অন্যরকম প্রেমানূভুতি পর্ব ৫

#অন্যরকম_প্রেমানূভুতি
#অস্মিতা_রোদৌসি
#part_____5
নামান বলছি আমাকে নামান।আমি কি ছোট বাচ্চা যে আমাকে কোলে নিতে হবে??ডেংডেং করে সবার আমায় কোলে নিতে আপনার একটুও লজ্জা লাগলো না।বেলাজ কোথাকার।শয়তান একটাহ।

এটুকু বলেই যেইনা অভ্র ভাইয়ার মুখেদিকে তাকিয়েছি ওমনি আমার আত্মা ফুরসুত করে উড়ে গেলো।
এলিয়েনদের মতো চোখগুলো লাল হয়ে গেছে,যেই দৃষ্টি আমাকে ভয়ঙ্কর কিছুর জানা দিচ্ছে। দাঁতে দাঁত চেঁপে হয়তো রাগ কামানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অভ্র ভাইয়া।

সিড়ি বেয়ে রুমে নিয়ে গিয়ে রুমের দরজাটা ঠাস করে বন্ধ করে দিয়ে বিছানার দিকে এগোলো অভ্র ভাইয়া তা দেখে আমি একটা শুকনো ঢোক গিললাম।কোনো রাগের মাথায় এত প্যাচোর প্যাচোর করতে গেলাম।এখন কি হবে!আল্লাহ রক্ষা করিও আমায় এই হনুমানটার হাত থেকে।

হঠাৎ আমাকে ধপাস করে বিছানায় ছুড়ে ফেলে দিলো অভ্র হনুমানটা।ব্যাথায় কুকিয়ে একপ্রকার চিৎকার দিলাম আমি। কোমরটা হয়তো আর আস্ত নেই।হাড় হাড্ডি যা আছে সব হয়তো গুড়ে হয়ে গেছে।ব্যাথায় কান্না করে দিলাম আমি।রাগে দুঃখে নিজের চুল ছিড়তে ইচ্ছে করছে সাথে ওই অভ্রটারো।

চোখবুঝে কান্না করছি হঠাৎ কারো উষ্ম নিশ্বাস আমার মুখের উপর।চট করে চোখ খুলে যা দেখলাম তাতে আমার চোখগুলো অটমেটেকলি রসোগোল্লার মতো হয়ে গেছে।কারণ অভ্রভাইয়া আমার খুব কাছে ২ ইঞ্চির মতো ফাঁক আছে আমাদের মধ্যে মাত্র।

__আবা ভা ভা ভাইয়া আপনিই!আর কিছু বলতে পারলামনা।তার আগেই অভ্রভাইয়া ড
তার ঠোঁটে আমার ঠোঁট মিলাই দিলো।আমি তো অবাকের চরম সিমায় পৌঁছে গেছি। হঠাৎ তিনি আমার ঠোঁট রুডলি কামড় দিতে লাগলো।ব্যাথায় ছটফট করতে লাগলাম।এতে তিনি আরো দিগুন জোরে জোরে আমার ঠোঁট কামড়াতে লাগলেন।চোখের কোণ বেয়ে ব্যাথার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। গলা কাঁটা মুরগির মতো ছটফট করতে লাগলাম কিন্তু তার এতে কোনো ভাবান্তর নেই।তিনি আরামচেই আমার ঠোঁট কামড়ে চলেছেন।

কিছুক্ষণ পর অভ্রর রাগ কমে গেলে সফটলি কিস করতে লাগলো তার মায়া পরি কে।ডুবে গেলো তার মায়াপরির উষ্ম গোলাপি ঠোঁট গুলোতে।প্রায় ৪ মিনি টছাড়লো মেঘাকে। দুজনেই বড়বড় নিশ্বাস নিচ্ছে।অভ্র নিজেকে খুব করে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে।

অভ্র হনুমানটার কাছ থেকে ছারা পেয়ে দৌড়ে বিছানা থেকে নেমে বাইরে যেতে নিবো ওমনি পিছন থেকে অভ্র ভাইয়া আমার হাত টেনে তার বুকের সাথে আমার পিঠ মিশিয়ে নিলো।কিছুটা কেঁপে উঠলাম আমি।

ছাড়ুন আমাকে ছাড়ুন বলছি।কেঁদে কেঁদে বললাম আমি।ওমনি আমার চুলগুলো একসাইড করে ঘাড়ে তার থুতনি রাখলেন।

___ কেমন লাগলো মিসেস মেঘা। নিশ্চিয় ফিলিংসটা জোশ ছিলো।এমন ফিলিংস আরো আসবে তোমার জিবনে যদি তোমার এই হবু বরটাকে রাগাও। কিছু করার আগে তার পরিণামটা আগে ভেবে দেখিও জান।বলেই আমার কাঁধে একটা কিস করে দরজা খুলে হনহন করে চলে গেলেন তিনি।আমি এখনো স্টাচু হয়ে আছি।

___ কেমন এক যন্ত্রনাময় অনুভূতির সাথে পরিচয় করালো এই আজব,গম্ভীর,বদমেজাজি,হনুমান অভ্রটা!
মনে মনে বলেই বিছানায় গিয়ে সটান দিয়ে শুয়ে কাঁদতে লাগলাম।ঠোঁটদুটো কেমন ব্যাথা করছে।

________ কিছুক্ষণ আগে

সবাই আড্ডা শেষ করে নিচে যাওয়ার জন্য উঠে পড়লো সাথে আমিও।কিন্তু উঠতে গিয়ে ওমাগো বলে নিচে বসে পড়লাম।

