হিয়ার মাঝে পর্ব -১৪

#হিয়ার_মাঝে
#পর্বঃ১৪
#আর্শিয়া_ইসলাম_উর্মি

২৯,
ওয়াশরুম থেকে চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বের হলো হিয়া। মাইগ্রেনের ব্যথা উঠা না তো যেনো জান-জীবন ওষ্ঠাগত হওয়া। একেবারে অসহনীয়। ঘুমের একটু এদিক সেদিক হলে শুরু হয় মাথা ব্যাথা, এরপর এটা মাইগ্রেনের দিকে না গিয়ে ভালো আর হবে না। হিয়া নিজেই নিজের ঘাড়ে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে চাপ দেয়। ঘাড়ের রগ মনে হচ্ছে ছিড়ে যাচ্ছে তার। বোনকে কফি দিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে, আনিকা রায়াকে বলেছে নাকি বলেনি! কে জানে। এখনও কফি নিয়ে আসছেনা যে রায়া। হিয়া বিছানায় চার হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে পরে। আজ আকাশ টা হালকা মেঘলা মেঘলা। গরম নেই তেমন, সেজন্য ফ্যান ছাড়েনি। ঘরের ছাদে স্থির ফ্যানের দিকেই তাকিয়ে আছে হিয়া। আচ্ছা রায়া যখন লুইস আর ভাইয়ার ব্যাপারটা জানতে পারবে, কি প্রতিক্রিয়া হবে রায়ার! হিয়া সেসব নিয়ে নিজের চিন্তাভাবনা আগালো না। চোখ বন্ধ করে নিলো।

” ম্যাম আপনার কফি৷”

ইহসাসের কন্ঠস্বর শুনে চট করে চোখ খুলে তাকায় রায়া। সে আশা করেনি কফি টা ইহসাস আনবে। সে উঠে বসে। ইহসাস কফি বেড সাইড টেবিলে রেখে বুকে হাত বেধে দাড়িয়ে আছে। হিয়া কফির মগ টা হাতে নিতে নিতে বলে,

” আপুর বদলে আপনি আনলেন যে! আপু কই? সে আসতে দিলো আপনাকে?”

” আপনার বোন নাতাশাকে দিচ্ছিলো কফির মগ টা আপনাকে দিয়ে যাওয়ার জন্য। আমিও উপরেই নিজের রুমে আসছিলাম। পরে ভাবলাম, বেয়াইন সাহেবা যেহেতু চলেই যাচ্ছে, তাহলে আমি কেনো একটু আপ্যায়ন করি না! সেজন্য আমিই আনলাম। ”

ইহসাস যে হিয়ার সাথেই কথা বলতে আসছিলো, সেটা চেপে গেলো। সে যখন আসছিলো, রায়ার গলার স্বর শুনে সিড়ি থেকে নিচে তাকিয়ে দেখতে পায় রায়া কফির মগ টা নাতাশাকে দিচ্ছিলো হিয়াকে দেওয়ার জন্য। নাতাশা উপরে আসতেই বোনকে বলে কফির মগ টা নিয়ে সে চলে এসেছে। নাতাশা এটুকু বুঝে গেছে ভাইয়ের মন হিয়ার তরীতে ভেসেছে। সেজন্য কিছু না বলেই কফি টা ভাইকে দিয়ে দিয়েছিলো। হিয়া খাটে বসে পা দুলাতে দুলাতে কফির মগে চুমুক দিচ্ছিলো। মাঝে মাঝে ব্যথায় চোখমুখ বিরক্তিতে কুঁচকে ফেলছিলো। হাত দিয়ে কপালে চেপে ধরছিলো। ইহসাস দাড়িয়ে দাড়িয়ে হিয়ার সেই রুপই দেখছিলো। হিয়া ইহসাসকে কফি দেওয়া হয়ে গেলেও দাড়িয়ে থাকতে দেখে বলে,

” কফি দেওয়া তো শেষ। আর কিছু লাগবে না আমার। দাড়িয়ে আছেন কেনো? যেতে পারেন?”

