হয়তো তোরই জন্য পর্ব ১২

#হয়তো_তোরই_জন্য
#পার্ট_১২
#নিশাত_জাহান_নিশি

জায়ান ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি স্টার্ট করে দিলো। উদ্দেশ্য জেনিয়াকে আটকে রাখা পুরনো বাংলো।

জায়ান ড্রাইভ করছে আর পাশে বসে থাকা লোকটার দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছে। জায়ান লোকটাকে এখনো পুরোপুরি ভাবে বিশ্বাস করতে পারছে না।
শুধুমাএ তমার জন্য লোকটার সব কথা বিশ্বাস করতে হচ্ছে। তমা ব্যাক সিটে বসে মুখ ভাড় করে রেখেছে। জেনিয়ার কথা শুনে তমার কেমন জেলাস ফিল হচ্ছে। জায়ানের প্রতি কেমন জানি এক্টা টান অনুভব করছে তমা। মনে মনে সাংঘাতিক ভয় ও পাচ্ছে। মনে হচ্ছে জায়ান ওকে ছেড়ে জেনিয়ার কাছে চলে যাবে। তমা মনটা খারাপ করে মিনমিন করে বলছে,,,,,

—“জানি না কেনো জায়ান ভাইয়ার প্রতি এক্টা অন্য রকম টান ফিল করছি। পুরো এক্টা দিন জুড়ে জায়ান ভাইয়া আমার পাশে ছিলো। সব বিপদ আপদে আমাকে সেইফ করেছে। হয়তো বা এজন্য কিছুটা টান অনুভব করছি। অবশ্য কিছুটা না অনেকটাই টান অনুভব করছি। যেমন টান মানুষ তার ছায়ার জন্য ফিল করে। আমি ও ঠিক সেরকম টান ই জায়ান ভাইয়ার জন্য ফিল করছি। সব কিছু কেমন ছাড়া ছাড়া লাগছে। অজানা ভয় মনে বাসা বাঁধছে। কিছু এক্টা হারানোর ভয়ে মনটা উসখুস করছে। জায়ান ভাইয়াকে আমি কিছুতেই জেনিয়ার হতে দিবো না। জেনিয়ার থেকে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে বলব। জায়ান ভাইয়া শুধু আমার কাছা কাছি থাকবে। আমার পাশাপাশি থাকবে। না হয় জায়ান ভাইয়াকে আমি ঠিক মেরে ফেলব।”

তমা কথা গুলো বলছে আর রাগে ফুসছে। এই মুহূর্তে তমা আকাশের কথা পুরো দমে ভুলে গেছে। সে শুধু জায়ানকে নিয়ে মগ্ন। তমার নীরবতা দেখে জায়ান পিছু ফিরে ব্যাক সিটে তাকালো। তমা মুখটা ভাড় করে জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে। জায়ান কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে তমাকে উদ্দেশ্য করে বলল,,,,,,

—-“তমু কি হয়েছে তোর? শরীর খারাপ লাগছে?”

তমা গম্ভীর কন্ঠে বলল,,,,,,,

—-“ঠিক আছি আমি। কিছু হয় নি।”

—-“কিছু লুকাচ্ছিস না তো?”

—-“না। তুমি সামনের দিকে তাকিয়ে ড্রাইভ করো। আমি দিব্যি আছি।”

জায়ান তমার থেকে মুখ ফিরিয়ে ড্রাইভিং এ মনযোগ দিলো। জায়ান কিছুটা আশাবাদী হয়ে মনে মনে বলছে,,,,,

—-“আমার মনে হয় এই লোকটার হাত ধরেই আমি আমাদের শত্রু অব্দি পৌঁছাতে পারব। খুব সহজেই শত্রুর মুখোমুখি হতে পারব। কেনো জানি না মন বলছে আজই রহস্যের জট খুলবে। তবে আগে লোকটাকে বাজিয়ে দেখতে হবে। লোকটা আদৌ সত্যি বলছে কিনা।”

জায়ান লোকটার দিকে তাকিয়ে দেখল, লোকটা গাড়ির সিটে মাথা এলিয়ে চোখ দুটো বন্ধ করে রেখেছে। জায়ান গলাটা ঝাঁকিয়ে লোকটাকে উদ্দেশ্য করে বলল,,,,,,

—-“আপনার নাম কী?”

