I’m Mafia lover পর্ব -০৬

#i_m_mafia_lover
#part_6
#sabiha_kh

পরের দিন সকালে,,,,,,

ইসমা ঘুম থেকে উঠে চোখ ডলতে ডলতে তার মায়ের রুমে গেলো দেখে ইমা বিছানায় নেই।।

ইসমা- আন্টি,,,, আন্টি,,,, (রোকসানা ইসমার কন্ঠ শুনে তারাতারি আসে)

রোকসানা- মামুনি তুমি উঠে পরেছো??

ইসমা- হমম।। আম্মু কথায় আসেনি এখনো??

রোকসানা- হমম এসেছিলো তুমি ঘুমিয়ে পরেছিলে। তোমার আম্মুর খুব সকালের দিকে হসপিটাল থেকে ফোন এসেছিলো তাই চলে গিয়েছে সকাল সকাল।।

ইসমা মুখটা ভাড় করে গিয়ে সোফায় বসলো।।

রোকসানা- ইসমা স্কুলে যেতে হবে না ফ্রেস হতে হবে তো।।

ইসমা- আমি একাই পারবো।। আগে সকালে মা চলে গেলেও বাবা কাছে থাকতো আমাকে রেডি করে দিতো স্কুলে নিয়ে যেত। এখন,,,, ( চোখে পানি চলে আসে)

রোকসানা ইসমার পাশে বসে ইসমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো- মামুনি কান্না করো না। আমি তোমাকে তৈরি করে দিবো স্কুলে নিয়ে যাবো।।

ইসমা একটু জোরে বললো- আমি স্কুলে যাবো না ।। আমি আম্মু কাছে যাবো।।

রোকসানা- না মামুনি হসপিটালে যাওয়া হবে না।। তোমার আম্মু কতো ব্যাস্ত থাকে যানো তুমি??

ইসমা- আমি আম্মুর কাছে যাবো।। আমি আম্মুর কাছে যাবো। (বলে জেদ করতে লাগে)

রোকসানা- ঠিকাছে ঠিকাছে। তোমাকে নিয়ে যাবো স্কুল শেষ করে আমরা তোমার আম্মুর কাছে যাবো ঠিকাছে। এখন চলো তোমাকে মুখচোখ ধুইয়ে দিয়ে রেডি করে দিয়।।।

রোকসানা ইসমাকে নিয়ে গিয়ে মুখচোখ ধুয়ে দিয়ে রেডি করে খাইয়ে দিয়ে স্কুলে নিয়ে গেলো। ইসমার স্কুল RK হসপিটাল পার হয়ে আরো সামনে যেতে হয়।।। ইসমা RK হসপিটালের সামনে আসতেই ট্যাক্সির জানালা দিয়ে হসপিটালের দিকে তাকিয়ে রয়লো৷৷ ইসমা স্কুলে চলে আসলে রোকাসানা ইসমাকে স্কুলে ঢুকিয়ে দিয়ে বললো-

রোকসানা- মামুনি আমি বাজার করতে যাবো। আজ থাকতে পারবো না স্কুলে তুমি ক্লাস শেষ করে ওখানে বসে থেকো কেমন।। আমি তারাতারি চলে আসবো তারপর আমরা এক সাথে বাসায় যাবো।।। (হেসে)

ইসমা কনো কথা বললো না মুখ ভার করে মাটির দিকে তাকিয়ে রয়লো৷ রোকসানা ইসমার গালে চুমু দিয়ে চলে গেলো।।। ইসমা দাড়িয়ে থেকে রোকসানার যাওয়া দেখে আর বলে- তুমি আমাকে আম্মুর কাছে নিয়ে যাবে না তাই তো। আমি একাই যাবো আম্মুর কাছে।। (একটু রাগান্বিত সুরে)

বলে ইসমা স্কুল থেকে বের হয়ে হাটা দিলো হসপিটালের দিকে।।। এদিকে ইসান তৈরি হয়ে গাড়িতে উঠে বসলো।

