#আমার_তুমি❤
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি ❤
#পর্ব:-২১
রাইয়্যান দাড়িয়ে আছে ওর সামনে একজনের লাশ পরে আছে। সারা শরীর রক্ত ভরপুর মেন রাস্তায় গাড়ি এসে শেষ করে দিয়েছে।
ও ভাবেনি এমন কি দেখবে হুম ওর প্রচণ্ড রাগ হয়েছিল তাই বলে মেরে ফেলতো না। আল্লাহ এভাবে শাস্তি দেয় মনে হয়। ওর গার্ডরা এসে লাশটাকে নিয়ে গেল।
নিচু হয়ে আরুর হাত ধরে উঠানোর চেষ্টা করল উঠছে না থম মেরে বসে আছে।
–আরু উঠো,
আরুশি একবার রাইয়্যানের দিকে তাকালো তারপর চিৎকার করে কেদেঁ উঠলো,
–আরু কেদোঁ না প্লিজ। এতে তোমার কোন দোষ নেই ও নিজের পাপের শাস্তি পেয়েছে।
কাদঁতে কাদঁতে কথা বলতে পারছে না।
জন্টু খারাপ তাই বলে এভাবে তার জীবনের সমাপ্তি চায়নি আরুশি। চোখের সামনে এভাবে একজন কে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে দেখেছে ও কি ভয়ংকর। ভাবতে পারছে না।
চোখ বন্ধ হয়ে আসছে আরুশি কিছুক্ষণের মাঝেই ও জ্ঞান হারায়।
রাইয়্যান ভয় পেয়ে যায় এভাবে আরুর জ্ঞান হারানোতে আরুকে ধরে ওর পাশে বসে। ডাকতে থাকতে কিন্তু আরুশি চোখ করে চোখ খুলছে না।
–আরু প্লিজ চোখ খোল।
আর কিছু না ভেবে আরুশিকে কোলে তোলে গাড়িতে উঠে বসে।
উদ্দেশ্যে হসপিটালে যাওয়া।
হসপিটালে এসে ডাক্তার কে পাগলের মতো ডেকে উঠে।
ডাক্তার ছুটে আসে এসে রাইয়্যানকে দেখেই চিন্তে পারে। আশে পাশের সবাই হা হয়ে তাকিয়ে আছে এমন করছে দেখে। এই মেয়েকে নিয়ে রাইয়্যানের এতো হাইপায় হওয়া বুঝছে না।
সাংবাদিক এসে জরো হয়ে গেছে রাইয়্যানের সাথে গার্ড ও নেই।
হসপিটাল সাংবাদিক রা এসে গিরে ধরে নানা প্রশ্ন করে যাচ্ছে কে এই মেয়ে। রাইয়্যান চিৎকার করে সবাইকে সরিয়ে আরুশি হসপিটালে ভর্তি করে। এর মাঝে ওর গার্ডরা ও চলে এসেছে।
আরুশির হাত ধরে বসে আছে রাইয়্যান।
–রাইয়্যান এতো হাইপায় হয়েন না উনি ঠিক আছে। অতিরিক্ত ভয়ে জ্ঞান হারিয়েছে কিছুক্ষণের মাঝেই জ্ঞান ফিরবে।
রাইয়্যান কিছুটা শান্ত হলো। ডাক্তারেয দিকে তাকিয়ে,
–আন্কেল কেমন আছে?
–ওই রকম ই।
–ওহহ
ডাক্তার বেরিয়ে গেল রুমে থেকে রাইয়্যান আরুশির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
হাত নিজের হাতের মুঠোয় বন্ধি আচমকা হাতে চুমু খেয়ে নিলো। সাথে সাথে আরুশি নরে উঠল,
সাথে চোখ মেলে তাকালো। নিজেকে হসপিটালের বেডে পেয়ে তারাতারি করে উঠে বসতে যায়। তখন রাইয়্যান ডেকে উঠে,
–আরু, আর ইউ ওকে। থ্যাংকস গড তুমি ঠিক আছো আমি কতোটা চিন্তিত ছিলাম তুমি ভাবতে পারবে না। এক মুহূর্তে জন্য মনে হচ্ছিলো আমি তোমাকে হারিয়ে ফেলিছি। নিজেকে খুব অসহায় লাগছিল।
আরুশি হা হয়ে রাইয়্যানের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
ওর জন্য এতো ব্যস্ত হচ্ছে। এটা দেখেই ও অবাক হচ্ছে প্রচণ্ড। সাথে সাথে জন্টুর কথা মনে পরে সাথে সাথে ভয়ে কুকরে উঠে,
–আরু তুমি ভয় পাচ্ছো কেন? প্লিজ এভাবে ভয় পেয় না আমি আছি তো তোমার কেউ ক্ষতি করতে পারবে না।
–উনি কি মারা গেছে?
