আমায় একটু ভালবেসো পর্ব -০৮+৯

#আমায়_একটু_ভালবেসো
#জান্নাতুল_ফেরদৌস_কেয়া

(৮)

অর্ণার জে দের কাছে সবাই হার মানলো। সে তার সিদ্ধান্তে অটুট । আশোক সাহেব অনেক বুঝালো মেয়েকে। জিজ্ঞেস করলো,কি হয়েছে মা আমাকে বল।তুই না বললে বুঝবো কিভাবে। কিন্তু অর্ণা কিছুই বলল না। পরদিন ছোটবাবার সাথে,খুব ভোরেই রওনা হলো অর্ণা। পাপিয়া বেগম আর আশোক সাহেব অনেক কান্না করলো মেয়ের জন্য ।

পাহাড়ি আঁকাবাকা রাস্তা দিয়ে ছুটে চলল গাড়ি। গন্তব্য শ্রীমঙ্গল।অর্ণার ছোটবাবা অনিল চুপচাপ বসে আছে। মনে হচ্ছে অর্ণার উপর রে গে আছে।
,কি সুন্দর রাস্তা তাই না ছোটবাবা?
অনিল কিছুই বলল না। অর্ণা বুঝতে পারলো, অনিল তার সাথে অভিমান করেছে।
,রা গ করো কেন ছোটবাবা। আমি তো আবার চলে আসবো, তাই না। মাত্র কয়েক বছর। দেখবে চোখের পলকে কে টে গেছে।
,আমি কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক নয়। সেটা তুমি বলে দাও ড্রাইবার।
অর্ণা হাল ছেড়ে দিল। অনিলের সাথে কথা বলে লাভ নেই। সে এখন কোনো কথায় শুনবে না। রা গ কমলে নিজে থেকেই কথা বলবে। অর্ণা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে, গাড়ি সিটে হেলান দিয়ে। বাইরের পরিবেশ দেখায় মনোযোগী হলো।

গাড়ির ঝাঁকুনিতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছে, তা টের পায়নি অর্ণা।যখন চোখ খুলল। তখন দেখলো গাড়ি থেমে আছে। বাহির থেকে অনিলের চি ৎ কারের আওয়াজ আসছে । অর্ণা দ্রুত গাড়ির দরজা খুলে বাইরে এলো।একটা মোটরসাইকেল পড়ে আছে রাস্তার পাশে। তার পাশেই একটা ছেলে শুয়ে আছে। ছেলেটার হাত,পা ছুলে গেছে। তা থেকে র ক্ত বের হচ্ছে। অনিল সাহেব ছেলেটা হাত ধরে বসে আছে।
,ড্রাইবার দ্রুত গাড়ি থেকে ফাস্ট এইড বক্স বের করে নিয়ে এসো। (অনিল সাহেব)
ড্রাইবার চটজলদি করে নিয়ে এলো।কিন্তু বিপত্তি বাঁধলো অন্য জায়গায়। অনিল সাহেব ছেলেটাকে ধরে রেখেছে। সম্ভবত জ্ঞান নেই। এখন কা টা জায়গা পরিষ্কার কে করবে। অনিল ড্রাইবারের দিকে তাকালো। বেচারা অসহায় চোখে চাইলো। সে মূর্খ মানুষ।এসব জানে না।
,অনি! এদিকে আয়।
অর্ণা এগিয়ে গেল তাদের দিকে। অনিল ফাস্ট এইড বক্স ধরিয়ে দিয়ে বলল,
,নে। ছেলেটার ক্ষ ত স্থানে লাগিয়ে দে তো। আর ড্রাইবার। তুমি পানির ব্যবস্থা করো। ছেলেটার জ্ঞান ফেরানোর দরকার।
অর্ণার তার কথা মতো কাজ করলো। কিন্তু ছেলেটার জ্ঞান ফিরলো না।তাই সিদ্ধান্ত নিলো বাড়িতে নেয়ার। যেহেতু এখনকার রাস্তাঘাট তারা ততটাও জানে না। তাই হাসপাতালে না গিয়ে। বাড়িতেই উঠলো।

