হলুদ খামের চিরকুট পর্ব ১৫

#হলুদ_খামের_চিরকুট
১৫
.
অর্থী আলভীর দিকে তাকালে আলভী অর্থীর কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে বললো,
– শুভ জন্মদিন অর্থী।
অর্থী কিছুক্ষণ আলভীর দিকে তাকিয়ে থেকে আবার উল্টো পাশে ঘুরে ঘুমিয়ে পড়লো।
আলভী আবার ডাকলো , অর্থী সাড়া দিলো না। আলভী এবার কোলে করে নিয়ে কেক এর টেবিলের সামনে দাড় করিয়ে দিলো। অর্থী ঘুমের ঘোরেই ছিলো তাই আলভী নিজের বুকের সাথে অর্থীকে শক্ত করে ধরে রেখে একটু ঝাকুনি দিতেই অর্থী চোখ খুলে দেখে চারিদিকে মোমবাতি জ্বলছে আর তার সামনে কেক যাতে লেখা

অর্থীর এতক্ষণ খেয়ালই ছিল না যে আলভী তার কোমড় জড়িয়ে ধরে আছে। অর্থী আলভীর হাতদুটো তার কোমড় থেকে সড়িয়ে দিয়ে আলভীর দিকে ঘুরে দাড়ালো।
আলভী অর্থীর এলোমেলো চুলগুলো হাত দিয়ে আরও এলোমেলো করে দিয়ে বললো,
– এভাবে কি দেখছো, আসো কেক কাটো। এই বলে আলভী অর্থীর হাত ধরে কেক কাটছে আর অর্থী অবাক হয়ে আলভীর দিকে তাকিয়ে আছে। অর্থী কিছুটা ঘোরের মধ্যে আলভী কে দেখছে।
আলভী কেক নিয়ে অর্থীর মুখের সামনে ধরলো। অর্থী আলভীর দিকে তাকিয়ে আছে।
– কি হলো নাও,
অর্থী আলভীর দিকে তাকিয়েই আনমনে কেক মুখে নিতেই আলভীর আঙুলে কামড় দিলো।
– আউউচ,
অর্থী আলভীর আঙুলটা ধরে বললো,
– সরি আমি খেয়াল করি নি। আপনার কি খুব লেগেছে??
অর্থী কথাগুলো এমনভাবে বললো যেনো সে কোন অপরাধ করেছে। আলভী অর্থীর চেহারা দেখে হেসে দিয়ে বলল,
– নাহ, একটুও লাগেনি। আমাকে কেক খাইয়ে দিবে না?
অর্থী আলভীর কথার কোন উত্তর না দিয়ে বললো,
– কেন করছেন এসব? কি জন্য করছেন??
আলভী অর্থীর কথা শুনে অবাক চোখে অর্থীর দিকে তাকালো। অর্থীর চোখ ছলছল করছে।
– কেন করছেন এসব?? এসব করে কি বুঝাতে চাইছেন আপনি?? আপনি এটাই বুঝাতে চাইছেন যে আপনি আমাকে ভালোবাসেন?? আপনি তো আমাকে ভালোবাসেন না, আপনি ঐ চিরকুটের আড়ালের ঐ মেয়েটাকে ভালোবাসেন আমাকে না। আমি আপনার জীবনে এসেছিলাম অপরিচিত কেউ হয়ে আমি এখনও অপরিচিতই রয়ে আছি। আপনি শুধু চিরকুটের আড়ালের মেয়েটার পরিচয় জানতে পেরে আমাকে আপন করে নিতে চাইছেন। ঐ চিরকুট টাকে বাদ দিলে আমার কোন মূল্যই নেই আপনার কাছে। শুধুমাত্র একটা চিরকুটকে ভিত্তি করে ভালোবাসা যায় না। আপনি এতবছর থেকে মরিচিকার পিছনে ছুটে চলেছেন। আপনি এখনও সেই জায়গাতেই আটকে আছেন। চিরকুটের সেই মেয়েটা আমি তাই আপনি আমার কাছে ছুটে এসেছেন। সেই মেয়েটা অন্য কেউ হলে আপনি তার কাছে ছুটে যেতেন। আপনার কাছে আমি কেউই ছিলাম না, চিরকুটটাকে বাদ দিলে আমি কেউই না আপনার জন্য।

