অভিমানে তুমি পর্ব অন্তিম

#অভিমানে_তুমি (সিজন ২)
#ফারিয়া_আফরিন_ঐশী
#পর্বঃ২৫ (অন্তিম পর্ব)

আজ সকাল থেকেই বাড়িতে সাজ সাজ রব!!কারণ আজকে রাতে স্পর্শ নিদ্রিতার বিয়ের রেজিস্ট্রি হবে!!!সবাই কাজে ব্যস্ত!!অভ্র নিজের কয়েকজন নিকট আত্মীয়দের দাওয়াত করেছে!!!স্পর্শ নিদ্রিতার আগের বিয়েতে কেউ ছিল না!!আর কোনো আয়োজন ও ছিল না বলে আজ নতুন করে বিয়ে হবে তাদের!!!
নিদ্রিতা সাজতে ব্যস্ত!!!স্পর্শ আর নাশিতা মিলে যা যা দরকার নিদ্রিতার সব কিনে এনেছে!!!অভ্র বাড়ি সাজাচ্ছে।।স্পর্শ একটা ফোন পেয়ে একটু বাইরে গিয়েছে!!! তামান্না রান্নার দিক দেখছে!!!,নাশিতা আর নানু নিদ্রিতাকে সাহায্য করছে!!!
স্পর্শ পুরোনো একটা গোডাউনের সামনে এসে দাঁড়ালো!!!তাকে মূলত নয়না ফোন করে ডেকেছে!!!
স্পর্শ ভেতরে গিয়ে দেখে নয়না দাঁড়িয়ে আছে হাতে রক্তমাখা ছুড়ি আর পাশেই পড়ে আছে রক্তাক্ত নিশান!!
স্পর্শ দৌড়ে গিয়ে বলে–কি করেছো টা কি??
নিশানের পালস চেক করতে থাকে,,তখনি নয়না বলে–হি ইজ ডেড!!!
স্পর্শ উত্তেজিত হয়ে বলল–মানে কি??মেরেছো কেন ওকে??
নয়না–ও আজ এমন কিছু করতে চাইছিলো যা তোমাদের জীবন আবার লন্ডভন্ড করে দিতো!!!আর আমি কখনোই চাই না!!আমার ভালোবাসার মানুষ তার ভালোবাসা হারিয়ে কষ্ট পাক!!!তাই ওকে মেরে দিয়েছি!!!
স্পর্শ চিল্লিয়ে বলল—কি এমন করতে চাইছিলো যে নিজের ভাইকে মারলে তুমি??
নয়না শান্ত কন্ঠে বলল–আজ ও নিদ্রিতাকে তুলে এনে রেপ করতে চাইছিলো!!!ওর কয়েকজন বন্ধুর সাথে কথা আমি শুনেছি!!তাইতো সকালে নিদ্রিতার শাড়ি পরে তোমাদের ঘরে বসেছিলাম!!!যখন নিদ্রিতা মামিমা এর ঘরে বাড়ির গহনা দেখছিলো!!!ও না বুঝেই আমাকে নিদ্রিতা ভেবে তুলে এনেছে!!!তুলে এনে আমাকে না দেখেই ওর ২ বন্ধু রেপ করেছে!!!
স্পর্শ যেন হতবাক হয়ে গেল!!!আজ এই জায়গায় নিদ্রিতা থাকত কথাটা ভেবেই স্পর্শের বুক কেঁপে উঠল!!
স্পর্শ একটু থেমে বলল–বাড়ি চলো!!এদিকটা আমি সামলে নিবো!!
নয়না ধীর কন্ঠে বলল–তার দরকার নেই,,আমি তোমাকে ফোন করার পরই পুলিশকে ফোন করেছি!!!চলে আসবে এখনি!!!
স্পর্শ নয়নার সামনে এসে দাঁতে দাঁত চেপে বলল–এট লাস্ট আমার জন্য তো ওয়েট করতে!!!
নয়না–ভালো থেকো!!!শুধু মনে রেখো আমি সবসময় তোমায় ভালোবাসি!!! আমার ভালোবাসার মানুষের ভালোবাসার ক্ষতি করতে চাইলে তা আমি কখনোই হতে দিবো না!!!
স্পর্শ কিছু বলার আগেই পুলিশ চলে এলো!!!পুলিশ আসতেই স্পর্শ কিছু বলার আগেই নয়না বলল–লেটস গো অফিসার!!আমিই ৩ টে খুন করেছি!!
