I’m Mafia lover পর্ব -৪১+৪২

#i_m_mafia_lover
#part_41
#sabiha_kh

পরের দিন সকাল ৭ টা,,,

সব স্টুডেন্টরা রেডি হয়ে বাইরে লাইন ধরে দাড়াই। সব স্যার ম্যাডামরাও আসে শুধু ইশান বাদে।।।
ইমা ঈশান কে না দেখতে পেয়ে চিন্তিত হয়ে মনে মনে বলে – ঈশানের কি ঘুম ভাঙেনি !!! একখনো আসলো না কেনো??

ভাবতেই লিলি বলে উঠে –

লিলি – ওই তো ইশান আসছে।।।

ইমা লিলির কথা শুনে সামনে তাকাই এবং অবাক চোখে ঈশানের দিকে তাকিয়েই থাকে ।। কারণ ঈশান কে আজ এতো হ্যান্ডসাম লাগছে যে ইমা ইশানের উপর থেকে চোখ সরাতে পারছে না ।।। ইশান আজ ইমার পছন্দ করে দেওয়া কালো রঙের শার্ট টা পড়েছে।। জিন্সের প্যান্ট, পায়ে সাদা জুতা।। ইশান শার্টের হাতা ফল্ট করতে করতে আসছে।। হাতে কালো রঙের চেনের ঘড়ি ।। আজ একটু বেশিই কিউট লাগছে ইশান কে।

ইশান এসে লিলির পাশে দাড়াই।।।

লিলি – owo আজ অনেক হট দেখাচ্ছো ইশান!!! (ইশান মুচকি হাসে)

ইমা লিলির কথা শুনেই রেগে যায়।। এবং দাঁত খিঁচিয়ে ধীর সুরে বলে – মনটা চাচ্ছে ওর চোখ দুটো খুলে নিয়ে মার্বেল খেলি ।। আমার কলিজা টার দিকে খারাপ নজর দিয়েছে ।। উফফ কবে যে ঈশানের সব মনে পড়বে!!!

এমন সময় ইশান মাথা একটু বাঁকা করে ইমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে এবং হাত তুলে hi বলে।। ইমা ও মুচকি হেসে মাথা ঝুঁকিয়ে hi বলে।। এমন সময় স্যার আসে এবং আজকে কোথায় যাবে সেই বিষয় নিয়ে কিছু কথা বলে কিন্তু ইমার সেদিকে নজরই নেই। ইমা শুধু একটু পর পর ইশানকেই দেখছে।। ইশান ইমার দিকে তাকালে ইমার চোখের উপর ঈশানের চোখ পড়ে ইমার বুকের ভিতর ধাক করে উঠে । ইমা তারাতারি মুখ ঘুরিয়ে অন্য দিকে তাকাই ।। ইশান মুচকি হেসে সামনে তাকাই।।। ইমা শক্ত করে চোখ বন্ধ করে এক্সাইটেড হ মনে মনে বলে –

ইমা – আল্লাহ আমার হলোটা কি!!! উফফ !!! আমার কলিজাটা কে এত কিউট লাগছে যে আমি না চাইলেও আমার চোখ চলে যাচ্ছে তার দিকে। আজ আমার নজর না লেগে যায় ওকে।।।

ভাবতেই ইমার কানে আসে,,,,,
স্টুডেন্ট – স্যার আমরা তো ছোট পাহাড়ে কিভাবে উঠবো ???

ইমা চমকে সামনে তাকিয়ে মনে মনে বলে – কি ?? পাহাড়ে উঠবে????

স্যার – ভয় নেই পাহাড়ে উঠার জন্য সিড়ি আছে । ১৫০ টা সিড়ি বেয়ে পাহাড়ে উঠতে হবে । ( সবাই স্যারের কথা শুনে হা হয়ে গেলো) ভয় পেয় না তোমাদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য সময় দিবো ।। (হেসে)

এমন সময় লিলি বলে উঠে – স্যার এটা কি বললেন !!! পা তো ব্যাথা হয়ে যাবে।।

স্যার – লিলি এগুলো কথা বলে বাচ্চাদের ভয় ধরিয়ে দিও না প্লিজ।। (একটু রাগ হয়ে)

লিলি – sorry স্যার । ( মুখ ভার করে)

স্যার – ok স্টুডেন্ট সবাই রেডি তো???

স্টুডেন্ট – ইয়েস স্যার।।।

স্যার – ok follow me!!!!

সবাই স্যারের পিছু পিছু চলে গেলো। ১০ মিনিটের পথ হাঁটার পর সেই পাহাড়ের সামনে সবাই হাজির হলো।।।

স্যার – বাচ্চারা সবাই লাইন ধরো।।একজনের কাধে আরেক জন হাত দিয়ে লাইন ধরো।। ম্যাডাম, স্যার বাচ্চাদের সাহায্য করুন ।। (স্যারের কথা মত দুজন স্যার দুজন ম্যাডাম বাচ্চাদের লাইন ধরতে সাহায্য করে)

ইশান ইমার দিকে তাকাই দেখে ইমার মুখে কেমন চিন্তার চাপ ।। ইশান ইমার পাশে এসে দাঁড়াল।।

ইশান – কি হয়েছে ইমা ?? (ইমা চমকে ঈশানের দিকে তাকাই ।)

ইমা – না তেমন কিছু না। আসলে এত উচুঁ পাহাড়। বাচ্চারা উঠতে পারবে?? ???

ইশান – চিন্তা করবেন না আমরা আছি তো আমরা সবাই ওদের দেখা শুনা করবো।। এখন চলুন যাওয়া যাক ।

ইমা ইশান যেতে লাগলে লিলি তাদের মাঝখানে এসে ঈশানের হাত চেপে ধরে ।। ইমা,, লিলির এভাবে ঈশানের হাত ধরা দেখে চরম রেগে যায় ।।।

লিলি – আমাকে ছেড়েই যাচ্ছ!!! চলো একসাথে যায়।। ( ন্যাকামো করে)

বলে ঈশানের হাত ধরে নিয়ে যেতে লাগে। ইশান কিছু বলতে চাইলেও লিলি বলার সুযোগ দেইনা।। ইশান ইমার দিকে তাকাই দেখে ইমা তার দিকে তাকিয়ে আছে।

ইমা – আমার যে এত রাগ হচ্ছে। উফফ!!! আল্লাহ আমাকে ধৈর্য দাও।। ( রাগান্বিত হয়ে ধীর সুরে )

বলতেই পিছন থেকে জেন বলে –

জেন – ভয় পাচ্ছেন নাকি মিস ইমা??

ইমা পিছনে তাকাই এবং মুচকি হেসে বলে – না ভয় পাবো কেনো!!!

জেন – তাহলে চলুন সবাই চলে যাচ্ছে তো।।

ইমা – হম চলুন ।

এদিকে ইশান ইমাকে জেনের সাথে কথা বলতে দেখে খুব জেলেসি ফিল করে ইশান লিলির দিকে একটু রেগেই তাকিয়ে মনে মনে বললো –

ইশান – তুমি যদি আমার বন্ধু না হতে তোমাকে কি যে করতাম ।। তোমার জন্য ইমার পাশে থাকতে পারলাম না ।। ধুর!!!!

Time Skip

৬০ টা সিড়ি পার করে ৬১নাম্বার সিড়িতে পা রাখতেই ইমার পা মচকে যায় এবং পড়ে যেতে লাগে। সেই সময় জেন ইমা হাত ধরে ফেলে।

জেন – মিস ইমা!!! (একটু জোরে)

ইশান জেনের কণ্ঠ শুনে চমকে পিছনে তাকাই দেখে জেন ইমার হাত ধরে আছে এবং ইমা পড়ে যাওয়ার ভঙ্গিতে দাড়িয়ে আছে।।। জেন ইমার হাত ধরে সিড়িতে বসালো।।
এদিকে ইশান দ্রুত সিড়ি বেয়ে নিচে আসছে। লিলি একদম অবাক হয়ে যায় ঈশানের এমন উত্তেজিত হওয়া দেখে।।

জেন – মিস ইমা আপনি ঠিক আছেন??

