অশ্রুসিক্ত নয়নে তুমিই আছো পর্ব ৮+৯

#অশ্রুসিক্ত_নয়নে_তুমিই_আছো
#সুবহী_ইসলাম_প্রভা
#পর্ব – ০৮

—-বেবি আই মিস ইউ? ডিড ইউ মিস মি?

পিছনে এভাবে কেউ জড়িয়ে ধরে এই কথা গুলো বলছে দেখে সায়েদ পিছনে ঘুরে তাকায় আর দেখে সুইটি দাঁড়িয়ে আছে।

—–তুমি এখানে?

—–সারপ্রাইজ।কেমন লাগলো সারপ্রাইজটা?

—–সুইটি ইউ নো দেট আমাকে এভাবে জড়িয়ে ধরা আমার ভালো লাগে না।

—— সো হোয়াট আমি তো এভাবেই জড়িয়ে ধরব আমার বেবি কে।

সায়েদ আর কিছু বলার আগেই ওর নজর গেটের দিকে যায়। ইসরা ছলছল চোখে সায়েদের দিকে তাকিয়ে আছে। ইসরার ওই ছলছল নয়ন দেখলে সায়েদ কেমন যেন দুর্বল হয়ে যায়। অবশ্য সায়েদ এটাকে ওতোটা সিরিয়াসলি নেয় না। ও ভাবে এটা হয়তো এমনি কেউ কষ্ট পাচ্ছে তাই ওর এমন ফিল হয়। কোন ছেলেই কোন মেয়ের ক্রন্দনরত মুখ দেখতে পারে না এটা ভেবেই সে হয়তো দুর্বল হয়ে পড়ে তাই সে তার এই ফিলংসের মূল্য দেয় না।

সুইটি রেগে ইসরাকে বলে,,,

—–হেই ইউ তুমি জানো না কারোর কেবিনে ঢুকার আগে তার পারমিশন নিতে হয়। সায়েদ তোমার এখানে মানুষ জনের কি কোন কমনসেন্সও নেই নাকি?

সায়েদ একটু গম্ভীর সুরে ইসরাকে বলে,,,,

——তুমি এখানে এসেছো কেন?

——আপনার জন্য খাবার নিয়ে এসেছি।

সুইটি অবাক হয়ে বলে,,,,

—–হোয়াট?তুমি কেন খাবার নিয়ে এসেছো?সায়েদ হু ইজ সি?

ইসরা বলার আগেই সায়েদ বলে,,,,

—–আমার পরিচিত।

সুইটি আবারও ইসরাকে বলা শুরু করে,,,,

—–তুমি ভিতরে ঢুকলে কিভাবে?এখানে তো পারমিশন ছাড়া ঢুকা যায় না।

—-আমি পারমিশন নিয়েই ঢুকেছি।

—–কি পারমিশন নিয়ে ঢুকেছো?তোমাকে এখানে দেখে তো মনে হচ্ছে না যে সায়েদ জানতো তুমি আসবে?

—-আমি উনাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্যই এসেছি।

—-এক্সকিউজ মি,,,হু আর ইউ?তুমি সায়েদকে সারপ্রাইজ দেওয়ার কে?

—–সেটা আপনার বন্ধুকেই জিজ্ঞেস করুন।

—-সায়েদ,,,, হু ইজ সি?

—–বললাম তো,, আমার পরিচিত।

সুইটি আর কিছু না ভেবেই সিকিউরিটি গার্ডকে ডাকলো।

—-এই যে, আংকেল উনি এখানে ঢুকলো কিভাবে?

সুইটির রাগী গলার স্বর শুনে সিকিউরিটি গার্ড ভয়ে ভয়ে বলে,,,,,,

—-ম্যাডাম উনি নিজেকে স্যারের বউ বইলা ঢুকছে।

সুইটি চরম আশ্চর্যের সাথে বলে,,,,

—-যে কেউ তোমাদের স্যারের বউ বলে দাবি করবে আর তোমরা মেনে নিবে?

—-সর‍্যি ম্যাডাম।

—–হোয়াট সর‍্যি?তোমরা এতোটা ইরিরেস্পসিবল কেন?

সায়েদ দেখে সুইটি অনেক রেগে গেছে।

—–সুইটি তুমি এতো হাইপার কেন হচ্ছো?