অর্ণা এখন থেকে এখানে থাকবে শুনে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেল মারিয়া বেগম। এই এত বড় বাড়িতে একা থাকেন তিনি। স্বামী বিদেশ,এক ছেলে, এক মেয়ে। তারাও বিয়ে করে দেশের বাইরে সেটেল্ড হয়ে গেছে। তাই কাজের মেয়েটাকে নিয়ে একায় দিন যাচ্ছে তার।
অর্ণাকে তার ছোট থেকেই পছন্দ। সবাই অর্ণাকে পছন্দ করার ও যথেষ্ট কারণ আছে।অর্ণা বরাবরই শান্তশিষ্ট, চুপচাপ আর গোছালো একটা মেয়ে। অপর দিকে পর্ণা ছিল, দুষ্টু, রাগি,আর ঝগরুটে। তাই ছোট থেকে অর্ণা সকলের পছন্দের। আর এটায় মূল সমস্যা পণা। কেন অর্ণা সবার কাছে ভালো হবে। এই নিয়ে তার হি ং সা। মারিয়া বেগমের, ইচ্ছে ছিল অর্ণাকে ছেলের বউ করে আনার। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। ছেলে তার পছন্দের মেয়ে কে বিয়ে করে সুখে আছে।
অনিল আর ড্রাইবার মিলে ছেলেটাকে ধরে। একটা রুমে নিয়ে শুইয়ে দিয়েছে । মারিয়া বেগম তার পরিচিত ডাক্তার কে ফোন করে আসতে বলেছে। ডাক্তার এসেই তার চিকিৎসা করবে। অনিল সাহেব ছেলেটা ওয়ালেট দেখে তার পরিচয় শনাক্ত করেছে।
,আপা ছেলেটার নাম তাহমিদ চৌধুরী ।এই নামে কাউকে চিনো?বাবার নাম,ওয়াহিদ চৌধুরী।
,হ্যা চিনবো না কেন! ওনি তো আমাদের এলাকার। ওয়াহিদ চৌধুরী একজন নামকরা ব্যবসায়ী। এলাকায় বেশ ডাক নাম। দুই ছেলে। এক ছেলে বড় ডাক্তার। আর এ হচ্ছে ছোট ছেলে। লেখাপড়া শেষ করে বাবার ব্যবসা সামলাচ্ছে।
,তাহলে তো ভালোই হলো। তুমি তাদের কে ফোন করে জানিয়ে দাও। যে তাদের ছেলের এক্সিডেন্ট করেছে।
মারিয়া বেগম নাম্বার জোগাড় করে ফোন দিলো। তাহমিদের বাবা মাকে।

