ভালোবাসার স্পর্শানুভুতি পর্ব ১১

#ভালোবাসার_স্পর্শানুভূতি
#রাইমা_মিমি
#পর্ব_১১

ভেবেই অজান্তেই তারার মুখে হাসি ফুটে উঠে। এ যেন এক অন্য রকম হাসি। এক মনোমুগ্ধকর হাসি। যাতে আছে প্রশান্তি।

কিন্তু এ হাসি দেখার সাধ্য হলো না রাতের। কিভাবে দেখবে সে? সে তো জড়িয়ে ধরে আছে তারাকে।

তারা- কি হচ্ছে কি তারা? তুই কি পাগল হয়ে গেছিস? এই জল্লাদের জন্য হাসছিস তুই। কি একটা অবস্থা হুহ।(মনে মনে)

তারা- প্লিজ ছাড়ুন আমাকে।

রাত- উহু।(ঘোরের মধ্যে)

তারা- প্লিজ ছাড়ুন আমাকে। আমার বাসায় যেতে হবে। মা বাপি টেনশন করছেন আমাকে নিয়ে।

রাত- উফ তুমি একটুও শান্তি দাও না আমাকে। কত শান্তি লাগছিল তোমাকে জড়িয়ে ধরে। কিন্তু তোমার তা সহ্য হলো না। হুহ।(তারার মুখ আলতো করে ধরে)

তারা কিছু না বলে মাথা নিচু করে আছে।

রাত একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল।

রাত- চলো তোমাকে দিয়ে আছি।

তারা- না না লাগবে না। আমি নিজেই যেতে পারব। আপনার কষ্ট করতে হবে না।

রাত- চুপ। একদম বেশি কথা বলবে না। আমি কি বলেছি যে আমার কষ্ট হচ্ছে?

তারা বাচ্চাদের মতো মুখ করে মাথা দুদিকে দুলিয়ে না বলল।

রাত- তাহলে? একদম বেশি বুঝবে না।

তারা- হুম।

এরপর কিছুক্ষণ নিরবতা। তারা জানালা দিয়ে বাইরের পরিবেশ দেখছে। আজ অনেকদিন পর সে গাড়ি দিয়ে যাচ্ছে। ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর সে আর গাড়ি নিয়ে যায় নি কোথাও। সবসময় রিকশা নিয়েই চলাফেরা করেছে। আর রিকশায় যেন তার যাতায়াতের মাধ্যম হয়ে গেছিল। গাড়ি নামেও যে তার কাছে কিছু ছিল তা সে ভুলতেই বসেছিল।

তারা জানালায় হাত দিয়ে তার উপর মাথা রেখে দৃষ্টি বাইরে স্থির করে ফাংশনের কথা গুলো ভাবছে।

তারা- ইশ এখন সবাই আমাকে চিনে ফেলেছে। এখন কেউ আর আমার সাথে নরমাল বিহেভ করবে না। সবাই এক্সটা কেয়ার নিবে। কেউ আর নরমাল ভাবে কথা বলবে না। ধুর ভালো লাগে বাপি কেন যে এমন করল। কোথায় ভেবেছিলাম কেউ আমাকে চিনবে না। আমিও আর ৫টা মেয়ের মতো চলাফেরা করব কিন্তু বাপি তা হতেই দিল।(মনে মনে মন খারাপ করে)

এদিকে রাত ড্রাইভ করছে আর আড়চোখে তারাকে পর্যবেক্ষণ করছে। তারার রিয়েকশন দেখে পুরোপুরি সিউর না হলেও এটা বুঝতে পারছে হয়ত তার জন্য নয়ত তার কাকাইয়ের জন্য তার কলির মনটা খারাপ। তারার এই ফেস রিয়েকশন রাত কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। তার মতে তারা কেন মন খারাপ করে থাকবে? কেন? ওয়াই? তাই সে কথা বলে তারার মন ঘুরানোর চেষ্টা করতে লাগলো।

রাত- কি ফুলে কলি? কি ভাবছো?

তারা মুখটা কালো করেই মাথা দুদিকে নাড়িয়ে কিছু না বলল।

রাত- তাহলে মুড অফ কেন? আমার করা ব্যবহারের জন্য? যদি তা হয় তাহলে বলব আমার কিছু করার নেই। তুমিই আমার রাগ তুলো। তো ভুগতেও তো তোমাকেই হবে তাই না?