আলভী কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না। শুধু অবাক হয়ে অর্থীর কথাগুলো শুনছে। অর্থীর চোখের পানি টলমল করছে।
– আপনার সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিয়েছি এবং আমি এই সিদ্ধান্তে অটল থাকতে চাই প্লিজ মুক্তি দিন আমাকে। আমি আর পারছি না, হাপিয়ে উঠেছি আমি। ডিভোর্স চাই আমার।

আলভী ডিভোর্স এর কথা শুনতেই সাথে সাথেই অর্থীর গালে একটা চড় মাড়লো। অর্থী টাল সামলাতে না পেরে পড়ে গেলো মেঝেতে।
– এই মেয়ে বেশি বুঝে গেছো তুমি তাই না। কিসের ডিভোর্স?? আর একবার ডিভোর্স এর কথা বললে হাত পা ভেঙে ঘরে রেখে দিবো।
আলভীর চোখ লাল হয়ে গেছে। রাগে কথাটাও যেনো বলতে পারছে না। সে অর্থীর দিকে না তাকিয়েই রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। তারপর বাইক নিয়ে বাসা থেকেই বেরিয়ে গেলো।
অর্থী মেঝেতে পড়ে ছিলো। চোখ দিয়ে অশ্রু ফোটা গড়িয়ে পড়ছে। এরপর ধীরপায়ে উঠে শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে ভিজতে ভিজতে চিৎকার করে কেদে উঠলো।
আলভীর প্রতি এই কয়দিনে মায়া জন্মেছে অর্থীর। হয়তো মায়ার থেকেও বেশিকিছু। কিন্তু অর্থী কখনো এমন ভালোবাসা চায় নি। আলভী হয়তো ভালোবাসে অর্থীকে কিন্তু সেই ভালোবাসাটা ব্যাক্তিত্বহীন ভালোবাসা। পারবে না অর্থী এভাবে এই ভালোবাসাটা মেনে নিতে।
.
আলভী অনেকটা পথ চলে এসেছে তার চোখগুলো রক্ত বর্ন ধারন করছে। রাগে ফুসছে সে। বাইক একটা দোকানের পাশে দাড় করিয়ে নেমে সজোরে একটা গাছে ঘুসি মারলো। কিছুতেই রাগ কমছে না তার কিভাবে অর্থী মুক্তির কথা বললো ‌‌!!! এতোই তাড়া তার আলভীর কাছ থেকে রেহাই পাওয়ার, দিবে না মুক্তি দরকার পড়লে বেধে রেখে রুমের মধ্যে তবুও মুক্তি দেবে না। তারপরেই অর্থীকে চড় মারার কথা মনে হতেই আরও জোরে জোরে গাছে ঘুসি মারতে লাগলো। কি করলো এটা সে, অর্থীর গায়ে হাত তুললো

রাত অনেক হয়েছে , পাশের দোকান খোলাই ছিলো। সেখানে দুজন লোক বসে সিগারেট টানছে। আলভী কখনো সিগারেট খায় নি বা অন্য যে কোন কিছুতেই তার নেশা নেই। সেদিন রাগ করে ড্রিঙ্ক করেছিলো। আজ হঠাৎই তার সিগারেট টানতে ইচ্ছে করছে।

একটার পর একটা সিগারেট ধরাচ্ছে সে আর চোখ বন্ধ করে অর্থীর কথাগুলো ভাবছে। সত্যি ই তো, যদি আলভী জানতে না পারতো যে অর্থীই সেই মেয়ে তাহলে তো সে অর্থী কে ডিভোর্স দিয়ে দিতো। শুধুমাত্র একটি কাগজের চিরকুটের কারনে এক মুহূর্তে অর্থীর প্রতি টান, মায়া, ভালোবাসা চলে আসতে পারে না।
এসব ভাবতে ভাবতেই বআইক নিয়ে বাসার উদ্দেশে রওনা দিলো।
.
