প্রিয় পরিণতি পর্ব ৪

গল্প: প্রিয় পরিনতি!
পর্ব: ০৪!
লেখক: তানভীর তুহিন!

জুলফিকার এদিকে আসার সাথে সাথে আবিদ উৎসুক হয়ে জিজ্ঞেস করলো!
– ” কীরে ওই মেয়েটাকে তুই চিনিস? ”
– ” কোন মেয়েটা? ”
– ” মেঘ নামের মেয়েটা! ”
– ” হ্যা খুব ভালোভাবেই চিনি। ও তন্বীর বেষ্টফ্রেন্ড! ”
– ” তন্বী মানে তোর গার্লফ্রেন্ড? ”
– ” হুম! ”

তামান্না হেসে লাফিয়ে উঠলো। তারপর বললো আবিদ মামা ” আমাদের আর ইনফো-র জন্য কষ্ট করতে হবে না। ইনফো নিজে আমাদের কাছে হেটে এসেছে! “।আবিদ তামান্নার কথা শুনে হেসে ফেললো।তারপর জুলফিকারকে বললো, ” জুলফি তন্বীকে ফোন লাগা আমার কথা আছে ওর সাথে! “। জুলফিকার ওদের কোনো কথাই বুঝতেসে না। আগা-মাথা না বুঝে ভ্যাবলার মতো ফোন দিলো ওর প্রেমিকা তন্বীকে।ফোন দিয়েই বললো!

– ” হ্যালো তন্বী, আবিদ তোমার সাথে কথা বলবে! ”
ওপাশ থেকে তন্বী একদম অবাক হয়ে যায়। কারন আবিদ তেমন কথা বলে না জুনিয়র মেয়েদের সাথে।এজন্য জুনিয়র অনেক মেয়েরই আবিদের উপরে ক্রাশ থাকা সত্ত্বেও প্রোপোজ করতে পারতো না। কারন আবিদ চাল-চলনে বুঝিয়েই দিতো যে ও জুনিয়রদের প্রতি ইন্টারেস্টেড না।

– ” হ্যালো তন্বী, কেমন আছিস আপু? ”
– ” আলহামদুলিল্লাহ ভাইয়া,তুমি কেমন আছো? ”

আবিদকে সব জুনিয়র মেয়েরাই আপনি করে বলে।কিন্তু জুলফিকার এর প্রেমিকা হওয়ার খাতিরে তন্বী তুমি করে বলার অধিকারটা পেয়েছে।আর আবিদ বহুবার ওদের সম্পর্কের ঝামেলা মিটিয়্র দিয়েছে। এক কথায় তন্বী আর জুলফিকার ওদের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতেই পেরেছে আবিদের সাহায্যর জন্য।

– ” আপু আমার একটা হেল্প লাগতো রে। করতে পারবি? ”
– ” আরে ভাইয়া এভাবে কেনো বলতেছো? তুমি জাস্ট বলো আমি পারলে অবশ্যই অবশ্যই করবো! ”
– ” তোর বেষ্টফ্রেন্ড মেঘকে না আমি পছন্দ করি খুব। ওর স্বমন্ধ্যে জানার জন্যই ফোন করেছি। তুই তো জানিস আমি যা বলি স্ট্রেইটলি বলে দেই। তাই বলছি আমি ওর প্রতি সিরিয়াস।তাই ওর স্বমন্ধ্যে জানতে চাচ্ছি আরকি! ”
– ” কী তুমি মেঘকে পছন্দ করো? ”
– ” কেনো? কোনো সমস্যা? ”
– ” আরে ভাইয়া কী বলো? মেঘ লাকি যে তোমার মতো পার্টনার পাবে আর তুমিও লাকি যে আমার বেষ্টু মেঘ এর মতো এত্তো ডিসেন্ট আর লয়াল প্রেমিকা পাবা। ও এ অবধি একটা রিলেশনশিপ ও করে নাই। তুমি ওরে পছন্দ করো তো? সিরিয়াস তো? নিশ্চিত থাকো তোমাদের রিলেশনশিপ এর গ্যারান্টি আমার। আমি নিজে ওর সাথে কথা বলবো!