স্পর্শ আর কিছু বলার সুযোগ পেল না!!অফিসার রা নয়নাকে নিয়ে চলে গেল!!
স্পর্শ দ্রুত বেরিয়ে আসার মাঝেই ফোন বেজে উঠল!!!
ফোন বের করে দেখে নিদ্রিতার ফোন!!
রিসিভ করতেই নিদ্রিতা বলে–কই গো তুমি??তাড়াতাড়ি এসো!!!
স্পর্শ চোখটা বন্ধ করে বলল–আসছি পাখি!!!এখুনি আসছি!!
তারপর একটা শ্বাস নিয়ে ফোন কেটে বাড়ির পথে রওনা হলো!!!পুরোটা রাস্তা স্পর্শ শুধু নয়নার কথাই ভেবেছে!!
মানুষ নিজের ভালোবাসার জন্য এতোটা হিংস্র কিভাবে হতে পারে!!যে নিজের ভাইকে অবধি শেষ করে দিল!!!!
বাড়ি পৌঁছে অভ্র সামনে পড়লো!!বিয়ের দিনে এমনে বের হওয়ার কারণে বেশ বকাবকি করে বলল–রেডি হয়ে নিতে!!
স্পর্শ আর কিছু বলার সুযোগ পেল না!!ঘরে এসে টি-শার্ট খুলতেই পেছন থেকে চুড়ি ভর্তি একজোড়া হাত জড়িয়ে ধরল!!
স্পর্শ প্রেয়সীর ছোঁয়া চিনতে পেরে মুখে হালকা হাসি ফুটিয়ে দুহাত দিয়ে নিদ্রিতাকে নিজের সামনে নিয়ে এলো!!
তারপর নিদ্রিতার দিকে তাকাতেই চোখ আটকে গেল!!
নিদ্রিতা নীল আর সাদা মিশেলের বেনারসি পড়েছে!! গলায় ২ টো হার!!একটা কন্ঠ হার আরেকটা সীতা হার!!!কানে ঝুমকা,হাতে চুর আর কাচের চুড়ি!!!মুখে হালকা মেকাপ!!চুল গুলো বেনি করা তাতে রয়েছে গোলাপ আর রজনীগন্ধা গাথা!!!
স্পর্শকে জড়িয়ে ধরে নিদ্রিতা বলল–কোথায় চলে গিয়েছিলে তুমি??
স্পর্শ ও জড়িয়ে ধরে বলল–এইতো এখানেই ছিলাম!!
স্পর্শ নয়নার ব্যাপারটা এখন বলে নিদ্রিতার মন খারাপ করতে চাইনি!!!
নিদ্রিতা স্পর্শকে ছেড়ে মুখ ভার করে বলল–খুব পঁচা তুমি!!!
স্পর্শ মুচকি হেসে নিদ্রিতার কোমড় টেনে কাছে নিয়ে এসে বলল–তা এই পঁচা লোকটাকে ২য় বার বিয়ে করার জন্যই তো এতো দারুণ করে সেজেছো!!!
নিদ্রিতা ও হেসে বলল–আমার ওই পঁচাই ভালো!!!তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে এসো!!!কাজী চলে আসবে এখুনি!!
তারপর নিদ্রিতা যেতে নিলেই স্পর্শ আবারো টেনে ধরে!!
নিদ্রিতা ভ্রু কুঁচকে বলে–কি হলো??
স্পর্শ –কি হলো মানে!!!এমন সুন্দরী হয়ে সামনে এসেছো!!ঘোর লাগিয়েছো আমায়,,এখন এমনি এমনি চলে যাবে তা তো হবে না!!!
নিদ্রিতা কপাল কুঁচকে –মানে??
স্পর্শ –মানে আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি এখুনি!!
স্পর্শ নিদ্রিতার ঠোঁট আকড়ে নিতে গেলেই বাধা দেয় নিদ্রিতা!!।
স্পর্শ –কি সমস্যা??
নিদ্রিতা–অনেক সমস্যা!! ১ম দরজা খোলা,,২য় আমার সাজ নষ্ট হবে,৩য় দেরি হচ্ছে!!
স্পর্শ ছেড়ে দিয়ে বলল–রাতে দেখছি তোমায়!!তারপর পাঞ্জাবি আর টাওয়াল নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল!!!