ইমা – না মনে হচ্ছে।। পা টা,,,,,,,!!! (কাতর স্বরে)

ইশান দ্রুত এসে ইমার সামনে বসে ইমা মাথা তুলে ঈশানের দিকে তাকাই ।

ইশান – কি হয়েছে ইমা??? (উত্তেজিত সুরে)

জেন – মিস ইমার পা মচকে গেছে।।

ইশান – দেখিতো ।।।

বলে ইমার পায়ে হাত দেই। ঈশানের স্পর্শ ইমার শরীরের মধ্যে যেনো ২৮০ ডিগ্রি ভল্টের ঝটকা দিলো।।। ইমা অবাক চোখে ঈশানের দিকে তাকিয়ে থাকে কয়েক সেকেন্ড।।।

ইশান – এইখানে ব্যাথা পেয়েছো??

বলতেই ইমা পা সরিয়ে নেই।।

ইশান – আ,,,,, sorry আমি আসলে ভুলে তুমি বলে ফেলেছি!!

ইমা – it’s ok ।।

ইশান – আপনি কি যেতে পারবেন??

ইমা – হম পারবো চিন্তা করবেন না।।

বলে ইমা উঠতে গেলে পায়ে ব্যাথা পাই এবং আবার বসে পড়ে ।

ইমা – ইশান আমি হয়তো যেতে পারব না।। আমি দাড়াতে পারছি না।।
(এমন সময় লিলি আসে।।)

লিলি – কি হয়েছে??

জেন – মিস ইমার পা মচকে গিয়েছে।।

লিলি – আহারে।। এখন যাবেন কি করে মিস ইমা।।

ইমা – আমি যাবো না। জেন স্যার , ইশান আপনারা যান আমি এখানেই বসে থাকি।

লিলি – হম সেটাই ভালো হবে । চলো ইশান আমরা যায়।।

ইশান রাগান্বিত চোখে লিলির দিকে তাকালো।। লিলি আর একটা কথাও বললো না চুপ হয়ে গেলো ।

ইশান – জেন স্যার আপনি লিলি কে সাথে নিয়ে যান প্লিজ। আমি ইমার কাছে থাকি।

ইমা ঈশানের কথা শুনে মনে মনে খুব খুশি হয়।

জেন – ইশান তুমি চাইলে যেতে পারো আমি তো এখানে এর আগেও এসেছি তাই আমার না গেলেও চলবে। লিলি চাচ্ছে তুমি যাও তো,,,,!!!

লিলি – হম ইশান তুমি চলো আমার সাথে। জেন স্যার থাকুক মিস ইমার সাথে।।

ইশান এক রকম রেগে গিয়ে বললো – লিলি তোমার মাথা ঠিক আছে।। ইমা আমার গেস্ট হয়ে এই ক্যাম্পেইনে এসেছে কিন্তু আমি উনাকে সময় না দিয়ে তোমাদের সাথে আছি।।। যেটা আমার উচিত না কিন্তু তুমি কি করছো??? আমি যেই মানুষটাকে এইখানে নিয়ে আসলাম এখন তার সমস্যা হয়েছে আমি উনাকে ফেলে রেখে তোমার সাথে যাব এটা কি কোন নিয়ম হলো?

লিলি – আসলে ইশান আমি,,,,!!!

বলতেই ইশান বললো – প্লিজ আর কিছু বলো না চলে যাও এখন ।। জেন স্যার আপনিও যান।।।।

ইমা ঈশানের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে মনে মনে বলে – আমি জানি আমার কিছু হলে তুমি পেরেশান হয়ে যাও।। এখন তো তোমার কিছু মনেও নেই তাও আমার প্রতি তোমার টান দেখে তোমাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছা করছে ইশান।

লিলি – ok আমি যাচ্ছি । (একটু রাগান্বিত সুরে)

বলে লিলি আগে আগে চলে গেলো । জেন যেতে লাগলে ইমা বলে –

ইমা – জেন স্যার!!! (জেন ঘুরে ইমার দিকে তাকাই।।) স্যার একটু কষ্ট করে ইসমাকে বলে দিবেন আমার কথা । নাহয় ও চিন্তা করবে।।

জেন – জী অবশ্যয় আপনি চিন্তা করবেন না আমি খেয়াল রাখবো ইসমার।। ( বলে জেন চলে গেলো)

ইশান ইমার পাশে বসে। ।

ইমা মন খারাপ করে বলে – sorry ইশান আমার জন্য আপনার যাওয়া হলো না।।

ইশান – আরে ব্যাপার না । আপনাকে রেখে আমার যাওয়ার ইচ্ছা ও ছিল না।। (ইমা মুচকি হাসে)

ইমা কিছুক্ষন চুপ থেকে বলে

ইমা – ইশান আপনাকে একটা কথা বললো!!!

ইশান – জী বলুন!!

ইমা – মিস লিলি আপনাকে পছন্দ করে।। এইটা ,,,,,,!!!

বলতেই ইশান উত্তেজিত হয়ে বলে – ইমা বিশ্বাস করেন আমি ওকে একদম ওই চোখে দেখি না আমি শুধু ওকে একজন ভালো বন্ধু ভাবি।।। ওর আর আমার মধ্যে কিচ্ছু নেই । আমি সত্যি বলছি।। আমি,,,,,

বলতেই ইমা বললো – আরে আরে ইশান সান্ত হন। আমি তেমন কিছু মিন করিনি । আমি জাস্ট শুধু বলেছি মিস লিলির ভাব দেখে মনে হলো উনি আপনাকে পছন্দ করে।।

ইশান মুখ ভার করে বলে – ও হম সেটা আমিও বুঝি। কিন্তু ও মুখ ফুটে কিছু বলে না তাই আমিও কিছু বলিনা।। তবে মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত লাগে।। (ইমা ঈশানের কথা শুনে মনে মনে খুব খুশি হয় )

ইমা – যাক লিলির সাথে ঈশানের কিছু হবে না এইটা কনফ্রাম হাওয়া গেলো।।( মনে মনে বলে)

এদিকে ইসমা ইমা কে ইশান কে খুঁজছে।। জেন ইসমার কাছে আসে।।

জেন – ইসমা!!

ইসমা – ইয়েস স্যার!!!

জেন – আম্মু কে খুজছো??

ইসমা – জী!!

জেন – তোমার আম্মুর উপরে আসতে গিয়ে পা মোচকে গিয়েছে।।

ইসমা – কি!!!!( অবাক চোখে)

জেন – ভয় পেওনা তোমার আম্মু ঠিক আছে।। তোমার আম্মুর কাছে ইশান স্যার আছে।।

ইসমা – বাবা আছে মার সাথে!!! (খুশি হয়ে)

জেন ইমার বাংলা কথা বুঝে না। তাই আবার জিজ্ঞেস করে – কি ??

ইসমা হেসে বললো – না স্যার কিছু না thank you।।।
বলে ইসমা খুশি মনে চলে যায়।।। জেন ইসমার এমন হাসি মুখ দেখে একটু অবাক হয়।

জেন – আজব,,,!!! বললাম তার মায়ের পা মচকে গেছে আর ও খুশি!!! ব্যাপারটা সত্যি বুঝলাম না।।

Time Skip

ইশান ইমা বসে অনেক গল্প হাসাহাসি করে।। তাদের বন্ডিং টা আরো ভালো হয়।
২ ঘণ্টা পর ,,,,,
সবাই আসতে আসতে পাহাড় থেকে নামতে শুরু করে ।। ইসমা এসে ইমাকে জড়িয়ে ধরে।।

ইসমা – আম্মু তুমি ঠিক আছ??