” আপনি কানাডা কেনো যাচ্ছেন?”

” আমি যাচ্ছি কে বললো?”

হিয়া অবাক নয়নে এক ভ্রু উচু করে জিগাসা করে ইহসাসকে। ইহসাস হিয়ার প্রশ্নের উত্তরে বলে,

” শুনলাম আংকেল আন্টি মানে আপনার বাবা মা যাচ্ছেন। তাহলে কি আপনি যাবেন না।”

” না, আমি আপুর জন্য এখানে থাকবো।”

” আমাদের বাসায়?”

” আপনাদের বাসায় কেনো থাকবো আমি? আমার বাবার কি বাসা নেই?”

“নেই কখন বললাম? আপনি বড়ো একটা মেয়ে একা থাকবেন এক বাসায়! ব্যাপার টা না কেমন না? ভয় লাগবেনা?”

” আমি মামাদের সাথে থাকবো।”

“ওহ আচ্ছা।”

হিয়ার সাথে কথা শেষে ইহসাস রুম থেকে বেরিয়ে যেতে ঘুরে দাড়ায়। পরে আবার একটা কথার উত্তর জানতে হিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,

” একটা কথা জানার ছিলো।”

হিয়া নির্লিপ্ত ভাবে কফির মগে শেষ চুমুক দিয়ে জিগাসা করে,

” কি কথা?”

” আমার ছবি সব ডিলিট করেছেন না?”

” হ্যাঁ করে দিয়েছি।”

” আপনার উপর আমার ভরসা নেই মিস বেয়াইন সাহেবা৷”

” তো আমি কি করবো? যান তো আপনি। এভাবে আপনাকে আমার সাথে একা দেখলে বিষয়টা সবার কাছে দৃষ্টি কটু লাগবে।”

” যাচ্ছি আমি। তার আগে আরও একটা কথা।”

“আবার কি কথা?”

৩০,
হিয়া বিরক্ত হয়ে এবার একটু জোড়েই ইহসাসের কথার উত্তর দেয়। ইহসাস হিয়ার বিরক্তি বুঝে মুখটা বেজার করে বলে,

” আপনি বিরক্ত বোধ করছেন?”

” না আমার নাচতে ইচ্ছে করছে। নাচবেন আমার সাথে?”

” নাচ পারিনা আমি।”

” আমি পারি শিখিয়ে দিবো। কি বলবেন বলুন তো। বলে বিদেয় হোন।”

“বলছি বলছি। এতো রাগ করার কি আছে?”

“আপনি প্রচুর বাঁচাল একটা মানুষ, জানেন এটা?”

” আমি মানুষ বিশেষে বাঁচাল। সবার ক্ষেত্রে নই মিস হিয়া। আমার অতি প্রিয় মানুষ ব্যতিত আমি বাচালতা করিনা।”

হিয়া ইহসাসের কথায় অনুভূতি শূন্য হয়ে ঠান্ডা চাহনীতে ইহসাসের দিকে তাকায়। ইহসাস স্ব-স্থানে দাড়িয়ে মিটিমিটি হাসছে। হিয়া উঠে দাড়ায়, ইহসাসের সামনে দাড়িয়ে কোমড়ে হাত দেয়। ইহসাস হিয়ার আচমকা এমন এগিয়ে আসায় দুকদম পিছায়। হিয়া এবার চোখ দুটো ছোটো করে বলে,

” ভয়ে পিছিয়ে যাওয়া তো মেয়েদের স্বভাব। আপনি কেনো পিছালেন?”