নিদ্রিতাও হাসতে হাসতে নিচে চলে এলো!!!
স্পর্শ রেডি হয়ে নিচে এলো!!!
কিছুক্ষণের মধ্যেই ২য় বার বিয়ের পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হলো স্পর্শ নিদ্রিতা!!!সবাই একদফা মিষ্টিমুখ করে নিল!!
তারপর নিদ্রিতাকে নিয়ে নাশিতা আর তামান্না ফ্রেস করিয়ে কিছু খাবার খায়িয়ে দেয়!!!গেস্টদের খাওয়া শেষ হলে,নানু হাত ধরে নিদ্রিতাকে তার আর স্পর্শের ঘরে নিয়ে বসিয়ে দিয়ে বলেন–শোন তোর বর আসলে সালাম করবি কিন্তুু!!!চললাম আমি!!
নানু দরজা চাপিয়ে বেরিয়ে গেল!!
নিদ্রিতা দেখল তাদের রুমটা আজ গোলাপ দিয়ে সাজানো!!বিছানাতে গোলাপের পাপড়ি ছড়ানো!!ঘরময় জ্বলছে ছোট্ট মোমবাতি!!! নিদ্রিতা গোলাপ গুলো ছুঁয়ে দেখছে!!
স্পর্শ অভ্রকে সবটা জানিয়ে ১১.৪৫ এ ঘরে এলো!!এসে দেখল নিদ্রিতা জানালার কাছে দাঁড়িয়ে আছে!!!
দরজা বন্ধ করে এসে নিদ্রিতার কাছাকাছি দাঁড়ালো!!
নিদ্রিতা স্পর্শ কে দেখে পা ছুয়ে সালাম করতে নিচু হতেই স্পর্শ বাধা দিয়ে নিদ্রিতাকে নিজের বুকে টেনে বলল–তোমার জায়গাটা এখানে!!!আমার পায়ে নয়!!
আর মুখে সালাম দিলেই হবে!!
নিদ্রিতা মুখ তুলে বলল–আসসালামু আলাইকুম!!
স্পর্শ হালকা হেসে নিদ্রিতার কপালে ঠোঁট ছুয়ে দিয়ে বলল–ওয়ালাইকুম আসসালাম!!দোয়া করি আমার সন্তানদের জননী হও!!
নিদ্রিতা এবার হেসে দিলো!!!
স্পর্শ পকেট থেকে একজোড়া নুপুর বের করে নিদ্রিতার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে বলল–পা রাখো এখানে!!(নিজের হাঁটুকে ইশারা করে)
নিদ্রিতা–কিন্তুু,,
স্পর্শ –নো কিন্তুু!!রাখো পা!!
নিদ্রিতা ধীরে নিজের এক পা স্পর্শের হাঁটুর ওপর রাখলো!!স্পর্শ নিদ্রিতা পায়ে নুপুর পরিয়ে নিজের ঠোঁট ছুয়ে দিল নিদ্রিতার পায়ে!!!
তারপর ওপর পায়ে ও নুপুর পরিয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলল–তোমার বাসর রাতের উপহার!!!
নিদ্রিতা স্পর্শকে জড়িয়ে ধরে বলল–খেয়াল করেছো!!আজ পুরো অনুষ্ঠানে কিন্তুু নয়না আপু আর নিশান ভাইয়া ছিলো না!!!
স্পর্শ নিদ্রিতার মাথায় হাত রেখে বলল–হুমম!!কেন ছিল না তার কারণ ও জানি!!!
নিদ্রিতা চটপট মাথা তুলে বলল–কি কারণ??
স্পর্শ এবার নিদ্রিতাকে সবটা খুলে বলল!!!
সবটা শুনে নিদ্রিতা ধপ করে সোফাতে বসে বলল—হায় খোদা!!!তুমি নয়না আপুকে ছাড়ানোর ব্যবস্হা করো দ্রুত!!!
স্পর্শ নিদ্রিতা সামনে বসে বলল–হুমম!!কালই দেখছি কি করা যায়!!!তুমি এসব চিন্তা নিও না!!আমি আছি তো!!
নিদ্রিতা চোখ বন্ধ করে বলল–ভালোবাসা খুব অদ্ভুত তাইনা!!!
স্পর্শ এবার নিদ্রিতাকে কোলে তুলে নিয়ে বলল–ভীষণ অদ্ভুত!!এর ওপর কারো কোনো কন্ট্রোল নেই!!জীবনের মোড় ঘোরাতে এই একমুহূর্তের ভালোবাসাই যথেষ্ট!!!