রাতের কথা শুনে রাগে তারার মাথা ফেটে যাচ্ছে।

তারা- ইসসসস এই লোকটা এত বেশি বুঝে কেন? আমি কি একবারও বলেছি যে আমার ওই কারণে মুড অফ। যতসব আবাল পাব্লিক। হুহ।(মনে মনে রেগে)

তারার ফেস রিয়েকশন দেখে রাতের অনেক হাসি পাচ্ছে। কিন্তু এই সিচুয়েশনে হাসাটা একদম ঠিক হবে না বলে বিবেচনা করে নিল রাত। কারণ না জানি কখন তার উপর দিয়ে সিডর, আইলা, নারগিস, বুলবুল যায় তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। তাই সে হাসি চেপে মুখটাকে একটু গম্ভীর করে বলল।

রাত- কি হলো বলছো না কেন?

তারা- কি সমস্যা আপনার হ্যা? কি সমস্যা? আমি কি একবারও বলেছি যে আমি আপনার ব্যবহারে রাগ করেছি। সব সময় বেশি বুঝেন কেন হ্যা? শুনুন একটা কথা বলি, সবসময় বেশি বুঝা ভালো না। বুঝলেন? হুহ।(রেগে)

রাত- ওকে। আমি………………….

তারা- এই চুপ করুন। আর একটাও কথা বলবেন না। চুপচাপ গাড়ি চালান। হুহ।

রাত- ও হ্যালো মিস। আমি তোমার ড্রাইভার নই যে অর্ডার করছো। হুহ।

তারা- ওকে ফাইন। তাহলে গাড়ি দার করান আমি নেমে যাচ্ছি।

এতোক্ষণ তারার সবকিছু রাত মজার ছলে নিলেও এখন রাতের প্রচণ্ড রাগ উঠছে।

রাত- এই মেয়ে জীবনেও ভালো হবে না।(মনে মনে রেগে)

রাত রাগে গাড়ি জোড়ে রোডের একসাইডে ব্রেক করল। আকস্মিক ব্রেক করায় তারা টান সামলাতে না পেরে সামনের দিকে ঝুকে গেল। একটু হলেই মাথা যেত। কিন্তু বেল্টের জন্য বেচে গেল।

তারা মাথা তুলে রাতের দিকে তাকিয়ে দেখলো রাগে রাতের চোখ লাল হয়ে আছে। যেন আগুনের লাভার মতো লাগছে। আর এমন ভাবে তারার দিকে তাকিয়ে আছে যেন লাভা সব তারার উপরেই ঢেলে দিবে।

তারা- হায় আল্লাহ এমন ভাবে তাকিয়ে আছে কেন? মনে হচ্ছে যেন শেষ করে দিবে আমাকে। আর এখানেই গাড়ি দার করিয়েছে কেন? আচ্ছা সত্যিই কি আমাকে এখানে নামিয়ে দিবে?(মনে মনে)

কথা গুলো চিন্তা করেই তারা চোখ চারদিকে ঘুড়িয়ে দেখল একদম নির্জন জায়গা। তবে এ রাস্তা তারা চিনে। কিন্তু এ রাস্তায় মানুষের আসা যাওয়া খুবই কম। একদম নেই বললেই চলে। মাঝে মাঝে কয়েকটা গাড়ি যায় এ রাস্তা দিয়ে তাও হাই স্পীডে। এটা এমনি নির্জন রাস্তা যে দিনে দুপুরে খুন করলেও কেউ টের পাবে না। তাই ভয়ে তারা গলা শুকিয়ে গেল।

তারা- আল্লাহ কোন কুক্ষণে বলেছিলাম গাড়ি থামাতে। এখন যদি আমাকে এখানে নামিয়ে দেয় আমি যাব কি করে? আর এই রাস্তা। আল্লাহ এই রাস্তা এতো নির্জন যে আমাকে খুন করে দিলেও কেউ জানবে না। তাছাড়া এই রাস্তায় অনেক বাজে ছেলেপেলেও থাকে। যারা নেশাদ্রব্য গ্রহণ করে পড়ে থাকে। এখন আমার কি হবে?(মনে মনে ভয়ে)

তারা ভয়ে ভয়ে একবার চারপাশে তাকাচ্ছে আর একবার রাতের দিকে তাকাচ্ছে।

রাত খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে তারার ভয়ের কারণ। তাই তার খুব হাসি পাচ্ছে। কিন্তু সে হাসল না মুখে গম্ভীরভাবটা ধরে রাখল।

রাত- হায় রে পাগলী। তুমি ভাবলে কি করে আমি তোমাকে এখানে নামিয়ে দিব? যেখানে আমি ৭বছর চোখের আড়াল করি নি। সেখানে সামনে থাকতে তোমাকে একা ছেড়ে দিব। পাগলী একটা। হ্যা পাগলীই তো। তবে শুধু আমার পাগলী।(কথাগুলা ভেবেই মনে মনে একটা মুচকি হাসি দিল।)

রাত আবার গম্ভীর হয়ে তারার দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে নিবে তার আগেই তারা বলতে শুরু করে।

