হলুদ খামের চিরকুট পর্ব ১৬(শেষ)

#হলুদ_খামের_চিরকুট
১৬(অন্তিম পর্ব)
.
অর্থীকে এভাবে আয়নার সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখে বললো,
– আসলে অন্ধকারে কিভাবে জামাটা পড়িয়ে দিয়েছি খেয়াল করি নি।
অর্থী আলভীর কথা শুনে ঘুরে তাকিয়ে আলভী কে দেখে এক দৌড়ে বাথরুমে ঢুকে গেলো।
.
অর্থী এমনিতেই নিজেকে এই অবস্থায় দেখে লজ্জায় জমে যাচ্ছে যেনো তার উপর আলভীর এমন কথায় যেনও হার্ট এটাক হওয়ার উপক্রম। না জানি চাচি তাকে এই অবস্থায় দেখে কি না কি ভেবে বসে আছে। নাহ আজ না সে আলভীর সামনে যাবে, না যাবে চাচীর সামনে।
চাচীর সামনে এতটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে কে জানতো আর উনিও কেমন নির্লজ্জ এর মতো হাসছিল, ছাগল একটা।

অর্থী অনেক্ষণ বাথরুমে বসে ছিলো। তারপর বাথরুমের গেট খুলে আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো আলভী আছে কি না। আলভী কে না দেখতে পেয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে এলো।

ভিজে কাপড় গুলো মেঝেতেই ছিলো। সেগুলো তুলে পিছনে ঘুরতেই দেখে আলভী দাড়িয়ে। কোনরকম করে নিচের দিকে তাকিয়ে আলভীর পাশ কাটিয়ে আসতে যাবে তখনই আলভী পিছন থেকে অর্থীর হাত ধরে হেচকা টান দিলো। আর তাতেই অর্থী আলভীর বুকে হুমড়ি খেয়ে পড়লো।
– কোথায় যাচ্ছ এভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে?
– হাত ছাড়ুন আমার, ভেজা কাপড় গুলো মেলে দিতে হবে।
মেঝের দিকে তাকিয়েই কথাটা বললো অর্থী।
– এই তুমি কি লজ্জা পেয়েছ?
অর্থী এমনিতেই লজ্জায় শেষ তার উপর আবার আলভী জিজ্ঞেস করছে।
– তোমার গাল, নাক এমন লাল হয়ে যাচ্ছে কেনো।
এই বলে আলভী অর্থীর হাত ছেড়ে দিয়ে নাক ছুইয়ে দিতেই অর্থী দৌড়ে পালালো।
আলভীও হেসে বলে উঠলো, লজ্জাবতী।
.
আলভী খাবার টেবিলে বসে আছে। কিন্তু অর্থী এখনো আসে নি। চাচি এসে নাস্তা দিয়ে গেছে। অনেক্ষণ এভাবে বসে থাকার পর আলভী উঠে রুমে গেলো অর্থীকে ডাকার জন্য। গিয়ে দেখে অর্থী বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।
– তুমি এখানে দাড়িয়ে কি করছ? চলো খেতে চলো।
– উহু, আপনি যান। আমি পরে খেয়ে নেবো।
– পরে না এখনি চলো। কাল রাতেও খাওয়া করো নি।
এই বলে আলভী অর্থীর হাত ধরে নিয়ে যেতে লাগলো।
– আপনি বুঝছেন না, আপনি যান।। আমি চাচির সামনে যেতে পারবো না, চাচি কি না কি মনে করেছে। (বিড়বিড় করে)
– শুনো এতো বিড়বিড় করতে হবে না৷ আর চাচি যা মনে করার করুক না। তিনিও তো বিবাহিতা, এতে লজ্জার কি আছে। উনি ভাবলে ভাবুক যে আমাদের মাঝে…..
– আমাদের মাঝে কি হ্যা…. আমাদের মাঝে কিছুই হয় নি। আর আপনার লজ্জা শরম বলতে কিছু নেই নাকি।
– না নেই। বেচে দিয়ে এসেছি। এখন চলো তো। খিদের জালায় পেটে ইদুর দৌড়াচ্ছে।
– আপনার খিদে লাগলে আপনি যান আমি যাবো না নিচে।

