সাইকো লাভার পর্বঃ৬

সাইকো লাভার পর্বঃ৬
#সাদিয়া সিদ্দিক মিম (লেখিকা)

আদি দিয়াকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে দিয়ার ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে নেয়,একটা সময় আদির চুমু গুলো কামড়ে পরিনত হয়।দিয়া ছোটার জন্য ছটফট করছে কিন্তু আদি ছাড়ছেই না।দিয়ার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে তারপরও আদি দিয়াকে ছাড়ছে না।অনেকক্ষণ পর আদি দিয়াকে ছেড়ে দেয়।দিয়া ধপ করে ফ্লোরে বসে পড়ে,দিয়ার ঠোঁট লাল হয়ে আছে।দিয়ার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।আদি দিয়ার কাছে গিয়ে দিয়ার গাল চেপে ধরে বলে

আদিঃ আমার থেকে দূরে যাওয়ার খুব শখ না তোর।তুই কী ভেবেছিস আমার থেকে দূরে যেতে চাইলেই চলে যেতে পারবি।মনে রাখিস তুই, এই আদিল আদনান শরীফ যতদিন বেঁচে আছে ততদিন তোর মুক্তি নেই।তুই আমার,শুধু আমার তুই।(রেগে চিৎকার করে কথাগুলো বলে আদি ঘর থেকে বের হয়ে যায়)।

আর দিয়া কাঁদতে কাঁদতে ফ্লোরেই ঘুমিয়ে পড়ে।

🍁কিছুক্ষণ আগে🍁
দিয়াকে ড্রয়িং রুমে বসানো হয়,দিয়ার পাশে আদির বোন মিনহা বসে আছে।মিনহা দিয়ার সাথে অনেক কথা বলছে আর দিয়া শুধু শুনে যাচ্ছে।

আশরাফঃ দিয়া,,,,,,,দিয়া(আদিদের বাড়িতে ডুকে)

দিয়াঃ চচচচাচ্চু,,,,,আমি এখানে থাকব না চাচ্চু,,,,তুমি আমাকে তোমার সাথে নিয়ে যাও প্লিজ,,,,,,আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে এখানে(কেঁদে আশরাফকে জড়িয়ে ধরে)।

দিয়ার চাচ্চুঃ কাঁদিস না,,,,,আমি তকে এখান থেকে নিয়ে যেতেই এসেছি,,,,এখানে আর এক মুহূর্তও তকে রাখব না আমি,,চল আমার সাথে।(দিয়ার হাত ধরে)

আদিঃ এই যে চাচা শ্বশুর মিয়া,,,আমার বউকে নিয়ে কই যান আপনি।(দিয়ার অন্য হাত ধরে আটকে)
দিয়ার চাচ্চুঃ অর হাতটা ছাড়ো,,,,,নয়ত খুব খারাপ হয়ে যাবে।

আদির বাবাঃ আরে আশরাফ তুমি এখানে,,,,,আর দিয়া মামনিকে নিয়ে কই যাও তুমি।(সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে)

দিয়ার চাচ্চুঃ আমি দিয়াকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি,,,,অয় এখানে থাকবে না।

আদির বাবাঃ মানে,,,,আমি ত বিয়াইকে বলেই নিয়ে এসেছি দিয়া মামনিকে,,,অয় ত আজ এখানে থাকবে।

দিয়ার চাচ্চুঃ অয় এখানে থাকবে না,,,,দিয়া এখন আমার সাথে ঐ বাড়িতে যাবে,,,,দিয়ার হাত ছাড়ো আদি।

আদিঃ দিয়া কোথাও যাবে না,,,,,দিয়া আজ এখানেই থাকবে।

দিয়াঃ থাকব না আমি এখানে,,,আমি বাড়িতে যাব,,,প্লিজ ছাড়ুন আমাকে(আদির থেকে হাত ছাড়াতে ছাড়াতে বলল)।

আদি এবার খুব রেগে যায়,,,আদি জোরে দিয়ার হাত ধরে টান দেয়,,,যার ফলে দিয়া আদির বুকের উপর গিয়ে পড়ে।

আদিঃ দিয়া কোথাও যাবে না,,,,আপনি এখন আসতে পারেন।

আদি কাউকে আর কিছু আলার সুযোগ না দিয়ে দিয়াকে টেনে অর রুমে এনে দরজা বন্ধ করে ঠাস করে দিয়ার গালে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়।দিয়ার চোখে ছলছল করছে,দিয়া এবার রেগে চিৎকার করে আদিকে বলল,,,

দিয়াঃ আমি থাকব না এখানে,,,,,আমি চলে য,,,,,আর কিছু বলতে পারল না দিয়া তার আগেই আদি দিয়ার ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দেয়।

