অস্তিত্বে_তুমি পর্ব ২

#অস্তিত্বে_তুমি
#পর্ব_২
#সুলতানা_পারভীন

-মা চলে যাওয়ার পর আপনাকেই তো সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস আর ভরসা করেছিলাম জিহান। সবার চেয়ে বেশি। বাবার, ভাইয়ার সবার মতের বিরুদ্ধে গিয়েও আপনাকেই চেয়েছি। সেই আপনিই কিনা এভাবে ঠকালেন? তাহলে কি সত্যিই আপনার এতোদিনের ভালোবাসাটা নাটক ছিল? আমাকে নজর দেখার জন্য ছুটে আসাটা? ঘন্টার পর ঘন্টা ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে আপনার অবাক চোখে তাকিয়ে থাকাটাও নাটক ছিল? কত সহজে বলে দিলেন চাইলে কাগজটা ছিঁড়ে ফেলতে পারো। এই কাগজটা! আমাদের ম্যারেজ রেজিস্ট্রির পেপারটা? কথাটা বলতে গিয়ে একবারও গলাটা কাঁপে নি আপনার জিহান? একবারও মনে পড়ে নি কতো শত স্বপ্ন সাজিয়েছিলেন আমাকে নিয়ে? এতো তাড়াতাড়ি আপনার ভালোবাসার সবটুকু রঙ মুছে গেল? এতো সহজেই অন্য কারো রূপে তলিয়ে গেলেন জিহান? ছি! আজকের পর থেকে মরে গেলেও আপনার কথা ভাববো না। কখনো ভাববো না। আই হেইট ইউ জিহান, আই হেইট ইউ, হেইট ইউ, আই হেইট ইউ।

জিহানের দেয়া রেজিস্ট্রি পেপারটা শক্ত করে বুকে চেপে ধরে কাঁদতে কাঁদতে রীতিমতো হেঁচকি উঠে গেছে নীলার। তবু চোখ বেয়ে নামা কান্নার ঢল থামছেই না মেয়েটার। জিহান ওকে সোফায় বসিয়ে অন্য একটা রুমের দিকে যেতেই রক্তাক্ত পা ফেলে ছুটে এসে গাড়িতে বসেছিল নীলা। ওর সাথে আসা ড্রাইভার বিনা বাক্যব্যয়ে আবার বাড়ির দিকেই রওনা হয়েছে। আর নীলা ফোঁপাতে ফোঁপাতে পায়ে ভাঙা কাঁচের টুকরোর আঘাতে মাঝে মাঝে কঁকিয়েও উঠছে। না মেয়েটার কান্না থামছে, আর না চোখের সামনে থেকে জিহান আর ওই মেয়েটার কাছাকাছি ঘনিয়ে আসার দৃশ্যটা। রাগে, অভিমানে, ঘৃণায় হাতে ধরা কাগজটা কুঁচি কুঁচি করে টুকরো করে ফেলতে ইচ্ছে করলেও কিছুতেই কাগজটা ছিঁড়তে পারলো না নীলা। এই জীবনে এই ছোট্ট এক খন্ড কাগজ নষ্ট করার শক্তি যে নীলার কখনোই হবে না। আরো কয়েকবার কাগজটা ছিঁড়তে চেয়েও সামনের সিটে মাথা ঠেকিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললো মেয়েটা। কতোক্ষণে বাড়ির পার্কিংয়ে গাড়িটা এসে দাঁড়িয়েছে টেরই পায়নি নীলা। ড্রাইভারের ডাকে চমকে উঠে হাতের কাগজটা নিজের পার্সে ঢুকিয়ে নিয়ে খালি পা জোড়া গাড়ির বাইরে রাখতেই ব্যথায় কঁকিয়ে উঠলো মেয়েটা। মাঝবয়সী ড্রাইভার সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার চেষ্টা করতেই বাম হাতের ইশারায় তাকে থামিয়ে দিয়ে ঠোঁট কামড়ে ব্যথাটা হজম করে বাড়ির দিকে পা বাড়ালো নীলা। পিছনে পড়ে রইলো ওর রক্তমাখা পায়ের ছাপ।