আলভী আর কিছু না বলে অর্থীকে কোলে তুলে নিলো।
– আরে আরে করছেন কি। নামান আমাকে!!!
– ভালো ভাবে বললাম তোমার কানে গেলো না তাই বাধ্য হয়ে কোলেই তুলে নিতে হলো।
– প্লিজ নামান আমাকে।
– একটা কথাও বলবা না, চুপ করে থাকো। অর্থী বুঝলো রিকুয়েস্ট করে কিছুই হবে না তাই বললো,
– আচ্ছা ঠিক আছে, আপনি আমাকে কোল থেকে নামিয়ে দিন আমি হেটে যাচ্ছি। প্লিইইইজ
অর্থীর এভাবে বাচ্চাদের মতো করে প্লিজ বলাতে আলভী অর্থীকে কোল থেকে নামিয়ে দিলো।
.
খাওয়া শেষ করে রুমে আসার পর আলভী অর্থীকে বললো,
– আমার ব্যাগ এ একটা প্যাকেট আছে তোমার জন্য। আমি একটু বাইরে যাচ্ছি ফিরতে বিকেল হবে। আর হ্যাঁ, আন্টি ফোন করেছিল তোমার ফোন বন্ধ তাই আমাকে ফোন করেছিলেন। উনারা আজকেও আসতে পারবে না।
– কিহ আজকেও আসতে পারবে না।
– হুম তাই তো বললো।

আলভী বেরিয়ে গেলে অর্থী আলভীর ব্যাগ থেকে প্যাকেট টা বের করে দেখে তার ভিতরে ধূসর ও কালো খয়েরী রঙের কম্বিনেশন এর একটা শাড়ি। তার সাথে ম্যাচিং জুয়েলারি। অর্থীর খুব ভালো লাগলো শাড়িটা। শাড়িটা দেখে তার মনে হচ্ছে এটা তার গায়ে খুব মানাবে।
প্যাকেট এর ভিতরে একটা চিরকুট দেখতে পেলো। তাতে লেখা,
” তোমার একটা বিকেল দিবে আমার নামে, মায়াবতী ”
অর্থী নিজের অজান্তেই চিরকুট টা পড়ে হেসে উঠলো।

অর্থী তার ফোনটা অন করতেই সাথে সাথে মিফতার ফোন। রিসিভ করতেই,
– কিরে, কোন দেশে আছিস বলতো, সকাল থেকে ফোন করছি, ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে।
– ফোনটা বন্ধ হয়ে গেছিলো।
– ওহ্, শুভ জন্মদিন আলুর বউ।
– মিফতা😠
– হি হি হি। শুন আমি না কাল দাদু বাসায় এসেছি তাই তোদের বাসায় আজ যেতে পারবো না রে সরি। এই ভাইয়া কি তোর জন্য সারপ্রাইজ প্লান করেছিল কাল? ভাইয়ার সাথে কাল যখন কথা বলি তখন মনে হলো যে বোধহয়……
– এই শুন মা ফোন করেছে তোর সাথে পরে কথা বলছি।
ফোন রেখে দিয়ে অর্থী তার শাশুড়ি মা এর সাথে কথা বললো।
.
আজ অর্থীর কেন জানি অন্যরকম এক ফিলিংশ কাজ করছে মনের মধ্যে। নিজে নিজেই গুন গুন করে গান গাইছে। সময়টাও যেনো কাটছে না। বারবার আলভীর কথা ভেবে হাসছে।
বিকেল হয়ে এসেছে।
অর্থীর ফোনে মেসেজ এলো। “ম্যাম, শাড়িটা পড়ে তৈরী থাকুন”