ইমা – হম মা আমি ঠিক আছি ।

ইসমা ঈশানের হাত ধরে বললো – thank you বন্ধু আমার আম্মুর খেয়াল রাখার জন্য । (হেসে)

ইশান – most welcome বন্ধু। (ইমার মাথায় হাত বুলিয়ে)

এমন সময় কেম্পিং প্রধান আয়োজক আসেন।

– কি হয়েছে ইশান তুমি আসলে না??

ইশান – sorry স্যার আসলে আমার গেস্ট এর পায়ে ব্যাথা পেয়েছে তাই উনাকে রেখে তো আর যেতে পারিনা এই কারণে যায়নি।

– ওকে উনাকে ধরে ধরে নিয়ে আসো। আর তুমি এইখানে কেনো??( ইজমার দিকে তাকিয়ে।) যাও সব স্টুডেন্টরা চলে গেছে ওদের সাথে থাকো।।( ইসমা চলে গেলো) ওকে ইশান আমি যাচ্ছি।। তুমি এসো।।

ইশান – ওকে স্যার।। (স্যার চলে গেলো এমন সময় লিলি জেন রেন উপর থেকে নেমে আসে ।।

রেন – আরে তুই এখানে??

ইশান – হম ।। তো দেখলি সব।।

রেন – হম দেখেছি সুন্দর ছিল সবকিছু। যায় হোক যাবি না ক্যাম্পে।।। আজ তো সন্ধ্যা বেলা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে।। স্যার বললো।

লিলি – আজ মজা হবে বাচ্চারা স্যার ম্যাডামরা সবাই কে আজ অনুষ্ঠানে পার্টিসিপেট করতে হবে কিছু না কিছু করতে হবে সবাই কে স্যার বলে দিয়েছি।।

ইশান – হম। ভালো ।।।

জেন – মিস ইমা এখন আপনার পা ঠিক আছে???

ইমা – একটু ব্যাথা কমেছে।। তবে পেইন কিলার সেরে যাবে আশা করছি।।।

বলে ইমা সামনে তাকাই দেখে একজন লোক দৌড়ে উপরে আসছে। লোকটার হাতে রিভলবার।।।

ইমা উত্তেজিত সুরে বলে – আল্লাহ ওই লোকটার হতে রিভলবার।
বলতেই ইশান লিলি ,রেন , জেন সামনে তাকাই। তারা কিছু বুঝে উঠার আগেই লোকটা রেনকে ধাক্কা দেয় রেন ঈশানের গায়ের উপর গিয়ে পড়ে ঈশান ইমার উপর পড়ে যায়। ইমার ধাক্কা লাগে সিড়ি দিয়ে গড়িয়ে পড়ে যেতে লাগলে ইশান খুব কষ্টে ইমার হাতে চেপে ধরে । ইমা মাজায় ব্যাথা পায়।।। লোকটা গিয়ে লিলির মাথায় রিভলবার ।।

ইশান সামনে তাকাই দেখে পুলিশ ।।। পুলিশ লোকটির দিকে রিভলবার তাক করে।।

লোকটি জোরে বলে – তোরা চলে যা নাহয় আমি মেয়েটাকে মেরে ফেলবো।।

বলতেই ইশান পিছনে তাকাই দেখে লোকটা লিলির মাথায় রিভলবার ধরে আছে।।।

ইশান ইমাকে ভালকরে বসতে বলে । ইমা কোনো রকম বসে। জেন ,রেন ভয় পাচ্ছে।। লিলি তো রীতি মতো কান্না শুরু করে দিয়েছে।। জানি আজ কি হয়ে যায় ।।

ইশান লোক টার দিকে তাকাই এবং এক পা দুপা করে লোকটার দিকে এগিয়ে যেতে লাগে।।। ইসানের ভিতরে অন্য কিছুই কাজ করছিল।।
লোকটি বলে – কেও কাছে আসবি না মেয়ে টাকে কিন্তু শুট করে দিব।।।

ইশানের কানে যেনো কোনো কথাই যাচ্ছিল না।। ইশান নিজের মনে ধীর গতিতে লোকটার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।। যেনো এক ধাধার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ইশান।। পুলিশ ইশান কে মানা করলেও ইশান শুনলো না।।।। এদিকে লিলি ভয়ে কান্না করছে।।। লোকটি ঈশানের চোখের দিকে তাকাই ,,,চোখে কোনো ভয় নেই যেনো কোনো আগুন জ্বলছে তার চোখে।। লোকটি ভয়ে আসতে আসতে পিছনে সরতে শুরু করে!?.এবং বলতে থাকে কাছে আসবি না।।

লিলি ও ইশান কে মানা করে কাছে আসতে।। কিন্তু ঈশানের কানে যেনো কোনো কোথায় যাচ্ছিল না । লোকটা ভয়ে লিলি কে ছেড়ে দেই এবং উপরে উঠতে লাগে ইশান দৌড়ে গিয়ে লোকটার পা ধরে টান দেই। লোকটা মুখ থুবরে পড়ে এবং ঘুরে ইসনারে দিকে রিভলবার চালায় ইশান তার সেই মাফিয়া স্টাইলে সরে গিয়ে ক্যাপাসিটি করে লোকটার হাত থেকে রিভলবার নিয়ে সেই লোকটার দিকে রিভলবার তাক করে এইটা দেখে সবাই একদম হতবাক হয়ে যায়।।। লোকটা অবাক হয়ে যাই ঈশানের কান্ড দেখে । কারণ একটা সাধারণ মানুষের পক্ষে এমন করা সম্ভব না।।
একমাত্র তারাই করতে পারে যারা রিভলভার নিয়ে খেলে ।। বড় বড় মাফিয়ারা এমন ক্যাপাসিটি জানে।।। লোকটা ভয়ে কাঁপতে লাগে এবং ঈশানের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চায়।।।

পুলিশ উঠে এসে সবার আগে ঈশানের হাতে রিভলবারটা নেই।। ঈশানের ধ্যান ভাঙ্গে ঈশান নিজেও খুব অবাক হয়ে যায় সে এমন একটা কাজ কিভাবে করলো।।। সে রিভলভার লোকটার হাত থেকে নিলো কিভাবে!! তার কেন এই জিনিসগুলো পরিচিত মনে হল।।।

পুলিশ ঈশান কে ধন্যবাদ জানাই এবং লোকটিকে নিয়ে চলে যেতে লাগে।। লোকটি পিছনে ঘুরে ঈশানের দিকে তাকিয়ে জোরে জোরে বলে – ইউ আর এ মাফিয়া ।। অভ্যেসলি ইউ আরে মাফিয়া।।।

ইশান লোকটার কথা শুনে অবাক হয়ে যাই । সাথে লিলি , রেন, জেন,

ইমা মনে মনে বলে – এইটা কি হলো।।

ভাবতেই রেন বলে – ইশান তুই!!!!