তাইতো আমাদের মুহুর্ত গুলোকে আমি নষ্ট করতে চাই না!!!

পরদিন বিকালে,,,
স্পর্শ আর নিদ্রিতা ডক্টর ফারহানার সামনে বসে আছে!!!
নিদ্রিতা চিন্তাতে হাতে হাত ঘষছে!!!
ফারহানা–কিছু টেস্ট করাতে হবে!!আর যেহুতু তেমন কোনো সমস্যা নেই তাই শুধু শুধু মেডিসিনের কোনো দরকার নেই!!তবে আপনার ওয়েট অনেক কম!!!বেবি কন্সিভ করার জন্য এতো কম ওয়েট বেশ রিস্কি!!!ওয়েট বাগানোর ট্রাই করুন!!!আর টেস্ট গুলো আজই করিয়ে নিন!!পরশু রিপোর্ট দিলে নিশ্চিত হওয়া যাবে!!
স্পর্শ আর নিদ্রিতা টেস্ট করে গাড়িতে উঠল!!
নিদ্রিতাকে চিন্তিত দেখে স্পর্শ বলল–এতো চিন্তার তো কিছু দেখছি না!!!
নিদ্রিতা–টেস্টে যদি খারাপ কিছু আসে!!
স্পর্শ –আসবে না!! রিলাক্স!!!
স্পর্শ নিদ্রিতাকে বাড়ি নামিয়ে দিয়ে গেল উকিলের কাছে!!কারণ কাল নয়নাকে কোর্টে নেওয়া হবে!!!
উকিলের সাথে কথা বলে রাত হয়ে গেল ফিরতে!!!
নিদ্রিতা–কি বললেন উকিল??
স্পর্শ শার্ট খুলতে খুলতে বলল–আশা খুব কম!!৩ টে খুন করেছে!!নয়না নিজে স্টেটমেন্ট দিয়েছে!!!
নিদ্রিতা–কি যে হবে কাল!!!
স্পর্শ–তুমি খাবার দাও আমাকে!!কাল আবার সকালে কোর্টে যেতে হবে!!
স্পর্শ ফ্রেস হয়ে বের হলে নিদ্রিতা খাবার গুছিয়ে দিয়ে তার পাশে বসল।।
স্পর্শ –হা করো!!
নিদ্রিতা–একটু আগেই খেয়েছি আমি!!
স্পর্শ –আরও খেতে হবে!!ওজন বাড়াতে হবে!!!নয়তো তোমার ওই পিচ্চি পেটে আমার বেবি থাকতে পারবে না!!!
নিদ্রিতা মুখ ফুলিয়ে হা করল!!
স্পর্শ তার মুখে খাবার দিয়ে নিজেও খাওয়া শেষ করলো!!!

পরেরদিন কোর্টে,,
চৌধুরী পরিবারের মোটামুটি সবাই কোর্টে বসে আছে!!কাঠ গড়াতে নয়না দাঁড়িয়ে আছে!!!কেস চলছে!!!নয়না নিজে স্বীকার করেছে সে খুন করেছে!!তাকে রেপ করা হয়েছে বলেই সে পরিস্থিতির স্বীকার তা জানালো উকিল!!তাই নয়নাকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো!!!
সবার মন খারাপ,,বাড়ি ফিরে,,
নয়নার মা বাবা পাগলের মতো হয়ে গিয়েছে!!!
স্পর্শ আর নিদ্রিতা ছাদে বসে আছে!!!স্পর্শের কাধে নিদ্রিতার মাথা!!!!

৬মাস পর,,
আজ স্পর্শ নিদ্রিতার ২য় বিবাহ বার্ষিকী!!!এই উপলক্ষে বাড়িতে ছোট্ট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে!! তবে সকাল থেকে নিদ্রিতার শরীরটা খারাপ!!কেমন কেমন লাগছে তার!!!স্পর্শকে ও বলতে পারছে না কারণ সে আয়োজনে ব্যস্ত!!!
দুপুরে স্পর্শ ঘরে এসে নিদ্রিতাকে শুয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করল–কি হয়েছে?? শরীর খারাপ??
নিদ্রিতা–সকাল থেকেই!!৬ বার বমি করেছি আর পারছি না!!(মুখ কালো করে)
স্পর্শ –আমায় জানাও নি কেনো??এতো খারাপ লাগছিলো!!!
