প্রিয় পরিণতি পর্ব ৫

গল্প: প্রিয় পরিনতি!
পর্ব: ০৫!
লেখক: তানভীর তুহিন!

তন্বী আবিদকে বলা শুরু করলো,” ভাইয়া মেঘ তোমার সাথে সন্ধ্যা অবধি আছে।আর ও নিজে আমায় বলছে যে ওর তোমায় খুব পছন্দ।তাই বলছি কালকে প্রোপোজ করে দিও!”
– ” তুই ট্রিট পাওনা রইলি রে আপু।যতবার থ্যাংকস বলবো ততবার কম হবে! ”
– ” পাওনা থাকবো মানে? এক্ষনই দিবা। তোমার কথা ভেবে মেঘকে সন্ধ্যা অবধি রাখলাম। তাছাড়া দুপুরে কেউই বাসায় যাবো না। ”
– ” আচ্ছা চল আজকে আমি খাওয়াবো! ”

তন্বী বেশ খুশি হয়ে আগে আগে হেটে আসছিলো। মেঘ খুব উৎসুক ছিলো।কারন ও নিজেও জানে না তন্বী কেনো আবিদকে নিয়ে গেছিলো? আর কি ই বা বললো? উত্তেজনায় মেঘের বুকের ধুকপুকানি বেড়ে যাচ্ছে।মেঘ আশা করছিলো যে তন্বী এসে ওদের রিলেশনশিপ এর ব্যাপারে কিছু বলবে। এমনকি তামান্না আর জুলফিকার ও এটাই ভাবছিলো কিন্তু সবাইকে আহাম্মক বানিয়ে দিয়ে তন্বী বললো!

– ” আজ দুপুরে আবিদ ভাইয়া খাওয়াবে সবাইকে! ”

পাশ থেকে মুখের হা বন্ধ করে জুলফিকার বললো,” তা বাবু তুমি কী আবিদ নিয়্র গেছিলা এই ট্রিট আদায়ের জন্য? ”
– ” না অন্য কথা বলছি। সেটা কনফিডেনসিয়াল। তোমার না জানলেও চলবে! ”

আবিদ এসে বললো,” খাওয়াবো আমি ঠিক আছে। কিন্তু বিল তামান্না পেত্নি দিবে! ” কথা বলতে দেরি হলো না তামান্না আবিদকে দিয়ে দিলো কয়টা। তারপর চুল টেনে বললো, ” তোর মানিব্যাগে কমটাকা নাই। তারপরো লাগলে তো আমি দেই কিন্তু পেত্নি কেনো ডাকবি হালারপো? আর বলতো আমি তোর থেকে কয় কোটি টাকা পাই?” আবিদ হেসে বললো “আচ্ছা আসো সবাই।আগে খেয়ে নেই তারপরে কোথাও একটা বসা যাবে! ” তামান্না পাশে থেকে বলে উঠলো, ” শোন আবিদ্দা। তোরা নতুন কাপল তাই তোদের প্রাইভেসি দিচ্ছি বিরক্ত করবো না। কিন্তু জুলফি আর তন্বীকে প্রাইভেসি দিলে আমার একা হাটতে হবে তাই ওদের প্রাইভেসি দিতে পারবো না। আমরা তিনজন সামনে হাটবো তোরা দুজন পিছনে হাটবি! ” পাশ থেকে জুলফিকার তন্বীকে পিঞ্চ করে বলে উঠলো।
– ” আরে তামান্না। কীসের প্রাইভেসি? আমার ওনার আমাকেই লাগে না আবার আমাদের প্রাইভেসি লাগবে নাকি ওনার? ” কথাটা শুনেই তন্বী আগুনমাখা দৃষ্টিতে তাকালো জুলফিকার এর দিকে। আবিদ তামান্নাকে উদ্দেশ্য করে বললো, ” তুই একটা রিলেশনশিপ এ গেলেই পারিস। তাহলে আর সিঙ্গেল থাকতে হয় না! ”
– ” কীভাবে যাবো? সব মদন মার্কা ছেলেরা প্রোপোজ করে! ”
– ” তুই নিজেই তো মদনি! ”
– ” প্রচুর ক্ষুধা লাগছে। খেয়ে নেই তারপর এসবের জবাব তুমি পাবা বাছা। জাস্ট ওয়েট করো! ”

