অজানা অনূভুতি পর্ব -০৭

Story writer official ツ
#গল্পঃঅজানা_অনূভুতি
#লেখীকাঃফারহানা_জান্নাত
#পর্বঃ০৭

আবিরঃ না কারণ আমি আয়ান এর থেকে শুনছিলাম। এতো রাগ যে আমার কই থেকে আসে কিছু যাচাই না করে পাগল এর মতো কাজ করলাম। এই মেয়েটার ও কমন সেন্স নাই। এই অবস্থা যে কোথায় গেছে হয়তো এতোদিন আমার সন্তান জন্ম নিয়ে হাঁটতে ও শিখছে।

মিতুলঃ আয়ান এর থেকে শুনছিস মানে কি শুনছিস কি বলছে আয়ান আমাক বল আমি ও শুনি।

আবিরঃ মম বাসা থেকে যাওয়ার পর তো মন মেজাস ভালো ছিলো না যানিস। তবে ১০-১২ দিন পর আয়ান এর উপর রাগ উঠে অর জন্য সবকিছু হয়ছে । তাই একদিন আয়ান এর কাছে গেছিলাম। গিয়েই কয়টা চড় মারছিলাম আয়ান চড় মারার কারণ হয়তো বুঝতে পারে নাই আমি ভাবছিলাম। কিন্তু ও আমাকে অবাক করে দিয়ে বলতে শুরু করছিল।

আয়ানঃ আমি জানতাম তুমি একদিন না একদিন আমার কাছে আসবে ভাইয়া। তবে হা ভালোবাসার মানুষ কে বিশ্বাস করতে হয়। সেটা তুমি মম এর প্রতি করতে পারো নি।

আবিরঃ মানে কি বলতে চাচ্ছিস তুই। আমি তোর এসব কথা শুনতে আসি নাই। তোর কি কমন সেন্স বলতে কিছু নাই। হা বুঝলাম মম এর সাথে তোর রিলেশন ছিল কিন্তু আমাদের বিয়ের পর কেন তুই ওকে কাছে টানছিস কয়টা লাগে তোর বল।

আয়ানঃ ভাইয়া কলার ছাড় গলায় লাগতিছে। এটা ঠিক আমি তোমাদের বিয়ের পর মম কে কাছে চাইছিলাম কিন্তু পাই নি। তুমি ভাবতিছ মম এর গর্ভের সন্তান আমার কিন্তু না। ঐটা তোমার বাচ্চা আমি একটা বার ও যাইনি মম এর কাছে তোমাদের বিয়ের পর।

আবিরঃ মানে কি বলিস। আর আমি শিট ভুল বুঝে মম কে তারাই দিলাম। ওহ নো এতো বড় ভুল কিভাবে করতে পারলাম আমি। এখন কই আছে মেয়েটা কেমনে খোজঁবো।

এই হলো কাহিনি মিতুল। বল না রে কই পাব মম রে বছর পার হয়ে গেছে মেয়েটা কই আছে কে জানে। কেমন আছে ও।

মিতুলঃ দেখ তুই যদি আগে আয়ান এর সাথে কথা বলতিস তাহলে এমন হতো না। কখন ও। তুই ভুল করছিস এখন কিছু করার নাই। যাই হোক একটা কথা আজ বিকালে মেয়ে দেখতে যাব জানিস তো তুই ও যাবি রেডি থাকিস।

এই বলে মিতুল তার বাসায় চলে গেলো আর আবির তার বাসায়। বিকালে সবাই মিতুল এর জন্য মেয়ে দেখার জন্য মেয়েের বাসার উদ্দেশ্য রওনা হলো।

এদিকে মেয়ের বাসায়ঃ

ঝর্নাঃ মম এই মম তোর হয়নাই নাকি তোর মেয়েকে সেজে দেওয়া। ছেলে পক্ষ আমাকে দেখতে আসবে তোর মেয়েকে না। তোকে নিয়ে আর পারি না নিজে কখন ও সাজিস না আর তোর মেয়ে হয়ছে সাজের বুরি।

ঝর্নার কথা শুনে মম আরুহিকে কোলে নিয়ে নিচে আছে। মম কে দেখে সবাই হা হয়ে তাকায় আছে পড়ে হুহা করে সবাই হেঁসে উঠে। মম এর চোখ মুখ লিপস্টিক আর কাজল এ মেখে আছে। একদম ভুতের মতো দেখাচ্ছে।

ঝর্নাঃ এসব কি কেমন করে হলো৷ হাহাহা তুই ও না কি করসিস এসব। এমা আমার আরুহি মামুনি দেখি এখন ও রেডি হয়নি। যা তারাতাড়ি রেডি হো আর কি করসিস এসব বাচ্চাদের মতো।

মমঃ চুপ কু*ত্তি তোর থেকে আমার মেয়ে সাজানো শিখছে। দেখ আমি সাজাতে পারি না। আর আরু পাখি আমার চোখ মুখ এর কি অবস্থা করছে। এখন ও ঠিক মতো দারাতে পারে না এই মেয়ে আমার অবস্থা খারাপ করছে। আমি পারবো না সাজায় দে যা তুই।

(মম এর ফেন্ড ঝর্না। আরুহি মম এর মেয়ে ১০ মাস এর। ঝর্নার বাবা নেই মা আর একটা বড় ভাই আছে। বড় ভাই বিবাহিত। বউ এখন বাপের বাড়ি আছে প্রেগন্যান্ট সেই কারনে। ঝর্নার বড় ভাই এর নাম রাজু)

