স্বপ্নের প্রেয়সী ৪

#স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন_2
#ফাতেমা_তুজ
#part_4
#post_time_রাত_12_49

ডিনারে বসে ডিনারের অর্থ টাই যেন ভুলে গেছে ফারাবি।
খাবার নিয়ে বসে আছে অথচ খাবার গলা দিয়ে যাওয়া তো দূরে থাক মুখে তুলে ও দেখছে নাহহ।
ফারহানের দৃষ্টি ফারাবির দিকে নিবদ্ধ । যেন চোখ দিয়ে আগলে রাখাই তার এক মাত্র লক্ষ্য।
ফারাবি কোনো মতে শ্বাস নিয়ে একটু সুপ মুখে তুলতে যেতেই ফারহান ফারাবির হাত ধরে ফেলল।
ফারাবির সাথে সাথে সবাই অবাক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে।
ফারহানের টাইমিং এতো টাই ভালো ছিল , যেন ফারাবির খাবার মুখে তোলার ই অপেক্ষায় ছিলো সে।

সবাই এখনো তাকিয়ে আছে কেউ কেউ তো ভ্রু কুঁচকে ও নিয়েছে।

ফারহান ফোঁস করে শ্বাস ফেলে শক্ত গলাতে বলল
_ এটা কি খাচ্ছিস ?

ফারাবি তুতলিয়ে বলল
_ সুপপ

ফারহান ফারাবির হাত ছেড়ে দিয়ে রিফাতের দিকে তাকালো।
রিফাত বিষয়টা বুঝতে পারছে নাহহ ঠিক।
ফারহান দীর্ঘশ্বাস টেনে নিয়ে সুপের বাটি নিয়ে রিফাতের পাশে বসলো।
রিফাত জিজ্ঞাসা দৃষ্টি তে তাকাতেই ফারহান সুপের বাটি তে চামচ ঘোরাতে ঘোরাতে বলল
_ এই সুপে কি কি আছে ?

রিফাত তপ্ত শ্বাস ফেলে বলল
_ এটা তো দেখাই যাচ্ছে , ঘটা করে বলার কি আছে ?

_ উহুহু তুই বল একটু।

_ চিকেন , বেবি কর্ন , নাট , শিম্প , মশলা টসলা

_ আর কিছু ?

_ আর কি ? ওহহ হ্যাঁ মাশরুম ও তো ,,বলেই রিফাত মেকি হাসলো।

ফারহান সুপের বাটি টা টেবিলে রেখে বুকে হাত গুঁজে বলল
_ ডাফার , কেমন ভাই হইছিস ?

রিফাত ফারহান কে চোখ টিপে বোঝালো ম্যানেজ করতে।
ফারহান মুখ বাঁকিয়ে ফারাবির দিকে তাকালো।
ফারাবি অবাকের চরম পর্যায় আছে।
সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে , ভাগ্যিস বড় রা কেউ নেই ।
না হলে আজ এটা নিয়ে একটা হুলুস্থুলু হয়েই যেত।

ফারহান ধীর পায়ে এগিয়ে সামান্য কেশে বলল
_ মাশরুম খেতে চাচ্ছিস তুই ?

ফারাবি নাক কুঁচকে বলল
_ এহহ

_ এহহ নয় হ্যাঁ ?
মাশরুম খাবি নাকি ?

ফারাবি মুখ টা মলিন করে নিলো।
সে নিজেই ভুলে গেছে মাশরুমে তার এলার্জি।

ফারহান বাঁকা চাহনি দিয়ে বলল
_ আজকের সব খাবারেই মাশরুমের ছোঁয়া আছে।
আর সবাই ভুলে গেছে মাশরুমে তোর আর আমার এলার্জি।

ফারাবি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে দাড়িয়ে রইলো।
যার কারনে ফারহান বিরক্ত হলো।
ফারহান ভ্রু কুঁচকে বলল
_ পাঁচ মিনিটের মধ্যে খাবার চলে আসবে চল আমার সাথে।

