#না_চাইলেও_তুই_আমার
[ সিজান ৩ ]
#লেখিকা_সারজীন_ইসলাম
#পর্ব- ১৩
শীতের বিকেলের মৃদু মৃদু বাতাস বইছে। আর মৃদু বাতাস গায়ে কাঁটা ধরিয়ে দিচ্ছে। কেমন এক রোমাঞ্চকর পরিবেশ। কিন্তু টিয়ার কাছে সবকিছুই বিষাদের মত লাগছে। নিজের কষ্ট লাঘব করার জন্য ছোট বেলার খেলার সাথী বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কেঁদে চলেছে টিয়া। অনন্যা টিয়ার কান্না দেখে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওর কান্না থামানোর চেষ্টা করছে। অনন্যা টিয়াকে সোজা করে চোখের পানি মুছতে মুছতে নরম গলায় বলল,
—-” কী হয়েছে বলনা আমায় এমন করছিস কেন তুই? কেউ কী কিছু বলেছে তোকে?”
টিয়া চোখের পানি মুছে অনন্যা কে শান্ত করার জন্য কৃত্রিম হেসে বলল,
—-” ধুর আমার আবার কী হবে? চল বাড়ির ভিতরে যাই।”
টিয়ার কথা শুনে অনন্যা বেশ রেগে যায়। এতক্ষণ কেঁদে কেঁদে নিজে শেষ হয়ে যাচ্ছিল, আর এখন বলে না কিছু না! অনন্যা তীব্র দৃষ্টিতে টিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,
—-” এখন তো তুই আমার থেকে কথা লুকাতে শিখে গেছিস তাই না? এই কথা যদি তুই ভেবে থাকিস তাহলে একদম ভুল ভাবছিস। তাই ভালোই ভালোই জিজ্ঞেস করছি কী হয়েছে আমাকে খুলে বল।”
টিয়া অনন্যার এমন কড়া কড়া কথা শুনে আর কিছু লুকোনোর সাহস পায় না। কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে বলল,
—-” রাসেল!”
রাসেল নাম শুনে অনন্যা ভ্রু কুঁচকে তাকায় টিয়ার দিকে। একে একে টিয়া সবকিছু খুলে বলে অনন্যা কে। এখানে এসেছে পর থেকে তার দেওয়া অবহেলা, তার দেওয়া কষ্ট, তাকে দেখিয়ে দেখিয়ে অন্য মেয়েদের সাথে ঘুরে বেড়ানো। সবকিছু খুলে বলে টিয়া অনন্যা কে। সবশুনে অনন্যার মাথা গরম হয়ে যায়। তা টিয়া ওর মুখ দেখে বুঝতে পেরে অনন্যার হাত চেপে ধরে বলল,
—-” দেখে আমি আর কোন ঝামেলা চাচ্ছি না। তাই প্লিজ তুই শান্ত হ।”
অনন্যা রাগী গলায় বলল,
—-” কিন্তু….
অনন্যার কথা সম্পন্ন করতে না দিয়ে টিয়া বলল,
—-” আর কোন কিন্তু নয় চল বাড়ির ভিতরে চল।”
টিয়া অনন্যার হাত টেনে নিয়ে যাচ্ছে বাড়ির দিকে। রাসেল ভাইয়া যে এতটা খারাপ হবে তা কখনও কল্পনাও করেনি অনন্যা। রাসেল ভাইয়া কে তো আর এমনি এমনি ছেড়ে দেওয়া যায় না। অনন্যার ছোটবেলার বন্ধু কে কষ্ট দিয়েছে তার হিসাব অনন্যা নিয়েই ছাড়বে। মনে মনে এসব ছক কষতে কষতে অনন্যা টিয়ার সঙ্গে বাড়ির ভিতরের দিকে যায়।
______________________________
সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে রাজনীতিক মিটিং সেরে বাড়ি ফিরলেন আতিক সাহেব। যবে থেকে তিনি এই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন তবে থেকে তিনি খুব একটা পরিবারকে সময় দিতে পারেন না। এই নিয়ে অবশ্য তার স্ত্রীর কম অভিযোগ নেই তার বিরুদ্ধে। তিনি সবসময়ই চেষ্টা করেন কাজ কর্মের মাঝে পরিবারকে সময় দিতে। বিছানায় শুয়ে শুয়ে এসব হিসাব মিলাচ্ছিল আতিক সাহেব তখন তার স্ত্রীর রুমে ঢুকতে ঢুকতে বলল,
—-” কী ব্যাপার আজ এত তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে এলে যে, তোমার মিটিং ফিটিং সব শেষ?”
