ক্রাশ পর্ব -১৪

#ক্রাশ
#পর্ব_১৪
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ
তোমার মনে আছে সেই দৌঁড় প্রতিযোগিতার কথা?
যে মেয়েটা তোমার স্কুল ড্রেসের ওড়না ধরে টান দিয়েছিলো ইচ্ছা করছিলো দৌঁড়ে গিয়ে ওর দুই গালে দুইটা চড় দিয়ে আসি।
কিন্তু ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পারি নি কিছু করতে।
মোহনা সাগরের বুকের উপর ভর দিয়ে শুয়ে ছিলো।
কিন্তু সাগরের মুখে এই কথা টা শুনে তৎক্ষনাৎ লাফ দিয়ে উঠলো।
আর বললো,
তুমি সেদিন আমার দৌঁড় খেলা দেখেছিলে?
কই আমি তো তোমাকে দেখি নি?
সাগর তখন হাসতে হাসতে বললো,
তুমি আসলেই একটা বোকা!!!!
এতো লোকের ভীড়ে কি করে দেখবে আমাকে?
আমি দর্শক সারিতে বসে ছিলাম।
শুধু দৌড় খেলায় না আমি তোমার দড়ি খেলাও দেখেছি।
আমি খুব অবাক হয়েছিলাম তোমার সাহস দেখে।
এতোগুলো লোকের সামনে কি করে লাফাচ্ছিলে!!!

মোহনা তখন সাগরের চুল বোলাতে বোলাতে বললো,
সব তোমার জন্যই তো করেছি।
কারন তখন তোমাকে ইমপ্রেস করাই ছিলো আমার একমাত্র উদ্দেশ্য।
তোমার সাথে একই মঞ্চে উঠে পুরুষ্কার নিবো সেই স্বপ্ন দিনরাত দেখতাম।
স্বপ্নটা যে এভাবে সত্যি হবে সেটা কখনোই ভাবি নি।

সাগর তখন বললো,
তুমি আমাকে নিয়ে ভাবো আর আমিও তোমাকে নিয়ে ভাবি?
কি দারুন ব্যাপার তাই না?
অথচ কেউ কারো মনের কথা জানি না।
দুজন দুজন কে এক তরফা ভাবে ভালোবেসে গেছি।
তুমি জানো মোহনা?
আমি যে গান টা গেয়ে সেবার ফাস্ট হয়েছিলাম সেই গান টা কিন্তু বাসায় একবার ও প্রাকটিস করি নি।
কারন ওই গান টা গাওয়ার কোন পরিকল্পনা ছিলো না আমার।
কারন আমার ইচ্ছা ছিলো,

সূর্যোদয়ে তুমি,সূর্যাস্তে তুমি।
ও আমার বাংলাদেশ প্রিয় জন্মভূমি।

এই গানটা গাওয়ার।

বাসায় কত প্রাকটিস করেছি এর জন্য!!
কিন্তু যখন দেখলাম তুমি,

প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যের আগে,
প্রতিদিন তোমার কথা হৃদয়ে জাগে,

এই গান টা গেয়ে সবার হাসির পাত্রী হলে তখন সিদ্ধান্ত নিলাম আমি এই গানটাই গাইবো।
তবে ভয় হচ্ছিলো সবাই না জানি আমার গান শুনেও হেসে ওঠে।
কিন্তু স্যার রা সিলেক্ট করে ফেললো।
আমার বিশ্বাসই হচ্ছিলো না যে সবাই পছন্দ করবে গানটা।