সুইটি রেগে বলে,,,,

—–আমি হাইপার হচ্ছি নাকি অফিসের এগুলো তোমার চোখে পড়ে না। সায়েদ এই কোম্পানিতে কিন্তু আমারও ৩০% শেয়ার আছে সেটা ভুলে যেও না।

—–আমি ভুলি নি। রিল্যাক্স।

—— হোয়াট রিল্যাক্স সায়েদ যে কেউ তোমার ওয়াইফের দাবি নিয়ে অফিসে ঢুকছে এটা কি কোন গেম হচ্ছে নাকি?

এবার সুইটি দম নিয়ে ইসরাকে রাগী স্বরে বলা শুরু করল,,,

—– এই মেয়ে তুমি কোন সাহসে সায়েদের ওয়াইফের দাবি নিয়ে এসেছো। হি ইজ আনম্যারিড গট ইট।

ইসরা এবার সায়েদ আর সুইটির দিকে একবার তাকিয়ে টিফিন বক্সটা টেবিলে রেখে সায়েদের চেয়ারটায় গিয়ে বসে পড়ে। এতে উপস্থিত সবাই অনেক অবাক হয়,বিশেষ করে সায়েদ। সুইটি ইসরার এহেন আচরনে আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে তেড়ে গিয়ে ইসরাকে বলে,,,,

—–এই মেয়ে,,, তোমার সাহস তো কম না। এই কোম্পানির ওনারের চেয়ারে গিয়ে বসেছো।

সুইটির এমন কথায় ইসরার যেন খুব হাসি পেল। সে হাসিমুখেই বলল,,,,

—— আপু যখন ওনার টাই আমার তখন কোম্পানি, চেয়ার এসবে তো আমার অধিকার থাকবেই।

সায়েদ কিছুই বলছে না শুধু হা করে ইসরার দিকে তাকিয়ে আছে যেন এখানে কোন মুভি চলছে। ইসরার এমন রুপ সায়েদের কাছে অপরিচিত তাই ছোটখাটো একটা ঝাটকা তো খেয়েছেই। এদিকে ইসরার এমন জবাবে সুইটি আরো বেশি ক্ষেপে যায়।

——কি? ওনার তোমার নিজের মানে?সায়েদ আমি কিন্তু আর টলারেট করতে পারছি না। তুমি এই মেয়েটাকে এখুনি এখান থেকে যেতে বলো।

সুইটির কথা সায়েদের কর্ণগোচর হলো না। সে তো ইসরার এমন সাহসিকতা রুপ দেখতেই ব্যস্ত।

—–সায়েদ,,,,এই সায়েদ,,,

সায়েদের এবারও হুস এলো না। ইসরা সায়েদের দিকে তাকাতেই দেখে সায়েদ এক দৃষ্টিতে তাকেই দেখতে আছে।ইসরা দুষ্টুমি করে সায়েদকে চোখ মেরে দিলো,সঙ্গে সঙ্গে সায়েদের চোখ আপনা আপনি বড় হয়ে গেল।

এবার সুইটি সায়েদের কানের কাছে এসে জোরে চিল্লিয়ে বলে,,,

—-সায়েদদদদ

—–কি হয়েছে? আমি কি বয়রা নাকি?

—–তোমাকে কতক্ষন ধরে ডাকছিলাম তখন তো শুনো নি তাই জোরেই ডাকলাম।

ইসরা দুষ্টুমি করে আবার বলে,,,,,,

—–আহ আপু,এতে ওনার কি দোষ এটা তো ওনার চক্ষুদোষ।

সুইটি আর সায়েদ একসাথে অবাক বলে,,,,

——চক্ষুদোষ।

—– হে চক্ষুদোষ,,,ওনি ওনার স্ত্রীকে দেখায় এতো বিভোর ছিলেন যে আপনার কথা ওনার কান পর্যন্ত পৌছাই নি। তাই না স্বামী,,,

ইসরার এমন ঠেস দেওয়া কথায় সায়েদ রীতিমতো নার্ভাস হয়ে যাচ্ছে। তার ইচ্ছে করছে ইসরার উপর খুব রাগ দেখাতে কিন্তু কেন যেন পারছে না। সুইটি ক্ষেপে বলে,,,,,

—–সায়েদ,,, তুমি কি কিছু বলবে?

