অতিরিক্ত চাওয়া পর্ব ২৪

অতিরিক্ত চাওয়া {২}

২৪.
তৃষ্ণা ড্রয়িং রুমের সোফায় টানটান হয়ে আছে। সামনে টিভি চলছে অথচ চোখ অন্যদিকে। অন্যদিকে বলতে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকা বেলীর দিক। যাকে আপাতত মনেমনে তৃষ্ণা ভন্ডবেলী বলে বকছে। বড় এক বিরক্তিকর শ্বাস ফেলল…কারণ বেলী এক যায়গায় সুন্দর ভাবে দাঁড়াচ্ছে না। এদিক-ওদিক যাচ্ছে। যার জন্য এতো কষ্ট করে ড্রয়িং রুমে আসলো। সেই তিরিং-বিরিং করছে। ব্যাপারটা সত্যি কষ্টদায়ক। বড়ই কষ্টদায়ক।
এদিকে তৃষ্ণার মতে ভন্ডবেলী চোরের মতো লুকোচুরি খেলছে। লুকোচুরির কারণ এখন বেলী বেশ লজ্জা পাচ্ছে। একদমই সে তৃষ্ণার দিক তাকাতে পারছে না। হটাৎ ” আই লাভ ইউ ” শুনে বেলীর শরীরের পশম প্রায় দাঁড়িয়ে। এ-ইযে এখনও তাঁর বুক ধুকপুক করছে। সে ভালোভাবে আশপাশ তাকাতে পারছে না। গালে লাল আভাটা এখনও স্পষ্ট। বেলী আঁড়চোখে তাকালো, সকলেই আলাপে মত্ত। আলাপ হলো তৃষ্ণার এক্সিডেন্টে-র পেছনের রহস্য। ব্যস্ত জয়া রান্নাঘর থেকে একটু পরপর উঁকি দিচ্ছে। সে খুবই চিন্তায় ছেলেকে নিয়ে। ছেলের কোনো সমস্যা হচ্ছে নাকি বসতে,
_________আব্বা বসতে সমস্যা হচ্ছে?
বসে থাকা তৃষ্ণার জবাব,
_________ ঠিকাছি আমি। কফি দেওয়া যাবে?
_________ হ্যাঁ, যাবে। আমি অঞ্জলিকে দিয়ে পাঠাচ্ছি।
রান্নাঘরের দিক যেতে নিয়েও থেমে গেলো জয়া। আবিরকে উদ্দেশ্য করে তাঁর প্রশ্ন,
__________ আয়েশা কি করছে? ওঁ তো কিছুই মুখে তুলল না। আবার লেগেছিস ওঁর সাথে?
আবিরের ইন্সট্যান্ট জবাব,
__________ আমি লাগতে যাচ্ছি না। ওত্থে নিজেই আসে নেচে-কুঁদে।
জয়া ছোট শ্বাস ফেলল। ভাইরা ভাই সব এক ধাঁচের। মিনমিন করতে করতে নিজেই পেছনের দিক যাচ্ছে আয়েশার খোঁজে।