লোকটা চোখ দুটো খুলে ব্যাথায় নাক, মুখ কুচকে বলল,,,,,,

—-“রনক আহমেদ।”

—-“বাড়ী কোথায় আপনাদের?”

—-“কৃষ্ণনগর।”

—-“কুমিল্লার ভিতরে নাকি বাইরে?”

—-“কুমিল্লার বাইরে।”

—-“জানি না আপনার বলা কথা গুলোতে কতোটা সত্যতা আছে। আমি এখনো আপনার প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বস্ত হতে পারছি না। শুধুমাএ আমার তমুর জন্য আমি আপনাকে এবং আপনার বোনকে বিশ্বাস করতে বাধ্য হলাম। আপনাদের বিশ্বাস করে যদি ঠকতে হয় তাহলে এর উপযুক্ত শাস্তি উপর ওয়ালা আপনাদের দিবে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।”

—-“উপর ওয়ালার বিচারকে আমি সাংঘাতিক ভয় পাই। শেষ পর্যন্ত আপনি সেই উপর ওয়ালার হাতেই আমাকে তুলে দিলেন? উপর ওয়ালার কসম খেয়ে বলছি, আমি আর আমার বোন সত্যি সত্যি খুব বড় বিপদে ফেসে গেছি। আপনার সাথে কোনো ছলনা করছি না আমরা। হয়তো বা আপনার উসিলায় উপর ওয়ালা আমাদের এই বিপদ থেকে রক্ষা করবে!”

—-“উপর ওয়ালার থেকে বড় সত্য এই পৃথিবীতে আর কিছু নেই। তাই আমি বাধ্য হলাম পুরোপুরি আপনাকে বিশ্বাস করতে। আমি আপনাকে এক্টা দায়িত্ব দিতে চাই! বইবেন তো আমার দায়িত্বের বোঝা?”

—-“অবশ্যই ভাইয়া। প্লিজ বলুন কি দায়িত্ব?”

—-“আমার তমুকে আপনি দেখে রাখবেন। জানি না ফার্ম হাউজ পৌঁছে কোন কোন ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। তখন হয়তো তমুর দিকে আমি ঠিক ঠাক নজর রাখতে পারব না। তাই আপনার দায়িত্ব হলো আমার তমুকে দেখে শুনে রাখা। ওর গাঁয়ে যেনো এক্টা আঁচ ও না পড়ে। দরকার হলে আপনারা দুজন কোনো নিরাপদ জায়গায় লুকিয়ে থাকবেন। শত্রুদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে।”

—-“তমা কি হয় আপনার? যার জন্য আপনি এতোটা চিন্তিত?”

—-“তমু আমার ওয়াইফ। বিয়ে করা বউ। জেনিয়া এই ব্যাপারটা জানত না। তাই হয়তো ভুলবশত আমাকে ভালোবেসে ফেলেছে। যাই হোক, যদি জেনিয়াকে নিয়ে বেঁচে ফিরতে পারি তাহলে ব্যাপারটা সরাসরি ক্লিয়ার করে দিবো। আমি চাই না এই ব্যাপারটা নিয়ে কোনো জল ঘোলা হোক! আমার তমু আমাকে ভুল বুঝুক।”

—-“সত্যিটা শোনার পর জেনিয়া খুব কষ্ট পাবে!”