গাড়ি পার্কিং থেকে বাড়ির মেইন ডোর পর্যন্ত কি করে হেঁটে এসেছে নীলা নিজেও জানে না। মেইন ডোরের সামনে এসে দেয়াল আঁকড়ে ধরে কয়েক পা এগিয়ে আসতে আসতে আফসান খন্দকারকে ড্রইংরুমে বসে নিজের পি.এ র সাথে কিছু একটা নিয়ে আলোচনা করতে দেখে এবারে সমস্ত শরীরটা কেমন ভেঙ্গে আসলো নীলার। আরো কয়েক পা এগিয়ে মানুষগুলোর কাছে যাওয়ার শক্তিটাও পেল না মেয়েটা। ধপ করে ফ্লোরেই এলিয়ে পড়লো ওর অচেতন শরীরটা। চোখ মুখের সামনে অন্ধকার ঘনিয়ে আসার আগে একটা ছোট্ট শব্দই বের হলো নীলার গলা দিয়ে। ‘পাপা’। চারপাশটা নিকষ কালো অন্ধকারে ছেয়ে যাওয়ার আগে কারো বহুদূর থেকে ধড়ফড় করে ছুটে আসা, কারো ওর মাথাটা পরম আদরে নিজের কোলে তুলে নেয়াটা, কারো চোখের কান্নার জলের ফোঁটা বৃষ্টি হয়ে কপালে ঝড়ে পড়াটাও টের পেল নীলা। ধীরে ধীরে সমস্ত অনুভূতি, পায়ে কাঁচের টুকরো বিঁধে থাকার অকথ্য ব্যথা সব অনুভূতি হারিয়ে কেমন ফুরফুরে হয়ে গেল মেয়েটা। মনে হচ্ছে যেন অন্য কোনো দুনিয়ায় চলে গেছে ও। যেখানে অনুভূতির কোনো বালাই নেই, ব্যথা যেখানে ছুঁতে পারে না, কষ্ট হাসি কান্না খুশি সমস্ত আবেগের যেখানে প্রবেশ নিষেধ এমন কোনো দুনিয়ায়।

-নীলা? নীলা বোন আমার একবার চোখ মেলে তাকা প্লিজ? একটাবারের জন্য তাকা না প্লিজ? লক্ষী বোন না প্লিজ তাকা? এই দেখ ভাইয়া এসে গেছি তো? তোর ভাই তোর কোনো কষ্ট হতে দিবে না। একবার চোখ মেলে দেখ না রে ছুটকি? এই নীলু? নীলাআআআআআ?

-আবরার শান্ত হও। কিছুক্ষণের মধ্যেই নীলা মায়ের সেন্স আসবে। ও সেন্স ফিরে পেয়ে যদি দেখে তোমরা দুজনে এমন কান্নাকাটি জুড়ে দিয়েছ তাহলে কি ওর ভালো লাগবে? আর এই যে নিহার? এমন কান্নাকাটি না করে নীলার হাত পাগুলো একটু মুছিয়ে দাও। ডক্টর তো ড্রেসিং করে দিয়ে গেল। একটু পরে নীলাই বলে দিবে ওর এই অবস্থাটা কে করেছে। তারপর তার কলিজাটা টেনে যদি আমি ছিঁড়ে নিয়েছি তাহলে আমিও আফসান খন্দকার নই।

-আমি জানি এই কাজটা ওই শূয়োরের বাচ্চাটার। ওই জিহানের জন্যই আজ নীলার এই অবস্থা। আ’ম ড্যাম শিওর ড্যাড। ওকে আমি আজ ছাড়বো না। এতোগুলো দিন ওকে সহ্য করেছি শুধু নীলার, আমার বোনটার মুখের দিকে তাকিয়ে। কিন্তু আর না। প্রতারকের রক্ত যে প্রতারণাই করবে এটা তো আমি আগেই জানতাম। শুধু তোমার দোষে ড্যাড, আজ আমার ছোট্ট পরীটার এই অবস্থা হয়েছে। তুমি যদি ওদের বিয়ের জন্য রাজি না হতে তাহলে এসব কিচ্ছু হতো না। নীলার যদি কিছু হয় ড্যাড আমি ওই শূয়োরের বাচ্চাটাকে জ্যান্ত পুঁতে ফেলবো। তারপর প্রয়োজনে ফাঁসিতে ঝুলবো। বাট আজই জিহানের শেষ দিন। আমার বোনকে কষ্ট দেয়ার শাস্তি তো ওকে ভোগ করতেই হবে।

কানের সামনে এমন চ্যাঁচামেচির শব্দে আবার ধীরে ধীরে অন্ধকারের দুনিয়া থেকে আলোর দিকে যাত্রা শুরু হয়েছে নীলার। আবরারের বলা শেষের কথাগুলো নীলার সমস্ত স্বত্তাকে জাগিয়ে তুললো। আবরার, মানে নীলার একমাত্র বড় ভাই রাগে প্রায় পাগল হয়ে সত্যি সত্যিই জিহানকে মারার জন্যই বেরিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু নীলার বিছানার সামনে থেকে সরে আসার সুযোগটা পেল না। নীলার মাথার কাছ থেকে সরে আসার আগেই নীলার ক্লান্ত একটা হাত আবরারের হাত টেনে ধরে থামিয়ে দিয়েছে আবরারকে। নীলার হাতের স্পর্শ টের পেয়েই আবরারও নীলার মাথার কাছে হুড়মুড় করে বসে নীলার আধবোজা চোখ মুখের দিকে ঝুঁকলো। ছোট্ট বোনটা এতোক্ষণে চোখ জোড়া পিটপিট করে তাকাচ্ছে দেখে আবরার ব্যস্ত হয়ে নীলার কপালে মুখে বেশ কয়েকটা আদরের চিহ্ন এঁকে দিল। ছোট্ট পরীটাকে হারিয়ে ফেলার ভয়টা এখনো যেন আবরারের বুকের ভিতরে পাথরের মতো জেঁকে বসে আছে।

