#Marriage_With_Benefits
#Part_15
Writer::Sanjida Nahar Shaanj
.
.
আমার দাপট?তুমি কি বলতে চাও আমি তোমার চাচী মা হই।(ঈশানি রাগে)
ভুল বলেছেন।আপনি আমার চাচী হোন।মা না।কোনো শব্দের পরে মা লাগলে মা হওয়া যায় না।(আভি চিৎকার করে)
কি?হয়েছে কি এইখানে?(মিস:সাবিনা।আভির কেয়ার টেকার।ছোটো থেকেই আভিকে মায়ের মত মানুষ করে আসছে।আভির দাদুর খুব বিশ্বস্ত একজন লোক।আভিও উনাকে খুব ভালোবাসে।)
মিস:সাবিনা।দাদু কি সত্যি মানা করেছে আমার স্ত্রীর খাবার বানানোর জন্য?(আভি)
আমাকে তো এই ব্যাপারে কিছু বলা হয় নি! মি:চৌধূরী আমাকে এই ব্যাপারে এখন কিছু বলে নি।(সাবিনা)
কিন্তু আমাকে বলে দিয়েছে।ওই ভিখারীর বাচ্চার জন্য যেনো কোনো খাবার না বানানো হয় (ঈশানি)
মিস:ঈশানি(আভি রাগে চিৎকার করে)
আভি,,(সাবিনা আভিকে শান্ত হওয়ার জন্য ইশারা করলো)
মিস:ঈশানি।যেহেতু এই বাড়ির সবার খেয়াল রাখার দায়িত্ব আমার।সেহেতু আভি আর ওর স্ত্রীর খেয়াল রাখার দায়িত্বও আমার।আর আমাকে আরমান স্যার কিছু বলেনি।তাই আমি আপনার কথা মানতে পারলাম না।এই জন্য ক্ষমা করবেন।এই(একজন সেভেন্ট কে উদ্দেশ্য করে)আভির স্ত্রীর জন্য খাবার দাও।
(সাবিনা খুব শান্ত ভাবেই বললো। মিস:সাবিনার স্বভাব খুব শান্ত।উনি ঠান্ডা মাথায় কাজ করার লোক।মুখে সব সময় গম্ভীর ভাব নিয়ে থাকে।প্রয়োজন ছাড়া কথা বলে না।আভি আর ওর দাদুর মধ্যে প্রায় জিনিসের মীমাংসা তিনি করে দেন নাহলে এত ক্ষন দাদী নাতির বিশ্ব যুদ্ধ শুরু যেতো।বাহির সবার খাওয়া থেকে শুরু করে পরা পর্যন্ত উনার দায়িত্ব।আর উনি উনার দায়িত্ব খুব ভালো করেই পালন করছে।)
ঈশানি মুখ ভেংচি দিয়ে চলে গেলো।
থ্যাংকস মিস:সাবিনা।সব সময়ের মতো এইবারও আপনি ঠিক সময় এন্ট্রি নিয়েছেন।(আভি মুচকি হেসে)
ব্যাপার না।খাবার নিয়ে যাও।আর হা তোমার খাবারও নিয়ে যাও একসাথে।
বলেই সাবিনা সেখান থেকে চলে গেলো।
আভি আর একজন সার্ভেন্ট খাবার গুলো নিয়ে গেলো রুমে।
এইদিকে আস্থা ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে বসে বসে নিজের চুল ছিরছে। মানে চুলে যেই টায়রা আর খোপায় যেই ফুল লাগিয়েছিল তা টেনে টুনে খুলছে।
দূর বাবা।এই ফুল গুলো কি করে লাগানো হলো।খুলতেই চাইছে না আমার চুল গুলো ছেড়ার কাম।(আমি)
আভি সার্ভেন্টকে দিয়ে খাবার গুলো সব টেবিলে রেখে।তাকে বিদায় দিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে দিলো।
কি হলো?পেত্নীর মতো চুলের এই অবস্থা করেছো কেনো?(আভি ভ্রু কুঁচকে)