অর্থী সাজছে, আজ মনের মতো সাজছে। সে যদিও সাজগোজ একদম পছন্দ করে না তবুও আজ হালকাভাবে সেজেছে। এতেই যেনো তার সৌন্দর্য্যতা চোখ ধাধিয়ে দিচ্ছে।
অর্থী রেডি হয়ে বসে আছে আলভীর অপেক্ষায়। কিছুক্ষণ পর দরজায় নক হতেই একদৌড়ে দরজা খুলে দেয় অর্থী। দরজার ওপাশে আলভী দাড়িয়ে ছিলো। অর্থীকে দেখে তার চোখ আটকে গেলো অর্থীর দিকে। কোন এক অপরূপা দাড়িয়ে আছে যেনো, যার রূপের ঝলকে আলভী যেনো সুদূরে বহুদূর হারিয়ে গেছে। প্রায় অনেক্ষণ অর্থীর দিকে তাকিয়ে রইলো আলভী। অর্থী আলভী কে ঝাকুনি দেওয়ায় যেনো তার ঘোর কাটে।
তবুও সে অর্থীর দিকেই ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো।
– এইযে শুনছেন….!!!
– হুম চলো
– আমরা কোথায় যাচ্ছি?
– তা গেলেই দেখতে পাবেন ম্যাম।
– হু বললে কি হবে (মিনমিনিয়ে)
এরপরে আলভী বাসা থেকে বেড়িয়ে রাস্তায় এসে রিক্সা ডাকতে লাগলো।
– আমরা বাইকে যাচ্ছি না??
– না, রিক্সায় যাচ্ছি। (বাইকে গেলে তোমার চেহারা টা তো দেখতেই পাবো না, মনে মনে বলছে আলভী। )
এরপরে তারা দুজনেই রিক্সায় বসলো। রিক্সার হুড নামিয়ে দেওয়া। রিক্সা চলছে আর আলভী অর্থীর দিকে তাকিয়ে আছে। অর্থীর চুল হাতখোপা করা। আলভী হাত বাড়িয়ে দিয়ে অর্থীর চুলের খোপা খুলে দিলো। সাথে সাথেই বাতাসে অর্থীর চুলগুলো এলোমেলো ভাবে উড়ছে। আর আলভী মুগ্ধ হয়ে অর্থীর দিকে তাকিয়ে আছে। অর্থী মাঝে মাঝে আলভীর দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছে আবার আলভীর চোখে চোখ পরতেই চোখ সড়িয়ে নিচ্ছে।
একসময় আলভী অর্থীর হাত ধরে নিজের হাতের আঙুলের ভাজে অর্থীর হাতের আঙুল ধরলো। অর্থী ধীরে ধীরে নিজের মাথা আলভীর কাধে রাখলো।

তাদের রিক্সা একটি রেস্টুরেন্টের সামনে থামলো। দুজনেই দুপুর থেকে কিছুই খায় নি। রেস্টুরেন্ট এ এসে দুজনে দুজনের সামনাসামনি বসেছে। ওয়েটার এসে অর্ডার নিয়ে গেছে। আলভী তার পা দিয়ে অর্থীর পায়ে টোকা দিচ্ছে। অর্থী রাগী চোখে আলভীর দিকে তাকাচ্ছে আর আলভী অর্থীর পায়ের উপর পা রেখে মুচকি মুচকি হাসছে।
যখন তাদের এই মিষ্টি খুনসুটি চলছিলো ঠিক তখনই কোথা থেকে একটি মেয়ে এসে তাদের টেবিলের সামনে দাড়িয়ে অর্থীকে উদ্দেশ্য করে বললো,
– হেই, তুমি ঐ মেয়েটা না???
অর্থী ও আলভী দুজনেই অবাক হয়ে মেয়েটির দিকে তাকালো।
– আমাকে বলছেন?
– ইয়াহ, হাউ কেন আই ফরগেট ইউ, তুমিই সেই মেয়ে ছিলে যে সবার সামনে সিয়ামকে চড় মেরেছিলে তোমাকে প্রপোজ করার জন্য। তার দুদিন পরেই আবার সিয়ামের প্রপোজাল এক্সেপ্ট করে একসাথে ফুচকা খেতে গিয়েছিলে। তারপর মেয়েটা আলভীর দিকে তাকিয়ে বললো,
ওহ, নতুন কাউকে পটিয়েছ নাকি। অবশ্য তোমার মতো মেয়েরা এগুলোই পারে।

