Happily_Married পর্ব ৩

#Happily_Married👊
#Part_3
Writer:: Shaanj Nahar Sanjida


দূর।এই কালির দাগ উঠতেই চাচ্ছে না।বিরক্তকর।(আমি ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে বসে)

আরো মাখ আলতু ফালতু জিনিস।(পিয়া শুয়ে শুয়ে)

একটা লাথি মেরে খাট থেকে ফেলে দিবো?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

তা আমি খুব ভালো করেই জানি।তোর সাথে ঘুমালে আমার লাথি উষ্ঠা কতো কিছু যে খেতে হবে!(পিয়া)

আমি আর কিছুই বললাম না।বরং মুখ থেকে কালি উঠতে ব্যাস্ত হয়ে পড়লাম।আমার বিয়ের আগ পর্যন্ত পিয়া আমার সাথে আমার রুমেই থাকবে। যাতে আমি না পালাতে পারি।আমার আব্বুর হুকুম।

ভাবা যায় আমার আব্বুই আমাকে বিশ্বাস করে না!(আমি নিরাশ হয়ে)

তোকে আঙ্কেল কেনো?কেউই ভরসা করতে পারবে না।কারণ তুই তো মানুষ না তুই মানুষ রুপি মসিবত।(পিয়া)

কি দিনকাল আসলো!যে পাচ্ছে সেই ইনসাল্ট করে দিচ্ছে!নিজের কোনো সম্মান রইলো না।(আমি মনে মনে)

মান সম্মান বানের জলে ভাসিয়ে দিয়ে এখন এই কথা বলছিস?(পিয়া)

এই তোকে কে বলছে আমার মনের কথা পড়তে যা গিয়ে ঘুমা।(আমি রেগে)


চৌধুরী বাড়িতে
মেয়ে দেখা শেষ?(আলিফ)

হ্যা।অনেক ভালোই এক্সপিরিয়েন্স হলো আমাদের।(আলেয়া ক্লান্ত হয়ে)

এখন ভাবছে কেনো সবাই বলেছে ওই মেয়েই তোর জন্যে পারফেক্ট।(আলিশা মাথা ধরে সোফায় বসল)

তাই নাকি?।তা বলো কি কি করলে তোমরা?(আলিফ মুচকি হেসে)

আম্মু আব্বু তোমরা বলো আমি তো গিয়ে ঘুমাচ্ছি।আর প্লিজ আমাকে কেউ ডাক দিবে না।আজ তো যতক্ষণ ইচ্ছে ঘুমাবো।
বলেই আলিশা উপরে চলে গেলো।

তুমিও কি ঘুমাতে যাবে?নাকি চা করে এনে দেবো?(আলেয়া)

না থাক লবণ চা খেয়ে চা খাওয়ার ইচ্ছা এক মাসের জন্য হরতালে চলে গেছে।আমিও গিয়ে ঘুমাই।
বলেই রামিম উপরে চলে গেল।

কি হচ্ছে আম্মু?তোমরা এতো ক্লান্ত কেনো?(আলিফ অবাক হয়ে)

আলিফ,বাবা আমরা পরে বলছি কি হচ্ছে এখন নিজেও ঘুমাতে যাও আমাদেরও ঘুমাতে দাও।আর কালকেই কথা হবে।
বলেই আলেয়া উপর চলে গেলো।

নিচে দাড়িয়ে দাড়িয়ে আলিফ ভাবতে লাগলো,,
কি এমন হলো যে আম্মু, আব্বু,আলিশা সবাই এতো ক্লান্ত হয়ে গেছে।
আলিফ ভাবছে তখনই পেছন থেকে একটা বডিগার্ড এসে বললো
স্যার।আপনি যা করতে বলেছেন।আমি করেছি এই নিন রেকর্ড।

ধন্যবাদ।
বলেই আলিফ পেন ড্রাইভটা নিলো।

আসলে সেই বাড়িতে কি কি হয়েছে এই সব জানতে আলিফ একজন বডিগার্ড দিয়ে সব কিছু রেকর্ড করিয়েছে।