সায়েদ এবার একটু রেগেই বলে,,,,

—– ইসরা এসব হচ্ছেটা কি?সিনক্রিয়েট না করে এখান থেকে চলে যাও৷

—–আজব আমি যাবো কেন?আমি যেটা সত্যি সেটাই বলেছি আমি আপনার ওয়াইফ আর আপনার ওয়াইফ হিসেবে আমার এখানে থাকার অধিকার আছে। আর মিস.সুইটি আপনার যদি বিশ্বাস না হয় যে আমি আপনার বেবির ওয়াইফ নই তাহলে বাড়ি চলুন। বাড়িতে গিয়ে আদর-আপ্যায়নও হবে সাথে যাচাইও।

সুইটিও রেগে সায়েদের হাত ধরে বলে,,,,

—–চলো সায়েদ,,,আজ এই মেয়েটাকে উচিত শিক্ষা দিয়েই ছাড়বো।

সায়েদ কোন উত্তর না দিয়ে সুইটির হাতটা ছেড়ে দেয়। এতে সুইটি বিস্ময় নিয়ে সায়েদের দিকে তাকিয়ে থাকে।ইসরা হালকা হেসে বলে,,,,,,

——কি মিস.সুইটি আশা করি আপনি আপনার উত্তর পেয়ে গেছেন।তো এখন থেকে না আপনি পারমিশন নিয়ে রুমে ঢুকবেন। আর এভাবে হুটহাট কাউকে জড়িয়ে ধরবেন না এক্টুয়েলি পরিবেশ তো ভালো না আর করোনায় দিন দিন বেড়েই গেছে। বলা তো যায় না, আপনার সাথে ভাইরাস লেগে গেল।

—– হোয়াট আর ইউ মিন দেট আই এম ভাইরাস।

—– আরে মিন কেন করবো?যেটা সত্যি সেটাই বলেছি।আপনার সাথে তো ভাইরাস থাকতেই পারে তাই না।

—–কিইই?আমাকে তোমার ভাইরাস মনে হচ্ছে।

—– হে আসলে ভাইরাস নাহ চিপকুটে হয় আর আমি রুমে ঢুকেই তো দেখলাম আপনি কিভাবে আমার স্বামীর সাথে চিপকিয়ে ছিলেন। তাই বলা যায়,,,আপনি এক প্রকার ভাইরাস।

সুইটি ইসরার কথায় খুব রেগে যায়। আর সায়েদ সে তো দুই মহিলার কথোপকথন শুনতে ব্যস্ত।আহা কি সুন্দর দুজন তাকে নিয়ে টানছে, ভাবলেই শান্তি লাগছে সে এতো বড় সেলিব্রিটি হয়ে গেছে।সায়েদ কোন পক্ষ হয়েই কথা বলছে না শুধু শুনছে আর মজা নিচ্ছে।

ইসরা থেমে আবার বলা শুরু করল,,,,,,

—–আমাদের কিছুক্ষন একা ছেড়ে দিন মিস.সুইটি আমার ওর সাথে কিছু কথা আর কাজ ছিলো।

সুইটি আর এই অপমান সহ্য করতে না পেরে সায়েদের দিকে একবার রাগী চোখে তাকিয়ে চলে যায়। সায়েদ আটকাতে গেলে ইসরা,,,,,

আসসালামু আলাইকুম। দুঃখিত সবাইকে এই পার্টটা কালকে দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু অতি ব্যস্ততার কারণে কালকে পার্ট দেওয়া সম্ভব হয় নি তাই আজকে সকাল সকাল দিলাম।কেমন লাগলো জানাবেন।#অশ্রুসিক্ত_নয়নে_তুমিই_আছো
#সুবহী_ইসলাম_প্রভা
#পর্ব – ০৯

সুইটি আর এই অপমান সহ্য করতে না পেরে সায়েদের দিকে একবার রাগী চোখে তাকিয়ে চলে যায়। সায়েদ আটকাতে গেলে ইসরা সায়েদকে বাধা দিয়ে সুইটি বেরিয়ে গেলেই দরজা আটকে দেয়।

—–কি করলে কি তুমি?তুমি ওকে এভাবে অপমান করে বের করে দিলে?তুমি জানো,,,,

——শিইইইই

আর বলতে পারল না তার আগেই ইসরা সায়েদের মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করিয়ে দিল।

—– এখন কোন কথা না। অনেক বেলা হয়ে গেছে আপনার এখনো লাঞ্চ করা হয় নি। আগে খেয়ে নিন তারপর বকবেন।

সায়েদ আর কথা না বাড়িয়ে খেতে বসে পড়ল।একবার তার মনে হয়েছিল ইসরাকে জিজ্ঞেস করা যে সে খেয়েছে কি না কিন্তু পরেই আবার রাগের কথা মাথায় এনে আর জিজ্ঞেস করে নি। ইসরাও আশায় ছিলো যে তাকে জিজ্ঞেস করবে কিন্তু জিজ্ঞেস না করায় ভেবেছে হয়তো খুব খিদে পেয়েছে তাই এতো না ভেবে খেয়ে নিয়েছে।

খাওয়ার মাঝেই ইসরা বলে,,,,,

—–কেমন হয়েছে খাবার?

