King_in_the_city_of_Mafia পর্ব ১৯+২০

#King_in_the_city_of_Mafia
#Yanur_Akter_Eanya
#Part-19+20
আরাভ গায়ে কালো লম্বা কোড, ডেমির্ট পান্ট জড়িয়ে নিয়েছে।এয়ারপোর্টে সব ফর্মালিটি পূরণ করে প্লেন সিটে বসে পড়লো।দীর্ঘ তিন দিন জার্নি পর পৌছালো লন্ডন শহরে।কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে রাতের আঁধারে খুঁজতে লাগলো আরাভ।আরহাম আর নিলীমা কে যেভাবে হোক জীবিত থাকতে বের করতে হবে।আরমান মির্জা কতটা নিচ তা ভাবতে ঘৃনা লাগছে।নিজের বোন কে দেহ ব্যবসা কাজে জন্য যে ব্রিকি করে দেয়।পরে সেই দেহ ব্যবসায় টাকার জন্য বোন কে নিজের হাতে খুন করে।টাকা জন্য বোনকে যে ছাড় দেয়নি।সে আবার নিজের সন্তান কে ছাড় দিবে মনে হয় না।

-;বস আরহাম ঠিকানা পাওয়া গেছে।একটু আগে নাকি আরমান মির্জা লোকদের হাতে ধরা পড়েছে।

-;ওয়াট!আমাদের এখুনি বের হতে হবে কুইক গাড়ি স্টার্ড দেওয়।আরাভ লোকগুলো নিয়ে সেই ঠিকানা রওনা হলো।

—-
রক্তাক্ত দুটো মানুষ আইসিইউতে পড়ে আছে।আরাভ হাসপাতালে রয়েছে আইসিইউ বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে।

আইসিইউ লাইট বন্ধ হয়ে গেলো।ডক্টর বের হয়ে আসলো।

আরাভ মুখ ফুটে কিছু বলার আগেই ডক্টর আরাভ কে নিশ্চিত থাকতে বলো।আরহাম গায়ে গুলিটা বের করা হয়েছে।নীলিমা মাথা বেন্ডজ করা হয়েছে। দুইজনের জ্ঞান ফিরেনি।জ্ঞান ফিরলে কথা বলতে পারবে। আরাভ নিশ্চিত হলো।মিসেস কনিকা মির্জা সাথে কথা বলে ওদের অবস্থা কথা জানালো।

আরেকজন কে মেসেজ করে জানালো তার ভাই এবং ভাইয়ের বউ ঠিক আছে।

——;
বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে শীতল।রাতের অন্ধকার আর নিস্তব্ধতা ওর অস্তিত্বকে জানান দিচ্ছে।দুগালের ওপর লেপ্টে থাকা চুল গুলো গড়িয়ে পানি পড়ছে।লাল হয়ে যাওয়া চোখ জোড়া পানিতে টলমল করছে।কয়েকদিনে একদম পাল্টে গেছে শীতল।কারোর সাথে কথা বলেনা,রুম থেকে বের হয়ে কলেজে যেত আর কলেজ থেকে সরাসরি বাসায়।তারপর নিজের রুমে বাকিটা সময় কেঁটে যায় শীতলের।পুরোটা সময় একাকীই কেঁটে যায় ওর।সুযোগ পেলে আরাভ ছবি দেখতো।লেখনীতে ইয়ানুর আক্তার ইনায়া।ব্যাপারটা শীতলকে ভাবাচ্ছে।আরাভ চলে গেছে এতে তো ওর মন খারাপ করার কথা নয়।বরং খুশী থাকা উচিত।নিজের মতো লাইফ ইনজয় করতে পারবে।যেখানে খুশী সেখানে চলে যেতে পারবে।কেউ বাঁধা দেওয়ার মতো নেই। সত্যি কি তাই? আরাভ শীতল কে সিকিউরিটি মধ্যে রেখে গেছে তা হয়তো শীতলের অজানা?আরাভ তার মায়াবিনী কে এত বিপদ কথা জেনো ও এভাবে ফেলে যাওয়ার বোকামি নিশ্চয় করবে না। তার মতো সুবিধা সে করে তবেই পারি দিয়েছে সাত সমুদ্র তেরো নদী।