ইশান – আরে তুই পাগল নাকি?? ( একটু জোরে)

লিলি – তাহলে তুমি যেটা করলে সেটা তুমি জানো কি ভাবে?? ( সন্দেহ নিয়ে)

ইশান – আমি,,,!!! (চিন্তিত হয়ে)

ইমা মনে মনে বলে – এই বিষয়টা নিয়ে কিছু হওয়ার আগেই বিষয়টা সামলে নিতে হবে ।।।

ইমা পা ধরে জোরে চিল্লায় উঠে বললো আমার পা।।। ইশান চোমকে ইমার দিকে তাকাই এবং তারাতারি ইমার কাছে আসে ।

ইশান – i’m so sorry ইমা। আমি আপনাকে ইচ্ছা করে ধাক্কা দেইনি । ( ধীর সুরে)

ইমা – আমি জানি। কিন্তু আমার পায়ে মাজায় খুব জোরে লেগেছে। (কাতর সুরে)

ইশান – ok ok আপনি চিন্তা করবেন না আমি কিছু করছি । (ইশান লিলির দিকে তাকাই) লিলি তুমি কি ইমাকে ধরতে পারবে উনাকে নিয়ে যেতে হবে তো।।

লিলি – sorry ইশান আমার হাত পা কাপছে ভয়ে।। আমি পারবো না।।

জেন – আমি নিয়ে যেতে পারবো।।

ইশান জোর সুরে বললো – না।।
জেন, রেন, লিলি ঈশানের না বলার ভয়েস টোন শুনে একটু অবাক হলো ।

ইশান হেসে বলে – না মানে জেন স্যার তার দরকার নেই আমি পারবো ।।। ( বলে ইমার দিকে তাকাই ) ইমা আমি আপনাকে নিয়ে যেতে পড়ি তো নাকি। (ইমা মাথা ঝুঁকিয়ে হম বললো ) লিলি , রেন জেন স্যার আপনারা চলে জান সমস্যা নাই আমি ইমাকে নিয়ে যাবো ।

ইশান ইমার সামনে গিয়ে ঘুরে বসে বলে – ইমা আমি আপনাকে পিঠে নিবো আপনি আমাকে ধরুন আপনার হাত দিন।।(লিলি দেখে খুব জেলাস ফিল করে)
লিলি আর এক মিনিটও দাড়াই না সিড়ি দিয়ে নেমে চলে যায়।। জেন রেন ও চলে যায় ।

ইশান ইমাকে পিঠে নেই এবং যেতে লাগে।। ইমা ঈশানের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে –
তোমার মনে নেই হয়তো। একবার কলেজে পরে গিয়েছিলাম আমার পা ছিলে গিয়েছিল। তুমি আমাকে এইভাবে পিঠে নিয়ে কলেজের গাড়ি পার্কিং পর্যন্ত গিয়েছিলে। তারপর গাড়িতে বসিয়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলে।।আমার মনে আছে সবাই কেমন ঘুরে ঘুরে দেখছিল।।। (মুচকি হেসে)

ইশান ৩০টা সিড়ি পর্যন্ত নেমে হাপিয়ে যায়।। এবং দাড়াই।। ইমা ঈশানের অবস্থা দেখে বলে –

ইমা – ইশান আপনি আমাকে নামিয়ে দিন । আপনার কষ্ট হচ্ছে ।

ইশান – it’s ok ইমা।। আমি ঠিক আছি।।

ইমা – ইশান একটু বিশ্রাম নিয়ে নিনি।। প্লিজ।।

ইশান ইমাকে সিড়ি তে বসালো।। এবং নিজেও বসলো।।

ইমা – I’m sorry আমার জন্য আপনার এত কষ্ট হচ্ছে ।

ইশান – it’s ok ইমা। আমি আপনাকে পর ভাবি না।।।( মুচকি হেসে)
ইমা ঈশানের কথা শুনে মুচকি হাসলো।।

তারপর কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে ইশান আবার ইমাকে পিঠে নিলো এবং পাহাড় থেকে সিড়ি বেয়ে নিচে নামলো।।

ইমা – ইশান আপনি এবার আমাকে নামিয়ে দিন।।

ইশান – আমি আপনাকে নামিয়ে দিলে আপনি হেঁটে যেতে পারবেন বলুন তো??

ইমা মুখ ভার করে বলে – না।। তবে একটু বিশ্রাম নিতে পারেন ।।।

ইশান – ওকে।।। (ইশান ইমাকে নামিয়ে দিলো।) ইমা ঘাসের উপর বসে ইশান ও বসে ।

এমন সময় ইমা একজন লোক কে সাইকেল নিয়ে আসতে দেখে।।

ইমা- ইশান ওই দেখুন একজন লোক আসছে। উনাকে বলুন সাহায্য করতে।।

ইশান – উনি কি সাহায্য করবে??

ইমা – আরে উনার সাইকেল আছে। উনাকে বললে যদি দেই ।

ইশান – এটা কি আপনার দেশ পেয়েছেন!! উনি করবে না সাহায্য ।

ইমা – আরে আপনার বলে দেখতে তো সমস্যা নেই । প্লিজ ইশান ।।

ইশান – ঠিকাছে ঠিকাছে।। আমি এগিয়ে যাচ্ছি।। ।
ইশান উঠে এগিয়ে গেলো।।লোকটির দিকে।। ইশান লোকটিকে থামিয়ে কথা বললো।।

ইমা – আল্লাহ লোকটা যেনো রাজি হয়ে যাই।

ইমা দেখে লোকটা ঈশানের সাথে তার দিকে এগিয়ে আসছে ।।

ইশান হেসে বললো – আপনার ভাগ্যটা সত্যি খুব ভালো । চলুন উনি সাইকেল দিবে। ইশান লোকটিকে বললো – আপনি আমাদের ক্যাম্পে এসে সাইকেলটা নিয়ে যায়েন।।

লোকটি রাজি হলো ।। ইশান ইমাকে নিয়ে সাইকেলে বসালো নিজেও বসলো।।

ইশান সাইকেল চালাতে শুরু করে।। ইমা মুচকি মুচকি হাসে এবং মনে মনে বলে – আমার থেকে এই সাইকেল চালানো টা শিখেছো।। জমিদারের ছেলে ছিলে তো সাইকেল চালানো শিখতে দের মাস লেগেছে।। তারপর যখন শিখলে তখন প্রথম এমন আমাকে সাইকেলের পিছনে বসিয়ে সাইকেল চালিয়ে ছিলে। আর গান গেয়েছিল –
“এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলো তো”!!
আমি এগুলো কখনোই ভুলিনি ইশান।।

এদিকে ঈশানের কেমন যেনো হতে লাগে মাথার মধ্যে সেই লোকের বলা কথা গুলোই ঘুরছে।।

ইশান – আমি কে??? আসতে আসতে মনে শুধু প্রশ্নের পাহাড় জমা হচ্ছে।। কিন্তু উত্তর নেই।।। ( মনে মনে বলে )

ভাবতেই ইমা “পথ যদি না শেষ হয় ” গানটা গুন গুন করতে লাগে।। ইশান ইমার গুন গুন করা শুনে মুচকি হেসে বললো –

ইশান – গানটা গেয়ে ফেলুন শুনি ।

ইমা – শুনবেন!! ওকে।। ( ইমা গান গাইতে শুরু করে । )

ইশান ইমার মুখে গান শুনতেই হঠাৎ তার চোখের সামনে কিছু অপছা স্মৃতি ভেসে উঠে।।
ইশান সাইকেল জোরে থামিয়ে দেই ইমার মাথা ঈশানের পিঠে গিয়ে জোরে লাগে।। ইশান চমকে ইমার দিকে তাকাই ।

ইশান – sorry ইমা আসলে,,,,!! (উত্তেজিত হয়ে)

বলতেই ইমা বললো – it’s ok ইশান।।। আমি জানি তোমার নিশ্চয় কিছু মনে হয়েছে ইশান।।( মাথায় হাত দিয়ে মনে মনে বলে)

ইশান আবার সাইকেল চালাতে লাগে এবং মনে মনে বলে – আমি এর আগে কখনো সাইকেল চালাইনি। তাহলে আমি সাইকেল চালানো জানলাম কি করে?? আর ইমা যেই গানটা গাইছিল এই গানটা তো আমিও গেয়েছি মনে হলো। উফফ এগুলো কি হচ্ছে।।। ( অদ্ভুত অশান্তি মনে কাজ করতে লাগে ঈশানের )