” এমনিই, হঠাৎই এভাবে আসলেন তো সামনে এজন্য।”

ইহসাস ফের দুকদম এগিয়ে আবার আগের স্থানে দাড়িয়ে হিয়ার কথার উত্তর দেয়। হিয়া ইহসাসের দিকে আঙুল তাক করে বলে,

” আপনি আপনার প্রিয় কেউ নই বুঝেছেন? আমার আপনার মাঝে শুধুই আপনি আমার বোনের দেবর এই সম্পর্ক বুঝেছেন?”

” না বুঝিনি মিস হিয়া। হতে পারেন আপনি ভাবীর বোন। কিন্তু আমার জন্য স্পেশাল কেউই৷”

” আমি আপনার প্রতি দুর্বল হতে চাইনা ইহসাস সাহেব। একটুও দুর্বল হতে চাইনা।”

“কেনো হিয়া? হলে কি খুব বড়ো ক্ষ’তি হবে?”

” আপনার প্রতি দুর্বল হয়ে আমি আমার আপুর মতো অন্তরদ’হনে পু’ড়ে রোজ ম”রতে চাইনা। একদমই না।”

হিয়া উল্টো দিকে ফিরে কথাটা বলে৷ ইহসাস হিয়ার কথার কোনো মানে বুঝতে পারলো না। সে হিয়াকে প্রশ্ন করে,

” মানে কি আপনার কথার?”

“কিছু না আপনি যান তো এখান থেকে।”

“আপনার প্রতি আমার অনুভূতি গুলো দামী নাকি ক্ষণিকের মোহ সেটুকু যাচাই না করা অব্দি আমি আপনার পিছু ছাড়ছিনা। তাতে আপনি যা খুশি বলুন৷”

ইহসাস হিয়ার কথার জবাবে কথাটা বলে চলে যায়। হিয়া ইহসাসের যাওয়ার পানে তাকিয়ে নিজেই নিজেকে বিরবির করে বলে,

” আপনাকে ভালোবাসবে না হিয়া। হিয়ার মনে কাউকে জায়গা দেওয়া সম্ভবই না। আপনাকে ভালোবেসে পরে বাবা আপুর মতো অন্য কারোর সাথে আমার জীবন জড়িয়ে দেবে, এটা মেনে বেঁচে থাকার হিয়ার পক্ষে সম্ভব না। এটা হিয়ার বোন রায়া নয় যে, সে সব পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিবে। হিয়া পারবেনা, কখনোই না। হিয়ার মনে আগেও কেউ ছিলো না, এখনও কেউ থাকবেনা। হিয়া নিজের মতো নিজের জন্য ভালো থাকবে, ভালো ভাবে বাচবে। হিয়া চৌধুরী শুধু নিজেকে ভালোবাসে, আর কাউকে না৷”

হিয়া আনমনে এসব বলতেই তার মনে প্রশ্ন জাগে, ‘ আদৌও হিয়া নিজেকে ভালোবাসে তো! তাহলে ইহসাসের প্রতি তার এতো ভালো লাগা কেনো? তাকে দেখলেই কেনো এতো শান্তি শান্তি লাগে!’ হিয়া নিজের ভাবনার উপর ক্ষি”প্ত হয়। সে ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে নিজের দিকেই আঙুল তুলে বলে,

” উফ হিয়া, তুই দিনদিন স্টুপিড হয়ে যাচ্ছিস। তুই কাউকে ভালোবাসতে পারিস না, কাউকে না। ভুলে যাচ্ছিস তোর বাবা ভালোবাসা মেনেই নেয় না, ধরেবেধে অন্য কোথাও বিয়ে দেয়৷ জাস্ট রিলাক্স ওকে! ইহসাস মানুষ টাকে নিয়ে এতো মাথা ঘামানোর মানেই হয়না।”

হিয়া জোড়ে জোড়ে বড় কয়েকটা নিঃশ্বাস নিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে পরে৷ ড্রেসিং টেবিল থেকে চিরুনি তুলে নিয়ে চুল আচরাতে থাকে। সকাল বেলা ভালো করে চুলটাও ঠিক করতে দেয়নি তার মা৷ ঘুম থেকে টেনে তুলে ব্রাশ করে, ড্রেস পাল্টে সেভাবেই টেনে এনেছে। হিয়া আপনমনে নিজেকে সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