কি করবো?না ফুল গুলো খুলছে আর না টায়রা।সব গুলো একসাথে পেচ লেগে বসে আছে।আর আমার চুল গুলো সব ছিড়ে যাচ্ছে।(আমি কাদো কাদো হয়ে)
আভি মুচকি হেসে বলল
দাও আমি সাহায্য করি।
না না।আমি পারবো আপনার কোনো হেল্প করতে হবে না।(আমি উনাকে বাধা দিতে লাগলাম)
সরো তো।হেল্প করতে সমস্যা নেই আমার।(বলেই আভি আমাকে বসিয়ে মাথার হাত দিলো)
উনি খুব আলতো করে আমার খোঁপার ফুল গুলো খুলছে।কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমার।আমার ঘাড়ে প্রচন্ড সুরসুরি।উনার হাত যখনই আমার ঘাড়ে স্পর্শ করছে তখনই আমার শরীর ঝাড়া দিয়ে উঠছে।
অন্যদিকে
এই মেয়েটির সেন্টিভ পয়েন্ট মনে হয় এই জায়গা।যখনই টাচ করছি। নড়েচড়ে উঠছে। ও হয়ত ভাবছে আমার অজান্তেই হাত স্পর্শ করছে।কিন্তু ও জানে না আমি ইচ্ছে করে করছি।আমার খুব ভালো লাগছে ওকে বিরক্ত করতে।(আভি মনে মনে খুশি হয়ে)
আভি আমার মাথার খোঁপা থেকে সব ফুল গুলো খুলে দিলো।আশ্চর্য ব্যাপার আমার একটা চুলও ছিড়লো না।আমি একটু ব্যাথা পেলাম না।
এখন উনি আমার সামনে এসে আমাকে টায়রা খুলছে।টায়রা খুলার সময় উনার মুখ একদম আমার মুখের সামনে এসে পড়লো।দূরে থেকে কেউ দেখলে বলবে উনি আমাকে কিস করছে।উনার এতো কাছে আসা আমার কেমন যেনো লাগলো।তাই আমি তাড়াতাড়ি নিজের চোখ বন্ধ করে দিলাম।
আভি আস্থার কান্ড দেখে হাসছে
নিহাল ঠিকই বলছে! ও মরে যাবে কিন্তু আমার অ্যাডভান্টেজ কখনও নিবে না।সব সময় এই মেয়ের সাহসী রূপ দেখছি এই প্রথম আমি ওর লজ্জা মাখা মুখ দেখলাম।সত্যিই লজ্জা মেয়ে মানুষের ভূষণ তা আজ ভালোকরে বুঝতে পারলাম।ওর মুখে লজ্জা খুব মানাচ্ছে।
আভি এইসব ভাবছে তখনই আস্থা বলে উঠলো।
কি হলো?খোলা হয়েছে?(আমি চোখ বন্ধ করে)
হুম।হুম।এইতো হয়ে আসলো।একটুও ধৈর্য বলতে নেই!(আভি)
এতক্ষন লাগে বুঝি।(আমি)
হ্যা।এই নাও হয়ে গেছে শান্তি!(আভি)
অনেক শান্তি(আমি জোরপূর্বক হাসি দিয়ে)
আচ্ছা।শুনো তুমি এইগুলো খুলতে খুলতে আমি ফ্রেশ হয়ে আসি!(আভি)
ঠিক আছে।(আমি)
আভি ওয়াশরুমে ঢুকলো।আমি এইদিকে নিজের গয়না গুলো খুললাম।খুলে বেলকনির দিকে গিয়ে দাড়ালাম।
এই বাড়িটা শহর থেকে একটু ভিতরে।বাহিরে তাকালে দেখা যায় সামনের ব্যাস্ত তম শহরটা। কতো জলমল করছে।দেখে খুব ভালো লাগছে।
আমি বাহিরের অট্টালিকা উপভোগ করছিলাম তখনই আভি পিছন থেকে বললো
আস্থা। যাও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও।
আমি উনার দিকে তাকিয়েই চিৎকার করে উঠলাম
আ আ(আমি)
কি হলো?চিৎকার করছো কেনো?(আভি আমার কাছে এসে)
যান যান।আমার থেকে দূরে থাকুক।(আমি উনাকে দূরে সরিয়ে)
কি হলো?(আভি অবাক হয়ে)
