অন্তরালের কথা পর্ব২৩

#রিপোস্ট
#অন্তরালের_কথা
লেখা – জান্নাতুল ফেরদৌস মাটি
পর্ব – ২৩
.
.
” আপনার মোবাইলটা কি একটু দেয়া যাবে? বাবা-মায়ের সাথে কথা বলব। কাল যে ঘর থেকে বের হয়েছি এই পর্যন্ত কথা বলা হয়নি। ”
” দেয়া যাবে না কেন,এই নাও মোবাইল। কিন্তু কতদিন এভাবে চলবে? আমি তো আর সবসময় ঘরে থাকব না যে, কন্টিনিউ আমার মোবাইল দিয়ে কথা বলতে পারবে। ”
” সমস্যা নেই আমার আপনি যখন ঘরে আসবেন তখনি না-হয় কথা বলে নিব। ”
” কেন বউকে বুঝি একটি মোবাইল কিনে দেয়ার সামর্থ্য নেই আমার? ”
” না না, আমি কি সেটা বলেছি নাকি! আমার তো মোবাইলের প্রয়োজন নেই তাই বলেছি। ”
” আজকাল নাক টিপ দিলে দুধ বের হবে সেই ছেলেমেয়েদের মোবাইলের প্রয়োজন হয় আর তোমার প্রয়োজন নেই, এটা কোনো কথা হলো? তাছাড়া আমার যদি দূরে কোথাও যেতে হয় সেসময় ইমার্জেন্সি বলার মতো কোনো কথা থাকলে আমি কীভাবে বলব? আর এসব বিষয় না-হয় বাদই দিলাম। তোমার নিজের মতো সময়ের কাটানোর জন্য হলেও তো নিজেস্ব একটি মোবাইলের দরকার। সারাদিন একা একা ঘরে বসে থাকলেও তো বোর হয়ে যাবে। ঘরের কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু এফবি, ইউটিউব, গেইমস এসব নিয়ে বসলেও একঘেয়েমি লাগবে না। ”
” কিন্তু…”
” কোনো কিন্তু না, মোবাইল লাগবে মানে লাগবেই।”
” আমার আর কিছু বলার নেই। আপনি যা ভালো বুঝেন তাই করবেন। ”
” আজ্ঞে হ্যাঁ ম্যাডাম। ”
অতলের কথার পরিপ্রেক্ষিতে তানহা আর কিছুই বলেনি। চুপচাপ টিভির দিকে মনোনিবেশ দিয়ে বসে আছে। অতলও আর কথা বাড়ালো না খবরের সময় যে হয়ে গিয়েছে।
ঘরের ভেতর দু’জন মানুষ থাকা সত্ত্বেও দু’জনেই নীরব। কারো মুখে কোনো কথা নেই। পুরো ঘর জুড়ে বিরাজ করছে দুটি আওয়াজ। এক হচ্ছে ফ্যান আর অন্যটি হচ্ছে সংবাদ পাঠিকার। তবে দূর কোথা থেকে যেন এক শো শো আওয়াজ কানে ভেসে আসছে। তবুও সেদিকে তাদের পাত্তা নেই। হঠাৎ করে এক দমকা হাওয়া রুমের সাথে এডজাস্ট করা পূর্বের বেলকনি ভেদ করে জানালা দিয়ে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। এক বাতাসেই যেন অতল ও তানহার শরীরের তাপমাত্রা হিম হিম হয়ে যায়। মুহূর্তের মাঝে ঘরের জিনিসপত্র এদিক থেকে অদিক হয়ে গেল। বেলকনিতে মেলে রাখা তানহার জামা উড়ে রুমের মেঝেতে এসে পড়ল। মাথার উপর চলন্ত সিলিং ফ্যান বাতাসের তালে হেলেদুলে এক উদ্ভট আওয়াজ সৃষ্টি করতে লাগল।
আচমকা বাহিরের এরকম ঘূর্ণিয়মান বাতাস দেখে অতল ও তানহা দুজনেই ছুটে যায় আলাদা আলাদা রুমে। সব রুমের যে জানালা, বেলকনির দরজা সব খোলা। দু’জন সব রুমের দরজা জানালা লাগিয়ে কাপড়চোপড় ঘরের ভেতর এনে বিছানায় বসতেই এক বিশাল বজ্রপাত হয় সাগরের মাঝ বরাবর। আর সঙ্গে সঙ্গে পুরো এলাকা কি এলাকা কারেন্ট বিহীন আঁধারে পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
তানহা কালই এসেছে এ ঘরে। তাই সে এখনো ভালোভাবে জেনে উঠতে পারেনি ঘরের কোন জিনিস কোথায় রাখা। তাইতো বিদ্যুৎ যাওয়ার পরও সে তার স্থানেই বসে থাকে।
এদিকে তানহাকে বসে থাকতে দেখে অতল বুঝে গেল চার্জার লাইট কোথায় আছে তানহা জানে না। তাই সে নিজেই বিছানা থেকে উঠে মোবাইল টর্চ জ্বালিয়ে আলমারির কাছে গিয়ে আলমারির উপর হাত দিয়ে চার্জার লাইট নিয়ে আলো জ্বালিয়ে দেয়ালে ঝুলিয়ে তানহার দিকে ফিরে মুচকি হাসি দিয়ে বলল,
“লাইট কোথা থেকে বের করলাম দেখেছ?”