—-“কিছু করার নেই আমার। জেনিয়াকে সত্যিটা মানতে হবে। তমু আমার সব। আমার ভালোবাসা, জীবন, মরণ সব।”

রনক জায়ানের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। জায়ানের চোখে তমার জন্য ভালোবাসার রঙ্গিন ফানুস উড়ছে। যা বিশাল অন্ধকার আকাশকে আলোয় আলোকিত করার জন্য যথেষ্ট।

তমা কিছুটা ক্লান্ত হয়ে অনেক আগেই চোখ বুজে নিয়েছে। ঘুমে কাত হয়ে আছে সে। জাগ্রত থাকলে হয়তো সে জীবনের সবচেয়ে দারুন সত্যটা শুনতে পেতো। তাহলো আর মনে মনে জায়ানের জন্য রাগ, অভিমান পুষে রাখত না। কিন্তু সেই সৌভাগ্য হয় নি তমার। তন্দ্রা পুরীতে সে গাঁ ভাসিয়ে দিয়েছে।

কিছুক্ষন পর গাড়ি এসে পৌঁছে গেলো ফার্ম হাউজ থেকে সামান্য দূরে থাকা তিন রাস্তার মোড়ে। ফার্ম গেইটের মুখোমুখি গাড়িটা দাঁড় করালে হয়তো শত্রুরা আঁচ পেয়ে যেতো। তাই জায়ান বুদ্ধি করে গাড়িটা কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে থামালো। গাড়ি থেকে নেমেই জায়ান ব্যাক সিটের দরজা খুলে ঘুমন্ত তমার দিকে তাকালো। জায়ান ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না এই মুহূর্তে তমাকে জাগানো টা ঠিক হবে কিনা। এর মাঝেই রনক গাড়ি থেকে নেমে ধীর পায়ে হেঁটে জায়ানকে পাশে দাঁড়িয়ে কিছুটা উওেজিত কন্ঠে বলল,,,,,,,

—-“ভাইয়া যা করার তাড়াতাড়ি করুন প্লিজ। রাত দশটা ওভার হয়ে গেছে। বেশি সময় নেই আমাদের হাতে। জানি না আমার বোনটা এখন কি অবস্থায় আছে।”

লোকটার কথা বলার আওয়াজে তমা ধরফরিয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়ল। ঢুলু ঢুলু চোখে তমা জায়ানের দিকে তাকিয়ে আছে। জায়ান মৃদ্যু হেসে তমাকে উদ্দেশ্য করে বলল,,,,,,

—-“তমু…তুই বরং গাড়িতেই ঘুমিয়ে থাক। আমি আর রনক ভাইয়া শয়তান গুলোর ডেরায় যাচ্ছি। তোকে আমাদের সাথে যেতে হবে না। ঐখানে অনেক অপ্রত্যাশিত বিপদ উৎ পেতে থাকতে পারে। আমি তোর লাইফ রিস্কের ভার নিতে চাই না।”

তমা জায়ানের কথার উওর না দিয়ে সোজা গাড়ি থেকে নেমে জায়ানের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জায়ানের গালে এক্টা টাইট চুমো খেয়ে জায়ানকে জড়িয়ে ধরে বলল,,,,,,

—-“আ’ম স্যরি জায়ান ভাইয়া। ঐ সময় না বুঝেই তোমার গালে চড় মেরেছি। প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও। আর শুনো…. তুমি যেখানেই যাও না কেনো পিছু পিছু আমি ও যাবো। তুমি যতোক্ষন আমার পাশে থাকবে পৃথিবীর কোনো শক্তিই আমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। শত্রুদের বিরুদ্ধে তুমি একাই যথেষ্ট। সো প্লিজ খামোখা ভয় না পেয়ে আমাকে ও তোমার সঙ্গে নিয়ে চলো।”

জায়ান স্ট্যাচু হয়ে তমার কথা গুলো শুনছে। তমার এমন রাতারাতি পরিবর্তন জায়ান ঠিক মানতে পারছে না। জায়ানের এমন মুর্তি ভাব দেখে তমা জায়ানকে ঝাঁকিয়ে বলল,,,,,

—-“তুমি আমার কথা বিশ্বাস করতে পারছ না তাই তো?”