—–হুম ভালো।

—–সত্যিই।

সায়েদ দেখল ইসরার চোখমুখ জ্বলজ্বল করছে কিন্তু কেন তা ঠিক বুঝতে পারল না। পরমূহুর্তেই অনুভব হলো আজকের খাবারের স্বাদটা হালকা ভিন্ন।

—-কে খাবারটা রান্না করেছে?

—–আমি।

এই কথা শুনে সায়েদের একেবারে বিষম উঠে গেল। ইসরা তাড়াতাড়ি পানি এগিয়ে দেয়। পানি খেয়ে সায়েদ বলে,,,,

—–আমার খাওয়া হয়ে গেছে।

বলেই উঠে যায়। এতে ইসরার একটু খারাপ লাগে। সে যদি না বলত যে সে রান্না করে নি তাহলে হয়তো সায়েদ পুরোটা খেতো।ইসরাও আর কথা না বাড়িয়ে সব গুছিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে নিলেই সায়েদ বলে,,,,,

—-সুইটির সাথে কাজটা তুমি ভালো করো নি।

—–যে যেমন মানুষ তাকে সেভাবেই শিক্ষা দিতে হয়।

বলেই ইসরা রুম ত্যাগ করে অফিস ছেড়ে গাড়িতে গিয়ে বসে পড়ল।এদিকে সায়েদ ইসরার কথাটা ভাবতে লাগল।যে যেমন মানুষ তাকে তেমন শিক্ষা মানে?ঠিক বুঝলো না।

~~~~~~~~~~~~

অফিস থেকে বেরিয়ে ইসরা বাড়ি যেতে লাগল।দৃষ্টি তার বাহিরে,কিন্তু মনে মনে সে সায়েদের কথাই ভাবতে লাগল।হটাৎ করেই ইসরা গাড়ি থামাতে বলল। গাড়ি থেকে নেমেই সে সামনের পার্কের সামনে চলে এলো।পার্কে এককোনে একটা বেঞ্চে বসে ভাবছে।

ইসরা আর নিথু কলেজ শেষ করে এই পার্কটায় ঘুরতে আসতো।এখানে ছেলেমেয়েদের সাথে খেলতো,টাকা জমিয়ে খাবার কিনে দিত। এই পার্কেই হয়তো সায়েদের বাবা-মা ইসরাকে প্রথম দেখেছিল।এই পার্ক থেকেই ইসরার নতুন পথ চলা শুরু হয়েছিল।
ইসরা বেঞ্চে বসে ভাবছে জীবনটা কি বৈচিত্রময় এমন সময়ই একটা চেনা গলার স্বর কানে এলো।

—–ইসু বেবিইইইইইই তুই এখানে?

ইসরা সামনে চেয়ে দেখে নিথু আর আবির দাঁড়িয়ে আসে।নিথু তো ইসরাকে দেখে খুশিতে মুখ জ্বলমল করছে।নিথু গিয়ে ইসরাকে জড়িয়ে ধরে বলে,,,,,

—–তোর সাথে এতো তাড়াতাড়ি দেখা হবে তা ভাবতেও পারি নি।

—– আমিও। তুই এখানে? আর আবির ভাইয়া আপনিও আছেন দেখছি।

আবির বিনয়ের সাথে বলে,,,,

—- কি আর করবো, তোমার বান্ধুবীর বডিগার্ড হলাম।এমনিতেও দিনকাল তো আর ভালো না তাই।

ইসরা অবাক হয়ে প্রশ্ন করে,,,

—–মানে?

নিথু উত্তরে বলে,,,

—- আরে না। আমি।এখানে ঘুরতে এসেছি কিন্তু তোর দেওর সে আমার পিছু পড়েছে।

—- ও হ্যালো ,,, আমার এতো খারাপ দিনও পড়ে নি যে তোমার পিছে পিছে ঘুরতে হবে।

—- কিন্তু তাই তো করছেন। তার মানে তো খারাপ দিন চলে এসেছে।

—- জ্বি না,সে তো আমি তোমায় দেখলাম এখানে তাই এসেছি।তোমার পিছে পিছে ঘুরতে আমার বয়েই গেছে।

—-কিন্তু আপনি কিন্তু এখনো আমার পিছনেই দাঁড়িয়ে আছেন।

