আমায় একটু ভালবেসো পর্ব -১০+১১

#আমায়_একটু_ভালবেসো
#জান্নাতুল_ফেরদৌস_কেয়া

(১০)

,চিঠিতে শুধু একটি লাইন লেখা, কেমন আছেন প্রেয়সী?
অর্ণা চিঠি টা উল্টেপাল্টে দেখলো। কিন্তু আর কিছুই লেখা নেই সেখানে। অর্ণা চিন্তায় পড়ে গেল। কে লিখেছে এই চিঠি?সে তো এখানের কাউকেই চিনে না! অর্ণা চিঠি বাক্সটা হাতে নিল। তার সামনে একটা চিরকুট আটকানো। তাতে লেখা, এটা আপনাকে দিলাম। আজ থেকে আমি যত চিঠি পাঠাবো। তা এর মধ্যে রেখে দিবেন। বিয়ের পর আপনি আমাকে চিঠি গুলো পড়ে শুনাবেন।
অবাকের চরম সীমানায় পৌঁছে গেল অর্ণা। কে এমন করছে তা ধারণা করতে পারছে না। কেউ কি তার সাথে মজা করছে?কিছুই মাথায় আসছে না।
দুশ্চিন্তায় সেরাতে ভালো ঘুম হলো না অর্ণা। একটা খা রা প স্বপ্ন দেখে খুব ভোরবেলা ঘুম ভে ঙে যায় তার। অর্ণা ওঠে ফ্রেশ হয়ে বাইরে যায়।
ঘড়িতে এখন সাড়ে ছয়টা বাজে।মারিয়া বেগম নামাজ পড়ে আবার ঘুমিয়ে গেছে। বাড়িতে এখন শুনশান নীরবতা বিরাজ করছে। অর্ণা বাড়ির বাইরে এলো। কিছুদূর হাঁটতেই দেখতে পেল, একটা ছোট্ট ঝর্ণা। অর্ণা বেশ খুশি হলো। সে দৌড়ে গিয়ে নেমে পড়লো ঝর্ণার মাঝে। এখানে কোনো মানুষজন নেই। অর্ণা নিজের ইচ্ছে মতো ঝর্ণার পানিতে ভিজতে লাগলো।
,আপা,,,
আকস্মিক কারো ডাকে ঘাবড়ে গেল অর্ণা। পেছন ফিরে দেখলো। একটা পাঁচ-ছয় বছর বয়সী একটা মেয়ে, হাতে কিছু ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
,ফুল নিবেন আপা?একদম তাজা ফুল। এখন বাগান থেক্কা তুইল্লা আনছি।
অর্ণা মেয়েটার কাছে এলো। গাল টিপে দিয়ে বলল,
,তুমি তো আমাকে ভ য় পাইয়ে দিয়েছো। আমি তো ভেবেছিলাম কে, না কে। যাইহোক তুমি এখানে কি করছো?
,ফুল বেচতে আইছি আপা।
,কিন্তু এখানে তো কোনো মানুষজন নেই। তুমি কার কাছে বেচতে এসেছো ফুল?
,কে ন আপনি আছেন না। আমি তো প্রতিদিন এহানে আইসা ফুল বেচি।
, হুম আছি। তবে আমি তো আজ প্রথম এলাম। আর জায়গাটা দেখে মনে হয়। এখানে তেমন একটা মানুষজন আসে না। তুমি যদি প্রতিদিন এখানে আসো। তবে ফুল কিনে কে?
মেয়ে টা এবার হকচকিয়ে গেল। কোনো মতো অর্ণার হাতে ফুলগুলো গুঁজে দিয়ে। সে দৌড়ে পালালো।
অর্ণা অবাক হলো। পেছন থেকে মেয়েটা বহু ডাক,ডাকলো।তবে তার লাগাল আর পেল না। অর্ণা হতাশ হলো। মেয়েটার এমন আচরণ দেখে। হাতে থাকা ফুলগুলোর দিকে তাকাতেই। একটা জিনিস নজরে এলো। ফুলগুলোর ভিতরে একটা কাগজ। অর্ণা সেটা হাতে তুলে নিয়ে ভাঁজ খুলল,
, জীবন্ত ফুলকে কিছু কৃত্রিম ফুল উপহার দিলাম। আপনি কি জানেন? আপনি নিজেই একটা ফুল।