রুমে এসে দেখে রুমে কেউ নেই, বাথরুম থেকে শাওয়ার এর শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আলভী একবার ভাবলো অর্থীকে ডাকবে তার পরে না ডেকে বারান্দায় গিয়ে দাড়ালো। কিছুক্ষণ পায়চারি করে রুমে এসে বিছানায় বসলো, বিছানার উপর ওপেন করা ল্যাপটপ এর দিকে তাকিয়ে ল্যাপটপ অফ করতে গিয়ে মেইল টা দেখতে পেলো। পর মুহূর্তে বুঝতে পারলো অর্থী কেন এমন অদ্ভুত আচরণ করছে। আলভী ল্যাপটপ অফ করে বসে রইলো। কিন্তু আলভী আসার অনেক্ষণ হয়ে গেছে কিন্তু অর্থী এখনো বাথরুম থেকে বের হচ্ছে না। আলভী গিয়ে বাথরুমের দরজায় ধাক্কা দিলো আর অর্থীকে ডাকতে লাগলো। ভিতর থেকে কোন সাড়া না পেয়ে আলভীর বুকটা মোচড় দিয়ে উঠলো ভয়ে। অনেক্ষণ দরজায় ধাক্কা ও নিজের সর্বশক্তি দিয়ে দরজায় ধাক্কা দিলেই দরজা খুলে গেলো।
ভিতরে ঢুকে দেখে অর্থী শাওয়ারের নিচে মেঝেতে পড়ে আছে। অর্থীর কাছে গিয়ে অর্থীকে কোলে নিতেই শাওয়ারের পানিতে আলভীও খানিকটা ভিজে গেলো।
আলভী কি করবে বুঝতে পারছে না। পানিতে ভিজে ঠান্ডায় অর্থীর মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। পুরো শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে, ঠোঁট দু’টো ফিকে হয়ে গেছে। শরীরে ভিজা কাপড় গায়ের সাথে লেগে আছে।
কি করবে আলভী এভাবে থাকলে আরও ঠান্ডা লাগবে। তারপর আলভী কিছু না ভেবে রুমের লাইট অফ করে অর্থীর ভিজে কাপড় ধীরে ধীরে খুলতে লাগলো। লাইট অফ করে দিলো এই ভেবে যদি অর্থীকে এই অবস্থায় দেখে সে নিজেকে সামলে নিতে না পারে। কাপা কাপা হাতে অর্থীর গায়ের কাপড় খুলে কাপড় পড়িয়ে দিলো। আলভীর হাত কাপছিলো অজানা শিহরনে।
অর্থীর শরীরেএ কাপড় বদলিয়ে দিয়ে লাইট অন করে অর্থীর দিকে তাকালো । ঠান্ডায় জড়সড় হয়ে শুয়ে আছে অর্থী। আলভী অর্থীর গায়ে চাদর দিয়ে দিলো। কিছুক্ষণ অর্থীর দিকে নেশা লাগানো চোখে তাকিয়ে রইলো তারপর আচমকাই অর্থীর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট মিলিয়ে দিলো। পাগলের মতো চুমু খেতে লাগলো।
অর্থীর গলায় ঘাড়ে ঠোঁটে এলোপাথাড়ি চুমু দিতে লাগলো। অর্থীও ঘুমের ঘোরেই আলভীর শার্ট খামচে ধরলো।
আলভীর হউস হতেই সে অর্থীকে ছেড়ে উঠতে নিলে অর্থী তার শার্ট খামচে ধরছে আর বিড়বিড় করে বলছে,