ফারাবি মুখ ছোট করে বলল
_ নাহহ আমি যাবো নাহহ।

_ ঐ যাহহ,, না খেয়ে থাকবি নাকি।
ফারহান তো খাবার অর্ডার করেছেই।

_ ভাইয়া আমি

_ এ কেমন কথা ফারাবি। তুই কি সারা রাত না খেয়ে কাটাবি নাকি।

_ মনিকা আপু আমি তো

_ কোনো কিন্তু নয় যাহহ ভাইয়ার সাথে। আসলে ভাইয়া তো তিন বছর বাসায় নেই তাই সবাই ওর এনার্জির বিষয় টা ভুলে গেছে সাথে তোর ওহ।

_ রিমি তুই ও চল।

_ খাচ্ছি আমি , আর মাশরুম আমার ফেবরেট।
প্লিজ জানু আমাকে যেতে জোর করিস নাহহ।

ফারহান শ্বাস ফেলে এগিয়ে গেল। সবার জোড়াজোড়ি তে ফারাবি ফারহানের পেছনে আসা শুরু করলো।
সবার দৃষ্টির আড়াল হতেই ফারহান ফারাবি কে টেনে সাইটে নিয়ে গেল।
ফারাবি হাত মুচরাতে মুচরাতে বলল
_ ছাড়ুন।

_ কেন ? আশে পাশে ভালো লাগছিল ?
ড্যাপ ড্যাপ করে তোর দিকে তাকিয়ে ছিলো দুটো ছেলে।

ফারাবি অবাক হয়ে বলল
_ তো আমি কি করতাম ?

ফারহান নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করে বলল
_ চুপপ আর একটা কথা ও নাহহ।

ফারাবি নুইয়ে গেল , ফারহানের প্রতি টা কথাই যেন ফারাবির উপর দ্বিগুন এফেক্ট ফেলে।
ফারহান মৃদু হেসে ফারাবির কপালে আঁচড়ে পরা চুল গুলো কানের পিঠে গুঁজে দিয়ে বলল
_ চল , আমরা একসাথে ডিনার করবো।
ইউ নো জান কত শত রাত আমি একা কাটিয়ে ছি এবার তো আর বলেই ফারহান ডেভিল স্মাইল দিলো।

ফারাবি শুকনো ঢোক গিলে বলল
_ কিহহ

_ কিছু নাহহ চল এবার।
ক্ষিদে পেয়েছে খুব , যখন তখন তোর উপর এটার্ক করে দিতে পারি।

ফারহানের কথা টা ফারাবির বোধগম্য হলো নাহহ।
ফারাবি বির বির করতে লাগলো।
এ কোন ছাগল তার জীবনে চলে এসেছে কে জানে।
জীবনের সুখ গুলো বোধহয় ত্যানা ত্যানা হয়ে গেল।
যেমন টা হয়েছিল তিন বছর আগে।
ভাবতেই ফারাবির শরীরে কাঁটা দিচ্ছে।
একটা ভুলের এতো বড় শাস্তি দিয়েছিল ফারহান, সামনে যা হতে চলেছে তার জন্য কি শাস্তি পেতে হবে ওকে ?
ফারাবা শুকনো ঢোক গিলে নিলো।
হঠাৎ ই এক ঠান্ডা বাতাস এসে এলোমেলো করে দিলো সব।
ফারাবির বুকের ভেতর থেকে দীর্ঘশ্বাস আর ঘৃনা বের হলো।
যার কারন শুধু মাত্র ফারহান।
ফারাবির চোখ দুটো ছলছল করে উঠলো।
ছুটে চলে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে তার কিন্তু ফারহান নামের অভিশাপ তাকে জড়িয়ে আছে।
এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপায় ফারাবির জানা নেই।