মেঘ বসে শুধু তামাশা দেখছে আর মুচকি হাসছে। আবিদ এতক্ষন মেঘের দিকে তাকায় নী। হঠাৎ মেঘকে দেখতেই দেখলো মেঘ মুচকি মুচকি হাসছে। হালকা বাতাসে চুলগুলো উড়ছে। আর হাসার সময় চেহারার ভাজ গুলো। মেঘ যে ঠিক কতটা আকর্ষন করছিলো আবিদকে তা যদি মেঘ জানতো তাহলে হয়তো এতোক্ষন ওরা কোনো পার্কে বসে প্রেমালাপ করতো। তামান্না, তন্বী আর জুলফিকার হাটা শুরু করলো। আবিদ মেঘকে বললো ” চলো! ”
মেঘের এতোক্ষন সব একদম স্বাভাবিক যাচ্ছিলো। কিন্তু আবিদ একটু কাছে আসতেই মেঘের শুরু হয়ে গেলো সেই অজানা রোগ। বুক এমন জোরে জোরে ধুকপুকাচ্ছে যে মেঘের ভয় হচ্ছে আবিদ না এসব শুনে ফেলে, নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা,দেহের প্রবাহ যে কখন উষ্ণ আর কখন শীতল হচ্ছে তা বোঝা মুশকিল। এমন অনুভুতি কখনও হয় নী মেঘের। আবিদ একটু কাশি দিয়ে বললো, ” ব্যাগটা আমার কাছে দিতে পারো! ”
– ” না আমি পারবো! ”
– ” আমার কাছে দিলে আমার ভালো লাগবে! ”

মেঘ আবিদের দিকে না তাকিয়েই ব্যাগটা আবিদকে দিয়ে দিলো। মেঘ নিচের দিকে তাকিয়ে হাটছে।দুজনেই নিশ্চুপ। মেঘ নিচের দিকে চেয়ে হাটছে। আবিদ জিজ্ঞেস করলো, ” আচ্ছা আমার স্বমন্ধ্যে কী কী জানতে চাও? ”
– ” কিছুই না! ”
মেঘের উত্তরটা আবিদের ঠিক পছন্দ হলো না। কিছুটা রেগে গেলো আবিদ। ভাবলো হয়তো মেঘ ওদের সাথে যেতে চায় না, তন্বী হয়তো আমার কথা ভেবে মেঘকে জোর করে নিয়ে এসেছে। আবিদ সোজা মেঘকে জিজ্ঞেস করলো, ” মেঘ তোমার ইচ্ছা নাহলে বলো আমি বাসায় দিয়ে আসছি। তুমি ইচ্ছায় যাচ্ছো তো আমাদের সাথে? ” মেঘ এবার দাঁড়িয়ে গেলো। আবিদ মনে মনে ভাবলো, ” এখন বলবে হ্যা আমি বাসায় যাবো! ” কিন্তু আবিদকে আহাম্মক বানিয়ে দিয়ে মেঘ বললো, ” আমার না কেমন যেনো লাগতেছে। উপরের দিকে তাকাতেও লজ্বা লাগতেসে, কথা বললে গলা কাপতেসে এমন পরিস্থিতিতে আগে পরি নাই তো তাই একটু অস্বস্তি হচ্ছে। কিন্তু এটা ঠিক আমার আপনার সাথে যেতে ভালো লাগছে আর আমি স্ব-ইচ্ছায় ই যাচ্ছি!” আবিদ মেঘের এই নাজেহাল অবস্থা দেখে বললো। আচ্ছা আমি আর কিছু জিজ্ঞেস করবো না তোমার সবটা স্বাভাবিক মনে হলে তুমিই শুরু করিও!