ইশান ইমাকে নিয়ে চলে আসে ক্যাম্পে।।।

ইশান ইমাকে ধরে ধরে ইমা, লিলির ক্যাম্পে নিয়ে গেলো।।

ইমা – thank you ইশান। অনেক কষ্ট দিলাম।

ইশান – না কষ্ট কিসের সমস্যা নেই। আপনি বিশ্রাম নিন। সন্ধ্যা বেলা আবার প্রোগ্রাম আছে । আর দেখি এখন কি আছে। স্যার বাচ্চাদের জন্য আর কি করছে । (হেসে)

ইমা – ওকে ইসমার দিকে একটু নজর রাখবেন।

ইশান – আপনি চিন্তা করবেন না।। (হেসে)

বলে ইশান বের হয়ে আসে। ইশান দেখে সব স্যার ম্যাডাম রা তার দিকে কেমন আড়চোখে তাকাচ্ছে এবং ফিস ফিস করে কথা বলছে।।

ইশান – ব্যাপার টা কি!!!??
ভাবতেই স্যার ডাক দেই ইশান কে।। ইশান স্যারের কাছে যাই ।

স্যার – কি শুনছি ইশান !! গুলিটা যদি তোমার লাগতো?? বা লিলি কে যদি সত্যি সুট করতো??

ইশান – স্যার এমন কিছু হয়নি চিন্তা করবেন না!!

স্যার – ওরা বলছে লোকটা নাকি তোমায় মাফিয়া বলেছে???

ইশান – জী।। তবে আমি অবাক হয়েছি ।

স্যার -তোমার রিভলবার নেওয়ার কৌশল দেখে।। সবাই অবাক হয়ে দেখেছে।।

ইশান – স্যার আমি জানি না আমি কিভাবে এটা করলাম।

স্যার ঈশানের কাধে হাত রেখে বলল – যায় হোক প্রশংসা করার মতো কাজ করেছ । (হেসে)

ইশান – thank you স্যার।।। স্যার আমি একটু আমার ক্যাম্পে যাচ্ছি।।

স্যার – ওকে যাও।।।

ইশান তার ক্যাম্পে চলে গেলো।
#i_m_mafia_lover
#part_42
#sabiha_kh

ইশান তার তাঁবু এসে মাটিতে পারা বিছানায় বসে আজকের ঘটনা গুলো নিয়ে ভাবতে লাগে। এদিকে ইমা,, এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখছে কেও আছে কিনা ।। ইমা কাওকে দেখতে না পেয়ে ফোন নিয়ে আকাশ কে কল করে।

ইমা – hello আকাশ ।

আকাশ – জী ম্যাডাম কেমন আছেন??

ইমা – আমার কথা ছাড়ো আজ একটা বাজে ঘটনা ঘটেছে।

আকাশ – কি হয়েছে ম্যাডাম ?! স্যার ঠিক আছে তো!!!

ইমা – হম ইশান ঠিক আছে তবে মানসিক দিক দিয়ে চাপে আছে ।।

আকাশ – যেমন ?? কিছু ঘটেছে ম্যাডাম?? (চিন্তিত সুরে)

ইমা – হম।।।। (ইমা আকাশকে সব খুলে বলে)

আকাশ – ম্যাডাম এইটা আপনার কাছে বাজে ঘটনা হলেও আমার কাছে ভালো ঘটনা।।

ইমা – তুমি কি পাগল হলে আকাশ ?? তুমি কি চাও ইশান আবার সেই মাফিয়া হয়ে যাক??

আকাশ – না ম্যাডাম আমি সেটা বলিনি।। আর আমি চাইও না স্যার আবার সেই অন্ধকার পথে যাক। আমি শুধু বলেছি এইটা ভালো ঘটনা। কারণ স্যার এই অন্ধকার জগতের কিং হয়ে ছিল ৫ বছর।। স্যারের যদি অন্ধকার জগতের কোথাও আগে মনে পড়ে আমার মতে সেটা খারাপ না ।।। আপনি একটু ভেবে দেখুন!!!

ইমা – হম তুমি হয়তো ঠিক বলছো ।।। আমরা তো চাচ্ছি যে ভাবেই হোক ওর স্মৃতি ফিরে আসুক।।

আকাশ – জী ম্যাডাম এটাই বুঝাতে চাচ্ছিলাম।।

এমন সময় লিলি আসে। ইমা তাড়াতাড়ি ফোন কেটে দেই।।।

লিলি – এখন কেমন আছেন মিস ইমা??

ইমা – পেইনকিলার খেয়েছি এখন ব্যাথা একটু কম।।

লিলি – যাক ভালো । ।। সন্ধ্যার প্রোগ্রামে থাকবেন তো!!!

ইমা – হম থাকবো । (হেসে)

লিলি ইমার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো – হম থাকতে তো তোমাকে হবেই । ঈশানের বেশি কাছে চলে এসেছো না!! আজ ঈশানের সামনেই তোমাকে কেমন মজা বুঝায় দেখবে।।

লিলি হেসে বললো – ok মিস ইমা আপনি বিশ্রাম করুন আমি আসি।( বলে লিলি চলে গেলো)

লিলি সোজা ঈশানের তাঁবুতে যায়।।

লিলি – hi ইশান।। (ঈশান লিলির দিকে তাকাই । ) বসতে পারি??

ইশান – হম বসো ।

লিলি – I am so sorry ইশান ।। আসলে তোমাকে বলে বুঝতে পারব না সেই সময় আমার কি অবস্থা হয়েছিল। তাই,,,,!!

বলতেই ইশান বললো – it’s ok লিলি আমি বুঝি তোমার সমস্যা টা । যায় হোক কিছু বলতে এসেছো??

লিলি – হম। আজ তো সন্ধ্যায় প্রোগ্রাম আছে।। তো কি করবে কিছু ভেবেছ???

ইশান – আ,,,,,, না তুমি কিছু ভেবেছ??

লিলি – হম তোমাকে সাথে চাই ।।( মুচকি হেসে)

ইশান – ok।।( হেসে)

Time Skip

সন্ধ্যা,,,,,

সন্ধ্যার প্রোগ্রামের জন্য প্রায় সবাই তৈরি হয়ে বাইরে প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার অপেক্ষা করছে।। ইশান রেডি হয়ে সবার মাঝে চলে আসে। ইশান মনে ইমাকে খুঁজছে এদিক ওদিক দেখছে ইমা এসেছে কিনা। এমন সময় পিছন থেকে লিলি এসে ঈশানের কাধে হাত রাখে ইশান ভাবে হয়তো ইমা ইশান খুশি মনে পিছনে ঘুরে দেখে লিলি।।

লিলি – hi,,, কেমন লাগছে আমাকে??

ইশান – ভালো লাগছে।।।

লিলি – তোমাকেও সাদা শার্টে খুব মানিয়েছে।।

ইশান – thank you।। আচ্ছা ইমা কোথায়? দেখেছ??

লিলি বিরক্ত সুরে বলল – না।।

ইশান এদিক ওদিক দেখতে দেখতে পিছনে ঘুরে দেখে এক জাগায় কিছু বাচ্চারা গোল হয়ে দাড়িয়ে আছে ।।

ইশান – ওখানে বাচ্চারা কি করছে?? (বিস্মিত চোখে)

লিলি – জানি না ।

ইশান – ok তুমি এখানে দাড়াও আমি দেখে আসছি।

বলে ইশান হেঁটে বাচ্চাদের ভিড়ের দিকে গেলো।

ইশান একটু জোরে বললো – কি হচ্ছে এইখানে???