*

সামনে খাবার সাজানো রয়েছে , পেটে ইঁদুর খেললে ও
ফারাবি চুপ করে বসে আছে।
ফারহান কোথাও একটা গিয়েছে।
বাগানের পেছনের দিকটায় ছোট্ট টেবিল টা কে লাইটিং আর আর্টিফিশিয়াল ফুলের জন্য অসাধারন দেখাচ্ছে।
পুরো candel light ডিনার শুধু অনুপস্থিত ক্যান্ডেল এর।
ফারাবি ভারী নিশ্বাস ফেলল , পরিবেশ টা কেমন শান্ত দেখাচ্ছে।
সবাই হয়তো অতিথি দের বিদায় জানাতে ব্যস্ত।

ফুল নিয়ে হাজির হয়েছে ফারহান।
ফারাবি কে ভাবলেশহীনভাবে ভাবতে দেখে অধর কোনে হাসি ফুটিয়ে নিলো ফারহান।
টেবিলের সাইটে ফুল গুলো রেখে মিনমিনিয়ে বলল
_ কিসের অভাব বোধ করছিস ?

ফারাবি আনমনে উত্তর দিলো
_ ক্যান্ডেলের।

_ আচ্ছা তাহলে সেটা ও হয়ে যাক।

ফারাবি সামান্য ভ্রু কুঁচকে পেছন ঘুরে তাকালো।
ফারহান কে দেখে চমকে উঠলো।
এতোক্ষন ধ্যানের মাঝে ছিলো সে।ফারহান হাসতে হাসতে চেয়ার টেনে বসলো।
ফারাবি বিরক্তিকর শব্দ করে ফিস ফিসিয়ে বলল
_ যত্তসব।

ফারহান ভ্রু কুঁচকালো, ফারাবির অধরের নড়াচড়া দেখে ই ফারহান বলে দিতে পারে ফারাবি কি বলছে।
ফারহান সামান্য জড়োসড়ো হয়ে বসলো।
ফারাবি এখনো গালে হাত দিয়ে অন্য দিকে ফিরে আছে।
ফারহান গম্ভীর গলায় বলল
_ গালে হাত দেওয়া মন খারাপের লক্ষন ।
তবে কারো জামাই মরে গিয়ে থাকলে সে দিতেই পারে।

ফারাবির কানে কথা টা পৌছাতেই ফারাবি দু গালে হাত দিয়ে বসে রইলো।
ফারহান হতচকিয়ে বলল
_ দু গালে হাত দিয়েছিস ইউ মিন

ফারহান কে আর বলতে না দিয়েই ফারাবি হাত নামিয়ে নিলো।
ব্যস্ত কন্ঠে বলল
_ আমার ক্ষিদে পেয়েছে।

ফারহান নরম দৃষ্টি রেখে বলল
_ একটু ওয়েট।

ফারাবি মুখ গোমড়া করে বসে রইলো।
ফারহান বুক পকেট থেকে লাইটার বের করে মোম জ্বালিয়ে নিলো।
ফারাবি সামান্য চমকে তাকালো।
কেউ এসে পরলে কি ভাববে ?
ফারহান মিষ্টি হেসে বলল
_ সবাই অতিথি সেবাতে ব্যস্ত।

ফারাবি মুখ বাঁকালো, মনে মনে কিছু ভাবা ও যায় নাহ।
এই মনো বিজ্ঞানী সব জেনে যায়।
ফারাবি চরম বিরক্ত হচ্ছে।

ফারহান মৃদু স্বরে আবেগ ঝরা কন্ঠে বলল
_ ফারাবি একটু তাকাবি প্লিজ।

মুহুর্তেই ফারাবির চোখ জ্বলজ্বল করে উঠলো।
অধর কোনে ফুটে উঠলো খুশির ঝলকানি। কেন হাসলো ফারাবি তা জানে নাহহহ । তবে হঠাৎ ই মনের কোনে ভালো লাগা কাজ করছে ।
ঝরা হেসে ফারাবি তাকালো , ফারহান নেশাক্ত চোখে তাকিয়ে রইলো।
ফারাবির চোখ ফারহানের দিকে যেতেই ফারাবির অন্তর আত্মা কেঁপে উঠলো।
মোমের নরম আলোতে ফারহানে চোখ দুটো স্পষ্ট।
কি আশ্চর্য এ চোখের ভাষা মুহুর্তেই পড়ে নিলো ফারাবি।
বুকের ভেতর ধিম ধিম করতে লাগলো।
ফারাবি অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো।
দু হাতে চেয়ার চেপে ধরলো। বুকের ভেতর কেউ যেন ঢোল বাজাচ্ছে, ফারাবি ধাতস্থ হতে করুন স্বরে বলল
_ কিছু বলবেন ?