আবিদ আর মেঘ হাটছে। আবিদ মেঘের কথাগুলো মনে করছে আর হাসছে। মেঘ আড়চোখে দেখছে যে আবিদ হাসছে। মেঘের লজ্বা আরো বেড়ে গেলো। মেঘ মনে মনে আওড়াচ্ছে ” ধ্যাত কেনো বললাম? বাচ্চামানুষ মনে করছে এখন আমায়! ” কিন্তু এর মাঝে মেঘের আবিদের একটা জিনিস খুব পছপ্নদ হয়েছে তা হলো আবিদ মেঘকে একবারও কথা বলার জন্য জোর করে নী। সকাল থেকে অপেক্ষা করে শুধু সাথে হাটতে পেরেই আবিদের খুশি যেনো ধরছে না।তাহলে তন্বী-র কথাটাই সত্যি। যতই রাগ থাকুক না কেনো মানুষটা আমায় ভালোবেসে পাগল করে দিবে। ইশ দেরি কেনো করছে ও? প্রোপোজ করে দিলেই তো পারে আমি হ্যা বলে দেই সাথে সাথে। আমি তো আর এই লজ্বা নিয়ে বলতে পারবো না যে হ্যা আমিও তোমায় পছন্দ করি। ইশ কী সুন্দর করে কথা বলে। যখন বলছিলো ” তুমি স্বাভাবিক হয়ে কথা বলা শুরু করো ” আমার তো তখনই জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছিলো। আবিদ জিজ্ঞেস করলো, ” মেঘ লজ্বা কাটছে? ” মেঘের ভাবনা ভেঙে গেলো। আর ভাবনার ঘুম থেকে উঠে এমন প্রশ্ন পেয়ে আরো লজ্বা লাগছে মেঘের। পারছে না এক দৌড়ে বাসায় চলে যায়। আবিদ আবার জিজ্ঞেস করলো, ” মেঘ লজ্বা কাটে নী? ”
– ” উহু! ”
– ” লজ্বা কাটানোর একটা উপায় আছে আমার কাছে। তুমি চাইলে আমি বলতে পারি! ”
মেঘ মুখে কিছু না বলে মাথা নেড়ে হ্যা বললো।
– ” একটা বড় শ্বাস নিয়ে। নিজেকে প্রশ্ন করো তুমি কেনো লজ্বা পাচ্ছো? তারপরে আবার প্রশ্ন করো লজ্বা পাওয়াটা কী আসলেই উচিৎ? তারপরে নিজেকে আবার প্রশ্ন করো যে এ লজ্বার ভালো দিক কী? আর খারাপ দিক কী? ”

আবিদের এমন উদ্ভট উপায় শুনে মেঘের আহাম্মক হওয়ার মাত্রা যেনো ছাড়িয়ে যাচ্ছে।মেঘের মুখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে মেঘ এর আগা-মাথা কিছুই বোঝে নী।আবিদ হেসে ফেললো মেঘকে দেখে। তারপর বললো, ” গতকাল আমারও এমন হচ্ছিলো। তারপর আমি তোমাকে নিজের খুব কাছের মনে করলাম। এখন একটু কম হয়। কিন্তু আমারও হয়। একমাত্র সমাধান হলো “কাছের ভেবে নাও! ” কিন্তু মনের বিরুদ্ধে গিয়ে নয়! ” মেঘ আবারও প্রেমে পড়ে গেলো আবিদের কথায়। এই ছেলে এত্তো গুছিয়ে কীভাবে কথা বলতে জানে? কথা বলছে নাকি প্রেমের বুলি আওড়াচ্ছে? আবিদ মেঘকে বললো। আচ্ছা মেঘ খুব জানতে ইচ্ছে করছে তাই জিজ্ঞেস করছি, ” তখন তন্বী-র সাথে কি কথা হচ্ছিলো? ” মেঘ নিজেকে স্বাভাবিক করে বললো” অনেক চুপ থেকেছিস আর না। বেচারা সকাল থেকে বসে আছে তোর সাথে একটু কথা বলবে তার জন্যই তো। আর তুই ক্যাবলার মতো চুপ আছিস। উহু,আর না মন খুলে কথা বল! ”

