#King_in_the_city_of_Mafia
#Yanur_Akter_Eanya
#Part-10
-;”সাহেল রেগে সোফাটাকে লাধি মেরে বলো। ব্যাথা দেওয়ার জায়গায় পাস না তোরা।সব বাদ দিয়ে আমার ইয়েটাকে ব্যাথা দিস।ইস আমার ইয়েটা ওপর ঝড়, বন্যা,সিডর আসে কেন? হারিকেন,নার্গিস, বুলবুল, ফণি আসলে কি খুব ক্ষতি হতো”?
——–
“আরাভ, সাহেল আর বাবা মা কে নিয়ে সুখের দিন কাটাচ্ছিল।হঠ্যাৎ একদিন সব লন্ডভন্ড হয়ে গেলো।সেই লণ্ডভণ্ড জন্য আজ আরাভ বড্ড একা।সব কিছুতো ছিল।আজ তার জীবন অন্ধকারে ভরপুর। আরাভ মা থেকে ওহ মা নেই ভাই থেকো তো ভাই নেই,আর বাবা সেতো একটা অমানুষ পরিনত হয়েছে”।
“সুখের সংসার আজ ভেঙ্গে তছনছ। আরাভ জীবনে
শীতল কি নিয়ে বাচার আশা করেছিলো।কিন্তু শীতল একে একে সবটা শেষ করে দিচ্ছে।ভালোবাসা হয়ত আরাভ ভাগ্যে নেই।তাই আরাভ যা সিন্ধান্ত নেওয়া নিয়ে নিয়েছে।মুক্তি দিবে নিজের রাজ্য থেকে”।
———
“শীতল মন খারাপ করে বসে আছে।কোনো কিছুতেই শান্তি পাচ্ছে না।আজ পনেরো দিন হলো আরাভ শীতলের কাছ থেকে অনেক দূরে।আরাভ তার কথা রেখেছে মুক্তি দিয়েছে। হুম মুক্তি দিয়েছে আরাভ রাজ্য থেকে শীতল কে চিরদিনের জন্য। শীতল আরাভ কে দেখে না আজ পনেরো দিনের বেশি।”
সেই দিন ঘটনায় আরাভ শীতল মুখোমুখি আর হয়নি।শীতলে কে যখন মুক্তি দিলো নিজের রাজ্য থেকে তখন আরাভ শীতলের কাছে আসেনি। বরং বেশি বর্ডিগার্ড দিয়ে সেফলিভাবে বাড়িতে পৌঁছে কনিকা মির্জা হাতে তুলে দিয়েছেন।আরাভ দূর থেকে এক পলক দেখে চোখ সরিয়ে নিয়েছে।আরাভ আর কোনো পিছুটান রাখবে না সব ভুলে যাবে।আরাভ রিদয় শীতল নামের যে মেয়েটা ছিলো
সেটা ওহি দিন কবর হয়ে গেছে।যেইদিন জম্মদাতী মমতাময়ী গায়ে কল্ক লেপে দিয়েছে। হয়ত ভালোবাসাটা ওহ মরে গেছে।”
“আরাভ শীতল কে দূর থেকেই একদরফার ভালোবেসে যাবে। তাকে আর কোনোদিন বলবে না ভালোবাসি খুব ভালোবাসি মায়াবিনী। শীতল কে আর বিরক্ত করবে না আরাভ।ভালোবেসে শীতল কে উষ্ণ ছোয়ার পরশ দিবে না।হবে না আর কোনোদিন দেখা।শীতল থাকুক তার জগত নিয়ে আরাভ আগে যেমন ছিলো আজ তাই থাকবে।আরাভ শীতলের বিরক্ত কারণ আর কোনোদিন হবে না।একলা জীবন সঙ্গী বিহীন কাটবে দিন রাত রজনী।আরাভ নিজেকে কাজের মাঝেই ব্যাস্ত রাখবে।শীতলে কে ভুলে যাবে। কিন্তু আরাভ এই ইচ্ছেটা আতো কি পুরণ হবে।নিয়তি বলে একটা কথা আছে।সে যদি তোমার ভাগ্যে লেখা থাকে। তোমার বুকের পাজরের দিয়ে তৈরি হয়।তাহলে তুমি না চাইলে সে তোমার ভাগ্যে থাকবে, দখল করবে তোমার বুকের পাশটাতে”।
*******
“কনিকা মির্জা পাগলের মতো কাঁদছেন।তার বড় ছেলের মতো এবার মেয়েকে হারাতে বসেছেন সারা জীবনের জন্য।আরাভ কে বারবার কল করে ও কনিকা মির্জা লাইনে পাননি।আরাভ ঢাকায় নেই আছে চট্টগ্রামে। কনিকা সামনে ভেসে উঠছে অতীতের পাতা।মির্জা বাড়ির সামনে চার পা বিশিষ্ট খাটে সাদা কাপড়ে জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে মির্জা বাড়ির বড় ছেলে আদর্শ মির্জা।কনিকা মির্জা ছেলে কে হাজার বার ডেকে ও আর সারা পাননি।পাবে কি করে সে যে ঘুমিয়ে আছে চিরদিনের মতো নিদ্রাহিত।তার মানিক আর চোখ খুলবে না বলবে না মা আমি তোমার মতো ন্যায় সাথে চলতে শিখেছি অন্যায় সাথে নয়।”লেখনীতে ইয়ানুর আক্তার ইনায়া।
——
“শীতল হাত,পা,মুখ বাধা অবস্থায় সেন্সলেস হয়ে পরে আছে ফ্লোরে।
কপালের সাইটটা কেটে কিছুটা রক্ত বের হচ্ছে।
শীতলের হুস ফিরতেই নিজেকে কাচের দেয়ালের ওপারে পেলো।নিজেকে আপ্রাণ ছুটানোর চেষ্টা করে ওহ ছুটাতে পারল না।মুখ দিয়ে হাজার শব্দ করতে গিয়েও ব্যার্থ হলো।চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে”।
-;বস একদম ফ্রেশ টাটকা মাল।দেখলেই জিবে পানি চলে আসবে।
-;
-;জি বস আপনি নিজের চোখে এসে দেখে যান।আপনি আসবেন বস?