ফারাবির ভয়ার্ত কন্ঠে ফারহানের ধ্যান ভাঙ্গলো।
ফারহান সরস হেসে বলল
_ নাহহ তেমন কিছু নাহহ।

হঠাৎ কেন জানি ফারাবির লজ্জা লাগছিলো।
এক রাশ লজ্জা নিয়ে টেবিলের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো।
টেবিলে রাখা অর্কিড আর কালো গোলাপ দেখে ফারাবি লাফিয়ে উঠলো।
ভুলে গেল তার সামনে থাকা মানুষ টির কথা।
ভুলে গেল অতীতের বিষাক্ত স্মৃতি।
ফুল গুলো বুকে নিয়ে চোখ বন্ধ করে শ্বাস নিলো ফারাবি।

ফারহান উজ্জ্বল হাসলো , ফারাবির বাচ্চামি গুলো এখনো আগের মতোই রয়ে গেছে।
ফারাবি সব কিছু ভুলে ফারহানের দিকে তাকিয়ে ঝরা হাসলো।
হালকা সুবাস নিয়ে বলল
_ থ্যাংস ফারহান ভাইয়া।
আপনার মনে আছে আমার পছন্দের কথা ?

ফারহান মিষ্টি হেসে বলল
_ খুশি হয়েছিস তুই ?

_ খুব খুব

আর বলতে পারলো না ফারাবি।
মূহুর্তেই কালো বর্ন হয়ে গেল তার মুখ। বিষাক্ততা ভর করে নিলো এই সুন্দর মূহুর্তে।
ফুলের প্রতি ঝোঁক বরাবর ই বেশি তাই সব কিছু ভুলে গিয়েছিলো ওহহ।
ফারহান মলিন হাসলো, ফারাবির ক্লান্ত মুখোশ্রি ফারহান কে কাঁপিয়ে তুলছে।

চার দিকের ঝকমকে আলো গুলো যেন বিলীন হয়ে গেছে।
ফারহান পরিস্থিতি ঠিক করতে গম্ভীর গলাতে বলল
_ খাবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে কখন খাবি ?

ফারাবি কথা না বাড়িয়ে খাওয়া শুরু করলো।
ফারহান দীর্ঘশ্বাস ফেলে খেতে লাগলো।

খাওয়া শেষ করে ফারাবি উঠে যাচ্ছিলো।
ফারহান রসালো গলায় বলল
_ দাঁড়িয়ে যাহহ একটা জিনিস আছে।

ফারাবি অন্য দিক ফিরে বলল
_ আমার প্রয়োজন নেই।

ফারহান ভ্রু কুঁচকে বলল
_ তোর প্রয়োজনের কথা বলেছি আমি ?

ফারাবি তাচ্ছিল্য হাসলো। লাইটের আলো তে সে হাসি ফারহান স্পষ্ট দেখতে পেল।
মুহুর্তেই ফারহানের বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসলো ।
অপরাধবোধ কাজ করছে তার , পরক্ষণেই ফিচেল হাসলো ফারহান।
অন্যায় ছিলো নাহ সেটা, সঠিক ছিলো সেটা। যে দহনে জ্বলছে ওহহহ সে দহনে ফারাবি কে জ্বলতে হবে।
প্রেমাগুনে পুরেই তো ভালোবাসা খাঁটি হয়।

ফারহান খাওয়া শেষ করে উঠে দাঁড়ালো।
ফারাবির ওড়না টেনে হাত মুছতে লাগলো।
ফারাবি বাজ খাই গলাতে বলল
_ কি করছেন এটা ?