অর্ণা নিজের জন্য বরাদ্দ করা রুমে এসে ফ্রেশ হলো।
ঘরটা বেশ শীতল। এসি নেই। তবুও এতো ঠান্ডা!
অন্তর জুড়িয়ে যায়। অর্ণা ধপাস করে বিছানায় শুয়ে পড়লো।আরামে তার চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। আপাতত ঘুম প্রয়োজন। সমস্ত দুঃখ-কষ্ট ভুলে গিয়ে। নতুন করে জীবন সাজানোর প্রয়াস। চোখ যখন ঘুমে বন্ধ হয়ে আসছে। হঠাৎই নিচ থেকে ভেসে এলো। মারিয়া বেগমের কন্ঠস্বর। তিনি অনবরত ডেকেই যাচ্ছে। অগত্যা শরীর ভর্তি ক্লান্তি নিয়ে নিচে নেমে আসলো।
হলরুমে বসে আছে কিছু অপরিচিত মুখ। অর্ণা তাদের কে দেখে অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো। দু’জন মহিলা। আর কয়েকজন পুরুষ। সবাই বেশ পরিপাটি। দেখেই বুঝা যায় এরা উচ্চবিত্ত।
,এই হচ্ছে আমার ভাইজী। অর্ণা আহমেদ। অর্ণা ওনাদের সালাম দাও”
অর্ণা নিচুস্বরে সালাম দিল। তারা সালামের জবাব নিয়ে অর্ণাকে বসতে বলল।অর্ণার তার ফুফুর পাশ ঘেঁষে বসে পড়লো। সবাই একসাথে বসে কথা বলছে। এমন সময় তাহমিদের ঘর থেকে ডাক্তার বের হলো।
,কি দেখলেন ডাক্তার। কি অবস্থা এখন আমার ছেলের?
,হ্যা ভালো। ওনার জ্ঞান ফিরেছে। আপনারা দেখা করতে পারেন। বেশি কিছু হয়নি। তবে মাথার পেছন দিকটায় বেশ জোরেশোরে আ ঘা ত পেয়েছে। তাই জ্ঞান ছিল না এতক্ষণ। আমি ঔষধ লিখে দিচ্ছি। নিয়মিত খাওয়াবেন। তাহলেই ঠিক হয়ে যাবে ।
ডাক্তারের কথা শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল ওয়াহিদ চৌধুরী। ছেলে তার সুস্থ আছে এটায় অনেক। সবাই গেল তাহমিদের রুমে।তার সাথে দেখা করার জন্য। অর্ণা রুমে চলে যাচ্ছিল। কিন্তু মারিয়া বেগমের জন্য তা আর হয়ে ওঠেনি। তিনি হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল অর্ণাকে।
ছেলেটা বেশ সুদর্শন। তা এখন খেয়াল করলো অর্ণা। অসুস্থ থাকার কারণে তার চোখ মুখ লাল হয়ে আছে।
ওয়াহিদ চৌধুরী ব্যাকুল হয়ে জিজ্ঞেস করছে,
,বাবা এখন কেমন লাগছে! কোথাও যন্ত্রণা করছে?আমাকে বলো।
এ যেন ছোট বাচ্চা বল খেলতে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে। তাই বাবা আদর করে জিজ্ঞেস করছে। ওয়াহিদ সাহেবর যত্ন দেখে। অর্ণার নিজের বাবার কথা মনে পড়লো। সাথে, সাথে তার মন খা রা প হয়ে গেল।
মানুষ গুলো কতো ভালবাসে তাকে অথচ নিজের কথা ভেবে। তাদের কে কষ্ট দিচ্ছে।
ওয়াহিদ সাহেব অনিল কে জিজ্ঞেস করলো,
,কিভাবে এক্সিডেন্ট টা হয়েছে বলতে পারবেন?
আসলে আমরা গাড়ি করে আসছিলাম। হঠাৎই দেখি রাস্তার পাশে ও পরে আছে। পরে আমি আর আমার ড্রাইবার মিলে তাকে এখানে নিয়ে আসি।
,ধন্যবাদ ভাই। আজ যদি আপনারা না থাকতেন। তবে কী যে হতো।
এতকিছুর মাঝেও অর্ণা একটা জিনিস খেয়াল করেছে। তা হলো ছেলেটার সবাই এলো ও তার মা নেই এখানে। সন্তানের অসুস্থ হবার কথা শুনলে সবার আগে মা ছুটে আসার কথা কিন্তু এখানে তার ব্যত্যিকরম ঘটেছে। সবাই এসেছে কিন্তু মা আসেনি। ব্যাপারটা ভালো লাগলো না অর্ণার কাছে।

দুপুর হতেই। তাহমিদ কে নিয়ে যাওয়া হলো তার বাড়িতে।অর্ণা এসে সেই যে ঘুম দিয়েছে। সেই ঘুম ভেঙেছে সন্ধ্যা সময়। মারিয়া বেগম এসে ডেকে তুলল তাকে। ফ্রেশ হতে বলে তিনি নিচে গেল। অর্ণা হাত-মুখ ধুয়ে নিচে গেল। হালকা কিছু নাস্তা করে। বাড়ির বাইরে বের হলো।
#আমায়_একটু_ভালবেসো
#জান্নাতুল_ফোরদৌস_কেয়া

(৯)