–নাহ।
— সত্যি,
–হুম আমি ভেবেছিলাম মারা গেছে কিন্তু তবুও গার্ড দের বলেছিলাম একবার হসপিটালে নিয়ে দেখতে।গার্ডরা ওকে হসপিটালে নেওয়ার পর তারাতারি বলেছে বেচে আছে। কিন্তু অবস্থা খারাপ বাচবে কি মরবে সিউর বলতে পারছে না।
–আমি হসপিটালে যাবো।
–তুমি গিয়ে কী করবে?
–আমি যেতে চাই।
–আচ্ছা কাল নিয়ে যাবো। এখন বাসায় চলো,
–নাহ এখন ই যাবো।
–এতো ভাবছ তুমি ও তোমার ক্ষতি করতে চেয়েছিলো আর তুমি ওকে নিয়ে।
–হুম জানি কিন্তু তবুও আমি চায়না তিনি মরে যাক। তিনি ভালো হয়ে বেচে থাকুক এটা চাই।
–এঈ হসপিটালেই আছে চলো ডাক্তার এর সাথে কথা বলে যাই।
আরুশি আর রাইয়্যান কেবিনে থেকে বেরিয়ে এলো। দুইতালায় উঠে কয়েকজন গার্ডের সাথে কি যেন কথা বলছে আরুশি জানালা দিয়ে দেখছে। কোথায় আছে সেটা এগিয়ে গেছে হঠাৎ একটা কেবিনের সামনে এসে থেমে যায়। খুব টানছে এই কেবিনটা মনে হচ্ছে আপন কেউ আছে
নিজেকে থামিয়ে রাখতে পারলো না ঢুকে পরলো একজন লোক শুয়ে আছে।
মুখ অক্মিজেন দেওয়া দূর থেকে খুব চেনা লাগছে লোকটাকে।
আরুশি এক পা এক পা করে এগিয়ে যাচ্ছে তত ওর হার্টবিট বেরে যাচ্ছে। আবসা হওয়া মুখটা উজ্জ্বল হয়ে উঠছৈ তত ওর হার্টবিট বারছে।
রাইয়্যান গার্ডদের কে জন্টুর চিকিৎসা ভালত করে করতে বলে। পেছনে তাকিয়ে আরুশি কে খুজছে এই মেয়ে গেল কোথায়।
হঠাৎ কিছু একটা ভেবে দৌড়ে যায়।
এই কথা তো ওর মনেই ছিলো না আরুশিকি দেখে ফেলেছে।
হা যা ভয় করেছে তাই হয়েছে আরুশি চিৎকার করে কাদছে। হাত ধরে অনবরত ঝাকাচ্ছে,
— বাবা উঠো এভাবে শুয়ে আছো কেন তুমি কি হয়েছে তোমার। কথা বলো আমার সাথে প্লিজ কথা বল না। আমি তোমার উপর রাগ করেছিলাভ বলে কি এভাবে শুয়ে আছো আমার সাথে কথা বলছো না। আই এম সরি আর কখনো তোমার উপর রাগ করব না কথা বলত না। ও বাবা প্লিজ কথা বলো তোমার কি হয়েছে আমাকে বলো।
রাইয়্যান দৌড়ে আরুশিকে টেনে সরিয়ে আনে।
–আরু এভাবে চিৎকার করো না এটা হসপিটাল আন্কেলের ক্ষতি হবে।
–রাইয়্যান আপনি এসেছেন দেখেন আমি আমার আববু কে খুজে পেয়েছি? কিন্তু আববু আমার সাথে কথা বলছে না কেন এভাবে হসপিটাল শুয়ে কেন আছে।
–এভাবে কেদো না প্লিজ আরু। চলো আমার সাথে।
–আপনি আমার কথা বুজতে পারছেন না আমার আববু তাকেএভাবে হসপিটাল একা রেখে আমি কোথায় ও যাব না। উনি এখানে কিভাবে এলেন কে এনেছেন আমার তো জানতে হবে। ডাক্তার ইয়েস ডাক্তার এর কাছে শুনবো।
বলেই রাইয়্যানের হাত ছেরে বেরিয়ে আসতে যায় রাইয়্যান আবার এগিয়ে এসে হাত শক্ত করে ধরে।
–আমি বলছি।
–আপনি কি বলবেন?