” জ্বি। ”
” অবশ্য দেখেও লাভ নেই দু’এক দিনের মাঝেই আইপিএস এর লাইন লাগানো হবে। তখন এই চার্জার লাইটের হদিশ না জানলেও চলবে তোমার। ”
” ও। ”
” হুম, আচ্ছা তানহা, একটি প্রশ্ন করি রাগ করো না। কারেন্ট চলে গেলে গরমের মাঝে তোমার কথা বলতে ভালো লাগে নাকি বিরক্ত? ”
” সত্যি করে বলব? ”
” হুম, অবশ্যই। ”
” আমি গরমের মাঝে কথা বলা মোটেও পছন্দ করি না। কথা বললে যেন গরমের মাত্রাটা আরও বেশি মনে হয় আমার কাছে। ”
” উফফ যাক বাঁচলাম! আমারও না সেইম প্রবলেম। গরমে কথা বলতে ভালো লাগে না।তাই তোমাকে জিজ্ঞেস করলাম। যদি তোমার বিরক্ত না লাগে তখন আমি নীরব থাকলে তো তোমার বোরিং লাগবে। কিন্তু তোমার আমার একই সমস্যা। চুপচাপ থাকলেও কারো বিরক্ত লাগবে না উল্টো ভালোই লাগবে। ”
” জ্বি। ”
” তাহলে আমি চুপ থাকতে পারি কি? ”
” অবশ্যই। ”
তানহার উত্তর শুনে অতল আর কিছুই বলল না কেবল একটি মুচকি হাসি দিল।
এভাবে বেশ ক্ষানিকটা সময় পার হয়ে গিয়েছে। ঘরের মাঝে দুজন মানুষ আছে তবে কারো বুঝার সাধ্য নেই। দু’জনই যে রুমের দু’প্রান্তে বসে ঝিমোচ্ছে। বাহিরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। আর সেই বৃষ্টির সাথে রয়েছে এলোপাথাড়ি বাতাস। কিন্তু সেই বাতাসের বিন্দুমাত্র হাওয়া রুমে প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই। পুরো ঘর জুড়ে যে দরজা জানালা বন্ধ। আর সেই বদ্ধতার কারণে ঘরের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে এক আগুনের কুন্ডুলি। যা তানহার সহ্যের সীমার বাহিরে চলে যাচ্ছে। একদিক দিয়ে গরমে ঘামছে তো অন্যদিক দিয়ে পরনের ওড়না দিয়ে সেই ঘাম মুছছে। কারেন্ট যাওয়ার পর থেকে এভাবে ঘাম মুছতে মুছতে তানহা প্রচুর বিরক্ত হয়ে গিয়েছে। তাই হঠাৎ করে বিছানা থেকে উঠে চলে যায় বেলকনির দরজার দিকে।
এদিকে তানহাকে বেলকনির দরজা ঠেলে বেলকিনিতে যেতে দেখে অতল আর বিছানায় পিঠ লাগিয়ে রাখতে পারল না। তাই তানহা বেলকনিতে যেতেই অতল পিছু পিছু ছুটে চলে আসল। বেলকনিতে পা রাখতেই অতল দেখল তানহা বেলকনির নিচের পার্টিশনে ধাক্কা দিয়ে দু’হাত দু’পাশে মেলে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আর উপভোগ করছে ঝড়ো হাওয়ার শীতল বাতাস ও বিন্দু বিন্দু কণার ন্যায় বৃষ্টির ফোঁটা। মুহুর্তের মাঝে এই ঝড়ো হাওয়ার বৃষ্টি তানহাকে ভিজিয়ে একাকার করে দেয় আর লেপ্টে দিয়ে যায় তানহার জামাকে তার শরীরের সাথে। যার ফলে বিদুৎ চমকানোর সময় তানহার শরীরের প্রতিটি অংশই নিখুঁতভাবে শনাক্ত করা যাচ্ছে।যা অতলকে মন ও দেহ দুটোকেই উন্মাদ করতে যথেষ্ট। এর আগে যে অতল তানহার শরীর দেখেনি তা নয়। তবে সেসময় যে তানহা একেবারেই অচেতন ছিল যার ফলে উন্মুক্ত শরীর দেখেও অতলের মনে পুরুষত্ব জেগে উঠেনি। কিন্তু আজ…আজ যে তানহা সম্পূর্ণই সুস্থ। সেই সাথে বেশ আবেদনময়ীও দেখাচ্ছে। তানহার ভাব ভঙ্গি দেখে অতলের কেন যেন মনে হচ্ছে তানহা কিছু চায়। যে চাওয়া টাকে পূরণ করার জন্য অতল সেই কবে থেকে প্রস্তুত।