মোহনা তখন বললো তুমি আবার সেই দিনের কথা মনে করে দিলে?
ইসঃ কি লজ্জাটাই না পেয়েছিলাম।
সব তোমার জন্য হয়েছে।
যে মানুষ গানের গ জানে না সে গেছে গান গাইতে!!!
সবাই যখন আমার গান শুনে হেসে উঠলো,
ইসঃকি লজ্জাটাই না পেয়েছিলাম।
সব তোমার জন্য করেছি।
এই বলে মোহনা সাগরের বুকে মারতে লাগলো।
সাগর তখন মোহনার হাত দুটি ধরে ফেললো।
আর বললো,কই কিছু বুঝছি না তো?
তুমি যে আমাকে এতো ভালোবাসতে তার নমুনা কই?
একটু আদর করতে চাইলে শুধু না না করো।
তোমার তো খুশি হয়ে আরো বেশি বেশি আদর করার কথা।
মোহনা তখন বললো,
আমি তোমার মতো অতো দুষ্টু না।
যে যখন তখন দুষ্টামি করবো।
আর ভালোবাসার একটা সময় আছে।
কিন্তু তুমি সময় না বুঝেই পাগলামি শুরু করে দাও।
এখন যত মন চায় ভালোবাসো।
কেউ দেখার নাই।
কিন্তু অসময়ে তোমার ভালোবাসা বেড়ে চারগুন হয়ে যায়।
সাগর সেকথা শুনে মোহনাকে জড়িয়ে ধরলো আর তার গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো।
মোহনা তা দেখে সাগরের মাথার চুল ধরে টেনে উপরে তুললো,
আর বললো মিঃ সাগর কি করছো?
এখন এসব বাদ দাও।
এমনি বললাম,আর তুমি সত্যি ভেবে পাগলামি শুরু করে দিলে?
আজ আমি তোমার পুরো গল্প শুনবো।
আজ কোন বাহানা চলবে না।
তোমার তো সময়ই হয় না।

সাগর তখন বললো, ঠিক আছে বলবো।
তাহলে কথা দাও আজ তুমি আমাকে অনেক বেশি আদর করবে।
অনেক বেশি ভালোবাসবে।
মোহনা তখন বললো শুধু আজ না।
আমি তোমাকে সবসময় ভালোবাসবো।
এক মুহুর্তের জন্য চোখের আড়াল হবো না তোমার।
তুমি কি জানো তোমার কথাগুলো আমি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না।
ইস তখন যদি তোমার মনের অনুভূতির কথাগুলো জানতে পারতাম কতই না খুশি হতাম!!!
খুশি বললে ভুল হবে,পাগল হয়ে যেতাম।
দিনরাত তোমাকে পটানোর জন্য কতই না ফন্দি এঁটাছিলাম!!!
কিন্তু একটাতেও কৃতকার্য হতে পারে নি।

তখন সাগর বললো,
ম্যাডাম তখন যদি আমার মনের কথা বলে দিতাম এক এক করে সবাই যেনো যেতো আমাদের প্রেম কাহিনি।
তখন কি আর বিয়ে করতে পারতাম?
তুমি জানোই তো আমাদের ফ্যামিলি কেমন?
একবার যদি তারা জানতো আমরা প্রেম করি তাহলে বিয়ে তো দূরের কথা জীবনেও আর দেখা পর্যন্ত হতো না।

মোহনা তখন বললো আচ্ছা, আমাদের বাসায় ঘটক কিভাবে আসলো?
আর তোমার ফ্যামিলি কি করে আমাকেই তোমার জন্য চুজ করলো?
সাগর তখন হাসতে হাসতে বললো আমি নিজেই ঘটক কে পাঠিয়েছিলাম।
পুরো এক মাস ধরে ঘটক কে প্রতিদিন একটা করে এক হাজার টাকার নোট দিতাম।
কারন ঘটক অনেক পরিশ্রম করেছে।
একবার তোমার বাবার সাথে আমাদের ফ্যামিলি সম্পর্কে বলতো।
আর অন্যদিকে আমার ফ্যামিলিতে তোমাদের ব্যাপারে বলতো।

মোহনা তো হাসতে হাসতে একেবারে শেষ।
কারন ঘটক এই সুযোগে ভালো ইনকাম করেছে।
তবে বেচারার পরিশ্রম ও হয়েছে।
পুরো একমাস পর আমার বাবাকে রাজি করাতে পেরেছে।
সাগর তখন বললো তুমি হাসছো?
আমি তো টেনশনে শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম।
কি হবে কে জানে?
এদিকে সামিরা কে নিয়ে ভয় হচ্ছিলো।।
ও যদি একটু টের পেতো সাথে সাথে সব বলে দিতো।
কারন ওর পেটে কোন কথা থাকে না।
কিন্তু ও বার বার সন্দেহ করতে লাগলো।
কারন যে ছেলেকে বিয়ের কথা বলতে বলতে ফ্যামিলির সবাই পাগল হয়ে গেলো সে ছেলে হঠাৎ করে মেয়ে দেখতে যাচ্ছে!!!
তাই সামিরা যাতে সন্দেহ না করে তাই ওর সামনে অভিনয় করলাম।
তাকে বললাম বোন যে করেই হোক বিয়ে টা আটকা।
আমি কিছুতেই এ বিয়ে করতে পারবো না।
প্লিজ বোন আমার জন্য কিছু কর।
আর বিয়ে টা ভাংতে পারলে তুই যা চাইবি তাই পাবি।