___ কি হয়েছে আপু বসে পড়লে যে।পায়ে ব্যাথা পেলে কিভাবে? আমার পাশে এসে বললো মিঠি।

___ পায়ের রগ টান মেরেছে হয়তো।

____ আমার হাত ধরে উঠার চেষ্টা করো
বলে মিঠি আমার হাত ধরে উঠাতে চেষ্টা করলে পুনরায়
উঠতে নিলে আবার বসে পড়লাম।উঠতে গেলেই ব্যাথায় বসে পড়ছি।

এবার এগিয়ে এলো রিদ ভাইয়া। রিদ ভাইয়া বললো__ তোর তো ছোট বেলা থেকেই বেশিক্ষণ বসে থাকলে পায়ের রগ টান মারে।আয় আনি তোকে রুমে নিয়ে ঢ়
যাচ্ছি। বলেই আমাকে ধরতে যাবো পাঁজা কোলে নেয়ার জন্য তখনি সামনে এসে দাঁড়ালো অভ্র ভাইয়া। আর বললো____ থাক থাক ভাইয়া। আর কতো সেবা করবেন বোনের।এবার তো তার হবু স্বামীকে একটু সেবা করার সুযোগ দিন।অনেক করেছেন আমার হবু বউয়ের জন্য। তার আমি অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বলতে বলতে আমাকে পাঁজা কোলে তুলে নিলো অভ্র ভাইয়া।

আমি অবাক হয়ে তাকালাম রিদ অভ্রভাইয়ার দিকে।

সবাই আমাদের দেখছে আর মিটিমিটি হাসছে।যা দেখে আমার রাগে মাঠা ফেটে যাচ্ছে।

সিড়িতে নামতে লাগলেই বলতে লাগলাম_____

তার পরের টুকু তো আপনারা জানেন ওই……..

আমিতো মেঘাকে ভালোবাসিনি।তাহলে কেন মেঘা আর অভ্রকে একসাথে দেখলে আমার হিংসে হয় রাগ হয়।কেনো কেনো কেনো????রুমে মধ্যে রেগে ফ্লাওয়ার
বক্স ভেঙ্গে কথা গুলো বললো রিদ।

_________

আপনি কেনো বোঝেন না আমি আপনাকে ভালোবাসি
কেনো???একজনের কলার চেঁপে ধরে বললো কথাগুলো।

কিন্তু মিস নীলা আমিতো আপনাকে ভালোবাসি না..ছেলেটি ডেভিল হেঁসে বললো।

___ একটু ভালোবাসলে কি হয় বলুন তো??? আমার মাঝে কি কমতি আছে বলুন যে আপনি আমাকে ভালোবাসতে পারবেন না।

____ আপনার মধ্যে অনেকক কমতি আছে মিস নীলা।
সেটা আপনি নিজেও জানেন না।

____ কি সেই কমতি বলুন???

ছেলেটি কিছুনা বলে নীলার হাত থেকে নিজের কলার ছাড়িয়ে ছাদ থেকে নিচে নেমে গেলো।

নীলা হতাশাময় নিশ্বাস ছেড়ে ছাদের রেলিং এ হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে।আর আকাশ পানে তাকিয়ে আছে।

একটু পরেই______

ডুকে ডুবে ভালোবাসি
তুমি না বাসলেও আমি বাসি…

ছন্দাকারে বললো নীলা।

কেন বুঝেন না আমি আপনাকে খুব ভালোবাসি।প্রতিটা রাতের ঘুম আপনি হারাম করেছেন।আমার হাসিখুশি ময় দুনিয়াটা থমকে গেছে শুধু আপনার কারণে।প্রতিবার এই হৃদয় আপনার জন্যই ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাচ্ছে।ভালোবাসার মানুষটাকে না পাওয়ার যন্ত্রনা আপনি বুঝবেন না।ওয়ান সাইড লাভে যে কত কষ্ট, যন্ত্রনা, তা শুধু তারাই জানে যারা দিনের পর দিন একতরফা ভালোবেসে আসছে।

মিসেস নীলা আমিও আপনাকে খুব ভালোবাসি।অতিরিক্ত চাই আপনাকে। হ্যাঁ আপনাকে নিজের করে নিবো। আর কটা দিন অপেক্ষা করো।সময় আসলেই তুমি সবটা জানতে পারবে। নীলার ভালোবাসার মানুষটা ব্যালকানিতে দাড়িয়ে কথাগুলো বললো।

_________ এদিকে ঘুমের মধ্যে মনে হলো কেউ আমার পাশে এসে শুয়েছে।চট করে চোখ খুলে দেখলাম নীলা এসে পাশে শুয়েছে।আমি কিছুনা বলেই মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে পড়লাম আবার।

____ অভ্র শুয়ে শুয়ে ফোনে স্ক্রল করছে হঠাৎ কোনে এক নাম্বার থেকে মেসেজ আসলো।
মেসেজ সিন করতেই রাগে কপালের রোগ ভেসে উঠলো অভ্র।

___ ইউ ইডিয়ট,রাস্কেল তোকে আমি ছাড়বোনা।রেগে মেগে বললো অভ্র।

(গল্পটা রিচেইক করিনি তার জন্য সরি)

👉চলবে….

(৩ দিন গল্প দিতে পারিনি।কাল কারেন্ট ছিলোনা।আবার ফোনে চার্য নেই।পুরো একটা দিন কারেন্ট ছিলো।কতটা যে প্যারায় ছিলোনা। গল্প না দেয়ার জন্য সরি)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here