আমিদের গাড়ি করে বেরিয়েছে আনন্দের পরিবার। রাত্রের খাবার খাওয়া শেষ হতেই আনন্দ পরিবার নিয়ে বেরিয়ে গেলো। ব্যাপারটা এতটা দ্রুত ঘটলো যে কেউ-ই কিছু বলতে ব্যর্থ। অভি ও গিয়েছে সাথে। আবিদ সরু চোখ কুঁচকে ফেলল,
_________ ভাই গর্জন দিয়ে উঠবে জানলে যে, তাঁর বেলী তাঁকে না দেখেই উধাও।
আবিরের সংক্ষিপ্ত জবাব,
_________ গর্জন আমাকেই শুনাবে। কারণ আমাকেই বলেছেন তাঁর বেলীকে রুমে পাঠাতে। আমিও চেষ্টা করেছি। কিন্তু, আনন্দ ভাইজান ডিরেক্ট বলে দিয়েছে, রাত হচ্ছে বেলীর শরীর তেমন ভালো না। এখানে, হোয়াট কেন আই ডু?
আমিদের রাগী আওয়াজ,
_________ হয়েছে। অসুস্থ তাও ওঁর ধুংপুং যাচ্ছে না। মাথায় আছে যে বেলীর পরিবার ও ছিলো। নিজের পরিবারের তোয়াক্কা তো করেই না। সাথে অন্যদের তো আরও আগে না। কার মতো হয়েছে ওঁ? নিজের ভাইকে দেখেছে এমন ব্যাবহার করতে? নাকি বাপ, চাচাদের দেখেছে? আনন্দ ভাই যে ওঁর শিক্ষক সেটার সম্মান দিচ্ছে? তাঁর-ই মেয়ের সাথে। ধুর! আমি বা কি বলছি। শুনলে আবার দেখা যাবে বাড়ি-ই আসছে না।
কথাগুলো বলতে বলতে আমিদ নিজের রুমের দিক যাচ্ছিলো, জয়ার জবাবে সে থম হয়ে রইলো,
_________ বড় চোররা… ছোট চোরকে ভালো হওয়ার উপদেশ দিচ্ছে। অদ্ভুত,অদ্ভুত।
উপস্থিত সবাই স্তব্দ। আবির আয়েশার দিক তাকিয়ে ঠোঁট জোড়া উঁচু করে ধরলো। আয়েশা দেখেও না দেখার মতো। আমিদ দাঁত খিটমিট করছে,
__________ কথা বলা মুশকিল আজকাল বাড়িতে।
কশকশ আওয়াজে আমিদ চলে গেলো। আর ধুমসে হাসির আওয়াজে পুরো বাড়ি আলোকিত হয়ে উঠলো।

মোবাইল নিয়ে বসে বেলী। কিন্তু তৃষ্ণা কল বা ম্যাসেজ কিছুই করলো না। আচ্ছা সে কি রেগে? ভাবতেই বেলীর মন ছোট হয়ে যাচ্ছে। পাশে বিমান মোবাইল টিপছে। বেলী প্রশ্ন করলো,
_________ এমন আর্জেন্ট বড় কাকা কেন ডাকলেন। কিছু জানিস?
__________ না। বাবা বললেন সকাল সকাল কাকাদের বাড়ি রউনা হবে। আর্জেন্ট কথা আছে নাকি।
চিন্তায় বেলী ঘুমাতে পারছে না। তৃষ্ণার আজকের কথাগুলো মনে করতেই মন দ্বিগুণ খারাপ হতে লাগলো।

সকাল সকাল তাড়া লাগাচ্ছে আনন্দ। ভাই-বোন সব তাঁর….বড় ভাই জসিম এর বাড়ি চলে গিয়েছে অলরেডি। শুধু মাত্র আনন্দ এখনও রওনা দিতে পারলো না। অবশ্যই কোনো জরুরী বিষয়। নাহলে সবাই উপস্থিত হতেন না, নিজেদের কাজ ফেলে। বেলী রেডি হয়ে টাম্মির গলা ধরে বসে। টাম্মি ঘেউঘেউ করছে। বেলী শুধু টাম্মিকে শোনানোর জন্য ধীর আওয়াজে বলল,
__________ টাম্মি.. টাম্মিরে! কেউ ভালবাসে না আমায়। এখনও একটা ম্যাসেজ দিলো না। কল তো দূরের কথা। পায়ে ব্যাথা.. হাত তো সুস্থ সবল। একটা ম্যাসেজ দিলে কি হাত ছিঁড়ে যেতো? নির্দয় লোক।
আজ যদি টাম্মি জবাব দিতে পারতো। তাহলে সে নিশ্চিত বলতো,
__________ আরে সোকিনার মা। তুই না বলে চলে এসেছিস। কল, ম্যাসেজ তুই না দিবি… দিয়ে বলবি যে কি সমস্যা হয়েছিলো। অথচ তুই ই ঘ্যানঘ্যান করছিস। কোন ধাঁচের আলু তুই… এতটুকু বুঝ মাথায় ধরছে না।
কিন্তু আফসোস বোবা টাম্মি শুধু শুনেই গেলো। বেলী টাম্মির দিক কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ছোট শ্বাস ফেলল,
__________ আমার চল্লিশা সর্বপ্রথম তুই খাবি। এটা আমার জবান।
এবং বলে সোজা হাটা ধরলো পেছনের মেইন রোডে। যেখানে আনন্দ গাড়ি দাঁড়া করিয়েছে। বেলীর পিছুপিছু ঘুমে ঢুলুঢুলু বাবলুও এগোচ্ছে।

