অচিনপুর পর্ব -১৪

#অচিনপুর – ১৪

কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হওয়ার পরে আজ রোদ উঠেছে। আমার জ্বরও সেরে এসেছে। পূর্ব দিকের বারান্দায় রোদের ভেতর মাদুর পেতেছে মামি। গুমোট হওয়া বালিশ, কম্বল রোদে দিয়েছে। সেখানেই মামা টানটান হয়ে শুয়ে পড়েছেন রোদে পিঠ দিয়ে। উপুর হওয়া চোখের সামনে বিগত সপ্তাহের দৈনিক পত্রিকা। সবগুলো সংবাদ বারকয়েক করে পড়বে মামা। ছোটো আপা মামার পিঠ, ঘাড় টিপে দিচ্ছে। আমি পায়ের আঙুল টেনে দিচ্ছি। ছুটির দিনগুলোতে টাকার বিনিময়ে আমরা মামার শরীর দলাই মলাই করে দিই। ঘন্টাপ্রতি দশ টাকা। কিন্তু মামা কোনোদিনও টাকা দেয় না।
গরম গরম গমভাজা সামনে। আমরা মুঠো মুঠো করে মুচমুচে গমভাজা মুখে পুরছি। পাটালি গুড় আছে সাথে। কিন্তু তার প্রয়োজন পড়ছে না। শুধু গমই মিষ্টি।
কিংশুক দাদা হাট থেকে পাথুরে কয়লা এনেছে। সেই কয়লায় আগুন দিয়েছে বড়ো আপা। আজ মুরগির বারবিকিউ হবে। আড়াআড়ি করে রাখা বাঁশের সাথে লোহার আংটায় বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে দুটো বনমুরগি। ওপাশে খিচুড়ির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সবুজ মটর আর পাহাড়ের মুগ-পালংয়ে মিলিয়ে সবজি খিচুড়ি।
ছিলে দেওয়া গোটা মুরগিগুলো পুড়ে পুড়ে ওদের গা থেকে তেল গড়িয়ে কয়লার আগুনে পুড়ছে আর তেলমশলার পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে সারা আঙিনাতে। ওদিকে খিচুড়িতে ভাজা পেঁয়াজের বাগার পড়েছে। সেই সুবাসও বাতাসে।
সদর দরজার সামনে ঘন্টা পড়লে আমি লাফিয়ে উঠলাম। অনিন্দ্য কাকার ঘন্টা এ। শাল্যার ওই মাথা থেকে পায়ে হেঁটে আসে অনিন্দ্য কাকা। মাথায় থাকে মস্ত দুই মাটির হাড়ি। এক হাড়িতে মহিষের দুধের রসগোল্লা আরেক হাড়িতে মহিষের দুধ থেকে তোলা সরের ঘি। এই ঘিয়ের রঙ গাঢ় হলদেটে। তবে বেশ ঘ্রাণ আর দামও অনেক কম। গরুর দুধের ঘিয়ের দামের থেকে তিন ভাগের এক ভাগ দামে এই ঘি কিনে নেওয়া যায়। আমি মামিকে বললাম,
— মামি, ঘি নেবে? গত বারের ঘি শেষ হয়েছে অনেকদিন!
মামি রান্নাঘরে ব্যস্ত। জোরে চিৎকার করে বলল,
— এই বছর আর ঘি খেতে হবে না, খুকী! ধান সব পড়ে গেছে। আবার নতুন বীজ বুনতে হবে। তার টাকা তো ধরে রাখতে হবে।
তারপর কী ভেবে বলল,
— আচ্ছা, ভালো ঘ্রাণ হলে নে আধাসের!