৩১,
সময়টা দুপুর। সবাই লাঞ্চ সেরে ড্রইং রুমে সোফায় বসে পরেছে। মিঃ জাহিদুল,রুবেল আর শাহীন একসাথে বসেছে। মিসেস সেলিনা,কল্পনা আর অন্তরা একপাশে একসাথে বসে গল্প করছেন। আনিকা আর রায়া থালাবাসন গুছিয়ে হাত মুছতে মুছতে ড্রইং রুমে আসে। তাদের দেখে মিঃ শাহীন গল্প বাদ দিয়ে বলে উঠেন,

” মামনিরা, হলো তোমাদের কাজ? বাকি বাচ্চা-রা কই? দেখছিনা যে?”

” আছে হয়তো ওদের রুমে। খেয়ে রেস্ট নিচ্ছে। বড়দের দেখে লজ্জা পায় তো, বড়দের মাঝে থেকে কি করবে বুঝতে পারেনা।”

আনিকা মুচকি হেসে উত্তর দেয়। রায়া আনিকার পাশেই দাড়িয়ে পরে। মিসেস অন্তরা এবার বলেন,

” সবাইকে ডাকো তো মা। আমরা চলে যাবো। শেষবার দেখা করে নিই৷ আবার কবে আসি ঠিক নেই।”

উনার কথায় রায়া বলে,

” আমি ডাকছি আম্মু, তোমরা বসো।”

রায়া সবাইকে ডাকার জন্য চলে যায়। জাহিদুল সাহেব বলে উঠেন,

” বন্ধু? এতো তাড়াতাড়িই তোর ফিরতে হবে?”

“ছেলেটা ওখানে একা রে বন্ধু। একটু অসুস্থ, যেতেই হবে।”

” কি হয়েছে ছেলের?”

মিসেস সেলিনা প্রশ্ন করে বসেন। মিসেস অন্তরা তার কথার উত্তরে বলেন,

” এমনিই একটু অসাবধানতায় এ’ক্সি’ডেন্ট করে বসেছে। মাথায় আ’ঘাত গুরুতর।”

মিসেস অন্তরা সুক্ষভাবে আসল ঘটনা এড়িয়ে গেলেন। সবাই উনার কথায় সমবেদনা প্রকাশ করেন। মিসেস কল্পনা উনাদের বলেন,

“গিয়ে ফোন দিয়ে একটু খবরাখবর জানায়েন আপা। আমরা চিন্তায় থাকবো।”

“অবশ্যই জানাবো আপা।”

মিসেস অন্তরা উত্তর দেন৷ তখনই রায়ার সাথে ইহসাস,নাতাশা,রাদ আর হিয়া ড্রইং রুমে উপস্থিত হয়। মিঃ শাহীন ওদের দেখে উঠে দাড়ান। রাদের কাছে গিয়ে মাথায় হাত রেখে বলেন,

” মেয়েকে তোমার ভরসায় রেখে গেলাম বাবা। দেখে রেখো।”

” ইনশা আল্লাহ বাবা, ভালো রাখবো নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে।”