ফারহান ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলল
_ তোর সমস্যা কি আমি তো আমার

ফারহান কে থামিয়ে দিলো ফারাবি।
তিক্ত মেজাজ হচ্ছে তার , কিন্তু ফারহানের সামনে তার কোনো রেশ ই নেই।
ফারাবি তাচ্ছিল্য হেসে আমুদে গলাতে বলল
_ আপনার কোন প্রানের জিনিস যেন আছে, দেখান আর না হলে আমি যাই।

ফারহান বাঁকা হাসলো । পকেট থেকে স্বচ্ছ কাঁচের ছোট্ট দুটো কাপল পুতুল বের করে ফারাবির মুখের কাছে ধরলো।
পুতুল দুটো কে কাঁচের মনে হলে ও এগুলো কাঁচের নয়।
এগুলো সমুদ্রের দামি পাথর ঘষে বানানো।
সচরাচর এগুলো পাওয়া যায় নাহহ।
সাধারনত অর্ডার করা হলেই বানানো হয় এগুলো।
রেয়ার খুব, তবে দুই নম্বর ও পাওয়া যায় অতি স্বল্পমূল্যে।
মোমের সূক্ষ্ম আলোতে পুতুল দুটো চক চক করছে সাথে ফারাবির চোখ ও।

বহু দিন আগে ফারাবি এ পুতুল গুলো ইন্টারনেট এ দেখেছিলো।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিডি তে এগুলোর আমদানী নেই তাই আর কেনা হয় নি।
ফারাবি হাত বাড়িয়ে পুতুল নিতে যেতেই ফারহান হাত সরিয়ে নিলো।

ফারাবি মুখ গোমড়া করে নিলো।
ফারহান ঝরা হেসে বলল
_ এটা নেওয়ার জন্য তোকে একটা কাজ করতে হবে।

ফারাবি নম্র স্বরে বলল
_ কিহহ

ফারহান ধীর গতিতে ফারাবির কাছে আসলো।
ফারাবির মুখে ফু দিতেই ফারাবি আবেশে চোখ বন্ধ করে নিলো।
মৃদু হাসলো ফারহান , ফারাবির কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল
_ কিস মি

ফারাবি দমকা হাওয়ার মতো চোখ খুলে নিলো , অস্ফুটন স্বরে বলল
_ হোয়াট

ফারহান ফিচেল হাসলো , দম্ভ গলাতে বলল
_ কোনো সমস্যা ?

ফারাবি চোখ ঘুরিয়ে হালকা হাসলো।
ফারহান ভ্রু কুঁচকালো, ফারাবি ফারহানের হাতের দিকে তাকিয়ে বলল
_ আপনার বা হাতে ঐ টা কি ?

ফারহান অন্যমনস্ক হয়ে বলল
_ কোথায় কিহহ ?

সেই সুযোগে ফারহানের ডান হাত থেকে ছোট্ট পুতুলের জোড়া টান মেরে নিলো ফারাবি।
ফারহান কিছু বুঝার আগেই ভো দৌড়।
ফারহান আহাম্মকের মতো তাকিয়ে রইলো।
ফারাবি হাসতে হাসতে দৌড়াতে লাগলো।
ফারহান বাজ খাই গলাতে বলল
_ ফারাবি এটা চিটিং ছিলো। এর জন্য তোকে পানিস পেতে হবে।

ফারহানের কোনো কথাই ফারাবির কানে গেল নাহহ। পুতুল হাতে ছুটতে লাগলো সে।
ফারহান মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে রইলো। চাঁদের নরম আলোতে ফারাবি কে চাতক পাখি মনে হচ্ছে।
ফারহানের মন জুড়ে অদ্ভুত প্রশান্তি বয়ে গেল। মেয়ে টার হাসি মুখ টা দেখার জন্য মরতে পারে সে বারংবার ।
প্রেয়সীর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য প্রেমাগুনে চোখ বুজে পা রাখতে রাজি।
তবু ও প্রেয়সী কে হারাতে রাজি নয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here