বলতেই বাচ্চারা ঈশানের দিকে তাকিয়ে সরে দাঁড়ায়।। ইশান দেখে ইমা বসে আছে।। ইশান অবাক হয়ে যায় ইমাকে দেখে।। এ যেনো এক পরি বসে আছে বাচ্চাদের মাঝখানে ।। ইমা সাদা রঙের ফ্রগ পড়েছে ফ্রগে সোনালী রেশমী সুতা হালকা কাজ করা ।। চুড়িদার পায়জামা। সাদা রঙের ওড়না তাতেও সোনালী রেশমী সুতার কাজ।। চোখে হালকা করে কাজল, ঠোঁটে হালকা গোলাপি রঙের গ্লসি লিপ্সটিক।।। কানে সাদা পাথরের ছোট্ট দুল।। চুল গুলো ছেড়ে দেওয়া হলেও কানের পিছনে গুঁজে রেখেছে ইমা।। এ যেনো এক অপরূপ সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে ইমার মধ্যে যেখান থেকে চোখ সরাতে পারছে না ইশান।

ইসমা তার বাবা কে অবাক হয়ে তার মার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে মুখে হাত দিয়ে ফিক ফিক করে হাসতে লাগে।। ইমা ইসমাকে হাসতে দেখে একটু লজ্জাই পেলো।।

ইসমা ইমার কাছ থেকে উঠে ঈশানের কাছে যাই ।।।

ইসমা – বন্ধু!!! (ইশান চমকে ইসমার দিকে তাকাই।। ) এই ভাবে দাড়িয়ে আছ কেনো এসো চলো আমার সাথে।।।

বলে ইসমা ইশানের হাত ধরে ইমার কাছে নিয়ে আসে । এদিক লিলি দাড়িয়ে সব কিছু দেখছে।এবং খুব রাগ হচ্ছে।

ইসমা – এই খানে বসো।।( ইমার পাশে ইশান কে বসিয়ে দিল।) বন্ধু আজ তুমি আর আম্মু একই রঙের পোশাক পড়েছ।।। (ইশান ,ইমা দুজনাই একটু লজ্জা পায় ইসমার কথাই)

এমন সময় একজন ম্যাডাম বাচ্চাদের ডাক দেই । ।।সব বাচ্চারা চলে যায়। ইসমা ও ইমা ইশান কে বিদায় দিয়ে চলে গেলো ।।
ঈশানের কেমন এক অদ্ভুত ফিলিংস কাজ করছে মনে।। না পারছে নিজের চোখকে শান্ত রাখতে না পারছে নিজের মন কে শান্ত করতে।।।। এদিকে লিলি ইশান ইমাকে এক সাথে দেখে আরো রেগে যাচ্ছে।।

লিলি – উফফফ কি করব কি করবো !!! ওরা কেনো একসাথে।। ইশান আমার সাথে থাকবে । (উত্তেজিত হয়ে বিরক্ত সুরে বললো)

এদিকে ইমা ঈশানের দিকে তাকাই দেখে ঈশানের কান গাল কেমন লাল হয়ে আছে ।

ইমা – ইশান আপনি ঠিক আছেন??

ঈশান – হম হম আমি ঠিক আছি।।( মুচকি হেসে)
ইশান ঠোঁট কামড়িয়ে ধরে মনে মনে বলল – বলছি তো ঠিক আছি কিন্তু আমি ঠিক নেই ইমা।

ইশান ভাবতেই ইমা বললো – আপনি ঠিক আছেন বলে আমার মনে হচ্ছে না ।। আপনার কান, গাল এমন লাল দেখাচ্ছে কেনো জ্বর এসেছে নাকি!!! দেখি তো ,,, ( বলে ঈশানের কপালে হাত দিল ,, ইমার ছোঁয়া পেতেই ঈশানের শরীর কেপে উঠলো)

ইশান ইমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে মনে মনে বললো – হম জ্বর এসেছে মনের ভিতর। দেখো না তুমি আমাকে টাচ করলেই আমার হার্ডবিট কেমন অশান্ত হয়ে যায় ।

ভাবতেই লিলি এসে চোট করে ইমার হাত চেপে ধরে। ইশান ইমা দুজনাই চমকে যায় । লিলি ইমার হাত ঈশানের কপাল থেকে সরিয়ে দেই। ।

লিলি – ইশান কি হচ্ছে বলতো??( রাগান্বিত সুরে )

ইশান – কি হচ্ছে!!!

লিলি – এইটা স্কুল ক্যাম্পিং ভুলে যেও না ইশান ।।। এখন চলো।। (বলে ঈশানের হাত ধরে)

লিলির ঈশানের হাত ধরা দেখে ইমা লিলির দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে – আমি সব বুঝতে পারছি লিলি তোমার মনে কি চলছে।। কিন্তু কোনো লাভ নেই। করো যা করার করো।।। ইশান আমার আমারই থাকবে।।।।

ইশান – কোথায় যাবো??

লিলি – অনুষ্ঠান শুরু হবে এখুনি চলো।।।

ইশান – ইমা আপনি যাবেন না?? (ইমার দিকে তাকিয়ে)

ইমা – হম যাবো চলুন।।( ইমা উঠে দাড়ালো)

ইশান – আপনি হাঁটতে পারবেন তো ??

ইমা- হম পারবো।।। (মুচকি হেসে)

ইমা আসতে আসতে খোঁড়াতে খোঁড়াতে হাঁটতে লাগে।

ইশান ইমাকে এমন খোরিয়ে হাঁটতে দেখে বললো – আমি কি সাহায্য করতে পারি ।

ইমা মুচকি হেসে বলল – ok ।।
বলে ঈশানের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলে লিলি দ্রুত গিয়ে ইমার হাত ধরে।। ইশান অবাক হয়ে যাই।।

লিলি হেসে বললো – আমি আছি তো।। আমি নিয়ে যাচ্ছি। মিস ইমা কে।। (ইমার লিলির কান্ড দেখে হাসি পাচ্ছিল তবুও হাসি কষ্ট করে থামিয়ে রাখে)

লিলি ইশান ইমা স্টেজের সামনে চলে আসে।।
প্রোগ্রাম শুরু হয়ে গেল ।।। একজন স্যার স্টেজে এই প্রোগ্রামের উপস্থাপনা করে।। বাচ্চারা যে যেটা করবে স্যার তাদের সেভাবেই ডাকে।।। কেউ নাচছে ,কেউ গান গাইছে ,কেউবা কবিতা আবৃত্তি করছে ।। ইমা ইশান এবং সবাই খুব মজা নিয়ে প্রোগ্রাম টা উপভোগ করতে লাগে।।।। ইশান তো প্রোগ্রামের থেকে বেশি ইমাকেই দেখছে।।। ইমার হাসি ইমার কথা সব কিছু যেনো ঈশানের মন কে ছুঁয়ে যাচ্ছে বার বার।।। লিলি ইশান কে ইমার দিকে বারবার তাকাতে দেখে একরকম বিরক্ত বোদ করতে লাগে। লিলি উঠে প্রোগ্রাম এর উপস্থাপক স্যার কে গিয়ে বললো –

লিলি – স্যার এই পারফরম্যান্স টা শেষ হলে আমি ইশান পারফরম্যান্স করব ।।।

স্যার – কিন্তু আরো দুই তিন জন বাচ্চারা বাকি আছে। আচ্ছা সমস্যা নাই । । তোমাদের আগে দিবো।। (লিলি খুশি হয়ে যায় । এবং গিয়ে নিজের জাগায় বসে পড়ে।।। )

পারফরমেন্স শেষ হলে উপস্থাপক স্যার স্টেজে পারফরম্যান্সের জন্য লিলি ঈশানের নাম নিলো।

সব স্টুডেন্টরা ম্যাডাম স্যাররা হাত তালি দিতে লাগে এবং চিল্লাতে লাগে।।। ইমা ঈশানের দিকে তাকিয়ে হাসে এবং হাত তালি দেই।। ইশান ইমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে গিটার নিয়ে স্টেজে উঠলো। লিলি বেহালা নিয়ে স্টেজে উঠলো ।।। লিলি , ইশান কে বসার জন্য দুইটা টুল দিলো। ইশান লিলির কানে কাছে কাছে এসে বললো –

ইশান – তুমি একটা গান গাও তারপর আমি একটা গাইবো ।

লিলি – তুমি আমার সাথে গান গাইবে না??