অর্ণার ফুফুদের বাড়ির শহরের প্রায় শেষ প্রান্তে৷বাড়িটা চমৎকার ৷এখান থেকে পাহাড়েরর সারিগুলো দেখা যায় পাহাড়ের কোল ঘেঁষে বেড়ে ওঠছে চা’পাতা গাছ৷বিকেলের সূর্যাস্ত৷ সবককিছু মন কেড়ে নেয়৷অর্ণা গুনগুণ করে গান ধরলো৷ তখনই মারিয়া বেগম সেখানে এলো৷
,কি করছিস অর্ণা ?
,তেমন কিছু না ফুপি ৷একটু হাটাহাঁটি করছি৷ কি সুন্দর জায়গা৷ মন প্রান জুড়িয়ে যায়।
,তোর ভালো লাগছে এখানে?
,হুম ‘খুব ভালো লাগছে৷ আচ্ছা ফুপি ,ছোটবাবা কি চলে গেছে?
,হ্যা। অনিল তো দুপুরের খাবার খেয়েই চলে গেছে।
,,দেখেছ!আমাকে একবার ডাকলো ও না। এত অভিমান।
,আরে তা না। তুই ঘুমিয়ে ছিলি তাই ডাকেনি।
,ওহ আচ্ছা। এই কথা। আচ্ছা ফুপি, যে ছেলেটার এ ক্সি ডেন্ট হয়েছে। তাকে কি তুমি চেন?
,হ্যা চিনবো না কেন! ওর বাবা এখানকার চেয়ারম্যান। আবার অনেক বড় ব্যবসায়ী। সবাই তাকে এক নামে চিনে।
,তুমি কি একটা জিনিস লক্ষ করেছো ফুপি?
,কি জিনিস?
,ছেলেটার সব আত্মীয় স্বজন এসেছে তার অসুস্থতার কথা শুনে। কিন্তু তার মা আসেনি?এমনটা কেন হলো?
মারিয়া বেগম দীর্ঘশ্বাস ফেলল। আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল,
,ছেলেটার মতো কপাল পো ড়া আর একটাও নেই রে মা। ওর হাসপাতালে জন্ম হয়। সাতদিন পর যখন রিলিজ নিয়ে বাড়িতে আসছিল। তখন দূর্ঘটনায় ওর মা আর নানু মা রা যায়। তার ভাগ্য ভালো ছিল। তাই সে বেঁচে ফিরেছে।
কথাটা শোনা পর তাহমিদের জন্য অর্ণার ভিষণ খা রা প লাগলো। মা ছাড়া পৃথিবীটা কেমন হবে, ভাবতেই অর্ণা গা শিউরে ওঠে।

কেটে গেল কিছুদিন। এখানে অর্ণার বেশ ভালোই লাগে। সারাদিন মারিয়া বেগমের সাথে টুকিটাকি কাজ করে দিন যায়। মা-বাবার সাথে প্রতিদিন ভিডিও কলে কথা হয়। অর্ণাকে হাসি খুশি দেখে, তাদের ও ভালো লাগে। মনে,মনে ভাবে, থাক মেয়েটা তো খুশিতে আছে এটায় অনেক। অর্ণার কলেজ থেকে টি,সি এনে এখানে ভর্তি হয়েছে। আজ কলেজের প্রথম দিন। সকাল নয়টা বাজে। অর্ণা কলেজের ইউনিফর্ম পরে নিচে নামলো।
,ও তুই রেডি। দাঁড়া আমি তৈরি হয়ে আসছি। তুই খেয়ে নে।
,তুমি কোথায় যাবে ফুপি?
,ওমা! আজ তোর কলেজের প্রথম দিন। আর আমি দিয়ে আসবো না। এটা কোনো কথা।তুই কি রাস্তাঘাট কিছু চিনিস নাকি যে একা,একা যাবি?
,একা,একা কই?ড্রাইবার তো আছে তাই না!
,না তবুও আজ আমি তোকে দিয়ে আসবো।
,আচ্ছা ঠিক আছে।