–আন্কেলকে আমি এখানে এনেছিলাম।
–মানে,
বড়বড় চোখ করে রাইয়্যানের দিকে তাকায় কি বলছে উনি উনি এনেছে এখানে। কিন্তু আববু কে উনি কোথায় পেলেন।
হাজার প্রশ্ন নিয়ে তাকিয়ে আছে রাইয়্যানের দিকে।
–আমি জানি তোমার মধ্যে অনেক প্রশ্ন ঘুর পাক খাচ্ছে। আগেই তোমাকে সব জানাতে চেয়েছিলাম কিন্তু তুমি ভেঙে পরবে তাই বলিনি। আজ যেহেতু সব জেনেই গেছ আর কিছু লুকাবো না। কিন্তু এখানে না বাসার চলো আববু ও বলবে।
আরুশি কিছু বলতে পারছে না কি বলছে রাইয়্যান কি বলবে। আমার আববু কে চিনলো কি করে। উনি কি জানতেন এনি আমার আববু?
রাত নয়টার পরে আরুশিকে নিয়ে রাইয়্যান বাসায় আসে।
.
.
দরজা লাগিয়ে বসে আছে আরুশি চোখ দিয়ে অনবরত পানি পরছে। একটু আগে ও সব জানতে পেরেছে এতো বড় ধোকাঁ দিলো সবাই আমাকে।
মামা আমাকে সব বলতে পারত কিন্তু সেও সবার সাথে ছিলো। রাইয়্যানকে তো ফ্রেন্ড ভাবছি সে তো বলতে পারতো।
কিছুক্ষন আগে
–বলুন আববু কিভাবে পেলেন কোথায়? আর জানলেন কি করে আমি তার মেয়ে।
–আরু শান্ত হও তার আগে তোমাকে কথা দিতে হবে তুমি কোন বাজে রিয়েক্ট করবে না আমাকে ভুল ও বুঝবে।
–মানে?
–আগে কেন বলিনি এসব কথা বলবে না আমি আমার মতো সব বলবো তুমি ঠান্ডা মাথায় সব শুনবে।
আরুশি মাথা নারালো।
–আরু তোমার আববু আই মিন আন্কেল কে আমি দুইমাস আগে পেয়েছি। ফাস্ট তাকে চিনতে পারিনি কারণ তার ফেস আমার মনে ছিলো না। ছোট থাকতে দেখেছি এখন মনে না থাকাটাই স্বাভাবিক।
–ছোটবেলায় দেখেছেন মানে কি?
–প্রশ্ন করতে না করেছি?
–ওকে বলুন।
” —- তোমার আববু কে আমি ছোট থেকেই চিনি। শুধু আমি না আমার আববু আম্মু তোমার আববু ও চিনে।
আমার আববু বেষ্টফ্রেন্ড ছিলো তোমার আববু।
কলেজ লাইফ একসাথেই শেষ করেছে তারা ভার্সিটিতে আর ভর্তি হয় নি তোমার আববু। কারণ তোমাদের অবস্থা একটু খারাপ ছিলো তাই তিনি আর লেখা পরা করেনি। জব শুরু করে দেয়। আমার আববু লেখা পড়া করে তখন। একসাথে না থাকলে ও দুজনের বন্ধুত্ব কমেছিলো না। এর মাঝে আমার আববু একটা বিপদে পরে যায় তা হচ্ছে। নিজের ভার্সিটির একটা মেয়েকে সে ভালোবেসে গোপনে বিয়ে করে ফেলে। তার কারণ হচ্ছে আমার আম্মুর অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয় বাড়িতে বললেও তারা রাজি হয়না কারণে আববু তখন স্টুডেন্ট ছিলো। তখন আববু আমার আম্মুকে নিয়ে পালিয়ে তোমার আববুর কাছে চলে যায়।
বাড়িতে আসে না যদি তাযা মেনে না নেয়। সেই ভয় এ তোমার আববু প্রথম রাগারাগি করলে ও পরে বন্ধুর জন্য দুজনের বিয়ে দেয় নিজে সাক্ষী হয়ে। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার কি জানো সেই বিয়েতে আমার আম্মুর বেষ্টফ্রেন্ড এসে উপস্থিত হয়। দুজন সাক্ষী দিয়ে বিয়ে সম্পূর্ণ হয় কিন্তু এই বিয়ে মধ্যে তোমার আববু আমার আম্মুর ফ্রেন্ডের সাথে প্রেম করে বসে।