আবিদ যেনো নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছে না। এতো ঝলদিই সবকিছু হয়ে গেলো। তারউপরে তন্বী-র এই গ্যারান্টি। আবিদ পারছে না খুশিতে আকাশে উরাল মেরে আসে। আবিদ তন্বীকে বললো,” তোর ট্রিট পাওনা রইলো আপু। আচ্ছা ওর ফ্যামিলি স্বমন্ধ্যে কিছু বল! ”
– ” মেঘ এর বাবা মারা গেছে ৪ বছর হয়। আমি মেঘকে ৬ বছর যাবৎ চিনি। ওর ফ্যামিলি যথেষ্ট ভালো। ওর ফ্যামিলিতে মেঘ,ওর মা,ওর বড় ভাই,ভাবি, আর ওর ভাইয়ের ছেলে আছে। মেঘ এর পৃথিবীতে বলতে ওর মা আর ভাই-ই। কারন ওনারা মেঘকে যথেষ্ট স্বাধিনতা দিয়েছে। ওর বড় ভাই ডাক্তার(হার্ট সার্জন)। আর ওর ভাবিও ডাক্তার(সাইক্রিয়াটিস্ট)।আর হ্যা ও ওর বাবাকে নিয়ে খুব সেন্সিটিভ কারন ওর বাবাকে খুব ভালোবাসতো ও!”
– ” আচ্ছা মেঘ এর পছন্দ অপছন্দ স্বমন্ধ্যে বল! ”

পাশ থেলে জুলফিকার বলে উঠলো। ” আরে আবিদ তন্বী ফ্রি তো ওরে ক্যাম্পাসে আসতে বল না। আমার ফোনের টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে তো! ”
তামান্না জুলফিকারকে একটা ঘুষি মেরে বললো ” হালা কিপটা! ”

– ” আচ্ছা আপু তুই কী ফ্রি? আমি, তামান্না, জুলফি ক্যাম্পাসে আছি। তুই আসতে পারবি? ”
– ” হ্যা ভাইয়া আমি একদমই ফ্রি। আমি আধাঘন্টার মধ্যে আসতেছি! ”
– ” ধন্যবাদ রে আপু! ”
– ” আরে ভাইয়া কীসব বলে পর করে দিচ্ছো আমায়। আমি তোমায় নিজের বড় ভাই মনে করি। আর মেঘ আমার বেষ্টফ্রেন্ড কম বোন বেশি। ওর যদি তোমার সাথে সম্পর্ক হয় আমি অনেক বেশি খুশি হবো! ”
– ” আচ্ছা আয় আমরা ক্যাম্পাসে আছি! ”

আধাঘণ্টা পরে তন্বী ক্যাম্পাসে ঢুকলো। এসেই তামান্নাকে জড়িয়ে ধরে বললো, ” ক্যামন আছো আপু? ” তামান্নার সাথে তন্বী-র সম্পর্ক বেশ ভালো। আবিদ পাশে থেকে বলে উঠলো, ” ও কখনই খারাপ থাকে না! ” তামান্না আবিদকে ধরে চুল টেনে দিলো।
তারপর ওরা মেঘকে নিয়ে আলোচনা শুরু করলো। তন্বী বলা শুরু করলো!