ভালোবাসা চারটি শব্দ সংযুক্ত। ভালোবাসা সবার জীবনে নাকি একবার হলে আসে সেটা কেউ ধরে রাখতে পারে আবার তা কেউ পারে না। ভালোবাসা দুই পক্ষ থেকে হলে নাকি মনের মিলন ঘটে।আর যদি একজন পক্ষ থেকে ভালোবাসা হয়। আর অপরের পক্ষে মনে কোনো কানেকশন না থাকে তাহলে সেটা ভালোবাসায় রুপান্তর হয় না। সেটা হয় এক তরফা ভালোবাসা যেখানে মন দেওয়া নেওয়া হয় না।এক তরফার ভালোবাসা বড্ড পোড়ায়।পুড়ে পুড়ে দর্গদ্ধ ছাই করে।আরাভ শীতল কে পাগলের মতোও ভালোবাসা।কিন্তু শীতল কি ভালোবাসে আরাভ কে।নাকি ভালোবাসা মর্মটা বোঝার আগেই শেষ হয়ে যাবে সকল যাওয়া পাওয়া লেনাদেনা। এই পারে কি হবে বন্ধু সাথে বন্ধু মনের মিলন।আই লাভ ইউ তিনটি শব্দ।মুখ ফুটে বলাটা সহজ হলে তা সম্পর্কে মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ঠিকে রাখা ওতো সহজ নয়। একটা সম্পর্কে বিশ্বাস, ভরসা,আস্থা, সবটা থাকা প্রয়োজন।

নীলিমা জ্ঞান ফিরার পর একে একে মনে করতে থাকে সেই নির্মম হত্যাকাণ্ড কথা।আরহাম কই তার? ভেবে আর অপেক্ষা করে না।হাতের স্যালাইন টান দিয়ে খুলে ফেলে।চিতকার করে কেঁদে উঠে তবে কি আরহাম আর নীলিমা সম্পর্ক এই পর্যন্ত ছিল।
নীলিমা জ্ঞান ফিরার পর থেকে এমন পাগলামি দেখে নার্স ডক্টর পেনিক হয়ে পড়ে। নীলিমা কে কোনো কিছুতে শান্ত করতে পারে না?

বাধ্য হয়ে আরাভ কে ডেকে আনে। আরাভ এসে সামনে দাঁড়া।নীলিমা হাত দিয়ে গলগল করে রক্ত পড়ছে। স্যালাইন টান দিয়ে খুলে ফেলার কারনে এমন হয়েছে।আরাভ হাজার বুঝিয়ে যখন লাভ হলো না।তখন আরহাম কে যেখানে রাখা হয়েছে সেখানে নিয়ে আসা হয় উইল চেহারা করে।নীলিমা শরীর প্রচুর দূর্বল।

-;আরহাম কি সুন্দর করে ঘুমিয়ে আছে।দেখে মনে হবে সে কত দিন ঘুমায় না?সত্যি তো তাই নীলিমা কে পেয়ে তো প্রতি মুহূর্তে না পাওয়ার জন্তনা ভোগ করেছে।তাদের ভালোবাসা হাজার বিপদ পারি দিয়ে
তবে আজ তারা এক হয়েছে।ভালোবাসা মানুষটা পাশে থাকলে ওহ হাজার বিপদ লড়াই করে বাঁচা যায়।আর যদি ভালোবাসার মানুষটা হারিয়ে যায় কিংবা ফেলে চলে যায়।তাহলে সে মানুষটা বেচে থেকে ও মরে যায়।একটা জীবন্ত লাশের পরিনত হয়।

জগৎ রায়, এলিজা গ্লোবাল, আরমান মির্জা এবং আর.কে মেতে উঠেছে এক বড় ভয়ংকর খেলা নিয়ে।যা শেষ করে দিবে শীতল আরাভ বৈবাহিক জীবন। অটুট বন্ধ আবদ্ধ এমনকি সম্পর্কে খুটি এখনো মজবুত শক্ত হয়নি।সে সম্পর্ক ভাঙ্গতে বেশি সময় লাগবে না।কি হবে আরাভ আর শীতল সাথে।আল্লাহর পবিএ কালাম মুখে নিয়ে তিন কবুল বলা সম্পর্ক কি এখানে ভেঙ্গে গুড়িয়ে যাবে। নাকি পবিএ হালাল হওয়া সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হবে না।পবিত্র আবদ্ধ হওয়া সম্পর্ক নড়বড়ে থাকলে ফাটল ধরতে এক মিনিট সময় লাগে না। প্রথম শুরু হয় সন্দেহ বিচ অবিশ্বাস্য ব্যাপার।

পৃথিবীতে বালিকার প্রথম প্রেমেরমত
সর্বগ্রাসী প্রেম আর কিছুই নাই।
প্রথমযৌবনে বালিকা যাকে ভালোবাসে তাহার
মত সৌভাগ্যবানও আর কেহই নাই।
যদিও সে প্রেম অধিকাংশ সময় অপ্রকাশিত থেকে যায়,
কিন্তু সে প্রেমের আগুন সব বালিকাকে সারাজীবন পোড়ায়।

( – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

মনের কথা মনের মাঝে না রেখে তাকে মুখ ফুটে জানিয়ে দেওয়াই ভালো।আর যদি হয় তা প্রথম প্রেম তাহলে তা প্রকাশ করাই ভালো। তবে হ্যা এতে দুই মনের দিক থেকে হতে হবে। দুইজনের মন দুই বাঁকে থাকলে সে মিলন স্থায়ী নয় অস্থায়ী হয়।

ভালোবাসা কোনো পাপ নয় একের অপরে কে ভালোবাসতেই পারে।সেটা যদি হয় হালাল এবং পবিত্র বন্ধ তাহলে কথাই নেই। ভালোবাসাটা দু’জন মানব-মানবীর প্রেমের সম্পর্কে থেকেই নতুন প্রজম্ম সৃষ্টি আদি বিস্তার হয়ে আসছে।

নীলিমা তার ভালোবাসার মানুষটাকে মন ভরে দেখছে। তার স্বামী তার বেচেঁ থাকার লড়াই। এই মানুষটা না থাকলে দুনিয়াটা তার পুরোটাই অন্ধকার।আরহাম বেঁচে আছে এটাই তার বড় পাওয়া। খোদা কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া ফরিয়াদ করছে।

বাহিরে দাঁড়িয়ে আরাভ সবটাই দেখচ্ছে। সত্যি ভালোবাসা মানুষ টা পাশে থাকলে আর কিছু লাগে না।সেইদিন আরাভ আরেকটু দেড়ি করলে হয়তো দুটো ভালোবাসার মানুষ হারিয়ে যেতো সারাজীবনের জন্য।

আরাভ ডুব দিলো সেই দিন ঘটনা যেইদিন খবর আসে নীলিমা আরহাম ধরা পড়েছে মির্জা লোকদের হাতে।

——ফ্লাশব্যাক 🍁🍁

-;বস আরহাম ঠিকানা পাওয়া গেছে।একটু আগে নাকি আরমান মির্জা লোকদের হাতে ধরা পড়েছে।

-;ওয়াট!আমাদের এখুনি বের হতে হবে কুইক গাড়ি স্টার্ড দেওয়।আরাভ লোকগুলো নিয়ে সেই ঠিকানা রওনা হলো!

আরহাম কে উল্টো করে জুলিয়ে রাখা হয়েছে!গায়ে শার্ট নেই।তিনটি অক্ষর বুকের বা পাশটাতে খোদাই করে লিখা রয়েছে।বুকের বা পাশটাতে জ্বলজ্বল করছে নীলিমা নামটি।নীলিমা নামটি টাটু বিশিষ্ট মাঝে ফুটে আছে।আরমান মির্জা বাঁকা হেসে ছেলের মুখ প্রানে তাকিয়ে আছে।

-;কি কেমন দিলাম? বলেছিলাম না আমার কথা মতো না চলে তোকে আর তোর প্রেমিকাকে মৃত্যু দিবো!আমি বারবার বলার পর তুই কি করে এই মেয়েটা কে বিয়ে করলি?তোর সাহস কি করে হলো?তোর জন্য আমি বড় খনিজ খুঁজলাম।আর তুই কিনা বড় রুই মাছে মুখ না দিয়ে ছোট পুটিমাছ মুখ দিলি।কথাটা বলেই আরমান মির্জা আরহাম বুকের বা পাশটাতে খোদাই নিলীমা নামের ট্যাটুতে লাদি মারলো।

আরহাম মা বলে চিতকার করে উঠলো।অপরদিকে, আরহাম চিতকার যেনো তার জম্মদাএী মা কনিকা মির্জা কানে গিয়ে বাড়ি খেলো।তিনি নামাজের পাটিতে বসা থেকে শুনতে পাচ্ছে তার ছেলের মা বলে ওঠা ডাকটি।খোদা কাছে দুই হাত তুলে মোনাজাত কেঁদে যাচ্ছেন জননী মা। নীলিমা আরহাম কাছে আসতে নিলে জগৎ রায় এর লোভাতুর দৃষ্টি পড়ে ওর ওপর।নীলিমা আরহাম কাছে ছুটে যাওয়ার আগেই নীলিমা কোমড় খামছে ধরলো জগৎ রায়।
জগৎ রায় হঠাৎ আগ্রমনে ভয় পেয়ে যায় নীলিমা।আজ বোধ তাদের মরন হবে এই মানুষ রুপি জানোয়ারদের হাতে।