চিরকুট টা পড়া মাত্রই অর্ণা এদিক সেদিক তাকালো। নাহ্ কেউ নেই এখানে। তবে কে করছে এসব। অর্ণা কপালে সূক্ষ ভাঁজ পড়লো।

বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে নিল অর্ণা। একবার ভাবলো, মারিয়া বেগম কে সব জানাবে।কিন্তু পরক্ষণেই নিজের মত বদলালো।কি দরকার ছোট একটা বিষয় নিয়ে অন্যকে টেনশন দেয়ার।

আজ রোদের তেজ অনেক বেশি।গায়ের চামড়া যেন পু ড়ে যাবে। অর্ণা দ্রুত পা চালিয়ে ক্যাম্পাসের একটা গাছের নিচে গিয়ে বসলো।ক্লাস শুরু হতো অনেক দেরি। আপাতত এখানেই বসে থাকা যায়।
গাছের বেদির মধ্যে ব্যাগটা রেখে। খাতায় কিছু একটা লিখছে অর্ণা। এমন সময় তার পাশে এসে দুটো ছেলে ও মেয়ে বসলো। অর্ণা একবার তাকিয়ে দেখলো। তারপর আবার নিজের কাজে মনোযোগী হয়ে পড়লো।
,এক্সকিউজ’মি”
অর্ণা তাকালো। মেয়ে টা আবার ও বলে উঠলো,
,তুমি কি এই কলেজে নতুন?
,জ্বি!
,কোন ক্লাস?
,অনার্স সেকেন্ড ইয়ার।
,ওহ্ তাহলে তো আমরা ক্লাসমেট।
,আপনি ও!
,হ্যা। তাহলে তো আমরা ফ্রেন্ড হতেই পারি।ফ্রেন্ড,,,,
মেয়েটি হাত বাড়িয়ে দিল। অর্ণা কিছুটা দ্বিধায় পড়ে গেল।মেয়েটা ভালো নাকি মন্দ তা তো জানি না।
,কি হলো?কি নিয়ে চিন্তা করছো?
, নাহ্ তেমন কিছু নয়।
,কি নাম তোমার?
,আমার নাম অর্ণা।আর তোমার?
,আমার নাম জুথি।
,তোমরা কি এখানকার স্থানীয়?
,হ্যা।আার তুমি?
,আমি ফুপির বাসায় থাকি। নিজের বাড়ি ঢাকায়।
,ওমা! মানুষ তো এখান থেকে ঢাকায় পড়াশোনা করতে যায়। আর তুমি এখানে এসেছো?
,আমার ঐ ইট পাথরের শহর ভালো লাগে না। তাই এখানে আসা।
,হুম বুঝলাম। আচ্ছা এখন ওর সাথে পরিচয় করিয়ে দেই,অ হচ্ছে নাঈম।আমার ফ্রেন্ড। আমাদের ক্লাসেরই।
ছেলেটা হাত বাড়িয়ে দিল অর্ণা দিকে
,হাই!
তবে অর্ণা হাত মেলালো না । জুথির দিকে তাকিয়ে বলল,
,কিছু মনে করো না জুথি।আমার ছেলে ফ্রেন্ড একদম পছন্দ নয়।
,আরে তুমি যেমন ভাবছো,নাঈম তেমন ছেলে নয়। ও খুব ভালো ছেলে। আর নয়তো আমি কি ওর সাথে মিশতাৃ।আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি ওর সাথে কথা বলো না।
জুথির কথার মাঝখানে ঘন্টা বেজে উঠলো।
তারা তিনজনই ক্লাসে চলে গেল।