ইসান- জনি হসপিটালে চলো।। মিঃ মিনহাজ কে দেখে আসি ( জনি আকাশের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো। আকাশো হাসলো।। তারপর গাড়ি নিয়ে চলে গেলো হসপিটালের উদ্দেশ্য )

এদিকে ইসমা হাটতে হাটতে অনেক দুর চলে আসলো আর কিছু দুর গেলেই হসপিটাল।। ইসমা খুব খুশি হয়। সে আরো জোরে জোরে হাটতে লাগলো।।। হসপিটালের কাছা কাছি এসে দেখে তাকে রাস্তা পার হয়ে হসপিটালে ঢুকতে হবে।।

ইসমা – আমার তো রাস্তা পার হতে হবে কিন্তু কি ভাবে পার হবো। (মুখ ভার করে বললো)

এমন সময় ইসমা দেখলো একটা লোক ফোনে কথা বলতে বলতে আসছে।। ইসমা লোকটার সামনে দাড়িয়ে বললো-

ইসমা- আংকেল আমাকে একটু রাস্তাটা ওই পারে নিয়ে যাবেন???

– আমি পারবো না হাতে সময় নেই আমার।। বলে লোকটি চলে গেলো।।

ইসমা আরো দুইজন লোককে বললো। কিন্তু কেও ইসমাকে রাস্তা পার করে দিলো না।।

ইসমা- আমাকে একাই পার হতে হবে।।( মন খারাপ করে বললো)

এদিকে ইসানের গাড়ি হসপিটালে ঢুকার আগেই ইসানের চোখ হঠাৎ রাস্তার অপজিট পাশে ইসামার দিকে পরে।।

ইসান- জনি গাড়ি থামাও।।।( একটু উত্তেজিত সুরে)

জনি- কি হলো স্যার আমরা চলে এসেছি হসপিটাল।। আপনি কি এখানেই নামতে চাচ্ছেন???

ইসান- ওই দেখো ওই পিচ্চি মেয়েটা একা একা রাস্তা পার হতে চাচ্ছে!!! তারা বাবা মা কথায় মেয়েটা একা তো!! ও গড না জানি কোন বিপদ ঘটায় মেয়েটা।। (অস্থির সুরে বললো)

বলে ইসান তারাতারি গাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তার ওই পাশে গেলো।।। । এদিকে ইমা রুগী দেখে শিরি দিয়ে নামতেই তার চোখ বাইরে রাস্তার দিকে যায়। দেখে রাস্তার ওই পার একটা ছোট্ট মেয়ে।। ইমা ভালো করে তাকায় দেখে তার মেয়ে ইসমা রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করছে। ইমা ঘাবড়ে গেলো৷ এবং দৌড়ে শিরি দিয়ে নামতে লাগে। ইমা যেন চোখে কিছুই দেখছিলো না শুধু তারাতারি নামছিলো শিরি দিয়ে।।। এদিকে আকাশ জনি গাড়ি থেকে বের হয়। রাস্তায় স্প্রিডে গাড়ি চলছে।। ইসমা এদিকে ওদিকে তাকিয়ে রাস্তায় পা বাড়াচ্ছে আবার পিছনে সরে আসছে।। ইসান ইসমার কাছে আসতেই ইসমাকে দেখে চিন্তে পারে।। এদিকে ইসমা সাহস করে রাস্তা পার হতে লাগলে ইসান দেখে সামনে থেকে স্প্রিডে একটা বড় ট্রাক আসছে।। ইসান ইসমা বলে চিৎকার দিলো। ইসমা রাস্তায় দাড়িয়ে পিছনে তাকালে ইসান দৌড়ে এসে ইসমার হাত ধরে টান দিতেই ট্রাকটা চলে যাই। রাস্তার ওই পার ইমা ইসমা বলে চিৎকার দিয়ে উঠে।।।ট্রাক চলে গেলে ইমা দেখে ইসান ইসমাকে জোরিয়ে ধরেই মাটিতে পরে গেছে।। ইমা মাটিতে বসে পরে তার হাত পা কাপতে লাগে যেন সে হাত পায়ে কনো শক্তি পাচ্ছিলো না।। এদিকে ইসানের হাত ছিলে যাই এবং কাঁধে ব্যাথা পাই । আকাশ জনি তারাতারি দৌড়ে ইসানের কাছে আসে।।