নিদ্রিতা–অনুষ্ঠান!!!
স্পর্শ –অনুষ্ঠান উচ্ছন্নে যাক!!তুমি অসুস্থ!! চলো ডাক্তারের কাছে!!!
নিদ্রিতা–কিন্তুু!!
স্পর্শ –চুপ!!চলো!!
স্পর্শ নিদ্রিতাকে নিয়ে ডক্টর ফারহানার কাছে এলো!!!ডক্টর ফারহানা সব শুনে নিদ্রিতা প্রেগনেন্সি টেস্ট সাজেস্ট করলো!!
নিদ্রিতা টেস্ট করিয়ে স্পর্শকে বলল–তার মানে আমি প্রেগনেন্ট??
স্পর্শ হালকা হেসে বলল–মেবি!!টেস্টের রিপোর্ট এলেই সিউর হবো!!!
বাড়ি এসে মোটামুটি ভালোভাবে অনুষ্ঠান শেষ হলো!!!
পরদিন স্পর্শ নিদ্রিতার রিপোর্ট নিয়ে বাড়ি এলো!!
ঘরে আসতেই নিদ্রিতা জিজ্ঞেস করল–রিপোর্ট এনেছো??কি এসেছে??
স্পর্শ মুখ কালো করে বলল–এসেছে!!পানি দাও তো!!।
স্পর্শের মুখ দেখেই নিদ্রিতা বুঝে নিল তার রিপোর্ট ভালো আসেনি!!!তাই কাঁদো কাঁদো চেহারা করে পানি নিতে এগোতেই স্পর্শ হাত টেনে কাছে নিয়ে কানে ফিসফিস করে বলল–আমার তো মেয়ে চাই!!তোমার ও কি একই মত??
নিদ্রিতা এবার চোখের পানি ফেলে স্পর্শের বুকে কিল দিয়ে বলে–বাজে লোক!!ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আমি!!
স্পর্শ হেসে বলে–সরি বেবির মা!!
নিদ্রিতা হেসে দেয়!!
স্পর্শ –ডাক্তারের সাথে কথা বলে এসেছি!!খুব সাবধানে থাকতে হবে!!আর চৌধুরী বাড়িতে আমি মিষ্টি পাঠিয়ে দিয়েছি!!!
(সবাই এখন চৌধুরী বাড়িতে ফিরে গিয়েছে!!,স্পর্শ আর নিদ্রিতা নিজেদের ফ্লাটেই থাকে))
স্পর্শ –ভাবছি মা আর খালামনিকে নিয়ে আসবো!!
নিদ্রিতা–কবে আনবে??
স্পর্শ –কালই!!তোমার প্রপার যত্ন দরকার!!!
নিদ্রিতা হেসে স্পর্শকে জড়িয়ে ধরল,,
স্পর্শ ও জড়িয়ে ধরে বলল–থ্যাংকস নিদু,,,এতো ভালো উপহার দেওয়ার জন্য!!! লাভ ইউ!!!
নিদ্রিতা–লাভ ইউ অলসো!!!
১ বছর পর,,
স্পর্শ নিদ্রিতার কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে আর নিদ্রিতা তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে!!!
স্পর্শ –দেখেছো আমার বাচ্চারা কতো স্মার্ট!!!এই টাইমে যে তাদের বাবার তাদের মাকে দরকার তা বুঝে তাই চটপট ঘুমিয়ে পড়ে!!!
নিদ্রিতা–হুমম!!অনেক স্মার্ট!!৩ মাসেই আপনার ছেলে মেয়ে আমার মাথা খারাপ করে দিচ্ছে!!!
(হুমম,,নিদ্রিতা আর স্পর্শের টুইন বেবি হয়েছে,,এক ছেলে (নাবিল),মেয়ে(স্নেহা)))
স্পর্শ চট করে উঠে বলল–আমরা ৩ জন সারাজীবন তোমাকে জ্বালাবো!!!আমার মতে আর ও ৩/৪ হলে ভালো হয়!!!
নিদ্রিতা–শখের অভাব নেই!!!
স্পর্শ হেসে নিদ্রিতাকে জড়িয়ে ধরে!!নিদ্রিতাও হেসে দেয়!!!!
জীবন সংসারে এভাবেই সুখে থাক তারা!!!!!
#সমাপ্ত

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here