আতিক সাহেব তার স্ত্রীর কথা শুনে তার দিকে তাকায়। তোহার মা মারা যাবার পর বাবা-মার কথায় স্নেহা কে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পরের দিন থেকে স্নেহা নিজের মতো করে সংসারটাকে আগলে রেখেছে। তোহা যতই স্নেহার থেকে দূরে থাকুক না কেন স্নেহা কিন্তু তোহা কে নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসে। বর্তমান সময়ে এমন একটা মেয়ে পাওয়া বড়ই দুষ্কর। এসব ভেবে আতিক সাহেব ছোট নিঃশ্বাস ফেলে বলল,
—-” হ্যাঁ আজকের মত আপাতত শেষ। তা তোমার মেয়েরা কোথায় আসার সময় তো তাদের দেখলাম না তাদের?”
স্নেহা সোফায় রাখা জামা কাপড়গুলো ভাঁজ করতে করতে তার স্বামীর দিকে তাকিয়ে বলল,
—-” আসার সময় তো দেখে এলাম তুলি টিভিতে ওর ফেভারিট কার্টুন দেখছে। আর তোহা এখনো বাড়ি ফেরেনি।”
তোহা এখনো বাড়ি ফিরেনি শুনে আতিক সাহেব শোয়া থেকে উঠে পরে। তোহার তো আজ ভোর রাতের দিকে বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল কিন্তু গোটা একটা দিন পেরিয়ে গেছে এখনো তোহা ফিরে আসেনি। আতিক সাহেব চিন্তিত কন্ঠে বলল,
—-” এখনো আসেনি মানে? কোথায় গেছে ও? তুমি ফোন করেছিলে ওকে কিছু বলেছে তোমাকে?”
স্নেহা কাপড় ভাঁজ করা রেখে তার স্বামীর দিকে তাকায়। একটুতেই কেমন চিন্তিত হয়ে পড়েছে মানুষটা। একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছে। তিনি তার স্বামীর দিকে তাকিয়ে মৃদু স্বরে বলল,
—-” তুমি এত চিন্তা করো না। তোহা ভালো আছে। কিন্তু!
স্নেহার মুখে কিন্তু শুনে আতিক সাহেবের কপাল তৎক্ষণাৎ ভাঁজ পড়ে যায়। তিনি স্নেহার দিকে তাকিয়ে বলল,
—-” কিন্তু! কিন্তু কী?”
আতিক সাহেবের এমন অবস্থা দেখে স্নেহা হালকা হেসে বলল,
—-” কিন্তু হলো তোমার মেয়ে যে বড় হয়েছে সেদিকে তোমার কোন খেয়াল আছে? মেয়েকে তো এখন বিয়ে টিয়ে কিছু দিতে হবে নাকি? নাকি তোমার মেয়েকে তুমি সারাজীবন আগলে রাখবে?”
সত্যি তো দেখতে দেখতে মেয়েটা বড় হয়ে গেছে। এইতো সেদিন ওকে হসপিটাল থেকে সাদা তোয়ালে জড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম কোলে করে। চোখের পলকে মধ্যে মেয়েটা বড় হয়ে গেছে। এইসব ভাবতে ভাবতে আতিক সাহেব চোখের চশমা খুলে স্নেহার দিকে তাকায়। স্নেহা তার হাতের কাজ থামিয়ে রেখে উঠে এসে আতিক সাহেবের পাশে বসে। স্নেহা তার হাত ধরে মৃদু স্বরে বলল,
—-” মন খারাপ করছো কেন? তাহলে মেয়েদের বিয়ে দেবে কী করে তুমি? মেয়েদের তো জন্মই হয় বাবার বাড়ি ছেড়ে স্বামীর ঘরে যাওয়ার জন্য। এই নিয়ে তুমি মন খারাপ করো না। আর শোনো না তোমার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে। তোমার মেয়ে যে খুব করে একজনের প্রেমে পড়েছে সে খবর কী তুমি রাখো?”