ঝর্না গিয়ে আরুহি কে সাজায় দেয়। আর মম একটা থ্রি-পিস পড়ে রেডি হয়ে নেয়। মম নিচে এসে দেখে সব রেডি একটু পড় কলিং বেল বাজলে রাজু গিয়ে দরজা খুলে দেয়।

সবাই ভিতরে আসে। আবির আর মিতুল ভিতরে প্রবেশ করে নিজেদের মুখ চাওয়া চাওই করে একবার। আর একবার সোফায় বসে থাকা মেয়েটার দিকে তাকায়। আবির এবার কিছু না ভেবেই দৌড় দেয় সেদিকে কারণ সোফায় মম বসে ছিল।

আবিরঃ মম তুমি এখানে কি করতিছ। তুমি ঠিক আছো তো। সরি মম আমাকে মাফ করে দেও সব কিছুর জন্য সরি মম প্লিজ সরি। আমি তোমাকে ভুল বুঝিলাম। আর অভিমান করে থেক না প্লিজ মম ফিরে চলো। তোমার বাবা-মা সবাই তোমার চিন্তা করতিছে।

ঝর্রনার মাঃ বাবা এসব কি বলতিছ আর তুমি কে। আমার বউমা কোথাও যাবে না। মম আমার ছেলের বউ। আমার বউমা তোমার সাথে যাবে কেনো বলো তো।

মিতুলঃ কি বলতিছেন আপনি মম এর বিয়ে হয়ছে। এটা মিথ্যা কথা মম তো আবির এর বউ। আর এ হচ্ছে আবির আমার বেস্ট ফেন্ড। আপনারা কি বলতিছেন বুঝতে পারছেন কিছু।

মমঃ ঠিকি বলছে মা। ওনি আমার শাশুড়ী। আমার বিয়ে হয়ছে রাজুর সাথে। আমি মানুষ সো কোনো বেইমান এর জন্য ওয়েট করবো নাকি। আপনারা যে কাজে আসসেন সেটা করেন অযথা আমাকে নিয়ে পড়ে থাকেন না।

আবির কিছু বলতে যাবে তার আগে মিতুল থামায় দেয়। তারপর ঝর্নার আর মিতুল এর বিয়ের ব্যাপার এ কথা বলা শুরু করে সবাই বিয়ে ঠিক করে সামনের ৫ তারিখ এ। আর মাএ ৬ দিন সময় আছে। সবকিছু তারাতাড়ি করতে চায় সবাই। আবির মাঝে মাঝে আড় চোখে তাকায় আছে মম এর দিকে আর দেখতিছে রাজু আর মম কত সুন্দর গল্পে মেতে আছে। পাশেই মম এর মেয়ে।

সবাই সন্ধার সময় বাসায় যায়। সবাই বেড় হওয়া মাএ হুহা করে হেঁসে দেয়। এবার রাজু বলতে শুরু করে।

রাজুঃ ও মাই গড৷ ভালই মজা করা হলো। বেচারা আবির ভাইয়ার মুখ তো চুপসে গেছে মম। এটা না করলে ও পারতি। তবে যাই বল ভাগ্গিস তুই মিতুল ভাইয়াকে দেখে চিনতে পেরে আগেই সব প্লেন করে রাখছিলি।

মমঃ হুম। আমি জানতাম মিতুল যেখানে সেখানে আবির থাকবেই। আর আবির বুঝোক। আমাকে কষ্ট দেওয়া এখন কেমন লাগে। এতো সহজ না আমাকে কাছে পাওয়া। আগে ঘুরুক কাদুঁক আমি অনেক কষ্ট সহ্য করছি ওর থেকে।

ঝর্নাঃ যাই বল। আবির ভাইয়া কিউট আছে ভাবতেছি মিতুল কে বাদ দিয়ে আবির ভাইয়াকে বিয়ে করে নিবো। আবির ভাইয়াকে বিয়ে করতে মন চায় ইশ।

ঝর্নার কথায় সবাই হেসে উঠে। আর ঐদিকে আবির বাসায় গিয়ে সব জিনিস পএ লল্ড ভন্ড করতে শুরু করে আর চিল্লিয়ে বলে।

আবিরঃ না এটা হতে পারে না মম তুই শুধু আমার আর কারো না। কেন কেন করলি এমন তুই৷ একটু ও বুঝার চেষ্টা করলি না আমাকে আমি কি করছিলাম বল। তুই এর মাশুল গুনবি। তুই অন্য কাওকে বিয়ে কেন করবি কেনো।

আবির এর চিল্লানি শুনে সবাই আসে আর বুঝতে পারে মম এর সাথে হয়তো দেখা হয়ছে সে জন্য এমন করতিছে। পরে আবির সব খুলে বলে সবাই কে। সবাই কিছুটা অবাক হয়। পরক্ষণেই কিছু না বলে নিজেদের রুমে যায় সবাই৷ বুঝতে পারে মম এর সাথে তারা অন্যায় করছে। আবির বসে বসে ভাবে কি করবে সে। মমকে দেখতে পেয়েছে কিন্তু এখন সে অন্য কারো বউ। আবির অনেক ভেবেই একটা সিদ্ধান্ত নেয়।

রাতেঃ

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here