– ” তন্বী বলছিলো যে আপনার রাগ বেশি! ”
– ” হ্যা এটা সত্যি। তা তুমি তন্বীকে কিছু বলো নী? ”
– ” না তো! ”
– ” আচ্ছা একটা জিনিস চাইবো দিবা? ”
– ” হুম, বলুন! ”
– ” জানি অনধিকার চর্চা হচ্ছে একদম কিন্তু এই অনধিকার থেকেই হয়তো অধিকার পাবার সুযোগ পাবো। কাল একদিন কলেজ অফ দিয়ে আমার সাথে বের হবে? তুমি চাইলে সাথে ওদের নিতে পারো। আমার সাথে একা যেতে হবে না! ”
না করার ক্ষমতা আর মেঘের রইলো না। কারন আবিদের কথা মানেই মেঘের কাছে জাদুর বুলি। যা বলবে তাতেই সে প্রেমে পড়ে যাবে এমন ব্যাপার। এতো লজ্বা লাগছে মেঘের যে কী বলবে সে তবুও বললো সে যাবে কিন্তু তন্বীকে নিতে হবে কারন নাহয় বাসা থেকে ছাড়বে না। আবিদ বললো আমার সমস্যা নেই!

ওরা খেয়ে দেয়ে একটা পার্কে বসলো। বিকাল চারটা বেজে গেছে। আবিদ তামান্নার সাথে কথা বলছে!

– ” তামান্নু, কাল মেঘকে প্রোপোজ করবো। তাই আজ রাতে তুই আমার বাসায় থাকবি। সারা রাত প্ল্যানিং করবো। তুই তো জানিস এর আগে কাউকে এভাবে প্রোপোজ করি নাই। আর কাল এমনভাবে প্রোপোজ করতে হবে যাতে কালকের দিনটা মেঘ কোনোদিন ভুলতেই না পারে, আর যাতে হ্যা ই বলে! ”
– ” আচ্ছা ঠিক আছে। কিন্তু কথা হলো চারটা বাজে। তুই এখন গিয়ে ওকে দিয়ে আয়! ”
– ” এতো তাড়াতাড়ি? ”
– ” চারটা বাজে। মেয়েটা দুপুরে খেয়েছে শুধু। গোসল তো করেনী। আমার নিজেরই অসুবিধা হচ্ছে। আর ক্লান্তও লাগছে। তুই ওরে দিয়ে আয়। তারপর বাসায় গিয়ে গোসল করে একটু ঘুম দিবো তারপর প্ল্যানিং আরকি! ”
– ” বাসায় মানে তুই আমার বাসায় যাবি না? ”
– ” তোর বাসায় গিয়েই ইশুর জামাকাপড়ে গোসল সারবো আরকি হাদারাম। যা তো এখন! ”
– ” আচ্ছা! ”

আবিদ গিয়ে তন্বীকে বললো, ” আপু তোকে জুলফি দিয়ে আসবে। আমি তোর বান্ধবিকে দিয়ে আসি নাকি? ”
– ” আচ্ছা সমস্যা নেই! ”

আবিদ এবার মেঘকে জিজ্ঞেস করলো। আমার সাথে যাবে নাকি তন্বী দিয়ে আসবে? মেঘ চুপচাপ বসে আছে। লজ্বা ভেঙে বলতেই পারছে না যে ” হ্যা তোমার সাথেই যাবো! ” আবিদ বেশ বুঝতে পারছে যে মেঘ লজ্বা পাচ্ছে। কিন্তু যদি অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিয়ে যায় তাহলে সেটা অন্যায় হবে। আবিদ মেঘের সামনে বসে বসে বললো, ” মুখ ফুটে বলতে হবে না। শুধু মাথাটা নেড়ে হ্যা বা না বলো! ” মেঘ সাহস নিয়ে মাথা নেড়ে বললো হ্যা সে আবিদের সাথেই যাবে। আবিদ মুচকি হাসলো। তারপর তন্বীকে বললো, ” কাল তোর বন্ধুকে নিয়ে একটু বের হবো। সকালে ৮ টায় নিয়ে বের হবার দায়িত্ব তোর। তোর বন্ধু সম্মতি দিয়ে দিয়েছে। বাকি দায়িত্ব তোর! ”
– ” হু আচ্ছা! ”