অন্যসময় হলে অর্থী মেয়েটাকে এসব বলার জন্য চড় মেরে উচিৎ কথা শুনিয়ে দিতো। কিন্তু এখন সে আলভীর দিকে তাকিয়ে আছে, আলভী তার ব্যাপারে কি ভাবছে এটাই বোঝার চেষ্টা করছে।

মেয়েটা কথাগুলো বলেই চলে গেছে। আর আলভীর চেহারা শক্ত হয়ে আছে। তার চেহারায় স্পষ্ট রাগের ছাপ ফুটে উঠছে। অর্থী অসহায়ের মতো আলভীর দিকে তাকিয়ে আছে। গলা কাপছে তার, কিছু বলতে চাইছে কিন্তু কথা বের হচ্ছে না যেনো।
আলভী কিছু না বলে বসা থেকে উঠে দাড়িয়ে অর্থীর কাধের দিকে হাতটা খুব শক্ত করে ধরে টেনে বাইরে যাচ্ছে। এতটাই জোরে হাতটা ধরেছে যে অর্থী ব্যাথা লাগছে, কিন্তু সে কিছুই না বলে চুপচাপ আলভীর সাথে হাটতে লাগলো। তার চোখ দিয়ে না চাইতেও পানি বেরিয়ে আসছে, নিস্তব্ধ কান্না। আলভী কি তবে তাকে অবিশ্বাস করলো।
.
তারা রিক্সায় দুজনেই বসে আছে। দুজনেই চুপচাপ। অর্থী কাদছে আর আলভী চেহারা শক্ত করে বসে আছে।
বাসায় চলে এলো তারা। অর্থী বাসার ভিতর ঢুকতেই রুমের ভিতর ঢুকে বিছানায় মুখ গুজে কাদছে আর সেদিনের কথা ভাবছে,
সেদিন অর্থী সিয়ামকে চড় মেরেছিল, তাকে প্রপোজ করার জন্য নয় তার ওড়না ধরে টানার জন্য। এই ঘটনার দুদিন পর সিয়াম অর্থীর কাছে ক্ষমা চায়। অর্থী যখন ক্ষমা করে দেয় সিয়াম তখন বলে যে অর্থী যদি সিয়ামের সাথে ফুচকা খেতে যায় তাহলেই সে বুঝবে যে অর্থী তাকে মন থেকে ক্ষমা করেছে। তাই বাধ্যে হয়ে অর্থী সিয়ামের সাথে ফুচকা খেতে গিয়েছিলো।
অর্থী এসব ভাবছে আর বালিশে মুখ গুজিয়ে কাদছে।
.
রাত হয়ে গেছে অর্থী এখনো সেভাবেই কেদেই চলেছে। পিছন থেকে কেউ তার কাধে হাত রাখলো। অর্থী ঘুরে আলভী কে দেখে তার বুকে ঝাপিয়ে পড়ে হাউমাউ করে কেদে উঠলো। যেনো প্রিয় মানুষকে হারিয়ে ফেলে আবার ফিরে পেয়েছে।
আলভী অর্থীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো,
– হয়েছে, এবার তো চুপ করো। তোমার চোখের জল তো আমার সহ্য হয় না।
এরপর অর্থীর মুখহটা তুলে তার দুচোখে চুমু দিয়ে বললো,
– কি ভেবেছিলে , আমি ওই অপরিচিত মেয়েটার কপথআ বিশ্বাস করে তোমার থেকে দূরে যাবো।??
– আসলে আমি…..
– থাক তোমাকে কিছুই বলতে হবে না। সব শুনেছি আমি মিফতার আছে আগেই। আমার তো এটা ভেবে রাগ লাগছে। মেয়েটা এতো কিছু বলে গেলো তবুও তুমি প্রতিবাদ করলা না কেন? যাই হোক এখন যাও ফ্রেশ হয়ে চেঞ্জ করে নাও। কেদে কেদে তো চোখ ফুলিয়ে ফেলেছো।
এই বলে আলভী অর্থীর কপালে একটা চুমু দিয়ে অর্থীকে ছেড়ে দিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো।