অতল ধীর পায়ে এগিয়ে গেল তানহার কাছে। তানহার থেকে এক ইঞ্চি পরিমাণ দূরে দাঁড়িয়ে আস্তে করে তানহার হাত খোঁপাটি খুলে উন্মুক্ত করে দেয় তার ঘন কালো কেশ গুলোকে। চুলের বাঁধনে কারো হাতের স্পর্শ পেতেই তানহা পেছনে ফিরে তাকায়। অতলকে আধো ভেজা শরীরে নিজের পেছনে দেখে তানহার বুক কেঁপে উঠে।
এদিকে অতল তানহার কাঁপা কাঁপা ভেজা ঠোঁট দেখে নিজের হুশ হারিয়ে দু-হাত দিয়ে তানহার কোমড়ে জড়িয়ে নিজের আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ফেলে তানহাকে। তানহা অতলের চোখের দিকে তাকাতে পারছে না। ব্যাপারটি অতল বুঝতে পেরে নিজের এক হাত তানহার কোমড় থেকে উঠিয়ে থুতনিতে ধরে মাথাটি উঁচু করে। কিছুক্ষণ তানহার চোখের দিকে তাকিয়ে আলতো করে নিজের ঠোঁট দিয়ে স্পর্শ করে তানহার গোলাপি সেই আকর্ষণীয় দুটো ঠোঁটকে।
অতলের ঠোঁট নিজের ঠোঁটের মাঝে আবিষ্কার করে তানহা কেঁপে উঠে। আর খামচে ধরে অতলের পিঠে। এই খামচে ধরাটি যেন অতলকে সম্মতি দেয় বাহিরের ঝড়ো হাওয়ার সাথে নিজেদের মাঝেও ভালোবাসার এক বড় ঝড়কে স্বাগতম করার।
অতল তার পরনের শার্টটি খুলে বেলকনির ফ্লোরে ছুড়ে ফেলে তানহাকে বুকের সাথে চেপে ধরে তানহার গায়ে থাকা ওড়নাটিকেও ছুঁড়ে ফেলে ঠোঁট জোড়া ডোবালো তানহার ভেজা গলার ভাজে।
.

রাত ৩ টা বেজে ৭ মিনিট। বাহিরের পরিবেশ ঘুটঘুটে আঁধারে আচ্ছন্ন।কোথাও কোনো আলোর দিশা সহজেই মিলা যাচ্ছে না কিংবা দৃষ্টিকোণে ধরা পড়ছে না। তবে এই ঘুটঘুটে আঁধারের মাঝেও সাগরের বুকে মাঝে মধ্যে ভেসে উঠে জোনাকি পোকার মতো মিটমিটে আলো। যা একেবারেই ঝাপসা ধরনের। চোখে পড়া ভীষণ দায়। তাই মাঝরাতের এই ঝাপসা আলোকে আলো হিসেবে গণ্য না করাই শ্রেয়। অন্তত এই ত্রিভুবনে বেঁচে থাকা কিছু অভাগা অভাগীদের মনের শান্তির জন্য হলেও এই মিটমিটে আলোকে আঁধার নামে অবহিত করাই উত্তম।কেননা এই আঁধারই যে তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী।
ঠিক যেমনটা তানহার সঙ্গী। তাইতো এই আঁধার কালো রাতে একা একা ভেজা বেলকনির ফ্লোরে গুটিসুটি মেরে বসে আছে তানহা। অশ্রুহীন চোখে তাকিয়ে আছে দূর সমুদ্রের পানে। আর মনে মনে ভাবছে,
” সাগর ফের উত্তাল হয়ে উঠছে। ঢেউয়ের ধারা গুলো ক্রমশ চরের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বাতাসের বেগ সাগরের ঢেউয়ের সাথে সন্ধি করে এলোপাথাড়ি ছোটার পথ খুঁজে বেড়াচ্ছে। তাহলে তানহা নিজে কেন স্তব্ধ! তার মনেও যে বিরাট ঝড় উঠেছে। না, ঝড় উঠেনি ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আর সেই ঝড়ের বেগ উত্তাল ঢেউ ও বাতাসের তীব্র হাওয়া কেও হয়তো হার মানাবে। তারপরও তানহা কি করে চুপটি করে বসে আছে! সে নিজেই ভেবে কুলাতে পারছে না। তার জীবনের এই চড়াই-উৎরাই অবস্থায় তো তাকে দিশে হারা হয়ে বাঁধ না মানার নোনা পানিতে ভাসার কথা কিন্তু ব্যাপারটি যে উল্টো হলো। তানহা যে খরা নদীর মাঝখানে ঘাপটি মেরে বসে আছে। এক ফোঁটা নোনা পানির খোঁজে কিন্তু চারিদিকে খন্ড খন্ড হয়ে ফাঁটল ধরা মাটি। যেখানে নোনা পানি তো দূরের কথা, একমুঠো কাঁদা মাটিও নেই। ”