– ” মেঘ একদমই সাধারনভাবে চলাফেরা করে। ওকে এ অবধি কমপক্ষে ৩০-৪০ টা ছেলে প্রোপোজ করছে। কিন্তু ও সবাইকেই মুখের উপরে না বলে দিছে। আচ্ছা মেঘ কী জানে যে তুমি পছন্দ করো মেঘকে?
– ” হ্যা জানে। কালকে তামান্না গিয়ে বলে দিসে! ”
– ” তারপর মেঘ কী বললো? ”
– ” তারপর আমি নাম্বার নিয়ে রাতে কথা বললাম। সকালে ক্যাম্পাসে কথা বলার জন্য রাজি হলো। কিন্তু আসতে লেট করায় কথা বলতে পারি নী। ক্লাস শেষে বের হলে কথা বলবো। ঢোকার সময় জুলফি-র সাথে কথা বলতে দেখলাম।তারপর জানলাম তোর বেষ্টফ্রেন্ড। তারপর তো বাকিটা তুই জানিসই! ”
– ” ওয়েট ওয়েট মেঘ তোমাকে নিজের নাম্বার দিয়েছে? আবার ফোনে কথা বলেছে? আবার ক্যাম্পাসে কথা বলার জন্য রাজিও হয়ে গেছে? ”
– ” হুম! ”
– ” আরে আবিদ ভাই কংগ্রাচুলেশনস। তোমার রিলেশনশিপ হয়ে গেছে।মেঘ এ অবধি কোনো ছেলেকে নাম্বার দেওয়া দুরের কথা পাত্তাই দেয় নী। তোমার সাথে আবার ক্যাম্পাসে এসে কথা বলার জন্যও রাজি হইছে। উফ খোদা আমি কালকে আর আজকে মেঘের সাথে কলেজে না এসে বিয়ে খেতে কেনো গেসিলাম। মেঘের মুখটা মিস করলাম! ”
– ” আচ্ছা। ওরে তো ইম্প্রেস করতে হবে। ওর পছন্দ অপছন্দ স্বমন্ধ্যে কিছু বলো! ”
– ” আরে কী বলো আবিদ ভাই। আমি তোমায় বলতেসি। মেঘ অলরেডি ইম্প্রেসড। তুমি আমায় ভরসা করে কালকেই মেঘকে প্রোপোজ করে দাও দেখবা ও হ্যা বলে দিবে। আর মেঘ তোমার স্বমন্ধ্যে ইনফো জানে? ”
– ” না, আমায় কিছুই জিজ্ঞেস করে নাই! ”

তখন পাশ থেকে তামান্না হাত তুললো। আমার থেকে অনেকটাই জেনেছে। আমায় অনেক কিছুই জিজ্ঞেস করেছে। তন্বী একথা শুনে তো ডাবল শিউরিটি দিয়ে দিলো যে মেঘ আবিদের প্রেমে হাবু-ডুবু খাচ্ছে। কারন মেঘ এ অবধি কোনো ছেলের স্বমন্ধ্যে জানার চেষ্টা করে নাই।

আবিদ বেশ খুশি সবটা শুনে। মেঘের সবকিছুতেই মুগ্ধ সে। এবার শুধু প্রোপোজ করার পালা।

– ” আচ্ছা তুই নিশ্চিত তো মেঘ হ্যা বলবে? ”
– ” তুমি কালকে মেঘকে প্রোপোজ করবে যদি ও হ্যা না বলে তাইলে আমি জুলফিকার এর সাথে ব্রেকাপ করে দিবো। এবার তো বিশ্বাস হচ্ছে? ”

তন্বী-র কথা শুনে আবিদ আর তামান্না খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো। এদিকে জুলফিকার এর মুখের হাওয়া উড়ে গেছে। জুলফিকার মুখ কালো করে বললো, ” তোমার তো শুধু আমায় ছাড়ার বাহানা চাই।আরকী?” তন্বী একটু মুচকি হেসে ধমক মাখানো কন্ঠে বললো ” বড়রা যখন কথা বলে তখন মাঝে কথা বলতে হয় না জানো না? একদম চুপ-চাপ বসে থাকো। একটা কথাও বলবা না তুমি! “। অতএব জুলফিকার একদম চুপ-চাপ হয়ে বসে রইলো কারন জুলফিকার তন্বী-র কাছে একদম বিলাই। ওদের রিলেশনশিপ এর তিন বছর চলতেসে। দুজন দুজনের জন্যে পাগল। কিন্তু জুলফিকার তন্বীকে নিয়ে একদম বেশি স্পর্ষকাতর।আর তন্বী-র জুলফিকারকে ধমকাতে ভালো লাগে। আর জুলফিকারও তন্বী-র থেকে ধমক শুনতে ভালোবাসে এটা যেনো ওদের সম্পর্কের অভ্যাস হয়ে গেছে।