আকাশ- স্যার আপনি ঠিকাছেন। (উত্তেজিত সুরে)

ইসান- হুম ঠিকাছি ঠিকাছি।।

বলতেই ইসান রাস্তার ওই পার হসপিটালে দিকে চোখ যাই দেখে ইমা মাটিতে বসে তাদের দিকে তাকিয়ে কান্না,করছে।। ইসান মনে মনে খুশি হয় সে ভাবে আজো ইমা তাকে নিয়ে ভাবে।।৷ ইসমা ইসানের দিকে তাকায় বলে-
ইসমা- তুমি!!!!

ইসান ইসমার দিকে তাকিয়ে বললো- হম আমি।।। আমাদের আবার দেখা হয়ে গেলো!!!( মুচকি হেসে)তোমার কথাও লাগেনি তো ইসমা।।।

ইসমা- না লাগেনি। কিন্তু তোমার তো হাত ছিলে গেছে রক্ত বের হচ্ছে।। ( একটু ভীত সুরে)

ইসান- ও কিছু না। আগে তুমি বলো তুমি একা রাস্তা পার হচ্ছিলে কেন???

ইসমা- আমি ওই হসপিটালে আম্মুর কাছে।। ( বলে ঘুরতেই দেখে ইমা কান্না করছে।। ইসমা তার মাকে দেখে খুব খুশি হয়।) ওই যে আমার আম্মু। আম্মু,,,,,,,,,, (বলে চিৎকার দিলো। )
ইমা কনো রকম মাটি থেকে উঠে রাস্তা পার হয়ে এসে ইসমা কে বুকের সাথে ঝাপটে নিয়ে জোরে জোরে কান্না করতে লাগে।।। ইসান একদম হতবাক হয়ে গেলো।। এটা কি দেখছে সে। ইসমা ইমার মেয়ে?? এটা ইসান বিশ্বাস করতে পারছিলো না।।। একদম স্তম্ভিত হয়ে তাকিয়ে ছিলো ইমা আর ইসমার দিকে।।।।। ইমা ইসমাকে ছেড়ে দুইহাত দিয়ে ইসমার হাতের বাজু ধরে বললো-

ইমা- এখুনি কি হয়ে যেতো ইসমা। তোমার কিছু হলে আমি কি ভাবে বাচতাম।। এমনটা কেও করে!!! (কান্নার সুরে)

ইসমা মাথা নিচু করে আসতে করে বললো- I am sorry আম্মু।।। আমার তোমার কাছে আসতে খুব ইচ্ছা করছিলো তাই আন্টি যখন আমাকে স্কুলে দিয়ে বাজার করতে চলে গেলো তখন আমি স্কুল থেকে বের হয়ে চলে এসেছি।।।( মন খারাপ করে আসতে বললো)

ইমা- এটা তুমি কেন করতে গেলে ইসমা আজ যদি তোমার কিছু হয়ে যেত!!! (একটু জোরে)

ইসমা- কিছু হতো না আংকেল ছিলো না!!! উনিই আমাকে বাচিয়েছে নিয়েছে।।।।। (ইসানের দিকে তাকিয়ে)

ইমা উঠে ইসানের সামনে এসে দাড়ালো এবং কান্না ভড়া চোখে ইসানের দিকে তাকিয়ে হাত জোর করে বললো- তুৃমি জানো না তুমি কি করেছো। তুৃমি আমার প্রাণকে বাচিয়েছো।। এই ঋণ আমি কনো দিনো শোধ করতে পারবো ন।। thank you so much…

ইসান একটা কথাও বললো না অবাক চোখে ইমার দিকে শুধু তাকিয়ে রয়লো।।। ইসমা এসে ইসানের হাত ধরতেই ইসান একটু চমকে উঠে ইসমার দিকে তাকায়।

ইসমা- আম্মু তোমাকে বলেছিলাম না একজন মানুষ আমাকে সেদিন বেলুন ফিরিয়ে দিয়েছিলো।। এটা সেই মানুষ।। আম্মু আংকেল এর ওই হাতটা কেটে গেছে।। ঔষধ লাগিয়ে দিবে না!!!