গাড়িতে বেলী ঘুমে ঝুলে যাচ্ছে। বলা যেতেই পারে যে, বাবলু আর বেলী দু’জন ঘুমিয়ে-ই পুরোটা রাস্তা অতিক্রম করেছে।
ভাই জসিমের বাড়িতে পৌঁছাতে সম্পুর্ন এক ঘন্টা সময় লেগেছে। আনন্দ পৌঁছিয়ে আগে মা আমিনা কে জড়িয়ে ধরলো। বিধবা আমিনা ছেলেকে দু’হাতে বুকে নিলেন,
_________ কেমন আছস বাবা।
_________ ভালো আম্মা। চাদর কই শরীরের।
বলতে বলতে…নিজের শরীরের চাদর দিয়ে মা’কে পেচিয়ে ধরলো। বাবলু ” ওরে নানি… বলতে প্রায় ছুটে যাচ্ছে আমিনার বুকে। আমিনাও আদরে নাতিনদের বুকে নিচ্ছেন। বেলীর চুল গুছিয়ে দিতে দিতে আমিনা বলল,
_________ বিয়ের বয়স হইগেছে। বড় হইগেছে নাতনী আমার। জামাই তো লাগবে।
কথাটা শুনতেই আনন্দ ভ্রু কুঁচকালো। কিছুটা আন্দাজ আসছে তাঁর। মিনমিনে গলায় বলল…
_________ শুরু হইছে। জ্বালায় জ্বালায় জ্বলে যাবো।
এদিকে বিমান পুরো ব্যাপারটা বুঝে ফেলেছে। চাচাতো বোনদের ফুসুরফাসুর এ না বুঝে কই যাবে। কিন্তু পরক্ষণেই তৃষ্ণার কথা ভেবে, বুক ধুকপুক করছে। ফোনে তৃষ্ণার নাম্বার বের করেছে। কিন্তু কল দিতে তাঁর ভয় হচ্ছে। না দিলে পরে যদি অন্যকেউ থেকে জানে। তাহলে বিমানকে চোখ দিয়ে খেয়ে ফেলবে। কিছুটা ভেবে বিমান কল দিলো না। আগে সে দেখবে ব্যাপারটা কি। কোন পর্যন্ত গড়িয়েছে। তারপর একটা কড়া স্টেপ সে নিবে। সে-ই কড়া স্টেপের নাম হলো ‘ তৃষ্ণা ‘।

এদিকে নিস্পাপ বেলী মোবাইলে বারবার উঁকি দিচ্ছে। মাত্র সকাল দশ’টা। তৃষ্ণার জন্য এখনও ভোর পাঁচটা। ঘুম থেকে উঠতে একদম দুপুর। অগ্যত ফোন ব্যাগে ভরে রাখল। চাচাতো ভাই-বোনদের সাথে আড্ডায় মেতে উঠলো।