জায়ান কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল,,,,,,

—-“পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছি না।”

—-“ব্যাপার না। আস্তে আস্তে সম্পূর্ণটা বিশ্বাস হয়ে যাবে।”

জায়ান মৃদ্যু হেসে তমাকে বুক থেকে উঠিয়ে তমার হাত ধরে দ্রুত গতিতে সামনের দিকে হেঁটে চলল। রনক বুকে হাত দিয়ে ধীর গতিতে জায়ানের পিছু হাঁটছে। চারদিকটা খুব শুনশান। রাস্তায় গাড়ি চলাচলের কোনো আনা গোনা নেই। কারণ, এই রাস্তাটা খুবই বিপদজনক। সন্ধ্যার পর এই রাস্তা দিয়ে কোনো যান চলাচল করে না। চুরি, ছিনতাই লেগেই থাকে। আশেপাশের বখাটে ছেলে গুলো সন্ধ্যার পরই উৎ পেতে থাকে নিজেদের জীবিকা অর্জনের তাগিদে পথচারীদের জান মাল ছিনিয়ে নিতে। এলাকার মানূষ বখাটে ছেলে ফেলেদের ভয়ে জড়সড় হয়ে থাকে। কখন কি থেকে কি হয়ে যায় বলা যায় না। জায়ান, তমা আর রনক অন্ধকার রাস্তায় নিজের ছায়াদের ও দেখতে পারছে না। পুরো রাস্তা অন্ধকার হয়ে আছে। কিছু দূর হাঁটার পর ফার্ম হাউজের গেইট দিয়ে আসা আলো ছিটকে পড়ছে রাস্তায়। জায়ান বেশ বুঝতে পারছে এতো সহজে ফার্ম হাউজে প্রবেশ করা যাবে না। নিশ্চয়ই বডি গার্ডরা পুরো বাড়িটা ঘিরে রেখেছে। বাড়িটাতে ঢুকতে হলে অন্য রাস্তা বের করতে হবে।

জায়ান তমাকে নিয়ে পিছু হেটে ফার্ম হাউজের পিছনের বাউন্ডারীর দিকে চলে গেলো। সাথে রনক ও আছে। জায়ান মিনমিনিয়ে তমা আর রনক কে উদ্দেশ্য করে বলল,,,,,,

—-“দেয়াল টপকে দেখতে হবে বাড়ির ভিতরে আদৌ কোনো বডি গার্ড আছে কিনা। তোমরা এখানেই দাঁড়াও। আমি উঁকি দিয়ে দেখছি।”

তমা আর রনক মাথা নাঁড়িয়ে সম্মতি জানালো। জায়ান দেয়াল টপকে উঁকি মেরে দেখল পুরো বাড়ি জুড়ে কালো হুডি পড়া বডিগার্ডস রা পায়চারী করছে। জায়ান তাড়াতাড়ি করে দেয়াল থেকে নিচে নেমে তমা আর রনককে উদ্দেশ্য করে বলল,,,,,,,

—-“এতো সহজে ফার্ম হাউজে ঢুকা যাবে না। অন্য কোনো আইডিয়া খুজতে হবে। যাতে করে সাপ ও মরবে, লাঠি ও ভাঙ্গবে না।”

তমা মিনমিনিয়ে বলল,,,,,,

—-“তোমার মাথায় কোনো আইডিয়া আছে?”

জায়ান কিছুক্ষন ভেবে চিন্তে পুরো রাস্তায় চোখ বুলিয়ে বড় এক্টা পাথরের টুকরো দেখে মুচকি হেসে পাথরটা হাতে নিয়ে রনক কে উদ্দেশ্য করে বলল,,,,,,,

—-“আপনি এখান থেকে দাঁড়িয়ে যতোটা জোরে সম্ভব পাথরটা ফার্ম হাউজের গেইটে ছুড়ে মারবেন। এর ফাঁকেই আমি আর তমা দেয়াল টপকে ফার্ম হাউজের ভিতর ঢুকে যাবো। এরপর আপনি ও আমাদের পিছু পিছু দেয়াল টপকে বাড়ির ভিতর ঢুকে যাবেন।”

লোকটা মাথা নাঁড়িয়ে সম্মতি জানালো। জায়ান এবার তমার দিকে তাকিয়ে বলল,,,,,

—-“তমু তুই পারবি তো দেয়াল টপকাতে?”