নীলিমা গায়ে হাত বিচরণ করছে জগৎ রায়। নীলিমা যত ছাড়ানোর জন্য দাপাদাপি করছে।ততই গভীর ভাবে ছোঁয়া চেষ্টা করছে জগৎ রায়।এইদিকে নীলিমা সাথে অসভ্যতামী করছে আর ওই দিকে আরমান মির্জা নিজের ছেলেকে মেরে রক্তাক্ত করছে।নীলিমা চোখের পানি ফেলছে আর আল্লাহ কে ডাকছে এই জঘ্যন লোকদের হাত থেকে বাঁচতে।

হঠাৎ করে কোথা থেকে একটা বুলেট এসে জগৎ রায়ের হাতে পড়ল।নীলিমা কে যে হাতে বাজেঁভাবে টাচ করছিল। সেই হাতেই শুট করে আরাভ।জগৎ রায় আরাভ কে দেখে বাজে ভাষায় গালি দিয়ে বসলো।এবং তাড়াতাড়ি গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।রয়েছে যায় শুধু আরমান মির্জা ও তার দলের সঙ্গীরা।
আরাভ কে এবং তার দলের সঙ্গীদের দেখে চারদিকে থেকে গুলি ছুড়তে শুরু করে।দুই দলের মধ্যে গুলি বর্ষণ শুরু হয়।দুই হাতে দিয়ে যখন আরাভ গান শুট করছিলো।তখনই আরহাম বুকে শুট করে দেয় আরমান মির্জা।নীলিমা আরহাম এই অবস্থা দেখে চিতকার করে অজ্ঞান হয়ে সেখানে ঢলে পড়ে। নীলিমা যখন পড়ে যায় তখনই কপালটা অনেকটা কেটে রক্ত পড়ে যায়।

আরাভ আরামন মির্জা কে রেখে আরহাম কে নিজের গাড়িতে তুলে লোকদের ইশারায় করে আরমান মির্জাকে বন্দী করার জন্য। আরহাম আর নিলীমা কে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছায় এবং ইমিজিএটলি অপারেশন শুরু করে। আর এখন আরহাম নীলিমা বেচেঁ গেলো।কিন্তু আরমান মির্জা আটক করতে পারেনি তার আগেই সে পালিয়ে গেছে। দুই দলের সঙ্গী নিহত আহত হয়েছে অনেকে।আরমান মির্জা লোকই বেশি ভাগ মারা গিয়েছিল সেখানে।

এবার বর্তমান…

আরাভ হাসপাতালে সব ফর্মালিটি পূরণ করে বের হয়ে আসলো আস্তনায়।সেখানে এসে জানতে পারলো আরমান মির্জা আর জগৎ রায় বাংলাদেশে ব্র্যাক করেছে। হয়ত তিন দিন পর পৌঁছে যাবে।

——;
চাঁদ কেন, আসে না আমার ঘরে ?
চাঁদ কেন – আসেনা আমার ঘরে ?
“”””””””””””””””””””
সে অভিমানিনী, আজও তো বলেনি,
অভিমানিনী, আজও তো বলেনি !
আসবে কি না সে ফিরে ?
ও চাঁদ কেন – আসেনা আমার ঘরে
চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে ?

দিন যায় রাত যায়, বয়ে যায় সময়
ম্লান মুখ তার, আজও সেই !
চোখ চায়, মন চায় , তবু ভাঙ্গা হৃদয়
সবই আছে চাঁদ শুধু নেই …
মেঘেরা যদি গিয়েছে দূরে সরে
চাঁদ কেন – আসেনা আমার ঘরে ?

জোয়ার ভাঁটায় চাঁদ আসে চাঁদ যায়
আলো করে আঙ্গিনা সবার ,
আমি আছি ভরসায় – ঘোর আমানিশায়
কাটে কেন যে এ আঁধার ?
ভালবাসায় গুমরে কেদে মরে,
চাঁদ তবু আসেনা আমার ঘরে ।

ও চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে !
চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে ?
সে অভিমানিনী আজও তো বলেনি,
অভিমানিনী আজও তো বলেনি
আসবে কি না সে ফিরে ?
ও চাঁদ কেন …

রাতের আঁধারে শাড়ির আচঁল উড়ছে।কেশবর্ধন চুলগুলো মুখের ওপর বারবার এসে ঝাপটে দিচ্ছে বাতাসে দমকায় হাওয়া। চোখের পানি ছলছল করছে। মন টা বড্ড পুড়ছে ভালোবাসা মানুষটা অনুপস্থিততে। আজ বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে তার কথা। কোথাই তুমি?কেনো আসো না আমার সামনে?তোমার তিশা আজ তোমার পথ চেয়ে বসে আছে। তুমি কি ফিরবে না।তোমাকে দেখার অপেক্ষা প্রহর কেনো শেষ হয় না। তুমি না বলতে আমাদের ভালোবাসা সত্যি।আর যাদের ভালোবাসা সত্যি হয় কোনো খাত না থাকে তাদের একদিন না একদিন মিল হবেই।তাহলে আমাদের ভালোবাসা মিলন হবে কখন?