মোহনা তখন বললো ও,,,,
সেজন্য সামিরা বার বার তোমার নামে আবোলতাবোল বলছিলো?
তুমি নাকি প্রেম করো।
তুমি আনরোমান্টিক ছেলে।
তোমাকে বিয়ে করলে আমাকে নাকি সারাজীবন কাঁদতে হবে।
সাগর তখন বললো,
ও ভালোই চেষ্টা করেছিলো।।।
কিন্তু বিয়ে টা তবুও আটকাতে পারে নি কিছুতেই।
মোহনা তখন বললো,
আমি এদিকে তোমাকে সারাজীবনের জন্য ভুলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলাম।
এই কথা টা ডায়রিতে মনে হয় হাজার বার লিখেছি।

সাগর তখন একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললো।
আর বললো,
আমিও কিন্তু তোমাকে ভালোলাগা পর্যন্তই রাখতে চেয়েছিলাম।
তোমাকে জীবনসঙ্গী করবো এইরকম কিছু ভাবি নি।
কিন্তু যেদিন স্যার আমাকে ফোন করে বললো তুমি কি মোহনার ভাই?
আমি তো তাজ্জব লেগে গেলাম।
একটু ভয় ও হচ্ছিলো।
স্যার মোহনার কথা জিজ্ঞেস করছে কেনো?
তবুও সাহস নিয়ে বললাম স্যার আমি মোহনা নামে কাউকে চিনি না।
কিন্তু স্যার আমাকে উলটা প্রশ্ন করলো যে তাহলে মোহনা তার রেজিষ্ট্রেশন ফর্মে তোমার নাম্বার কেনো দিয়েছে?
আমি একেবারে থ হয়ে গেলাম।
এই মেয়ে তার জন্য এতো পাগল!!!
রেজিষ্ট্রেশন ফরমে তার নাম্বার কেনো দিয়েছে???
আর ফোন নাম্বার টাই বা পেলো কোথায়?

পরে জানতে পারলাম তুমি ভুল করে আমার নাম্বার টা দিয়ে দিয়েছো।
তুমি যে আমার নাম্বার ফরমে দিয়েছো সেটা তুমি নিজেও জানতে না।
সেই থেকে তোমার প্রতি আগ্রহ আরো বেড়ে গেলো।
ঠিক করলাম এই মেয়েকেই বিয়ে করবো।
যে মেয়ে তার জন্য এতো পাগল তাকে ছাড়া যাবে না কখনো।
কিন্তু তোমাকে আমার মনের কথা বলার আগেই বাবা পড়াশোনার জন্য ঢাকার কলেজে ভর্তি করে দিলো।
এইজন্য আর বলা হলো না।
অনেকবার চেষ্টা করেছি কিন্তু সাহস পাই নি।

কিন্তু তোমাকে যাতে ভুলে না যায় সেজন্য একটা বিড়াল পুষি।
আর ওর নাম তোমার নামেই রাখি।
সামিরা এইজন্য সন্দেহ করেছে।
এখন বুঝতে পারছে কিনা কে জানে?

মোহনা তখন সাগর কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
আর বললো,
তুমি আমাকে পাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছো।
কিন্তু আমি কোন চেষ্টাই করি নি।
তবে তোমাকে ভুলতেও পারি নি।
আসলে এটা মনে হয় সত্য কথা,
যে মন থেকে কাউকে সত্যি সত্যি চাইলে সৃষ্টিকর্তা কাউকে নিরাশ করে না।
আর তুমি জানতে চাইলে না তোমার ফোন নাম্বার কই পেয়েছিলাম?

