এনো
আহাধ:হুম
ডা.মুন্নি :ওকে তাহলে আমি আজ আসি ..

রাফি গিয়ে তাকে এগিয়ে দিয়ে আসে

চলবে,,,,,,,,,

[নতুন ধামাকাটা কেমন লাগলো ..😉….সামনে আরো একটা ধামাকা আছে ☺…আর একটা কথা এই গল্পটা সম্পূর্ন sad ending 😑]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here