আমি লাফ দিয়ে ঘর থেকে কাচের বয়ম আনলাম। সকালে খালি আলুভাতে ভাত খেতে একটুও ভালো লাগে না। পাতে একটু ঘি পড়লে আর কিছু চাইব না আমি। মুরগির ডিম নিয়ে এমনিতেই মেজ আপা আর ছোটো আপার মাঝে ঝগড়া, মারামারি লেগে থাকে।
অনিন্দ্য কাকা পাল্লায় মেপে আধাসের ঘি দিয়ে সেরে আরও দুই চামচ বেশি ওঠাল। আমি বললাম,
— করছ কী, মামি আর একটুও বেশি টাকা দেবে না!
অনিন্দ্য কাকা হাড়ির মুখটা শালু কাপড়ে বাঁধতে বাঁধতে বলল,
— ঘি তুমি কত পছন্দ করো তা কি আমি জানি না? এইটুকু টাকা আর দিতে হবে না। ও আমি তোমায় ভেট দিলাম!
আমি সরে গেলাম,
— না না, তা কীভাবে হয়! তুলে নাও ওইটুকু!
— আসছে বছরে না হয় পুষিয়ে দিও।
এই ব্যবস্থাটা পছন্দ হলো আমার। ঘিয়ের বয়ম এনে মেজ আপার কাছে ধরলাম,
— কেমন টাটকা ঘ্রাণ, দেখো?
মেজ আপা ছিটকে গেল। নাক চেপে ধরল। আমার অসুখ সেরেছে আর ও অসুখে পড়েছে। সবকিছুতে গন্ধ পাচ্ছে। ভাতের গন্ধেও গা গুলিয়ে বমি আসছে ওর!
ও কতকগুলো কাচা পেঁপেঁ পেড়ে এনেছে গাছ থেকে। সেগুলোকে কুঁচো করে কাটছে এখন। এরপরে তেঁতুল, লবণ আর কাঁচামরিচ মিশিয়ে ভর্তা করা হবে। আমার এখনই জিভে জল আসছে।
বারবিকিউ চুলার কয়লার মাঝে কেকের পাত্র বসিয়ে রেখে দিয়েছে মামি। জ্বরের ভেতর খেতে চেয়েছিলাম আমি। তখন মামি বানায়নি। কেননা, জ্বরমুখে আমি খেতে পারতাম না। এখন জ্বর নেই, খেতে পারব। কেকের ভেতর কিসমিস, পেস্তাবাদাম আর চিনির সিরায় ভেজানো করমচা দেয় মামি। আমি সারাবছর ওই খেয়ে থাকতে পারব মনে হয়।
তেঁতুলভর্তা পাশে রেখে লুডো খেলতে বসেছি আমরা। আমার ছক্কা উঠেছে অনেকক্ষণ পরে। একটা গুটি পঁচছে ঘরে। একটা কেবলই ছয় উঠেছে। একটা গুটি পাকা। আর একটা ঘরে ঢুকে উঠে গিয়েছে। মেজ আপার তিনটে গুটি পেকে গেছে, একটা উঠে গিয়েছে। বড়ো আপার সবগুলো পাকা গুটি। ছোটো আপার দুটো গুটি পাকা আর দুটো ঢুকবে ঢুকবে। আমাকে আটকাতে ছোটো আপা পট করে জোড় বেধে ফেলল। জোড়াগুটি টেনে টেনে ঘরে যাবে এখন। বড়ো আপা হুট করে বলল,
— স্বর্ণ দুই ছক্কা চার ওঠা তো?
— কেন?
— এক ছক্কায় ঘরের গুটি বের করবি, আরেক ছক্কায় জোড় বানাবি আর পরের দানে চার পড়লে বিন্নির দুটো একসাথে কেটে দিবি।
বড়ো আপা হেসে ফেলল বলতে বলতে!
মেজ আপা তখনো তেঁতুলভর্তা চাটছে। ও আমাকে চিয়ার আপ করতে লাগল,
— ছয়, ছয়, ছক্কা দে স্বর্ন!