আলিফের রুমে
আলিফ লেপটপ অন করে ভিডিওটা দেখতে শুরু করলো।

ভিডিও দেখার পর।কিছুক্ষণ পর্যন্ত চুপ করে রইলো তারপর হাসতে হাসতে না পারে গড়াগড়ি খেতে।

হিয়া।এই প্রথম আমি এতো হাসলাম।হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেল আমার।তবে যাই হোকনা কেন!মিস হিয়া you are really ইন্টারেস্টিং।তুমি যতই বিয়ে ভাঙতে চাও ততই এই বিয়ে করতে আমার ইচ্ছে করে।তোমাকে বিয়ে করা আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ।তুমি যাই কিছু করো না কেনো বিয়ে তো তোমায় করতেই হবে। তাও আমাকে। যাই হোক বিয়ে আর পনেরো দিন পরে।এক চিন্তা তো দূর হলো।আর এই মেয়েকে কোনো সুযোগ দেয়া হবে না বিয়ে ভাঙার।
তবে এই সাজে তোমাকে ভালোই মানিয়েছে।পেত্নী।
বলেই আলিফ আবার ভিডিও দেখতে দেখতে হাসতে শুরু করলো।


হিয়াদের বাড়ি
হাচ্ছু,,হা হা হাচ্চু

কিরে হিয়া এমন করে হাছি দিচ্ছিস কেনো?(পিয়া শুয়ে শুয়ে)

কেউ মনে হয় আমাকে নিয়ে কিছু বলছে?(আমি শুয়ে শুয়ে)

মনে হয় ফিউচার দুলাভাই?(পিয়া মজা করে)

হ্যা হ্যা।অনেক হাসি পাচ্ছে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেল আমার।(আমি ভ্রু কুঁচকে)

আচ্ছা।শুন তুই তো তোর হবু বরকে দেখলিও না?না দেখেই বিয়ে করবি?(পিয়া)

দেখে কি হবে?বিয়ে করলে তো?(আমি)

তুই এখনও বিয়ে ভাঙার চেষ্টায় আছিস?(পিয়া)

জীবনের শেষ রক্ত দিয়ে চেষ্টা করে যাবো।বুঝলি?(আমি)

হুম।বুঝছি!(পিয়া)

আচ্ছা।শুন উনারা খুব ভালো মানুষ না?(আমি)

হুম।(পিয়া)

খারাপ লাগলো তাদের সাথে এতো কিছু করলাম!(আমি)

এখন খারাপ লাগার কি আছে?যা করার তাতো করেই ফেলেছিস!(পিয়া)

তাও ঠিক।বিয়ে ভাঙার পর ক্ষমা চেয়ে নেবো।আচ্ছা তোর কি মনে হয় তাদের ছেলে দেখতে কেমন হবে?(আমি)

আমি কি জানি?(পিয়া)

খুব সুন্দর হবে?নাকি বুরিওলা হবে?(আমি)

জানি না।আমি তো দেখি নাই।(পিয়া)

কালো হবে না সুন্দর হবে?নাকি চকলেট ফেস হবে?(আমি)

আমি বরং একটা কাজ করি।আঙ্কেলকে বলে তোকে ওই বাড়িতে পাঠিয়ে দেই।নিজে গিয়েই না হয় দেখে আসবি!(পিয়া রেগে)

রাগ করছিস কেনো?আমি তোকে বলবো না তো কাকে বলবো?তুইই তো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।
বলেই আমি পিয়াকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লাম।


মাঝরাতে
আলিফ বেলকনিতে দাড়িয়ে আছে তখনই ওর ফোনে একটা ফোন আসলো

ফোন দেয়ার সময় হলো তোর?(আলিফ)

হ্যালো না বলে।আগে কমপ্লেইন করতে শুরু করলি।এই তোর বেস্ট ফ্রেন্ড শিপ।(পিয়াস– আলিফের বেস্ট ফ্রেন্ড)

না বলবো না।বল কেনো ফোন দিয়েছিস?তোর ওয়ার্ল্ড ট্যুর তোকে বোর করে দিয়েছে?(আলিফ)

ভুলেও না।তবে শুনলাম কেউ বিয়ে করছে?আমাকে জানানোর তো প্রয়োজন পড়ে না তাই আমি নিজের ইচ্ছায় ফোন দিলাম।(পিয়াস)