– তুমি এভাবে আমাকে আদর না করে যেতে পারো না। তুমি আমাকে একটুও আদর করো না।
আলভী অর্থীর কপালে আলতো করে একটা চুমু দিয়ে বললো,
– এখন না, যখন তুমি আমাকে মন থেকে মেনে নিবে তখন তোমাকে অনেক অনেক আদর দিবো।
এই বলে অর্থীর হাত নিজের শার্ট থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো।
কি করতে যাচ্ছিলো সে, নিজের কাছে নিজেকে অপরাধী লাগছে তার। যদিও অর্থীর নিজের করে নেওয়ার পুরো অধিকার তার আছে। কিন্তু এভাবে অর্থীকে আপন করতে চাইলে অর্থী কখনো ক্ষমা করবে না তাকে। এমনিতেই তাদের সম্পর্ক এর মাঝে অনেক বাধা অনেক দেয়াল আছে। অনেক কষ্ট দিয়েছে সে মেয়েটাকে ।
আলভী ভাবছে অর্থীকে একটু সময় দেওয়া দরকার তাকে বুঝার জন্য।
কিছুক্ষণ বাইরে থেকে আবার রুমে এলো। অর্থী ছোট বাচ্চাদের মতো গুটিসুটি মেরে ঘুমিয়ে আছে। চাদরটা ভালোভাবে তার গায়ে দিয়ে অর্থীর পাশে বসে তার দিকে তাকিয়ে রইলো।
.
অনেক সকালে ঘুম ভাঙে অর্থীর। হাতের উপর চাপ অনুভব করে। চোখ খুলে দেখে আলভী তার হাতের উপর শুয়ে আছে। আলভীর দিকে তাকিয়ে রইলো সে, এর আগেও আলভীর ঘুমন্ত চেহারাটা কয়েক বার দেখেছে অর্থী। অনেক মায়া কাজ করে আলভীর ঐ ঘুমন্ত চেহারায়। আলভী একটু নড়ে উঠলে অর্থী চোখ বন্ধ করে ফেলে।
আড়মোড়া ভেঙ্গে আলভী চোখ খুলে দেখে অর্থী খুব শান্তভাবে ঘুমিয়ে আছে। আলভী আলতো করে অর্থীর কপালে একটা চুমু দিয়ে বলে,
– অনেক ভালোবেসে ফেলেছি তোমায়। কালই উপলব্ধি করতে পারলাম তোমার প্রতি এই ভালোবাসাটা চিরকুটের জন্য নয় তোমার সাথে ঝগড়া একসাথে এতটা দিন থাকা কখন যে তোমার উপর মায়া জন্মে গেছে আমি নিজেও জানি না। বিশ্বাস করো চিরকুটের আড়ালের মেয়েটা তুমি না হয়ে অন্য কেউ হলেও আমি মেনে নিতে পারতাম না। আমি তোমাকে কখনো ছাড়তে পারবো না। কখনো না।
আলভী এসব বলছে আর অর্থীর গালে হাত দিয়ে দেখলো অর্থীর গালটা এখনো সামান্য লাল হয়ে আছে। সেখানে আলতো করে চুমু দিয়ে আলভী উঠে গেলো।
অর্থী কিছুক্ষণ পর চোখ খুলে দেখে আলভী নেই। অর্থী এতক্ষণ মুগ্ধ হয়ে আলভীর কথাগুলো শুনছিলো। সত্যিই কি আলভী তাকে ভালোবাসে,।
অর্থী ধীর পায়ে উঠে বারান্দার দিকে এগোতে থাকে। আলভী কে দেখে এক দৌড়ে বারান্দায় গিয়ে
– কি করছেন কি আপনি পাগল হয়ে গেছেন নাকি?