-ভাইয়া? যাস না প্লিজ? আমাকে একটু কোলে নিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দে না ভাইয়া? ভিষণ কষ্ট হচ্ছে আমার। ও ভাবি? ভাইয়াকে বলো না আমার পাশে আরো একটু বসতে? আমি ঘুমিয়ে পড়লে নাহয় চলে যেতে বলো। ভাবিমা? বলো না গো প্লিজ?

-তোর ভাইটু কোথাও যাচ্ছে না বনু। এই দেখ আমি তোর–আমি তোর মাথার পাশেই বসছি। তুই লক্ষী মেয়ের মতো ভাইয়ার কোলে মাথা দিয়ে ঘুমা কেমন? ভাইয়া একদম কোথাও যাবো না প্রমিস। এই নিহার সরো না? দেখছ না আমার বোন ডাকছে আমাকে? সরো তো সরো? এই নীলু? বেশি কষ্ট হচ্ছে তোর বনু?

-তুমি আবার আমার ভাবিমাকে বকছ ভাইয়া? তোমার সাথে কথাই বলবো না যাও। ও ভাবিমা? এই লোকটাকে সরতে বলো আমার সামনে থেকে। আমার ভাবিকে যে বকে তার সাথে আমার কোনো কথা নেই। কথা নেই। কথা নেই। যেতে বলো ওকে। পাপা? যেতে বলো না?

-আ’ম সরি সোনা বনু। আমি নিহারকে বকি নি তো বাবা। শোন না? বিশ্বাস না হলে তুই নিহারকে জিজ্ঞেস কর? এই নিহার তুমিই বলো বকেছি আমি তোমাকে? আমি তো শুধু তেমাকে সরে বসতে বলেছি।

-ভাবিকে সরি বলো? বলো সরি? নইলে আমি কিন্তু –আমি কিন্তু রাগ করবো বলে দিলাম ভাইয়া।

-সরি নিহার। আ’ম এক্সট্রেমলি সরি। এবার হয়েছ বনু? এবার খুশি তুই?

-হুম। এত্তোগুলা খুশি। ও ভাবিমা কষ্ট হচ্ছে আমার। ভিষণ কষ্ট হচ্ছে।

নীলার দুষ্টুমির ফাঁকে আবার কঁকিয়ে ওঠায় ওর ভাই, ভাবি আর বাবা তিনজনই যেন ছটফট করে উঠলো। নীলার চুলে আলতো করে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে নিহার, আবরার ব্যস্ত হাতে ডক্টরের নাম্বারটা ডায়েল করছে। আর আফসান খন্দকার রুমটায় ব্যস্ত পায়ে পায়চারি করছে। আফসান খন্দকারের পি.এ ছেলেটা এতোক্ষণ মোবাইলটা কানে লাগিয়ে কারো কথা শুনছিল। এবারে এগিয়ে এসে নিচু গলায় আফসান সাহেবকে কিছু একটা বলায় উনার চোয়াল জোড়া শক্ত হয়ে একে অন্যকে চেপে ধরলো। পি. এ ছেলেটাকে কিছু একটা ইন্সট্রাকশন দিচ্ছেন এমন সময় নীলার ডাকে বিছানার দিকেই এগিয়ে এলো আফসান সাহেব আর আবরার।

-পাপা? ভাইয়া?

-কি হয়েছে মামনি? কষ্ট হচ্ছে খুব? এক্ষুণি ডক্টর আঙ্কেল চলে আসবে মা। আবরার ডক্টরের সাথে কথা হলো তোমার? আর কতোক্ষণ লাগবে আসতে?

-পাপা? প্লিজ তোমরা শান্ত হও প্লিজ? আমার কিছু হয় নি প্রমিস।

-জানি তো মা। আমার নীলা মায়ের কিচ্ছু হবেও না। তুমি একটু শান্ত হয়ে শুয়ে থাকো মা।

-পাপা? আ’ম সরি পাপা। আমার একটা কথা রাখবে পাপা? কেউ কিচ্ছু জানতে চেও না প্লিজ। বিয়েটা ক- ক্যানসেল করে দাও প্লিজ?