🍁বর্তমান🍁
আদি ছাঁদে এসে চোখের পানি ফেলছে,,,তখনই আদির পাশে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে চোখের পানি মুছে ফেলে পিছন ফিরে দেখে আদির বাবা দাড়িয়ে আছে।

আদিঃ পাপা তুমি এখানে।(নিজেকে স্বাভাবিক করে)

আদির বাবাঃ কেন আসতে পারি না বুঝি।(আদির পাশে বসে বলল)

আদিঃ না তা নয়,,,কিন্তু তুমি এত রাতে ছাঁদে কেন,,,,তোমার শরীর ঠিক আছে।

আদির বাবাঃ আমি ঠিক আছি,,,,কিন্তু তুই ত ঠিক নেই।(আদির কাঁধে হাত রেখে)

আদি আর নিজেকে সামলাতে পারে না ঝাপিয়ে পড়ে জোনায়েদ খানের বুকে।

আদিঃ পাপা দিয়া কী আবার আমাকে ছেড়ে চলে যাবে।এবার দিয়া আমাকে ছেড়ে চলে গেলে আমি বাঁচতে পারব না পাপা।

আদির বাবাঃ কাঁদিস না আদি,তুই নিজেকে শক্ত কর,এত তাড়াতাড়ি তুই ভেঙ্গে পড়িস না বাবা।তোর এখনও অনেক কাজ বাকি আছে।

আদিঃ পাপা যার জন্য আমার এত লড়াই সে ত আমাকে ছেড়ে চলে যেতে চায় আমি কী করব?

আদির বাবাঃ তুই কী করবি সেটা তুই ভালো করেই জানিস,ত এত তাড়াতাড়ি ভেঙ্গে পড়লে চলবে না।তুই তোর কাজ চালিয়ে যা।আমি তোর পাশে আছি।

আদিঃ পাপা তুমি আমার পাশে আছো বলেই আমি এখনও বেঁচে আছি,নয়ত যেদিন দিয়া আমাকে ছেড়ে চলে গেছে সেদিনি নিজেকে শেষ করে দিতাম।

আদির বাবাঃ হুম,,এবার কান্না থামিয়ে ঘরে যাও,দিয়া ঘরে একা আছে।

আদিঃ আচ্ছা পাপা।

🍁আদি ঘরে এসে দেখে দিয়া ঘরে নেই।তারপর ওয়াশরুমের দরজা খোলার শব্দ পেয়ে সেদিকে তাকিয়ে দেখে দিয়া একটা ক্রীম কালারের থ্রী পিছ পড়ে বের হচ্ছে,হাতে টাওয়াল।আদি দিয়ার দিকে তাকিয়েই আছে এখনও।আদিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে দিয়া আদিকে বলল।

দিয়াঃ এভাবে কী দেখছেন,এখানে কী কোন খেলা দেখানো হচ্ছে যে এভাবে তাকিয়ে আছেন।(বিরক্ত হয়ে)

আদিঃ আমার বউ, আমি তাকিয়ে থাকব না ত কে তাকাবে হুম।(দিয়ার দিকে এগোতে এগোতে)

দিয়াঃ এভাবে এগোলে না মাথায় ডিম ফাটাব,সরেন এখান থেকে।(ধমক দিয়ে বারান্দায় যেতে যেতে বলল)

আদি দিয়ার হাতে টান মেরে আদির সামনে এনে দাড় করিয়ে দিয়ার কোমড় জড়িয়ে ধরে, দিয়া কেপে উঠে আদির ছোঁয়ায়।আদি দিয়ার ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে আছে,আদি ধীরে ধীরে দিয়ার ঠোঁটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, দিয়া ত চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।আদি যখনই দিয়ার ঠোঁট স্পর্শ করবে তখনি দিয়া আদিকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়।

দিয়াঃ একদম ছুবেন না আমাকে,আমার উপর একদম স্ত্রীর অধিকার ফলাতে আসবেন না।

আদিঃ আমি তোমার উপর স্ত্রীর অধিকার ফলাতে চাইও না কিন্তু আমি আমার বউকে আদর করতে চাই(বাঁকা হেসে)।

দিয়াঃ এহ আমি আমার বউকে আদর করতে চাই(ব্যঙ্গ করে),,,,আসছে বউকে আদর করতে,,,,,কিসের বউ হে কীসের বউ,,,, আমি বিয়েটা মানি না,,,,আপনি আমাকে জোর করে বিয়ে করেছেন।

আদিঃ কাগজে কলমে তুমি আমার বউ,,,,এটা তুমি মানো আর না মানো তুমি আমার বউ এটা আমি মানি,,,,,তাই আমি ত আমার বউকে আদর করবই,,,,বিকজ আজ আমাদের বাসর।(দিয়ার কাছে গিয়ে দিয়াকে জড়িয়ে ধরে)