তুই কি করে জানলি?(আলিফ)

আলিশা FB তে পোস্ট দিলো।ভাইয়া ইজ গেটিং Happily married।(পিয়াস)

আলিশা!(আলিফ)

তা কাহিনী কি?(পিয়াস)

আয় পরে বলবো!(আলিফ)

কালকের ফ্লাইটেই আসছি।(পিয়াস)

ওকে।তাহলে রাখি।আসলেই কথা হবে।safe journey।(আলিফ)

ওকে।আল্লাহ হাফেজ।
বলেই পিয়াস ফোনটা কেটে দিলো।


সকাল
হিমেল সাহেব রান্না করছিলো তখনই কেউ ওদের দরজায় নক করলো।
হিমেল সাহেব দরজা খুলতেই দেখলো একজন লোক অনেক গুলো বিয়ের কার্ড নিয়ে হাজির।

আপনি?(হিমেল সাহেব)

আলিফ স্যার পাঠিয়েছে!বিয়ে কার্ড দেখাতে!দুই পক্ষ থেকে একসাথে কার্ডের অর্ডার দেবে(লোকটা)

আচ্ছা।দিন।
বলেই হিমেল কার্ডের সেম্পল গুলো নিলো।

কার্ড গুলো বসার রুমের টেবিলে রাখতেই হিমেলের ফোনে একটা ফোন আসলো,,,
আসসালমুআলাইকুম (হিমেল সাহেব)

অলাইকুম আসসালাম বাবা!আমি আলিফ বলছি!(আলিফ)

ছোটো স্যার?(হিমেল সাহেব অবাক হয়ে)

প্লিজ আমি আপনার ছেলে এখন।ছোটো স্যার বলবেন না। তা কেমন আছেন।(আলিফ)

ভালো বাবা!তুমি কেমন আছো?(হিমেল সাহেব)

আলহমদুলিল্লাহ।আপনি কি কার্ড গুলো পেয়েছেন?(আলিফ)

হুম!(হিমেল সাহেব)

তাহলে দেখে সিলেক্ট করে বলবেন।আর হিয়াকে নিয়ে কালকেই শপিংয়ে যাবেন ওর কি কি লাগবে?বিয়েতে কি কি পড়বে সব কিনে আনবেন।(আলিফ)

বাবা আমার মেয়েকে বিয়ের জন্য কিছু নিয়ে রাজি করানো খুব একটা সহজ না।(হিমেল সাহেব)

আপনি যখন ওর সাথে কথা বলবেন ফোনটা অন রেখে কথা বলবেন।আমিও শুনতে চাই ও কি বলে?(আলিফ)

আচ্ছা।বাবা।(হিমেল সাহেব)

তাহলে রাখি বাবা।
বলেই আলিফ ফোনটা কেটে দিলো।


হিয়ার রুমে
হিয়া ঘুমের মধ্যে কখন যে পিয়াকে লাথি মারে খাট থেকে ফেলে দিয়েছে তার ঠিক নেই।

মাগো আমার কোমরটা গেলো গো গেলো!(পিয়া ফ্লোরে কোমর ধরে বসে আছে)

কিরে তুই সকাল সকাল ফ্লোরে কি করছিস?(আমি চোখ কচলিয়ে)

All thanks to you,,, লাথি মেরে ফেলে দিয়ে এখন জিজ্ঞেস করছে কি করছি!(পিয়া)

সকাল সকাল মিথ্যা অপবাদ দিস না তো!(আমি)

তোর বরের কি হবে তাই ভেবে আমার আফসোস হচ্ছে!(পিয়া উঠে)

আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই আব্বু বাহির থেকে,,
মহারানিদের ঘুম ভাঙলো?(হিমেল সাহেব)

হুম।ভাঙছে। ফ্রেশ হয়ে আসছি।(আমি আর পিয়া)

পরেই দুজন ফ্রেশ হয়ে বাহিরে গেলাম।

আমি বসার রুমে বসেই টিভিটা অফ করে ফুল ভলিউম দিয়ে গান শুনতে করলাম। পিয়াও বসার রুমে আমার পাশে বসলো।কিন্তু ওর চোখ গেলো টেবিলে থাকা কার্ড গুলোর উপরে।