-বিয়ে ক্যানসেল করবো মানে? নেক্সট উইকে বিয়ে তোমার আর জিহানের। সব রিলেটিভদের কার্ড দেয়া হয়ে গেছে। আর এখন বলছ বিয়ে ক্যানসেল করে দিতে? নীলা? কি হয়েছে পাপাকে বলো? জিহান কিছু বলেছে তোমাকে? আর তোমার এই অবস্থাই বা কি করে?

-পাপা প্লিজ? তোমাদের কাছে আর কক্খনো কিছু চাইবো না, কিছুর জন্য জেদ ধরবো না। প্রমিস। শুধু এই বিয়েটা ক্যানসেল করে দাও প্লিজ? আমি আর কিচ্ছু বলতে পারবো না পাপা প্লিজ? আমি জানি সবাই অনেক খারাপ খারাপ কথা বলবে, কিন্তু বিয়েটা হলে আমার মরে যাওয়া ছাড়া আর উপায় থাকবে না।

-নীলা? কিসব বলছিস মা?

নীলার কান্নাভেজা কথাগুলো শুনে আফসান সাহেব নিজেও কেঁদে ফেললেন। এগিয়ে এসে মেয়ের কপালে চুমো এঁকে দিয়ে নীলার চুলে হাত বুলিয়ে দিলেন।

-জিহান ছেলেটা যে তোর যোগ্য নয় সেটা আমরা আগেই তোকে বলার চেষ্টা করেছিলাম মা। কিন্তু তোর জেদ আর খুশির কাছে আমরা হার মেনে বিয়েতে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। এখন তুই নিজেই যখন চাইছিস না তাহলে অন্য কারো কথা ভেবে কেন ওই ছেলের সাথে তোর বিয়ে দিব? ওই ছেলে যে কিভাবে তোকে ঠকাচ্ছিল এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছিস? কিচ্ছু ভাবিস না মা। বিয়েটা হবে না। তুই নিশ্চিন্ত থাক। পাপা সব ব্যবস্থা করছি। তুই শুধু নিজের খেয়াল রাখ। আবরার নিহার? তোমরা নীলার খেয়াল রাখো। আমি ব্যাপারটা মিটমাট করে আসি। আরো দেরি হয়ে যাওয়ার আগে এখানেই ব্যাপারটা শেষ করে দিলেই ভালো হবে। চলো শিহাব।

রাফসান সাহেব পি.এ শিহাবকে নিয়ে বেরিয়ে যেতেই নিহার নীলার চুলে আলতো করে হাত বুলিয়ে দিল। এতোক্ষণ নীলার বলা কথাগুলোই আনমনে ভাবছিল মেয়েটা। এবারে আবরার কিছুটা দূরে নিজের মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে দেখে নীলার দিকে একটু ঝুঁকলো নিহার। নীলার বন্ধ চোখের কোণা দিয়ে টপটপ করে ঝড়া কান্নার বিন্দুগুলো হাজারো না বলা কথা নিহারকে যে বলে দিচ্ছে। নিহার আলতো হাতে নীলার চোখ মুখটা মুছে দিয়ে নীলার মুখের কাছে এসে ফিসফিস করে কয়েকটা কথা বললো। যথা সম্ভব চেষ্টা করলো কথাগুলো যেন আবরারের কানে না যায়। নিহারের বলা কথাগুলো শুনেও নীলার কান্নার বিন্দুগুলো যেন আরো জোর পেল এবারে। কিন্তু গলা দিয়ে একটা টু শব্দ পর্যন্ত বের হলো না নীলার। মেয়েটার কানে শুধু নিহারের বলা কথাগুলোই বারবার বাজছে।

– তোর কোথাও ভুল হচ্ছে নীলা। কোথাও একটা ভুল হচ্ছে সবার। জিহান ভাইয়া এমন ছেলেই নয় যে তোকে ধোঁকা দিবে। এর পিছনে নিশ্চয়ই গভীর কোনো চক্রান্ত আছে নীলা। ভাবির কথাটা একবার শোন সোনাপাখি? ভাবিকে বল কি হয়েছে? তুই যাই বলবি আমি বিশ্বাস করতে রাজি। কিন্তু জিহান ভাইয়া তোকে ঠকাচ্ছে এটা আমি মরে গেলেও বিশ্বাস করতে পারবো না রে। তুই নিজের মনকেই প্রশ্নটা কর না? যে লোকটা তোর জন্য এতোটা পাগল সে কি সত্যিই তোকে ঠকাবে? তোর বিশ্বাস হয় এই কথাটা? তুই কি দেখেছিস না দেখেছিস আমি জানি না। কিন্তু বিশ্বাস কর সব ভুল, সব মিথ্যে। শুধু নিজের মনের কথাটা শোন সোনা। তাহলেই বুঝতে পারবি জিহান ভাইয়া তোকে কখনো ঠকায় নি, ঠকাতে পারে না। মরে গেলেও ঠকাতে পারবে না লোকটা তোকে।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here