আবিদ আর মেঘ এখন রিক্সায়। মেঘের ব্যাগটা আবিদের কোলে। মেঘ এর আগে ছেলে বলতে শুধু তার ভাইয়ার সাথেই রিকশায় উঠেছে তাছাড়া কারো সাথেই রিকশায় ওঠে নী মেঘ। রিক্সায় আবিদের এতো কাছা-কাছি বসে মেঘের হৃদস্পন্দন যেনো স্পন্দনের নিয়মই ভেঙে ফেলতে চাচ্ছে। মেঘেদের বাসার সামনের বড় গাছটার সামনে দাঁড়িয়ে আছে আবিদ আর মেঘ। আবিদ মেঘকে উদ্দেশ্য করে বলছে, ” Thanks for the day, Megh!. ” মেঘ যে একটু কথা বলবে তাও পারছে না। কারন শরীরে কাপন ধরে গেছে এতক্ষন আবিদের পাশা-পাশি রিক্সায় বসে থেকে। আবিদ বুঝতে পারছে মেঘের ঠিক কী চলছে। তাই মেঘকে আর অপ্রস্তুত না করে বললো, ” কাল ৮ টা বাজে আমরা এখানে থাকবো। নামতে দেড়ি করিও না। টাটা কাল দেখা হবে। আর রাতে ফোন আমি ফোন দিতে পারবো কথা বলার জন্য? ” মেঘ কোনো কথা বললো না ঘাড় নেড়ে হ্যা বললো। মেঘ একটা শ্বাস নিয়ে বললো, ” আমি এই প্রথম কোনো ছেলের সাথে এতোক্ষন ছিলাম,এই প্রথম কোনো ছেলের সাথে এতটা সময় কাটিয়েছি, এই প্রথম কোনো ছেলের সাথে এক রিকশায় উঠেছি। thanks too you for this day! ” আবিদ মুচকি হেসে বললো, ” my pleasure ” মেঘ মুচকি হেসে আবিদের চোখের দিকে তাকিয়ে বললো, ” আসি, কাল দেখা হবে। ” মেঘ চলে যাচ্ছে আবিদ তাকিয়ে আছে। রাস্তাটা পাড় হয়ে মেঘ গেট দিয়ে ঢোকার সময় আবিদের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিলো। এই হাসিটা আবিদের কাছে চুমুর থেকেও বেশি কিছু ছিলো। আবিদ খুশিমনে বাসায় চলে গেলো। বাসায় গিয়ে গোসল করে ঘুম দিলো। তামান্না আগে থেকেই এসে ইশুর রুমে ঘুমাচ্ছিলো। রাতে তামান্না, আবিদ,জুলফিকার, আর তন্বী ফোনে সব প্ল্যানিং করে নিলো। রাতে অবশ্য আবিদ আর মেঘ ২৫ মিনিটের মতো ফোনে কথা বলেছিলো। কিন্তু তাতে সব সাধারন কথা,মেঘের লজ্বা আর নিশ্চুপ থাকাই ছিলো সিংহভাগ।

সকাল ৮:১০ বাজে আবিদ, তামান্না আর জুলফিকার গাড়িতে বসে আছে মেঘের বাসার সামনে। তন্বী গেছে মেঘকে আনতে। গাড়িটা আবিদের বাবার। আজ ঘুরবে বলে নিয়ে এসেছে!!

চলবে!
#thetanvirtuhin

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here