ইসান- ঔষধ লাগাতে হবে না মামুনি।। আমি ঠিকাছি।। (মুচকি হেসে)

ইমা- ঔষধ লাগাতে হবে আগে কাটা জায়গাটা পরিষ্কার করতে হবে। না হয় সেপ্টিক হয়ে যাবে।।।হসপিটালে আসো।। ইসমা আসো মামুনি।।
বলে ইসমার দিকে হাত বারিয়ে দিলে ইসমা বললো-

ইসমা- আমি আংকেল এর সাথে যাবো। (ইসানের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো )

ইমা ইসানের দিকে তাকায় বললো-
ইমা- ওকে এসো।।( একটু গম্ভীর সুরে)

ইসান মুচকি হেসে বললো- চলো ইসমা।।।

ইসমা ইসানের সাথে হসপিটালে গেলো।। ইমা ইসানকে তার চেম্বারে বসালো।। এমন সময় রুহি আসে।। রুহি ইসানকে দেখে খুব খুশি হয়।।

রুহি- স্যার আপনি এখানে!! কেমন আছেন??? (হেসে)

ইসান- হমম ভালো।।

ইসমা- আন্টি!!!( বলে ইসমা রুহিকে জোরিয়ে ধরলো।)।
রুহি- আরে আমাদের ইসমা কখন আসলো।।

ইসমা- এই তো একটু আগে।। আন্টি আমাকে তোমার রুমে ওই পুতুলটা দেখাবে।।

রুহি- হমম অবশ্যই চলো।। ইমা আমি ইসমা কে নিয়ে গেলাম।। (মুচকি হেসে)

ইমা- ওকে।।

রুহি ইসমা কে নিয়ে চলে গেলো।। ইমা মেডিসিন বক্স নিয়ে এসে ইসানের পাশে বসলো এবং ইসানের হাতের ক্ষত পরিষ্কার করে দিতে লাগলো।। ইসান অপলক দৃষ্টিতে ইমার দিকে তাকিয়ে রয়লো।।
কাটা জাগায় ঔষধ লাগাতেই ইসান সিহ্ বলে উঠলে ইমা ইসানের দিকে তাকায়। ইসান তারাতারি চোখ সরিয়ে নেই।।

ইমা- thank you Again..

ইসান- Thank you বলতে হবে না।।
ইসান কিছুখন চুপ করে থেকে বললো- একটা কথা জিজ্ঞেস করবো??

ইমা – আমি জানি কি জিজ্ঞেস করবে?? ইসমা সত্যি আমার মেয়ে কিনা??? হমম ইসমা আমারি মেয়ে।।

ইসান কিছুখন চুপ করে থেকে আসতে করে বললো- তোমার হাসবেন্ড কি করে?

ইমা – আমার হাসবেন্ড ব্যাংকের ম্যানেজার ছিলো।।।

ইমা ইসানের হাতে ব্যান্ডেজ করে দিয়ে উঠে গিয়ে মেডিসিন বক্স রেখে আসলো।।

ইসান- ওকে আমি উঠি।।। (একটু গম্ভীর সুরে)
বলে উঠতে গেলে ইসান কাধে ব্যাথা অনুভব করে। ইসান কাঁধ ধরে আবার বসে পরে।।

ইমা- কাধে চোট পেয়েছো??? (একটু উত্তেজিত হয়ে)

ইসান- হমম মনে হচ্ছে।।।

ইমা উঠে এসে বললো- আমাকে দেখতে দাও।।
বলে কাঁধে হাত দিতে গেলে ইসান একটু সরে গিয়ে বলে