জুথি মেয়েটাকে অনেক পছন্দ হয়েছে অর্ণা। ভারী মিশুক। আর অনেক ভালো। প্রথমে যা ভেবছিল তার ভিন্ন হয়েছে।
কলেজ ছুটির পর জুথিরা রেস্টুরেন্টে যাবে খাবার খেতে। অর্ণাকে ও ইনভাইট করেছে। তবে সে যাবে না।
,চলো না অর্ণা। অনেক মজা হবে । আমরা তিনজন একসাথে আড্ডা দিবো। একটু রাত করে বাড়ি ফিরবো।তোমাকে পাহাড়ি অঞ্চলের সন্ধ্যা দেখাবো।চল না।
অর্ণা জুথির বলা কথা গুলো কল্পনা করলো। ইশ্ কি সুন্দর সেই দৃশ্য। কিন্তু পরক্ষণেই কিছু একটা ভেবে মন খা রা প করে ফেলল,
,না গো!আজ যাওয়া হবে না। আমাকে তারাতাড়ি বাড়ি ফিরতে হবে।। আর নয়তো ফুপি টেনশন করবে।তোমরা এক কাজ করো,কালকে যাও! তাহলে আমি কাল কলেজে আসার সময় ফুপিকে বলে আসবো।যে আমার ফিরতে দেরি হবে।
অর্ণা কথা শুনে, তাদের মুখ কালো হয়ে যায়। দুজনেই চোখাচোখি চেয়ে কিছু একটা বুঝালো। তারপর জুথি অভিমানী সুরে বলল,
,কিন্তু যদি তোমার ফুপি রাজি না হয়?
,আরে হবে,হবে।আমার ফুপি অনেক ভালো। তুমি চিন্তা করো না। কাল আমরা ঘুরতে যাব!
এই বলে সেখান থেকে চলে এলো অর্ণা।

বাড়ি ফিরে ফ্রেশ হয়ে মারিয়া বেগমের কাছে গেল অর্ণা। সেখানে কিছুক্ষণ বসে কথা বলল।
হঠাৎ কলিংবেল বেজে উঠলো।অর্ণা গিয়ে দরজা খুলে দিতেই। দেখলো সেখানে কেউ নেই। অর্ণা অবাক হলো। মানুষ নেই তবে মেঝেতে একটা কাগজ পড়ে আছে । অর্ণা সেটা তুলে হাতে নিল।বেশ বড়,বড় করেই লেখা,
,জুথি আর নাঈমের সাথে মিশবেন না প্রেয়সী।ওরা দু ষ্টুলোক। আমি চাই না আপনার কোনো ক্ষ তি হোক!
#আমায়_একটু_ভালবেসো
#জান্নাতুল_ফেরদৌস_কেয়া

(১১)

,চিঠিটা পড়ে অর্ণার মেজাজ খা রা প হয়ে গেল।কে এই লোক? যে আড়াল থেকে এভাবে চিঠি দিচ্ছে। রাগে অর্ণা চিঠিটাকে সেখানেই, ছিড়ে টুকরো,টুকরো করলো।

কে এসেছে দেখার জন্য মারিয়া বেগম রুম থেকে বের হলো।
,কি রে অর্ণা কে এসেছে? একি! তুই এই কাগজটা এমন ভাবে ছিড়েছিস কেন?কি লেখা এই কাগজে।
,দেখ না ফুপি!কদিন ধরে কে যেন আমাকে চিঠি লিখছে। ভেবেছিলাম তোমাকে জানিয়ে অহেতুক চিন্তা দেব না। কিন্তু এখন যা দেখছি”
এই লোক চব্বিশ ঘণ্টা আমাকে ফলো করছে। কোথায় যাই,কি করি,কি খাই।এসব ইনফরমেশন তার কাছে আছে।
অর্ণার কথা শুনে অবাক হলো মারিয়া বেগম। তিনি ভাবতেই পারছে না। তার অগোচরে এতো কিছু হয়ে গেছে।
,তুই আমাকে আগে জানাবি না। কে এই ছেলে?তুই শুধু নামটা বল’ বাকিটা আমি দেখছি।
,নাম জানিনা ফুপি। চিঠির মধ্যে, তার নাম পরিচয় কিছুই লেখা নেই।
মারিয়া বেগম দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল।কে এমন করতে পারে তা ভাবনায় আসছে না তার।