কথাটা শুনে আবির সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলে।

—- দেখেন আপনার পিছনে এখন কুকুর দাঁড়িয়ে আছে।ওরা মনে হয় আপনার প্রতি ফিদা হইছে।

কথাটা শুনে নিথু তেলে বেগুনে জ্বলে উঠল।

—- জ্বি না। আসলে কি বলেন তো এগুলো তো মেয়ে কুকুর তাই আপনার পিছনে পড়ছে। আপনারে তো আবার তাদের খুব পছন্দ হইছে।

—– তা আপনি কি করে বুঝলেন যে আমাকে তাদের খুব্বব্ব পছন্দ হইছে। আপনি কি এগুলো নিয়ে রিসার্চ করেন।হায় হায় হায়,,,,,শেষ পর্যন ভাবির বান্ধুবী হইলো কি না কুকুর বিজ্ঞানী।

—– কি আমি কুকুর বিজ্ঞানী আর আপনি। আপনি তো স্বয়ং কুকুরদের প্রেমিক।

ইসরা বুঝল যে মতিগতি ভালো না। ইতিমধ্যেই দুজনে ঝগড়া লাগাই দিছে। নিথু আর আবির আরো ঝগড়া করতে যাবে তার আগেই ইসরা চিৎকার করে বলে,,,,

—– চুপপপপ।

ইসরার চিৎকার শুনে দুজনেই চুপ হয়ে যায়।

—- হে রে নিথু,তুই বকবক করিস ঠিক আছে কিন্তু পিচ্চিদের মতো ঝগড়া কেন শুরু করেছিস।আর আবির ভাইয়া নিথু না হয় বাচ্চামি করে ঝগড়া করা শুরু করছে আর আপনিও তালে তাল মিলাচ্ছেন।

—- কি করব ভাবি বলেন,,,এক হাতে তো তালি বাজে না তাই তাল মিলানোটা জরুরি।

—– দেখ ইসু দেখ,,,আমার কোনই দোষ নেই।সব দোষ তোর এই বজ্জাত দেওয়ের। আমার সাথে খালি লাগতে আছে আর তুই আমাকেই বকিস।ওহ আমি তো এখন পর হয়ে গেছি,, এখন তোমার দেওরাই তো ভালো।

—- চুপ আর একটা যদি ফালতু কথা বলেছিস তো জিব্ব টেনে ছিড়ে ফেলবো,বলে দিলাম।

ইসরার রাগী কথা শুনে নিথু আঙুল দিয়ে মুখ বন্ধ করে নিল।তা দেখে আবির মুচকি হেসে ইসরাকে প্রশ্ন করল,,,

—- তা ভাবি আপনি এখানে?

—- এমনি এখান দিয়ে যাচ্ছিলাম তাই ভাবলাম।এই জায়গাটা একটু ঘুরে যাই।

—- চলুন, আমি আপনাকে পৌছে দেই।

—- তার দরকার নেই ভাইয়া। আপনি বরং নিথুকে নিয়ে যান।

—- আপনার বান্ধুবী কি আমার সাথে যেতে রাজি হবে, এমনিই আপনি বকেছেন দেখে দেখুন মনে মনে আমার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করা হয়ে গেছে।

এই কথায় নিথু উত্তর দিত্র চেয়েও ইসরার কথা ভেবে ছেড়ে দেয়।

—- না না ভাইয়া ও এমন মেয়ে না। ও আপনার সাথেই যাবে।

নিথু ইসরার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকায় কিন্তু তা ইসরা দেখে না। কি আর করার বান্ধুবী বলেছে তার প্রটেকশনের আবিরের সাথে যেতে তক যেতেই হবে। নিথু আর আবির স্থান ত্যাগ করে চলে যায়।

এসাইনমেন্ট নিয়ে অনেক প্যারাই আছি। এজন্য হয়তো নেক্সট টাইম লেটে গল্প পৌছাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here