রাদ মুচকি হেসে উত্তর দেয়। মিঃ শাহীন খুশি হোন। জামাইকে বুকে জড়িয়ে নেন। রায়া নির্লিপ্ত চাহনীতে বাবা আর স্বামীকে একপলক দেখে। বাবার হাসিমাখা মুখ দেখে মনে মনে তাচ্ছিল্যের হাসি দেয়। ভালো থাকা কেড়ে নিয়ে ভালো রাখা! কি অদ্ভুদ জীবন৷ মিঃ শাহীন মেয়ে জামাইকে ছেড়ে এবার একে একে মিঃ জাহিদুল আর রুবেল সাহেবের সাথেও কোলাকুলি করে বিদায়ের কথা বলেন। মিসেস অন্তরা বেয়াইনদের সাথে কথা বলে মেয়ের কাছে এসে জড়িয়ে ধরেন। এরপর বেরুনোর জন্য পা বাড়ান৷ সবাই বাসার গেট অব্দি এগিয়ে আসে। বাসার দরজা খুলতেই ছোট্ট একটা বাগান৷ এরপর বাড়ির মূল ফটক।সবাই গাড়ি অব্দি এগিয়ে দিতে আসে। মিঃ শাহীন নিজের সাথে গাড়ি এনেছিলেন। উনি গাড়ির দরজা খুলে সবার জন্য আনা গিফট সবার হাতে তুলে দেন। মিঃ রুবেল তা দেখে বলে উঠেন,

” এসবের কি দরকার ছিলো ভাই সাহেব?”

“আমার তরফ থেকে সামান্য উপহার। আপনারা খুশিমনে গ্রহণ করুন। আমিও খুশি হবো৷”

উনার কথার পরিপ্রেক্ষীতে কেউ আর কিছু বললো না। সবাই হাসিমুখে গিফট নিয়ে নিলো। উনারা গাড়িতে উঠতেই সবাই হাসিমুখে বিদায় জানালো। হিয়াও বাবা মাকে হাসিমুখে বিদায় দেয়। এরপর সবাই বাসায় ডুকতেই হিয়া রাদকে বলে,

” ভাইয়া আমায় বাসায় দিয়ে আসবেন একটু? ”

হিয়ার কথা শুনে ইহসাস আড়চোখে হিয়াকে দেখে। রাদ বলে,

” আজ এখানে থাকো হিয়া। বেলা তো গড়ালোই। কাল কাজে যাওয়ার সময় তোমায় বাসায় দিয়ে আমি কাজে চলে যাবো।”

সবাই রাদের কথায় সম্মতি দেয়। মিঃ জাহিদুল বলেন,

“রাদ ঠিকউ বলেছে আম্মু৷ আজ থেকে যাও৷”

“কিন্তু আংকেল?”

হিয়া অসস্তি নিয়ে দোনা মোনা করে তাকায় রায়ার দিকে। বোন কি বলে এটা জানার জন্য। মিসেস সেলিনা বলেন,

“বাবা হয়ে অনুরোধ করছে। তার কথা শুনো আম্মু। আজ থেকে যাও।”

” বাবা-মা বলছে, থেকে যা।”

রায়া এবার মুখ খুলে। হিয়া সস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। বোনের সম্মতি থাকলে তার থাকতে আপত্তি নেই। ইহসাস মনে মনে খুশি হয়। মিসেস কল্পনা হিয়াকে বলেন,

” তুমি নাতাশার সাথে ওর রুমে গিয়ে রেস্ট করো আম্মু।”

” চলো হিয়া।”

মিসেস কল্পনার কথা শেষ হতেই কথাটা বলে নাতাশা। হিয়া নাতাশার সাথে তার রুমে চলে যায়। সবাই সবার রুমে চলে যায় রেস্ট করতে। আপাতত কোনো কাজ নেই৷ নাতাশার রুমে এসে হিয়া রুমে থাকা সিঙ্গেল সোফায় বসে পরে। ফোন টা হাতে নেয় ভাইয়ের খোজ জানার জন্য। ডাটা ওন করে এলভিনাকে একটিভ পায়না। সে ভুল গেছিলো এখন সেখানে ভোর রাত। সবাই ঘুমে ব্যস্ত। তখুনি রায়া আসে হিয়াকে ডাকতে। বোনের ডাক পেয়ে হিয়া রুমের বাইরে রায়ার কাছে এসে জিগাসা করে,

” কিছু বলবি আপু?”

চলবে?

ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। ১৬০০+ওয়ার্ডের পর্ব আজ, রিচেক করা হয়নি। আসসালামু আলাইকুম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here