সাগর কৌতুহল বশত জিজ্ঞেস করলো কিভাবে পেয়েছো?
মোহনা তখন বললো,
তুমি যে স্যারের কাছে ইংলিশ পড়তে আমিও সেই স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়া শুরু করি।
ভেবেছিলাম একদিন না একদিন দেখা হবে।
কিন্তু একদিনও তোমাকে দেখি নি।
কারন তোমাদের ব্যাচ ছিলো সকালে।
আর আমি বিকেলের ব্যাচে ছিলাম।
একদিন সবার আগে প্রাইভেট পড়তে যাই।
গিয়ে স্যারের ডাইরি টা হাতে নিয়ে তোমার নাম খুঁজতে থাকি।
আমার উদ্দেশ্য তোমার নাম্বার নেওয়া না।
আমি শুধু দেখতে চাইছিলাম তুমি কয় টার সময় পড়তে আসো।
তখন তোমার নাম খুঁজতে গিয়ে তোমার নামের পাশে ফোন নাম্বার টা পেয়ে যাই।
তখন তো আমার নিজস্ব কোন ফোন ছিলো না।
তাই তোমার নাম্বার টা একটা খাতায় লিখে দিনরাত দেখতে থাকি।।
এমন ভাবে নাম্বার টা মুখস্ত করি যে আব্বু ভাই সবার নাম্বার ভুলে যাই।
একদিন তো ভুল করে আব্বুর এক ফ্রেন্ড কেও তোমার নাম্বার টাই দিয়ে দেই।
সাগর হাসতে হাসতে শেষ হয়ে গেলো।
কি কান্ড টাই না হয়েছে!!!
মোহনাও হাসতে লাগলো।
তাদের হাসির শব্দ পাশের রুম থেকেও শোনা যাচ্ছে।

মেয়ে আর মেয়ের জামাই এর এমন হাসি শুনে মোহনার বাবা খুব খুশি হলো।
তার মেয়ে যে দুঃখে নাই এটা তিনি বুঝে গেলেন।
সাগরের সাথে মোহনার বিয়ে দিয়ে তিনি ভুল করেন নি
মোটেও।
মোহনার মা বললো, আসলেই মোহনা অনেক হ্যাপি থাকবে সাগরের সাথে।
ওর শশুড়বাড়ির লোকজনও অনেক ভালো।

—————————

পরেরদিন সকালবেলা মোহনা তাড়াতাড়ি উঠলো।
কারন তার মা জামাই এর জন্য হরেকরকম এর খাবার বানাচ্ছে।
যদিও তার ভাবি, মাকে সাহায্য করছে তবুও মোহনার কেনো জানি তার মাকে আজ হেল্প করতে ইচ্ছে করছে।
মোহনার ভাবী তাই আর বারন করলো না ওকে।
মোহনার মাও কিছু বললো না।
এদিকে সাগর ঘুম থেকে এখনো ওঠে নি।
মোহনার মা মোহনার বাবা আর ভাই কে খাবার দেওয়ার জন্য উঠে গেলো।
হঠাৎ মোহনার ভাবী বললো,

এই সাগর কি সেই ডায়রির সাগর!!!!
যে ডায়রিতে শুধু সাগরের নাম।
সেটাও আবার আজ থেকে নয় বছর আগের কথা।

মোহনা সে কথা শুনে খুব অবাক হলো।
কারন ডায়রি টা সবসময় তার কাছেই থাকে।
একবারের জন্যও সে চোখের আড়াল করে না।
তাহলে ভাবি দেখলো কি করে???
মোহনা তখন তোতলাতে তোতলাতে বললো কিসের ডায়েরি আর কিসের সাগর?
ভাবী তখন বললো আর ন্যাকামো করিস না।
তুই আমার সাথে এতো ফ্রী অথচ একদিনও বলিস নি সাগর কে তুই অনেক আগে থেকে লাইক করিস?
মোহনা বললো, দূর ভাবি যা ভাবছো সেরকম কিছু না।

মোহনার ভাবি তখন মোহনার কান ধরে টান দিলো আর বললো ডায়রিটা কাল ফেলে রেখে চলে গিয়েছিলি।
তাই আমি আমার কাছেই সেটা রেখে দিয়েছি।
আর সারারাত ধরে পড়েছি।