স্নেহার কথা শুনে আতিক সাহেব হতবাক হয়ে যায়। তার ওমন রণচন্ডী মত মেয়ে আর সে কিনা কারো প্রেমে পড়েছে। বিষয়টা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে আতিক সাহেবের। আতিক সাহেব তার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে অবাক গলায় বলল,
—-” বল কী আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না।”
আতিক সাহেবের কথা শুনে স্নেহা মৃদু হেসে মিরানের কথা খুলে বলে। সব শুনে আতিক সাহেব আবারও অবাক গলায় বলল,
—-” তোমার মেয়ে তো সাংঘাতিক এক কান্ড ঘটিয়ে ফেলেছে স্নেহা।”
স্নেহা ঠোঁটে হাসি টেনে বলল,
—-” তাহলে আর বলছি কী তোমায়।”
অবশেষে তার মেয়ের পাথরের মত মনে কেউ ভালোবাসেন বীজ বুনতে পেরেছেন ভেবে আতিক সাহেবও খুব খুশি হন।
______________________________
সন্ধ্যার খানিক পরে তোহা মিরান কে খুঁজতে খুঁজতে পুকুর পাড়ে চলে এসেছে। বিকেলের ওই ঘটনার পর মিরান কে আর দেখেনি তোহা। পুকুরে এখনো পাম্প লাগানো আছে। কাল দুপুরে মধ্যে পুকুরের পানি শেষ হলে বাড়ির ছেলে মেয়েরা মাছ ধরতে নামবে এই পুকুরে। ঐতো মিরান পুকুর ঘাটের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছে। তোহা ব্যস্ত পায়ে হেঁটে এসে মিরানের পিছনে দাঁড়িয়ে বলল,
—-” আমাকে ছাড়া একা একাই জ্যোৎস্নাবিলাস করছো?”
মিরান পিছন ফিরে তাকায়। উফ আবার সেই মেয়েটা। বিকেলবেলা মেয়েটার জন্য কত নাকানি-চুবানি খেতে হয়েছে। না না এই মেয়েটার সাথে এখন আর কথা বলা যাবে। প্রথম দুইবার কথা বলে তো মেয়েটাকে বেশ লেগেছিল কিন্তু এখন মেয়েটার সাথে কথা বলা মানে বিপদকে নিমন্ত্রণ করে কাছে ডাকা। মিরান তোহার কথার উত্তর না দিয়ে অন্যদিকে ফিরে যায় মুখ ঘুরিয়ে। তোহা বেশ বুঝতে পারছে মিরান বিকেলের জন্য ওর উপরে ক্ষেপে আছে। তোহা মৃদু হেসে মিরানের সামনে দাঁড়িয়ে বলল,
—-” কী হলো কথা বলছো না কেন? নাকি বিকাল এর জন্য আমার সঙ্গে কথা বলবে না?”
মিরান আবারো কিছু না বলে সিঁড়ি বেয়ে উঠে যেতে চাইলে। তোহা মিরানের টি-শার্টের কলার খামচে ধরে কপট রাগ দেখিয়ে বলল,
—-” তোর সাহস তো কম না? আমি একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছি আর তুই কোন উত্তর না দিয়ে মুখ ঘুরিয়ে চলে যাচ্ছিস?”
মিরান হতবাক হয়ে যায় তোহা কথা শুনে। এই মেয়ে প্রতিদিন কিছু না কিছু করে ওকে চমকে দেয়। আজ তো একেবারে তুই-তোকারি শুরু করে দিয়েছে। না জানি কখন আবার আবার মারধর শুরু করে। না না এই মেয়েকে একটুও বিশ্বাস করা ঠিক হবে না।
#না_চাইলেও_তুই_আমার
[ সিজান ৩ ]
#লেখিকা_সারজীন_ইসলাম
#পর্ব- ১৪
মিরান ভীতু চোখে তোহার দিকে তাকিয়ে আছে।তোহার চোখের রং পরিবর্তন হতে দেখে মিরানের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। আর হবে নাই বা কেন? চোখের সামনে হঠাৎ করে কেউ যদি রুদ্রাণী মূর্তি ধারণ করে থাকে তাহলে যে কেউ ভয়ে জড়সড় হয়ে পড়ে। মিরান ভীতু গলায় বলল,
—-” আপনি আমার টি শার্টের কলার চেপে ধরেছেন কেন?”
তোহা মিরানের এমন অবস্থা দেখে মনে মনে বেশ মজা পায় কিন্তু মুখ গম্ভীর করে বলল,
—-” টি শার্টের কলার চেপে ধরেছি কী আর সাধে? এতক্ষণ ধরে আমি এতগুলো প্রশ্ন করলাম তার একটারও তো উত্তর দিলেনা। আমি….
কথা সম্পূর্ণ করতে না দিয়ে মিরান তোহাকে থামিয়ে দিয়ে মৃদু স্বরে বলল,
—-” দেখুন আপনি শুধু শুধু রাগ করবেন না। আমি শুধু আপনার সাথে না অন্য কোন মেয়ের সাথে কথা বলতে পছন্দ করি না।”
মিরান যে অন্য কোন মেয়ের সাথে কথা বলে না এই শুনে বেশ খুশি হয় তোহা। মিরানের টি শার্টের কলার ছেড়ে দিয়ে ধীর গলায় বলল,
—-” সে ঠিক আছে অন্য কোন মেয়ের সাথে কথা বলার দরকারও নেই, শুধু আমার সাথে কথা বললেই চলবে।”
মিরান একে তো মেয়েটার ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে আছে। আবার কী সব পাগলের মত কথা বলছে, শুধু তার সাথে নাকি কথা বলতে হবে। মিরান অবাক কন্ঠে বলল,
—-” কেনো?”