ইসান- না লাগবে না থাক। আমি ঠিকাছি।।

ইমা একটু রাগান্বিত সুরে বললো- আমাকে দেখতে দাও হাত সরাও।। (ইসান হাত সরালো)

ইমা সংকোচ নিয়ে বললো- আ,,,, শার্ট টা একটু খুলতে হবে।।

ইসান শার্টের চারটা বোতাম খুলে কাঁধটা বের করে দিলো।। ইমা ইসানের কাঁধে হাত রাখতেই ইসানের বুকের ভিতর কেপে উঠে।। ইসান শার্ট তারাতারি ঠিক করে বললো- আমার কিছু হয়নি। বলে উঠতে গেলে ইমা ব্যাথা জাগায় চাপ দিয়ে আবার বসিয়ে দোয় ইসানকে।। ইসান ইমার দিকে তাকায়৷

ইমা গম্ভীর সুরে বললো- ডাক্তার আমি তুমি না৷ ওকে। আমাকে দেখতে দাও।।। (বলে শার্টটা কাঁধ থেকে নামিয়ে হাত দিয়ে চাপ দিয়ে দিয়ে দেখতে লাগলো।।)

ইমা- এই খানে ব্যাথা লাগছে?? (ইসান মাথা ঝুকালো।)

ইমা ইসানের কাঁধে ব্যাথা কমানোর স্প্রে করে দেয়।। এবং নিজের জাগায় গিয়ে বসে।।

ইসান শার্ট ঠিক করে শার্টের বোতাম লাগায়।।। ইমা ঔষধের নাম লিখে দেয়।। এবং বলে-
ইমা- এইটা দুইবেলা করে দুইদিন খেলেই ব্যাথা ঠিক হয়ে যাবে সাথে হাতের ক্ষতটাও সেরে উঠবে।।( বলে প্রেসকিপশান আগিয়ে দিলো)

ইসান ইমার হাত থেকে প্রেসকিপশান নিলো।।।

ইসান- Thank you.. আমি আসি।। (বলে ইসান উঠে বাইরে বের হয়ে আসলো এবং জোরে একটা শ্বাস ছাড়লো)

আকাশ জনি ইসানকে দেখে তারাতারি ইসানের কাছে আসলো।।

জনি- স্যার আপনি ঠিকাছেন???
ইসান- হমম আমি ঠিকাছি।।৷৷ আমি হটেলে ফিরবো।

আকাশ- ওকে স্যার চলুন।।

ইসান তারাতারি হেটে হসপিটাল থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠে বসতে গেলে ইসমা জানালা দিয়ে ইসানকে গাড়িতে উঠতে দেখে।।।

ইসমা- আংকেল চলে যাচ্ছে।। ( বড় বড় চোখ করে)

রুহি- কে ইসমা!!!

ইসমা কনো কথা বলে না দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে বাইরে যেতে লাগে রুহি ও ইসমার পিছে পিছে যাই। এদিকে জনি গাড়ি চালিয়ে বের হয়ে যাই হসপিটাল থেকে।।। ইসমা বাইরে এসে দেখে ইসানের গাড়ি চলে গেছে।৷ ইসমার খুব মন খারাপ হয়।৷

রুহি- কি হয়েছে ইসমা??( কপাল কুচকে)

ইসমা- আংকেল চলে গেলো আমার সাথে দেখাও করলো না।। (ঠোঁট ফুলিয়ে কান্নার ভান করে)

রুহি- তুমি কার কথা বলছো আমি বুঝতে পারছি না।। চলো তোমার আম্মুর কাছে চলো।।।( ইসমা মন খারাপ করে রুহির সাথে চলে গেলো ভিতরে।।)

এদিকে ইসান বললো- মিঃ মিনহাজ কে দেখেছো!!