আমার আববু আম্মুকে নিয়ে নিজের বাসার সবাইকে বলে তারা খুব সহজেই মেনে নেয়। কারণে আববু একটা ছেলেই ছিলো দাদুর খুব ভালোবাসতো আগে বলেনি দেখে আর ও বকা দেয়।
তোমার আববু আম্মু দুজন প্রেম করে এটা আমার আম্মু আগে ধরে ফেলে। কারণ তোমার আম্মু যেদিন বাসার আসতত তোমার আববু ও সেইদিন ই বন্ধুর সাথে দেখা করতে আসতো। জেনে যাবার পর আমার আম্মুই ঘটকালি করে তোমার আববু আম্মুর বিয়ে দেয়।
আম্মুর বিয়ের পরেই আমার জন্ম হয়। সবার খুব আদরে থাকি আমি। আমার জম্মের পরেই তোমার আর আমার আম্মু একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। কি জানো?
–কিহহহ?
–তোমার আর আমার বিয়ে। দুজনে ভাবে তোমার আম্মুর মেয়ে হলে আমার সাথে বিয়ে দিবে আর ছেলে হলে দোস্ত বানাবে।
–[ আরুশি চোখ বড় বড় করে বলে ] কিহহহহ?
–হুম মেডাম শুনো তারপর। আমার জম্মের তিন বছর পরে তুমি তোমার জম্ম হয়। মেয়ে হওয়াতে আববু আম্মু সবাই অনেক খুশী হয়। তাদের সম্পর্কটা আর ও গভীর হবে। কিন্তু মাঝে আববুকে বিদেশে পাঠাবে দাদু তখন আমার বয়স নয় হবে। তখন আমার আববু বিদেশে চলে আসবে কারণ বিদেশে দাদুর বিজনেস ছিলো যা দাদু অসুস্থ থাকায় আববু কে পাঠাবে। চলে যাবে এ জন্য আমার আম্মু আমার আববু কে বলে তোমার আমার বিয়ে নিয়ে কথা বলে। আববু রাজী ছিলো না বড় হয়ে যদি আমরা নিজেদের পছন্দের জন্য এই বিয়ে মেনে না নেয় বাবা মাকে দোষ দেয় এ জন্য।
কিন্তু আম্মু তার ফ্রেন্ড কে দেওয়া কথা রাখবেই দুই বান্ধবী এই সিদ্ধান্ত তিনি রাখবে এ জন্য আম্মু বলে আমার ছেলে আমার কথা রাখবে। এই বিয়ে দিয়েই আমি বিদেশে যাবো না হলে না।
আ ম্মুর জেদের সাথে না পেরে আববু রাজি হয়ে যায়। আমাদের বিয়েও হয়। আমি তখন বড়ই ছিলাম সেজন্য আমি নিজেকে মানিয়ে চলেছি নেক্মট কোন সম্পর্কে জরায়নি। কিন্তু বিদেশে যাওয়া পর আর আববু দেশে আসে না ওইখানে থেকে যায়। আম্মু শত বলে ও আনতে পারে না। ঔইখানে টাকা বেশি ছিলো লোভে পরেগেছিলো আববু। তিনবছর আগে হঠাৎ আম্মুর ব্রেণটিউমার ধরা পরে আম্মু আমরা বাচাতে পারলাম না এক সপ্তাহে মারা যান তিনি। তার আগে আম্মু আমাদের বাংলাদেশ আসতে বলে আর তোমাকে খুজতে বলে। আমাকে বারবার বলে আমি যেন তোমাকে রেখে অন্য কাউকে মেনে না নেয় আমি ও আম্মুকে কথা দেয়। তোমাকে খুজে তোমার সাথেই ঘর বাধবো। বাংলাদেশের এসে তোমাকে খুজে ও পায় না। আমি মডেলিং এ করি তাতে নাম