মনের মাঝে বিচরণ করা অব্যক্ত কথাগুলো উঁকি দিতেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে সমুদ্র থেকে চোখ ফিরিয়ে মেঘাচ্ছন্ন আকাশের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকালো তানহা। আর নিচু স্বরে বলল,
” ফিরিয়ে দিই নিই বাবা, ফিরিয়ে দিইনি। অতলকে আমি ফিরিয়ে দিইনি। তোমরা যে আমায় সম্পর্ককে অসম্মান করার শিক্ষা দাওনি। তাই তো নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে তোমার নির্বাচন ও ইসলামের তৈরিকৃত সম্পর্ককে সম্মান জানিয়েছি। না-ই বা থাকুক নিজের সম্মতি। তারপরও তো একজন মেয়ে হিসেবে, একজন স্ত্রী হিসেবে নিজের দায়িত্ব, কর্তব্য পালন করতে পেরেছি। এটাই বা কম কি! আমাদের সমাজের মেয়েদের যে এটাই কপালের লিখন। আর এই লিখনকে মেনে নিয়েই যে আমাদের হাসি খুশি সহিত জীবন পার করে যেতে হয়। কিন্তু জানো বাবা, আজ যেমন কপালের লিখনকে মেনে নিজেকে সঁপে দিয়েছি অতলের বাহুডোরে তেমনি একদিন না একদিন হয়তো অতলের সন্তানের মা-ও হবো।সেদিন হয়তো আমার মাঝে এক নতুন আমি সৃষ্টি হবো মা হওয়ার খুশিতে। এখনকার মতো থাকবে না মনে বিষন্নতার ছাপ। খুব ব্যস্ততার মাঝেই হয়তো দিনগুলো কাঁটবে সন্তানকে ঘিরে। আর সেই সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে হলেও কোনো না কোনো একদিন অতলকেও নিজের মনে জায়গা করে দিব। তবে তুমি কি জানো… সেদিনও মনের কোনো এক অংশ বিশেষে তিহানেরও স্থান থাকবে! তিহানকে ভালোবাসতে না পারার আক্ষেপটা থাকবে! তিহানকে নিজের করা না পাবার ব্যর্থতা থাকবে! ”

আকাশের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে ঠান্ডা মস্তিষ্কে নিজের সাথে নিজে কথা বলছিল তানহা। সেই সাথে নিজের না পাওয়ার তালিকা গুলো মেলাচ্ছিল। আজ যেন না পাওয়ার তালিকা গুলো মেলানোর পরেও চোখ থেকে বিন্দুমাত্র নোনা পানির দেখা মিলছে না। যেন মানুষ থেকে পাথরে পরিণত হয়েছে সে। তাইতো চোখের কোণে নোনা পানির ছিটাফোঁটা দেখাও দায় হয়ে পড়ছে।
তানহার সারা দেহ ক্লান্তিতে ভার হয়ে আসছে। চোখ দুটো মেলে রাখাও যেন ধীরে ধীরে অসম্ভব হয়ে পড়ছে। হাত-পা গুলো ভেঙে আসছে। শরীরের কোনো ভর সে পাচ্ছে না। চোখের সামনে সবই ঝাপসা ঝাপসা ঠেকছে তার। তাই চোখ দুটো বন্ধ করে ভেজা বেলকনির ফ্লোরেই হাত পা ভাজ করে শুয়ে পড়ল তানহা।
.
প্রখর রোদের তাপ চোখের ভাজে এসে পড়তেই তানহার ঘুম ভেঙে যায়। চোখ দুটো মেলতেই দেখে অতল তার পাশে বসে আলতো করে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। মুখে স্মিত হাসির রেখা ফুটিয়ে একহাতে ভর দিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসল তানহা।
এদিকে অতল তানহাকে উঠে বসতে দেখে বলল,
.
.
চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here