আলভী এতক্ষণ দেয়ালের মধ্যে বারি দিয়ে নিজের হাতকে আঘাত করছিলো।
– এই হাত দিয়ে তোমাকে মেরেছি। খুব কষ্ট পেয়েছ তাই না তুমি।
অর্থী আলভীর কথা না শুনে আলভীর হাত ধরে কাদছে। তারপর আলভী যে টেনে এনে বিছানায় বসিয়ে ফার্স্ট এইড বক্স এনে হাতে ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছে।
– এই কেদো না প্লিজ। আমি সত্যি কাল তোমাকে মারতে চাই নি। বিশ্বাস করো আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই নি।
অর্থী কাদতে কাদতে রাগী স্বরে বললো,
– তোমার মতো ছাগল আমি দুইটা দেখি নি। এভাবে কেউ নিজের হাতে নিজেই আঘাত করে।
– এয়্য্য্য্য্য্য, তুমি আমাকে আবার ছাগল বললা।
– চুপ একদম চুপ, ছাগলকে ছাগল বলবো নাতো কি বলবো। খুব ভালো লাগে না আমাকে কষ্ট দিতে তাই না। এখন নিজেকে আঘাত করে আমাকে কষ্ট দিতে খুব ভালো লাগছে তাই না।
আলভী কিছু না বলে বাম হাত দিয়ে অর্থীর চোখ মুছে দিয়ে অর্থীকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বললো,
– নিজেকে আঘাত না করলে তো কখনো বুঝতেই পারতাম না এই বাচ্চা মেয়েটা আমায় এতো ভালোবাসে।
অর্থী আলভীর বুক থেকে মাথা উঠিয়ে বললো,
– কি বললেন আমি বাচ্চা মেয়ে!!!😠
– নাহ, তুমি কেনো বাচ্চা হবে। তুমি তো হবে আমার বাচ্চার মা।
এই বলে আলভী চোখ টিপ মারলো। অর্থী লজ্জা পেয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে এলো।
– আরে কোথায় যাচ্ছো……
.
কলিংবেল এর শব্দে অর্থী গিয়ে দরজা খুলে দিতেই দেখে কাজের মহিলা দাড়িয়ে আছে।
– কি ব্যাপার চাচী আজ এতো দেরী যে?
– আসলে অর্থীমনি আমার ছোট ছেলেটার জ্বর ছি……
কাজের মহিলা অর্থীর দিকে লক্ষ করে চুপ হয়ে গেলো। আলভী ও ততক্ষণে রুম থেকে বেড়িয়ে এসেছে।
অর্থী ভাবছে চাচি এভাবে কি দেখছে আমাকে। কাজের মহিলা আলভী কে পিছনে দেখতে পেয়ে চুপ করে মাথা নিচু করে নাস্তা তৈরী করার কথা বলে রান্নাঘরে চলে গেলো।
অর্থী কিছুই বুঝতে পারলো না, আলভীর দিকে তাকিয়ে দেখে কেমন জানি মিটমিটিয়ে হাসছে। অর্থী কিছুই বুঝলো না। অর্থী রুমে এসে চুল ঠিক করার জন্য আয়নার সামনে দাড়াতেই নিজেকে দেখে যেনো বিষম খেলো।
তার পড়নের জামা উলটা করে পড়া, কামিজের সামনের টা পিছনে আর পিছনের চেইনের অংশ সামনে পড়েছে। আলভী ও অর্থীর পিছনে পিছনে রুমে ঢুকেছে। অর্থীকে এভাবে আয়নার সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখে বললো,
– আসলে অন্ধকারে কিভাবে জামাটা পড়িয়ে দিয়েছি খেয়াল করি নি।
অর্থী আলভীর কথা শুনে ঘুরে তাকিয়ে আলভী কে দেখে এক দৌড়ে বাথরুমে ঢুকে গেলো।
.
(চলবে)
.
লেখা – ইশিতা মানহা ইচ্ছে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here