তারা- স্যরি স্যরি স্যরি। আমার ভুল হয়ে গেছে। আমার কখনো আপনার সাথে রেগে কথা বলবো না আর নামিয়ে দেওয়ার কথা তো বলবোই না। তাও প্লিজ আমাকে এখানে নামিয়ে দিবেন না। দয়া করে আমাকে এখানে একা রেখে যাবেন না। দয়া করে আমাকে বাসায় দিয়ে আসুন। প্লিজ প্লিজ প্লিজ।

তারার কথা শুনে রাত হাসবে নাকি কাঁদবে বুঝতে পারছে না। তবে তার ধারণায় ঠিক। তারা ভেবেছে সে তারাকে এখানে একা ফেলে চলে যাবে।

এক মিনিট! রাত এতোক্ষণ কথাগুলো সিরিয়াসলি নেই নি। কিন্তু যখনি তার মনে হলো তারা ভাবছে সে তারাকে এখানে একা রেখে চলে যাবে তখনি তার মাথায় ধপ করে আবার আগুন জ্বলে উঠলে। মানে তারা তাকে বিশ্বাস করে না? তারা ভাবল কি করে যে রাত তাকে একা এখানে ফেলে চলে যাবে? তারার এইটুকু ভরসাও নেই রাতের উপর। ব্যাস আর কি লাগে। রাগে শরীর হির হির করে উঠল। চোখ আবার লাল হয়ে উঠল। তারপর কিছু না বলেই এক……………….

এদিকে,

এহসান মাহমুদ মাএ বাসায় ফিরেছে। স্ত্রী তানিয়া নাজরিন জলদি গিয়ে একগ্লাস পানি এনে দিলে স্বামীকে। এটা তাদের নিত্যদিনের অভ্যাস। বাড়িতে এতো কাজের লোক থাকতেও অফিস থেকে এসেই স্ত্রীর হাতের পানি চাই মাহমুদ সাহেবের। আসলে ভালোবাসার বিয়ে তো তাই হয়ত তাদের ভালোবাসা আগের থেকেই মজবুত।

তানিয়া- এসো গেছে। এই নাও পানি। আচ্ছা তারা কোথায়? তারা আসে নি তোমার সাথে? তুমি না তারাদের ভার্সিটি গেয়েছিল তারাদের নবীনবরণের জন্য তাহলে তারাকে সাথে নিয়ে আসলে না কেন?

এহসান মাহমুদ পানি খেয়ে গ্লাসটা তানিয়া নাজরিনের হাতে দিয়ে বললেন।

এহসান- আরে আস্তে আস্তে। একসাথে কতগুলো প্রশ্ন করো? আমি প্রিন্সেস কে বলেছিলাম আমার সাথে আসতে কিন্তু প্রিন্সেস আমার সাথে রাগ করে কথাই বলল না আর তুমি বলছো আমার সাথে আসবে।

তানিয়া- কেন কেন? রাগ করেছে কেন?

তারপর এহসান তানিয়াকে তারার ফাংশনের কথা বললেন।

তানিয়া- আচ্ছা এটা করার কি দরকার ছিল? মেয়েটা যখন বলেছিল না বলতে তাহলে তুমি কেন বললে?

এহসান- আরে আমি তো ওর ভালোর জন্যই বলেছি। এখন থেকে সবাই ওর এক্সটা কেয়ার নিবে।

তনিয়া- তুমি তো জানোই ওর এসব একদম পছন্দ না। তার উপর ও তোমাকে দিয়ে প্রমিস করেছিল। আমি তুমি তা ভেঙে দিলে। না জানি বাসা এসে কি কাণ্ড করে।

এহসান- আমিও তাই ভাবছি।

তানিয়া- এখন ভাবলে কি হবে? যা করার তো করেই এসেছো। এখন ভুগো।

এহসান- এই তানি তুমি এভাবে বলছো কেন? দেখো আমার এমনিতেই ভয় লাগছে তার উপর তুমি আবার ভয় দেখাচ্ছো। দিস ইজ নট ডান না?কাছে এসো তোমাকে একটু……..

তানিয়া- কিসব বলছো। সার্ভেন্টরা আছে। কেউ শুনলে পেলে কি হবে বলো তো?