দিয়াঃ ছাড়ুন আমাকে ছাড়ুন বলছি,,,,,ভালো হবে না কিন্তু,,,,,কথায় কথায় এত গায়ে হাত দেন কেন,,,,,আমি আপনার নামে কেস করব।(ছাড়াতে ছাড়াতে)

কিন্তু আদি ত নাছোরবান্দা তাই আদি দিয়াকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে দিয়ার গলায় মুখ ডুবায়,,,,,আদি দিয়ার গালে,গলায় অসংখ্য চুমু দিতে থাকে।দিয়া কেঁপে উঠছে আদির ছোঁয়ায়,,,,,কিন্তু দিয়া নিজেকে সামলে আদির থেকে ছাড়াতে চেষ্টা করে।আদি দিয়ার গলায় মুখ ডুবানো অবস্থাতেই বলল,,,

আদিঃ বিরক্ত করো না ত।বাদরের মত এমন নড়াচড়া করলে কিন্তু ডোসটা বেশি পড়বে।

দিয়া মনে মনেঃ কী করি এখন এই কলার কাদির হাবভাব মোটেও ভালো লাগছে না,,,,কিছু একটা করতে হবে আমাকে,,,,,,ইয়েস আইডিয়া,,

হঠাৎ করে দিয়া তার সমস্ত ভর আদির উপরে ছেড়ে দেয়।দিয়ার এরম শান্ত হয়ে যাওয়া দেখে আদি দিয়ার গলা থেকে মুখ তুলে দেখে দিয়া চোখ বন্ধ করে আছে।

আদিঃ দিয়া,,,,,দিয়া,,,,কী হয়েছে তোমার,,,,,চোখ খুলো দিয়া,,,,কী হয়েছে তোমার(উত্তেজিত হয়ে দিয়ার গালে আস্তে আস্তে চাপড় মেরে)

আদিঃ অজ্ঞান হয়ে যায় নি ত,,,,,আদি দিয়াকে খাটে শুইয়ে দেয়,,,,তারপর দৌড়ে নিচে যায় আদির মাকে ডাকতে।

দিয়া এক চোখ খুলে দেখে আদি ঘরে নেই,,,,,,,দিয়া শোয়া থেকে উঠে বসে আর হাসতে হাসতে বলে,,,,

দিয়াঃ সাদিয়া সিদ্দিক মিমকে বাগে পাওয়া এত সহজ নয় মিষ্টার কলার কাদি।

তখনই আদি ঘরে ডুকে,,,,আদিকে দেখে দিয়া ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়।

দিয়া মনে মনেঃ এইরে এই বজ্জাতটা ত বুঝে গেছে আমি অভিনয় করেছি,,,,এখন আমার কী হবে।

আদি দিয়ার দিকে এগিয়ে আসছে গম্ভীর মুখে,,,,,আদি দিয়ার কাছে আসছে আর দিয়া পিছিয়ে যাচ্ছে আদি দিয়ার একদম কাছে এসে পড়েছে, দুজনের মধ্যে বেশি দুরত্ব নেই,,,দিয়া চোখ বন্ধ করে নেয় তখনি আদির হাসির আওয়াজ পায়,,,,দিয়া চোখ খুলে দেখে আদি দিয়ার থেকে অনেকটা দূরে সরে গিয়ে হাসছে।

আদিঃ তুমি কী সবসময় এসবই ভাবো জান।

দিয়াঃ কী সব(বুঝতে না পেরে)

আদিঃ কোন সব দেখাব আবার হুম(দিয়ার দিকে আবার এগিয়ে আসতে আসতে দিয়া বুঝতে পেরেছে আদি কীসের কথা বলেছে)

দিয়াঃ ননননা দেখাতে হবে না,,,আমি বুঝতে পেরেছি।
আমার খিদে পেয়েছে(কথা ঘুরানোর জন্য)

আদিঃ ইস্ সরি জান,,,,আমার একটুও খেয়াল নেই তুমি ত এসে কিছু খাও নি,,,,তুমি একটু বসো আমি খাবার নিয়ে আসছি।

দিয়াঃ আচ্ছা।

আদি দরজার কাছে গিয়েও আবার ফিরে আসে,,,দিয়া কিছু বলবে তার আগেই আদি দিয়ার ঠোঁটে হালকা ঠোঁট ছুঁইয়ে দৌড়ে সেখান থেকে চলে যায়।দিয়া ভাবছে এটা কী হল।

#চলবে

(সরি গাইস,,,,গতকালকে গল্প দিতে পারি নি তার জন্য,,,,আসলে আমার নানু অসুস্থ ছিল,গল্প লেখার মত মনের অবস্থা ছিল না,,,,,,আর গল্পটা কেমন হয়েছে জানাবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here