পরদিন বেশ স্বাভাবিক ভাবেই কলেজে রওনা হলো অর্ণা। মারিয়া বেগম কে বলে গেল,আজ ফিরতে একটু দেরি হবে। চিন্তা যাতে না করে।
কলেজে ঢুকতেই জুথি আর নাঈমকে দেখা গেল।আগের জায়গায় বসে আছে। অর্ণাকে দেখতেই দৌড়ে তার কাছে এলো জুথি।
,কি অর্ণা। আজ এতো দেরি করে এলে যে।
‌,দেরি কোথায়। ঠিক সময়েই তো এসেছি।
‌,হ্যা।কিন্তু কাল তো তাড়াতারি এসেছো। তাই বললাম আরকি। তাহলে চলো আমরা বেরিয়ে পড়ি!
অর্ণা অবাক হলো।
,কোথায় বেরিয়ে যাব? মাত্রই তো কলেজে এলাম। এখন আবার কই যাব?
,ওমা! কালকের কথা ভুলে গেছ। আমাদের না ঘুরতে যাবার কথা ছিল আজ।
,হ্যা কিন্তু সেটাতো বিকেলে?
,আরে ধুর। কিসের বিকেল।চলো এখনি বেরিয়ে পড়ি।সারাদিন ঘুরবো আজ।
অর্ণা নাকচ করলো।
,না জুথি।পড়া ফাঁকি দিয়ে, ঘুরতে যাবার কোনো ইচ্ছে নেই আমার। সবার আগে লেখাপড়া। তারপর অন্যকিছু।তোমরা তাহলে ঘুরে এসো। আমি যাব না।
,এই না,না।তুমি যখন বলবো তখনই। তাহলে চলো ক্লাসে যায়।
,,হুম চলো।