ইশান – গাইবো তো।। আমি আরো একটা গাইবো।।

লিলি – তুমি আরো একটা গান গাইবে আগে বলনি কেনো ??

ইশান – আমি জাতাম না তাই । (হেসে) ok চলো শুরু করি ।

লিলি – ok ।। (হেসে)

ইশান গিটার বাজাতে শুরু করে । লিলি বেহালা বাজিয়ে গান বলতে শুরু করে।।

লিলি –
প্রতি রাতে আমার স্বপ্নে ,,,,
আমি তোমাকে দেখি ,এবং অনুভব করি ।
এতোটুকুই আমি তোমাকে জানি, যাও
এ পর্যন্ত দূরত্ব জুড়ে।
এবং দূরত্ব, আমাদের মধ্যে আছে
তুমি এসেছো তোমাকে দেখাতে, যেতে থাক
কাছে, দূরে, যেখানেই থাকো

ইশান – ,,,,,,

আমি বিশ্বাস করি মন চলতে থাকবে।
আরেকবার তুমি দরজা খোলো
এবং তুমি আছো আমার অন্তরে।
এবং আমার হৃদয় যেতে থাকবে এবং যেতে থাকবে।,,,,,,,,,

(বিদ্র: MY heart is go on বাংলা করে দিলাম।। অনেক বড় গান তাই অল্প দিলাম😊)

ইশান লিলি দুজনাই গানটা খুব সুন্দর করে গাইল।।। ইমা ঈশানের গিটার বাজানো দেখে গান গাওয়া দেখে কলেজের জীবনের কথা মনে পড়ে যায়।। ইমা মনে মনে বলে – তুমি আমাকে গিটার বাজিয়ে শুনেছো গানও গাইয়ে শুনেছো ।। কিন্তু কখনো কারো সামনে গান গাওনি ।।। তোমাকে বলেও গান গাওয়াতে পারিনি । তুমি সব সময় ইতস্ত বোধ করেছ।। সব সময় বলেছো আমি হার্টলেস ছেলে সবাই আমাকে এটাই ভাবে।। আর আমি সবার কাছে হার্টলেস ছেলেই থাকতে চাই।।।
আর আজ সেই ইশান সবার সামনে গান গাইছে।।। সত্যি অনেক অবাক হয়েছি সাথে খুশি ও।।।

ইশান লিলির গান শেষ হয় ।। সবাই তো দাড়িয়ে হাত তালি দিতে লাগে।।

লিলি – সবাই নিজের জায়গায় বসুন।। এবার একক গান শুনাবে আমাদের সবার প্রিয় ঈশান স্যার।। হাত তালি।।। (সবাই চিল্লাই উঠে হাত তালি দেয় )

ইশান ইমার দিকে তাকাই দেখে ইমা তার দিকে তাকিয়ে আছে । ইশান মনে মনে বলে – আমি জানিনা মনের কথা কি ভাবে বলতে হয় তবে এই গানের মধ্যে কিছুটা বলার চেষ্টা করবো।। জনি হয়তো গানটা আমার মনের কথার সাথে ততো টাও মিল হবে না। তবে যেটুকু হয় আরকি।।।

ইশান চোখ বন্ধ করে দীর্ঘ একটা শ্বাস ছাড়ে এবং গিটার বাজাতে শুরু করে । ইমা গালে হাত দিয়ে অপলক দৃষ্টিতে ঈশানের দিকে তাকিয়ে থাকে,,,,,,,

ইশান,,,,
আমি ভালোবাসা খুজে পেয়েছি নিজের জন্য।
ও আমার প্রিয়তমা, ঠিক ডাইভ ইন করো এবং আমার নেতৃত্ব অনুসরণ করো ।
আমি একটি মেয়ে খুঁজে পেয়েছি, সুন্দর এবং মিষ্টি
ওহ, আমি কখনই জানতাম না যে তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করেছিলে।,,,,,,,,

[ বি, দ্রঃ perfect গান খুব প্রিয় একটা গান। গানটা বড় তাই পুরাটা দিলাম না। 😊]

ইশান গান গাইতে গাইতে বার বার ইমার দিকেই তাকাচ্ছে। এদিকে লিলি মনে মনে খুব খুশি লিলির ধারণা এই গানটা ইশান হয়তো তার জন্য গাইছে।। গান শেষ হলে সবাই হাত তালি দেই এবং ইশান কে বাহবা জানায়। ইশান ইমার দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকে। লিলি ঈশান কে বাহাবা জানাতে লাগলে খেয়াল করে ইশান ইমার দিকে তাকিয়ে আছে।।

লিলি প্রচন্ড রেগে যায়। এবং মনে মনে বলে – এখন সব বুঝতে পারছি । ইশান মিস ইমাকে পছন্দ করে।। ভেবেছিলাম এই গানটা আমার জন্য কিন্তু না এই গানটা ইশান ইমা ইমার জন্য গেছে।। এবার আমি মিস ইমাকে সবার সামনে লজ্জিত করি দেখো ইশান।।

লিলি ঈশানের হাত থেকে মাইক নিয়ে বললো –

লিলি – আপনারা সবাই জানেন কি আমাদের মাঝে একজন গেস্ট আছে!! উনি হচ্ছেন মিস ইমা।। ঈশানের গেস্ট হয়ে এই ক্যাম্পিং এ যোগ দিয়েছেন আমাদের সাথে।। মিস ইমা প্লিজ স্টেজে আসুন।

ইশান যত টা না লিলির এমন কোথায় অবাক হয় তার থেকে বেশি অবাক হয় ইমা।। ইমা বুঝতে পারে লিলি নিশ্চয়ই মনে মনে কোনো কুবুদ্ধি এটেছে।

লিলি – প্লিজ মিস ইমা স্টেজে আসুন।।।

ইশান লিলির হাত থেকে মাইক নিয়ে নিল।এবং ধীর সুরে বলল – কি করছ মিস ইমা কে কেনো ডাকছো??

লিলি – অহ ইশান এত কথা বলো নাতো। । বলে ঈশানের হাত থেকে মাইক নিয়ে নিল।।

ইমা আর কিছু না ভেবেই লিলির কথামতো স্টেজে গেল।।।

লিলি মুচকি হেসে ইমার দিকে মাইক এগিয়ে দিল ।। ইমা লিলির দিকে তাকিয়ে আছে ।

লিলি – মাইক টা ধরুন মিস ইমা।।( ইমা কোনো কথা কথা না বলে মাইকটা লিলির হাত থেকে নিল)

লিলি আরেকটা মাইক নিয়ে বললো – মিস ইমা আমরা চাই আপনি আমাদের একটা গান শুনান।। কি সবাই চাও তো মিস ই মার গান শুনতে!! (একটু জোরে)

সবাই জোরে বলে উঠলো – হম চাই ।

এদিকে ইসমা চিন্তায় পড়ে গেল।

ইজমা – আম্মু কে তো কোনদিন গান বলতে শুনিনি। এখন কি হবে। আম্মু তো গান পারেনা। লিলি ম্যাডাম এটা কি করলো ।

ইমা ঈশানের দিকে তাকাই ।

ইশান লিলি কে বললো – কি করছো মিস ইমা গান পারে কিনা একবার জিজ্ঞেস করতে পারতে হুট করে কেও এমন করে !!