আপনার কি লজ্জা শরম বলতে কিছু নেই।এমন খালি গায়ে ঘুরছেন কেনো আপনি?(আমি হাত দিয়ে বন্ধ করে)
কই আমি তো টাওয়েল পেঁচিয়ে আছি!(আভি ভ্রু কুঁচকে)
টাওয়েল পেঁচিয়ে থাকলেই কি হবে?আপনি খালি গায়ে ঘুরছেন লজ্জা করছে না(আমি)
আমার আবার কিসের লজ্জা?আর আমি ওয়াশরুমে কিছু নিয়ে যাই নি তাই টাওয়েল পেচিয়ে বের হতে হলো।(আভি)
আপনি বললে কি আমি কাপড় দিতে পারতাম না?এইভাবে বেরিয়ে আসতে হলো!লজ্জা নেই আপনার(আমি)
না।এই আমার থেকে তো বেশি তুমিই লজ্জা পাচ্ছো।এতো হ্যান্ডসাম ছেলে দেখে মুখখানা তোমার লাল হয়ে গেছে তাই না আমার বউটা।
বলেই আভি আমার দিকে ঝুকে গেলো।
হবেই তো নির্লজ্জের মতো আপনি ঘুরতে পারবেন আর বললেই দোষ।আর আমার মুখ মোটেও লজ্জায় লাল হচ্ছে না।গরমের লাল হচ্ছে।(আমি অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে)
মিসেস আভি চৌধূরী।মিথ্যা কথা বলতে না পারলে না বলা উচিত না। হাই পাওয়ার এসি চলছে আর আপনার নাকি গরম লাগছে?(আভি ভ্রু কুঁচকে)
আমার শরীর আমি বুঝতে পারছি আমার গরম লাগছে কি না?(আমি)
ও তাহলে আপনি আমাকে দেখে হট ফিল করছেন?(আভি ভাব নিয়ে)
আমি তো আপনাকে,,,
বাকিটুকু বলতে যাবো তখনই উনি আমাকে আটকে বললো
যাও ফ্রেশ হয়ে নাও।অনেক রাত হয়েছে।(আভি)
কিন্তু আমি ফ্রেশ হয়ে কি পড়বো?কিছু তো আনি নি(আমি)
তাও তো কথা।আমারও তো এতো কিছুর খেয়াল ছিলো না।(আভি মাথা চুলকাতে চুলকাতে)
আমি চুপ করে দাড়িয়ে আছি।
Wait।বলেই উনি আলমারি খুললো।সেখান থেকে একটা সাদা সুতি কাপড়ের পাঞ্জাবি বের করলো।
এইটা কি?এইটা দিয়ে করবেন?(আমি অবাক হয়ে)
এইটা এখন তুমি পড়বে!(আভি)
আমি,,?এইটা পড়বো?(আমি আরো অবাক হয়ে)
হ্যা।এইটাই একমাত্র কাপড় যা আমার ছোটো হয়।বাকি গুলো তোমার অনেক বড় হবে।(আভি)
এইটা আমার লম্বায় ঠিক হলেও এইটা পরলে আমাকে কাকতাড়ুয়া দেখা যাবে।(আমি)
কিছু করার নেই।আজ রাতটা অ্যাডজাস্ট করতেই হবে।আর তুমি যদি না চাও তাহলে শাড়ি পড়েই ঘুমাও।(আভি)
এই শাড়ি পরে ঘুমালে আমি প্যাচ খেয়ে মরবো!এইটাই দেন আমি পরে নিচ্ছি(আমি)
এইতো লক্ষী বউ আমার।আর এই নাও ট্রাউজারটা।
বলেই আভি মুচকি হাসি দিলো।
আমার উনার হাসি দেখে গা জ্বলে যাচ্ছে।আমি পাঞ্জাবি আর ট্রাউজরটা নিয়ে ওয়াশ রুমে ঢুকে পড়লাম।
।
।
অন্যদিকে আভি ড্রেস চেঞ্জ করে বেলকনিতে গিয়ে নিহালকে ফোন করলো।
হ্যাল্লো।বন্ধু বিড়াল মারা কি কমপ্লিট?(নিহাল)
না। বিড়ালের কি করে মারবো বলতো?বিড়াল তো পিছন থেকে যে পালিয়ে গেছে কখন জানি না।এখন বিড়ালকে পাই।ইচ্ছা মত কেলাবো!