বড় উঠানে চেয়ারে পুরো হাওলাদার বাড়ি বসে। আনন্দের ভাই-বোন এবং বড়সড় সকল রিলেটভ’স…সবাই ছড়িয়ে ছিঁটে বসে। আনন্দ আকুতির চোখে তাকিয়ে। তাঁর মাথা ঘোরাচ্ছে। বড় ভাই জসিম আগে কথা ওঠালেন,
__________ আনন্দ…
__________ জ্বী ভাই।
আনন্দের প্রতি উত্তরে ধীরে সুস্থে কথা বলল জসিম..
__________ এ-ই এলাকার আকবর পরিবার তো চেনোই। আমাদের এখানের খানদানি পরিবার। পরিবারের প্রত্যেকজনের নিজেদের গাড়ি আছে। মাত্র এক পোলা এক মাইয়া। মাইয়া বিয়া দিলে শুধু একমাত্র পোলা। পোলার বউই রাজত্ব করব। আর পোলাটা তো রত্ন। অস্ট্রেলিয়া থেকে পড়াশোনা করে আইছে। ব্যাবহারের কথা আর কি বলব। আশেপাশে জিজ্ঞেস করলেই জানবি। এমন প্রস্তাব হাত ছাড়া করাটা বোকামী। এখন আকবর ভাইয়ের পোলাটা বেলীরে নাকি পছন্দ করছে। বেলী তো ছোড এখনো। সে-ই ভাইবা আকবর ভাই বলছে.. শুধু এনগেজমেন্ট করাই রাখব। আমার কথা বুঝতাছস তো? বিমানের বিয়া হইলে তারপর বেলীর। এখন আকবর ভাই কইছে তারিখ ঠিক কইরা জানাইতে। আমি কইলাম আজ সবাইরে নিয়া যামু। তুই নিজের চোখে দেখলে বিশ্বাস করবি। এমন প্রস্তাব আমাগো লাইজ্ঞা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
আমিনা ও সহমত,
__________ পোলাটার নাম রিজয়। বাসায় আইছিল। কি সুন্দর ব্যাবহার। প্রথম দেখায় নাকি বেলীরে ভালো লাগছে। আর পোলাও দেখতে রত্ন। তুই দেখলে কইতে পারবি। এমন প্রস্তাব আর পাবি না বাবা। বেলীর ভাগ্য খুলছে।
আনন্দ এখনও চুপ হয়ে আছে। জসিমের বউ রাজিয়া ছোট আওয়াজে বলল,
__________ সত্যিই চমৎকার প্রস্তাব। তোমার নিজেরই পছন্দ হইবো। এখন মাইয়া আমারটারও বিয়ার বয়স। ওঁর জন্য হইলে তো বিয়া দিয়া দিতাম। এখন আকবর ভাইয়ের পোলা বেলী রে-ই পছন্দ করছে। তাছাড়া বাড়ির সকলেই রাজি।