ওরা সবাই ওয়েট করতেছিলো। ১ টা বেজে গেছে। কলেজ ছুটি দিলো। আবিদ উঠে দাড়ালো। এই ব্যাস্ত ভিড়ে তার চোখ দুটো খুজছে তার প্রিয় মেঘকে। মেঘ সিড়ি দিয়ে নামছিলো আর ভাবছিলো আবিদ ওকে কী বলবে? ৪ টা ক্লাসে ও যে কী করেছে ওর নিজেরই মনে নেই। শুধু আবিদকে নিয়েই ভেবেছে। আর নিজেকে বকা-বকি করতেছিল এসব বলে, ” তোর আজকেই ঘুমাতে হলো রে মেঘ? আর দিন তো উঠে বসে থাকিস। ছেলেটা কত আশা নিয়ে এসে বসে ছিলো। তুই ও তো আকুল হয়ে ছিলি। তাহলে এতো ঘুমালি কেনো? “। মেঘ সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে ঠিক করলো যে “আবিদ যতক্ষন সময় চাইবে ততক্ষন সময় ই দিবে সে। বাসায় যাবার জন্য কোনো তাড়া দেখাবে না। মেঘ নিচে নেমে সোজা আবিদের কাছে চলে এলো। এসে দেখলো তন্বী আর জুলফিকার বসে আছে আবিদদের সাথে। খুব অবাক হলো মেঘ আবার খুশিও হলো বহুদিন পরে তার “পার্টনার অফ ক্রাইম” কে দেখে। বিয়ের জন্য এই সাতদিন তন্বী শহরের বাইরে ছিলো। মেঘ তন্বীকে দেখেই বললো ” কীরে চুন্নি তুই এখানে? ” আবিদের সামনে তন্বীকে চুন্নি ডেকেই জিহবায় কামড় দিলো মেঘ। এদিকে মেঘের এমন মুখ দেখে যেনো আবিদ ফিলিংসের চাপে মরে যাচ্ছে। আর আবিদকে এমনভাবে দেখে মেঘেরও বেশ লজ্বা হচ্ছে। তন্বী উঠে মেঘকে একপাশে টেনে নিয়ে বললো,” কীরে আবিদ ভাই তোরে প্রোপোজ করছে আমায় তো বললি না! ”
– ” আরে ভেবেছি।দেখা হলেই বলবো। আর শোন না আমারও না আবিদকে খুব পছন্দ হয়েছে। ”
– ” তাতো আপনাকে দেখেই বোঝা যায় ম্যাডাম। ফোনে কথা বলেন, ক্যাম্পাসে এসে কথা বলার প্রতিশ্রুতি দেন। খুব প্রেম শিখে গেছেন আপনি!”

মেঘ খুব লজ্বা পায় তন্বী-র কথায়। মেঘ কৌতুহল নিয়ে তন্বীকে জিজ্ঞেস করে তুই ওখানে বসে ছিলি কেনো? আর তোকে এসব বললই বা কেনো আবিদ?

– ” আমি আবিদ ভাইকে ৩ বছর যাবৎ চিনি। আর আবিদ ভাই আমায় ছোট বোনের মতো দেখে।তুই জানিস আমার আর জুলফিকার এর রিলেশনশিপ এ উনি অনেক সাহায্য করছে! ”
– ” আচ্ছা বল না। ওর সাথে রিলেশনশিপ এ যাবো? ”
– ” আমায় কেনো জিজ্ঞেস করছি? নিজের মনকে জিজ্ঞেস কর? ”
– ” তুই বুঝি আমায় জানিস না? দেখে বুঝিস না আমার তো খুব পছন্দ ওকে। কিন্তু ওর স্বমন্ধ্যে তেমন কিছু জানি না! ”
– ” শোন তোর জন্য আবিদ ভাই একদম পার্ফেক্ট। একদম ডিসেন্ট আর লয়াল থাকবে তোর প্রতি। আর সব শুনে যা বুঝলাম আবিদ ভাই তোর প্রতি পাগল।এর আগে আবিদ ভাই কোনো মেয়ের প্রতি এতো দূর্বল হয় নাই! ”
– ” আচ্ছা এখন কী কথা বলবো রে? তুই তো প্রেম করতেসস। আমার তো অভিজ্ঞতা নাই। আর ওর সামনে গেলেই না আমার কেমন যেনো অস্থির লাগে, বুকের ধুকপুকানি বেড়ে যায়! ”
– ” এসব প্রেমের লক্ষন। অবশেষে আমার হারামজাদিটাও প্রেমে পড়লো। আর তুই ভাগ্যবতি যে আবিদ ভাইয়ের মতো পার্ফেক্ট পার্টনার পাচ্ছিস।শুধু একটা কথাই বলে দিচ্ছি আবিদ ভাই পছন্দ করে না এমন কিছু করবি না, আবিদ ভাই তোকে সব স্বাধিনতা দিবে দেখিস। কিন্তু উনি না করবে এমন কিছু করিস না। ওনার রাগ কিন্তু একদমই ভয়ানক। শুধু রাগটা সহ্য করিস দেখবি তোদের প্রেম বিয়ে অবধি গড়াবে। তারপর আবিদ ভাইয়ার পুচকা-পুচকি পালতে পালতে তোর জীবন চলে যাবে। ” বলেই হেসে দিলো তন্বী। মেঘ তন্বীর শেষের কথাটা শুনে মহা লজ্বায় পড়লো।
– ” আচ্ছা ওর রাগ কী এতই বেশি? আমি সহ্য করতে পারবো তো? ”
– ” শোন রাগ বেশি ঠিক আছে।কিন্তু উনি তোর প্রতি যে হারে পাগল এই পাগলামি আরো বাড়বে। উনি যতই রাগ দেখাক তোকে কখনও ছেড়ে যাবে না আরো রাগ সহ্য করে বেশি ভালোবাসা পাবি, বেশি বেশি আদর পাবি। আর কী লাগবে তোর? ”
মেঘ তন্বীর কথা শুনে বারবার লজ্বা পাচ্ছিল। তন্বী মেঘের গাল টেনে বললো, ” আর লজ্বা পাইস না বোন। মানুষটা সেই কখন থেকে অধীর আগ্রহে বসে আছে তোর সাথে কথা বলবে বলে। আর শোন এখনই বাসায় যেতে হবে না। আন্টিকে ফোন দিয়ে বলে দে তুই আমার সাথে আছিস! ”