আকাশ- জি স্যার।। মিঃ মিনহাজ এর জ্ঞান ফিরেছে। কিন্তু উনি কথা বলার অবস্থায় নেই।। তাই আর কথা বলিনি।। তবে আমরা,,,,,,

ইসানের আকাশের কথায় কনো মনযোগি নেই। ইসান ইমা বলা কথায় ভাবছে-( ইমা- আমি জানি তুমি কি জিজ্ঞেস করবে!! হমম ইসমা আমারি মেয়ে।।। আমার হাসবেন্ড ব্যাংক ম্যানেজার।। এখুনি কি হয়ে যেতো ইসমা। তোমার কিছু হলে আমি কি ভাবে বাচতাম??এমনটা কেও করে!!!)

আকাশ কথা বলতে বলতে ইসানের দিকে তাকায় দেখে ইসান অন্যমনুষ্কো।।

আকাশ- স্যার,,, স্যার,,,,

ইসান চমকে উঠে আকাশের দিকে তাকালো।।।

আকাশ- স্যার আপনি ঠিকাছেন???

ইসান- জানিনা।৷ (দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে)

জনি- স্যার চলে এসেছি।।

আকাশ বের হয়ে গাড়ির দরজা খুলার আগেই ইসান গাড়ির দরজা খুলে বের হয়ে লিফ্টে উঠে চলে গেলো।। আকাশ জনি দুজনাই একটু অবাক হয়।।

আকাশ- স্যারের কি হলো?? কিছুই বুঝলাম না।।

জনি- আমিও না।।

সন্ধ্যা ৭ টা,,,,,

ইসান জনি আকাশ কে কনো কথা না বলেই অন্য আরেকটা গাড়ি নিয়ে চলে গেলো হসপিটালের সামনে।।। ইসান হসপিটালের থেকে একটু দুরে গাড়ি থামিয়ে অপেক্ষা করতে লাগে ইমাকে দেখার জন্য।।
রাত ৮টা!!!
ইমা ইসমাকে নিয়ে হসপিটাল থেকে বের হচ্ছে।। ইসান ইমা ইসমাকে দেখে তারাতারি সোজা হয়ে বসে। এবং তাদের দুইজন কে দেখতে থাকে।। ইমা ট্যাক্সি দাড়া করালো এবং ইমা ইসমাকে নিয়ে ট্যাক্সিতে উঠে বসলো।। ইসান ট্যাক্সির পিছু নিলো।। ট্যাক্সি গিয়ে ইমার বাড়ির সামনে দাড়ালে ইসান তার থেকে একটু দুরেই গাড়ি থামায়।। এবং ইমা ইসমাকে দেখতে থাকে।। ইমা ইসমা বিল্ডিং এর ভিতরে চলে গেলে ইসান গাড়ির স্টিয়ারিং এর সাথে মাথা ঠেকিয়ে দীর্ঘ একটা শ্বাস ছাড়ে।। এমন সময় আকাশ কল করে ইসানের ফোনে৷ ইসান ফোন রিসিভ করে লাউডে দিলো।।

আকাশ- স্যার আপনি কথায়???

ইসান- গত কাল যেখানে আমরা গল্প করেছিলাম সেখানে যাচ্ছি।।

আকাশ- ওকে স্যার আমরা আসছি।।

ইসান- আসার সময় আমার জন্য বীয়ার নিয়ে এসো বেশি করে।।
আকাশ- ওকে স্যার।।

বলে ফোন কেটে দিলো।। ইসান গাড়ি ঘুরিয়ে সেই জাগায় গিয়ে গাড়ি থামালো।। ইসান গাড়ির থেকে বের হতেই ঠান্ডা বাতাস ইসানের শরীরকে রিল্যাক্স করলেও তার মনের ভিতর উথাল-পাতাল হয়ে যাচ্ছিলো।। ইসান গিয়ে সমুদ্রের দিকে হয়ে পা ঝুলিয়ে বসে।। এবং সমুদ্রের উত্তাল ঢেও দেখতে লাগে৷ হঠাৎ আপনা আপনিই ইসানের চোখ থেকে পানি গোড়িয়ে পরতে লাগেলো। ইসান চোখে হাত দিয়ে দেখে পানি৷ ইসান হেসে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে বললো-