-;
-;ওকে বস রাখছি।
-;ওহি শরিফ স্যার কি বল রে?
-;”স্যার কইল, সে আসবে আজ রাতে আমাদের আস্তানায় মাল দেখতে”।
“শীতল শরীর ঠাণ্ডা হয়ে গেলো ওদের কথা শুনে
কে ওদের বস? আজ রাতে কি হবে ওর সাথে ভেবেই শরীর গামে ভিজে উঠছে?শীতল ওদের কথা শুনে যা ভাবার ভেবে নিয়েছে।শীতল ভালো লোকের হাতে পড়েনি। একদম ভয়কংর জায়গায় পড়েছে। লোকগুলো উদ্দেশ্য আর কাজ বুঝতে পারলে ওহ শীতল এখান থেকে আজ আর পালাতে পারবে না।খুব বাজে ভাবে বিপদে পড়েছে।কে বাঁচাবে শীতল কে।কলেজ ছুটির পর বাহিরে বের হয়ে গাড়িতে উঠতে গেলে পিছন থেকে ডাক দিলো।শীতল সামনে থাকাতেই স্পে করে অজ্ঞান করে ফেলে।”
“হঠ্যাৎ বিকট আওয়াজ হলো দরজার পাশে দুটো লাশ পড়ে আছে।সুটবুটে একটা লম্বা লোক হাতে পিস্তল নিয়ে দাড়িয়ে আছে।তার চোখের নীল মনি দেখে যা বোঝার শীতল বুঝে গেছে এটা আর কেউ নয় শীতল নীল।হ্যা শীতল সামনে নীল রওশান দাড়িয়ে আছে।শীতল হাত, পায়ে বাধঁন খুলে মুখ থেকে কস্টিপটা টান দিয়ে তুলে ফেলো।শীতলে কে কোলে তুলে নিলে দেখতে পেলো শীতল আবার অজ্ঞান হয়ে গেছে।”
“শীতল কে নিয়ে মির্জা বাড়িতে পৌছালো নীল রওশান।কনিকা মির্জা কিছু না বলে ওহ মিস্টার মির্জা মুখে হাসি সরছিলো না।কোটিপতি ছেলে তার ঘরে ভাবা যায়।এত বড় ঘরে ছেলে হাত ছাড়া কি করবেন। সোনার নিজে থেকে হেটে এসেছে তার বাড়িতে”। লেখনীতে ইয়ানুর আক্তার ইনায়া।
——
“আরহাম সকালে অফিসে এসে চুপচাপ কাজ করছে।কারো সাথে কোনো কথা বলেনি।কালকে বিষয়টা নিয়ে এত আপসেট ছিলো।কিন্তু আজ সবটা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিচ্ছে।নীলিমা আরহাম কে এতটা স্বাভাবিক থাকতে দেখে হাসিখুশী থাকা মুখটা চুপসে গেলো।নীলিমা ভেবে ছিল আরহাম ওকে এসে নিজের বলে দাবি করবে।নীলিমা শুধু তার থাকবে।সে কেনো অন্য ছেলে ঘরণী হবে।কিন্তু আরহাম আসেনি নীলিমা কাছে একটাবার মুখ ফুটে বলেনি ভালোবাসি। তাহলে কি আরহাম নীলিমা কে কোনোদিন ভালোবাসার নজরে দেখেনি”।
“শুধু জাস্ট লাইক ফ্রেন্ড হিসেবে মানে।আরহাম নিরবতা নীলিমা একদম পছন্দ হলো না।নীলিমা এক প্রকার রাগে দূঃখে জেন কে বলো তাদের বিয়েটা যেন আগামী মাসেতেই হয়।নীলিমা জেন ছেড়ে এক মূহুত থাকতে চায় না বলে বিয়ে ডেট তাড়াতাড়ি করে আগ বাড়িয়ে আনা।আরহাম সবটা দেখে ওহ চুপ কোনো কথা না বলে অফিস ব্যাগটা নিয়ে বের হয়ে গেলো সবার সামনে থেকে।নীলিমা ছলছল নয়নে যাওয়ার প্রানে তাকিয়ে রইল”।
“তুমি কি কোনোদিন বুঝবে না আরহাম আমি তোমায় কতটা ভালোবাসি।তুমি ভালোবেসে আমাকে আপন করবে কি না সেটা সম্পূর্ণ তোমার সিদ্ধান্ত । বাট আমি তোমার পিছু আর ছাড়ছি না, হয় তুমি আমায় আপন করবে না হয়ে সারা জীবন মতো হারাবে।আমি অপেক্ষা করবো আমার বিয়ে আগ মূহুত পর্যন্ত এর মধ্যে তুমি যদি না আসো তাহলে সারাজীবন মতো তোমার নীলিমা কে হারাবে।সেই দিন তোমার নীলিমা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করবে।”
“আরহাম নিলীমা দেওয়া মেসেজটা পড়ে চুপ করে আছে কি করবে না করবে বুঝতে পারছে না।মাথা বড্ড ফাকা ফাকা লাগছে।বাবা ষড়যন্ত্র ফাদঁ আর নিলীমা ভালোবাসায় দুটোই দোটানায় ফেলেছে কি করবে বুঝতে পারছে না আরহাম”।
চলবে