– ” তা নাহয় বললাম। কিন্তু উনি বাসায় যাবে না? ”
– ” ওনার বাসা তো এখন তুমি হয়ে গেছো! ”

মেঘ পারতেসে না দৌড়ে পালায় তন্বী-র থেকে।কারন তন্বী পিঞ্চ করে করে কথা বলছিলো আর মেঘ লজ্বায় মরে যাচ্ছিলো। মেঘ বাসায় ফোন দিয়ে বললো যে ওর আসতে সন্ধ্যা হবে ও তন্বীর সাথে আছে। তন্বীও ফোনে বললো যে আন্টি চিন্তা করিয়ো না। সন্ধ্যার দিকে চলে আসবো। মেঘের মা ও নিশ্চিত হলো কারন ওনারা তন্বীকে খুব বিশ্বাস করে।

মেঘ আর তন্বী আবিদ,তামান্না, আর জুলফিকার এর কাছে গেলো। এতক্ষন ওরা তিনজন বসে ভাবছিলো যে মেঘ আর তন্বী কী কথা বলছে? আর মেঘ কাকেই বা ফোন দিলো। আবিদ একনজরে মেঘের দিকে তাকিয়ে আছে । তন্বী একটু কাশি দিয়ে বললো,” আবিদ ভাইয়া ওদিকে চলো।তোমার সাথে কথা আছে। ”

এদিকে তন্বীর একান্ড দেখে তামান্না আর জুলফিকার আহাম্মক বনে গেলো। আসলে তন্বী করছেটা কী? ১৫ মিনিট কথা বললো মেঘের সাথে এখন আবার আবিদকে নিয়ে গেলো। মেঘ দাঁড়িয়ে আছে দেখে জুলফিকার বললো, ” আরে ভাবি দাঁড়িয়ে আছেন কেনো? বসেন! ” জুলফিকার এমনিতে মেঘকে ওর নাম ধরেই ডাকে।হঠাৎ জুলফিকার এর মুখে হঠাৎ ভাবি ডাক শুনে মেঘ যেমন অবাক হলো ঠিক তেমন লজ্বাও পেলো। লজ্বায় মেঘ এর ফর্সা মুখটা একদম লালমরিচ হয়ে গেছে। তামান্না জুলফিকারকে গাট্টা মেরে বললো, ” মেয়েটাকে লজ্বা দিচ্ছিস কেনো? হারামি!”। জুলফিকার হেসে বললো, ” ও ভাবিই হবে আমাদের দেখে নিস তুই! ” তামান্না মেঘকে ধরে বসিয়ে কথা বলতে থাকলো। কলেজ কেমন কাটলো? ক্লাস কেমন হলো? এরকম স্বাভাবিক বিষয় নিয়ে।

এদিকে তন্বীর কথা শুনে তো আবিদের বেহুশ হয়ে যাবার পালা।।

চলবে!
#thetanvirtuhin

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here