—-“পারব জায়ান ভাইয়া। তুমি শুধু আমার হাতটা শক্ত করে ধরো তাহলেই হবে!”

জায়ান মুচকি হেসে তমার হাতটা টাইট করে ধরে দেয়ালে উঠার জন্য পজিশন নিয়ে নিলো। রনক শরীরের সব শক্তি দিয়ে পাথরটা গেইটে ছুড়ে মারল। সাথে সাথেই পৃথিবী কাঁপানো আওয়াজ হলো।

বাড়ির সব গার্ডসরা ধরফরিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেইটের বাইরে চলে এলো। তমা আর জায়ান তাড়াহুড়ো করে দেয়াল টপকে দৌঁড়ে বাড়ির ভিতর ঢুকে গেলো। গ্যারেজের মতো বড় বাংলোর দেয়ালের পিছনে জায়ান আর তমা নিজেদের আড়াল করে নিলো। দেয়ালের ঘর্ষনে জায়ানের হাতের অনেক খানি জায়গা কেটে গেছে। তমাকে দেয়াল থেকে নামাতে গিয়ে জায়ানের হাতের এই অবস্থা হলো। জায়ান আর তমা দেয়ালের সাথে একদম ফেবিকলের মতো চিপকে আছে। ওদের উদ্দেশ্য এখন গ্যারেজের মতো শত্রুদের বিশাল ডেরাতে ঢুকা। রনক ও এতক্ষনে দেয়াল টপকে জায়ানদের সাথে যোগ দিলো।

তিনজনই পা টিপে টিপে গ্যারেজটার ভিতরে ঢুকার চেষ্টা করছে। ঐদিকে গার্ডসরা গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে পাথর ছুড়ার উৎস বিশ্লেষণ করছে। ওরা কেউই জায়ানের ফন্দি ধরতে পারে নি। একজন গার্ড অন্য গার্ডদের উদ্দেশ্য করে বলছে,,,,,

—-“এতো ভয় পাওয়ার কিছু হয় নি। আমার মনে হয় এলাকার বখাটে ছেলেরা নেশা ভান করে মাতলামী করেছে। তাই এই ব্যাপারটাকে নিয়ে এতো জল ঘোলা না করে আমরা নিজেদের কাজে মন দেই।”

সবাই গার্ডের কথায় সায় জানিয়ে গেইটের ভিতর ঢুকে আবার নিজেদের জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়ল। জায়ান, তমা আর রনক গ্যারেজের দিকে পা বাড়াতেই অনেক গুলো মেয়ের চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পেলো। মেয়ে গুলো চিৎকার করছে আর বলছে,,,,,,

—-“প্লিজ ভাই আমাদের এতো বড় সর্বনাশ করবেন না। আমাদের ছেড়ে দিন। পরিবারের কাছে যেতে দিন আমাদের। আমরা তো আপনার ছোটো বোনের মতো। প্লিজ আমাদের করুনা করুন।”

কথাগুলো শোনা মাএই একজন লোক মেয়ে গুলোকে চাবুক দিয়ে সমানে মারছে আর চিৎকার করে বলছে,,,,,,

—-“তোদের রক্ষে নেই আমার হাত থেকে। যারা একবার আমার হাতে পড়ে তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়াই আমার ধর্ম। হোক সে আমার আপন কিংবা পর।”

লোকটার কন্ঠ শোনার সাথে সাথেই তমা আর জায়ান দুজন দুজনের দিকে চোখ বড় বড় করে অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। দুজনই লোকটার কন্ঠ ধরে ফেলেছে।

#চলবে,,,,,,,,,,,

(পাঠকরা কি বলতে পারবে লোকটা কে??)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here