আমি চাল দিলাম। ছক্কাই পড়ল।
বড়ো আপা, মেজ আপা উৎসাহ পেয়েছে। ওরা চিৎকার করে বলল,
— আবার দান দে, স্বর্ণ! ছয়, ছয়, ছয়…
ছক্কা! আবার ছয় পড়েছে আমার। আমি হাততালি দিয়ে উঠলাম। ছোটো আপার মুখ কালো হয়ে গিয়েছে। বড়ো আপা বলল,
— এইবার একটা চার ফেল তো, স্বর্ণ! আমার মোবাইলটা তাহলে তোকে দিয়ে দেবো।
আমি আবার দান দিলাম।
চার!
আমি এদিক ওদিক তাকাচ্ছি। ছোটো আপা ভীষণ রেগে গেল। কোর্ট এলোমেলো করে দিয়ে বলল,
— আমি আর খেলবই না!
মেজ আপা চোখ পাকাল,
— কেন, কেন খেলবি না কেন? অন্যায়টা কী হয়েছে এখানে। স্বর্ণর দান পড়েছে, সেটাতে কারো কোনো হাত নেই!
— বড়ো আপা ওকে শিখিয়ে না দিলে কি ও জোড় বাধার কথা ভাবত? এটা চিটিং। আমি খেলব না।
বড়ো আপা রেগে গেল,
— বিন্নি, খেলা শেষ কর! জীবনে হেরে যাওয়াটা মেনে নিতে হয়। আর এখনো তুই হারিসনি। আমরা কেউ জিতে যাইনি। কে কখন জেতে-হারে এটা তো কেউ জানে না। স্বর্ণর দান এসেছে ও জিতবে। ওকে জিততে দেখাটা হজম করতে শুরু কর। এখন এটা নিয়মিত হবে। আর দান পালটেও যেতে পারে যেকোনো সময়।
ছোটো আপা বিরক্ত হয়ে বলল,
— সামান্য লুডো খেলা নিয়ে এত জ্ঞানের কথা শুনতে হবে জানলে আমি খেলতেই বসতামই না। আর কখনোই আমি খেলব না তোদের সাথে। স্বর্ণ ছোটো বলে সবাই ওর পক্ষ নেবে? পক্ষপাতিত্ব করে ওকে যদি সবকিছুতেই জিতিয়ে দাও, ঘরের বাইরের পৃথিবীতে গিয়ে ও কী করে জিতবে? আমি খেলব না।
আমি হায় হায় করে উঠলাম।
— উঠো না ছোটো আপা, প্লিজ!
— না, এরকম চিটিং করিস শুধু তোরা। আমি খেলবই না।
— প্লিজ ছোটো আপা, আমি দান ফিরিয়ে নিচ্ছি। তুমি খেলো প্লিজ!
ছোটো আপা কোনো অনুরোধ শুনল না। উঠে চলে গেল। আমিও ওর পিছনে ছুটতে চাইলে বড়ো আপা টেনে ধরল আমাকে,
— তুই কোথায় যাস? খেলবি না?
— তিন জনে কীভাবে খেলব? ওকে ডেকে নিয়ে আসি!
— ও আসবে না!
— আমি আবার দান দেবো বলব।
— সবকিছুতে ওর মনমানি মেনে নিবি? ওর অন্যায় ইচ্ছেগুলোকেও মেনে নিবি? ও খেলছে না, না খেলুক। ও কথা বলবে না, না বলুক। ওকে মানানোর জন্য ওর কথামতো চলা কোনো কাজের কথা না, স্বর্ণ।
আমি আমতা আমতা করলাম। মন খারাপ করে বললাম,
— ও খুব রেগে যাবে! সামান্য লুডু খেলাই তো! শুনিই না ওর কথা!