কি কেলাবি?তুই কবে থেকে আস্থা বুলি বলা শুরু করলি?(নিহাল হাসতে হাসতে)
ওই মেয়ের সাথে থাকার কিছু তো প্রভাব আমার উপরও পড়ছে।(আভি মাথায় হাত দিয়ে)
দেখিস বিয়ে শেষ হতে হতে না।আবার পুরো প্রভাবই পরে(নিহাল)
ওইসব নিয়ে তোর চিন্তা করতে হবে না!এখন বল তুই কোথায় গায়েব হয়ে গেছিলি পিছন থেকে?(আভি)
যখন তোদের বরণ পালা চলছিলো।তখনই পিছন থেকে কেটে পড়ি আমি!(নিহাল জোরপূর্বক হাসি দিয়ে)
তোকে তো মীর জাফরের উপাধি দিয়া দরকার।কি সুন্দর করে পালিয়ে গেলি(আভি দাঁত চেপে চেপে)
আরে রাগ করিস কেনো?আমি জানি তো আমার যোদ্ধারা বাকিটা একাই সামলে নিবে।এখন বল পরিস্থিতি কেমন?(নিহাল)
ভালোই।এখন দাদুকে মজা দেখানোর পালা।(আভি)
আচ্ছা।যা করিস ভেবে চিন্তে করিস।(নিহাল)
হুম।যার জন্য তোকে ফোন দাওয়া তা শোন।আস্থার জন্য কাল সকালে কিছু কাপড় নিয়ে আসিস তো।(আভি)
আচ্ছা।তাহলে এখন রাখি কাল দেখা হবে। খোদা হাফেজ।(নিহাল)
খোদা হাফেজ।
বলেই আভি ফোনটা কেটে দিলো।
আভি বাহিরে তাকিয়ে আছে।আজ আমার বিয়ে হয়ে গেলো।আমি এখন কারো স্বামী। স্বামী কথা শুনতেই এক শিহরণ জাগায়।অনেক দায়িত্ব বোধ কাজ করে।খুব ভালো লাগে। স্বামী হাওয়ার অনুভূতিটা খুব সুন্দর।
।
।
অন্যদিকে আস্থা ওয়াশ রুমে থেকে বেরিয়ে
আভি,,(আমি)
আভি আমার দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে গড়িয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়ে গেলো।
কি হলো হাসছো কেনো?(আমি)
আস্থা তোমাকে সত্যি কাকতাড়ুয়া লাগছে!(আভি হাসতে হাসতে)
হইছে আপনার?(আমি গিয়ে বেডে মুখ ফুলিয়ে বসে আছি)
আভি একটা টাওয়েল নিয়ে এসে আমার মাথার চুল গুলো মুছে দিচ্ছে।
কি করছেন?(আমি অবাক হয়ে)
চুলে পানি থাকলে ঠান্ডা লাগবে।(আভি)
আমি চুপ করে আছি।মনে মনে অনেক ভালোলাগছে।কেউ এতো যত্ন করে আমার চুল মুছে দিচ্ছে।এইটা আমার জীবনে প্রথম।নিজের অজান্তেই আবার আমার মুখে হাসি ফুটলো।
তুমি আবার এইটা ভেবো না যে এইটা আমি তোমার জন্য করছি।তুমি অসুস্থ হলে আমার নাটকের বারোটা বাজবে তাই এমন করছি।ক্ষতি টা তো আমারই হবে।(আভি আমার মাথা মুছতে মুছতে কথা গুলো বললো)
উনার এই কথা শুনে আমার মুখের হাসি বিলিয়ে গেলো।এই পৃথিবীতে কেউ স্বার্থ ছাড়া কিছু করে না।মানুষ নিজের স্বার্থটাই আগে খুঁজে। মি:কোবরা ও তো মানুষই। উনিও নিজের স্বার্থ আগে খুঁজবে।ভুলটা আমারই আমিই একটু বেশিই আশা করছিলাম।এই marriage with benefits থেকে আমার এতো কিছু আশা করা উচিত হয় নি।
আমার ভাবনার ছেদ পড়ল আভির কথা শুনে।
এই নাও হয়ে গেছে।যাও এখন ঘুমাও।(আভি)