কলেজের সামনে এসে গাড়ি থামতেই। অর্ণা আর মারিয়া বেগম নেমে পড়লো। মারিয়া বেগম অর্ণাকে নিয়ে প্রিন্সিপাল রুমে গেল। সমস্ত ডকুমেন্টস জমা দিয়ে। ক্লাস রুমের দিকে হাঁটা ধরলো। অর্ণা মারিয়া বেগমের থেকে বিদায় নিয়ে। ক্লাসে চলে গেল।
ফাঁকা দেখে একটা বেঞ্চে বসলো অর্ণা। একে, একে ফাঁকা ক্লাসরুমে ছাত্র ছাত্রী দিয়ে পরিপূর্ণ হলো।
পর,পর তিনটি ঘন্টা করে। অর্ণা বাইরে বের হলো।করিডোর ধরে হেঁটে সোজা পুকুর পারে চলে এলো। এ জায়গাটায় তেমন লোকজন নেই। কিছু কপোত-কপোতী একে অন্যের হাত ধরে বসে গল্প করছে। তার থেকে কিছু দূরে কয়েকটা ছেলে মেয়ে মিলে গিটারে গান ধরেছে। অর্ণা একপাশে বসে পড়লো। পুকুরের টলটলে পানি। শীতল হাওয়া। প্রান জুড়িয়ে যায়।

,কেমন আছেন ভাবি?
কারো ডাকে চমকে উঠে অর্ণা। ঘাড় ঘুরিয়ে নজর দিতেই ছেলেটা ফিক করে হেসে উঠে।
,কে আপনি? আর আমাকে ভাবি ডাকছেন কেন?
,আমাকে আপনি চিনবেন না ভাবি। নিন এটা রাখুন। ভাই পাঠিয়েছে।
বলেই ছেলেটা অর্ণার হাতে একটা বক্স দিয়ে চলে গেল।অর্ণা পেছন থেকে অনেক ডাকলো তবে ছেলেটা শুনলো না।
অর্না দ্বিধায় পড়ে গেল। সে এখানে একদম নতুন। তবে কে পাঠালো এই বক্স। হঠাৎই অর্ণা মনে হলো। কেউ হয়তো তার সাথে প্রাংক করেছে। নিশ্চয় এটার ভিতর, প্লাস্টিকের সাপ,বা তেলাপোকা আছে। যখনই অর্ণা এসব দেখে লাফিয়ে উঠবে। তখন সামনে এসে মজা নিবে। অর্ণা মুচকি হেসে উঠে দাঁড়ালো। ক্লাস শেষ। এখন বাড়িতে যাওয়ায় যায়। যে এসব করেছে। সে অনেক বড় একটা ডোজ খাবে।

কলেজ থেকে বের হয়ে। অর্ণা একটা রিকশা নিয়ে সোজা বাড়িতে গেল। রুমে ঢুকে ফ্রেশ হতো গেল। তার মধ্যে মারিয়া বেগম অর্ণার রুমে এলো। ঘরটা অগোছালো দেখে, তিনি সব পরিষ্কার করে দিলেন। অর্ণা ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখলো। মারিয়া বেগম সব কিছু পরিষ্কার করে ফেলেছে। সে কপট রাগ দেখিয়ে বলল,
,ফুপি তোমাকে কে বলেছে আমার ঘর গুছাতে। আমি বুঝি করতে পারি না। আসলে কলেজ থেকে এসে খুব ক্লান্ত লাগছিল। তাই আগে গোসল দিয়েছি।
,বেশ করেছিস! আর আমি বুঝি তোর কাজে সাহায্য করতে পারি না। তুই ও তো আমার কত কাজ করে দিস। আমি কি কিছু বলি?
,আচ্ছা ঠিক আছে। এখন নিচে চল। প্রচুর খিদে পেয়েছে। খাবার খাব।
,হ্যা চল।
সারা বিকেল ব্যস্ত তার সাথে কাটলো। অর্ণা ভুলেই গেল সেই বক্সের কথা। রাতে যখন ঘুমুতে গেল। তখন মনে পড়লো। সাথে, সাথে উঠে লাইট জ্বালালো।
অর্ণা ভ য়ে,ভ য়ে বক্সটা খুলল। খুলেই অবাক হলো বেশ। সেখানে কোনো তেলাপোকা বা প্লাস্টিকের সাপ ও না। আছে ভাঁজ করা একটা কাগজের টুকরো। আর একটা চিঠি বাক্স।অর্ণা কাঁপা কাঁপা হাতে চিঠি টা তুলল।

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here