সাইকো_লাভার পর্বঃ২০

সাইকো_লাভার পর্বঃ২০
#লেখিকাঃসাদিয়া_সিদ্দিক_মিম

এটা ত সাথী আপু,,,কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব,,,

আদিঃ দিয়া তুমি কী উনাকে চিনো?

দিয়াঃ হে আদি,,,এটা সাথী আপু,,,সায়ান ভাইয়া একসময় উনাকে খুব ভালবাসত।

আদিঃ ভালবাসত মানে,,,এখন কী হয়েছে?

দিয়াঃ সাথী আপু চার বছর আগে মারা গেছে আদি।

আদিঃ কীভাবে? (অবাক হয়ে)

দিয়াঃ সাথী আপু চার বছর আগে পুলিশের হেফাজতে থাকা কালীন সুইসাইড করে।

আদিঃ তবে আজ যাকে দেখলাম সে কে?আর কী হচ্ছে এসব দিয়া,,,সবটা বলো আমাকে কীভাবে কী হয়েছে সবটা বলো।

দিয়াঃ সাথী আপুকে সায়ান ভাইয়া খুব ভালবাসত,,,কলেজ লাইফ থেকেই ভাইয়া আর আপু দুজন দুজনকে ভালবাসত,,,কিন্তু একটা সময় আসে যখন সাথী আপু খারাপ কাজে জড়িত হয়,,,আমাদের দেশে এমন অনেক মূল্যবান জিনিস আছে যেগুলো সাথী আপু অন্য দেশে পাচার করত।তার সাথে নারী পাচারের ব্যাবসাও করত,,,আর সেটা সায়ান ভাইয়া জেনে যায় আর নিজের বুকে পাথর রেখে সাথী আপুকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়,,,তখন সায়ান ভাইয়া আপুকে নানা ভাবে অপমান করে আর সাথী আপুর বাবা,মা ও তাকে অস্বীকার করে,,,এতকিছু সাথী আপু আর নিতে পারে না সুইসাইড করে।

আদিঃ কিন্তু আমি যাকে দেখলাম সে কে?আর কেন সে আমাকে মারতে চাইছে?

দিয়াঃ সেটা সাথী আপুকে পেলেই জানা যাবে,,,সাথী আপু যে গাড়ি করে গেছে তার নাম্বার তুমি দেখেছো?

আদিঃ হে দেখেছি আমি।

দিয়াঃ গুড,,,এই নাম্বার দিয়েই সাথী আপুকে খুঁজে বের করব।

একটু পরে পঙ্কজের অপারেশন শেষ হয়।পঙ্কজ এখন ভাল আছে আগের থেকে,,,আর তাকে কেবিনে শিফট করা হয়েছে,,,এই সুযোগে আদি একজনকে দিয়ে খাবার আনাল,,,কারন আমরা দুজনের একজনও খাই নি।তারপর খেয়ে নিলাম দুজনেই।

কিছুক্ষণ পর রায়ান ভাইয়া আর পুলিশও এসে পড়ে।রায়ান ভাইয়া পুলিশদের বলে পঙ্কজ আর মৃদুলের কেবিনের সামনে পাহারা দিতে।রায়ান ভাইয়া ঐদিকে সব বুঝিয়ে দিয়ে আমাদের কাছে এসে দাঁড়ায়।

রায়ানঃ তোমরা কী জানো যে কে বা কারা এসব করেছে?

দিয়াঃ হে ভাইয়া আমরা জানি কে করেছে।

রায়ানঃ কে করেছে?

তারপর রায়ান ভাইয়াকে সবটা বললাম,,,সব শুনে রায়ান ভাইয়া বলল,,,

রায়ানঃ গাড়ির নাম্বারটা দেও আমাকে,,,আমি দেখছি গাড়িটা কার।

তারপর আদি রায়ান ভাইয়াকে নাম্বারটা দিয়ে দিলো,,,রায়ান ভাইয়া নাম্বারটা নিয়ে কাউকে ফোন করলেন।

আদিঃ দিয়া আমার না খুব খিদে পেয়েছে,,,চলো না খেয়ে আসি কিছু।

দিয়াঃ 🤨।

আদিঃ এভাবে তাকাচ্ছো কেন?

দিয়াঃ একটু আগেই ত খেলে,,,এখন আবার খিদে পেয়েছে তোমার।(ভ্রু কুঁচকে)

আদিঃ হে পেয়েছে খিদে,,,একটু আগে খেয়েছি বলে কী এখন খিদে পাবে না এমন কোন কথা আছে?(কিছুটা রেগে)

দিয়াঃ আচ্ছা তোমার খিদে পেয়েছে তুমি খেয়ে আসো,,,আমার খিদে পায় নি।

আদিঃ ত চলো আমার সাথে,,,তোমার খেতে হবে না তুমি খালি বসে থাকবে।

দিয়াঃ আমি যাব না,,,তুমি যাও।

আদিঃ পাগল নাকি,,,আমি তোমাকে এখানে রেখে যাই আর তুমি ঐ কারফুর সাথে কথা বলো,,,তাই না।(রেগে)

দিয়াঃ কারফু কে?