মোহনা তখন বললো ভাবি তুমি এটা ঠিক করো নি।
কারো পারমিশন ব্যতীত এভাবে ডায়েরি টা পড়া উচিত হয় নি।
ভাবি তখন বললো, তাই?
তুমি লুকিয়ে লুকিয়ে জল খাবে,
প্রেমের সাগরে হাবুডুবু খাবে আর কেউ জানবে না?
আর তোমার সাগর ও তো কম খেলোয়াড় না?
এত বড় একজন খেলোয়াড় দেখে আসলেই বুঝতে পারি নি।
মোহনা তখন বললো, ভাবি প্লিজ ওকে কিছু বলো না।
ও এসব ব্যাপারে অনেক লাজুক।
পরে আবার আমাকে বকবে।
ভাবি তখন বললো, না আমি শুনবো না।
ওকে তো অবশ্যই বলবো।
ও এতো অভিনয় করতে পারে!!!
শুধু ও না তোরা দুইজনই অনেক বড় অভিনেতা।
মোহনা তখন বললো, ভাবি ওর পরিবার জানলে কিন্তু প্রবলেম হবে।
তুমি প্লিজ এ নিয়ে আর কথা বলো না।
ভাবি তখন বললো, আচ্ছা ঠিক আছে।
তখন মোহনা বললো ভাবি ডায়রি টা কই রাখছো?
ভাবি জানালো তার ঘরের আলমারিতে আছে।
মোহনা সেই কথা শুনে বললো আমি একটু রুম থেকে আসি?
ডায়রি টা তুলে রাখতে হবে।
এই বলে মোহনা চলে গেলো।
মোহনার ভীষণ লজ্জা লাগছে।
ভাবি সব কিছু পড়ে নিয়েছে।
কত আবেগ দিয়ে সে তার মনের কথা গুলো লিখেছে।

মোহনা তার ভাবীর ঘরে ডায়রি নিতে গিয়ে দেখে তার ভাই আলমারিতেই কি যেনো খুঁজছে।
মোহনা তা দেখে দৌঁড়ে গেলো।
আর বললো, ভাইয়া কি খুঁজতিছো?
তার ভাই বললো কোথায় কি খুঁজতিছি?
আলমারি থেকে শার্ট বের করছি।
মোহনা সে কথা শুনে নিজেই আলমারি তে তার ডায়রি টা খুঁজতে লাগলো।
আর ডায়রি টা দেখার সাথে সাথে সেটা নিয়ে নিলো।
মোহনার ভাই বললো, কি ওটা?
মোহনা বললো আমার ডায়রি।
ভাবীর কাছে রাখতে দিয়েছিলাম।
তখন মোহনার ভাই বললো, সাগর কি ঘুম থেকে উঠেছে?
মোহনা বললো আমি জানি না।
এতোক্ষণ রান্নাঘরে ছিলাম।
তখন মোহনার ভাই বললো, ওকে খাওয়াদাওয়া করে রেডি হতে বলিস।
আজ ওকে নিয়ে বাজারে যাবো।
তখন মোহনা বললো, ঠিক আছে।
এই বলে মোহনা রুমে চলে গেলো।

মোহনা রুমে গিয়ে দেখে সাগর ফ্রেশ হয়ে বসে আছে।
একদম শার্ট প্যান্ট পড়ে রেডি।
আর মোহনাকে দেখামাত্র চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।
মোহনা তখন বললো, তুমি কখন উঠছো?
আমাকে ডাকলেই তো হতো?
সাগর তখন বললো, আগে তুমি বলো কই ছিলে এতোক্ষন?

মোহনা সে কথা শুনে সাগরের কাছে গিয়ে বসলো।
আর বললো, রান্নাঘরে ছিলাম।
মা আর ভাবি নাস্তা রেডি করছে সেটাই দেখছিলাম।
সাগর তখন বললো, আমাকে এক্ষুনি বাড়ি যেতে হবে।
মোহনা তখন বললো, কেনো কি হইছে?
সাগর বললো, জানি না।
বাবা ফোনে কিছু বললো না।
শুধু বললো তাড়াতাড়ি করে বাড়ি চলে আয়।
এক মুহুর্তও যেনো দেরী না করি?
সেই কখন থেকে রেডি হয়ে বসে আছি?
আর তুমি তো একবারের জন্যও রুমে এলে না?
মোহনা তখন বললো, এভাবে না খেয়ে যেও না।
অল্প কিছু মুখে দিতেই হবে।
এই বলে মোহনা দৌড়ে গিয়ে রান্নাঘর থেকে খাবার নিয়ে এলো।
সাগর দুই একবার মুখে দিয়েই বাসা থেকে বের হলো।

এদিকে মোহনা বলার সুযোগই পেলো না যে সে সাথে যাবে কিনা?
তার আগেই সাগর চলে গেলো।

চলবে,,,,,,,
পরবর্তী পর্ব পড়তে চাইলে অবশ্যয় লাইক কমেন্ট করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here