ও হয় খুব তারাতারি। ছয় মাসে খুব নাম করে ফেলি কিন্তু তোমাদের সন্বান পায়না। হঠাৎ একদিন আমার রাস্তা জ্যামে পরে যায় বের হচ্ছি না কারণ মডেলিং করে নাম হয়েছে ভালোই বের হলেই পাবলিক জেকে ধরে। এজন্য বসে আছি সামনে এক্মিডেন্ট হয়েছে। আর না পেরে উঠে মাক্ম পরে বেরিয়ে দেখি একটা লোক পরে আছে সবাই ভীর করছে কিন্তু কেউ তাকে হসপিটালে নিচ্ছে না বেচে আছে কিনা তাও বুঝি যাচ্ছে না। সবাইকে সরিয়ে লোকটাকে হসপিটালে নিতে বললাম গার্ডদের। আমি পরে হসপিটাল আসলাম লোকটাকে দেখতে অদ্ভুত ব্যাপার লোকটাকে আমার পরিচিত লেগেছে খুব কিন্তু কে বুঝতে পারিনি। আববুর সাথে সব শেয়ার করি আববু ও একদিন আমার সাথে দেখতে আসে আর দেখেই চিনে ফেলে। আমি আশা খুজে পাই যে তোমাকে খুজে পাবো কিন্তু কিভাবে সব আশার আলত নিভে গেল। আন্কেল মাথায় প্রচণ্ড বেশি আঘাত পেয়েছে এজন্য সে নরাচরা করা করা বলার ক্ষমতা হারিয়েছে আই মিন প্যারালাইজ হয়ে গেছ। আববু বন্ধুর এই অবস্থা দেখে খুব কষ্ট পায়। আমি গার্ড দের দিয়ে তোমার আববুর ফ্যামিলির সব জানতে বলি তারা জেনে যা বলে তাতে আরেক দফা শক হয়। তোমার আম্মু মারা গেছে সাথে তোমাকে তোমার মামা বাড়ি রেখেছে। সেই আড্রেস নিয়ে তোমার মামা বাড়ি যাই তোমার মামার সাথে পরিচিত হয়। তিনি সব শুনে বলে তোমার আববু সুস্থ না হওতা পযর্ন্ত তিনি তোমাকে কাজ ছাড়া করবে না আর এটা ও বলে তোমাকে যেন আমি আমার পরিচয় না দেয়। এখন এসব শুনলে তুমি বিলিভ করবে না সাথে তোমার আববু র এই অবস্থা জানলে ভেঙেপরবে। তাই তোমাকে কিছু বলি না।
কিন্তু দেখা করা কথা না বলে থাকতে ও পারিনা। এজন্য মাঝে মাঝে তোমার কলেজে এসে পরতাম আর আমার গার্ডরা তোমাকে সব সময় নজর রাখতো।
হঠাৎ একদিন সন্ধ্যায় ফোন দিয়ে বলে তোমাকে নিয়ে যেতে কিন্তু না বলে কৌশলে। কেন তা বলে না শুধু বলে তোমার বিপদ আমি ততক্ষনাক তোমার বাসার চলে আসি কিন্তু কিভাবে তোমাকে নেব বললে তো যাবে না তাই তোমাকে ফলো করি কোথায় যাও দেখতে কিন্তু রাস্তায় ঘুরতে দেখে তোমার পেছনে চলতে থাকি হঠাৎ প্লান করে দুইটা ছেলে তোমার পেছনে পাঠায়।
–ওই বাজে ছেলে দুটো আপনার লোক।
–হুম ওরা বাজে না খুব ভালো ওদরকে তোমার পেছনে পাঠায়। কৌশলে ওরা আমার গাড়িতে তোমাকে উঠিয়ে দেয়। তুমি বুঝতেই পারত না। তুমি নিজেকে রক্ষাকরতে গাড়িতে আশ্রয় নেও এটা ভাবো না গাড়ির দরজা খুলা কেন। কেউ কি এভাবে দরজা খুলে রাখে কতো বোকা তুমি তারপর বাসার নিয়ে আসা চোর বলা সবই আমার প্লান যা আববু ও জানতো তাই তো তোমাকে থাকতে রাজি করিয়েছিলো।
চলবে❤
[ ভুলক্রটি ক্ষমার চোখে দেখবেন প্লিজ।]