বড়ো আপা হাই তুলল,
— সামান্য খেলা না। আমি খেয়াল করেছি, তুই ওর সমস্ত কথাতেই হ্যাঁ বলিস। তোর কোনো পছন্দের জিনিস চাইলেই ওকে দিয়ে দিস। ও জেদ করলেই তুই মন খারাপ করে হলেও ওর ইচ্ছে-পূরণ করিস। এটা ঠিক নয়, স্বর্ণ।
এই পৃথিবীতে বোকা হয়ে থাকাটা খুব বড়ো গলায় বলার মতো কোনো গুণের কথা নয়! এতটাও বোকা হওয়া উচিত নয় যে, যে কেউ চাইলেই তোর মাথায় কাঁঠালটা রেখে খেতে পারে।
আমার মাথায় হাত রাখল বড়ো আপা। আদর করতে করতে কোমল গলায় বলল,
— পৃথিবীটা খুব অদ্ভুত, জানিস স্বর্ন? যে নিতে জানে তাকেই উজার করে দেয়, আর যে শুধু দেয় তার কাছ থেকে নিতেই সবাই উন্মুখ হয়ে থাকে। যে পেতে চায় তাকে দিয়েই যায়, আর যে দিয়ে যায় সে শুধু দিয়েই যায়! তুই আর তোর কিছু ওকে দিয়ে দিবি না! সবাইকে কাছে রাখার, সবার মন যুগিয়ে চলার এই অভ্যাসটা এবার তোকে ছাড়তে হবে।
বড়ো আপার কথা কিছুই আমি বুঝলাম না। কিন্তু উঠেও গেলাম না। ছোটো আপাও এলো না। আমাদের খেলা পণ্ড হয়ে গেল!

রাতের বেলা বড়ো আপা এসে ধরল আমাকে,
— জ্বর সেরে গেছে তো! এবার কি পড়াশোনা হবে নাকি?
— পড়ব তো!
— রুটিন আনিয়ে নিয়েছি আমি। দশ দিন আছে পরীক্ষার। ক্লাস হচ্ছে না। আমার ক্যাম্পাসের জুনিয়র ব্যাচের ছাত্ররা একটা কোচিং শুরু করেছে। চেম্মুডু পার হলেই পাঁচ মিনিট মোটে হাঁটতে হবে। কালকে দুপুরে তুই মেডিকেলে যাবি আমার কাছে। আমি তোকে সাথে করে নিয়ে ওখানে ভর্তি করিয়ে দিয়ে আসব!
মামি রান্নার চালের কাঁকর পরিস্কার করছিল। মুখ তুলে বলল,
— এত বড়ো বড়ো বোনেরা আছে। ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার সব। তারা একটু পড়িয়ে দিতে পারে না, ছোটোবোনটাকে?
— আমার সময় কোথায় মা? সকালে যখন বেরোই তোমরা ঘুমিয়ে থাকো। ক্যান্টিনে নাকে মুখে নাস্তা করি। তারপর রাউন্ড শুরু হয়ে যায়। রাউন্ড এন্ড রাউন্ড! দুপুরে যেটুকু সময় খাওয়ার সময় পাই তাতে খাওয়া হলেও হাত ধোয়ার সময় থাকে না। আর নাইট থাকলে সারারাত জেগে পরের সকালে আর কিছুতেই এনার্জি পাই না।
— একটু ঘুমিয়ে নিতে পারিস না? রোগী তো কম থাকে রাতে।
— কখন কোন রোগীর কী অবস্থা হয় সেই ভয়ে তটস্থ থাকতে হয়, ঘুমের সুযোগ নেই। সে থাক, স্বর্ণ তুই কাল অবশ্যই যাবি।
— তোদের মতো অত ভালো মাথা ওর না। আর ও তো মেখলি ছেড়ে অন্য কোথাও যেতেও চায় না যে অনেক বেশি ভালো রেজাল্ট দরকার হবে। ওকে অত টানাটানি করিস না, তিন্নি। ছোটো মানুষ অতটা পরিশ্রম করে পারবে না। নিজে নিজে পড়ুক, তোরা একটু দেখিয়ে দে, তাতে যা হয় হবে। যা রেজাল্ট হবে তাই সই। ওকে আর অত জজ ব্যারিস্টার হতে হবে না। মা-বাপ মরা মেয়ে, মুখের দিকে তাকালেই আমার জানে পানি থাকে না। তোরা গরিব মানুষের মেয়ে, নিজেরটা করে খেতে হবে, তোরা কলুর বলদের মতো ঘানি টানগে যা! আমার স্বর্ণ কখনো অত কষ্ট করবে না!