এহসান- ঠিক আছে তাহলে চলো ঘরে।(মুচকি হেসে)

তানিয়া- উফ বুড়ো বয়সে যতসব ঢং। (বলেই হেসে চলে গেলেন)

এবার আর একটু অতীত জেনে নেই,

রায়হান আর এহসান কলেজ জীবনের দু বন্ধু। ভাগ্যক্রমে একই ভার্সিটিতে চান্স পেয়ে যায় তবে ডিপার্টমেন্ট আলাদা। যা তাদের বন্ধুত্বকে আরো দৃঢ় করে দেয়। তাদের কোনো কালেই প্রেমিকা নামক জিনিস ছিল না। তাদের মতে প্রেমিকা মানেই প্যারা। তাই সিংগেল হয়েই তাদের দিন কাটছিল।

তারা যখন অনার্স শেষ বর্ষে সে বছরই ভার্সিটিতে ভর্তি হয় তানিয়া। প্রথম দিন থেকেই অনিমার সাথে তার ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। একই ডিপার্টমেন্ট এ পড়ার সুবিধার্থে বন্ধুত্ব কিছুদিনের মধ্যেই বেস্টফ্রেন্ডের রুপ নেয়।

যেদিন এহসান প্রথম তানিয়াকে দেখেছিল সেদিন ছিল বসন্তবরণ ফাংশন। দুই বান্ধবী মিলে শাড়ি বসে এসেছিল সে দিন। তার এহসান আর রায়হান পড়েছিল পাঞ্জাবি।

তানিয়াকে প্রথম দেখেই এহসানের মনে ভালোলাগার শীতল হাওয়া বয়ে যায়। আস্তে আস্তে তা ভালোবাসার রূপ নেই। একদিন এহসান প্রপোজ করে তানিয়াকে। সেদিন তানিয়া কিছু না বলেই চলে যায়। এরপর থেকে এহসান তানিয়ার আগে পিছে ঘুরতে থাকে। যা তানিয়ার মনে প্রথমে ভালোলাগা আর তারপর ভালোবাসার অনুভূতির জানান দেয়। মাস দুইয়েক এহসানকে পিছনে ঘুড়িয়ে এহসানের প্রপোজে রাজী হয়ে যায় তানিয়া। তারপর থেকেই শুরু হয় তাদের প্রেমকাহিনী। কিন্তু অপর দিকেই চলছিল ৩য় বিশ্বযুদ্ধ। মানে রায়হান আর অনিমার যুদ্ধ। এরা একে অপরকে দেখতেই পারতো না। যখনি দেখা হতো তখনি ঝগড়া হতো। তাদের মধ্যে ভালোবাসা, বিয়ে, সংসার ভাবাই দুষ্কর ছিল।

রায়হান আর এহসানে মাস্টার্স শেষ। এতদিনে এহসান আর তানিয়ার ভালোবাসা আরো গাঢ় হয়ে গেছে। আর পর দিকে অনিমা আর রায়হানের ঝগড়া আগের মতোই আছে। কিন্তু কোথাও যেন রায়হানে মনে অনিমার জন্য একটা ভালোলাগা কাজ করে।এদিকে, তারা নিজের পায়ে দাড়াতে চায়। তাই নিজেরা বিজনেস করবে ভাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। কিন্তু এদিকে তানিয়ার বাড়ি থেকে বিয়ের চাপ দিচ্ছে। তানিয়া বাড়িতে এহসানে কথা জানিয়েছে। কিন্তু তানিয়ার বাবা এহসানের সাথে কিছুতেই তানিয়ার বিয়ে দিবে না। তাই উনি তানিয়াকে ঘর বন্ধী করে জোড় করে বিয়ে দিতে চান। তাই না পেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে এহসান আর তানিয়া। এদের পালাতে সাহায্য করেছিল রায়হান আর অনিমা। নিজেদের ঝগড়া ভুলে বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়েছিল তারা।

এহসান আর তানিয়া রায়হান আর অনিমার সাহায্যে বিয়ে করে। এহসানের পরিবার থেকেও তাদের মেনে নেই নি। তাই তারা প্রথমে বাড়া বাসায় উঠে। আস্তে আস্তে রায়হান আর এহসানের ব্যবসা উন্নতি হতে থাকে। ১ বছরের মধ্যেই তাদের ব্যবসা উন্নতির শিখরে পৌছে যায়।

এদিকে, রায়হানকে বাসা থেকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। কিন্তু রায়হান এতদিনে অনিমাকে মনে জায়গা দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু চেয়েও পরিবারের কাছে অনিমার কথা বলতে পারছে না। কারণ অনিমার মনের কথা তো সে জানে না। তাই পরিবারের খুশিতে বিয়েতে হ্যা বলে দেয়।

সবাই রায়হানকে মেয়ের সাথে দেখা করতে বলে কিন্তু রায়হান না করে দেয় আর বলে একবারে বিয়েতেই দেখবে। ছবি দেখাতে চাইলেও দেখে না সে। অগত্যা বিয়ে দিনই দেখে সে তার স্ত্রীকে।

আর দেখেই একটা ঝটকা খায়।

চলবে?

জানি না আমার গল্প আপনাদের কাছে কেমন লাগে। যদি ভালো লাগে তবে দয়া করে কিছু লিখে মনের ভাব জানিয়ে যাবেন। যেন আমি অনুপ্রেরণা পাই। ভুল এুটি ক্ষমার নজরে দেখবেন। ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here