আঙ্কেল এইসব কি?(পিয়া)

আমিও কার্ড গুলোর দিকে তাকিয়ে টিভির সাউন্ড কমিয়ে দিলাম।

এইটা হিয়ামনির বিয়ের কার্ড!ছেলে পক্ষ পাঠিয়েছে দেখে সিলেক্ট করে দিতে বলছে!(হিমেল সাহেব রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে)

মাশাআল্লাহ কি সুন্দর!তাইনা হিয়া?(পিয়া কার্ড গুলো দেখে)

Not interested,,
বলেই উঠে রান্না ঘরের দিকে হাটা শুরু করলাম।

তাতে ইন্টারেস্ট থাকবে কেনো?কোন দিক দিয়ে বাপের ব্লাড প্রেসার হাই করবে,,তার যেনো হার্ট এ্যাটাক হয় সেদিকে ইন্টারেস্ট উনার।(হিমেল সাহেব রেগে)

একে তো তোমার না প্রেসার আছে না কোনো হার্ট প্রবলেম আছে।তাই কথায় কথায় এইসবের দোহাই দিও না তো!আর তুমি এখনও তৈরি হও নি কেনো?অফিসের জন্য লেট হবে না।তুমি তো আমার অফিস বলতে পাগল।(আমি ফ্রিজ খুলতে খুলতে)

হো কইসে তোরে!আমি তোর বিয়ের আগ পর্যন্ত অফিসে যাবো না। বস না করেছে।(হিমেল সাহেব)

এইবার তোমার অফিস বিরহে হার্ট প্রবলেম হবে।(আমি ফ্রিজে কিছু খুঁজতে খুঁজতে)

মাঝে মাঝে মনে হয় থাপ্পড় মেরে তোর দাত গুলো ফেলে দেই।আর কি তখন থেকে ফ্রিজে কি খুঁজছিস?(হিমেল সাহেব)

আইস ক্রিম খুঁজছি।কোথায় আছে?(আমি)

সকাল সকাল আইস ক্রিম খাবি?(হিমেল সাহেব ভ্রু কুঁচকে)

সকাল সকাল তোমার বকা খেতে পারি আর আইস ক্রিম খেতে পারবো না?(আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব ধরে আইস ক্রিম নিয়ে সোফায় বসলাম)

যেই আইস ক্রিম মুখে দিয়ে গিলতে যাবো ওমনি আব্বু বলে উঠলো
কালকে তুই,পিয়া আর পিউ শপিংয়ে যাবি বিয়ের!

আমি কোনমতে আইস ক্রিম গিলে কাশি দিতে দিতে বললাম
আমি কোনো কেনা জিনিস পড়বো না!এতো বড়লোক বাড়ি আমাকে বউ করে নিয়ে যাচ্ছে।তাদের বলো এই শহরের বেস্ট ডিজাইনার দিয়ে আমার বিয়ে আর গায়ে হলুদের লেহেঙ্গা আর জুয়েলারি তৈরি করতে হবে।যা হবে শুধু আমার জন্য,স্পেশালি আমার জন্য ডিজাইন করা।(আমি আবার আইস ক্রিম মুখে দিয়ে)

শুরু হয়ে গেছে।হিয়ার পনেরো হাজার প্ল্যান বিয়ে ভাঙার। প্ল্যান নম্বর ওয়ান তাদেরকে বিয়ের শপিং করাতে করাতে ফকির বানিয়ে ফেলো।হিয়া তুই মানুষও বটে।(পিয়া মনে মনে)

ইস যেই না চেহারা নাম তার পেয়ারা।তুই না বিয়েই করতে চাস না ডিজাইনার লেহেঙ্গা পরে কি করবি?(হিমেল সাহেব)

পালাবো!আমার অনেক দিনের শখ ডিজাইনার লেহেঙ্গা পরে পালানোর!(আমি বিড়বিড় করে)

কিছু বললি?(হিমেল সাহেব)

না না।কিছু না।বিয়ে যখন করছি শর্ত তখন মানতেই হবে।(আমি)