বলতেই ইমা বললো – ওকে। ইশান লিলি ইমার ok বলা শুনে অবাক হলো। সাথে ইসমাও।।

ইজমা – আম্মু ok বললো !! আম্মু পারবে গান গাইতে !! আল্লাহ কি যে হয় আজকে !!

ইমা – আমি গান গাইবো।।

ইশান – আপনি ঠিক বলেছেন !!

ইমা – হম।

বলতেই লিলি গিটার নিয়ে ইমার হাতে তুলে দিলো।

লিলি – মিস ইমা গিটার বাজিয়ে গান গাইবেন শুনতে ভালো লাগবে।।।
আজ এবার দেখি কি করেন আপনি মিস ইমা।।( মনে মনে বললো )

ইশান – মিস ইমা গিটার আমাকে দিন আমি বাজাই আপনি গান করুন।।

ইমা ঈশানের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে মনে মনে বললো – আমি তোমাকে কিছু মনে করতে চাই ইশান যেটা তোমার আমার মনের পুরাটাই ফিলিংস ছিল।।

ইশান – ইমা!!!

ইমা – না থাক আমি পারবো ।

লিলি মুখ চেপে হাসে এবং মনে মনে বলে – দেখা যাক।।

লিলি – ok ইশান চলো আমরা এখন দর্শক হয়ে যায়।

ইশান আর কিছু বলে না। লিলির সাথে নেমে যায় স্টেজ থেকে।।।

ইজমা নিজের জায়গা থেকে উঠে ঈশানের কাছে আসে ।

ইশান – কি হয়েছে ইজমা??

ইজমা – বন্ধু আমার আম্মু গান গাইতে পারেনা। গিটার বাজানো তো দূরের কথা । প্লিজ বন্ধু কিছু একটা করো।।

বলতেই গিটারের সুর বেজে উঠলো । ইশান ইজমা অবাক হয়ে সামনে তাকাই।। ইমা চোখ বন্ধ করে গিটার বাজাই এবং সেই কলেজের জীবনের কথা মনে করে।

অতীত,,,

ইশান – ইমা আমি গিটার বাজানো খুব কম সময়ে শিখেছি। আরে তুমিও পারবে আমি তো শিখিয়ে দিচ্ছি ।

ইমা – আরে গিটারের তার গুলো মনে হচ্ছে হাত কেটে বসে যাচ্ছে।। ব্যাথা লাগছে।

ইশান – প্রথম প্রথম একটু এমনি হয়। ঠিক হয়ে যাবে ।

ইমা – তুমি আজব। ছেলে গিটার বাজানো শেখাতে মানববিহীন জায়গায় নিয়ে এসেছো।।

ইশান – কেনো জায়গাটা সুন্দর না!!

ইমা – হম সুন্দর ।

ইশান – ওকে শুরু করো।

ইশান ইমার পিছনে বসে ইমার হাত ধরে ধরে গিটার বাজানো শেখায়।। ৩ মাস লাগে ইমার গিটার বাজানো শিখতে।

ইমা ঈশান কে ফোন করে বলে – ইশান আমি তোমার জন্য একটা গান তুলেছি গিটারে। তুমি কাল কলেজে চলে এসো। আমাদের মেডিকেল স্টুডেন্টদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কালকে।। আমি নাম দিয়েছি।

ইশান – হম যাবো দেখো না আমার জানটা কেমন গান গাই।।

বর্তমান,,,,

ইমা চোখ খুলে সরাসরি ঈশানের দিকে তাকাই এবং গান গাইতে শুরু করে,,,
… Heart beats fast
Colors and promises
How to be brave
How can I love when I’m afraid to fall
But watching you stand alone
All of my doubt, suddenly goes away somehow

… One step closer

… I have died everyday, waiting for you
Darling, don’t be afraid, I have loved you for a thousand years
I’ll love you for a thousand more

… Time stands still
Beauty in all she is
I will be brave
I will not let anything, take away
What’s standing in front of me
Every breath, every hour has come to this

… One step closer

… I have died everyday, waiting for you
Darling, don’t be afraid, I have loved you for a thousand years
I’ll love you for a thousand more
( বাংলা অর্থ দিলাম)
👇
হৃদয় স্পন্দন দ্রুত হচ্ছে,
রং এবং প্রতিশ্রুতি গুলো
সাহসী কিভাবে হয়।
পড়ে যাওয়ার ভয় পেলে ভালবাসবো কিভাবে???
কিন্তু তোমায় একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলে,
আমার সব সন্দেহ হঠাৎ একরকম চলে যায়।
আরও এক কদম কাছে (এসো )
আমি প্রতিদিন মরেছি, তোমার অপেক্ষায়।
প্রিয়তম, ভয় পেও না, আমি তোমাকে হাজার বছর ধরে ভালবাসি
আর হাজার বছর ধরে ভালবাসব তোমাকে।

আমায় চমকে যায়
তার মাঝে সব সৌন্দর্য
আমি সাহসী হব।
কোনকিছুই দূরে নিয়ে যেতে দেবো না।
আমার সামনে যে দাঁড়িয়ে থাকবে
প্রতিটি নিঃশ্বাসে প্রতিটি ঘন্টায়
আরও এক কদম কাছে (এসো)
তোমার অপেক্ষায় থেকে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছি
প্রিয়তমা ভয় পেয়ো না তোমাকে হাজার বছর ধরে ভালোবেসেছি
আরো হাজার বছর ধরে ভালোবাসবো।।

[ বি, দ্রঃ A thousand years গানটা অসাধারণ এবং আমার তো খুব পছন্দের । আরো বড় ছোট করে দিলাম😊]

ইমা গান গাইতে গাইতে চোখের কোনায় জল চলে আসে।
এদিকে ঈশানের চোখ থেকে যে কখন পানি গড়িয়ে পড়েছে ইশান বুঝতেই পারেনি। ঈশান মনের মধ্যে কেমন একটা কষ্ট অনুভব করে ।। ঈশানের চোখের সামনে সেই জাপসা স্মৃতি গুলো ভেসে উঠে।।।
এদিকে লিলি ইমার এমন গান গাওয়া দেখে সত্যি অবাক হয়ে যাই। লিলি ভাবতেও পারেনি ইমা এত সুন্দর করে গান গাইবে।।। লিলি ঈশানের দিকে তাকাই দেখে ইশান অপলক দৃষ্টিতে ইমার দিকে তাকিয়ে আছে এবং ঈশানের চোখে পানি। লিলি ঈশানের কাধে হাত রাখলে ইশান চমকে লিলির দিকে তাকাই।

লিলি – কি হয়েছে কাদঁছো কেনো??

ইশান – কোথায় কাদছি ??

লিলি – নিজের চোখে হাত দিয়ে দেখো।

ইশান চোখে হাত দিলে দেখে সত্যি তার চোখে পানি। ইশান অবাক হয় এবং ইমার দিকে তাকাই।।।
ইশান মনে মনে বলে – কেনো আমার সাথে এমন হচ্ছে?? তাহলে কি ইমার সাথে আমার কোনো কানেকশন ছিল!!! যদি থেকেই থাকে তাহলে কেনো মনে হচ্ছে না?? কেনো মনে পড়ছে না।।।

ইমার গান শেষ হলে সবাই জোরে জোরে হাত তালি দিতে লাগে। ইমা মুখ গুড়িয়ে চোখের পানি লুকিয়ে ফেলে ইশানের দিকে তাকাই দেখে ইশান উঠে চলে যাচ্ছে। ।।

ইমা – কিছু কি মনে পড়লো ওর!! আল্লাহ প্লিজ ok মনে করিয়ে দাও সব ।। (মনে মনে বললো)

,,,,,,,, Continue,,,,,,,
ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।।
,,,,,,,, Continue,,,,,

ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here