আমি বেডে শুয়ে পড়লাম।তখনই উনি আমার পাশে শুয়ে পড়লো।এইটা দেখে আমি তাড়াতাড়ি করে উঠে বললাম।
এইটা কি করছেন?(আমি)
কি করছি মানে?(আভি অবাক হয়ে)
আপনি আমার পাশে ঘুমাচ্ছেন কেনো?(আমি)
তাহলে কোথায় ঘুমাবো?(আভি)
সোফায় ঘুমান!(আমি)
কি আভি চৌধূরী সোফায় ঘুমাবে?(আভি ভাব নিয়ে)
তো কি আমার পাশে ঘুমাবেন?(আমি অবাক হয়ে)
তোমার যদি সমস্যা থেকে তাহলে তুমি গিয়ে সোফায় ঘুমাও!(আভি)
ওকে।নো সমস্যা।আমি এখুনি সোফায় যাচ্ছি।
বলেই বালিশ আর চাদরটা নিয়ে সোফায় এসে বসলাম।
খুব শখ না সোফায় ঘুমানোর!ঘুমাও!গুড নাইট।
বলেই আভি ওপাশ করে শুয়ে পড়লো।
গুড নাইট।
বলেই সোফায় ঘুমিয়ে পড়লাম।
।
।
চোখে আলো পড়তেই ঘুম ভাঙলো।রাতের ঘুমটা ভালোই হয়েছে।যদিও সোফায় ঘুমিয়ে ছিলাম।তবুও খুব ভালই ঘুম হলো।
ঘুম ভাঙতেই দেখি মি:কোবরা এদিকে মুখ করে ঘুমিয়ে আছে।
কতো ইনোসেন্ট লাগছিলো উনাকে।কেউই বলতে পারবে না এই লোকটার নাকের ডগার এতো রাগ থাকে।আমার কেনো জানি উনার ঘুমন্ত চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকলে অনেক ইচ্ছা করছে।কি হচ্ছে ইদানিং আমার।
হটাৎ উনি মোচরা মুচরি করা শুরু করলো।মনে হয় উঠে যাবে না।এই পূর্বাস পাওয়া সাথে সাথেই আমি ঘুমানোর ভাব নিয়ে চোখ বুজে নিলাম।
আর উনি সত্যিই ঘুম থেকে উঠে পরলো।উঠেই এসে আমার গাল ধরে টেনে দিলো।তারপর ওয়াশরুমে চলে গেলো।এইদিকে আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
কি হলো? মি:কোবরা ঘুম থেকে উঠেই আমার গাল টেনে দিলো।এইটা কি বিয়ের পর কাপলরা করে?আমি গালে হাত দিয়ে ভাবতে লাগলাম।
তখনই চোখ গেলো ঘড়ির কাঁটার দিকে।তাকিয়ে দেখি প্রায় বারোটা বাজতে চললো।এতো ক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম আমি। অবশ্য কালকের ধকলে আমি খুব ট্রাইড ছিলাম।কাল রাতেও দেরি করে ঘুমিয়ে ছিলাম।আজ ভার্সিটি কামাই করতেই হবে কোনো উপায় নেই।ডালিয়াকে বলে পড়াগুলো জানা যাবে!কিন্তু পার্ট টাইম জব থেকে ছুটি নিয়া যাবে না।সেখানে নতুন জয়েন্ট করছি।ছুটি নিলে সমস্যা হবে।এইসব ভাবতেই আভি বলে উঠলো।
উঠে গেছো আস্থা!(আভি)
যেই জোরে গাল ধরে টেনে দিলেন।না উঠে কি আর পারা যায়!(আমি)
তোমার গুলোমুল গাল দেখলে শুধু টানতেই মন চায়।(আভি
আমি কি আপনার বিয়ে করা বউ?(আমি ভ্রু কুঁচকে)
সেকি ভুলে গেলে কালকেই তো আমরা বিয়ে করছি(আভি দুষ্টু হাসি দিয়ে)
আমি জানি বিয়ে করছি!তা আর মনে করাতে হবে না।(আমি বিরক্ত হয়ে)
দেখো আস্থা।আসল কাপলরা কপালে চুমু দিয়ে
ঘুম থেকে উঠে।আমরা নকল তাই তোমাকে গাল টেনে উঠলাম।
।
।
চলবে,,,