এদিকে হালকা শীতের মাঝে-ও আনন্দের কপালে ঘাম। ভাই-বোন.. মা.. চাচারা সবাই রাজি। এখানে আনন্দের কিছু বলতে একদমই ইচ্ছে হচ্ছে না। কিন্তু তাও তাঁকে বলতে হবে। বিমান শ্বাস আঁটকে বসে। এখনই শ্বাস না নিলে নির্ঘাত মরে টরে যাবে। নির্ঘাত। ভয়ানক ভাবে দম বন্ধে মারা যাবে।
আমিনা আনন্দের সারা শব্দ না পেয়ে…আবারও আওয়াজ দিলো,
_________ কিরে?
আনন্দ ছোট শ্বাস ফেলল।
__________ আমি কিছু বলতে পারছি না। মেয়ে এখনও ছোট। পরিবার যতই বিত্তশালী হোক.. এখন এগুলো ভাবতে ইচ্ছে হচ্ছে না।
মেজো ভাইয়ের রাগী আওয়াজ,
__________ এটা কেমন কথা? শুধু এনগেজড করাই রাখবে। বিয়ে তো দিচ্ছি না। মাইয়া তো আমাগো। আমরা তো আর খারাপ চাই না। ওঁর ভালো চাই। কথা বুঝছোস?
আনন্দ এইবার সকলের দিক সরু চোখে তাকালো,
__________ আমি জানি আকবর পরিবারের কথা। তাঁদের পরিবারের ব্যাপারটা ও জানি। রিজয় কেও চিনি। ছেলে ভালো আমি তা মানি। এখন কথা হচ্ছে এ-ই প্রস্তাবে আমার আপত্তি থাকতো না। আপত্তি করছি মেয়ের জন্য…
জসিমের দ্রুত প্রশ্ন..
_________মেয়ের জন্য মানে?
__________ চৌধুরী বাড়ি তো চেনোই। না চেনার কিছুই নেই। পুরোটা রাজনৈতিক পরিবার। বাপ-চাচা থেকে ধরে ছেলেরা সবাই রাজনীতি তে। আর বিমানের প্রস্তাবে আমি না করতে পারিনি। কারণ এটাই। ওঁদের সাথে আমরা পারবো না। আর পারাপাড়ির কি? বিমান নিজেও ও-ই বাড়ির ছেলেকে পছন্দ করে। সেখানে আমি বললে কিছু আসবে যাবেও না।
__________ বেলীর সাথে ওঁদের কি কানেকশন?
আনন্দ ঠোঁট চেপে। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,
__________ চৌধুরীর ছোট ছেলে বেলীকে পছন্দ করে। পছন্দ বললে বড় ভুল হবে। আমার মতে ভালোবাসে।
জসিম বড়সড় চোখ করে,
_________ তৃষ্ণা না? সে তো অনেক বড় বেলীর? ৩৩-৩৪ তো হবে বয়স। কেমনে কি? তুই এগুলো ভাবিস কীভাবে? মানা করে দিবি। মেয়ে আমাদের আকবর পরিবারেরই বউ হবে।
__________ শুধু আজ-কাল ভাবছি না.. ৭ বছর যাবত ভাবছি। আমার ভাবা এখনও শেষ হয়নি। দুই এক দিনের প্রেম না এটা ভাইজান। ১০ বছরের বেলীকে ভালোবেসে আসছে। যেটা ভাবা মুসকিল। যেটা ভাবলে আমার মাথা ঘুরে। আমার কাছে যেটা অসম্ভব মনে হয়। প্রথম প্রথম ভেবেছি ওঁর মাথায় সমস্যা। আমি বেলীকে দূরে দূরে।রাখতাম। কিন্তু ইম্পরট্যান্ট ব্যাপারটা হচ্ছে বেলীর সেই ছোট সময়ে তৃষ্ণা কাছাকাছি আসতো না। দেখে চলে যেতো। এগুলো চোখের থেকে এড়ানো যায় না। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা, স্কুলের গেটের সামনে থাকা। মেয়ের পেছনে লোক লাগানো। এলাকার সবাইকে হুমকি দেওয়া। আমার মেয়েকে নিয়ে আমি টেনশন করতাম না কারণ ওঁর পেছন তৃষ্ণা ছিলো। ভাইজান বেলীকে ওঁ ছাড়বে না। আমার মনে হয়না ওঁকে ছাড়া বেলীকে অন্যকারো কাছে বিয়ে দেওয়া যাবে। যে-ই ছেলের কারণে পুরো চৌধুরী বাড়ি বেলীর মতো ছোট একটি সাধারণ মেয়েকে এখনই বাড়ির বউ ভাবতে পারে। তাঁরা আরও কি কি করতে পারবে তাঁর ধারণা নিশ্চয়ই রাখেন। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার বেলী নিজেই তৃষ্ণাকে পছন্দ করে। আমি সত্যিই এখানে কিছু করতে পারবো না।
জসিম রেগে দাঁড়িয়ে যায়,
__________ আমি ওয়াদা দিয়ে দিয়েছি। বেলী কি আমাদের মেয়ে না? আমরা কি ওঁর হয়ে ডিসিশন নিতে পারবো না। এতো সুন্দর প্রস্তাব। আর আকবর পরিবারের সাথে মিলতে পারলে কতটা নিরাপদ সেটা জানিস?
_________ আমি কিচ্ছু জানি না ভাইজান। আপনাদের যদি মনে হয় পারবেন তাহলে আমি আর কি বলব। কারণ মেয়ে আপনাদের ও। কিন্তু আমার মনে হয়না আকবর পরিবার কিছু করতে পারবে এ-ই বিষয়ে। শুধু শুধু মধ্যে দিয়ে বিমানের সমস্যা।
আনন্দ কথা না বাড়িয়ে উঠে দাঁড়ালো। এবং ঘরের ভিতর ঢুকে যাচ্ছে। এদিকে সবাই এখনও থমথমে। জসিম এখনও বলে যাচ্ছে.. আকবর পরিবারের প্রস্তাবই মানতে হবে। এবং সেখানেই বিয়ে হবে। ব্যাস।

তৃষ্ণাকে কল করে চুপচাপ এতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলো বিমান। এবং তাঁর নিজের কিছু বলতে হয়নি। মোবাইলের মাধ্যমে তৃষ্ণা নিজেই শুনে নিয়েছে।

চলবে______

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here