আদিঃ কে সেটা তোমার জানতে হবে না,,,এখন চলো আমার সাথে।

দিয়াঃ আমি যাব না বলছি ত,,,জোড় করো না ত প্লিজ।

আদিঃ থাপ্পড় দিয়ে সব দাঁত ফেলে দিব,,,চলো বলছি।(ধমক দিয়ে)

বলেই আমাকে কিছু বলতে না দিয়েই গরুর মত টেনে নিয়ে যাচ্ছে।

—————————————————————————–

একটা ছেলে একটা মেয়ের মাথায় বন্ধুক তাক করে রেখেছে।

ছেলেটিঃ তোমার সাহস হল কী করে আমাকে না জানিয়ে আদিকে মারার প্ল্যান করার।(রেগে চিৎকার করে)

মেয়েটিঃ আদি মরলে তোর রাস্তার কাটাও সরে যাবে,,,ত over acting না করে বন্ধুক নামা।

ছেলেটি বন্ধুক নামিয়ে হু হা করে হেঁসে উঠল,,,হাসতে হাসতে ছেলেটি বলল,,,

ছেলেটিঃ উফফ সাথী তুমিও না,,,খুব চালাক।

[হে মেয়েটা সাথী কিন্তু ছেলেটা কে হতে পারে🤔,,,পাঠকগন কী জানে যে ছেলেটা কে?আমি কিন্তু বলছি না ছেলেটা কে,,,শুধু এতটুকুই বলব ছেলেটা পরিচিত,,,আর এখানেও একটু টুইস্ট আছে😁,,,ত দেখি আমার পাঠকরা বলতে পারে কী না]

সাথীঃ হা হা হা,,,চালাক না হলে কী নিজের মৃত্যুর মিথ্যা নাটক করে এতদিন যাবৎ মুক্ত পাখির মত উড়ে বেড়াচ্ছি।

ছেলেটিঃ তুমি আসলেই চালাক,,,কিন্তু চার বছর পর কেন ফিরে এলে প্রতিশোধ নিতে?

সাথীঃ সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম এতদিন,,,আর সে সময়টা এসে পড়েছে।এবার আমি আমার প্রতিশোধ নিবো।

কথাগুলো বলেই সাথী চলে গেলো,,,আর ছেলেটি বাঁকা হেঁসে সেও চলে গেলো।

—————————————————————————–

বিরক্ত লাগছে,খুব বিরক্ত লাগছে আমার,,,ইচ্ছে করছে বজ্জাত কলার কাদির চুলে আগুন লাগাতে,,,শালা বজ্জাত এক ঘন্টা ধরে বসিয়ে রাখছে কিছু বলছে না,খাবার নিয়ে সামনে বসে আছে আর একটু পরপর চুলে হাত দিয়ে চুল ঠিক করছে।

দিয়াঃ আপনি থাকুন আমি গেলাম।(বিরক্ত হয়ে)

কথাটা বলেই চেয়ার থেকে উঠে গেলাম সাথে সাথে আদি আমার হাত ধরে ফেলল,,,আমার এবার প্রচন্ড রাগ হচ্ছে।

আদিঃ আমি কী তোমাকে যেতে বলেছি,,,চুপচাপ বসো এখানে।(চোখ রাঙিয়ে)

দিয়াঃ আমি চুপচাপ বসে থাকতে পারব না,,,হাত ছাড়ো আমি গিয়ে দেখে আসি রায়ান ভাইয়া কোন খবর পেলো কী না।

আদি এবার চোয়াল শক্ত করে রেগে বলল,,,

আদিঃ রায়ানের কাছে যাওয়ার জন্য খুব তাড়া বুঝি হে,,,আমার সাথে বসে থাকতে কী ভালো লাগছে না।

দিয়াঃ আদি তুমি কী একবারও ভেবে দেখেছো তুমি কী বলছো,,,এক ঘন্টা ধরে বসিয়ে রেখেছো,,,না খাচ্ছো আর না কিছু বলছো,,,আর রায়ান ভাইয়া ঐ গাড়িটার কোন খবর পেলো কী না সেটা জানাও ত জরুরি।

আদিঃ তোমার এত জানতে হবে না,,,বলেছি না তখন রায়ানের সাথে বেশি কথা বলবে না ত চুপ করে বসো।

দিয়াঃ উফফ তোমাকে কিছু বলেও লাভ নেই।

বলেই রেগে চেয়ারে বসলাম,,,আর আদির ঠোঁটে বাঁকা হাসি।

আদি মনে মনেঃ আমার খুব জ্বলে গো তুমি অন্য কোন ছেলের সাথে কথা বললে,,,আমি জানি তুমি রায়ানের সাথে কাজ নিয়েই কথা বলো কিন্তু আমার সেটাও শয্য হয় না,,,তাই রায়ানের সাথে যাতে তুমি কথা বলতে না পারো আর রায়ানের থেকে দূরে রাখার জন্যই মিথ্যা বলে তোমাকে এখানে নিয়ে আসা,,,তুমি শুধু আমার সাথে কথা বলবা,,,আর কোন ছেলের সাথে কথা বললে আমি শয্য করব না,,,তোমার দেয়া গিফটও আমি কাউকে নিতে দেই না,,নেয়া ত দূরের কথা ছুতেও দেই না,আর সেই তোমাকে আমি কী করে অন্য কোন ছেলের সাথে কথা বললে শয্য করি বলো।

Bcoz i am your,,,,,#সাইকো_লাভার।

#চলবে…

(বিদ্রঃ আমি গল্পের শুরুতেই বলেছিলাম গল্পে কিছু রহস্য থাকবে,,,আর আমি নতুন লিখছি তাই সবটা গুছিয়ে লিখতে পারছি না,,,হয়ত জগা খিচুড়ি পাকিয়ে ফেলেছি🥴,,,তাই গল্পের রেসপন্স কমে যাচ্ছে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here