কলেজ ছুটি হলো চারটায়। অর্ণা,জুথি আর নাঈম। বেরিয়ে পড়লো শহরটা ঘুরতে।
প্রথমে তারা একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলো।সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে। গেল একটা নিরিবিলি পার্কে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ বসে রইল ওরা।
সন্ধ্যাবেলা হয়ে এসেছে।পশ্চিম আকাশে কোলে সূর্যমামা ঢলে পড়েছে। অর্ণা কথার পালায় পড়ে, কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। খেয়ালই করেনি। যখন বাড়ির কথা মনে পড়লো।চারিদিকে তখন অন্ধকার বিরাজমান।
অর্ণা তড়িঘড়ি করে বলল,
,একি!রাত হয়ে গেছে। আমি তো খেয়ালই করেনি। জুথি তারাতাড়ি চলো। বাড়িতে ফুপি নিশ্চয় চিন্তা করছে।
,আরে কিচ্ছু হবে না অর্ণা। তুমি শুধু, শুধু চিন্তা করছো। এসো বসো।আমরা তোমাকে বাড়িতে পৌঁছে দেব। আর একটু আড্ডা দেই।তারপর নাহয় যাব।
,না, না জুথি। আমি এক্ষুনি বাড়ি যাব।
,বললাম না। এখন যাওয়া যাবে না।চুপচাপ এসে এখানে বসো।আমাদের সময় হলেই, তোমাকে তোমার বাড়ি পৌঁছে দেব।
অর্ণা বুঝলো এদের মতিগতি ভালো না। তাই ব্যাগটা হাতে নিয়ে দৌড় লাগালো।
দৌড়েও বেশি দূর যেতে পারলো না। অন্ধকার রাস্তায় হোঁচট খেয়ে পড়ে গেল মাটিতে। তখনই কতগুলো ছেলে অর্ণা ঘেরাও করে ফেলল।তারমধ্য নাঈম আর জুথিও আছে।
জুথি এগিয়ে এসে গাল চেপে ধরলো অর্ণা।
,কি রে মা****।পালাতে চেয়েছিলি না। নে এবার পালা।দেখি তোর কতো জোর।
ভ য়ে অর্ণা থরথর করে কাঁপছে। তার এই জীবনে কোনোদিন। এমন পরিস্থিতির স্বীকার হয়নি।
মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বের করতে পারছে না। তবুও টেনে, টেনে বলল,
,ক,,ক,কি করছো জুথি।আমার লাগছে।আর এই ছেলেগুলো কে?
জুথির হাতের বাঁধন আরো শক্ত হলো।ব্যাথায় ককিয়ে উঠলো অর্ণা।তাতে যেন খুশি হলো সবাই।
,হা,হা,হা। ইশ্ যেন ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানেনা। তুমি আমাদের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছো মামুনি। এখন এরা তোমাকে নিয়ে যাবে। তুমি চিন্তা করো না। ওরা তোমাকে বেশি কষ্ট দেবে না। আমি বলে দিয়েছি।শুধু এই নয়জন মিলে প্রথমে তোমাকে “গ ন” ধ”র্ষ”ন করবে। দেন পাথর দিয়ে তোমার মুখটাকে
থেঁ ত লি য়ে কোন এক পাহাড়ের খাদে ফেলে দেবো।
‌জুথির কথা শুনে গাঁ শিউরে ওঠলো অর্ণা। হাত পা বরফ হয়ে গেছে। পরবর্তীতে তার সাথে কি কি হবে। তা ভাবতেই আত্মা পানি শুকিয়ে গেল।
জুথির পায়ে ধরলো অর্ণা।
,প্লিজ জুথি। এমন করো না৷ আমি না তোমার বোনের মতো। আমার এতো বড় ক্ষ তি তুমি করতে পারো না। দেখ তোমার যত টাকা লাগে আমি দেব।শুধু আমাকে বাড়ি ফিরতে দাও। কথা দিচ্ছি কাউকে কিচ্ছু বলব না। এই শহর ছেড়ে যাব। শুধু একবার বাড়ি ফিরতে দাও। দয়া করো প্লিজ।
অর্ণার আ র্ত নাদ করুণ শুনালো। তবে তা মন গলাতে পারলো না ওদের। জুথি অর্ণার চুলের মুঠি ধরে টেনে দাঁড় করালো।হাসতে, হাসতে বলল,
,তোর মতো এমন ডায়লগ অনেকেই বলেছে।তবে কাজ হয়নি। তাই যা বলছি তাই করো। অন্তত তাড়াতাড়ি ম রতে পারবি। এই ওকে গাড়িতে তোল। আর মুখের মধ্যে টেপ দিয়ে দে।
মুখ বন্ধ করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রানপন, চিৎ কার দিলো অর্ণা। কিন্তু দূরভাগ্য। জায়গাটা এতোই নিরব যে, সেই আওয়াজ কেউ শুনতে পেল না।
জুথি বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলছে একটা ছেলের সাথে। এই ছেলেটায় অর্ণাকে কিনে নেবে।জুথির পেশায় এটা।কলেজ থেকে মেয়েদের এনে এদের কাছে বিক্রি করে দেয়া এইজন্য সে মোটা অংকের টাকাও পায়।
,দেখ জুনায়েদ। এই মেয়েটা কিন্তু হেবি সুন্দরী। তাই এর দামও হবে চড়া। তাছাড়া এরা বেশ বিত্তবান। তাই কেস মামলাতে ও জড়াতে পারি। তাই এর দাম আমাকে পুষিয়ে দিতে হবে।
,আচ্ছা ঠিক আছে । বল কত চাই তো৷র?
,পঞ্চাশ হাজার ।

চলবে,,
চলবে,,,,

আপনারা জানেন, যে ফোন টা আমার নয়। অন্যের ফোন দিয়ে লিখি।অনেক কথা শুনতে হয়। আপনারা প্লিজ রেসপন্স করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here