বিয়ে করে যেনো উপকার করছে।
হিমেল আরো কিছু বলতে যাবে তার আগেই তার ফোন একটা ফোন আসলো।
সে ফোন রিসিভ করতে তার রুমে চলে গেলো,,


রুমে
আসসালমুআলাইকুম বাবা!শুনলে তো আমার মেয়ের কথা।তবে তুমি কিছু মনে করো না!আমি ঠিক ওকে বুঝিয়ে বলবো!(হিমেল সাহেব)

নাহ বাবা।হিয়া ঠিকই বলছে। ও আমাদের বাড়ির বউ হতে চলেছে ওকে তো স্পেশাল হতেই হবে।আর ও এমনিতেই স্পেশাল।আর পাঁচ ছয় দিন পরেই আমি ডিজাইনার লেহেঙ্গা পাঠিয়ে দিবো আপনি ওর মাপ আমাকে পাঠিয়ে দিবেন।আম্মুর এক ভালো ডিজাইনার বান্ধুবি আছে।উনিই বানিয়ে দেবে।(আলিফ)

আমরা শুধু শুধু তোমাকে কষ্ট দিচ্ছি।বাবা।(হিমেল সাহেব)

এতে কষ্টের কিছু নেই বাবা।(আলিফ)

আমার মেয়েটা একটু অন্যরকম কিন্তু ও অনেক ভালো।তুমি ওর সাথে সময় কাটিয়ে দেখ। ও যাকে ভালোবাসে তাকে মাথায় করে রাখে।(হিমেল সাহেব)

ভালোবাসা?(আলিফ বিড়বিড় করে)

কি হলো?কিছু বললে?(হিমেল সাহেব)

না।বাবা আমি আজ রাখি অনেক কাজ পরে আছে।(আলিফ)

আচ্ছা বাবা।
বলেই হিমেল সাহেব ফোনটা কেটে দিলো।


হিমেল সাহেব বসার রুমের দরজার কাছে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছে হিয়াকে,,,,
আমি আর পিয়া বসার রুমে বসে রইলাম
খাবি?(আমি পিয়াকে আইস ক্রিম দেখিয়ে)

না।খালি পেটে আমার হাবিজাবি খাওয়ার কোনো শখ নেই।আরো এই সব খেলে আমার পেট ব্যাথা করে।যাইহোক এদের মধ্যে কোনটা ভালো হবে?(পিয়া আমাকে কার্ড গুলো দেখিয়ে)

আমি এইসব ব্যাপারে জানি না!তুই দেখ কোনটা তো ভালো হবে।(আমি)

আচ্ছা আমি সিলেক্ট করি তুই বল কোনটা বেস্ট!(পিয়া)

আচ্ছা।
পরেই পিয়া আমাকে কার্ড গুলো দেখাতে শুরু করলো।আর আমিও কার্ড গুলো থেকে আমার পছন্দের কার্ড বেছে নিতে শুরু করলাম।

অন্যদিকে হিমেল এইসব দেখে
যাক।যদিও বিয়ে ভাঙার হাজার চেষ্টা করছে তবুও যে একটু হলেও নিজে থেকে কিছু করছে তার জন্যই আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া।তবে তোকে ছাড়া এই এই বাড়িতে কি করে থাকবো কে জানে?সকাল সন্ধ্যা কার সঙ্গে ঝগড়া লাগবো?আমি জানি না তোকে ছাড়া আমি কি করে থাকবো!তুই যে আমার সব।বিয়ে করে যখন তুই চলে যাবি তখন আমার কাছে তো আর কিছুই থাকবে না মা।তোকে খুব মিস করবো।খুব মনে পড়বে তোর সাথে কাটানো আমার সেই সুখ দুঃখের দিন গুলো। খুব মনে পড়বে তোর সাথে ঝগড়া করা,এক সাথে বসে চা খাওয়া, গল্প করা।
কেনো যে এত তাড়াতাড়ি বড়ো হয়ে গেলো আমার রাজকুমারী।আমি বুঝতেই পারলাম না।


চলবে,,,
ব্যস্ততার কারণে একদিন পর পর গল্প পোস্ট করবো।প্লিজ বুঝার চেষ্টা করুন।🙂

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here