তোহা আবারো রাগি চোখে তাকিয়ে বলল,
—-” আমি বলেছি তাই।”
মিরান আর কিছু বলবে তার আগেই মিরানের ফোন বেজে ওঠে। মিরান তোহা কে আর কিছু না বলে ফোন নিয়ে অন্য দিকে চলে। তোহা মিরানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে একা একা মৃদু হেসে বলল,
—-” এই ছেলে তো দেখি খুব লাজুক! একে নিয়ে আমার যে কী হবে?”
______________________________
নিজের মাথা এখন নিজেরই ফাটিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে রাসেলের। কোন কুক্ষণে যে এমন অভিনয় করতে গেছিলো ভেবে পায়না রাসেল। কতশত মুভি, নাটক দেখে রপ্ত করেছিল এই বিদ্যা। মুভি বা নাটকের হিরোরা হিরোইনদের অ্যাভয়েড করতে শুরু করলে হিরোইনরা ডেস্পারেট হয়ে তাদের মনের কথা বলে দেয় হিরোর সামনে। কিন্তু তার বেলায় সব ঘেঁটে ঘ হয়ে গেছে। কোথায় ভাবলো রাসেলকে মিমির সাথে দেখে টিয়া রাসেলের শার্টের কলার ধরে দু’চারটা চড় থাপ্পড় দিয়ে তার মনের কথা বলে দেবে তা না হলো সব উল্টো আরো রাসেলকে ভুল বুঝে ওর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সেদিন রাসেল সদর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে মিমের সাথে কথা বলছিল। সকালের বাগানের গাছগুলো তে পানি দেওয়ার কারণে ওই স্যাঁতসেঁতে হয়েছিল হঠাৎ করে মিমি পিছলে পড়ে যেতে শুরু করলে রাসেল তাড়াতাড়ি করে ওকে ধরে ফেলে। ধরে ফেলতে গিয়ে মিমিকে একদম তার বুকে নিয়ে আসে। ব্যস এই ঘটনা টিয়ার দেখে চোখ ভরা পানি নিয়ে ওখান থেকে দৌড়ে চলে যায়। শত ডাকলেও টিয়া আর পিছন ফিরে তাকায় নি। ওই ঘটনার পর থেকে টিয়ার সাথে খাবার টেবিল ছাড়া আর দেখা হয়নি। অনন্যা কেমন তীব্র দৃষ্টিতে রাসেলের দিকে তাকিয়ে থাকে। দু-একবার তো টিয়া রাসেলের তার দিকে আসতে দেখে দ্রুত পায় অন্য দিকে সরে গেছে। এসব ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে রাসেল।
______________________________
দুপুরের পর থেকে পুকুরপাড়ে হৈহৈ আমেজ। দুপুরের পর পুকুরের পানি শেষ হতেই বাড়ির ছেলেরা সব নেমে পড়ে পুকুরে। মিরান এখনো পুকুরে মাছ ধরতে নামেনি দেখে তোহা অনন্যার দিকে তাকিয়ে মৃদু স্বরে বলল,
—-” তোমার ভাইয়া কোথায়? দুপুরের পর থেকে তো তার কোন হদিস নেই। সে কী মাছ ধরবে না?”
অনন্যা ঠোঁটে হাসি টেনে বলল,
—-” ভাইয়া তার রুমে আছে, কী জানি একটা কাজ আছে সেটা শেষ করে এখানে আসবে বললো। এখনই আমার ভাইয়ার জন্য এত পাগল বিয়ের পর কী হবে?”
অনন্যার কথা শুনে তোহা লাজুক হেসে বলল,
—-” ধুর তেমন কিছু না। দেখছিলাম না তাই জিজ্ঞেস করেছি।”
অনন্যা চোখ ছোট ছোট করে ঠোঁটে হাসি নিয়ে বলল,
—-” তাই বুঝি!”
অনন্যার দুষ্টুমি দেখে তোহা হালকা হেসে বলল,
—-” হ্যাঁ, তবে ভাবছি তোমার ভাইয়াকে দুই-একদিনের মধ্যে প্রপোজ করে ফেলবো।”
অনন্যা অবাক হয় যায় তোহার বলা কথা শুনে। তোহা ওর ভাইয়াকে প্রপোজ করার পর তার রিঅ্যাকশন কেমন হবে তা ভেবে হাসতে শুরু করে অনন্যা।
চলবে…..
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো। গঠনমূলক মন্তব্য করলে লেখা উৎসাহ আসে।
চলবে…..
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো। গঠনমূলক মন্তব্য করলে লেখা উৎসাহ আসে।