বড়ো আপা ধুম করে ক্ষেপে গেল,
— স্বর্ণর বহু সর্বনাশ করেছ তুমি, মা। আমার পায়ের তলে মাটি ছিল না বলে আমি চুপচাপ দেখে গিয়েছি। ওরটা খাচ্ছ, ওরটা পরছ, ওর টাকায় ব্যাংক ব্যালেন্স বানিয়েছ অনেক। আর না মা, এবার তো ওকে মাফ করো!
মামি থাপ্পড় কষাল বড়ো আপার গালে,
— মায়ের নামে এসব কূটকথা কি ওই শুয়োর খাওয়া জাতের কাছ থেকে শিখছ? বেয়াদব মেয়ে। রক্ত পানি করে দিয়ে নিমকহারাম পুষেছি আমি।
— তোমার নিমক আমি খাইনি মা। যদি নিমকের দায় চুকাতে হয় তো সে আমি স্বর্ণর কাছে ঋণী!
— খবরদার তিন্নি, বাচ্চা মেয়েটার মাথা খাবি না।
বড়ো আপা আর মামির ঝগড়ায় আমি বিহবল হয়ে গেলাম। আপা এত দূরের মানুষ কীভাবে হয়ে গেল? আমি বুঝতেই পারলাম না কী করব? ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলার চেষ্টা করলাম,
— মায়ের সাথে এমন কেউ করে না, বড়ো আপা। মাকে কষ্ট দিতে হয় না। মায়ের চাইতে বেশি কি উজ্জ্বল দাদা তোমাকে ভালোবাসে? কখনো নয়। আমি বলছি, মামির চাইতে বেশি অন্য কেউ তোমাকে ভালোবাসে না।
বড়ো আপা ধুম করে খাটে বসে পড়ল। কাঁদল কিছুক্ষণ। বলল,
— তোর চোখে ঠুলি পরা আছে, স্বর্ণ। আমি কখনো চাই না, সেই ঠুলিটা খুলে যাক। তাহলে আপন মানুষগুলোর আসল চেহারা দেখে ভীষণ কষ্ট হবে তোর! বুক ভাঙার চাইতে এমন বোকা হয়েই থাক চিরদিন!
সেই রাতে বড়ো আপা বেরিয়ে গেল বাড়ি থেকে। যাওয়ার আগে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল,
— একদম কষ্ট পাবি না, স্বর্ণ। এই দুনিয়ায় কেউ কারো সাথে চিরদিন থাকে না। আমি জানতাম, আমি যাব এই বাড়ি ছেড়ে। হয়তো দুটো দিন পরেই যেতাম। দুইদিন আগে গেলাম।
— তুমি কি উজ্জ্বল দাদার কাছে চলে যাবে এখন?
— কয়েকটা দিন পরে অচিনপুর ছাড়ছি আমি।
– আর আসবে না কখনো?
আমি হাউমাউ করে কাঁদলাম।
আমার চোখের পানি মুছিয়ে দিতে দিতে বড়ো আপা বলল,
— কালকে অবশ্যই যাবি। কোচিং-এ ভর্তি হবি। ক্লাস করবি। ভালো রেজাল্ট করবি। তোর ব্রেইন খুবই ভালো। আমাদের চাইতে একটুও কম না তুই – এটা আজ থেকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করবি। আর একটা কথা সবসময় মনে রাখবি, এই পৃথিবীতে তোর কোনো সত্যিকারের অভিভাবক নেই। তুই শুধু তোর কথা ভাববি, তোর মনের কথা শুনবি। অন্য কারো জন্য নিজের অধিকার ছেড়ে দিবি না স্বর্ন! একদম ছেড়ে দিবি না!

চলবে…
আফসানা আশা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here