ইসান- ইমা আমাকে ৬ বছর আগেই তার মন থেকে বের করে দিয়েছে। তাই সে আরেকজন মানুষকে বিয়ে করতে পেরেছে।৷ কেন ইমা?? কেন???( বলতেই ইসানের আবেগ চলে আসে) তুমি কি জানতে না আমি তোমাকে কতো ভালোবাসতাম।। একটা ছটো ভুলের কারণে তুমি আমাকে ভুলে গিয়ে অন্য একটা ছেলেকে বিয়ে করলে ??? কি ভাবে পারলে ইমা?? কি ভাবে??? ইমা আমি যে তোমাকে এক মুহুর্তের জন্য ভুলতে পারিনি। ৬ টা বছর তোমার সৃতি বুকের ভিতর আগলে রেখেছি।।। কখনো কনো মেয়ের দিকে সেই নজরে তাকায়নি। কারণ তুমি ছিলে আমার ছায়া। আমি তেমাকে নিয়ে সপ্ন দেখেছি।।।আর তুমি?? এক নিমিষেই,,,,,

বলতেই আকাশ জনি এসে গাড়ি থামালো ইসান তারাতারি চোখ মুছে ফেললো।। আকাশ জনি তারাতারি গাড়ি থেকে বের হয়ে ইসানের কাছে এসে উত্তেজিত সুরে বললো-

জনি, আকাশ- স্যার আপনি ঠিকাছেন তো???

ইসান কনো কথা বললোনা শুধু মাথা ঝুকালো।।

আকাশ এসে ইসানের কাছে দাড়িয়ে বললো- না স্যার আপনি ঠিক নেই কি হয়েছে বলুন স্যার??

বলতেই ইসান আকাশের দিকে ঘুরে এবং আকাশকে জোরিয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পরে।।। আকাশ একদম হতোবাক হয়ে যাই সাথে জনি ও।। কারণ ইসানকে কখনো এভাবে তারা কান্নায় ভেঙে পরতে দেখেনি।।

ইসান- আমি কখনো ভাবি নি আমার ইমাকে আমি অন্য কারো জীবনে দেখবো।। কেন এমন হলো আকাশ। আমার ভালোবাসা কেন আমাকে ছেড়ে চলে গেলো?? আমি ওকে খুব ভালোবাসি পাগলের মতো ভালোবাসি।৷ ও আমার শুধু আমার। আমি ওকে অন্যের সাথে দেখতে পারবো না।।। পারবো না।। (বলে জোরে জোরে কান্না করতে লাগে)

আকাশ- স্যার শান্ত হন।। সব ঠিক হয়ে যাবে।। শান্ত হন স্যার।।। (বলে শান্তনা দিতে লাগে)

কিছুখন পর,,,,

ইসান শান্ত হলো।। এবং আকাশ কে বীয়ার নিয়ে আসতে বললো। আকাশ গাড়ি থেকে বীয়ার এনে ইসানের হাতে দিলো।। জনি বললো-
জনি- স্যার আপনার কনো ভুল হচ্ছে নাতো?? আপনি কি ম্যাডামের সাথে কাওকে দেখেছেন??

ইসান বীয়ারের বোতল খুলতে খুলতে বললো- দেখার কি দরকার?? ইমা নিজের মুখে বলেছে।।।
৬ বছর আগেই ও আমাকে ভুলে গিয়ে বিয়ে করে নিয়েছে জনি।। ওর মনে যদি আমি থাকতাম তাহলে ও কনো দিনো বিয়ে করতে পারতো না অন্য কাওকে।।। ( বলে বীয়ার ঢক ঢক খেতে লাগে)

আকাশ- এমন কি হয়েছিলো স্যার?? কেন ম্যাডাম এই কাজ করলো?? (কৌতুহল নিয়ে)

ইসান আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো- বলবো৷ আজকে তোমাদের পুরা ঘটনাটা বলবো।। বসো তোমরা।৷

,,,,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here