অর্থী বাথরুমে গিয়ে শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে ভিজতে লাগলো। এভাবে কান্নাকাটি করে নিজের কাছেই অস্বস্তি লাগছিলো তাই শাওয়ার নিচ্ছে। শাওয়ার ছেড়ে কাপড় চেঞ্জ করতে যাবে তখনই তার খেয়াল হলো সেতো কাপড় না নিয়েই বাথরুমে ঢুকে পরেছে।
গায়ে তোয়ালে পেচিয়ে বাথরুমের দজা খুলে রুমের ভিতর উকি দিয়ে দেখে রুমে কেউ নেই। তাই বাথরুম থেকে বের হয়ে আলমারি খুলে কাপড় নিতে যাবে তখনই বিছানায় পড়ে থাকা আলভীর শার্ট এর দিকে চোখ গেলো যেগুলো আলভী পড়ে ছিলো। তারমানে আলভী কাপড় চেঞ্জ করেছে, কি মনে করে অর্থী আলভীর কাপড় হাতে নিয়ে নাকের কাছে ধরে তার শরীরের ঘ্রান নিতে লাগলো, মাতাল করা ঘ্রান।
.
আলভী খাবার প্লেট নিয়ে রুমে ঢুকে দেখে অর্থী নেই। প্লেট টা টেবিলে রেখে বারান্দায় যেতেই চোখ আটকে গেলো। অর্থী আলভীর খুলে রাখা কাপড় পড়ে দাড়িয়ে আছে। তার ভিজা চুল থেকে পানি গাড়িয়ে পড়ছে। কিছুক্ষণ এভাবেই তাকিয়ে থেকে আলভী পিছন থেকে অর্থীর কোমড় জড়িয়ে ধরে তার ভেজা চুলে মুখ গুজে দিলো । এরপর অর্থীর পরনের শার্টের কলারটা একটু সড়িয়ে অর্থীর গলায় একটা চুমু একে দিলো।
অর্থীকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিলো। তারপর অর্থীর কপালের সাথে নিজের কপাল ঠেকালো। অর্থী চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছিলো। আলভী অর্থীর কপালে আলতো করে নিজের ঠোঁট ছুইয়ে একটা চুমু দিয়ে বললো,
– চলো খাওয়া করবে। কিছুই তো খাও নি।
এই বলে আলভী চলে যেতে লাগলে অর্থী আলভীর হাত টেনে ধরে আলভীর পায়ের উপর পা ভর করে পা দুটো উচু করে আলভীর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ছোয়ালো। দুজনেই গভীরভাবে দুজনকে কাছে পেতে চাইছে।
.
সকালে অর্থীর ঘুম ভাঙলে নিজেকে আলভীর বাহুডোরে দেখে এক অজানা প্রশান্তি অনুভব করছে। আলভীর কপালে চুমু দিয়ে উঠতে নিলে আলভী আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
.
– অর্থী???
– হুম, ঐ চিরকুটের কথাগুলো কি সত্যিই তোমার ছিলো।
অর্থী বড় বড় চোখ করে আলভীর দিকে তাকালে, আলভী বললো,
– না মানে তাহলে আর একটা বউ পাওয়া যেতো আর কি!😜😜 এই বলে চোখ মারলো। আর অর্থী আলভীর বুকে এলোপাথাড়ি ঘুসি দিতে লাগলো। আর আলভী অর্থীকে আবার নিজের বাহুডোরে আবদ্ধ করে নিলো।
– ————–**💖সমাপ্ত 💖**———— –

লেখা – ইশিতা মানহা ইচ্ছে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here