তোমাকে দেখার জন্য আমার মনটা বড্ড ব্যাকুল হয়ে আছে।তোমাকে ভালোবেসে সেই আগুনে পুড়ে মরছি আমি।আমি আর পারছি না।প্লিজ ফিরে এসো না।তোমার তিশা আর পারছে না।তোমার শান্তিতত্ত্বের বড্ড প্রয়োজন।প্লিজ কাম ব্যাক।প্লিজ আর্দশ ফিরে আসো।তোমার তিশা আজ বড্ড অসহায় হয়ে পড়েছে। কি করবো আমি তুমি বল না?আজ মা,বাবা মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারি না।কিভাবে তাকাবো বলো।মা,বাবা আমার সুখ চাই।তাই তো বারবার বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। আমি না বলতে বলতে আজ ক্লান্ত।রাতের আঁধারে গুমরে মরছি আমি একা একা।তুমি কেনো ফিরছো না।তবে কি তুমি সত্যি হারিয়ে গেছো আর কোনো দিন কি তুমি ফিরবে না।আমার সব আশা, ভালোবাসা, স্বপ্ন সবটা মিথ্যে আশায় পরিনত হবে।তুমি এতটা পাষাণ হলে কি করে?বলো না!আমি তো আজও তোমায় ভুলিনি।

তিশা আজ ও কাঁদতে কাঁদতে ফ্লোরে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে।
দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে তিশা বাবা,মা মেয়ে এমন কষ্ট মানতে পারছে না।তিশা মা মুখে আচঁল দিয়ে কাদছে।তারা যে বিষন কষ্ট পাচ্ছে।তাদের মেয়ে সাথে কেনো হলো?রাতের আধার কেমন গুমরে গুমরে মরছে তাদের মেয়েটা।

আল্লাহ কাছে দোয়া যাইছে।তাদের মেয়ের জন্য এক মুঠো সুখ ভিক্ষা চাইছে। হবে কি তিশা জন্য এক মুঠো সুখ। নাকি এখানে শেষ হবে সবটা।

তিশার মা,বাবা রাতে ঘুমিয়ে আছে। হঠ্যাৎ ঘুমের মাঝে তিশার বাবা শরীর ঘামতে শুরু করে বুকের ভেতর কেমন ছটপট শুরু হয়ে গেছে। এই যেনো
অসয্য জন্তনা।

তিশার মা কি করবে বুঝতে পারছে না।দিপুটা আজ বাসায় নেই।তিশার মা তাড়াতাড়ি তিশা দরজায় ঠকঠক করে কড়া নাড়লো।মাঝ রাতে এত শব্দ কারণে ঘুম ভেঙে যায় তিশার।চোখ মেলতেই নিজেকে প্রতিদিন মতো ফ্লোরে পায়।

নিজেকে সামলে দরজা খুলতে তিশা মা কান্না ভেঙে পড়লেন।

-;তিশা.. তিশা জলতি চল।তোরা বাবা যেনো কেমন করছে?

-;মায়ের কথায় ভয় পেয়ে যায় তিশা। আর এক মিনিট দাঁড়িয়ে না থেকে মায়ের ঘরে দৌড়ে যায়।বাবা অবস্থা খারাপ দেখে আর সময় নষ্ট না করে হাসপাতালে জন্য বেড়িয়ে পড়ে।হাসাপাতালে বাহিরে মা কান্না ভেঙে পড়েছে।তিশা ভয় পাচ্ছে বাবার কিছু হবে না তো।

কাঁপাকাপা হাতে ফোন বের করে দিপুকে সবটা জানায় এবং হাসাপাতালে আসতে বলে।দিপু আর কোনো সময় ব্যয় না করে রওনা হয় হাসপাতালে উদ্দেশ্য।

২দিন পর..সকল টেস্ট রিপোর্ট আর এক্সরে গুলো ভালো মতো পর্যবেক্ষন করে ডক্টর জানালো
ওনার হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে।

মা, দিপু,তিশা শকট হলো হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে।

চলবে….

লাস্ট পাঠ টাইপিং আছি লিখা শেষ হলে আজকে পেয়ে যাবেন।
লাস্ট পাঠে ধামাকা কিছু হতে চলেছে।

ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here